সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন সমিতির কঠোর হুশিয়ারীসাতক্ষীরায় শিশু-যুব ও স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালাশ্যামনগরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক সুন্দরবনের ত্রাস সাইফুলসাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি

উত্তরাঞ্চলে শতাধিক নদী পানিশূন্য

খরস্রোতা তিস্তাসহ উত্তরাঞ্চলের শতাধিক  নদ-নদী পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। পানির অভাবে বিলীনের পথে অনেক নদ-নদীর অস্তিত্ব। ফলে এসব নদীতে নেই মাছ, চলছে না নৌকা। এ অবস্থায় নদী অববাহিকার লাখ লাখ মানুষ নিজেদের পেশা হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসেছে। পাশাপাশি পানি সংকটের কারণে আবাদি জমির পরিমাণ কমে গিয়ে ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। অথচ এসব নদীতে এক সময় পানি প্রবাহের গতি এতোটাই প্রবল ছিল যে, নদী পার্শ্ববর্তী হাজার হাজার হেক্টর জমি বছরের ৬ মাসই পানির নিচে তলিয়ে থাকত। নদীতে নৌ-চলাচল স্বাভাবিক ছিল। মাঝি-মাল্লাদের কণ্ঠে ভেসে উঠতো ভাওয়াইয়া, পল্লীগীতি ও ভাটিয়ালি গানের সুর। নদীর ওপর নির্ভরশীল মত্স্যজীবীরাও পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-যাপন করতো। অথচ বর্তমানে এ অঞ্চলের নদ-নদীগুলো মরে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় পাল্টে গেছে সার্বিক পরিস্থিতি।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ঘাঘট, ধরলা, করতোয়া, দুধকুমার, স্বতী ঘাঘট, নীলকুমার, বাঙালি, বরাই, মানাস, কুমলাই, ধুম, বুড়িঘোড়া, সোনাভরা, হলহলিয়া, লহিতা, ঘরঘরিয়া, নলেয়া, জিঞ্জিরাম, ফুলকুমার, কাঁটাখালি, সারমারা, রায়ঢাক, যমুনেশ্বরী, চিতনী, মরা করতোয়া, ইছামতি, আলাই, কুমারীসহ শতাধিক নদ-নদী আজ মৃতপ্রায়। মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এসব নদ-নদী। শুকনা মৌসুমে নদ-নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় চারিদিকে ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। ফলে কমে গেছে আবাদি জমির পরিমাণ। রংপুর মহানগরী থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে গঙ্গাচড়া উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়ন তিস্তা বেষ্টিত। এ অঞ্চলের কৃষক, জেলে, মাঝি-মাল্লারা বেকার হয়ে পড়েছে। ডালিয়া থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে বিশাল বিশাল বালুচর।   পানির অভাবে তিস্তা প্রকল্পে আধুনিক সেচ সুবিধা থাকলেও পানি প্রবাহ না থাকায় তিস্তা অববাহিকার লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। নদীর ওপর নির্ভরশীল এসব মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম হাহাকার। এক সময় তিস্তার শাখা ঘাঘট ও মানাস নদের পানি প্রবাহে এ অঞ্চলে সবুজের সমারহ বিরাজমান ছিল। এসব বহমান নদীর দু’পারে ছিল অসংখ্য খেয়াঘাট। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হতো খেয়াঘাট দিয়ে। সেই সব খেয়াঘাটের অনেক স্থানে এখন ব্রিজ নির্মাণ করে রাস্তাঘাট করা হয়েছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর, সদর থেকে পীরগাছা উপজেলার প্রায় ৮০ কিলোমিটার বিস্তৃত ছিল মানাস নদ। বর্তমানে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। একই অবস্থা ঘাঘট নদের। ঘাঘট নদকে কেন্দ্র করে এক সময়ের গড়ে ওঠা বন্দর বিলীন হয়ে গেছে। ১৮২০ সালের পর থেকে এ অঞ্চলের প্রমত্তা করতোয়া নদ ক্ষীণ হয়ে আজ প্রায় মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পীরগাছা দিয়ে এক সময়কার প্রবাহিত আড়াইকুমারীর কোনো অস্তিত্বই আজ আর নেই। শুধু রংপুর বিভাগে প্রায় ৩৪টি নদ শুকিয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে পড়েছে কৃষি ক্ষেত্র। প্রতিটি জেলায় দেখা দিয়েছে মত্স্য ঘাটতি। নদ-নদীগুলো মরে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় উত্তরাঞ্চলজুড়ে মরুকরণ সৃষ্টির লক্ষণ দেখা দেওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পরিবেশবিদরা। পরিবেশবিদদের মতে, বাঁধ নির্মাণ করে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অঞ্চলের  নদ-উপনদ, শাখা-প্রশাখা, ছড়ানদ এবং নদীখাতগুলোকে বাঁচিয়ে তুলতে পর্যাপ্ত পানির প্রবাহ বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি নদীগুলোর অবৈধ বাঁধ অপসারণ, তলদেশ খনন, ড্রেজিং মাধ্যমে উত্স মুখ খোলাশা করে কৃত্রিম ক্যানেলের মাধ্যমে ছোট নদীগুলোর সঙ্গে বড় নদীগুলোর সংযোগ করা প্রয়োজন। দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে না পারলে এক সময় উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হতে পারে বলে পরিবেশবিদদের আশঙ্কা।

সূত্র: ইত্ত‌েফাক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুই হাজার বছরের পুরনো সমাধির সন্ধান

মিসরের কায়রোতে প্রাচীন এক সমাধির সন্ধান পাওয়া গেছে। কায়রোর কাছাকাছি সিনইয়া প্রদেশে গত শনিবার ওই সমাধির সন্ধান পাওয়া গেছে।

পুরাতত্ত্ববিদদের মতে, এটি প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো।

সুবিশাল এ সমাধিস্থলটি টুনা-আল-গাবাল অঞ্চল থেকে আড়াই মাইল উত্তরে অবস্থিত। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ফ্যারাও পরবর্তী যুগ থেকে টলেমি যুগের মধ্যবর্তী সময়ের সমাধি।

মিসরের পুরাতত্ত্বমন্ত্রী খালেদ-আর-ইনানি বলেছেন, ২০০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন সমাধি থেকে একটি স্বর্ণের কঙ্কাল পাওয়া গেছে। এছাড়া পাথরের গায়ে খোদাই করা ৪০টি অলঙ্কৃত কফিন। তৎকালীন সমাজে বিভিন্ন পেশাজীবীর ১০০০টি মূর্তি। যাদের মধ্যে প্রাচীন ধর্মযাজক, মৃৎশিল্পী, জহরত এবং হস্তশিল্পীও রয়েছেন।

এদিকে পুরাতত্ত্ববিদদের প্রধান মোস্তাফা ওয়াজিরি, বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, এখন পর্যন্ত আমরা সর্বমোট আটটি সমাধির সন্ধান পেয়েছি। অতিদ্রুত আরও বেশ কিছু সমাধি আবিষ্কার করতে পারব বলে আশা রাখি।

সমাধিস্থল থেকে ভাস্কর্যখচিত চারটি অমূল্য পানি খাওয়ার জগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে এগুলো সরকারি নির্দেশে সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রাচীন মিসরের চাঁদ ও সূর্যের দেবতা ‘থোথ’র মমিও পাওয়া গেছে। মমিটির শরীর ব্রোঞ্জের তৈরি সোনালি পোশাকে মোড়া ছিল।

মাথা, হাত ও গলা লাল ও নীল দামি পুঁতির মালা দিয়ে সুসজ্জিত ছিল। প্রত্মতাত্ত্বিকবিদদের দলটিতে মিসর ছাড়া জার্মানির মিউনিখ ও হিলাডসেইস শহরের গবেষকরা অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে মিসরের কায়রো শহরের বাইরে ৪৪০০ বছরের পুরনো সমাধির সন্ধান পাওয়া যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আইনি জটিলতায় শ্রীদেবীর লাশ, দুবাই ছাড়তে নিষেধ বনি কাপুরকে

মৃত্যুর পর কেটে গেছে প্রায় ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময়। শ্রীদেবীর মৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক নতুন তথ্য।

যাতে পুরো বিষয়টিই নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। প্রথমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হলেও পরবর্তী সময়ে হোটেলের বাথটাবে ডুবে মৃত্যুর তথ্য উঠে আসে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে।

অন্যদিকে ফরেন্সিক রিপোর্টে রক্তে মিলেছে অ্যালকোহল। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই শ্রীদেবীর মৃত্যু ঘিরে কিছুটা হলেও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

আশা করা হচ্ছে শ্রীদেবীর মৃত্যুকে কোনও রকম রহস্য মৃত্যুর আখ্যা দেবে না দুবাইয়ের লিগ্যাল সেল।   তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয় ততক্ষণ শ্রীদেবীর লাশের পচন রুখতে রসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জানা যায় দুপুর ৩ টার (বাংলাদেশি সময়ে ৫টা) মধ্যে দুবাইয়ের সরকারি অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনার পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া ও মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হবে মঙ্গলবার।

তাই সোমবার কোনওভাবেই মুম্বাইয়ে শ্রীদেবীর লাশ পৌঁছানোর সম্ভবনা নেই।

এদিকে ঘটনায় ইতোমধ্যেই শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর ও হোটেলের কর্মীদের বয়ান নেওয়া শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। বনি কাপুরকে আপাতত দুবাই ছাড়তে নিষেধ করেছে সেদেশের লিগ্যাল সেল। খতিয়ে দেখা হচ্ছে শ্রীদেবীর কল লিস্ট।

তবে প্রথমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরবর্তী কালে বাথটাবের পানিতে ডুবে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। এভাবে অভিনেত্রীর মৃত্যুতে ক্রমাগত তথ্য পরিবর্তন হওয়ায় উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।

১) শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর শনিবার সন্ধ্যা ৬.২৫ এর দিকে বাথরুমের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করলে পুলিশকে কেন ৯টার সময় খবর দেওয়া হলো?

২) পুলিশকে খবর দেওয়ার বদলে প্রথমে কেন তাঁর কোনও বন্ধুকে ফোন করেছিলেন বনি কাপুর?

৩) হোটেলের জরুরিকালীন অবস্থার সহায়তা কেন বনি কাপুর নেননি?

৪) শ্রীদেবীর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কথা প্রথমে কে বলেছিলেন?

৫) শেষ ৪৮ ঘণ্টায় একই নম্বরে একাধিকবার ফোন কেন?

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদেরের মা আর নেই

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা আর নেই।

সোমবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহির রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তিনি চার পুত্র, ছয় কন্যাসন্তানসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছের এ তথ্য জানান।

আবু নাছের বলেন, ‘মঙ্গলবার জোহর নামাজের পর নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ সরকারি মুজিব কলেজমাঠে মরহুমার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোনে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলেন এবং মরহুমার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাখাইনকে কসাইখানা বানিয়েছে মিয়ানমার

জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা প্রধানের অভিযোগ * রাখাইনের খুনীদের আন্তর্জাতিক আদালতে নিন :তিন নোবেল বিজয়ী * মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে একমত ইইউ

 

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জেইদ রা’দ আল হুসেইন মিয়ানমারের উত্তর রাখাইনকে কসাইখানা বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে এটি মানুষ হত্যাযজ্ঞের সবচেয়ে ভয়াবহ স্থান। রাখাইন ও অন্যান্য এলাকায় বাড়তে থাকা ভয়াবহ সহিংসতা ঠেকাতে আগেভাগে সমন্বিতভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। গতকাল সোমবার জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের ৩৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

‘পাঁচ স্থায়ী সদস্যকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে’

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জেইদ আরো বলেন, রোহিঙ্গারা নিজভূমিতে অমানবিক আচরণ, বঞ্চনা ও হত্যার শিকার হয়েছে। এজন্য দুটি পক্ষ দায়ী। প্রথমত, যারা রোহিঙ্গাদের হত্যা ও জখম করেছে এবং দ্বিতীয়ত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ। যারা এই নৃসংসতা অব্যাহতভাবে চলতে দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যখন ব্যবস্থা নেওয়া সবচেয়ে জরুরি ছিল এবং নিষ্পাপ জনগণের চরম দুর্দশা লাঘব করা যেত তখন ভেটো দেওয়া হয়েছে। তাই পাঁচ স্থায়ী সদস্যকে অবশ্যই নির্যাতিতদের সামনে জবাবদিহি করতে হবে।

পাঁচ সদস্য দেশের মধ্যে ফ্রান্স ভেটো ব্যবহারের নীতিমালা নিয়ে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। ১১৫ টির বেশি দেশের সমর্থন থাকা এই উদ্যোগে যুক্তরাজ্যও যোগ দিয়েছে। ভেটোর ক্ষতিকর ব্যবহার বন্ধ করতে এবার সেই উদ্যোগে চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হাইকমিশনার জেইদ।

উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হওয়ার পর রাখাইন রাজ্য থেকে ছয় লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা মেডিসিন সান ফ্রন্টিয়ারস (এমএসএফ) যেটি ডক্টরস উইদআউট বর্ডারস নামে পরিচিত তারা জানিয়েছে, রাখাইনে সহিংসতা শুরুর মাত্র প্রথম এক মাসে প্রায় সাত হাজার বেসামরিক রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৭৩০টি শিশু ছিল। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ইতিমধ্যে ‘ফিজিকাল অ্যারেজমেন্ট’ চুক্তি হয়েছে। তবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি।

মিয়ানমারের জেনারেলদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে একমত ইইউ

রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ চালানোর জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তুতি নিতে গতকাল বৈঠকে সম্মত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, একইসঙ্গে মন্ত্রীরা ইইউ’র অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জোরালো করতে এবং ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিযুক্ত করতে সম্মত হয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে এটাই ইইউ’র সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ হতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ১৯৯০ এর দশকে মিয়ানমারের ওপর আরোপ করা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করতে সম্মত হয়েছেন। বৈঠকে মিয়ানমারের কোনও সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। যদিও ইতিমধ্যে মেজর জেনারেল মং মং সোয়ে’র বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।

গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইইউ’র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মঘেরিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে বেশ কিছু ব্যক্তির ইউরোপ ভ্রমণে ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে আলোচনা হবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ইইউ

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে ইইউ বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইইউ’র রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিংক। গতকাল পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাত্ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ইইউ বাংলাদেশকে সহায়তা দিচ্ছে। এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

 

রাখাইনের খুনিদের আন্তর্জাতিক আদালতে নিন: তিন নোবেল বিজয়ী

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নির্মূলে পরিকল্পিত গণহত্যা চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে দোষীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজার সফররত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তিন নারী। নোবেল বিজয়ী ইরানের শিরিন এবাদি, ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান ও যুক্তরাজ্যের মরিয়েড মুগুয়ার গতকাল সোমবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরির্দশন করে এ দাবি জানান।

কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে তাওয়াক্কুল কারমান বলেন, মিয়ানমারে যা হচ্ছে তা গণহত্যা ছাড়া আর কিছু নয়। এরপরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চুপ থাকলে তা বিশ্বাবাসীর জন্য লজ্জার হবে। যারা অপরাধ করেছে তাদেরকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

১৯৭৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মরিয়েড মুগুয়ার বলেন, রোহিঙ্গা নারীরা হত্যা-ধর্ষণ আর বর্বরতার যে বিবরণ দিয়েছেন, তাতে বোঝা যায় মিয়ানমারে পরিকল্পিত নিধনযজ্ঞ চলছে। এটা স্পষ্টভাবে গণহত্যা। মিয়ানমার সরকার আর সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যা করছে, সেটা মিয়ানমার থেকে, ইতিহাস থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মুছে ফেলার পরিকল্পিত চেষ্টা মাত্র। মিয়ানমার সরকারের এই নীতিকে ধিক্কার জানাই।

শিরিন এবাদি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর পর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও শরণার্থীদের ঢল থামছে না। বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর কারণে বাংলাদেশের মানুষের ওপরও বড় ধরনের চাপ তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার হতে হবে। দোষীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখতে নোবেল বিজয়ী এই তিন নারী কক্সবাজারে অবস্থান করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লাবসা ইউপি পরিদর্শনে ডিডিএলজি

নিজস্ব প্রতিবেদক : লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় তিনি পরির্দশনে আসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সচিব আব্দুর রাজ্জাক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু, মেম্বর মাসুদা বেগম, ফেরদৌসী ইসলাম, রামপ্রসাদ সরকার,সাঈদ আলী সরদার, মোঃ আজিজুল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ কাজী মনিরুল ইসলাম, জামির হোসেন, আব্দুল হান্নান প্রমুখ। এসময় ইউপি সদস্যবৃন্দ চেয়ারম্যান কর্তৃক ৪৯ লক্ষ টাকা দুর্নীতির বিষয়ে অবগত করালে তিনি নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের কথা বললে মেম্বরসহ স্থানীয় জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে অবশ্যই এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে শান্ত হন তারা।
এসময় স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান বলেন, আমার অফিসিয়াল নিয়মে জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ পরির্দশন করতে হয়। সে রুটিন মাফিক আমি লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে চেয়ারম্যান কর্তৃক অর্ধকোটি টাকা লুটপাটের ঘটনা বা অভিযোগ সম্পর্কে আমার কিছুই জানা ছিলো না। তদন্তের জন্য আসা হয়নি। বা সরকারও আমাকে দায়িত্ব দেয়নি। এখানে এসে জানতে পেরেছি। এ অভিযোগ আমি আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানাবো তারা যে নির্দেশনা দিবেন সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ইউপি সচিব ও সদস্যবৃন্দ উক্ত প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে ডিডিএলজির সামনে লিখিত মতামত ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে উক্ত প্রকল্পের কাগজপত্রের বিষয়ে ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাকের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ৩৭ লক্ষ টাকা এবং হাটের ১২ লক্ষ টাকার প্রকল্পের সকল ফাইল আমার নিকট থেকে চেয়ারম্যান সাহেবের নিকট নিয়ে নেন। যার তার নিজ হেফাজতে আছে।
উল্লেখ্য : সম্প্রতি লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে প্রকল্পের কাজ না করে ১২লক্ষ ১৫হাজার ৮৮৮ টাকা এবং হাট ইজারা থেকে পাওয়া ৩৭লক্ষ ২৮হাজার ৭২৩টাকা মোট ৪৯লক্ষ ৪৪হাজার ৬১১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এঘটনায় রোববার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম নাশকতা মামলায় পলাতক থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে জরুরি সভার আহ্বান করেন। সভায় চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের দুর্নীতি তুলে ধরেন ইউপি সদস্যরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নুরনগরের বিজিবি’র হাতে আটক ৯জন

পলাশ দেবনাথ,নুরনগর : শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের দুরমুজখালী সীমান্ত থেকে নারী শিশু সহ ৯জনকে আটক করা হয়েছে। দুরমুজখালী বি জি বির তথ্য মতে গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি রাত্র ৩টার দিকে একটি ছোট নৌকায় করে কালিন্দী নদী পাড়ি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ কালে নারী শিশু সহ মোট ৯জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করা হয়। আটককৃতদের ভাষ্যমতে তারা বিভিন্ন মেয়াদে অবৈধ পথে ভারতে গিয়েছিল বলে জানায়। ভারত থেকে পাচারকারী চক্রের নিহার ও যোগসাজসের মাধ্যমে ৯জন মোট ১৪ হাজার টাকার বিনিময়ে পার হয়ে এসেছে বলে জানায় আটকৃতরা। দুরমুজখালী বি জি বির টহলরত সদস্যরা উক্ত ৯জনকে আটক করে এবং নৌকায় থাকা পাচারকারী দালাল চক্রের মোঃ রফিকুল ইসলাম বিনু(২৬) পিতা হযরত আলী গাজী গ্রাম দুরমুজখালী ও গোলাম মোস্তফা বাচা (৩৫) পিতা শেখ হযরত আলী গ্রাম নৈকাটি এই ২জন পালিয়েছে বলে জানায়। দুরমুজখালী বি জি বির হাতে আটককৃতরা হলো (১) আবু নেছার মোড়ল(৬২) পিতা মৃত আছিরউদ্দিন, (২)রাশিদা বেগম(৫০) স্বামী আবু নেছার মোড়ল,(৩) আজিজুল ইসলাম(৩০) পিতা মোঃ হাফিজউদ্দিন, (৪)মোছাঃ আকলিমা(২৫) স্বামী আজিজুল ইসলাম,(৫)মোঃ আনারুল(০৯) পিতা আবু নেছার মোড়ল, (৬) মোঃ তাইজুল ইসলাম(০৮) পিতা আবু নেছার মোড়ল, (৭)মোছাঃ আইনুন্নাহার(০৫) পিতা আজিজুল ইসলাম, (৮) অনিমা মন্ডল(২৮) স্বামী বিকাশ মন্ডল, (৯)বিউটি মন্ডল(১০) পিতা বিকাশ মন্ডল। আটককৃতরা শ্যামনগর উপজেলার নদীর ধার চন্ডিপুর ও ধুমঘাট এলাকার বাসিন্দা। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত দুরমুজখালী বি জি বির পক্ষ থেকে আটককৃতদের শ্যামনগর থানায় সর্পদ্য করার প্রস্তুতি চলছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নুরনগরে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কমিটি গঠন

পলাশ দেবনাথ, নুরনগর : শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৬১ সদস্য বিশিষ্ট অনুমোদিত এই কমিটিতে শ্রী শিমুল কুমার দেবনাথ কে সভাপতি এবং শ্রী বাপ্পি কুমার দাস সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২৬ ফেব্র“য়ারি এক বছরের জন্য উক্ত কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সহ-সভাপতি শ্রী স্বপন সেন, শ্রী মিঠুন কুমার মোদক, শ্রী প্রশান্ত কুমার মন্ডল। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রী নিতাই চন্দ্র ঘোষ, শ্রী উত্তম রক্ষিত, শ্রী সুশান্ত গায়েন। সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী বাসুদেব মন্ডল এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী স্বরোজিত চন্দ্র গায়েন,শ্রী তাপস কর্মকার সহ ৬১ সদস্যের অনুমোদন দিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভপতি এ্যাডঃ স্বপন কুমার মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ কুমার গায়েন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest