সর্বশেষ সংবাদ-
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সাতক্ষীরায় বিআরটির রোড শোতালায় বালু বিক্রয় নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪ : ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগলাবণ্যবতী খালের উপর কাঠের ব্রিজটি যেন মৃত্যুর ফাঁদসাতক্ষীরা-২ আসনে এবি পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জি এম শাকিলবর্ণিল সাজে সাতক্ষীরায় লেকভিউ রাগবি সেভেনস ট্রফি’র উদ্বোধনপিআর পদ্ধতির দাবিতে সাতক্ষীরায় সেমিনারশ্যামনগরে আজাবা শাকের মেলা ও রান্না প্রতিযোগিতাসংকটের মুহূর্তে জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা কালবেলার সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবেসাতক্ষীরায় শ্রমিক নেতা মনিকে আটকের প্রতিবাদে মানববন্ধনপিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দাবিতে সাতক্ষীরায় জামায়াতের মানববন্ধন

সরকারি দপ্তরে ঘুষ চাইলে দুদককে জানান- দুদক চেয়ারম্যান

সরকারি দপ্তরে গিয়ে ঘুষ বা অনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডের মুখোমুখি হলে ব্যবসায়ীদের এর থেকে দূরে থাকতে বললেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এমন পরিস্থিতিতে পড়লে বিষয়টি দুদককে অবহিত করার পরামর্শ দিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে অভিযোগকারী ব্যাবসায়ীকে যাতে পরবর্তী সময়ে কোনো অসুবিধায় পড়তে না হয়, সে বিষয়টি দুদক দেখবে।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ করে ইকবাল মাহমদু বলেন, ‘ব্যবসা করতে আপনাদের অনেক সময় সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নানা ধরনের অনুমোদনের জন্য যেতে হয়। সেখানে অনেক ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে। কোনো কর্মকর্তা যদি ফাইল ছাড়তে গড়িমসি করেন, হয়রানি করেন বা অনৈতিকভাবে কোনো কিছু চান, আপনারা সেটা দেবেন না। আমাদের (দুদক) জানাবেন। আপনাদের ব্যবসার পথ চিরদিনের জন্য মসৃণ করার দায়িত্ব আমাদের। ’

গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের জন্য স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকারি সেবা নিশ্চিতকরণ’ শীষর্ক এক আলোচনাসভায় দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। দুদক ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) যৌথভাবে ওই আলোচনাসভার আয়োজন করে। সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ঋণখেলাপিদের নিয়ে দুদকের তদন্ত নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

দুদক ঋণখেলাপিদের পেছনে ছুটছে না। এটা আমাদের কাজও নয়। আমরা শুধু ভুয়া নথিপত্র দিয়ে ঋণ নিচ্ছে কি না, সেটা দেখি। ’

গত বছর ঘুষের অর্থসহ ২৫ জন কর্মকর্তাকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুদকের মামলাগুলো আসলেই ভয়ংকর। এই মামলায় একবার কেউ পড়লে কত দিনে এই মামলা শেষ হবে, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। আপনারা কোনো আইন ভঙ্গ করবেন না, দুদক আপনাদের জন্য স্বর্গ হবে। আইন ভঙ্গ করলে এটা নরকের আজাবের মতো মনে হবে। ’

বিডার চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্রগতির অন্যতম একটি উপায় হলো দুর্নীতি ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসা। আমরা সব সময় সেটা করতে সচেষ্ট ভূমিকা রেখে আসছি। ’ বিএমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘ব্যবসার কাজে সরকারি দপ্তরগুলোতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা অনেক ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের মুখোমুখি হন। এ নিয়ে অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না। ’ ডিসিসিআই পরিচালক সেলিম আখতার খান বলেন, ‘অনেক সময় ব্যবসায়ীরা সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে থাকে। এই যোগসাজশ ভাঙতে হবে। ’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে প্রথম নারী চেয়ারম্যান

জনতা ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন নারী উদ্যোক্তা লুনা শামসুদ্দোহা।

বাংলাদেশের ইতিহাসে রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো বাণিজ্যিক কিংবা বিশেষায়িত ব্যাংকে তিনিই প্রথম নারী চেয়ারম্যান।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মানিক চন্দ্র দে বলেন, বুধবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় লুনা শামসুদ্দোহাকে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি দায়িত্ব পালনও শুরু করেছেন।

এর আগে ব্যাংকটির পরিচালক ছিলেন লুনা।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লা আল মামুনকে জনতা ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগের আদেশ জারি করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি পেলেই তার যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে অনাপত্তি না দিয়ে লুনা শামসুদ্দোহাকে অনাপত্তিপত্র দেয়।

নতুন চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহা ২০১৩ সালে প্রযুক্তি খাতে নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির কারণে গ্লোবাল উইমেন ইনভেন্টরস অ্যান্ড ইনোভেটরস নেটওয়ার্ক (গুইন) সম্মাননা পান।

এর আগে তিনি দোহাটেক নিউ মিডিয়ার চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজিরও প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশ বিজনেস ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা, সফটওয়্যার উদ্যোক্তা এবং সুইজারল্যান্ডের গ্লোবাল থট লিডার অন ইনক্লুসিভ গ্রোথের সদস্য।

লুনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী।

২০১৬ সালের জুন থেকে লুনা জনতা ব্যাংকের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার আগে ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত আরেক ব্যাংক অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মালিতে মাইন বিস্ফ‌োরণে ৪ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নিয়োজিত চার বাংলাদেশি সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন, গুরুতর আহত হয়েছেন আরও চার বাংলাদেশি।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে দেশটিতে বিদ্রোহীদের হামলায় তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত এবং চারজন আহত হন।

বুধবার মালির মোপ্তি এলাকার বনি ও দোয়েন্তজা শহরের সংযোগ সড়ক দিয়ে শান্তিরক্ষীরা গাড়িতে করে যাওয়ার পথে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে দেশটিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন মিনুসমা জানিয়েছে।

এ বিবৃতিতে বিস্ফোরণে হতাহতের খবর দিলেও তারা কোন দেশের নাগরিক তা জানায়নি জাতিসংঘের এই মিশন।

পরে বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হতাহতরা বাংলাদেশি বলে জানায়।

নিহতরা হলেন- সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার আবুল কালাম, পিরোজপুর (৩৭ এডি রেজি. আর্টি.); ল্যান্স কর্পোরাল আকতার, ময়মনসিংহ (৯ ফিল্ড রেজি. আর্টি.); সৈনিক রায়হান, পাবনা (৩২ ইবি) এবং সৈনিক (পাচক) জামাল, চাপাইনবাবগঞ্জ (৩২ ইবি)।

আহতরা হলেন- কর্পোরাল রাসেল, নঁওগা (৩২ ইবি); সৈনিক আকরাম, রাজবাড়ি (৩২ ইবি); সৈনিক নিউটন, যশোর (১৭ বীর) এবং সৈনিক রাশেদ, কুড়িগ্রাম (৩২ ইবি)।

আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালির স্থানীয় সময় আনুমানিক দুপুর আড়াটায় দোয়েঞ্জা নামক স্থানে ভয়াবহ আইইডি বিস্ফোরণে চার বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত এবং আরও চারজন আহত হয়।

ওই এলাকায় আগের দিন একই ধরনের ঘটনায় মালির ছয় সেনা সদস্য নিহত হন বলে মিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়।

২০১৩ সালে মালির উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন শহর থেকে বিদ্রোহী জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তুয়ারেগদের হটিয়ে দেয় ফরাসি বাহিনী। এরপর ওই বছরই দেশটিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হয়।

এই মিশনই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

সেখানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশসহ ৫০টি দেশের প্রায় ১১ হাজার সৈন্য কাজ করছে। এই মিশনে ২৫টি দেশের পুলিশ সদস্য রয়েছে দেড় হাজারের বেশি, যাদের মধ্যে বাংলাদেশি পুলিশও রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিএনপির বিরুদ্ধে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার ৪ আ.লীগ নেতা-কর্মী !!

অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে করা নাশকতার মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা-কর্মীকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করলেও বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তা নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
আসামিরা হলেন তারেক হোসেন খান শামীম (৪৮), খোরশেদ আলম (৩৫), আবদুস সামাদ সজীব (২৯) ও শফিকুল ইসলাম শফি (৪৩)।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও থানা যুবলীগের আহ্বায়ক শাহ আলম বলেন, তারেক তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের অর্থ সম্পাদক। আর খোরশেদ ওই ওয়ার্ডের ২ নম্বর ইউনিট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আসামি শফিকুলের স্ত্রী কাজল রেখার দাবি, তাঁর স্বামী তেজগাঁও ২৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ কর্মী। আর তিনি তেজগাঁও ২৫ নম্বর যুব মহিলা লীগের সভাপতি। আর আসামি সজীবও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
তবে রিমান্ড আবেদনে পুলিশ বলেছে, এই চারজন বিএনপি ও জামায়াতের সক্রিয় সদস্য।
মামলার নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ৮ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার বিজি প্রেসের খেলার মাঠের সামনে থেকে ককটেলসহ তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সোহাগ মোল্লা এবং ছাত্রদলের সহসভাপতি আতিকুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এ ঘটনায় যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরবসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে নাশকতার ষড়যন্ত্র ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই চারজনকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারগুব তৌহিদ। ওই আবেদনে বলা হয়েছে, এই চার আসামি বিএনপি ও জামায়াতের সক্রিয় সদস্য। আসামিরা সরকারের বিরুদ্ধে নানা প্রকার ষড়যন্ত্র করেছে। সরকারি সম্পদ ও জানমালের ক্ষতি করে শান্তিপ্রিয় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

অবশ্য পুলিশের অভিযোগ অস্বীকার করেন আসামিদের আইনজীবী এ কে এম শরীফ উদ্দিন। একই সঙ্গে এই চারজন যে বিএনপি কিংবা জামায়াতের রাজনীতি করেন না, সে ব্যাপারে দালিলিক প্রমাণ আদালতের কাছে উপস্থাপন করেন। লিখিতভাবে আদালতে তিনি জানান, চারজনই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। আদালত উভয় পক্ষের কথা শুনে আসামি তারেক, খোরশেদ, সজীব ও শফিকুলকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান।

আদালত চত্বরে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সদস্য খালেদ মোহাম্মদ কায়সার বলেন, পুলিশ যে চারজনকে বিএনপি-জামায়াত বলে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড চেয়েছে, তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ নেতা-কর্মী। তাঁর অভিযোগ, অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দলের জের ধরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করাচ্ছেন।
আর শফিকুলের স্ত্রী যুবলীগ নেত্রী রেখা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কেন বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় গ্রেপ্তার হবেন? কেন জেল খাটবেন?
এই চারজনকে গ্রেপ্তারের খবর জানেন না বলে দাবি করেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা যুবলীগের আহ্বায়ক শাহ আলম। তাঁর দাবি, যুবলীগ নেতা তারেকসহ গ্রেপ্তার অন্যরা তাঁদের সঙ্গে মিছিল-মিটিংয়ে থাকেন না। একই রকম কথা বলেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শফিউল্লাহ।
আদালতে চারজন আসামির আইনজীবীর দেওয়া বক্তব্য এবং তাঁদের সম্পর্কে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দেওয়া তথ্য জানানোর পর এসআই মারগুব তৌহিদ দাবি করেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এই চারজন আসামি বিএনপি-জামায়াতের কর্মী কি না, সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। শুধু বলেছেন, অনেকেই বিপথগামী হতে পারেন।
সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুই শিশুকে আলাদা করার অপারেশনে একধাপ অগ্রগতি

বাংলাদেশের পাবনায় মাথা জোড়া লাগা অবস্থায় জন্ম নেওয়া দুটি শিশুর অপারেশনে একধাপ অগ্রগতি হয়েছে। ডাক্তাররা বলছেন, ১৮-মাস বয়সী রাবেয়া ও রোকাইয়ার মাথায় যে যুক্ত রক্তনালী ছিল গতকাল সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যাতে দুজনের জন্য আলাদা রক্তনালী চালু হয়। শিশু দুটি ভাল আছে এবং তাদের জ্ঞানও ফিরেছে বলে তারা বলছেন। খবর বিবিসি বাংলা। চিকিৎসকরা বলছেন, এখন তারা শিশু দুটির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন। আলাদা রক্তনালী তৈরি হলে তিনমাস পরে আবার একটি সার্জারি করা হতে পারে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জন মোঃ শফিকুল ইসলাম বলছেন, ‘পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আমরা দেখেছি, তাদের মূল ধমনী বা শিরার পাশে কিছু বিকল্প শিরা আছে। আমরা আমরা সেটি বন্ধ করে দিয়েছি, ফলে বিকল্প শিরাগুলি আস্তে আস্তে সচল হয়ে উঠবে বলে আশা করছি। এভাবে আস্তে আস্তে তাদের দুজনের মাথার আলাদা কাঠামো তৈরি হবে। এরপর আমরা সার্জারি করে দুজনকে আলাদা করতে পারবো।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাজেক্রীস এর জরুরি সভা; নতুন সদস্য ২৬ ক্লাব, বঞ্চিত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেরগুলো!

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার একিমিত্র চাকমা, নির্বার্হী ম্যাজিস্ট্রেট সজল মোল্লা, আমিনুল ইসলাম, মোঃ আরিফ আদনান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক একেএম আনিসুর রহমান, আশরাফুজ্জামান আশু, তৈয়ব হাসান বাবু, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, আলতাফ হোসেন, কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথীসহ ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ। সংস্থাটির কার্যনির্বাহী কমিটির একাংশের অভিযোগ- তড়িঘড়ি করে ২৬টি নতুন ক্লাবকে সদস্যপদ দেয়া হয়েছে কিন্তু বঞ্চিত হয়েছে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও খ্যাতিমান মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত একাধিক ক্লাব।

এদিকে সভা শুরু হওয়ার আগেই উপস্থিতির স্বাক্ষর করানোর জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিস সহকারী খাতা নিয়ে প্রত্যেক সদস্যদের কাছ থেকে সহি করানোর জন্য গেলে অনেক সদস্য সহি না করলে তাদের রুমের বাইরে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়। এবং তাদের কোনো কথা শোনা হবে না বলেও জানিয়ে দেয়া হয়। অনেক সদস্য বিগত দিনের মিটিং এর রেজুলেশনের কপি চাইলে সেটি এড়িয়ে যান। সাংবাদিক সম্মেলন সম্পর্কে সাজেক্রীস সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেনো সাংবাদিক সম্মেলন করা হলো? প্রতিত্তোরে এক সদস্য বলেন ক্লাব ঐক্য পরিষদের সাংবাদিক সম্মেলন। অবৈধভাবে ক্লাব অর্ন্তুভূক্তি না করেন সে জন্য এই সাংবাদিক সম্মেলন। এদিকে, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি সাংবাদিক সম্মেলন সম্পর্কে কথা না বাড়ানোর জন্য বলেন।

এরপর ক্লাব অর্ন্তভূক্তি করণ সম্পর্কে বলা হয়, এখানে ৬২টি ক্লাব অন্তর্ভূক্তির জমা পড়ে, কিন্তু যাচাই বাছাই কমিটি ৬২ টির মধ্যে ২৫ টি ক্লাব বাছাই করেন। কি কারণে বাকি ক্লাবগুলোর সঠিক কাগজপত্র জমা দেওয়া সত্ত্বে¡ও বাদ দেওয়া হয়েছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব কমিটি দিতে পারেনি। এক পর্যায়ে একজন সদস্য বলেন, শেখ জামাল স্পোর্টিং ক্লাব, শেখ ফজলুল হক মনি স্পোর্টিং ক্লাব, সুলতানা কামাল স্পোর্টিং ক্লাব, সৈয়দ কামাল বখ্ত স্পোর্টিং ক্লাব, ক্যাপ্টেন শাজাহান মাস্টার স্পোটির্ং ক্লাব, শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক স্পোর্টিং ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র, সকার ক্লাব, গ্লোরিয়াস ক্লাব, নিরালা ক্রিকেট ক্লাবসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ক্লাবগুলো কে না দিয়ে অখ্যাত ক্লাবগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যেসকল ক্লাবকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে অনেক ক্লাবের ব্যাংক একাউন্ট পর্যন্তও নেই যেটি গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ-৭ লঙ্ঘন করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কমিটির একাংশের নেতৃবৃন্দ।

অনেক সদস্যের দাবি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির কোন ব্যক্তিকে যেন ক্লাব দেওয়া না হয় এর জন্যেও তারা জোর প্রতিবাদ জানান। অন্যদিকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য হওয়ার জন্য জেলার ৬২টি ক্লাব আবেদন করে। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ২৫টি ক্লাবকে সদস্য করার জন্য সুপারিশ করেছেন আহবায়ক কমিটি। অথচ উক্ত বাতিল হওয়ার ক্লাবগুলোর মধ্যে শেখ ফজলুল হক মনি, শেখ জামাল, সাবেক সাংসদ সৈয়দ কামাল বখ্ত সাকীসহ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি স্মরণে ক্লাব ছিলো দাবি করেন উপস্থিত কিছু সদস্য। ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান কমিটির একাংশের নেতৃবৃন্দ মনে করেন সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এটি করা হয়েছে। এঘটনায় উক্ত সভার রেজুলেশনে ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান কমিটির একাংশের নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষর করেন নি। এ নিয়ে ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন বলেন, ক্লাব অন্তর্ভূক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া, পর্যায়ক্রমে ক্লাবগুলো অন্তর্ভূক্তির সুযোগ আছে। এসময় জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আহবায়ক কমিটি যাদের মনে করেছেন তাদের সদস্য করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ফোরাম ৮৭ এর আয়োজনে এবং ওয়ারফান বিডি এর অর্থায়নে গতকাল দুপুর ১২টায় ফোরামের পলাশপোলস্থ কার্যালয়ে ৫জন এতিম দুস্থ্য অসহায় ছাত্রছাত্রীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রতি ৬মাস অন্তর তাদেরকে ৩ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। ফোরাম ৮৭ এর সেক্রেটারী মোঃ শফিউল হাসান উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফোরাম ৮৭এর সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিনা খাতুন পুতুল, প্রধান শিক্ষক পলাশপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মালেকা পারভীন, কোষাধ্যক্ষ ইয়াছিন আলী, সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সদস্য মোঃ ঈদুজ্জামান ইদ্রিসসহ ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। এসময় বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা উক্ত টাকা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলার নবনির্মিত জেলা স্কাউটস ভবনটির ভিত্তি ঢালাই কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার বিকাল ৩টায় নতুন ভবনের ভিত্তি ঢালাইয়ের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা রোভারের কমিশনার এ এস এম আব্দুর রশীদ, সাতক্ষীরা জেলা স্কাউটসের সম্পাদক ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আব্দুল খালেক, খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, জেলা রোভার সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান, জেলা রোভার কোষাধ্যক্ষ মোঃ ইমদাদুল হক(প্রাক্তন অধ্যক্ষ সিটি কলেজ) , প্রাক্তন অধ্যক্ষ ইউনুস আলী,(পল্লী মঙ্গল স্কুল এ্যান্ড কলেজ) আবুল বাসার পল্টু, রাশেদুজ্জামান, কাজী আফজাল বারীসহ স্কাউসের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest