সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ পলাশপোল এর এ,বি,এম,শফিকুল ইসলাম পিনু ও মোছাঃরেহানা ইসলামের কনিষ্ঠা কন্যা শারমিন পারভীন প্রিয়াঙ্কা তার স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গবেষণায় আসাধারণ সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ অর্জন করেছেন।স্নাতকোত্তর গবেষণার বিষয় হিসেবে তিনি কৃষিবর্জ্য বা কৃষি কাজের উচ্ছিষ্ট অংশ ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব আসবাবপত্রসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাঠের বিকল্প বানানোর মাধ্যমে টেকসই প্রযুক্তির এক নতুন ধারনা ও উদাহরণ তৈরি করেছেন। যার স্বীকৃতির অংশ হিসেবে আজ ০৪ মার্চ, ২০১৮ ওসমানী মিলনায়তন ঢাকায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ হতে এককালীন (৫৪০০০) চুয়ান্নহাজার টাকার ফেলোশিপ সম্মাননা গ্রহণ করেন।
এর আগে তিনি স্নাতক পর্যায়ে গবেষণায় পেয়ারার পাতা ব্যবহার করে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ফরমালিন এর বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ বা পচনরোধক তৈরি করেন যা দেশে বিদেশে ব্যপক সাড়া ফেলে। তিনি ২০০৭ সালে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে জিপিএ ফাইভ,২০০৯ সালে যশোহর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ হতে জিপিএ ফাইভ অর্জন করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি ডিসিপ্লিন হতে ৩.৬০ জিপিএ নিয়ে প্রথম শ্রেনিতে প্রথম হিসেবে স্নাতক সমাপ্ত করে স্নাতকোত্তরে গবেষণা করছেন। তিনি সাতক্ষীরা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদের সহধর্মিণী। তিনি সকলের দোয়া ও আশির্বাদ প্রার্থী।

রোববার সকাল ১১ টায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সেলিম রেজা মুকুল, জাসদ নেতা আমির হোসন খান চৌধুরী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাক্ষেীরা জেলা কমিটির সদস্য প্রভাষক সুভাশীষ, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ মন্ডল, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের নেতা রওনক বাসার, ইকবাল লোদী, কনক দাশ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ড. জাফর ইকবালের উপর মুক্ত চিন্তার উপর তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আক্রমণ। সন্ত্রাসীরা একের পর এক প্রগতিশীল লেখক বুদ্ধিজীবীদের উপর হামলা করে মুক্ত চিন্তার মানুষের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। এসবের পিছনে মৌলবাদী সংগঠনের মদদ রয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা অবিলম্বে এসব মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বক্তারা প্রশাসনের মধ্যেও কেউ কেউ ঘাপটি মেরে থেকে মৌলবাদি জামাত-শিবির চক্রকে মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। সরকারকে এদের বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বক্তারা বলেন, হেফাজতে ইসলামের মত মৌলবাদী চক্রের সাথে বন্ধুত্ব করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখা সম্ভব নয়। হেফাজতের আদর্শিক বন্ধুরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক যে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আমরা দেখি সেখানে ড. জাফর ইকবালরাই আমাদের পথ প্রদর্শক। তাই তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে মৌলবাদের বিষদাঁত ভেঙে ফেলতে হবে।
