সর্বশেষ সংবাদ-
অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভালাপা প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার পরামর্শ সভাসাতক্ষীরায় যৌথবাহিনির অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ তিনজন আটকসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা

গত তিন দশক ধরে সিনেমার পর্দায় প্রায় সব হিরোইনদের সাথে রোমান্স করেও যিনি বর্তমানে এখনও সিঙ্গেল। তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন বলিউডের সালমান খান।

বিভিন্ন সময়ে বলিউডের বেশ কিছু অভিনেত্রীদের সাথে সল্লু ভাইয়ের নাম জড়ালেও, বিয়ে নিয়ে কখনও সালমানকে সিরিয়াস হতে দেখা যায়নি।

তবে সম্প্রতি তিনি কেন সিঙ্গেল তা জানাতে গিয়ে বলেন, বিয়ে করার জন্য যে পরিমাণ টাকা দরকার, সেই সামর্থ্য আমার নেই। তাই আমি এখনও একা।

রিল লাইফে সালমান খানের বহুবার বিয়ে হলেও, বাস্তবে তা কবে হবে বা সালমান কবে বিয়ে করবেন তা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে কৌতুহলের শেষ নেই। কিন্তু ৫২ বছরের সালমান খান এখনই ‘রেডি টু মিঙ্গল’‌ হওয়ার জন্য তৈরি নন। অতীতে ক্যাটরিনা কাইফ থেকে বর্তমানে লুলিয়াসহ বহু অভিনেত্রীর সাথে তার নম জড়িয়েছে।

কিন্তু সালমান কাউকেই বিয়ে করবেন বলে কিছুই কখনও জানাননি। কিন্তু কেন সালমান বিয়ে করতে চাইছেন না?‌ এ নিয়ে বলি জগতে বিস্তর চর্চা হলেও, সালমান নিজেই এই রহস্যের পর্দাফাঁস করলেন।

৫২ বছরের সল্লু মিঞা সিঙ্গেল স্ট্যাটাসকে কোনও ভাবেই বদলাতে চান না। এর পেছনেও রয়েছে একটি কারণ, যার জন্যই সালমান কারোর সঙ্গেই কমিটেড নন।

সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে এসে সলমান খান তার বিয়ে না করা নিয়ে মুখ খুললেন। তিনি বলেন, বিয়ে খুব বড় একটি ব্যাপার‌। আপনি কারোর বিয়েতে লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। আমার সেই টাকা খরচের মত সামর্থ্য নেই। সে কারণেই আমি এখনও একা।

রোমানিয়ান টিভির সঞ্চালিকা লুলিয়ার সাথে চুটিয়ে প্রেম করার খবর সালমান প্রকাশ্যে না বললেও, বলিউডে এই রটনা বহুদিন ধরেই উড়ে বেড়াচ্ছে। যদিও সালমানের দাবি, তিনি কোনও দিনই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিএনপির পূর্বঘোষিত কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা, ঘটনাস্থলে থেকে নেতাকর্মীদের আটকের ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ওই এলাকার জনগণকে দুর্ভোগ থেকে রক্ষার জন্য এ ধরনের পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল।

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালনের জন্য আজ শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। কিন্তু পুলিশ তাদের দাঁড়াতেই দেয়নি। জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে অর্ধশতাধিক। এদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন।

এর কিছু পরই কুমিল্লায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘আজকে যে ঘটনাটি ঘটেছে, আমি তো কুমিল্লায় আসছি, আমি তো সম্পূর্ণভাবে ওয়াকিবহাল নই। আমি ঘট্নাটি জেনে আপনাদের জানাতে পারব।’

‘তবে যেটুকু আমি শুনেছি, আমাদের কমিশনার সাহেব বলেছেন, ঘটনার আকস্মিকতাটা এই রকমই ছিল, তাদের ওই জনগণের দুর্ভোগ থেকে ওই এলাকাকে রক্ষা করার জন্য সেটা প্রয়োজন ছিল বলে…’, যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

দুপুরে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমরা কখনোই বাধা দিচ্ছি না। যখনি কেউ যদি মাত্রাতিরিক্ত করে, জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়, রাস্তা যারা বন্ধ করে দেয় তখনি আমাদের আইনশৃঙ্খরা বাহিনী যে কাজটি করার দরকার সেই কাজটি করে থাকে।’

এ সময় সেখানে সাবেক ডেপুটি স্পিকার সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ, সংসদ সদস্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, চট্টগ্রাম রেঞ্চের ডিআইজি ড. মনিরুজ্জামান,জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম,কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলীমের বিরুদ্ধে লুটপাটের নানা অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: লাবসা ইউপিতে হরিলুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম জনগণের বিশ্বাসকে পুঁজি করে ইউনিয়নের লক্ষ লক্ষ টাকা তছরূপ করছেন বলে জানা গেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম দীর্ঘদিন অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রতিবার নির্বাচনের আগ মুহুর্তে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের গা, মাথায় হাত বুলিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টানা কয়েকবার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তিনি প্রতিশ্রুতি ভুলে মেতে উঠেন ইউনিয়নের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতে।
তার এ অপকর্মে যাতে কোন ইউপি সদস্য প্রতিবাদ না করে সে কারণে কৌশলে তাদেরকে ম্যানেজ করে সুচতুর চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম। এরপরও কেউ বিরোধিতা করলে তাকে ইউনিয়নের প্রকল্পের কাজ থেকে বঞ্চিত করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাবসা ইউনিয়নের আওতাধীন বিনেরপোতা হাট ইজারা হতে ৪৬% পায় ইউনিয়ন পরিষদ। এতে করে ইউনিয়ন পরিষদের কোষাগারে প্রতিবছর একটি বড় অংকের অর্থ জমা হয়। তবে চলতি বাংলা ১৪২৪ সালে বিগত দিনের সকল রেকর্ড ভেঙে ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকায় ইজারা দেওয়া হয় বিনেরপোতা হাট। উপজেলা পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী মোট টাকার ৪৬% লাবসা ইউপিতে দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী এবার বিনেরপোতা হাট থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পায় ৩৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৭২৩ টাকা। যা ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক বিধি বিধান অনুযায়ী ব্যয় করার কথা থাকলেও সেখানে এ নিয়মের কোন তোয়াক্কা করা হয়নি। বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে, একই কাজ বার বার দেখিয়ে এবং ভুয়া রেজুলেশন করে গত ১৩ জুন ২৩২৪০৭৪ নং চেকে উক্ত ৩৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৭২৩ টাকা উত্তোলন করেন ইউপি চেয়াম্যান আব্দুল আলিম ও ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক। অথচ সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উক্ত টাকার কোন প্রকল্পই বাস্তবে রূপ পায়নি। পুরো টাকাটাই ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাকের সহযোগিতায় পকেটস্থ করেছেন বলে ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় অবস্থিত হাট বাজারের ইজারা থেকে সদরের ১৪টি ইউনিয়নের হাট বাজার সংস্কার বাবদ ১৫% টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে। সে অনুযায়ী লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ ১৫% হিসাবে বিনেরপোতা হাট সংস্কারের জন্য ১২ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮ টাকা বরাদ্দ পান। উক্ত বরাদ্দ পত্রে মোট ৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য এ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলো হচ্ছে বিনেরপোতা হাটের কাপেটিং রাস্তা হতে ছোট’র আড়ৎ পর্যন্ত রাস্তা কংক্রিট ঢালাই নির্মাণের জন্য ১লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা, বিনেরপোতা হাটের ছোট’র আড়ৎ হতে অজিত বাবুর আড়ৎ পর্যন্ত কংক্রিট ঢালাই নির্মাণ ১লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা, বিনেরপোতা হাটের অজিত বাবুর আড়ৎ হতে অতিষের আড়ৎ পর্যন্ত রাস্তা কংক্রিট ঢালাই নির্মাণ ১লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা, বিনেরপোতা হাটের অতিষের আড়ৎ হতে তপন বাবুর আড়ৎ পর্যন্ত রাস্তা কংক্রিট ঢালাই নির্মাণ ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮৮৮ টাকা, ৫. বিনেরপোতা হাটের কণ্ঠ’র আড়ৎ হতে লিয়াকতের আড়ৎ পর্যন্ত রাস্তা কংক্রিট ঢালাই নির্মান ১লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা, বিনেরপোতা হাটের তপন বাবুর আড়ৎ হতে সাতক্ষীরা ফিস পর্যন্ত রাস্তা কংক্রিট ঢালাই নির্মান ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও বিনেরপোতা হাটের সাতক্ষীরা ফিস হতে মিজানের আড়ৎ পর্যন্ত রাস্তা কংক্রিট ঢালাই নির্মাণ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। উক্তসব প্রকল্প বাস্তবায়নের শর্ত সাপেক্ষে গত ০৫ ডিসেম্বর ’১৭ তারিখে ২৮৭৭৭১৫ নং চেকে ১২লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮ টাকা উত্তোলন করেন ইউপি চেয়ারম্যান। অথচ টাকা উত্তোলনের ২ থেকে আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও বিনেরপোতা হাটে ৭টি প্রকল্পের একটিও বাস্তবায়ন করা হয়নি। হাটের সাধারণ ব্যবসায়ীরা মনে করছেন উক্ত প্রকল্প আদৌ বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে প্রকল্পের নামে টাকাগুলো ইউপি চেয়ারম্যান ও তার দোসরেদে পকেটে যাবে বলে তাদের ধারণা। ইতোপূর্বে হাটের সংস্কারের জন্য একাধিক বরাদ্দ আসলেও হাটের ভাগ্যে তার ছিটে ফোঁটাও জোটেনি। হাটের জরাজীর্ণ পরিবেশে ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়লে বাজার কমিটির নিজস্ব অর্থায়নে কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা নিজ খরচে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সামনে সংস্কার করেছেন। এখানে ইউনিয়নের কোন ভূমিকা বিগত কয়েক বছরে পরিলক্ষিত হয়নি।
এবিষয়ে বিনেরপোতা বাজারের সততা ফিসের মালিক রামপদ মন্ডল বলেন, প্রতি বছর এখানে থেকে অনেক টাকা ইউনিয়ন পরিষদ পেয়ে থাকে। কিন্তু বিগত ৩/৪ বছরের মধ্যে এ হাটের উন্নয়ন বা সংস্কার করা হয়নি। যেটুকু করা হয়েছে তা বাজার কমিটিই করেছে।
হাট বাজারের স্বপন ফিসের মালিক প্রভাষ মন্ডল, আলী ফিসের মালিক হারুন অর রশিদ, রাসেল ফিসের মালিক ভক্ত মন্ডল ও বেতনা ফিসের মালিক গোবিন্দ একই কথা বলেন। তারা বলেন, এবাজার ইজারা দিয়ে সরকার প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে। কিন্তু বাজারের সংস্কারের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় না। মাঝে মধ্যে কানে আসে বাজারের সংস্কারের জন্য বরাদ্দ এসেছে, কাজ হবে। কিন্তু তা আর হয় না। যে কারণে বাজার কমিটির ফান্ড হতে বাজারের কিছু অংশ সিসি ঢালাই করা হয়েছে। এবারো নাকি ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কি কারণে হচ্ছে সেটি জানা নেই তবে। এবার যদি বাজারের কাজ না হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।
লাবসা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বর ও বিনেরপোতা বাজার কমিটির সভাপতি রাম প্রসাদ মন্ডল বলেন, বাজার কমিটির পক্ষ থেকে সপ্তাহে দুইবার ধোয়া হয় বাজার পরিস্কার রাখার জন। এছাড়া এবার বাজারের উন্নয়নে ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ। আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। ৩৭ লক্ষ টাকার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
লাবসা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর আবু সাঈদ বলেন, ৩৭লক্ষ টাকার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। চেয়ারম্যান কোথায় কিভাবে খরচ করেছে সেটি চেয়ারম্যান জানেন।
মেম্বর আছাদুজ্জামান আছাদ বলেন টাকা কোথায় কিভাবে খরচ করেছে সেটি চেয়ারম্যান জানেন। আমাদের জানানেই। তবে শুনেছি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আমরা শুনেছি টাকা উত্তোলনও হয়েছে।
মেম্বর মনিরুল বলেন, “উক্ত টাকার কাজ হয়েছে।” কিন্তু কোথায় কত টাকার কাজ হয়েছে তিনি তা বলতে পারেননি।
১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে মহিলা মেম্বর মাছুদার সাথে যোগাযোগ করলে ৩৭ লক্ষ টাকা কোথায় খরচ হয়েছে এমন প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে তিনি মোবাইলের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ ঘটনায় লাবসা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু বলেন, “আমার জানা মতে ১২ লক্ষ ও ৩৭ লক্ষ টাকার কোন কাজ হয়নি। তবে শুনেছি ১২ লক্ষ টাকার কাজ করা হবে। এছাড়া জনগণের টাকা কেউ আত্মসাৎ করবে সেটা হবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার। সেই সরকারের টাকা নিয়ে ইউনিয়নের উন্নয়ন না করে পকেটস্থ করতে দেওয়া হবে না।”
এঘটনায় ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার ব্যবহৃত ০১৭১৬ ৮৪৩৭৬৫ ও ০১৭৩৩ ০৭৩৮৬২ নাম্বারে শনিবার বিকাল ৪:৩৮ টায় কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ৩৭ লক্ষ টাকার কাজ তো হয়েছে। ইউনিয়নের ৩ টি কাঁচা রাস্তা সংস্কার করেছি এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী খরচ করা হয়েছে। যা ইউনিয়নের প্রতিটি মেম্বর জানেন। এছাড়া বিনেরপোতা হাটে ১২ লক্ষ টাকার কাজ দ্রুত করা হবে।
উল্লেখ্য, ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলীমের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। বিগত ২০০৪ সালে চার দলীয় জোট সরকারের সময় ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের নিতাই মুহুরীকে নির্যাতন করে তাকে স্বপরিবারে উচ্ছেদ করেছিলেন তিনি। এঘটনায় ভূমিহীন নেতা সাইফুল্লাহ লস্কারের নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রাম চালাতে থাকে। কিন্তু সাইফুল্লাহ লস্কর ২০০৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ওই ভূমিদস্যুদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। । যে কারণে ওই আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে।
এদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিমসহ তার দোসরদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, দুর্নীতিদমন কমিশন ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন ইউনিয়নবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটিতে শিশুদের খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় দুই জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার মিত্র তেঁতুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে শনিবার আশাশুনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে ও আহত রেজওয়ানের বক্তব্য থেকে জানা গেছে, মিত্র তেতুলিয়া গ্রামের ছাইদুর রহমান লিটুর বসৎ ভিটার খোলা জায়গায় কোমলমতি শিশুরা খেলাধুলা করছিলো। উক্ত সম্পত্তি একই এলাকার মৃত খান জাফর আলীর পুত্র মোঃ জাহাঙ্গির হোসেন টুকু, মোঃ জুলফিকার আলী টুটুল জবর দখল করার জন্য বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে আসছিলো। এর সূত্রে ধরে ঘটনার দিন একই এলাকার বিএনপি নেতা জাহাঙ্গির হোসেন টুকু, মোঃ জুলফিকার আলী টুটুল, কালাম গাজীর স্ত্রী বিউটি খাতুন, কন্যা রূপা খাতুন, জুলফিকার এর স্ত্রী পুতুল খাতুন শিশুদের চড় থাপ্পর দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং কান্নাকাটি অবস্থায় শিশুরা বাড়ি ফিরে যায়।
ছাইদুর রহমানের স্ত্রী ময়না খাতুন বাচ্চাদের মারধর করার কারণ জানতে চাইলে বলেন, অভিযুক্তরা তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করতে থাকে। ছাইদুর রহমানের ভগ্নিপতি কাদাকাটি গ্রামের বেলায়েত খাঁ’র পুত্র রেজওয়ান খাঁ বিষয়টি দেখতে পেয়ে সংঘর্ষ ঠেকাইতে গেলে তাকেও পিটিয়ে ও কপালে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে যখম করে। এমতাবস্থায় ছাইদুর রহমানের পরিবার ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের কামনা করেছেন। জানতে চাইলে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহীন জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, এক জন পুলিশ অফিসারকে সেখানে তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটার কৃতিসন্তান আলমগীর উপ-সচিব হওয়ায় এলাকায় দোয়ানুষ্ঠান

কে. এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামের কৃতিসন্তান আলমগীর হোসেন উপ-সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় এলাকায় দোয়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত আক্কাস আলী মোল্লার ছেলে আলমগীর হোসেন ২৪ তম বিসিএস দিয়ে ২০০৪ সালে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। পরে তিনি পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে কর্মরত ছিলেন। সরকারের সদ্য ঘোষিত পদোন্নতির তালিকায় আলমগীর হোসেন উপ-সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় তার গ্রামের বাড়ি দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া জামে মসজিদে শনিবার দুপুরে এক দোয়ানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

দোয়ানুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জামে মসজিদের হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশিদ। এসময় ইউপি সদস্য ও আঃলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনি, শিক্ষক আবু জাফর বাবুল, সাংবাদিক আকতার হোসেন ডাবলু, সিরাজুল ইসলাম, ইকরামুল কবির বকুল ও আব্দুস সেলিম প্রমখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডিম পেড়ে খবরের শিরোনামে ১৪ বছরের বিস্ময়বালক। ইন্দোনেশিয়ার ওই নাবালকের দাবি, ২ বছরে ২০টি ডিম পেড়েছে সে। শুধু মুখে বলেই ক্ষান্ত হয়নি সে, প্রমাণ দিতে একঘর ডাক্তারদের সামনে ২ খানা ডিম পেড়েও দেখিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ওই বিস্ময়বালক।

আর এই ঘটনার পরই ঘুম উড়েছে গোটা দেশের চিকিৎসক মহলের। কী করে সম্ভব? কীভাবে এটা করে দেখাছে ১৪ বছর বয়সই খুদে। চুলচেরা বিশ্লেষণে সত্য উদঘাটনে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসরা আগেই জানিয়েছেন, মানবদেহে ডিম্বাশয় থাকলেও ডিম পাড়ার মতো কোনও বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া ঘটে না। বিজ্ঞানসম্মতভাবে এমনটা কখনই সম্ভব নয়। তবে ওই বালকের মলদ্বার থেকে কীভাবে একের পর ডিম বেড়িয়ে আসছে, তা জানতে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার চিকিৎসকরা।

এখন ইন্দোনেশিয়ার শেখ ইউসুফ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ওই বিস্ময়বালক। তাকে নিয়ে নানান গবেষণা চালাচ্ছে তাবড় তাবড় ডাক্তারবাবুরা। রহস্যের সত্য জানতে ‘মানুষের ডিম’ কেটে চিকিৎসকরা দেখতে চাইছে, ওই ডিমের ভিতরে আসলে কী আছে! ডিমের ভেতরে কি আদৌ কুসুম জাতীয় কিছু রয়েছে তা পরীক্ষা করে দেখতে চাইছে গবেষকরা। এমনকী ওই বালকের মলদ্বারেও চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সূত্র: জি নিউজ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিএনপির সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিনা উস্কানিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এতেই প্রমাণিত হয় বিরোধী শক্তির সমালোচনাকে সহ্য করতে না পেরে তাঁদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে সরকার।

পুলিশি বাধায় বিএনপির পূর্ব ঘোষিত কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি পণ্ড হওয়ার পর আজ শনিবার দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি পালন করতে দলীয় কার্যালয়ে একত্রিত হয়েছি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিনা উস্কানিতে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। দলের অনেক নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

সরকার নির্যাতন চালিয়ে দেশে আবারও একটি অস্থিতীশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ কারণেই বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। অবিলম্বে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই এর দায়ভার নিতে হবে।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, সরকা‌র চায় উস্কা‌নি ‌দি‌য়ে প‌রি‌স্থি‌তি ঘোলা‌টে ও সংঘাতপূর্ণ কর‌তে। কিন্তু বিএন‌পি শান্তিপূর্ণ কর্মসূ‌চি চা‌লি‌য়ে আস‌ছে। সরকার যে ধরেনের আচরণ কর‌ছে তা‌তে উদ্ভূত প‌রি‌স্থি‌তির জন্য তারাই দায়ী থাক‌বে। তিনি বলেন, ‘সরকার শা‌ন্তিপূর্ণ কর্মসূ‌চিতে বাধা না দেওয়ার কথা বল‌েছে, কিন্তু কা‌লো পতাকা প্রদর্শ‌নের ম‌তো কর্মসূ‌চি‌তে আক্রমণ চালিয়ে তারা প্রমাণ ক‌রে‌ছে তারা যে গণতন্ত্রের কথা বলে তা মুনা‌ফেকি গণতন্ত্র।’

অনুম‌তি না থাকায় কর্মসূচি পালন কর‌তে দেওয়া হয়নি পু‌লি‌শের এমন বক্ত‌ব্যের বিষ‌য়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ব‌লেন, ‘সব কর্মসূ‌চির অনুম‌তি নি‌তে হ‌বে কেন? ফুটপা‌তে দাঁ‌ড়ি‌য়ে কালো পতাকা প্রদর্শন কর‌তে পার‌বে না কেন? এটা তো আমার মৌ‌লিক অধিকার। তাহ‌লে কি ঘ‌রের ম‌ধ্যে কথা বল‌তেও পু‌লি‌শের অনুম‌তি লাগ‌বে?’

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।

এই সংবাদ স‌ম্মেলন শেষে দলীয় কাযালয় থেকে বের হওয়ার সময়ই আটক হন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির প্রশিক্ষণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার শহরের চায়না বাংলা হলরুমে একমি ল্যাবরেটরি কোম্পানির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির জেলা সভাপতি ডা: মাহাবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও চায়না বাংলার সত্বাধিকারী একেএম আনিছুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারী ডা: আব্দুল গফফার, প্রশিক্ষণমূলক বক্তব্য রাখেন, দি একমি ল্যাবলেটরী’র এ এস এম মিজানুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা সভাপতি ডা: আলমগীর হোসেন, সেক্রেটারী এম.এ ডা: হাসান।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: আশরাফ হোসেন, ডা: হাবিবুর রহমান, ডা: আব্দুল খালেক, ডা: শফিকুল ইসলাম, ডা: সামছুজ্জামান, ডা: শেখ মাহবুবুর রহমান, ডা: অপূর্ব মজুমদার, ডা: অনির্বান সরকার, ডা: প্রশান্ত ঢালী, ডা: জামিলুল বাসার, ডা: আবু ছালেক, ডা: সোহরাব হোসেন, ডা: জাহাঙ্গীর হোসেন, আলীপুর সভাপতি আলহাজ্ব ডা: রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ডা: আক্তার হোসেন, সেক্রেটারী ডা: অহিদুজ্জামান ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: এম এ সাত্তার প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest