সর্বশেষ সংবাদ-
অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভালাপা প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার পরামর্শ সভাসাতক্ষীরায় যৌথবাহিনির অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ তিনজন আটকসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা

আ. লীগে ফের আলোচনায় কাউয়া

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফের আলোচনায় এসেছে ‘কাউয়া’। রাজধানীসহ জেলা-উপজেলায় এত দিন দলের ভিতরে লুকিয়ে থাকা ও ক্ষমতার ক্রিম খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট কাউয়া তাড়াতে ব্যস্ত তৃণমূল আওয়ামী লীগ।

ঢাকার মোহাম্মদপুর ও টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কাউয়ামুক্ত আওয়ামী লীগ চেয়ে বিলবোর্ড ও পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীদের ‘কাউয়া’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন তারা। গত বছর ২২ মার্চ সিলেটে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় সংগঠনে ‘কাউয়া’ ঢুকছে বলে মন্তব্য করেছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বছর শেষ না হতেই আবারও আলোচনায় এসেছে কাউয়া। তবে এবার কেউ মন্তব্য করেননি, যেসব জায়গায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটি গঠনের কাজ চলছে সেসব জায়গায় যেন উড়ে এসে জুড়ে বসাদের স্থান দেওয়া না হয় সেজন্য পোস্টার ও বিলবোর্ডের মাধ্যমে সোচ্চার হচ্ছেন দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতা নিজ এলাকায় ভিত্তি মজবুত করতে জামায়াত নেতাদের ফুলের মালা দিয়ে আওয়ামী লীগে বরণ করে নেন। কারও কারও বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগও উঠেছিল। গত ১০ বছরে শুধু জামায়াতই নয়, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতারা আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এদের অনেকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতা হত্যা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

তারা স্থানীয় এমপি-মন্ত্রী ও নেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে মামলা থেকে বাঁচতে নৌকায় চড়েন। এরাই মূলত কাউয়া বা হাইব্রিড নামে পরিচিত। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ‘দাঁড় কাউয়ামুক্ত মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ চাই’ লেখাসংবলিত একটি বিলবোর্ডের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নতুন আলোচনায় আসে ‘কাউয়া’। ২১ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রাতের অন্ধকারে উপজেলা শহরের দোকানে, স্কুল-কলেজের দেয়ালের সামনে একটি পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘কাউয়ামুক্ত টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন চাই, কাউয়া করে কা কা দলের বাজে বারো টা’। লেখাটির ডান পাশেই বিশাল একটি দাঁড়কাকের ছবি। তৃণমূল আওয়ামী লীগের ব্যানারে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই ব্যানার লাগাল তা নিয়ে শহরজুড়ে চলছে আলোচনা। পোস্টারগুলো জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কেউ কেউ বলছেন, আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরাই এমন ছবি লাগিয়েছেন।

ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলছেন, যাদের কাউয়া বোঝানো হয়, তাদের কোনো এলাকা নেই, কর্মী নেই। কোনো কর্মীর দায়িত্ব কিংবা খবর এরা রাখে না। তারা সবসময় সরকারি দলের লোক। ক্ষমতায় আসার পর কিছু নেতার হাত ধরে সরকারি দলে ভিড়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। দুঃসময়ের কর্মীরা এদের দাপটে এমপি-মন্ত্রীদের পাশে ভিড়তে পারেন না। আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি শ্রেণি আছে, যারা সবসময়ই সরকারি দলের লোক। সে কারণেই ক্ষমতাসীন দলে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বাড়ে। আর এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। আগামীতেও ক্ষমতায় আসার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে কাউয়া নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন তৃণমূলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা।

দলীয় সূত্রমতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কিছু এমপি-মন্ত্রী ও নেতা নিজ নিজ এলাকায় নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করছেন। নিজের দল ভারী করতে তারা বিএনপি-জামায়াতের হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিকে দলে ভেড়াতে ‘কাউয়া’ বানিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদেও বসাচ্ছেন। সেই প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত। উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতারা এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করছেন না। বিগত সময়ে যারা বিএনপি-জামায়াতের হামলা-মামলাসহ নানা অত্যাচার সহ্য করেছেন তারা এখন যেন বিরোধী দলে। একদা যেসব ‘কাউয়া’র হাতে নির্যাতিত হয়েছেন তারাই এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশীদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এক দশক ধরে ক্ষমতায় আছে এবং খুব ভালো অবস্থানে আছে। অন্য যেসব রাজনৈতিক দল আছে, তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে। চাওয়া-পাওয়ার জন্য যারা রাজনীতি করে তারা মনে করে যেহেতু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে এবং আগামীতেও আসার সম্ভাবনা রয়েছে, সে কারণে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া নিরাপদ। আর যদি তারা দেখত এই সরকারের আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই, তাহলে তারা কেটে পড়ত। ’ তিনি বলেন, ‘দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। কাজেই অনুপ্রবেশকারীরা দলের নীতিনির্ধারককে প্রভাবিত করবে এমন সুযোগ নেই। তবে ভিতরে থেকে অপকর্ম বা আওয়ামী লীগের আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ড করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে। এ বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে। কেউ যদি আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে দলে ভেড়েন তাহলে তাকে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে তারা আওয়ামী লীগের আদর্শে বিশ্বাসী। কিন্তু আসার সঙ্গে সঙ্গে দলের পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে তাদের পদ-পদবি দিয়ে দেওয়া হলে সর্বনাশ ডেকে আনবে। দলের লক্ষ্য-আদর্শের পরিপন্থী হবে। যারা দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তারা হতাশ ও আহত হবেন। ’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘ক্ষমতার সঙ্গে কাউয়া ঢুকে যায়। আর কিছু কিছু নেতা দল ভারী করতে কাউয়াদের নাম লিস্টের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। কিছু এমপি-মন্ত্রী ও নেতা দল ভারী করতে বা বিশেষ সুবিধা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছেন এমন ব্যক্তিকেও দলে স্থান দিয়েছেন। এসব কাউয়া বা হাইব্রিড নেতা সময় বুঝে নিজের স্বার্থ উদ্ধারে কাজ করছেন। এসব হাইব্রিডের জন্য আওয়ামী লীগের নিবেদিত নেতা-কর্মীরা দলে কোণঠাসা। এখন বিভিন্ন ইউনিটিতে কমিটি গঠনের কাজ চলছে। এসব কমিটিতে যেন অনুপ্রবেশকারীর স্থান না হয় সেজন্য কাউয়ামুক্ত আওয়ামী লীগ চেয়ে বিলবোর্ড ও পোস্টার করেছে বলে মনে করছি। ’

শুধু আওয়ামী লীগই নয়, কাউয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ২০-দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যেও। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘দাঁড় কাউয়ামুক্ত মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ চাই’ শিরোনামে একটি সংবাদ শেয়ার করে রাজনীতিবিদদের কাউয়া থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি লেখেন, ‘শুধু কাউয়া নয়, এখানে স্যুট পরা কাউয়া, পাঞ্জাবি পরা কাউয়াও আছে। এদের কোনো এলাকা নেই, কর্মী নেই। কোনো কর্মীর দায়িত্ব কিংবা খবর এরা রাখে না। কোনো কর্মীর বিপদে এরা দাঁড়ায় না, একটা টাকাও খরচ করে না। এরা জীবনে একটা মেম্বার নির্বাচনও করে নাই বা করার যোগ্যতাও নাই। এরা কেবল বিভিন্ন টকশোতে তত্ত্ব, দর্শন আর পরিসংখ্যান দিতে থাকে। এদের রাজনীতি অনেকখানি বই পড়ে সাইকেল চালানো শেখার মতোন। এরা ছোট ছোট দলে ঘুরে বেড়ায় আর সরকারি কিছু কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে খাতির রাখে। কীভাবে একটা মনোনয়ন পাওয়া যায় সেটাই একমাত্র উদ্দেশ্য। এরা গণজাগরণের সময় সামনে থেকে গলা ফাটায় কিন্তু গণজাগরণ যখন ধাওয়া খায় তখন এরা পালায়। এরা হেফাজত ইসলামের বিরুদ্ধে সোচ্চার কিন্তু সরকার যখন হেফাজতের সঙ্গে মিটিং করে এরা নিশ্চুপ। এরাই প্রকৃত হাইব্রিড… ডিজিটাল হাইব্রিড। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের এদের কাছ থেকে সাবধান থাকা উচিত। ’

মোহাম্মদপুর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, দলে অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের দীর্ঘদিনের ঘোষণা ছিল। এবার মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও এ দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। তারা ব্যানার-ফেস্টুন করে অনুপ্রবেশকারীদের দলে না নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ সড়কের শঙ্কর আবাসিক এলাকার বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের সামনে ৩০ ফুটেরও বেশি দৈর্ঘ্যের বিলবোর্ডটি সাঁটানো হয়েছে। ‘দাঁড় কাউয়ামুক্ত মোহাম্মপুর থানা আওয়ামী লীগ চাই’ লেখাটির ডান পাশেই বিশাল একটি দাঁড়কাকের ছবি দেওয়া হয়েছে। এরপর ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত হয়েছেন।

বিস্তারিত আসছে…

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) তৃতীয় আসরের তৃতীয় ম্যাচে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে চমক দেখিয়েছেন মুস্তাফিজ। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মাঠে নেমেছিল শোয়েব মালিকের মুলতান সুলতানস এবং ব্র্যান্ডন ম্যাককালামের লাহোর কালান্দার্স।

এই ম্যাচে মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে যখল লাহোর কালান্দার্সের বোলারদের অসহায়ত্ব দেখা যাচ্ছিল ঠিক তখনই ম্যাচের পাল কিছুটা নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দেন মুস্তাফিজ। দলের প্রত্যেক বোলার ওভারপ্রতি ছয়ের বেশি রান করে রান খরচ করলেও কৃপণতার পরিচয় দেন বাঁহাতি এ পেসার।

শুধু রানের চাকাই ধরে রাখেননি বরং অধিনায়ক যখন যে অবস্থাতে তাকে আক্রমণে এনেছে, সে অবস্থাতেই ব্রেকথ্রু দিয়ে দলকে আবারও লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনতে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন।   নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে মুলতান সুলতানস ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান সংগ্রহ করলেও, ওভার প্রতি ৫.৫০ ইকোনমি রেটে রান দিয়ে ২২ রান দিয়ে মূল্যবান দুটি উইকেট শিকার করেন তিনি।

মুস্তাফিজের নির্ধারিত ৪ ওভারের মধ্যে ছিল না কোনো ওয়াইড কিংবা নো বল। তাছাড়া তার করা ২৪ বলের মধ্যে ১৪টিই ছিল ডট বল। নিঃসন্দেহে এটি একই সাথে তার এবং দলের জন্য অনেকটা স্বস্তিদায়ক ব্যাপার ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

চীন, রাশিয়া, সৌদি আরব ও তুরস্ক। মূলত এই চার বন্ধুর আপত্তিতে ‘সন্ত্রাসে আর্থিক মদদদাতা’ তকমা থেকে আপাতত বেঁচে গেল পাকিস্তান।

তবে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে সব ধরনের মদদ দেওয়া বন্ধ করতে তিন মাস সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।

প্যারিসে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জোরদার চেষ্টা চালিয়েছিল, যাতে সন্ত্রাসে আর্থিক মদতদাতা রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের নাম নজরদারি-তালিকায় তোলা যায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে এই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ অনেকটাই সাজিয়ে দিয়েছিল ভারত।

কিন্তু গত কাল চীন-রাশিয়ার নেতৃত্বে তাদের বন্ধু দেশগুলি দেশ বেঁকে বসায় আপাতত তিন মাসের রক্ষাকবচ আদায় করে নিতে পেয়েছে পাকিস্তান। যা খারিজ করতে আজ সম্মেলনের শেষ দিনেও চেষ্টা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এফএটিএফের সদস্যদের মধ্যে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, রাষ্ট্রপুঞ্জ, ইউরোপীয় কমিশনের শীর্ষ কর্তারা রয়েছেন। ফলে তালিকায় নাম উঠলে এই সংস্থাগুলি মুখ ফিরিয়ে নেবে, এমন একটা আশঙ্কা পাকিস্তানের ছিলই। শেষ পর্যন্ত গোটা ঘটনাপ্রবাহকে নিজেদের ‘জয়’ হিসেবেই দেখাচ্ছে ইসলামাবাদ।

কিন্তু দিল্লিও বিষয়টিকে ব্যর্থতা হিসেবে ভাবতে রাজি নয়।

ভারতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের বক্তব্য, পাকিস্তানি আর্থিক মদদপুষ্ট সন্ত্রাস বন্ধ করতে গত এক বছরের সুপরিকল্পিত চেষ্টার পরে অনেকটাই এগোনো গিয়েছে। প্যারিসে পাকিস্তানকে নজরদারি-তালিকায় তোলার সুযোগ ছিল ঠিকই। কিন্তু এমন চেষ্টায় সাফল্যও সচরাচর খুব চটজলদি আসে না।

দিল্লির মতে, পাকিস্তানকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে মাত্র। এর মধ্যে ইসলামাবাদকে তথ্যপ্রমাণ-সহ প্যারিসের নজরদার গোষ্ঠীকে আশ্বস্ত করতে হবে যে, তারা সন্ত্রাসে টাকা জোগাচ্ছে না। ‘কাজ করে দেখানোর’ চাপ থাকবে পাকিস্তানের উপরে।

দিল্লির কর্তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, প্যারিস সম্মেলনের ঠিক আগেই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে লস্কর প্রধান হাফিজ সাঈদকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান।

সূত্র: দ্য ন্যাশন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতাদের অতিকথন তাদের ভোট কমাবে। কারণ দুর্নীতিবাজের পক্ষে জনসমর্থন বাড়ে না। প্রতিদিন আওয়ামী লীগের ১০ লাখ ভোট বাড়ছে আর দুর্নীতির জন্য বিএনপির ১০ লাখ করে ভোট কমছে।

শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা সফল করতে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
‘খালেদা জিয়াকে একদিন কারাগারে রাখা মানে বিএনপির ১০ লাখ ভোট বৃদ্ধি পাবে, আওয়ামী লীগের ১০ লাখ  ভোট কমবে’ মর্মে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘বড় বড় কথা বলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি দেশের রাজনীতির বহুরূপী নেতা, ডিগবাজিতে ওস্তাদ। তিনি এখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যাচ্ছেন। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, না আস্তে আস্তে অশান্তির ক্ষেত্র তৈরি করছেন? শান্তির কথা বলে জনগণের সহানুভূতি পেতে চান? দেশের মানুষ আপনাদের দুর্নীতির পক্ষে না।’
তিনি বলেন, মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘বেগম জিয়া জেলে থাকলে দৈনিক বিএনপির ১০ লাখ ভোট বাড়ে, আওয়ামী লীগের ১০ লাখ ভোট কমবে।’ এতদিন জানতাম ফখরুল ইসলাম আলমগীর জ্যোতিষ বিদ্যা রপ্ত করেছেন। জানতাম, বিএনপিতে সংখ্যাতত্ত্বের হিসাব একমাত্র ফখরুলই দেন। একবার বলেন আওয়ামী লীগ ২৫ সিট পাবে, আবার বলে ৩০ সিট পাবে। এইভাবে আগামী নির্বাচনের সংখ্যাতত্ত্ব মিলিয়ে দিচ্ছেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, ভোট দেবে দেশের জনগণ, আর জ্যোতিষ ফখরুল একেকবার একেক সংখ্যাতত্ত্ব দিচ্ছেন। এখন দেখি, মওদুদ আহমদও নেমেছেন নতুন জ্যোতিষী হিসেবে। তিনি এখন মাঠে নেমেছেন। ভোট বাড়ার হিসাব দিচ্ছেন। প্রমাণ আছে? আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহীর জনসভায় এর প্রমাণ দেখিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃণমূলের কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। এ তৃণমূলের কর্মীবাহিনী আছে বলেই আওয়ামী লীগ টিকে আছে। এ কর্মীরা কখনো আপোষ করেনি, মাথা নত করেনি। যার প্রমাণ ১/১১। সেদিন কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল বলে মাইনাস টু ফর্মুলার চক্রান্ত বাস্তাবায়ন হয়নি। সুসময় আমাদের জীবনে খুব বেশি সময়ের জন্য আসেনি। ক্ষমতায়  থেকেও আমরা যে সুসময়ে আছি, এ কথা দাবি করার কোনো অবকাশ নেই। এখনও মাঝে মাঝে দুঃসময় আসে।
তিনি বলেন, এখনও সংকটমুক্ত তা বলা যাবে না। এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। তবে এ সময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জনে, তার সততা ও কর্মঠ নেতৃত্বে এতটাই খুশি যে, সারাদেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ। যে কারণে জঙ্গিবাদী শক্তি অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। পুলিশ র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রিত ও দুর্বল। কিন্তু তারা তাদের পথ থেকে সরে যায়নি। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘বিএনপি ভাঙার দিবাস্বপ্নে দিন কাটাচ্ছে আওয়ামী লীগ’

অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ভেবেছিল খালেদা জিয়াকে জেলে নিলে বোধহয় বিএনপি ভেঙে যাবে। কিন্তু বিএনপি ভাঙেনি। বিএনপি ভাঙার দিবাস্বপ্ন নিয়ে তারা দিন কাটাচ্ছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। বিএনপি এখন আগের চেয়ে আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ আরো বেশি শক্তিশালী।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতির বক্তব্যে এসব বলেন। প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে গণতন্ত্র অর্জন করেছিলাম সেই গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে লুণ্ঠিত করা হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ তাদের সমস্ত অধিকারহারা হয়েছে। তাদেরকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মুক্তদেশে সুন্দরভাবে বাস করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই অবস্থা আমাদের বদলে দিতে হবে।
বর্তমান সময়কে মোকাবেলা করা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য যে মানুষটি গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেই খালেদা জিয়াকে আজ কারাগারের অন্ধকারে দিন কাটাতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভোট চেয়ে বেড়াবেন আর বেগম জিয়া কারাগারে থাকবেন এটা গণতন্ত্র হতে পারে না। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এজন্য নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন হবে। তবে তা শান্তিপূর্ণ।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিয়ের উপহারের প্যাকেটে রাখা বোমা ফেটে বরের মৃত্যু

বিয়েতে উপহার হিসাবে পাঠানো হয়েছিল বোমা৷ সেই বোমা ফেটে বরের মৃত্যু হয়েছে৷ মারা গেছে বরের ঠাকুমাও৷ গুরুতর আহত হয়েছেন স্ত্রীও৷ শুক্রবার ভারতের উড়িষ্যা প্রদেশের বোলাংগির জেলার পাটনাগড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

উড়িষ্যার এক সংবাদপত্রে প্রকাশ, ১৮ ফেব্রুয়ারি সৌম্য শেখর সাহুর সঙ্গে বিয়ে হয় রিমা সাহুর৷ ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল রিশেপশন পার্টি৷ ওই দিন বোমা রাখা পার্সেলটি নবদম্পতির হাতে তুলে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি৷ এরপর শুক্রবার বিয়েতে পাওয়া উপহারগুলি খুলে দেখছিল ছেলের পরিবার৷ কাছেই বসে ছিলেন সদ্য বিবাহিত সৌম্য৷ বোমা রাখা পার্সেলটি খুলতেই সেটি ফেটে যায়৷ গুরুতর আহত হন সৌম্য, তার স্ত্রী রিমা ও ঠাকুমা৷
তিন জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে পাটনাগড়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়৷ সেখান থেকে তিনজনকে স্থানান্তর করা হয় বোলাংগির হাসপাতালে৷ এখানেই মৃত্যু হয় সৌম্যর ঠাকুমার৷ এদিকে সৌম্যর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বুরলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই মারা যান সৌম্য৷ রিমার অবস্থা আশঙ্কাজনক৷
এদিকে বোলাংগির থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ এক তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ওই পার্সেলে কোন উপহার ছিল না৷ সেখানে বোমাই রাখা ছিল৷ কেউ শত্রুতাবশত এই কাজ করেছে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছুটির বিকেলে নাতি-নাতনিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর খুনসুটি

খানিক সময় নাতনির চুলের বেণী বেঁধেছেন। খানিক সময় দুরন্ত নাতি-নাতনিদের সঙ্গে মেতেছেন খুনসুটি হাস্যোল্লাসে। ছুটির দিন শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এমনই এক অনিন্দ্য সুন্দর বিকেল কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সেসময়কার দুইটি ছবি শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। এরপরই ছবি দুইটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
ফেসবুকে আশরাফুল আলম খোকন লেখেন, আজ (শুক্রবার) বিকেলে গণভবনে নাতি-নাতনিদের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা’র ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি’র সন্তান লীলা ও কাইয়ূস এর সাথে শেখ হাসিনা। সাধারণে অসাধারণ আমাদের আপা। আমাদের ঠিকানা। ছবি তুলেছেন সুমন দাস।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest