সর্বশেষ সংবাদ-
সাউথ-এশিয়ান পিপলস ডায়ালগে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এগ্রোইকোলজির গুরুত্বারোপগ্রীন টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি হলেন মীর খায়রুলস্থানীয় জাতবৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে নেপালের পারমাকালচারের প্রতিনিধি দলসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভাসাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় ইসলামী সংগীত পরিবেশন : পুলিশ সদস্য মহিবুল্লাহ বরখাস্তসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি ও তার ছেলেকে কারাগারে প্রেরণসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি  লতিফ ও তার ছেলে রাসেল আটকসাংবাদিক মোমিনের সুস্থ্যতা কামনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিবৃতিশ্যামনগরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মাদক জব্দসাতক্ষীরায় ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া বিস্ফোরক দ্রব্যে আহত-২

ক্লিনটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে লিখলেন মনিকা লিউনস্কি

সাবেক হোয়াইট হাউজ ইন্টার্ন মনিকা লিউনস্কি জানিয়েছেন, যে সম্পর্কের কারণে বিল ক্লিনটন (যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট) অভিসংশনের মুখোমুখি হয়েছিলেন তা যৌন হেনস্থা ছিল না। তবে সেখানে বড় ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে।

ভ্যানিটি ফেয়ার সাময়িকীর মার্চ সংস্করণে লিখেছেন মনিকা। সেখানেই তিনি এসব দাবি করেন। মনিকা বলেন সম্প্রতি তিনি চোখে পানি ধরে রাখতে পারেননি যখন ‘#মি টু’ (যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন) এর এক নেতা তাকে বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত যে তখন তুমি একা ছিলে। ‘ আন্দোলনটির প্রশংসা করে মনিকা বলেন, ‘আরও অনেক নারী-পুরুষ আছেন যাদের নিপীড়নের গল্পগুলো আমারটার আগে শোনা উচিত। ‘

মনিকা আরও লিখেছেন, কিছু মানুষ ভাবে যৌন নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনে আমার হোয়াইট হাউজ অভিজ্ঞতার (তিক্ত) কোনো জায়গা নেই, ‘বলা হয়েছে বিল ক্লিনটন ও আমার ঘটনাটি যৌন হেনস্থা ছিল না, যদিও এখন আমরা এটিকে আমরা ক্ষমতার বড় অপব্যবহার হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি। ‘  সূত্র : গার্ডিয়ান

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লাবসা ইউপিতে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাত ॥ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : লাবসা ইউনিয়নের দুর্নীতিবাজ, ভূমিদস্যু, সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী চেয়ারম্যান আলিম কর্তৃক অর্ধ কোটি টাকা দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. মোস্তাফিজুর রহমান শাহনেওয়াজ। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সজলের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, লাবসা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু, মেম্বর মনিরুল ইসলাম, কাজী মনির, সাঈদ আলী সরদার, আসাদুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, সাবেক মেম্বর রবিউল ইসলাম, সরদার নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাবেক সিরাজুল ইসলাম, গাউস, ইয়ারুল, সদর উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি এনামুজ্জামান নিপ্পন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রহমত, প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, মহসিন হাবিব মিন্টু প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যখন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। ঠিক তখনই সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম ইউনিয়নের উন্নয়নের কোন কাজ না করে অর্ধকোটি টাকা লুটপাট করে। শুধু তাই নয় চেয়ারম্যান আলিম একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু, সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী। ওই চেয়ারম্যান ইতোপূর্বে সংখ্যালঘু নিতাই মুহুরীর জমি দখল করে তাকে দেশে ছাড়া করেছিলো। এছাড়া ভূমিহীন নেতা সাইফুল্লাহ লস্কর হত্যার সাথেও চেয়ারম্যান আলিমের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে সহ-সভপতি পদে থাকা দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম একজন সু-চতুর ব্যক্তি। তিনি ইউপি সচিবের যোগ সাজসে ইউনিয়নের সকল মেম্বরদের কাছ থেকে রেজুলেশন বিহীন সাদা কাগজে সহি করিয়ে নেয়। কি কারণে মেম্বরদের কাছ থেকে সাদা কাগজে সহি নেওয়া হয়েছে সে বিষয় কোনো ইউপি সদস্যকে জানানো হয়নি। রেজুলেশন বিহীন সাদা কাগজে সহি এর বিষয় জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন রেজুলেশন পরে লিখে নেব। উক্ত রেজুলেশন বিহীন সকল কাগজপত্র ইউনিয়ন পরিষদে না রেখে চেয়ারম্যান তার নিজ বাড়ীতে নিয়ে রাখেন যেন কেউ তা দেখতে না পারে। এ বিষয় কেউ কিছু বলতে গেলে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি- ধামকি দিয়ে থামিয়ে রাখা হয়।
বক্তারা আরো বলেন, আলিম চেয়ারম্যান এতটায় হীন মানসিকার মানুষ যে তিনি তার চাচাতো ভাইয়ের জমি জবর দখল করে নিতেও দিধাবোধ করেন নি। তিনি শুধু নিতে জানেন কাউকে দেওয়ার মতো মানুষিকতা তার নেই। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে ভিটেছাড়া করতেও তিনি এতটুকু কার্পন্য করেন না। যার উজ্জল দৃষ্টান্ত তারই ইউনিয়নের সংখ্যালঘু নিতাই মুহুরী। এ ঘটনায় ভূমিহীন নেতা সাইফুল্লাহ লস্কর তার পক্ষ নিয়ে কথা বলায় তাকেও অকাতরে জীবন দিতে হয়েছে ওই চেয়ারম্যান আলীমসহ তার সহযোগীদের হাতে। বক্তারা আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের রুমে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ছবি থাকায় চেয়ারম্যান সেই রুমে বসে কোনো দিন মিটিং করেননি। ইউপি নির্বাচন দুই বছরের অধিক সময় ধরে অতিবাহিত হলেও চেয়ারম্যান মাত্র কয়েকদিন পরিষদে এসেছেন। মেম্বরদের নিয়ে কোন দিন মিটিং পর্যন্তও করেন নি। ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকদের কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধনের জন্য ৫০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি জনপ্রতি ১শ টাকা করে নিয়েছেন। এ বিষয়ত জানতে চাইলে তিনি বলতেন এটা আমার বিষয় আপনাদের বিষয় না। নাশকতামুলক কর্মকান্ডের সাথে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। যে কারণে চেয়ারম্যান বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে প্রকল্পের কাজ না করে ১২লক্ষ ১৫হাজার ৮৮৮ টাকা এবং হাট ইজারা থেকে পাওয়া ৩৭লক্ষ ২৮হাজার ৭২৩টাকা মোট ৪৯লক্ষ ৪৪হাজার ৬১১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এঘটনায় রোববার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত র্নীতিবাজ, ভূমিদস্যু, সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী চেয়ারম্যান আলিমের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বক্তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের উপকরণ উত্তর কোরিয়ার

উত্তর কোরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এমন উপকরণ সিরিয়ায় সরবরাহ করছে বলে মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের তৈরি করা একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। খবর বিবিসি।

রাসায়নিক অস্ত্রে ব্যবহৃত উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে, এসিড প্রতিরোধী টাইলস, ভালভ ও থার্মোমিটার। টাইলসগুলো রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কারখানা নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের সিরিয়ার অস্ত্র তৈরির কারখানাগুলোতে দেখা গেছে।

সম্প্রতি সিরিয়ার ঘৌটায় বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সিরীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে সিরিয়া।

সিরিয়ার বিরোধীদলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলছে, হামলার শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বেশ কয়েকজনকে পাশ্ববর্তী আল-শিফোনিয়ায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের শ্বাসনালীতে যন্ত্রণা, প্রদাহ, চোখ জালা-পোড়া ও মাথা ঘোরার লক্ষণ পাওয়া গেছে।

হোয়াইট হেলমেট বলছে, বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্টে ভুগছেন। বিদ্রোহীদের হাত থেকে পূর্ব ঘৌটার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার লক্ষ্যে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনী একাধিক ফ্রন্ট থেকে হামলা চালিয়ে আসছে। গত এক সপ্তাহে পূর্ব ঘৌটায় সরকারি বাহিনীর হামলায় নারী শিশুসহ পাঁচ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে বহুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও বার বার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক খবরে জানানো হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে একটি চীনা ট্রেডিং ফার্মের মাধ্যমে পণ্যের পাঁচটি চালান সিরিয়ায় পাঠানো হয়েছে। এগুলো কয়েক বছর ধরে পাঠানো বহু চালানের একটি অংশ।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে আরও জানানো হয়েছে সিরিয়ার সরকারি সংস্থা দ্য সায়েন্টিফিক স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (এসএসআরসি) বেশ কয়েকটি ফ্রন্ট কোম্পানির মাধ্যমে এসব চালানের মূল্য পরিশোধ করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘ব্যক্তিগত জীবনে চরম অসুখী ছিলেন শ্রীদেবী’

‘ব্যক্তিগত জীবনে চরম অসুখী ছিলেন। সাদা চোখে যা দেখা যায়, তার থেকে বাস্তব জীবন কতটা বিপরীত হতে পারে, তার চরম দৃষ্টান্ত ছিলেন শ্রীদেবী।’- কথাগুলো বলেন পরিচালক রামগোপাল বর্মা।

এক খোলা চিঠিতে এ নায়িকার অকাল মৃত্যুতে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন- ‘অনেকের কাছেই শ্রীদেবী ছিলেন একেবারে ‘পারফেক্ট’। সুন্দর মুখ, দুরন্ত প্রতিভা, সুখী সংসারে থিতু- দুটি ফুটফুটে মেয়ের মা। বাইরে থেকে সব কত ঈর্ষাজনক, লোভনীয় মনে হতো। কিন্তু শ্রীদেবী কি ব্যক্তিগতজীবনে সত্যিই সুখী ছিলেন?’

‘গ্রেট রবারি’, ‘গোবিন্দা… গোবিন্দা’, ‘হয়রান’–এর মতো পর পর ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন রামগোপাল বর্মা ও শ্রীদেবী।

তেলেগু ছবি ‘ক্ষণ ক্ষণম’–এর সেটে তার সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় রামগোপালের।

পরিচালক লিখেছেন- ‘বাবা বেঁচে থাকতে শ্রীদেবীর জীবন ছিল মুক্ত বিহঙ্গের মতো। তার মৃত্যুর পর মায়ের হাতে পড়ে খাঁচায় বন্দি পাখির দশা হয়েছিল তার। সবকিছুতেই মায়ের কড়া নজর থাকত…। বনি কাপুরকে যখন বিয়ে করেছিলেন শ্রীদেবী, তখন তিনি প্রায় কপর্দকশূন্য। বনির অবস্থাও তখন বেশ খারাপ। টাকা-পয়সা নেই বললেই চলে। মায়ের মৃত্যুর পর অভিনেত্রীর একমাত্র বোন শ্রীলতা বাড়ি থেকে পালিয়ে তার প্রতিবেশীকে বিয়ে করেন। এবং সম্পত্তির ভাগ দাবি করেন। যদিও সম্পত্তির সবই ছিল শ্রীদেবীর কষ্টার্জিত উপার্জন। তার মা তাকেই সব দিয়ে গিয়েছিলেন…। সারা দেশের নয়নমণি ছিলেন তিনি। অথচ কঠিন সেই সময়ে এক বনিকে ছাড়া কাউকেই পাশে পাননি শ্রীদেবী। স্ত্রী নামি সাংবাদিক মোনা শৌরিকে বিচ্ছেদ দিয়ে ১৯৯৬–এ শ্রীদেবীকে বিয়ে করেন বনি। এক পাঁচতারকা হোটেলে সন্তানসম্ভবা অভিনেত্রীর পেটে লাথি মেরেছিলেন বনির মা! বউমা মোনার ঘরভাঙার জন্য তাকে দায়ী করেছিলেন।

রামগোপাল আক্ষেপ করেছেন, সারাজীবন দুঃখকষ্টই পেয়েছেন শ্রীদেবী। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ে আসা। স্বাভাবিক জীবনের স্বাদই পাননি। ফলে গভীর অসুখী ছিলেন। অন্তরের ব্যথা ঢাকতে নিজেকে বাইরে থেকে বেশি সুন্দর রাখতে খুবই উদ্যোগী ছিলেন শ্রীদেবী।

রামগোপাল লিখেছেন- ‘খুব লাজুক ছিলেন শ্রীদেবী। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন। আত্মবিশ্বাস বলে কিছুই ছিল না। আর সব সময় আতঙ্কে থাকতেন- পাছে কেউ তার মনের অবস্থা বুঝে ফেলেন! তাই একটা অদৃশ্য দেয়াল তুলে রাখতেন, যা সহজে ভেদ করা যেত না।’

লিখেছেন- নিজস্ব মতামত ছিল না বলেই কখনও বাবা–মায়ের, কখনও আত্মীয়স্বজন, স্বামী- এমনকি সন্তানদের ইচ্ছেতেও সায় দিতে হতো। একেবারে শিশু বয়সে খ্যাতি পাওয়ায় স্বাধীনচেতা হওয়ার সুযোগ ঘটেনি, যা ইচ্ছে তাই করার সাহস হয়নি। তাই ক্যামেরার সামনেই শুধু নয়, পেছনেও ‘মেকআপ’ করে থাকতেন শ্রীদেবী। মনের অবস্থা ঢাকার একটা চেষ্টা করতেন। একই সঙ্গে অন্য অভিনেত্রীর মতো বয়স বাড়া তাকেও বিচলিত করত। বয়স ঢাকার জন্য অনেক অস্ত্রোপচারও করতেন। বহু বছর ধরে করেছেন। তা দেখেই অনুমান করা যেত। তবে কোনো কিছুই তার বেদনা ঢাকতে পারেনি। তার চোখে বেদনা দেখা যেত। ব্যক্তিগতজীবনে বারবার আঘাতে জেরবার হয়ে সহজে বিশ্বাস করতে পারতেন না।

পরিচালক লিখেছেন- অনেক পরিচিতের মতোই বাথটাবে ডুবে শ্রীদেবীর মৃত্যুর ঘটনাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। তার অনুমান, এর পেছনে অবসাদের ওষুধ আছে! লিখেছেন, ‘অবসাদে অনেকে আত্মহত্যা করেন। অনেকে অবসাদ মেটাতে কাঁড়ি–কাঁড়ি ওষুধ খান। বোঝেনও নাকি মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে!’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্রীদেবীর শেষ বিজ্ঞাপন

শ্রীদেবীর শেষ বিজ্ঞাপন

কর্তৃক Daily Satkhira

শ্রীদেবীর বয়স ৫০-এর কোটা পারলেও তিনি যে এখনও আট থেকে আশির হৃদয়ে রাজত্ব করেন, তা বেশ স্পষ্ট। শনিবার রাতে শ্রীদেবীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা দেশ জুড়ে জল্পনা শুরু হয়। শ্রীদেবী মৃত্যুর পর যখন বলিউড অভিনেত্রীর একের পর এক ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, সেই সময় সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হল শ্রীদেবীর আরও একটি বিজ্ঞাপন।

একটি নামি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে শ্রী-কে। বড় পর্দার বাইরেও যে শ্রীদেবী সব সময় সমানভাবে জনপ্রিয়, তা এই বিজ্ঞাপন থেকেই বেশ স্পষ্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেদহীন পেটের জন্য লড়াই

বয়স বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে ভুড়িটা। অবস্থা এমনই, এগিয়ে যাওয়ার দৌড়ে শরীরের অন্য সব অংশকে ছাড়িয়ে গেছে এ অংশটি। আর এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। থাকবে না কেন, পেটটির জন্য কতই না অস্বস্তি। হাঁটাচলায় সমস্যা তো আছেই, স্বাভাবিক প্রায় সব কাজেই অস্বস্তি হয়। একটু জোরে হাঁটলেই হাঁসফাঁস অবস্থা। আর তাই মেদহীন পেটের অধিকারী হতে কতই না চেষ্টা। তবে একটু চেষ্টা করলে সহজেই মেদহীন পেটের অধিকারী হওয়া যায়। আর এ জন্য যেমন দরকার ব্যায়াম, তেমনি খাবার তালিকার প্রতিও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।

বেশি বেশি পানি পান

আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশই পানি। পানির উপস্থিতিতেই শরীরের বিপাকীয় ক্রিয়া চলে। আর তাই যখন শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকে, তখন বিপাকীয় ক্রিয়াটা চলে স্বাভাবিকভাবে। যার অর্থ হলো স্বাভাবিক নিয়মে আমরা যে খাবার খাই, তা সহজে হজম হতে পানির প্রয়োজন। আর পর্যাপ্ত পানি পান করার অর্থ হলো মেদহীন পেটের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।

লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা

লবণজাতীয় খাবার, যেমন—প্যাকেটজাত খাবার, চিপস, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে যেতে হবে। সংরক্ষিত খাবারে সাধারণত বেশি লবণ থাকে। সেই কারণে এসব খাবার খাওয়ার আগে লবণের পরিমাণটা জেনে নেওয়া ভালো। স্বাদের জন্য লবণ প্রয়োজনীয় হলেও অতিরিক্ত লবণ শরীরের জন্য খারাপ। কেননা লবণ পানি শোষণ করে নেয়। এ কারণে অনেক সময় শরীর পানিশূন্যতায় ভোগে।

ফাস্ট ফুড থেকে দূরে থাকা

আজকাল প্রায় সব ঘরেই ফ্রিজ আছে। আর ফ্রিজ থাকা মানে অস্বাস্থ্যকর সব খাবারের সমারোহ। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার সরিয়ে ফ্রিজে তাজা ফল ও শাক-সবজিকে স্থান করে দিতে হবে। তা ছাড়া রান্নার সময় অতিরিক্ত সময় চুলায় না রাখা ভালো। কেননা বেশিক্ষণ তাপে রাখলে খাবারের পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়ানোর জন্য সাপ্তাহিক খাবারের একটি তালিকা তৈরি করা যেতে পারে। এতে আগামী এক সপ্তাহ কী কী খাওয়া দরকার এবং কী কী খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে, তা সহজেই বোঝা যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এগুলো স্মৃতিশক্তির খাবার

আঙুরের রস

এর ‘কেভারেটল’ উপাদান স্মৃতিশক্তি উর্বর রাখতে দারুণ সহায়তা করে। তাই একটু বেশি মাত্রায় এই ফলের রস খাওয়া শুরু করলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের অন্য অনেক ধরনের রোগ হওয়া থেকেও পরিত্রাণ মেলে।

জাম
নিয়মিত মাত্র এক কাপ করে জাম খেলেই চলবে। এতে শরীরের ভেতর বেশ কিছু পুষ্টি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করবে, যা নার্ভ সেলের ক্ষত সারানোর মধ্য দিয়ে সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

দারচিনি ও মধু
এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চিমটি দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। এতে মস্তিষ্কের ক্ষমতা তো বাড়বেই, অনিদ্রাও দূর হবে।

বাদাম
বাদামে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। এ দুটি উপাদান স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হলুদ
গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদে আছে কারকিউমিন নামক উপাদান, যা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি অনেক রোগবালাই দূরে রাখে।

আমলকী
২০০৭ সালে ‘জার্নাল অব ফিজিওলজি অ্যান্ড বিহেভিয়ার’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আমলকীর ভিটামিন ‘সি’ আলঝেইমারস রোগ দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিকালে শ্রীদেবীর শেষকৃত্য

চাঁদনি’-কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ইতিমধ্যেই অনুরাগীরা ভিড় জমাচ্ছেন লোখান্ডওালার সেলিব্রেশন স্পোটর্স কমপ্লেক্সে। বুধবার বিকালে এখানেই হবে শ্রীদেবীর শেষকৃত্য।

মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুর বাহাত্তর ঘণ্টা পরে মুম্বাইয়ে ফিরেছে শ্রীদেবীর লাশ। বিমানবন্দর থেকে লাশ নিয়ে ‌যাওয়া হয় লেখান্ডওয়ালায় তাঁর বাংলোয়। সেখানেও বলিউডের বহু তারকার ভিড়। কাপুর পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বুধবার সকাল সাড়ে নটা থেকে সাড়ে বারোটা অভিনেত্রীর মরদেহ রাখা হবে সেলিব্রেশন স্পোর্টস কমপ্লেক্সে।

সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন ভক্তরা। তবে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ক্যামেরা নিয়ে ঢোকা ‌যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। সকাল নটা নাগাদ শ্রীদেবীর বাংলো থেকে মরদেহ নিয়ে ‌যাওয়া হয় সেলিব্রেশন ক্লাবে। মরদেহের সঙ্গে ছিলে বনি কাপুরের ভাই সঞ্জয় কাপুর।

মহারাষ্ট্র ছাড়াও অন্ধ্র ও তামিলনাড়ু থেকে অনুরাগীরা শ্রদ্ধা জানাতে আসতে পারেন। একথা মাথায় রেখে সেলিব্রেশন ক্লাবে এলাহি পুলিসি ব্যবস্থা করা হয়েছে। বনি কাপুরের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ শ্রীদেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ভিলে পার্লের সেবা সমাজ ক্রিমেটোরিয়ামে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest