সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন সমিতির কঠোর হুশিয়ারীসাতক্ষীরায় শিশু-যুব ও স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালাশ্যামনগরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক সুন্দরবনের ত্রাস সাইফুলসাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি

ঢাকায় অনলাইন ক্যাসিনোর জুয়ার টানে বুঁদ যুবসমাজ

শতাধিক কম্পিউটারের সামনে চেয়ারে বসে আছে কিশোর, তরুণ, যুবক এমনকি মধ্যবয়সী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। মাউসের বাটনে তাদের হাত, চোখ মনিটরে।

এদিক-সেদিক তাকানোর ফুরসত নেই। নিবিড়ভাবে জুয়া খেলছে তারা। ঢাকার পুরানা পল্টনের ৩৭/২ প্রীতম জামান টাওয়ারের ১৩ ও ১৪ তলায় ঢুকে এই জুয়াযজ্ঞ দেখে যে কারো চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে।

সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বিরতিহীনভাবে চলছে জুয়ার আসর। কেউ কম্পিউটারে আবার কয়েকজন মিলে গ্রুপ করে অনেকটা প্রকাশ্যেই জুয়ার কোর্টে টাকা ছড়িয়ে খেলছে। আজিজ নামের এক কিশোর এগিয়ে এসে বলল, ‘ভাই, খেলবেন নাকি? ১০০, ৫০০, এক হাজার থেকে এক লাখ, যত খুশি খেলতে পারেন। সেই সঙ্গে বাড়তি ব্যবস্থাও আছে। ’ বাড়তি ব্যবস্থাটা কী জানতে চাইলে, কিশোরটি মুখ কানের কাছে এনে বলে, বিভিন্ন ধরনের মাদকের ব্যবস্থাও আছে।

নতুন খেলোয়াড় পরিচয়ে রুমের ক্যাশিয়ার একরামুলের কাছে নিয়ম-কানুন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভিআইপি ক্যাটাগরিতে সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার ও এক লাখ টাকা (জুয়াড়িদের ভাষায় একে বলে বেটিং) একবারে খেলতে পারেন।

আর ভিআইপি রুমের বাইরে কম্পিউটারে খেললে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেটিং করতে পারেন। ’ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চক্রটি ডেস্কটপের পাশাপাশি জুয়াড়িদের নিজস্ব ল্যাপটপ, এমনকি মোবাইল ফোনে সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ঘরে ঘরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে জুয়া। এতে আসক্ত হয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সর্বস্বান্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। আর অনলাইন ক্যাসিনোর এই ফাঁদ পেতে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে চক্রটি।

প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লাখ লাখ টাকার জুয়ার আসর বসে প্রীতম জামান টাওয়ারে। সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, ঘুষখোরসহ কোটিপতি ব্যবসায়ীরাও এখানে জুয়া খেলতে আসে। তবে তারা কেউই খেলায় জিতে এখান থেকে টাকা নিয়ে বের হতে পারে না। ফাঁদে আটকা পড়ে আবার খেলতে বসে সব হারায়। পুলিশের কাছে তথ্য থাকলেও প্রভাবশালীদের কারণে এই জুয়া-মাদক আসরের নেপথ্যের কুশীলবদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

জানা গেছে, বাংলাদেশের কয়েকজন প্রভাবশালীর সঙ্গে ট্যুরিস্ট ভিসায় আসা চীনা বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ার চার নাগরিক এই ক্যাসিনোর প্রধান নিয়ন্ত্রক। সাত মাস ধরে তাদের এই কর্মকাণ্ডে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করা ঢাকার এক বড় জুয়াড়ি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, “তিন মাস ধরে মতিঝিল এলাকায় একটি বহুতল ভবনে নতুন ‘ক্যাসিনো’র তথ্য পাওয়া গেছে। আমরাও এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রাথমিক খোঁজ নিয়েছি। এদের কাগজপত্রে ত্রুটি আছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ”

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর প্রীতম জামান টাওয়ারের ১৪ তলায় এই অনলাইন ক্যাসিনো বসানো হয়। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও ফিলিপাইনের নামকরা ক্যাসিনোর সঙ্গে সার্ভার লিংকের মাধ্যমে সরাসরি এই খেলা চালানোর মিথ্যা প্রলোভন দেওয়া হয় জুয়াড়িদের। কিন্তু বাস্তবে সফটওয়্যার কারসাজির মাধ্যমে মালয়েশিয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় সব কিছু। ব্যাংকার-প্লেয়ার, রোলেট, ড্রাগন টাইগার ও সিক বো নামের চারটি খেলা চালানোর জন্য প্রথমে ৪৯টি কম্পিউটার বসানো হয়। কিন্তু দ্রুত জুয়াড়িদের ভিড় বাড়ায় গত মাস থেকে একই ভবনের ১৩ তলায় আরো ৩৬টি কম্পিউটার বসায় চক্রটি। এর মধ্যে ১৩ তলায় কাচঘেরা ছোট আলাদা পাঁচটি কক্ষে বসানো দুটি করে আলাদা কম্পিউটারে ভিআইপিরা জুয়া খেলে। আরো ২৬টি কম্পিউটারে বিশেষ শ্রেণির লোকজন জুয়া খেলে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জুয়াড়িরা ক্যাশ কাউন্টারে টাকা জমা দিলেই তা সরবরাহ করা হয় নির্ধারিত কম্পিউটারে। এরপর চলতে থাকে খেলা। জুয়াড়িদের আস্থা অর্জনে হাতে গোনা দু-চারজনকে বড় অঙ্কের টাকা জিতিয়ে দেওয়া হয়। ভিআইপি রুমে খেলার ফাঁকে একজন জানান, বেশির ভাগ সময়েই বড় অঙ্কের টাকা হেরে যান তিনি। কখনো কখনো তিন ঘণ্টা খেলে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত হেরেছেন তিনি। মাঝেমধ্যে দু-এক দিন হঠাৎ হঠাৎ পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জিতেছেন, তবে সে টাকা নিয়ে বাইরে বের হতে পারেননি। জুয়াড়িদের ফাঁদে পড়ে আবার খেলতে বসেই হেরে গেছেন।

বাসায় বসে খেলার নিয়ম জানতে চাইলে ক্যাশ কাউন্টারে বসা শরীফ নামের আরেক যুবক বলেন, যিনি বাসায় বসে খেলতে চান তিনি নির্ধারিত টাকা ক্যাশ কাউন্টারে জমা দেন। এরপর তাঁকে একটি সদস্য পরিচিতি নম্বর ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়। সেই আইডি-পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে তিনি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ঢুকে বাসায় বসেই ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কিংবা স্মার্টফোনে খেলতে পারেন। এরই মধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের কয়েক হাজার জনকে বাসায় বসে খেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছে তারা।

১৪ তলার ক্যাশিয়ার জানান, তাঁর তলায় এখানে একযোগে ৪৯ জন বসে খেলতে পারেন। তবে ১৩ তলার চেয়ে ১৪ তলায় খেলে অপেক্ষাকৃত ছোট জুয়াড়িরা। এখানে সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা ক্যাশ কাউন্টারে জমা দিলেই খেলতে পারে যে কেউ। জুয়ার আসরের সুপারভাইজর রবিউল হোসেন বলেন, খেলতে গিয়ে কোনো ধরনের প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক তার সমাধান দেন কক উইং পিং নামের একজন। ভ্রমণ ভিসায় তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তিনি মূলত সার্বক্ষণিক ল্যাপটপের মাধ্যমে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। কোনো জুয়াড়িকে কখন জেতাতে হবে তা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মালয়েশিয়া থেকে সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ঠিক করে দেন। অনুমোদন ছাড়া কিভাবে এই ক্যাসিনো চালাচ্ছেন, জানতে চাইলে কোনো সঠিক জবাব দিতে পারেননি সুপারভাইজর।

জানা গেছে, চক্রটি গত চার মাসে এই জুয়া প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। প্রীতম টাওয়ারের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব কিছুই জানে। মাঝেমধ্যে তাদের লোকজন খোঁজখবর নেয়।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে এমন অবৈধ কর্মকাণ্ড চলতে পারে কি না, জানতে চাইলে বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার করে অবৈধ এমন কাজ চললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের নিরাপত্তার জন্যও এটি ঝুঁকিপূর্ণ। এলাকাবাসী জানায়, রাত-দিন সমানতালে জুয়ার আসর চলায় পুরানা পল্টন এলাকায় চলাচলকারী মানুষ এখন নিরাপদ নয়। এখানে বেড়ে গেছে ছিনতাই তৎপরতা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার জুয়া সিন্ডিকেটের চার সদস্য ইয়ং উইং হং, টং খা চিয়ান, কক উইং পিং এবং লাও ফুক চিংকে গত আগস্ট মাসে ঢাকায় নিয়ে আসেন এক শীর্ষ ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী পরিচয়ের আড়ালে ঢাকার ক্লাবপাড়ায় বড় জুয়াড়ি হিসেবে পরিচিতি আছে তাঁর। অবৈধভাবে টাকা পাচার করে মালয়েশিয়ায় তিনি সেকেন্ড হোমও করেছেন। সে দেশের ক্যাপং এলাকায় রয়েছে তাঁর বাড়ি ও একাধিক গাড়ি।

সূত্র: কালের কণ্ঠ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নিমেষে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায় এই ১০টি উপাদান

১. দারুচিনি
যখনই অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে, তখনই অল্প করে দারুচিনি খেয়ে নেবেন। দেখবেন কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগবে না। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদনটিতে থাকা একাদিক উপকারি উপাদান একদিকে যেমন হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, তেমনি পেটের সংক্রমণের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে ঠিক মতো হজম না হওয়ার সমস্যা কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে অল্প করে দারুচিনি দিয়ে তৈরি চা খেলে দেখবেন দারুন উপকার মিলবে।

২. অ্যালোভেরা
এতে থাকা নানাবিধ খনিজ একদিকে যেমন ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, অ্যালোভেরায় থাকা অ্যাসিড, স্টমাকে তৈরি হওয়া অ্যাসিডের কর্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

৩. ডাবের পানি
গরমের সময় শরীরে পানির ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি স্টমাক অ্যাসিডের ক্ষরণ স্বাভাবিক করতেও ডাবের পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, শরীরে থাকা অতিরিক্ত অ্যাসিডকে বের করে দিতেও এই প্রাকৃতিক উপাদানটি বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। তাই তো অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

৪. গুড়
শুনতে অবাক লাগলেও অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে বাস্তবিকই এই খাবারটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে গুড়ে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, ইন্টেস্টাইনের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে, দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে এবং স্টমাকের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কারণেই তো গরম কালে বেশি করে গুড়ের সরবত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

৫. রসুন
অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে এক কোয়া রসুন খেয়ে ফেললেই স্টমাক অ্যাসিডের ক্ষরণ ঠিক মতো হতে শুরু করে। ফলে গ্যাস-অম্বল সংক্রান্ত নানা লক্ষণ ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।

৬. মৌরি
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে অ্যাসিডিটির প্রকোপ কমাতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে মৌরিতে থাকা বিশেষ এক ধরনের তেল পাকস্থলির কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে হজমে সহায়ক পাচক রসের ক্ষরণ এতটা বাড়িয়ে দেয় যে বদ-হজম এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা কমতে সময় লাগে না।

৭. লস্যি
শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার পাশপাশি এই পানীয়টি স্টামাক অ্যাসিডের কার্যকারিতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গলা জ্বালা করার মতো সমস্যা কমে যায়। তাই তো এবার থেকে এমন ধরনের অসুবিধা দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস বাটার মিল্ক খেয়ে নেবেন। দেখবেন নিমেষে সমস্যা কমে যাবে। এক্ষেত্রে বাটার মিল্ক বানানোর সময় তাতে দই এবং অল্প করে লবণ মিশিয়ে দিতে ভুলবেন না। আসলে এমনটা করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

৮. খাবার সোডা
মাঝে মধ্যেই কি অ্যাসিডিটির সমস্যায় হয়ে থাকে? তাহলে কাজে লাগান এই ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে। এক্ষেত্রে এক গ্লাস পানিতে ১ চামচ খাবার সোডা মিশিয়ে সেই পানি পান করুন। প্রতিদিন এই মিশ্রনটি পান করলে দেখবেন আর কোনও দিন অ্যাসিডিটি হবে না। আসলে এই পানীয়টি অ্যান্টাসিডের কাজ করে থাকে। এই কারণেই তো এমন ধরনের সমস্যা কমাতে এই উপাদানটিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

৯. তুলসি পাতা
একেবারে ঠিক শুনেছেন। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে তুলসি পাতা দারুন কাজে আসে। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা খুব অল্প সময়ে অ্যাসিডিটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তাই তো নিমেষে এমন রোগের প্রকোপ কমাতে ৩-৫ টি তুলসি পাতা পানিতে ভিজিয়ে, সেই পানি ফুটিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন চোখের পলকে অ্যাসিডিটি কমে যাবে।

১০. বাদাম
আপনি কি প্রায়শই অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগে থাকেন? তাহলে খাবার পরপরই ২-৩ টি বাদাম খেয়ে নিতে ভুলবেন না। কারণ এমনটা করলে এমন ধরনের রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমে। আসলে বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং অ্যালকেলাইন কমপাউন্ড, যা স্টমাক অ্যাসিডিটির জন্য দায়ি অ্যাসিডদের ক্ষতি করার ক্ষমতা একেবারে কমিয়ে দেয়। ফলে গ্যাস-অম্বলের কষ্ট কমতে সময় লাগে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চুপিসারে বিয়ে সারলেন রাজ-শুভশ্রী

জল্পনার অবসান। সাত পাকে বাঁধা পড়লেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী এবং টলিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী। মঙ্গলবার আনন্দপুরে রাজের আরবানার ফ্ল্যাটে পরিবারের লোকজন এবং ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের উপস্থিতিতে আংটি বদল করলেন এই জুটি। সারলেন বিয়েও। সূত্রের খবর, ১১ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে।

কয়েকমাস আগেই সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছিল দুই ‌তারকার বিচ্ছেদের খবর। সবাই যখন ভেবেছিলেন দু’‌জনের সম্পর্ক ভেঙে গেছে, তখনই জানা যায় রাজ-শুভশ্রী নাকি গোয়ায় বেড়াতে গিয়েছেন। যদিও কেউই সেটা স্বীকার করেননি তখন। আর এদিন একেবারে চুপিসাড়েই দু’জনে সেরে ফেললেন বিয়ে। ছাই রংয়ের ব্লেজার পরেছিলেন রাজ এবং ঘিয়ে রঙের লেহেঙ্গায় এদিন সেজেছিলেন শুভশ্রী।
একেবারে চুপিচুপি এদিন বিয়ে সেরেছেন রাজ-শুভশ্রী। প্রাথমিকভাবে বন্ধুদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানালেও আর কোনও কিছু জানাননি রাজ। আর তারা এসেই জানতে পারেন যে, অবশেষে চারহাত এক হচ্ছে রাজ-শুভশ্রীর। এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে শুভশ্রীর সঙ্গে রাজের সম্পর্কের নতুন পথ চলা শুরু হয়৷ এরপর দু’‌জনের সম্পর্কে নানা চড়াই-উতরাই এসেছে।কখনও ঝগড়া আবার কখনও আরেক অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর উপস্থিতির কারণে দু’‌জনের মধ্যে মনমালিন্য দেখা দিয়েছিল। এরপর দু’জনের বিয়ের দিনও নাকি ঠিক হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের পর দু’‌জনে কোথায় থাকবেন সেটাও ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু গত বছরের শেষ দিকে পুরনো প্রেমিক রাজের সঙ্গে মিমির ঘনিষ্ঠতার খবর প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু এদিনের অনুষ্ঠান সেই সব বিতর্কে পানি ঢেলে দিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : যাত্রাপালা শুনে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ভোর সাড়ে চার টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বামনখালি বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আব্দুল্লাহ ধাবক (১৬)। সে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার উত্তর ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের বাবলু ধাবকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান,উপজেলার বামনখালি বাজারে সাতদিন ব্যাপি যাত্রানুষ্ঠানের নামে জুয়ার আসর ও পুতুল নাচ চলছিল। মঙ্গলবার ছিল শেষ দিন। আয়োজক কমিটির সভাপতি হিসেবে যুগিখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাসার ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রবিউল হাসান এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন।
তারা আরো জানান, যাত্রাপালা শেষে বুধবার ভোরে সাড়ে চারটার দিকে আব্দুল্লাহ বাড়ি যাওয়ার জন্য একটি পাথর ভর্তি ট্রাকে ওঠার সময় তার ডান পা চাকার তলায় পড়ে। এতে সে চাকার নীচে পড়ে মারাত্মক জখম হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে বুধবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
জানতে চাইলে যাত্রাপালা আয়োজন কমিটির সভাপতি আবুল বাসার জানান, ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে তারা এ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিলেও এসএসসি পরীক্ষার কারণে অনুমতি মেলেনি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে এ যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেখানে কোন জুয়া খেলা বা অনৈতিক কোন কর্মকাণ্ডের কথা অস্বীকার করেন তিনি।

সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মোঃ মাজরিহা জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকসহ চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত শেষে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আবারও রোনালদোর ঝলকে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল

চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ চার বছরে তিনবার শিরোপা জেতা রিয়াল মাদ্রিদকে থামাতে পারলো না প্যারিস সেন্ত জার্মেই। তাদেরকে বিদায় করে টানা অষ্টমবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।

রিয়ালের মাঠে প্রথম লেগ হারলেও ঘুরে দাঁড়াতে মানসিকভাবে সব ধরনের বন্দোবস্ত করে রেখেছিল উনাই এমেরির দল। প্রাণভোমরা নেইমারের শূন্যতা যেন চাপ না ফেলে, সেই প্রস্তুতিও ছিল তাদের। দর্শক সমর্থকদের উত্তাপের আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল ম্যাচের  একদিন আগে থেকেই। কিন্তু কোনও কিছুতেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩-১ গোলে হারের ক্ষত সারাতে পারলো না পিএসজি। আবারও তারা দেখলো রোনালদোর ঝলক। মঙ্গলবার পার্ক দে প্রিন্সেসে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগ রিয়াল জিতলো ২-১ গোলে। দুই লেগে ৫-২ গোলের অগ্রগামিতায় চ্যাম্পিয়নস লিগে হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতার মিশনে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো গত দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।
প্যারিসে প্রথম ৪৫ মিনিট তেমন ভালো কাটেনি স্বাগতিকদের। রিয়ালের বিপক্ষে মাত্র তিনটি শট নিতে পেরেছে তারা, যেটা ঘরের মাঠে ২০১৫ সালের অক্টোবরের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে কম।

এগিয়ে না থাকায় আফসোস নিয়ে বিরতিতে যেতে হয় কাইলিয়ান এমবাপেকে। ৪৩ মিনিটে ডিবক্সে ঢুকে মাঝে থাকা এদিনসন কাভানিকে পাস না দিয়ে নিজেই শট নেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। তাকে লক্ষ্যভেদ করতে দেননি কেইলর নাভাস। কয়েক মুহূর্ত আগে আনহেল দি মারিয়ার প্রচেষ্টা বিফল করে দেন রিয়াল গোলরক্ষক।

পিএসজির মতো সুযোগ নষ্টের মাশুল দিয়েছিল রিয়ালও। ১৮ মিনিটে কর্নার থেকে মার্কো আসেনসিও বল পাঠান স্বাগতিকদের গোলপোস্টের বেশ কাছে। তীব্র গতির শট নেন সের্হিয়ো রামোস, কিন্তু রিয়াল অধিনায়কের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন আরেওলা। পিএসজির এই গোলরক্ষকের কারণে করিম বেনজিমা ৩৮ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন। ৩৮ মিনিটে মার্সেলোর দূরপাল্লার শট স্বাগতিকদের রক্ষণ ফাঁকি দেয়, বেনজিমা একা আরেওলাকে পেলেও ব্যর্থ হন। পিএসজি গোলরক্ষক বাঁ পা বাড়িয়ে দিয়ে বলের গতিপথ পাল্টে দেন।

দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি নতুন উদ্যোমে খেলা শুরু করে। ৫০ মিনিটে কাভানির বাঁ পায়ের শট ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায় মাঠের বাইরে। পরের মিনিটেই স্বাগতিক দর্শকদের নিস্তব্ধ করে দেন রোনালদো। ৫১ মিনিটে দানি আলভেস পায়ে বল রাখতে পারেননি। আসেনসিও বল দেন ভাসকেসকে, তার বিপজ্জনক ক্রস থেকে ব্যাকপোস্টের সামনে দাঁড়ানো রোনালদো শক্তিশালী হেডে জালে জড়ান।

এই গোলেই চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৯ ম্যাচে গোল করলেন রোনালদো। ২০০৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রুড ফন নিস্টলরয় একই কৃতিত্ব গড়েছিলেন। ডাচ ফুটবলারের গোল ছিল ১২টি, আর পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর ১৪টি।

পিছিয়ে পড়া পিএসজি ৬৬ মিনিটে হয়ে যায় ১০ জনের। রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পাওয়ায় মাঠ ছাড়তে হয় মার্কো ভেরাত্তিকে। একজন কম নিয়ে খেললেও ৫ মিনিট পরই আশা জাগানিয়া গোল পায় স্বাগতিকরা। ৭১ মিনিটে পাস্তোরের হেড রিয়ালের ডিফেন্ডার রুখে দিলেও ফিরতি শটটি কাভানির গায়ে লেগে জালে জড়ায়। তার দুই মিনিট আগে মার্সেলোর ক্রসে আসেনসিওর ভলি গোলপোস্টে লাগলে রিয়ালের ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি।

অবশ্য ৮০ মিনিটে রিয়াল পিএসজির শেষ আশাও ভেস্তে দিয়েছে আরেকবার এগিয়ে গিয়ে। কাসেমিরোর ক্রস র‌্যাবিওট বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন, রোনালদো আলতো ছোঁয়ায় ফিরতি পাস দেন তাকে। এবার ঠিক লক্ষ্যভেদ করেন কাসেমিরো। ৮২ মিনিটে রোনালদোর শট পোস্টে লাগলে প্রথম লেগের মতো ৩-১ গোলে জিততে পারেনি রিয়াল।রিয়ালের সঙ্গে একই দিন কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিভারপুল। এনফিল্ডে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগ তারা গোলশূন্য ড্র করেছে পোর্তোর সঙ্গে। প্রথম লেগ ৫-০ গোলে জেতায় এই ড্র কোনও বাধা তৈরি করেনি তাদের সামনে। দুই লেগে ৫-০ গোলের অগ্রগামিতায় ২০০৯ সালের পর প্রথমবার শেষ আটের টিকিট কাটলো ইংলিশ ক্লাবটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারির পরও সহিংসতা অব্যাহত

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারির পরও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মধ্য শ্রীলঙ্কার একটি দোকান ও একটি মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মুখে সহিংসতা ঠেকাতে ক্যান্ডিতে কারফিউ জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। তারপরও ক্রমবর্ধমান সহিংসতার আশঙ্কায় সারাদেশে ১০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সহিংসতায় ইন্ধনদাতাদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংঘাতকবলিত ক্যান্ডি শহরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

কান্ডি শহরের পাশের মাদাওয়ালা গ্রামে এক বাসিন্দা বলেন, প্রেসিডেন্ট মাথ্রিরিপালা সিরসেনা জরুরি অবস্থা ও কারফিউ জারি করার কয়েক ঘণ্টা পরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার সময় তিনি একটি দোকান পুড়তে দেখেন। মোহাম্মদ মানাজির নামে ওই ব্যক্তি আল জাজিরাকে বলেন, একটি ভবনে আগুন দেওয়ার খবর শুনে আমি বাইরে বিষয়টি দেখতে যাই। আমি সেখানে বিশাল অগ্নিশিখা দেখতে পাই। দোকানটি একজন মুসলিম বাসিন্দার ছিল।

মানাজির আরও বলেন, মাদাওয়ালা আর কোনও বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এখন পুলিশ ও সেনাবাহিনী ওই এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দল আগুন নিভিয়ে ফেলেছে।

স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দাঙ্গাকারীরা কান্ডির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওয়াত্তেগামা গ্রামে একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে।

কলম্বোভিত্তিক ওই অনলাইন সংবাদমাধ্যমটি টুইটারে দরজার ভাঙা কাঁচ ও ভাঙা চেয়ারের কিছু ছবি পোস্ট করেছে। তারা একটি অডিও বার্তাও প্রকাশ করেছে, যেখানে এক ব্যক্তি দাবি করছেন হামলার সময় তিনি মসজিদের ভেতরে ছিলেন। কন্ঠটি বলছিল, দাঙ্গাকারীরা মসজিদটিতে হামলা করেছে। পুলিশ গুলি করছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কোনও মন্তব্য করেনি।

শ্রীলঙ্কার কান্ডিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ সিনহালা সম্প্রদায়ের দাঙ্গাকারীরা মসজিদ, মুসলিমদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানগুলোতে হামলা শুরুর পর সরকার সেখানে সেনা মোতায়েন করেছে। এক সপ্তাহ আগে মুসলিমদের পিটুনিতে এক বৌদ্ধ নাগরিকের ‍মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই সহিংসতা শুরু হয়।

সংঘর্ষ ঠেকাতে সোমবার কান্ডিতে কারফিউ জারি করেছিল পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়। এরপর মঙ্গলবার একটি পুড়ে যাওয়া ভবন থেকে এক মুসলিম নাগরিকের লাশ উদ্ধারের পর ১০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট সিরসেনা।

প্রেসিডেন্ট সিরসেনা বলেন, জরুরি অবস্থায় দেশের কিছু অংশে বিরাজমান অসন্তোষজনক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। সমাজে অপরাধ কর্মকাণ্ড মোকাবিলা ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় ২ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার ৭৫ শতাংশ বৌদ্ধ, ১০ শতাংশ মুসলিম ও ১৩ শতাংশ হিন্দু। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালের জুনে দেশটিতে মুসলিমবিদ্বেষী প্রচারণার কারণে রক্তক্ষয়ী আলুথগামা দাঙ্গা শুরু হয়। ওই সময়ে শত শত মুসলমান গৃহহীন হয়ে পড়েন। তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাথ্রিপালা শিরসেনা ২০১৫ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর ওই ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই তদ্ন্ত প্রতিবেদনের কোনও অগ্রগতি হয়নি।

শ্রীলঙ্কার উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের অভিযোগ, দেশটিতে মুসলমানরা বৌদ্ধদের বলপূর্বক ধর্মান্তরিত করছে। তারা বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোতে ভাঙচুর করছে। কিছু পর্যবেক্ষক চলমান সহিংসতার জন্য কট্টর বৌদ্ধ সংগঠন বোদু বালা সেনা’কে (বিবিএস) দায়ী করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ট্রাকের চাপায় মো. আব্দুল্লাহ (১৬) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বাবুলখালি বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আব্দুল্লাহ একই উপজেলার উত্তর ক্ষেত্রপাড়ার মো. বাবলুর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে জয়নগরে যাত্রা দেখে বাড়ি ফেরার পথে বাবুলখালি বাজারে পৌঁছলে পাথর বোঝাই একটি ট্রাক তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এ সময় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পলাতক রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার আমজাদ আ.লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য হলেন

কলারোয়া প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছেন কলারোয়ার সন্তান ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম আমজাদ হোসেন।
সোমবার আওয়ামীলীগের সভেনেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক পত্রে এসএম আমজাদ হোসেনকে কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য মনোনীত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এসএম আমজাদ হোসেন কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের নাকিলা গ্রামের মৃত দাউদ আলী সরদারের পুত্র। তিনি দীর্ঘদিন যাবত আ.লীগ এবং দলটির অংগ ও সহযোগি সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে রয়েছেন।
এদিকে, সাবেক ছাত্রনেতা এসএম আমজাদ হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লী‌গের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-ক‌মি‌টির সদস্য মনোনীত করায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান তুহিন, সেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক শেখ আশিকুর রহমান মুন্না, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা এ্যাডভকেট আশরাফুল আলম বাবু, জাহাঙ্গীর আলম লিটন, কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ সরদারসহ কেরালকাতা ইউনিয়নের আ.লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য সংগঠন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest