সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়া

শহরের মুন্সিপাড়ায় রাশিদা স্কুলের চুরির

নিজস্ব প্রতিবেদক : শহরের মুন্সিপাড়ায় রাশিদা স্কুল এন্ড কলেজে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার গত গভীর রাতের কোন এক সময় এ চুরির ঘটনা ঘটে। এসময় চোরেরা ২টি কম্পিউটার, ২টি মনিটর, নগদ ১৫ হাজার টাকাসহ অফিসের মূল্যবান কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।
স্কুলের অধ্যক্ষ দেববিন্দু ঘোষ বাপি জানান, আমরা প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার স্কুলের কাজ কর্ম শেষে প্রায় ১০ টার দিকে চলে যায়। সকালে স্কুলে এসে দেখি স্কুলের অফিস কক্ষের জানালার গ্রিল কাটা, অফিসের জিনিসপত্র এলোমেলো। অফিসে ঢুকে এসময় চোরেরা ২টি কম্পিউটার, ২টি মনিটর, নগদ ১৫ হাজার টাকাসহ অফিসের মূল্যবান কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে চোরের না। এঘটনায় সদর থানায় এস আই জিয়ারত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে শহরের উপকণ্ঠে এধরনের চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন। তারা বললেই গত কয়েকদিন আগেও শহরের মর্নিং সান প্রি ক্যাডেট স্কুল, ডে নাইট কলেজ মোড়ের একটি বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িতে এধরনের চুরির ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে শহরবাসীর মধ্যে চোর আতংক বিরাজ করছে। এঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শহরবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে গণমুখী সংঘ ৩ উইকেটে জয়ী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং সফ্টরক গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে সফ্টরক প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ-২০১৮ এর আজকের খেলা গণমুখী সংঘ বনাম মুন্সীপাড়া যুব সংঘের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় মুন্সীপাড়া যুব সংঘ টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৫.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করে। দলের কৌশিক ৩৯, রনি ৩৪ রান করে। জবাবে গণমুখী সংঘ ব্যাট করতে নেমে ৩৩.৩ ওভারে ৭টি উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে। দলের মুরাদ ৪৪, শাওন ৩১ ও আশিক ৩০ রান করে। ফলে গণমুখী সংঘ ৩ উইকেটে জয়লাভ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে শিশু ধর্ষণ চেষ্টাকালে জনতার হাতে লম্পট সাদ্দাম আটক

আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুন্সীগঞ্জ (শ্যামনগর)প্র‌তি‌নি‌ধি: যৌন কামনা চরিতার্থের লক্ষ্যে জনতার হাতে নাতে আটক হল কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মো: আব্দুস সাত্তার সরদারের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (২৪)।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় শ্যামনগর উপজেলায় আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামে সঞ্জয় চৌকিদারের শিশু কন্যা সকালে প্রতি দিনের মত তেতুঁল তলায় খেলা করতে আসলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টায় নির্যাতন করতে থাকে। তখন শিশুটির কান্নায় ও চিৎকারে স্থানীয় জনতা ছুটে তাকে উদ্ধার করে এবং লম্পট সাদ্দামকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। বিক্ষিপ্ত জনতার কাছ থেকে রক্ষার জন্য তাকে স্থানীয় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়। শিশুটির মা রেবা রানী চৌকিদার বলেন, এইটুকু শিশুর উপরে যে পশুর মত আচরণ করেছে, ওকে ফাঁসি দেওয়া উচিৎ, আমি ফাঁসি চাই।
ইউপি সদস্য স্বপন কুমার মন্ডল বলেন আমার ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটেছে এটি খুব দূঃখ জনক ঘটনা, শিশু ধর্ষনের ঘটনা শুনেছি কিন্তু বিশ্বাস করতে কষ্ট হত, তবে বাস্তব দেখে আমার মনে হয়েছে পৃথিবীতে মানুষ নামের পশু রয়েছে এই সকল আপরাধী পশুদের সর্বোচ্চ সাজা দিয়ে জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করা প্রয়োজন। শিক্ষিকা মিনাক্ষী রানী বলেন নারী ও শিশু নির্যাতন কারীদের আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যামে সাজা হওয়া দরকার। চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল বলেন, শিশুটি লম্পট সাদ্দামকে দেখে যে ভাবে ভয় পাচ্ছে তা দেখে সাধারণ জনগণসহ তার মা বাবা বক্তব্য অনুযায়ী ধর্ষনের চেষ্টা হয়েছে এটি সত্য। আপরাধীকে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্যামনগর থানায় প্রেরণ করা হয়। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান জানান মামলার এ বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ট্রাক চাপায় নিহত-১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ট্রাক চাপায় শেখ রবিউল ইসলাম নামে এক হলুদ ব্যাবসায়ি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর চেকপোষ্ট এলাকায় এ ঘটনটি ঘটে।
নিহত রবিউল ইসলাম সদর উপজেলার নেবাখালি গ্রামের এরশাদুল হকের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিউল ইসলাম গ্রাম থেকে হলুদ কিনে ব্যবসা করতেন। তিনি হলুদ কিনে বাইসাইকেল যোগে বাড়ির দিকে আসছিলেন। এসময় দ্রুত গামী একটি ট্রাক চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণকরা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সম্মেলন সংঘর্ষে পণ্ড, আহত ১৫

হাতবোমা বিস্ফোরণ, হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়িসহ কয়েক দফা সংঘর্ষের পর পণ্ড হয়ে গেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন।

মঙ্গলবার বেলা ১২টার পর নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তারা হলেন- রবিউল ইসলাম, সবুজ আহমেদ, নিপু হাওলাদার, সাইদুর রহমান ও রিফাত।

উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তৈয়ব জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সম্মেলনে ঢুকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। শান্তিপূর্ণ সম্মেলনে বহিরাগতরাই বিশৃঙ্খলা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

উত্তর জেলা ছাত্রলীগকর্মী নুরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের সময় সম্মেলন মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাকিব হোসেন সুইন। মঞ্চে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এমএ সালাম, মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন প্রমুখ।

সম্মেলন চলাকালে মিলনায়তনের ভেতরে বাম পাশে বিকট শব্দে একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে আতংকে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। একপর্যায়ে হলের ভেতরে ছাত্রলীগের একাধিক পক্ষ নিজেদের নেতাদের নামে স্লোগান দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে বেশিরভাগ কর্মী হল ত্যাগ করেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বারবার মাইকে ঘোষণা দিয়ে শান্ত থাকার অনুরোধ জানালেও সংঘর্ষ চলতে থাকে। কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে দুপুর ১টার দিকে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

উত্তেজিত ছাত্রলীগ কর্মীদের কয়েকটি গ্রুপ অনুষ্ঠানস্থলের সামনের সড়কে ব্যারিকেড দিলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে র‌্যাব ও পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় মেয়ের বাল্যবিবাহ ঠেকাতে ব্যর্থ বাবা অভিভাবকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন
মেয়ের বয়স ১৫ বছর। অপরিণত বয়সে তিনি তার মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে অভিভাবকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নিলেন বাবা। সাতক্ষীরা শহরের অদূরে বাঁকাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ব্যর্থতার দায় ঘাড়ে নিয়ে বাবা মারুফ হোসেন তার চার সন্তানের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তার চার সন্তান। তাদের নিয়ে বেশ শান্তিতে ছিলেন তিনি। কিন্তু মেয়ে হিরা খাতুনের বয়স ১৫ হতেই তার (মারুফের) শ্বশুর আবদুল খালেক, শাশুড়ি সালেহা বেগম এবং তার স্ত্রী মেয়েকে বিয়ে দিতে তোড়জোড় চালায়। এতে বাধা দেন তিনি। তিনি বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ১৮ এর আগে বিয়ে নয়। এ নিয়ে ঝগড়াঝাটি হয়েছে অনেক। অবশেষে হেরে গেছি। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে।
রাগে ক্ষোভে ও দুঃখে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের কাছে মূল্যহীন। তাই আমি আমার চার সন্তানের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলাম।’
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা প্রশাসকের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে অবরোধ

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়ালের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, সড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বদলি প্রতাহারের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ মানুষের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী, জনতা ঠাকুরগাঁওয়ের সব যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে।পরে মহাসড়ক অবরোধ করে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ সময় বক্তব্য রাখেন, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তোরাব মানিক, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সূচরিতা দেব, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম এম সিরাজী মিজান, সদর উপজেলা সেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি শাহনেওয়াজ কাদির শাকিল চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সানোয়ার পরভেজ পুলক, পীরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক মো. চঞ্চল, ছাত্রনেতা সোহেল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস, সমাজসেবক সুজন খান প্রমুখ।

বক্তারা এ সময় ঠাকুরগাঁওয়ের মানবিক শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ডিসি আব্দুল আওয়ালের বদলি আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান সরকার প্রধানের কাছে। এছাড়া ঠাকুরগাঁও জেলার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ডিসি আব্দুল আওয়ালকে আরো কিছুদিন রাখার আহ্বান জানান বক্তারা।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্দীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ। এ সময় আন্দোলনকারীরা রাজপথে অবস্থান নিয়ে জেলা প্রশাসকের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে প্রশাসকের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলন কারীরা। শিক্ষার্থীরা পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২ জন জেলা প্রশাসকের রদ-বদলের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। সেই প্রজ্ঞাপনে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়ালকে যশোর জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলির আদেশ জারি করা হয়েছে।
এই আদেশ জারির বার্তা শুনে শোকাহত হয়েছে জেলার সাধারণ মানুষ।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশে চিকিৎসকদের নামের পাশে বিচিত্র সব ডিগ্রি !

অনলাইন ডেস্ক: দেশের চিকিৎসকদের মধ্যে অনেককেই প্রেসক্রিপশন ও ভিজিটিং কার্ডে বিচিত্র সব ডিগ্রি লিখতে দেখা যায়। এর মধ্যে পিজিটি, বিএইচএস, এফআরসিপি, এফআরএইচএস, এফআইসিএ, এফআইসিএস, এফএএমএস, এফআইএজিপি’র মতো বিভিন্ন ডিগ্রি ও ট্রেনিং কোর্সও রয়েছে। এসব ডিগ্রি ও কোর্সকে প্রতারণামূলক উল্লেখ করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে। ওই নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এসব ডিগ্রি কোনও স্বীকৃত চিকিৎসা শিক্ষাগত যোগ্যতা কিংবা বিএমডিসি স্বীকৃত নয়। আর এসব ডিগ্রিকে সম্পূর্ণ ভুয়া বলে অভিহিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ট্রেজারার ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল।

এর ধরনের ভুয়া ডিগ্রি রোধে ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল বিএমডিসি থেকে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়ে, কোনও কোনও নিবন্ধিত চিকিৎসক/দন্তচিকিৎসক তাদের সাইনবোর্ড, প্রেসক্রিপশান প্যাড, ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদিতে পিজিটি, বিএইচএস, এফসিপিএস (পার্ট-১), (পার্ট-২), এমডি (ইনকোর্স) (পার্ট-১)-(পার্ট-২), (থিসিস পর্ব), (লাস্ট পার্ট), কোর্স কমপ্লিটেড (সিসি), এম (ইনকোর্স) (পার্ট-১)-(পার্ট-২), (থিসিস পর্ব) (লাস্ট পার্ট), কোর্স কমপ্লিটেড (সিসি) ইত্যাদি এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া ফেলোশিপ এবং ট্রেনিংসমূহ যেমন এফআরসিপি, এফআরএইচএস, এফআইসিএ, এফআইসিএস, এফএএমএস, এফআইএজিপি ইত্যাদি উল্লেখ করছেন, যা কোনও স্বীকৃত চিকিৎসা শিক্ষাগত যোগ্যতা নয় এবং বিএমডিসি থেকে স্বীকৃত নয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে—পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি না থাকার পরও কেউ কেউ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সার্জারি বিশেষজ্ঞ, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ, নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ, গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাদের পরিচিতি দিয়ে তা প্রেসক্রিপশান প্যাড, সাইনবোর্ড, ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদিতে ব্যবহার করেন, যা জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণামূলক কাজ হিসেবে গণ্য। একইসঙ্গে সব নিবন্ধিত চিকিৎসক/দন্ত চিকিৎসককে বিএমডিসির স্বীকৃতবহির্ভূত কোনও ডিগ্রি, পদবি, ফেলোশিপ, ট্রেনিং ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ স্বীকৃত পোস্ট গ্র্যাজুয়েশান ডিগ্রি না থাকার পরও নামের পর বিশেষজ্ঞ পদবি ব্যবহার না করার নির্দেশও দেওয়া হয়।

বিএমডিসি সূত্র জানায়, বিএমডিসি স্বীকৃত দেশি ডিগ্রির বাইরে দেশের বাইরে থেকে যেসব চিকিৎসক বিভিন্ন উচ্চতর ডিগ্রি এবং ফেলোশিপ নিয়ে আসেন, তাদের সে সব ডিগ্রি ২০১১ সাল থেকে পরীক্ষার মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এপ্রিল ও অক্টোবর দু’বার এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বাইরে থেকে ফেলোশিপ করে আসা বা উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে আসা কোনও চিকিৎসক প্রথমে তার ডিগ্রি অনুমোদনের জন্য বিএমডিসির কাছে আবেদন করেন।এরপর তার তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে পরীক্ষায় পাসের মাধ্যমেই এই ডিগ্রি ব্যবহারের অনুমোদনে মেলে। বিএমডিসি নির্ধারিত ৫ সদস্যের কমিটি এই পরীক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন। দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনও উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ করে আসা চিকিৎসক পরীক্ষায় ফেল করলে তার ডিগ্রি বাতিল বলে গণ্য হয়।

বিএসএমএমইউ-এর ট্রেজারার ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল বলেন, ‘বিএমডিসি স্বীকৃত ডিগ্রি দেখেই সত্যিকারের চিকিৎসক চেনা সম্ভব। বিএমডিসি এমবিবিএস এবং বিডিএস ডিগ্রিধারীদের জন্য বিএমডিসি এফসিপিএস, পিএইচডি, এমডি, এমএস, এমফিল, আর কিছু ডিপ্লোমাকে অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া যে ডিগ্রিগুলো চিকিৎসকরা তাদের নামের সঙ্গে ব্যবহার করেন, তা বেআইনি। একটা সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরাও বিডিএস আপার, লোয়ার এসব শব্দ ব্যবহার করত। এগুলো পুরোপুরি ভুয়া।’

অনুমোদনহীন ডিগ্রির ব্যবহার

বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০-এর ২৯ (১) ধারায় ভুয়া পদবি, ডিগ্রি ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধের শাস্তির ব্যাপারে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন নিবন্ধনকৃত কোনও মেডিক্যাল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এমন কোনও নাম, পদবি, বিবরণ বা প্রতীক এমনভাবে ব্যবহার বা প্রকাশ করবেন না, যার ফলে তার কোনও অতিরিক্ত পেশাগত যোগ্যতা আছে বলে কেউ মনে করে, যদি না তা কোনও স্বীকৃত মেডিক্যাল চিকিৎসা শিক্ষা যোগ্যতা বা স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসা শিক্ষা যোগ্যতা হয়ে থাকে।

উপধারা (১)-এর এই বিধান কেউ লঙ্ঘন করলে তার শাস্তি হিসেবে উপধারা (২)-এ বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি উপধারা (১)-এর বিধান লঙ্ঘন করলে, তা হবে একটি অপরাধ এবং তার জন্য তিনি ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অপরাধ অব্যাহত থাকলে, প্রত্যেকবার পুনরাবৃত্তির জন্য কমপক্ষে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা বর্ণিত দণ্ডের অতিরিক্ত হিসেবে দণ্ড পাবেন।

বিএমডিসির রেজিস্ট্রার ডা. মো. জাহেদুল হক বসুনিয়া বলেন, ‘আমাদের দেশের চিকিৎসকরা তাদের নামের সঙ্গে যেসব ডিগ্রি লিখবেন, সেগুলো অবশ্যই বিএমডিসি থেকে স্বীকৃত হতে হবে। কেউ যেন অনুমোদনহীন কোনও ডিগ্রি ব্যবহার না করে এর জন্য আমরা সতর্ক করেছি। আমরা চিকিৎসকদের সচেতনতার ব্যাপারেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। অবশ্য এখনও পর্যন্ত এর জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি।’

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এখন নিজেদের নামের পাশের চিকিৎসকদের বাড়তি ডিগ্রি ব্যবহারের প্রবণতা অনেক কমে এসেছে। ঢাকা এবং সারাদেশের চিকিৎসকদের আমরা বিএমডিসির নির্দেশনা মেনে চলতে বলেছি। কিছু সিনিয়র চিকিৎসক হয়ত এখনও এটা ব্যবহার করছেন। বহু দিনের অভ্যাস তো, বদলাতে সময় লাগে। তবে আমার বিশ্বাস চিকিৎসকদের সচেতনতার কারণে বাড়তি ডিগ্রি আর ব্যবহৃত হবে না।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest