সর্বশেষ সংবাদ-
প্রতিপক্ষ প্রার্থী কর্তৃক হুমকি ধামকির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদের সংবাদ সম্মেলনফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের অবস্থান কর্মসূচিসাতক্ষীরায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগসাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণসাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্ট

শ্যামনগরে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযা‌পিত হ‌চ্ছে

 

গাজী আল ইমরান, শ্যামনগরঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ২০১৭ পালন উপলক্ষ্যে নানান কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। এরই অংশ হিসেবে শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন, শ্যামনগরের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে বিজয় শোভাযাত্রা, পুস্পস্তবক অর্পন ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-০৪ আসনের সংসদ সদস্য এস. এম. জগলুল হায়দার, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার
মোঃ কামরুজজামান, শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। এরপর শ্যামনগরের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সহ ব্যাক্তি ও সাংগঠনিক পর্যায়ে হাজার হাজার মানুষ বিজয় র্যালী নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা সদরের গোপালপুরে অবস্থিত সৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
সৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পনের পর শ্যামনগর গোপালপুরের ”দলিত উন্নয়ন সংস্থা” (ডাচ) কর্তৃক আয়োজিত বিজয় মঞ্চে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন অতিথি বৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রশান্ত দাস, এসময় উপস্থিত ছিলেন দলিত উন্নয়ন সংস্থা” (ডাচ) এর সভাপতি রামপ্রসাদ দাস, সাধারণ সম্পাদক নিতাই দাস, কোষাধ্যক্ষ সুভাষ দাস সহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও দলিত পাঠশালা‌র সদস্য ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এরপর শ্যামনগর নকিপুর হরিচরন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্যারেড প্রদর্শিত হয়।প্যারেড প্রদর্শনিতে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব প্যারেড প্রদর্শন করে। ২য় পর্বের অনুষ্ঠান শেষে বিকালে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের মাঠে তৃতীয় পর্বের অনুষ্ঠানের শুরু হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৪২ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। শ্রদ্ধা জানানোর পর কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

এরপর জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শ্রদ্ধা জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ছেড়ে যাওয়ার পর শ্রদ্ধা জানাতে সর্বসাধারণের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শক্তি বাড়াবে যেসব খাবার!

আমরা দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির জন্যে কতকিছুই না খাই। তবে দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির জন্যে সব খাবারে পরিমিত পুষ্টিগুন থাকে না। বিবাহিত জীবনে মিলনে ফিট থাকতে হলে আপনাকে দৈনন্দিন খাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে। কারণ সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকার পাশাপাশি দরকার স্বাস্থ্যকর দৈহিক সম্পর্ক। অথচ প্রায়ই দেখা যায়, দৈহিক দুর্বলতার কারণে সংসারে অশান্তি হয়, এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হয়। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকলেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি নাও হতে পারেন আপনি।

আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোনো প্রকার ওষুধের প্রয়োজন নেই, তার জন্য দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবার দাবারই যথেষ্ট। আপনার খাবার মেনুতে নিয়মিত দুধ, ডিম এবং মধু রাখুন আর নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করুন, তাহলে দৈহিক (যৌন) দুর্বলতায় ভুগবেন না।

১. ডিম: দৈহিক দুর্বলতা দূর করতে ও উত্তেজনা বাড়াতে এক অসাধারণ খাবার ডিম। প্রতিদিন সকালে, না পারেন সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম সিদ্ধ করে খান। এতে আপনার যৌন দুর্বলতার সমাধান হবে।

২. দুধ: যেসব খাবারে বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সবগুলোকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।

৩. মধু: দৈহিক দুর্বলতার সমাধানের মধুর গুণের কথা সবারই কম-বেশি জানা। তাই দৈহিক শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন।

৪. রসুন: দৈহিক সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। স্মরণাতীতকাল থেকেই নারী পুরুষ উভয়েরই দৈহিক উদ্দীপনা বাড়াতে এবং জননাঙ্গকে পূর্ণ সক্রিয় রাখতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজনস্বীকৃত। রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।

৫. কফি: কফি আপনার মিলনের ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার মিলনের মুড কার্যকর রাখে।

৬. জয়ফল: গবেষণায় দেখা গেছে, জয়ফল থেকে এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌগটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে আপনার যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।

৭. চকলেট: ভালোবাসা ও মিলনের সঙ্গে সবসময়ই চকলেটের একটা সম্পর্ক রয়েছে। এতে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন (পিইএ) ও সেরোটোনিন। এ দুটি পদার্থ আমাদের মস্তিষ্কেও রয়েছে। এগুলো মিলনের উত্তেজনা ও দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। পিইএ’র সঙ্গে অ্যানান্ডামাইড মিলে অরগাজমে পৌঁছাতে সহায়তা করে।

৮. কলা: কলার রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম মানবদেহের যৌনরস উৎপাদন বাড়ায়। আর কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও। যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতেও সহায়ক। আর সর্বোপরি কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা আপনার দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে দীর্ঘসময় ধরে দৈহিক মিলনে লিপ্ত হলেও আপনার ক্লান্তি আসবে না।

৯. ভিটামিন সি জাতীয় ফল: দৈহিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল দৈহিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। এসব ফলে মধ্যে তরমুজের প্রভাব বেশি। অনেকে মিলনের উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন।

১০. গরুর মাংস: গরুর মাংসে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি মিলনকে আরও আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান। যেমন গরুর কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ট্রাক্টর চালিয়ে সংসদে এমপি

ইতিহাসে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সংসদের সর্বকনিষ্ঠ এমপি দুশান্ত চাতালাকে হঠাৎ করেই শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে ট্রাক্টর নিয়ে প্রবেশ করেছেন। এ নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটিয়েছেন ভারতীয় সংসদের ইণ্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের (আইএনএলডি) এর এক সংসদ সদস্য।

এদিকে সংসদ অধিবেশনে ট্রাক্টর নিয়ে প্রবেশের কোন অনুমতি না থাকায়, তাকে আগে থেকেই দুই দিনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনের মাধ্যমে রাস্তার অনুমোদন নিতে হয়। তার এই ঘটনা সবার দৃষ্টিকে নাড়া দিয়ে গেছে এবং অস্বাভাবিক বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যে মুরগির দাম ২ লাখ টাকা! (ভিডিও)

আমরা বিভিন্ন ধরনের মুরগি দেখে থাকি। কিন্তু এমন এক ধরনের মুরগি আছে গায়ের পালক কালো। চামড়া কালো। ঠোঁট, নখ, ঝুঁটি, মুখ, জিভ, এমনকি শরীরের ভিতরের মাংস, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এমনকি হাড় পার্যন্ত কালো! কালো আর কালো? শুধু কালো কিসিমের এই মুরগিটিই বিশ্বের সবচেয়ে দামি হিসেবে পরিচিত।

একেবারে ভিন্ন জাতের ওই মুরগিরর নাম ‘জেট ব্ল্যাক’ আয়্যাম কেমানি চিকেন। এই জাতটির আদি ঠিকানা ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের কেমানি নামক এলাকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ব্রিডার পল ব্রাডশো এই কালো মুরগি বিক্রি শুরু করেছেন ২০১৩ সাল থেকে। সে সময়ই একেকটি মুরগির দাম হেঁকেছেন ২৫০০ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় কমের পক্ষে ২ লাখ টাকা। ব্রিডার এই কালো মুরগির নাম রেখেছেন ‘ল্যাম্বরগিনি পোল্ট্রি’।

বিজ্ঞানীরা বলছেন কালো টিস্যুর প্রাবল্যের এই জেনেটিক পরিস্থিতির ‘ফাইব্রেমেলানোসিস’ নামে পরিচিত। এই জাতটির সঙ্গে চীনের সিল্কি জাতের কালো মুগির মিল রয়েছে।

সংগ্রহকারীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষনীয় ও লোভনীয় এই জাতের মোরগের ওজন হয় ২ থেকে আড়াই কেজি। মুরগির ওজন হয় দেড় দু কেজি। মুরগি দেয় বাদামি রঙের ডিম। পালস ডট এনজি

https://www.youtube.com/watch?v=VDQwlyJ8jTs&feature=youtu.be

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে -এমপি রুহুল হক

তোষিকে কাইফু/তরিকুল ইসলাম লাভলু : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখি-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করার আহ্বান জানিয়ে সাতক্ষীরা-৩ সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করি। দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করি। এটাই হোক ২০১৭ সালের বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।
৪৬ তম মহান বিজয় দিবসের আনন্দকে নতুন প্রজন্মের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজ মাঠে নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজন বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত, পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, রোভার স্কাউটস দলের কসরত প্রদর্শিত হয়েছে।
নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আনিছুজ্জামান খোকনে’র সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম’র সার্বিক তত্বাবধানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডা. রুহুল হক এমপি বলেন- দীর্ঘ ৪৬ বছর আমরা ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছি। যারা ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করেছিল তারা এখনও এদিবসটি পালনে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তবে মনে রাখবেন ষড়যন্ত্রকারীরা যত ষড়যন্ত্রই করুক না কেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা প্রতিহত করা হচ্ছে এবং হবে। কোনো কিছুই এদেশের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করতে পারবে না। বাঙালী জাতির আনন্দের দিন ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। পাক হানাদার বাহিনীর সাথে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এদিনে গ্রাম-বাংলার লক্ষ লক্ষ জনতা প্রাণের মাতৃভূমি বাংলাদেশকে শত্রুমুক্ত করে বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়ে।
২০২১ সালের মধ্যো বাংলাদেশকে একটি ক্ষুদামুক্ত,দারিদ্রমুক্ত,শান্তিুপূর্ণ মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ নিয়ে আওয়ামীলীগ সরকার কাজ করছে-এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে সক্ষম হবেন। আপনাদের আমাদের মত গ্রাম-বাংলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় এদেশের নিজস্ব অর্থায়নে কাঙ্খিত পদ্মা সেতু মাত্র খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে। যার মূল সেতুর নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মাধ্যমে জানুয়ারি মাসের শুরুতেই কোটি কোটি বই বিনামূল্যে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, যোগাযোগসহ সার্বিক দিক দিয়ে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মহান বিজয় দিবস বাঙ্গলির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে আনন্দ ও গৌরবের দিন। লক্ষ শহীদের আত্মহুতি ও দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রামের ফলে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা, আমরা পেয়েছি আমাদেও প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিসীম ত্যাগ ও বীরত্বগাথা চিরদিন স্বর্ণক্ষরে লেখা থাকবে।
কালিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জি.এম সাইফুল ইসলাম ও কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন- নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলজাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন পাড়, সম্ভুজিৎ মন্ডল, নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ তোফায়েল আহমেদ, সাতক্ষীরা জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দীন খোকন, কালিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ারুল কবির লিটুসহ ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক, উপজেলা এবং নলতা, ভাড়াশিমলা, তারালী ও চ্যাম্পাফুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ, মুক্তিযোদ্ধা, নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজ, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নলতা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, কাশিবাটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নলতা আহ্ছানিয়া দারুল উলুম ফজিল মাদ্রাসা, ইন্দ্রনগর হুসাইনাবাদ ফাজিল মাদ্রাসা, কাজলা গরীবুল্লাহ বিশ্বাস দাখিল মাদ্রাসা,পূর্বনলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাঘুরালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আহছানউল্লা জুনিয়র হাইস্কুল, আল-হেরা প্রি-ক্যাডেট মাদ্রাসা, আহ্ছানিয়া দরবেশ আলী ক্যাডেট স্কুল, আহ্ছানিয়া দরবেশ আলী মন্নুজান মেমোরিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুল, কে বি মোবারক আলী প্রি-ক্যাডেট স্কুল, এম জে এফ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সহ এত্র এলাকার সকল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনি ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৭ টায় কালিগঞ্জ সোহরাওয়ার্দী মাঠে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে ফুলের তোড়া দিয়ে শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিজয় দিবসের অভিবাদন মঞ্চে না ডাকায় সদর এমপি রবির অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অভিবাদন মঞ্চে সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবিসহ সাতক্ষীরা-০১ আসনের এমপি এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও সংরক্ষিত আসনের সাংসদ মিসেস রিফাত আমিনকে আমন্ত্রণ না করায় মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
পরে তিনি সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে শহিদ আব্দুর রাজ্জাকের মাজার জিয়ারত করেন এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশের সকল জেলায় যে নিয়ম আছে তার ব্যতিক্রম সাতক্ষীরা জেলায়। এখানে সালাম নেওয়ার যোগ্য যারা তাদেরকে কৌশলগতভাবে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সম্মানিত এমপি এবং বয়োজ্যোষ্ঠদের অসম্মান করা হয়েছে। এটা ন্যাক্কারজনক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক আর নেই

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় আগস্ট থেকে হাসপাতালটিতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ১৩ ডিসেম্বর থেকে তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। মন্ত্রী প্রোস্টেট গ্লান্ডের সংক্রমণে ভুগছিলেন।

মৃত্যুকালে ছায়েদুল হক স্ত্রী ও পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মোহাম্মদ ছায়েদুল হক ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নিয়ে মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত সে দায়িত্বপালন করেন। এর আগে তিনি খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালের ৪ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জন্ম নেওয়া ছায়েদুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে মোট পাঁচবার এমপি নির্বাচিত হন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest