সর্বশেষ সংবাদ-
অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভালাপা প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার পরামর্শ সভাসাতক্ষীরায় যৌথবাহিনির অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ তিনজন আটকসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: ‘আত্মশক্তি অর্জই শিক্ষার উদ্দেশ্য’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় অর্কিড ডিজিটাল লার্নিং পয়েন্ট’র শুভ উদ্বোধন এবং বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে শহরের সুলতানপুর ০৪ নং ওয়ার্ডে কোচিং প্রাঙ্গণে অর্কিড ডিজিটাল লার্নিং পয়েন্ট’র ইংরেজি শিক্ষক রাম কুমার বিশ^াসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি। এসময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা গ্রহণ করে দেশ ও সমাজকে আলোকিত করতে হবে। পাঠ্য শিক্ষার সাথে সাথে নৈতিকতার শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। সামনে এগিয়ে যেতে হলে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। তাহলে আসবে সফলতা। বাংলা শিক্ষার পাশা পাশি ইংরেজি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ইংরেজি ইন্টারন্যাশনাল ভাষা।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ০৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান ও প্রফেসর ড. আব্দুল বারী। ফিতা কেটে অর্কিড ডিজিটাল লার্নিং পয়েন্ট’র শুভ উদ্বোধন করেন এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অর্কিড ডিজিটাল লার্নিং পয়েন্ট’র শিক্ষক হাফিজুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বঙ্গবন্ধু’ উপাধির আজ ৫০-এ পা
 সেদিন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখ লাখ জনতার উপস্থিতিই জানান দিচ্ছিল কিছু একটা হতে চলেছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে।
তিনি আগরতলা মামলা থেকে সবেমাত্র মুক্তি লাভ করেছেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত এ বিশাল গণসংবর্ধনায় তৎকালীন ডাকসুর সভাপতি শেখ মুজিবের একনিষ্ঠ সহচর তোফায়েল আহমেদ মাইকে ঘোষণা করেন, ‘কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি ঋণের বোঝা হালকা করতে চায়। জাতির পক্ষ থেকে প্রিয় নেতাকে উপাধি দিতে চাই। ‘
তখন রেসকোর্স ময়দান প্রকম্পিত হয়ে উঠে। লাখ লাখ জনতা হাত উত্তোলন করে জানান দেন, প্রিয় নেতা শেখ মুজিবকে উপাধি দেওয়া হোক।

তখন রেসকোর্স ময়দান প্রকম্পিত হয়ে উঠে। লাখ লাখ জনতা হাত উত্তোলন করে জানান দেন, প্রিয় নেতা শেখ মুজিবকে উপাধি দেওয়া হোক।

এরপর তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এবার বক্তৃতা করবেন আমাদের প্রিয় নেতা ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমান। ‘

এরপর থেকেই জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে গেলেন বাঙালির প্রিয় ‘বঙ্গবন্ধু’।

দিনটি ছিল ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। এদিন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।

সেই উপাধি গতকাল শুক্রবার ৪৯ বছর পেরিয়ে আজ ৫০-এ পা দিল।শুক্রবার ভোলার সদর উপজেলার এক সমাবেশে স্মৃতিচারণ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামি করে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল। তখন জাগ্রত ছাত্র-সমাজ সর্বদলীয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে। সংগ্রাম পরিষদে ডাকসু’র ভিপি হিসেবে সমন্বয়ক ও মুখপাত্রের দ্বায়িত্ব পালন করি। আর তাই রেসকোর্সের ঐতিহাসিক সমাবেশের আমি ছিলাম সভাপতি। ‘

তিনি বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি পল্টনে লাখ লোকের সমাবেশে বক্তব্যে সেদিন আমি বলেছিলাম, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে হবে। ঠিক তার পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি স্বৈরশাসক বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তার পরেরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি সেই ঐতিহাসিক ১০ লাখ লোকের বিশাল সমাবেশে জাতির জনককে বঙ্গবন্ধু উপাধি ঘোষণা করি। ‘

স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবকে দেওয়া বঙ্গবন্ধু উপাধি ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে নানান ঐতিহাসিক দলিলে স্থায়ীভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়। কেন-না, বঙ্গবন্ধুর নামেই লক্ষ-কোটি বাঙালি, বাংলাদেশের মানুষ নিজের জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বয়সটা ৩৭ পেরিয়েছে, তবে মাঠের পারফরম্যান্সে এখনও ২০ বছরের তরুণ শহীদ আফ্রিদি। শুক্রবার পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) বর্ষীয়ান এই অলরাউন্ডার যেভাবে একটি ক্যাচ ধরলেন, তা দেখে চোখ কপালে উঠেছে সবার।

দুবাইয়ে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স আর করাচি কিংসের ম্যাচের ঘটনা। ব্যাটিং করছিল কোয়েটা। ইনিংসের ১৩তম ওভারে উমর আমিনকে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে ফিরিয়ে দিয়েছেন আফ্রিদি, যেটি উপস্থিত দর্শকদেরও বিশ্বাস হচ্ছিল না।

মোহাম্মদ ইরফানের লেন্থ ডেলিভারিটি লং অনের উপর দিয়ে উঠিয়ে মেরেছিলেন উমর আমিন। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানও নিশ্চয়ই ভেবেছিলেন বলটি ছক্কা হয়ে যাবে। এমন সময় সবাইকে চমকে দিয়ে বলটি ধরে ফেলেন আফ্রিদি।

তবে বল হাতে থাকলে বাউন্ডারিতে পা লেগে যাবে বলে ক্যাচ নিয়েই চোখের পলকে সেটি বাতাসে ভাসিয়ে দেন আফ্রিদি। এরপর বাউন্ডারির বাইরে থেকে এসে দারুণ বুদ্ধিমত্তায় ক্যাচটি তালুবন্দী করেন দ্বিতীয়বার। ম্যাচে তার দল করাচি জিতেছে, তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে দিন শেষে আলোচনায় বর্ষীয়ান এই অলরাউন্ডারের ক্যাচটিই।

ক্যাচের ভিডিওটি দেখুন এখানে-

পিএসএলে আফ্রিদির দূর্দান্ত ক্যাচ

পিএসএলে আফ্রিদির দূর্দান্ত ক্যাচ

Posted by bdtidings.com on Friday, 23 February 2018

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কাযালয়ের সামনে বিএনপির কালো পতাকা প্রদর্শনের আগেই জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।  খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে আজ শনিবার ‘কালো পতাকা প্রদর্শন’ কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি।

আজ সকাল ১১টায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সেখানে জড়ো হয়ে ছিল। খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে স্লোগান শুরু করেন তারা। পরে কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল করার সময় বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। তাদেরকে আটক করে পল্টন থানায় নেওয়া হয়েছে।

নির্ধারিত সময়ের আগে থেকে নগরীর বিভিন্ন স্পট থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা দলটির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে এসে জড়ো হওয়ায় আগে থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুই পাশে বিপুল পুলিশসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা অবস্থান নিয়ে ছিল।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক সংসদ সদস্য নীলোফার চৌধুরী মনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘যে ভাষায় এখন মাত্র তিনজন কথা বলেন’
পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ মানুষ বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত ১১টি ভাষাতে কথা বলেন। আবার এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে কয়েকশ ভাষা প্রচলিত। উদাহরণ হিসেবে পাপুয়া নিউগিনি ও ইন্দোনেশিয়ার কথা বলা যায়। পাপুয়া নিউগিনিতে ৮৫০টিরও বেশি ভাষা রয়েছে আর ইন্দোনেশিয়ার রয়েছে ৬৭০টি ভাষা। এই সব ভাষার অনেকগুলিই আবার পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত।
তবে পৃথিবীতে এমন কিছু ভাষা রয়েছে যেটি কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বংশ পরম্পরায় এই ভাষা টিকে থাকে। কিন্তু যখন বংশধররা বিলুপ্ত হয়ে যায় তখন তাদের সেই ভাষাও বিলুপ্ত   হয়ে যায়। বাস্ক, উস্কারার মতো অনেক ভাষা বক্তার অভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
এবার বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে উত্তর পাকিস্তানের দুর্গম, পাহাড়ি অঞ্চলের ‘বাদেশি ভাষা’। ইন্দো-ইরানিয়ান এই ভাষাটি অনেক বছর ধরে শুধু উত্তর পাকিস্তানের একটি গোষ্ঠীর মুখেই টিকে আছে। এখন সেই ভাষায় কথা বলার জন্য বেঁচে আছেন মাত্র তিন জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই তিন জনের যে কোনো দুই জনের মৃত্যু হলেই পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে ‘বাদেশি ভাষা’।-বিবিসি
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শরিকদের আসনে দৃষ্টি আওয়ামী লীগের

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলসহ মিত্রদের ছেড়ে দেওয়া আসনগুলো ফিরে পেতে তৎপর আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হলে মিত্র দলগুলোর প্রার্থীরা বিএনপির কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হবেন—এই যুক্তিতে তাঁরা কিছু আসন ফিরে পেতে চান। এ নিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ে জোর লবিং বা তদবির করছেন সংশ্লিষ্ট আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরাও মনে করছেন, বিএনপি এলে নির্বাচন হবে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে ৫ জানুয়ারির মতো মিত্রদের ঢালাওভাবে আসন ছেড়ে দেওয়া হবে না। এবার আসনওয়ারি যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, মিত্র দলগুলোর এমপিদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দূরত্ব ততই বাড়ছে। এর প্রভাব আগামী নির্বাচনে পড়বে বলেও আশঙ্কা উভয় পক্ষের। বর্তমান জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫০টিতে জাপা ও ১৪ দলসহ মিত্রদের প্রতিনিধি রয়েছেন। এর মধ্যে জাপা ৩৪, ওয়ার্কার্স পার্টি ৬, জাসদ ৫, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ২ এবং বিএনএফের ১টি আসন রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘প্রথমত দেখতে হবে নির্বাচনটা কেমন হবে। বিএনপি এলে এক রকম আর না এলে আরেক রকম নির্বাচন হবে। তবে এবার আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আসনওয়ারি শক্তিশালী প্রার্থী মনোনীত করা। যদি কোনো আসনে ১৪ দলের শরিকদের শক্তিশালী প্রার্থী থাকে তাহলে তিনি মনোনয়ন পাবেন। অবস্থান ভালো না হলে পাবেন না।’ জাতীয় পার্টির প্রশ্নে তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টি এককভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘যাঁরা রাজনীতি করেন তাঁরা দলের কাছে মনোনয়ন চাইতেই পারেন। জাতীয় পার্টি একটি জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক দল। তার ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা আছে। প্রস্তুতিও রয়েছে। নির্বাচনটা কিভাবে হবে, জোটবদ্ধ না এককভাবে সেটা পরিস্থিতি বলে দেবে।’ তবে তার ধারণা সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন জোটবদ্ধভাবেই হবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, দলের একক সিদ্ধান্ত অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। জোটের রাজনীতি আদর্শিক ও দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই হয়ে থাকে। তাই নির্বাচনী জোটে সব সময় দলের শক্তি বিবেচনায় নেওয়া মুখ্য নয়। তিনি দাবি করেন, তাঁর দলের এমপিরা সরকারের উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়েছেন। মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে এটা বিবেচনায় আসা উচিত।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর। এবার এ আসনে দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় তৎপর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, বগুড়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মন্টু প্রমুখ।

ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শফিক বলেন, দলের বৃহৎ স্বার্থে এ আসনটি ফিরিয়ে নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, স্থানীয় এমপি জাতীয় পার্টির হওয়ায় তাঁর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সম্পর্ক নেই। তাই দলের নেতাকর্মীদের আশা, বগুড়া আর আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়ে না থাকুক।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমর বলেন, ‘তাঁরা ভিন্ন দল করেন, তাঁরা তাঁদের দল আওয়ামী লীগের কাছে দাবিও জানাতে পারে। তবে আসন ভাগাভাগির সময় এখনো আসেনি। সময় এলে দেখা যাবে।’

সাতক্ষীরা-১ আসনের এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির মুস্তফা লুৎফু ল্লাহ। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তালা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম। পরে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কারণে তাঁকে সরে দাঁড়াতে হয়। এবার এ আসনে নুরুল ইসলাম ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দাবিদার সাবেক এমপি শেখ মজিবুর রহমান, প্রবীণ নেতা বি এম নজরুল ইসলাম, কলারোয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন প্রমুখ।

নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বরাবরই এ আসনটি আওয়ামী লীগের। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হলে এখানে নৌকার বিকল্প নেই। ওয়ার্কার্স পার্টির তেমন কোনো ভোট নেই এ আসনে। ওই দলের এমপি থাকায় গত চার বছরে আমরা উন্নয়নবঞ্চিত হয়েছি। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় এমপি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, ‘আমরা এমপিত্ব করার জন্য রাজনীতি করি না, রাজনীতি করার জন্য এমপিত্ব করি। আওয়ামী লীগ যদি মনে করে, এ দেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার জন্য তারাই যথেষ্ট তাহলে ১৪ দল ভেঙে দিতে পারে। এতে মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে আর কোনো সমস্যা থাকল না।’ এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দেখিয়ে দিতে পারি কী কী উন্নয়ন হয়েছে।’

ঢাকা-৪ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এ আসনের এমপি ছিলেন। সানজিদা খানম ছাড়াও এবার এ আসনে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগ সভাপতির সাবেক এপিএস ড. আওলাদ হোসেন। তিনি বলেন, এ আসনটি অত্যন্ত অবহেলিত। শ্যামপুর ও কদমতলী নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনী এলাকায় শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা বলে কোনো কথা নেই, সব সময় জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। বর্তমান এমপি এলাকার কোনো উন্নয়ন করেননি। এ দুই থানার মানুষের চিকিৎসার জন্য একটা ক্লিনিক পর্যন্ত নেই। ড. আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আবার জোটের প্রার্থী দিলে আমরা জনগণের কাছে যেতে পারব না। তাই এর পুনরাবৃত্তি চাই না।’

স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা দাবি করেন, স্বাধীনতার পর এ অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন তিনি করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাড়ে তিন শ এমপির মধ্যে একমাত্র আমি এলাকায় সমবণ্টন করে কাজ করে আসছি। ৫০০ কম্বল পেলে আগে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ২৫০ দিয়ে থাকি। অতএব আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’

ময়মনসিং-৭ আসনের এমপি জাতীয় পার্টির এম এ হান্নান মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কারাগারে আছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান সাবেক এমপি রুহুল আমিন মাদানী ও রেজা আলী। রুহুল আমিন মাদানী বলেন, ‘আসনটি সব সময় আওয়ামী লীগের। এখানে জাতীয় পার্টি তৃতীয় অবস্থানেও নেই। তাই আসনটি আওয়ামী লীগেরই থাকা উচিত।’

পঞ্চগড়-১ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের (আম্বিয়া) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান। এ আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের মজাহারুল হক প্রধান। তিনি বলেন, ‘আসনটি আওয়ামী লীগের। জোটের কারণে এবং আমার নেত্রীর নির্দেশে গতবার ছাড় দিয়েছি। এবার ছাড় দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

এমপি নাজমুল হক প্রধান বলেন, ‘আমরা জোটের শরিক দল। তাই জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে সিট দাবি করব। সে ক্ষেত্রে জোট হলে ভালো। না হলে যেহেতু রাজনীতি করি এবং বর্তমানে এমপি তাই আমাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতেই হবে।’
সূত্র: কালের কণ্ঠ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ধুলিহর প্রতিনিধি: সদর উপজেলার ৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা, নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছে।
ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলীপ কুমার মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন কাজী মাওলানা রওশন আলম ও গীতা পাঠ করেন প্রাক্তন শিক্ষক শ্যামা প্রসাদ বসু।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এস,এম শওকাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আলী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল ও ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু।

এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান সরদার, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম মাগরেব, সাংগঠনিক সম্পাদক অজিয়ার রহমান, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন লিটন, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক শাহাদাৎ হোসেন রাজ, ব্রহ্মরাজপুর ১নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মহিতোষ, ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী, ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস সাত্তার, ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি হুমায়ন কবির, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, ৭নং ওয়ার্ডের মোঃ আব্দুর রশিদ সরদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি মেম্বার কুরবান আলী, সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল আহাদ, ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি ঠাকুর দাশ, সাধারণ সম্পাদক সুনিল কুমার গাইন প্রমূখ।

সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এস,এম শওকাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আলী ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আ’লীগের নিলীপ কুমার মল্লিক, নুর ইসলাম মাগরেব, শেখ আব্দুস ছালাম ও অজিয়ার রহমানের সদস্য নবায়নের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের জন্য ২টি করে সদস্য বই বিতরণ করেন।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রেজাউল করিম মিঠু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সোমালিয়ায় দু দফা আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজন জঙ্গিও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

পরবর্তীতে তাদের অন্তত পাঁচ জনকে গুলি করে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।

ইতোমধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পূর্ব আফ্রিকার জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাব।

মোগাদিসুতে অন্তত দুটি হামলা একসঙ্গে চালানো হয়। একটি হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি চেকপোস্টে আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। অপর হামলায় রাষ্ট্রপতি ভবনে সশস্ত্র জঙ্গিরা হামলা চালায়।

গতকাল শুক্রবার দেশটির রাজধানী মোগাদিসুতে প্রেসিডেন্টের বাস ভবনের সামনের একটি রেস্টুরেন্টে রাখা গাড়িতে এ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

সোমালিয়া পুলিশ বলেছে রেস্টুরেন্টের ভেতরে আরো অন্তত ২০ জনকে জিম্মি রেখেছেন তারা। এছাড়া দ্বিতীয় বোমাটি প্রেসিডেন্টের বাস ভবনের সামনে বিস্ফোরিত হয়।

গোটা ভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ। উদ্ধার কাজ চলছে।

সোমালিয়ার পুলিশ অফিসার মেজর মোহাম্মেদ আহমেদ জানিয়েছেন ‘আমাদের ধারণা এটি আত্মঘাতী বোমা হামলা।

সূত্র : আল জাজিরা ও বিবিসি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest