সর্বশেষ সংবাদ-
সাউথ-এশিয়ান পিপলস ডায়ালগে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এগ্রোইকোলজির গুরুত্বারোপগ্রীন টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি হলেন মীর খায়রুলস্থানীয় জাতবৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে নেপালের পারমাকালচারের প্রতিনিধি দলসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভাসাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় ইসলামী সংগীত পরিবেশন : পুলিশ সদস্য মহিবুল্লাহ বরখাস্তসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি ও তার ছেলেকে কারাগারে প্রেরণসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি  লতিফ ও তার ছেলে রাসেল আটকসাংবাদিক মোমিনের সুস্থ্যতা কামনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিবৃতিশ্যামনগরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মাদক জব্দসাতক্ষীরায় ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া বিস্ফোরক দ্রব্যে আহত-২

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাতক্ষীরা পৌর ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের পূর্বের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। সাথে সাথে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে তন্ময় কুমার মন্ডলকে সভাপতি ও মোঃ উজ্জল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়ার হয়। ২৮ ফেব্র“য়ারি সাতক্ষীরা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রমজান আলী রাতুল ও সাধারণ সম্পাদক আসাফুর রহমান শাওন স্বাক্ষরিত একপত্রে এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সাকিব আল হাসানকে প্রথম দুটি ম্যাচে না পাওয়ার মানসিক প্রস্তুতি ছিল দলের। তবে এখন অধিনায়ককে পুরো ত্রিদেশীয় সিরিজেই না পাওয়ার শঙ্কায় বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডে কোনো সুখবর পাননি সাকিব। দেশে ফেরার পর এক সপ্তাহ বিসিবির চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন এই অলরাউন্ডার।

দেশের মাটিতে গত ২৭ জানুয়ারি ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে আঙুলে চোট পান সাকিব। সেই চোট তাকে বাইরে রেখেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে। সেরে না উঠলেও ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে রাখা হয় এই অলরাউন্ডারকে।

গত সোমবার অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে থাইল্যান্ড যান সাকিব। সেখানে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার জেনেছেন, দুই সপ্তাহ ফিজিওথেরাপি নিতে হবে তাকে।

বিসিবির প্রধান ক্রীড়া চিকিৎসক ডা.দেবাশীষ চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডে একবার ফিজিওথেরাপি নিয়ে দেশে ফিরবেন সাকিব।

“এরপর ওকে আরও এক সপ্তাহ ফিজিওথেরাপি দেওয়া হবে। এরপর আমরা দেখব পরিস্থিতি কি। যদি অগ্রগতি হয় তাহলে এটা চলতে থাকবে, নয়তো আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।”

চোট থেকে সেরে উঠার পর শুরু হবে সাকিবের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।

বৃহস্পতিবার রাতে দেশে ফিরবেন সাকিব। পরদিন শুরু হবে ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, সাকিবের সঙ্গে আলোচনা করে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।

“ও আগে দেশে ফিরুক। ওর সঙ্গে আমরা আলোচনা করি। এরপর ওর শ্রীলঙ্কা যাওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নিতে ৪ মার্চ কলম্বো যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে তাদের প্রথম ম্যাচ ৮ মার্চ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ৩মার্চ খুলনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা তাঁতীলীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা জেলা তাতীলীগের সভাপতি মীর আজাহার আলী শাহীন। সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদ হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় তাঁতীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় তাঁতীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। প্রধান বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় তাঁতীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নেছার উদ্দিন। বিশেষ বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় তাঁতীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন ভুঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, ঢাকা উত্তর রামপুরা থানা তাঁতীলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিরাজুল ইসলাম, জেলা তাঁতীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি এড. শাহেদুজ্জামান সাহেদ(এপিপি), সহ-সভাপতি মিলন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আজিম হোসেন, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হাসান ইমাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ছাত্রনেতা কাজী আক্তার হোসেন,নুর ই আলম মুকুল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহুরুল হক নান্টু, আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এড. তামিম আহমেদ সোহাগ, সদর উপজেলা সভাপতি এনামুজ্জামান নিপ্পন, সহ-সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার সানা, সহ সদর উপজেলা, পৌর ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। দেশের মানুষের উন্নয়ন হয়। মানুষ সুখে শান্তিতে বাসবাস করতে পারে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীককে পুনরায় বিজয়ী করতে হবে। কারণ নৌকা প্রতীকের পরাজয় হলে বাংলাদেশ আবারো পিছিয়ে পড়বে। সেকারণ আবারো নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

২৮.০২.২০১৮

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতার কল্যানে স্লোগানে শিল্পী ঐক্যজোট সাতক্ষীরার আয়োজনে জেলা সম্মেলন ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা শিল্প ঐক্যজোটের আহবায়ক শেখ মনিরুজ্জামান মনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও শিল্পী ঐক্যজোট কেন্দ্রিয় কমিটির পৃষ্টপোষক শিহাব রিফাত আলম, উপদেষ্টা কাজী জিনাত জিনি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ভয়েস অব সাতক্ষীরা’র সম্পাদক এম. কামরুজ্জামান, এস এম দেলোয়ার হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন। সংগঠনের উদ্যোক্তা নাট্য নির্দেশক জিএম সৈকত। উপদেষ্টা হিসেবে আছেন নাট্যাভিনেতা ডিএ তায়েবসহ অনেকে। জোটের কার্যক্রমের মধ্যে দুস্থ শিল্পীদের সহায়তা করা অন্যতম উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুজাতা আজিমকে আজীবন সম্মাননা এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুনসুর আহমেদ ও মো. নজরুল ইসলামকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, এসএম দেলোয়ার হোসেনকে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিল্পী সত্যাতে আমাদের বাচিয়ে রাখতে হবে। না হলে আগামী প্রজন্মে শিল্পী খুজে পাওয়া যাবে না। শিল্পী ও সাংস্কৃতিমনা ব্যক্তিরা জঙ্গিবাদ ও মাদকের সাথে জড়িত থাকতে পারেনা। প্রগতিশীল চিন্তা চেতনা থেকে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি। সাংস্কৃতিক অঙ্গন উন্নত না হলে একটি উন্নয়নের দিকে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারেনা। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে আরো বৃদ্ধি করতে হবে। এবং সাম্প্রদায়িক মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে হবে। অনুষ্ঠনে জিএম সৈকত বলেন, সকলের সহযোগিতা পেলে সাতক্ষীরা থেকে প্রতি বছর ৫জন করে শিল্পীদের তাদের প্রতিষ্ঠিত জায়গায় কাজ করার সুযোগ করে দিবেন এবং সাতক্ষীরার মাটিতে যে ন কোনো ধরনের অপসংস্কৃতি না চলে সেজন্য তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএনএম মঈনুল ইসলাম, সাতক্ষীরা শিল্প ঐক্যজোটের সদস্য সচিব প্রাণ নাথ দাশ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব মোশফিকুর রহমান মিল্টন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকৌশলী অলোক সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আলিফ খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৪টায় সিটি কলেজ সংলগ্ন সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের উপর এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আলিফ খান, উপ-প্রচার সম্পাদক কাজী ফাহিম, এইচ এস সি ১ম বর্ষের সভাপতি আররাফিউ জিমি সুমন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, কৃষি ডিপ্লোমা বিভাগের সভাপতি মিঠুন সরদার ও সাধারণ সম্পাদক লতিফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ। এসময় বক্তারা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, কলেজ ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্যা দিয়ে এধরনের সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। সংবাদে যে সময় ওই ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সময়ে সেখানে এধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। উক্ত কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি, সাবেক ছাত্রনেতা প্রভাষক এএমবি মামুন হোসেনের ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিল ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদ। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক হাসান্জ্জুামান শাওনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহীনুল আলম সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাওন, সাবেক সভাপতি আহছান হাবিব লিমু, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি কাজী শাহেদ পারভেজ(ইমন), সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলিফ খান, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান পাপ্পু, সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনসহ জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ। বিগত ২০১৩ সালের এই দিনে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা ছাত্রলীগ নেতা মামুন কে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছিলো। এঘটনায় মামলা হলেও হত্যাকান্ডের ৫বছর অতিবাহিত হলেও হত্যাকারীদের কোন বিচার হয়নি। আসামীরা আজও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামুন হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানান তারা। এছাড়া সাতক্ষীরার মাটিতে আর যেন কোন ছাত্রলীগ নেতার এমন নির্মম মৃত্যু না হয় সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য প্রশাসনসহ দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। এর আগে একটি র‌্যালি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

অনলাইন ডেস্ক: সুন্দরবনে এক থেকে দেড় হাজার বছরের পুরোনো মানববসতির নিদর্শন পাওয়া গেছে। নিদর্শনটি আবিষ্কৃত হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম এই শ্বাসমূলীয় অরণ্যের পাঁচটি জায়গায়। হাজার বছর আগে ব্যবহৃত মানুষের বিচিত্র ব্যবহার্য সামগ্রীও পাওয়া গেছে বনের নানা স্থান থেকে। ইসমে আজম নামে এক গবেষকের ব্যক্তিগত ও একাগ্র অনুসন্ধানে এসব নিদর্শন উদ্‌ঘাটিত হয়েছে।

• খেজুরদানা, আড়পাঙ্গাশিয়া ও শেখেরটেকে সবচেয়ে বড় স্থাপনাগুলোর সন্ধান।
• আরও কিছু স্থাপনার খোঁজ খোলপটুয়া নদীতীরে এবং খুলনা অংশের কটকায়।
• স্থানগুলো কমপক্ষে এক হাজার থেকে বারো শ বছরের পুরোনো বলে ধারণা।
• স্থাপনাগুলোতে ব্যবহৃত ইটের বৈশিষ্ট্য ও স্থাপনারীতি পাল আমলের।
• বনের গভীরে বসতির চিহ্ন।

সুন্দরবনের সাতক্ষীরার শ্যামনগর অংশ থেকে নদীপথে ৮৩ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগর উপকূলের খেজুরদানা, আড়পাঙ্গাশিয়া ও শেখেরটেকে সন্ধান পাওয়া গেছে সবচেয়ে বড় স্থাপনাগুলোর। আরও কিছু স্থাপনার খোঁজ মিলেছে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা অংশের খোলপটুয়া নদীতীরে এবং খুলনা অংশের কটকায়। ঢেউয়ের তোড়ে নদীর পাড় ভেঙে মাটির আস্তরণ সরে যাওয়ায় পুরোনো এসব স্থাপনা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।

এর আগেও সুন্দরবনে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের ১৯৯৮ সালের জরিপ এবং বন বিভাগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও মালয়েশিয়ার তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপে কিছু স্থাপনার খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক হ‌ুমায়ূন আখতার এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইসলামের গবেষণার বিষয় সুন্দরবনের ভূতাত্ত্বিক গঠন এবং বিলুপ্ত লবণশিল্প। তাঁদের গবেষণায়ও বেশ কিছু পুরোনো স্থাপনা ও নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে সেসব গবেষণা ও জরিপে সুন্দরবনের প্রাচীন কিছু স্থাপনা চিহ্নিত করা হলেও সেগুলোর সময়কাল এবং সেগুলো ব্যবহারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি। সেখানে মানববসতির তথ্যও কেউ দেয়নি।

সুন্দরবনের ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণায় যুক্ত জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষক দল সেখানে হাজার বছরের পুরোনো লবণ উৎপাদননির্ভর একটি বড় শিল্পনগরী ও বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল বলে অনুমান করছে। একটি বন্দরের আভাসও তারা পেয়েছে।

 

কতটা প্রাচীন
সুন্দরবনে পাওয়া প্রাচীন স্থাপনাগুলো নিয়ে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে যোগ দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক উয়ারী-বটেশ্বরখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ সোহরাবউদ্দীন। তাঁদের ধারণা, স্থানগুলো কমপক্ষে এক হাজার থেকে বারো শ বছরের পুরোনো। স্থাপনাগুলো পর্যবেক্ষণ এবং সেসবের শৈলী বিশ্লেষণ করে সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ধারণা করেন, এগুলোতে ব্যবহৃত ইটের বৈশিষ্ট্য ও স্থাপনারীতি পাল আমলের। সে হিসেবে স্থাপনাগুলো আনুমানিক এক হাজার থেকে বারো শ বছর আগের তৈরি। বাণিজ্য ও শিল্পের কাজে এসব স্থাপনা তৈরি হলেও সেখানে স্থায়ী মানববসতি ছিল বলে তাঁর অনুমান।

বাঘ গণনা ও সংরক্ষণের কাজে সুন্দরবনের দুর্গম অঞ্চলে ইসমে আজমের যাতায়াত সাত বছর ধরে। কাজ করতে গিয়ে বনের মধ্যে তিনি এসব ভগ্নস্তূপ ও মানুষের ব্যবহার্য সামগ্রী দেখতে পান। পরে সুন্দরবনের পাড় ভেঙে গেলে এবং মাটির ওপরের স্তর সরে গেলে বেরিয়ে আসা স্থাপনাগুলো তাঁর চোখে পড়ে। প্রত্নতাত্ত্বিকের মতো কৌতূহলে তিনি ব্যবহার্য সামগ্রীগুলো সংরক্ষণ করেন। এসব নিদর্শন ও স্থাপনার তথ্য-উপাত্তও সংগ্রহ করতে থাকেন।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের পাশ থেকেই ভারতীয় সুন্দরবনের সীমানার শুরু। গত জানুয়ারি মাসে এই প্রতিবেদক ভারতীয় সুন্দরবনের সাগর দ্বীপ, মৌসুনী দ্বীপ ও হ্যামিলটন দ্বীপের প্রাচীন স্থাপনা দেখতে পান। ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিকেরা মনে করেন, সেগুলো এক থেকে আড়াই হাজার বছর আগেকার। খ্রিষ্টপূর্বকালে বাংলা অঞ্চলে গড়ে ওঠা গঙ্গাঋদ্ধি রাজ্য সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল বলে ভারতীয় ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের ধারণা। তাঁদের মতে, সাতক্ষীরা অঞ্চলটি ছিল ওই রাজ্যের বন্দর ও বাণিজ্য এলাকা।

ভারতীয় সুন্দরবনের প্রত্নগবেষক ও ভারতের সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের (পূর্ব ভারত) জ্যেষ্ঠ ফেলো ড. শর্মি চক্রবর্তীর সঙ্গে এ নিয়ে প্রথম আলোর কথা হয়। বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনের প্রত্নস্থাপনা ও সামগ্রীর তথ্য ও ছবি পর্যালোচনা করে তিনি বলেন, ভারতীয় সুন্দরবনের প্রত্ননিদর্শনের সঙ্গে এর মিল আছে। তাঁর ধারণা, চতুর্ভুজ স্থাপনা ও ঘাটলার মতো জায়গাগুলোর বয়স ৬০০ থেকে ৭০০ খ্রিষ্টাব্দ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অন্যান্য প্রত্ননিদর্শন ও সামগ্রী মধ্যযুগের। তবে সামগ্রিকভাবে সুন্দরবনে মানববসতির বয়স অন্তত দেড় হাজার বছর।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আরেক অধ্যাপক স্বাধীন সেন বাংলাদেশের নদীর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের গবেষক। তাঁরও ধারণা, এসব স্থাপনা ও ব্যবহার্য সামগ্রী এক হাজার থেকে বারো শ বছর আগেকার। বাণিজ্য ও লবণ উৎপাদনের কাজে বিভিন্ন সময়ে সেখানে মানববসতি গড়ে উঠেছিল বলে তিনি মনে করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বহিঃশত্রুর আক্রমণে বারবার তা ধসে পড়েছে, আবার গড়ে উঠেছে।

গত ২৩ জানুয়ারি ভোরে প্রথম আলোর উদ্যোগে সুন্দরবনে সাত সদস্যের দলটির অনুসন্ধানী যাত্রা শুরু। সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে সূর্যোদয়ের খানিক আগে রওনা দিল স্পিডবোট। ৮৩ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিলে সেই স্থাপনা। কিন্তু ডাঙায় ভেড়ার আগেই শক্ত কিছুতে আটকে গেল স্পিডবোট। চোখে পড়ল দূরে বনের কোল ঘেঁষে পড়ে থাকা ইটের স্তূপে।

বনের এ দুর্গম অংশে মানুষের বসতি নেই। শৌখিন প্রত্নতাত্ত্বিক ইসমে আজমের নির্দেশে তীরে নামলেন সবাই। পায়ের তলাতেই ঠেকল ইটের সারি। সে পথ ধরে এগোতে হলো আরও প্রায় ২০০ মিটার।

অবশেষে পৌঁছানো গেল ওই স্তূপাকার ইটের কাছে। উত্তেজনার রেশ কাটিয়ে সুফি মোস্তাফিজ ও সোহরাবউদ্দীন মগ্ন হয়ে পড়লেন ইটের স্তূপের রহস্য ভেদ করার কাজে। সরানো হলো ওপরে জমে থাকা ভাঙা ইট আর গাছের শিকড়বাকড়। সেসব সরাতেই বেরিয়ে এল চাপা পড়ে থাকা কোনো কক্ষের ছাদের মতো চতুর্ভুজ কাঠামো। ইটের মাপ নিলেন সোহরাব আর ইসমে আজম। হাতে ইট নিয়ে তার বৈশিষ্ট্য ও আকার বিশ্লেষণ করে সুফি মোস্তাফিজ বললেন, ৩২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য আর ২৮ ইঞ্চি প্রস্থের এ-জাতীয় ইট সর্বশেষ ব্যবহৃত হয়েছে পাল আমলে। সে হিসাবে স্থাপনাটির বয়স অন্তত এক হাজার থেকে বারো শ বছরের পুরোনো। তিনি আরও বললেন, ‘স্থাপনাটির নির্মাণশৈলী দেখে বোঝা যাচ্ছে, এখানে স্থায়ী মানববসতি ছিল।’

ইটের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে চোখে পড়ল ৫০ থেকে ৮০ মিটার পরপর অভিন্ন বৈশিষ্ট্যের আরও দুটি স্থাপনা। পিচ্ছিল পথ ধরে পৌঁছানো গেল সেখানে। কিছু ইট সরানোর পর এখানেও পাওয়া গেল একই ধাঁচের ইটের কাঠামো। ইসমে আজম জানালেন, আরও চার-পাঁচটি এ-জাতীয় স্থাপনা এখানে আছে। সব মিলিয়ে পুরো এলাকার আয়তন হবে প্রায় পাঁচ বর্গকিলোমিটার। সাত বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানালেন, এলাকাটি আগে ছিল বনভূমি। পাঁচ-ছয় বছর ধরে ভূমির ক্ষয় ও ভাঙনে মাটির নিচ থেকে কাঠামো বেরিয়ে আসছে। খোলপটুয়া নদীর ধারেও বেরিয়ে এসেছে আরেকটি ইটের কাঠামো। তাঁর অনুমান, সেটি প্রাচীন সময়ের কোনো সমুদ্রবন্দর। কালের প্রহারে বিধ্বস্ত হয়েছে।

বন্দর আকৃতির ওই স্থাপনায় স্পিডবোটে চেপে যেতে লাগল আধঘণ্টা। এখানকার ইটের বৈশিষ্ট্য দেখেও সুফি মোস্তাফিজ মত দিলেন, স্থাপনাটির বয়স এক হাজার থেকে বারো শ বছর। পুরোনো গবেষণার অভিজ্ঞতার সূত্র ধরে তিনি বললেন, পাল, সেন, সুলতানি ও মোগল আমলে ব্যবহৃত ইটের পার্থক্য খুব সুনির্দিষ্ট। পাল আমলের ইট বড় পাটা আকৃতির। যত সময় গেছে, ইটের আকার ক্রমেই ছোট ও সরু হয়েছে। পাল আমলের পর এই আকারের ইট আর ব্যবহৃত হয়নি।

শুধু প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতামতের ভিত্তিতে কি একটি এলাকাকে হাজার বছরের পুরোনো বলা আদৌ সম্ভব? এ প্রশ্নের উত্তর দিলেন সোহরাবউদ্দীন। সুন্দরবনের ভূতাত্ত্বিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে জার্মানির ব্রেম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় তিনি জড়িত ছিলেন। বললেন, সুন্দরবনের কটকায় তাঁরা বেশ কিছু প্রাচীন লবণ তৈরির চুল্লি ও পাত্র পেয়েছেন। জার্মানির গবেষক দলটি কার্বন ও তাপমাত্রা পরীক্ষা করে সেগুলোর বয়স সুনির্দিষ্টভাবে বের করেছে। ওই গবেষণায় বাংলাদেশ অংশের দলনেতা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক হ‌ুমায়ূন আখতার। তাঁর গবেষণায় দেখা গেছে, কটকার লবণ কারখানাগুলোর মধ্যে তিনটির বয়স ২৫০ থেকে ৩০০ বছর, দুটির ৬০০ বছর এবং একটির এক হাজার বছর।

কটকায় এই গবেষকেরা টাইগার হিল নামের একটা ঢিবি খুঁজে পেয়েছিলেন। তাতে পানি পরিশোধনের ছাঁকনি ও বর্জিত পানি নিষ্কাশনের নালা ছিল। তাঁদের ধারণা, সেটি ছিল উন্নত প্রযুক্তির লবণ কারখানা। ২৫০ থেকে এক হাজার বছর আগে সেখানে উৎপাদিত লবণ পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপে রপ্তানি হতো। হ‌ুমায়ূন আখতার আরও ব্যাখ্যা করে বললেন, ‘আমরা ধারণা করছি, এখন যেখানে সুন্দরবন, সেখানে একসময় লবণ তৈরির বিশাল কারখানা ছিল। অন্তত এক হাজার বছর আগে থেকে এই লবণ তো আশপাশের কোনো বন্দর থেকেই রপ্তানি হতো। খেজুরদানাসহ আশপাশের এলাকা সম্ভবত সেই প্রাচীন বন্দরের ধ্বংসাবশেষ।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইসলাম এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, হাজার বছর আগে থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাজুড়ে উন্নত মানের লবণ তৈরি হতো। সমুদ্র দূরে সরে যাওয়া, ভূমি দেবে যাওয়া এবং দীর্ঘ সময়জুড়ে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেটি ধ্বংস হয়ে গিয়ে থাকতে পারে। শত শত বছর ধরে তার ওপর পলি পড়েছে। ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে সুন্দরবন।

এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কার হওয়ার ঘটনাটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের উন্মোচন বলে মনে করছেন সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ওই স্থাপনাগুলো নিয়ে আরও গভীরতর গবেষণা হলে সুন্দরবন এবং এই এলাকার ইতিহাস সম্পর্কে অনেক চমক লাগানো তথ্য হয়তো আমরা পাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমা ইতিহাসে খ্রিষ্টপূর্বাব্দ কাল থেকে বাংলা একটি সমৃদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। হাজার বছর আগের লবণ চাষ, সমুদ্রতীরে প্রাচীন বসতি হয়তো সেই পরিচয়কে আরও স্পষ্ট করে তুলবে।’

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া প্রতিনিধি: মেধাই সম্পদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিই ভবিষ্যৎ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কলারোয়া উপজেলায় ৩দিন ব্যাপী জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ, বিজ্ঞান মেলা এবং ৩৯ তম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এর সমাপনি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বেলা ১টায় কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চত্তরে ৩০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশ গ্রহনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন এমপি এড.মুস্ফা লুৎফুল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ অাহম্মেদ স্বপন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন। এছাড়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ও বক্তব্য দেন উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হারুন-অর-রশিদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমানুল্লাহ আমান, উপজেলা একাডেকি সুপার ভাইজার তাপস কুমার দাস, প্রধান ক্ষিক বদরুজ্জামান বিপ্লব, আখতার আসাদুজ্জামান চান্দু, রুহুল আমিন, মাওলানা বজলুর রহমান সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, স্কুল, কলেজ, মাদ্রসা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কলারোয়া আলিয়া মাদ্রসার সহকারী শিক্ষক শেখ শাহাজান আলী শাহিন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ পুরস্কার বিতরন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest