সর্বশেষ সংবাদ-
অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভালাপা প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার পরামর্শ সভাসাতক্ষীরায় যৌথবাহিনির অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ তিনজন আটকসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা

প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন স্ট্রবেরি

সহজলভ্য না হওয়ায় স্ট্রবেরির উপকারী গুণাগুণগুলি সম্পর্কে আমাদের বিশেষ কোনও ধারণা নেই। উজ্জ্বল লাল রং, স্বাদ, গন্ধের জন্য বিখ্যাত স্ট্রবেরি। জ্যাম, মিল্কশেক, চকোলেট, আইসক্রিম প্রভৃতিতে স্ট্রবেরি ব্যবহার করা হয়।

স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয় এই ফল শুধুমাত্র জিভের স্বাদই মেটায় না। পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন উপকারে লাগে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পলিফেনল, ডায়টারি ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন। কেন প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই স্ট্রবেরি রাখবেন, জেনে নিন-

 

১) স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি এবং ফাইটোকেমিক্যালস রয়েছে। যা, আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ভালো করে। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

২) স্ট্রবেরি আমাদের হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৩) অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যে এত চিন্তায় রয়েছেন, প্রত্যেকদিন স্ট্রবেরি খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ ঝড়ে যায় সহজে।

৪) রক্তচাপ কমিয়ে হাইপারটেনশন কম রাখে স্ট্রবেরিতে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম।

৫) এখানেই শেষ নয়। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে স্ট্রবেরি।

৬) শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ করতে প্রত্যেকদিন ১ কাপ করে স্ট্রবেরি খান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা রোভার স্কাউটসের নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলা রোভার স্কাউটসের নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় শহীদ নাজমুল সরনিস্থ জেলা রোভার ও স্কাউটসের নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা রোভার ও জেলা স্কাউটসের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা রোভারের কমিশনার এ,এস,এম আব্দুর রশীদ, সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ মোঃ ইমদাদুল হক, জেলা স্কাউটসের সম্পাদক মোঃ ঈদুজ্জামান ইদ্রীস সহ জেলা রোভার ও স্কাউটসের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নলতায় আহছানিয়া দরবেশ আলী স্কুলের সুন্দরবন ভ্রমণ

নলতা প্রতিনিধি : পাঠ্য বইয়ের বাইরে প্রকৃতি ও বাস্তবতার শিক্ষাও ব্যাপক। যে শিক্ষা মানুষকে সঠিকভাবে গড়ে উঠতে সহায়তা করে। মানুষের অন্তরচক্ষুর উন্মোচন ঘটায়। নিজের দেশ সম্পর্কে জানতে শেখায়। এমনই বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে শত শত শিক্ষার্থী ও অভিভাকদেরকে সাথে নিয়ে শিক্ষা সফর করেছে কালিগঞ্জের নলতা মানিকতলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আহছানিয়া দরবেশ আলী মেমোরিয়াল ক্যাডেট স্কুল। স্কুলের পরিচালক ও সাংবাদিক সোহরাব হোসেন সবুজের দিকনির্দেশনায় এবং উপাধ্যক্ষ শাহিনুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যাপকভাবে আয়োজন ছিল সুন্দরবন ভ্রমনের। বৃহস্পতিবার ভ্রমনের দিন সকাল থেকে আনন্দে উৎফুল্লতায় ভরে ওঠে স্কুল ক্যাম্পাস। শিশু ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্ত-কর্মচারীসহ প্রায় ১শত ৬০জনকে সাথে নিয়ে বেলা ১০টায় নলতা থেকে রওনা হয় ভ্রমণ বাস। শ্যামনগরের নীলডুমুর থেকে ৩টি ট্রলার যোগে ভ্রমন হয় নদী পথের। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা বঙ্গোপসাগরের ব্যাপকতা শিখতে পারে। এবং দর্শন পায় বিশ্ব ঐতিহ্যের সুন্দরবন। সাগর পাড়ি দিয়ে সুন্দরবনের কলাগাছিতে পৌছিয়ে তারা মিশে যায় সুন্দরবনের সৌন্দর্যের সাথে। সেখান থেকে দুপুরের খাওয়ার শেষে আবারও সুবিশাল নদী পথ যাত্রায় তৈরি হয় মনোমুগ্ধকর পরিবেশের। সন্ধ্যায় আবারও ফিরে এসে মিলিত হয় স্কুল প্রাঙ্গনে। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা বাজি ফুটিয়ে আর নাচগানে মেতে ওঠে আনন্দে। এসকল কার্যক্রম সফল করতে স্কুলের শিক্ষক আবু ফরহাদ, আনারুল ইসলাম, তাপস কুমার পাল, হাফিজুল ইসলামের সরব কর্মদক্ষতা মুগ্ধ করে কর্তৃপক্ষকে। সাথে শামীম, মনিরুল, নজরুল সহ অনেকেরই দায়িত্বপালন ছিল লক্ষনীয়। এজন্য সর্বশেষে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এসকল শিক্ষক ও কর্মচারীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে পুকুর খননের কাজ উদ্বোধন

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের পুকুর খননের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের মিত্র তেঁতুলিয়ায় ও বড়দল ইউনিয়নের কেয়ারগাতি জামালনগরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ পুকুর খনন কাজ উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ সদস্য ও শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এস এম দেলোয়ার হোসাইন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ সহকারী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, স্থানীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ সহ জেলা পরিষদ সার্ভেয়ার মোঃ হাসানুজ্জামান প্রমুখ। উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি বলেন পুকুর গুলোর খনন কাজ শেষ হলে সারা বছর বিশেষ করে শুস্ক মৌসুমে এলাকার মানুষের সুপেয় খাবার পানির চাহিদা পুরনে বিশেষ অবদান রাখবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় কাটবাহী ট্রাকের দৌরাত্মে পথচারীরা অসহায়

কলারোয়া প্রতিনিধ: কলারোয়া কাটবাহী ট্রাকের দৌরাত্মে পথচারীরা অসহায় হয়ে পড়েছে। বাড়ছে ছোট-বড় দূর্ঘটনাও। পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কগুলোতে পন্যবাহী ট্রাকের অনিয়ন্ত্রিত স্বেচ্ছাচারিতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনই কথা জানালেন অনেকে।

তারা অভিযোগ করে বলেন- কোন নিয়মনীতি মানছে না সড়কে চলাচলকারী কাটবাহী ট্রাক গুলো। সেই সাথে অবৈধ্য নছিমন, করিমন, ভটভোটি, আলমসাধুও চলছে তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে। আঞ্চলিক ও গ্রামীন পাকা-কাচা সরু সড়কে মাত্রাতিরিক্ত লোড নিয়ে দ্রুতগতিতে ও রাস্তাজুড়ে চলাচল করায় প্রায় ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। এমনকি কাটবাহী ট্রাক সামান্য উচু নিচুঁ জায়গাতেও উল্টে যায়, দেবে যায় কিংবা যাওয়ার আশঙ্কায় পড়ে। পাশাপাশি সড়কের উপরে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির তার, গাছের ডাল ও অন্যান্য কিছুর সংষ্পর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কলারোয়ার খোরদো-যশোর সড়কসহ উপজেলার পার্শ্ববর্তী একাধিক সড়কে কাটবাহী ট্রাকের এমনই দৌরাত্ম প্রায়-ই চোখে পড়ে।

বিষয়টি সমাধানে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

হামলাকারীদের পিটিয়ে হটিয়ে দিয়ে স্বামীকে বাঁচালেন ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের যমুনানগর গ্রামের এক নারী। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের পর তা ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই নারীর স্বামী সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। দু-তিন জন লোক লাঠি হাতে তাকে মারছে। ওই মহিলা ছুটে গিয়ে লাঠি দিয়ে এক হামলাকারীকে মারেন। অন্য একজন তাকে মারতে উদ্যত হয়। কিন্তু তিনি সেই হামলা রুখে দেন। এরপর তিনি মাটি থেকে আরো একটা লাঠি তুলে নিয়ে স্বামীর দিকে ছুড়ে দেন। তাকে এভাবে রুখে দাঁড়াতে দেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হাজার হাজার মানুষ এই ভিডিও দেখেছেন। প্রত্যেকেই এই নারীর সাহস ও বীরত্বের প্রশংসা করছেন।
হাজার হাজার মানুষ এই ভিডিও দেখেছেন। প্রত্যেকেই এই নারীর সাহস ও বীরত্বের প্রশংসা করছেন।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে জনশূন্য হয়ে পড়া রোহিঙ্গা গ্রামগুলো বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। 

নতুন স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, গতবছরের শেষ দিক থেকে রাখাইনের উত্তর অংশের অন্তত ৫৫টি রোহিঙ্গা গ্রামের সব স্থাপনা ও ক্ষেত খামার ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সমান করে ফেলা হয়েছে।

এইচআরডব্লিউ আশঙ্কা করছে, এর মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনীর চালানো ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ মুছে ফেলার ব্যবস্থা করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।

রয়টার্স লিখেছে, এমন এক সময়ে এইচআরডব্লিউ এসব ছবি প্রকাশ করল যখন রাখাইনের ওই অঞ্চলে ত্রাণ তৎপরতা চালানোর বিষয়ে জাতিসংঘ ও জাপানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে মিয়ানমার সরকার।

রাখাইনের ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে সমন্বিত হামলার পর ২৫ অগাস্ট থেকে সেনাবাহিনীর এই দমন অভিযান শুরু হয়, যাকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে মিয়ানমার সরকার ওই হামলার জন্য রোহিঙ্গা গেরিলাদের একটি দলকে দায়ী করে আসছে। সেনাবাহিনীর অভিযানকে তারা বলছে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই’।

সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে গত ছয় মাসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে। গ্রামে গ্রামে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওযের ভয়াবহ বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে তাদের ভাষ্যে।

পশ্চিমা সরকারগুলোর চাপ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি উপেক্ষা করেই নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির সরকার রাখাইনে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনার পথ বন্ধ করে রেখেছে।

এইচআরডব্লিউ বলছে, গত অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৬২টি রোহিঙ্গা গ্রাম সম্পুর্ণ বা আংশিক ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার চিহ্ন দেখা গেছে তাদের হাতে আসা স্যাটেলাইট ছবিতে।

এর আগে পুড়িয়ে দেওয়া বেশ কিছু গ্রামের সঙ্গে অন্তত দুটি জনশূন্য অক্ষত গ্রাম বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ার কথাও বলছে মানবাধিকার সংস্থাটি।

এইচআরডব্লিউর এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেন, এসব গ্রাম ছিল রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের ভয়াবহতার প্রমাণ। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার আলামত সংগ্রহ করতে পারেন এবং দোষীদের যাতে যথাযথভাবে শনাক্ত করা যায়, সেজন্যই এসব গ্রাম ওই অবস্থায় সংরক্ষণ করা প্রয়োজন ছিল।

“এক সময় সেখনে যে রোহিঙ্গাদের বসবাস ছিল, তাদের স্মৃতি এবং সেই সঙ্গে তাদের আইনি অধিকারের চিহ্নও বুলডোজার দিয়ে মুছে ফেলা হচ্ছে।”

এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর রাখাইনের মিন হল্ট এলাকার দুটি গ্রামের স্যাটেলাইট ছবি তারা পেয়েছে, যেগুলো গতবছর পর্যন্ত আগুনে পোড়ানো হয়নি এবং খুব সম্ভবত আবারও বসবাসের উপযোগী অবস্থায় ছিল। কিন্তু সেই গ্রাম দুটিও গত ৯ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বুলডোজার দিয়ে সমান করে দেওয়া হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনের বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ তাইয়ের কোনো মন্তব্য তারা পায়নি।

মিয়ানমারের কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, গত নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে করা প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তারা বিভিন্ন এলাকা প্রস্তুত করছে।

আর গত জানুয়ারিতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, আটটি এক্সক্যাভেটর ও চারটি বুলডোজার ওই এলাকায় কাজ করছে।

মিয়ানমার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে, বাংলাদেশের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফেরানোর পর আপাতত দুটি অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হবে এবং পরে তাদের নিজেদের ঠিকানায় ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে।

তবে সমাজ কল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী উইন মিয়াত আই গত সেপ্টেম্বরে বলেছিলেন, রাখাইনে পুড়ে যাওয়া ভূমি নিয়ম অনুযায়ী সরকারের দখলে চলে যাবে। এবং সরকার সেসব ভূমির পুনঃউন্নয়ন করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফুটবল সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশ নিহত!

খেলা নিয়ে সমর্থকদের মারামারি থেকে প্রাণহানির ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু সামান্য খেলার জন্য এমন ভয়াবহ ঘটনা কোনোক্রমেই আটকানো যাচ্ছে না। অনেক প্রচার প্রচারণা আর কঠোর আইনের পরেও দর্শকরা উন্মাদ হয়ে উঠছে প্রায়ই। বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগে অ্যাটলেটিকো বিলবাও আর স্পার্তাক মস্কোর মধ্যকার ম্যাচের আগে ঘটে গেল ভয়ানক ঘটনা। প্রাণ গেল এক পুলিশ কর্মকর্তার।

বৃহস্পতিবার রাতে আতলেটিক বিলবাও ও স্পার্তাক মস্কোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মাঠের খেলা শুরু হওয়ার কিছু আগে এই ঘটনা ঘটে। আগেই থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল স্পেনে দ্বিতীয় লেগকে সামনে রেখে রাশিয়ান চরমপন্থী সমর্থকরা বিপদ ঘটাতে পারেন। সেই আশংকাই অবশেষে সত্য হলো। ম্যাচ শুরুর আগেই স্টেডিয়ামের বাইরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের সমর্থকরা।

রাশিয়ার একশর বেশি সমর্থক টিকিট ছাড়াই স্পেনে আসার চেষ্টা করেন বলে জানা যায়। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার ট্রাভেল অর্ডার না মেনেই স্পেনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ২০০ জনের একটি রাশিয়ান চরমপন্থী দল প্লাজা মুয়োয়ার সামনে অবস্থান নেয়। সেখান থেকেই প্রথম প্রতিপক্ষ সমর্থকদের উপর আক্রমণ চালানো হয় বলে জানা যায়।

এর আগে গত সপ্তাহে রাশিয়ায় প্রথম লেগে স্পাতার্ক মস্কোর বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পায় বিলবাও। তখন থেকেই ফিরতি লেগের ম্যাচে সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছিল। সেই সংঘর্ষ থামাতে এগিয়ে আসে পুলিশ। প্রায় ৭ শতাধিক পুলিশ একযোগে দাঙ্গাবাজদের এলাকাছাড়া করার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে রাশিয়া এবং স্পেনের সমর্থকরা একে অপরের দিকে বোতল, গ্লাস আর মশাল ছুঁড়ে মারতে থাকে।

একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করতে শুরু করে পুলিশ। এতে দুই দলের সমর্থকদের সব রাগ গিয়ে পড়ে পুলিশের ওপর। তীব্র সংঘর্ষের এক পর্যায়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান এক পুলিশ কর্মকর্তা। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গেছে, তার মাথায় চরমপন্থীদের ছুঁড়ে দেয়া কিছু একটা আঘাত করেছিল।

বাইরে মারামারি চললেও মাঠের ভেতর ম্যাচটি ঠিকভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতেও বিদায় নিয়েছে স্পার্তাক মস্কো। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানের জয়ের সুবাদে শেষ ষোলোর টিকিট পেয়ে গেছে আতলেটিক বিলবাও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest