সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

রক্তে শর্করার মাত্রা ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে পপকর্ন

পপকর্ন ফ্যাট ফ্রি, সুগার ফ্রি ও লো ক্যালরি খাবার। এক কাপ পপকর্নে মাত্র ৩০ ক্যালরি থাকে। অথচ আঁশযুক্ত খাবার হওয়ায় অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে। ক্ষুধা কম পায়। এভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে পপকর্ন।

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ পপকর্ন রক্তে ফ্রি-র‌্যাডিক্যালস-এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যা চুল পড়া, অ্যালঝেইমার’স-এর মতো বয়সকালীন সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করে।

পপকর্নে ফাইবার, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পরিমাণ প্রচুর। যা হজমে সাহায্য করে ও পেট পরিষ্কার রাখে। পপকর্ন রক্তনালী ও ধমনীর দেওয়ালে কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয়। ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে ও হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। পপকর্ন রক্তে শর্করার মাত্রা ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে পপকর্ন। ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত ডায়েটে ১ কাপ ঘরে তৈরি পপকর্ন রাখতে পারেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়োগে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি!

নিজস্ব প্রিতবেদক: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আউট সোর্সিং পদে চাকুরি নামক সোনার হরিণ দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে কোটি কোটি টাকার অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক মাস যাবত মেডিকেলের প্রকল্প পরিচালক থেকে প্যাথলজিস্ট পর্যন্ত সকলে আর্থিক সুবিধার পর নিয়োগের নামে পরিচয়পত্র দিয়ে কাজে যোগদান করিয়েছেন অসংখ্য প্রার্থীদের। মেডিকেলের প্যাথলজিস্ট শুব্রত কুমার দাস ও তার সহযোগি বশির আহম্মেদ এর বিরুদ্ধে রয়েছে এসব ভূয়া নিয়োগ ও পরিচয়পত্র প্রদানের গুরুতর অভিযোগ। অভিযোগের তীর মিলেছে কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও। ভুক্তভোগিরা প্রতারণার স্বীকার হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরনাপন্য হলেও সেখানেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। প্রতারক নিয়োগ চক্রটি কোটি কোটি টাকা লুটে নিয়ে এখন চাকুরি প্রার্থীদের জীবন নাশের হুমকী দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বাগেরহাট জেলা ও থানার রণভূমি গ্রামের খান শওকাত আলীর ছেলে খান আসাদুজ্জামান জানান, একটি ব্যাংকে চাকুরি সূত্রে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল গ্রামে অবস্থানকালিন সময়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্যাথলজিস্ট যশোর জেলার কেশবপুর থানার কাবিলপুর গ্রামের সুকুমার দাসের ছেলে সুব্রত দাসের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয় সুত্রে এক পর্যায়ে বন্ধুত্ব এরপর মেডিকেলে চাকুরির টোপ দেয় আসাদ্জ্জুামানকে। তিনি প্রথমে নিজের স্ত্রী ও পরে শালিকাকে চাকুরির জন্য যোগাযোগ করতে থাকেন। এরপর বিগত ২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে সুব্রত তার শহরের খুলনার রোড এলাকার ভাড়া বাড়িতে বসে তার নিকট থেকে ৩ লক্ষ টাকা প্রথমেই গ্রহণ করেন।
এরপর পর্যায়ক্রমে বাগেরহাট জেলা ও থানার দক্ষিণ খানপুর গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে মিলন শেখ এর নিকট থেকে ২ লাখ টাকা, একই থানার রণভূমি গ্রামের আজহার আলির ছেলে সাইফুল ইসলামের নিকট থেকে ৩ লক্ষ টাকা, উত্তর খানপুর গ্রামের আবু তালেব এর ছেলে আবু হাসান এর নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা, খোকন শেখ এর ছেলে তানভীর হোসেন এর নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা, বাগমারা গ্রামের ফজলুল রহমানের মেয়ে মনিরা খাতুন এর নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা, চুলকাটি গ্রামের ইব্রাহিম শেখ এর ছেলে ইবাদুল হোসেন টিপুর নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা এবং উক্ত জেলার ফকিরহাট থানার দাড়িয়া গ্রামের জাফর শেখ এর ছেলে হাসানুর রহমান এর নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা গ্রহণ করে। যা সর্বমোট ২৩ লাখ টাকা।
খান আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, এসব টাকা গ্রহণের সময় শহরের পলাশপোলের মৃত তোফাজ্জেল বিশ^াসের ছেলে ফিরোজ বিশ্বাস, একই এলাকার মৃত আব্দুল আনাম খানের ছেলে ইউসুফ খান পলাশ, নারিকেলতলার আশরাফুল ইসলাম ঝড়–, জেলার দেবহাটার কুলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ এর ছেলে হাসানুর জামান কারিগরসহ অনেকের সামনে এসব টাকা সুব্রত দাস গ্রহণ করেন।
সাংবাদিকদের তিনি আরও জানান, বিপুল অংকের এসব টাকা গ্রহণ করে মাস্টার রোল পদে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাদেরকে ভূয়া নিয়োগ ও পরিচয় পত্র দেয়া হয়। আবেদনকারিরা পরিচয়পত্র পেয়ে এক থেকে দেড় বছর চাকুরিও করে কিন্তু এক/ দুই মাস ৬ হাজার টাকা করে বেতন দেয়ার পর আর তাদের বেতন দেয়া হয়না। এ সময় তাদেরকে জানানো হয় মাস্টার রোলে থাকার পর যেসময় সরকারিভাবে নিয়োগ প্রদান করবে সেই সময়ে তাদের নিয়োগ হবে। ইতোমধ্যে এসব নতুন চাকরিদাতাদের বেতন না দেয়ায় তারা অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতে করতে জায়গা ছাড়তে শুরু করে।
শহরের পলাশপোলের মৃত তোফাজ্জেল বিশ্বাসের ছেলে ফিরোজ বিশ্বাস জানান, ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সরকারিভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে নতুন নতুন প্রার্থী এনে তাদের নিকট থেকে আবারো লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চাকুরি দেয়ার স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে এই চক্রটি। পরিস্থিতি বুঝে এসব টাকা প্রদানকারিরা বেতন না পাওয়ায় সাতক্ষীরা ছেড়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হয়। তখন তাদের নিকট থেকে লিখে নেয়া হয় আমি চাকরি করব না স্ব-ইচ্ছায় চলে যাচ্ছি। প্রার্থীদের অনেকেই টাকা ফেরতের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তাদেরকে নানাভাবে হুমকী দেয়া হয়। টাকা গ্রহণের সময় সামনে থাকা আশরাফুল ইসলাম ঝড়– ও তার লোকজনকে দিয়ে নানাভাবে জীবন নাশের হুমকীসহ মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে শহর ছাড়া করার পরিকল্পনাও করে প্যাথলজিস্ট সুব্রত ও তার কথিত ক্যাডার ঝড়–।
সার্বিক পরিস্থিতি বুঝে গেল বছরের ১৪ নভেম্বর সাতক্ষীরা সদর থানায় খান আসাদুজ্জামান সকলের পক্ষে একটি অভিযোগ দাখিল করেণ। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মারুফ আহম্মদ বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন এএসআই শাহিনুর রহমানকে। এ এস আই শাহিনুর রহমান যথারিতি প্রাথমিক তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। এক পর্যায়ে শাহিনুর রহমান ভূয়া চাকুরিদাতা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্যাথলজিস্ট সুব্রত দাস ও তার আরেক সহযোগিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ সময় চাকুরী প্রার্থী আরও অনেকে হাজির হয় টাকার দাবিতে সদর থানার গোল ঘরে। প্যাথলজিস্ট শুব্রত দাসের উপস্থিতিতে পুলিশি তদন্তে এবং চাকুরি প্রার্থীদের সামনে হিসাব করে ২৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকার দাবীদাররা থানায় হাজির হয়ে টাকার দাবি করেন। এএসআই শাহিনুরের সামনে সেখানেই টাকা প্রদানকারিদের সকলকে ২০ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার শর্তে ৫শ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও লিখিত পড়িত করে থানা থেকে মুক্তিপান প্রতারক চক্রের হোতা সুব্রত দাস। স্ট্যাম্পে উল্লেখ থাকে যে, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে দুই কিস্তিতে ২০ লাখ টাকা এএসআই শাহিনুরের মাধ্যমে ভুক্তভোগিদের ফেরত দিবেন সুব্রত দাস।
শর্ত সাপেক্ষে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দিয়ে থানা থেকে মুক্তির পর শুরু হয় নতুন খেলা। নির্ধারিত সময়ে থানায় টাকা জমা না দিয়ে পুলিশকে পক্ষে নেয়ায় এবার চাকরি প্রত্যাশিত টাকা প্রদানকারিরা আর থানায় পাত্তাই পায় না। টাকা চাইলে তাদেরকে নানাভাবে হুমকী দিতে থাকে বলে জানান খান আসাদুজ্জামান ও ফিরোজ বিশ্বাব।
এব্যাপারে এএসআই শাহিনুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, সুব্রতর ব্যাপারে দাখিলকৃত অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমাকে নিযুক্ত করার পর আমি তদন্ত করে অভিযোগ বর্ণিত ঘটনার সত্যতা পাই। সেমোতাবেক সুব্রতকে থানায় এনে অভিযোগকারিদের সামনেই টাকা ফেরতের শর্তে স্ট্যাম্পে লিখিত পড়িত করে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর লিখিত স্ট্যাম্প ও আনুসাঙ্গীক কাগজপত্র ওসি স্যার আমার নিকট থেকে নিয়ে নেন। আর আমাকে জানায় তুমি থাম-আমি দেখছি। অভিযোগ রয়েছে মোটা অংকের সুবিধা নিয়ে পুরো ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার।
বর্তমানে টাকা প্রদানকারি চাকরি প্রত্যাশিতরা প্রথমে প্যাথলজিস্ট সুব্রতর নিকট থেকে প্রতারণার শিকার হয়, পরে পুলিশের নিকট থেকেও প্রতারণার স্বীকার হয়ে এখন পথে পথে ঘুরছে তারা।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা মেডিকেলের প্যাথলজিস্ট সুব্রতর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি চাকরি দেয়ার কে। এখানে কাজ শেখার জন্য কয়েকজন এসেছিল, যেহেতু কোটি কোটি টাকার মেশিন রয়েছে তাই জামানত হিসেবে ২০ হাজার করে টাকা নিয়েছিলাম ৫/৬ জনের নিকট থেকে। পরে তারা অসেনি। আসলে এবং টাকা ফেরত চাইলে যেকোন সময় ফেরত দেয়া হবে। একই সময়ে থানায় বসে আলোচনা হলেও কোন লিখিত পড়িত হয়নি বলে দাবী করেন তিনি। টাকা গ্রহণের চেক ও ভূয়া পরিচয় পত্র কিভাবে দিলেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে সুব্রত বলেন, এসব কোন ব্যাপার নয়!
এ বিষয়ে মেডিকেলের সাবেক প্রকল্প পরিচালক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সাথে কথা বলার জন্য তার ০১৭১৩-১০৮০৩১ নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ না করে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
মেডিকেলের বর্তমান সুপারেন্ডটে- ডা. শাহজান আলী জানান, আমি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। কিছুই জানিনা। তবে কম বেশি এসব সমস্যার কথা শুনেছি।ঘটনার সুষ্ট তদন্ত করে জড়িত প্রতারক চক্রদের আইনের আওতায় আনার দাবী ভুক্তভোগিদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে আজ বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ট্রেইনি রিক্রুট পুলিশ(নারী/পুরুষ) কনস্টেবলপেদে নিয়োগ অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে কোন পুলিশ সদস্য, প্রার্থী বা অন্য কোন ব্যক্তি আর্থিক লেনদেনে জড়িত হলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান। কোন প্রার্থী কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন বা অন্যায় তদবির করলে তা প্রার্থীর অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
একই সাথে নিয়োগ সংক্রান্ত কোন আর্থিক লেনদেনের তথ্য থাকলে তা পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা(মোবাইল-০১৭১৩৩৭৪১৩৫)-কে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষিকা ও তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি দিল ক্লাস সেভেনের ছাত্র!

স্কুলের শিক্ষিকা ও তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি দিল ক্লাস সেভেনের এক ছাত্র। ভারতের উত্তরাঞ্চলের শহর গুরুগ্রামের একটি নাম করা স্কুলে ঘটেছে এই ঘটনা। ছেলেটির সঙ্গে একই ক্লাসে পড়ে শিক্ষিকার কন্যা। ওই একই স্কুলে আবার ক্লাস এইটের এক ছাত্র এক শিক্ষিকাকে মেইল করে তার সঙ্গে ক্যান্ডেললাইট ডিনার ও সেক্স করার অনুরোধ করেছে।

দুটি ঘটনাই ঘটেছে গত সপ্তাহে। ধর্ষণের হুমকি পাওয়া শিক্ষিকা স্কুলে এলেও, তাঁর কন্যা আতঙ্কে আর স্কুলে যেতে পারেনি। ওই শিক্ষিকা ও তাঁর কন্যার পরিচিতি যাতে প্রকাশ্যে এসে না-যায়, সে জন্য স্কুলের নামটি প্রকাশ করা হয়নি।

স্কুল কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষী ছাত্রের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনাকে কিছুতেই বরদাস্ত করবে না স্কুল।’

এদিকে, শিশুকল্যাণ কমিটির চেয়ারপার্সন শকুন্তলা ধুল বলেছেন, ‘স্কুল ও শিশুটিকে একটি নোটিশ পাঠানো হবে। তাদের ডেকে গোটা ঘটনা জানা হবে। ওই শিক্ষিকা ও শিশুটির কাউন্সেলিং সেশন হবে।’

শিশুদের হাতে প্রচুর প্রযুক্তিগত ডিভাইস চলে যাওয়াতেই তারা এসব করছে বলে মত বিভিন্ন স্কুলের প্রিন্সিপালদের। এইচডিএফসি স্কুলের প্রিন্সিপাল অঙ্কিতা মাক্করের মতে, ‘আজকাল শিশুরা অনেক প্রযুক্তিগত ডিভাইস হাতে পেয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি না, ওরা কী দেখছে আর কোন সাইটে চলে যাচ্ছে।’

অ্যামিটি ইন্টারন্যাশনার স্কুলের প্রিন্সিপাল আরতি চোপড়া বললেন, ‘শিশুটি নিশ্চয়ই বাড়িতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে থাকে। কারো সঙ্গে কথা বলে না। এ ক্ষেত্রে তার চেপে থাকা সেন্টিমেন্টগুলোর বিস্ফোরণ ঘটেছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ
সরকারি পলিকেটনিক ইন্সটিটিউট: মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে সাতক্ষীরা সরকারি পলিকেটনিক ইন্সটিটিউটের আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে কলেজের হলরুমে সাতক্ষীরা সরকারি পলিকেটনিক ইন্সটিটিউটের উপাধ্যক্ষ ড. এম. এম নজমুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকারি পলিকেটনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মো. ফারুক হোসেন, অলোক সরকার, এ.বি.এম সিদ্দিকী, বিপ্লব কুমার দাস প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং ভাষা শহিদ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কদমতলা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মো. আব্বাস উদ্দিন। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মো. হেলালে হায়দার।

সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ: মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে কলেজের হলরুমে কলেজের অধ্যক্ষ মো. জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চীফ ইন্সট্রাক্টর ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান, মো. ফেরদৌস আরেফিন, ইন্সট্রাক্টর মো. মাহবুবর রহমান, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. আব্দুস সালাম প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইন্সট্রাক্টর রঞ্জন কুমার সরকার, মোস্তফা বাকি বিল্লাহ, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর মো. মাসুদ রানা, মো. অজিহার রহমান, বিষ্ণুপদ পাল, মো. হাবিবুল্লাহ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং ভাষা শহিদ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইন্সট্রাক্টর মো. আনিছুর রহমান।

সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়: মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে বিদ্যালয়ের হলরুমে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সামিমা ইসমত আরা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক উম্মে হাবিবা, আনিছুর রহমান, রীণা রাণী নন্দী, সুহেলী সুলতানা, মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, মো. মনিরুজ্জামান, দিপা সিন্ধু তরফদার প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং ভাষা শহিদ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরা টাউন গালস্ হাইস্কুল: মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে সাতক্ষীরা টাউন গালস্ হাইস্কুলের আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে বিদ্যালয়ের হলরুমে প্রধান শিক্ষক নাছরিন বানু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. আলমগীর কবির। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারি প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার মন্ডল, সহকারি শিক্ষক উজ্জল কান্তি শর্মা, রোকনুজ্জামান, শেখ আলমগীর রহমান, মানজুরুর রব, হীরা লাল সরকার, ইমাম উদ্দিন আহম্মেদ, সিদ্দিকুজ্জামান, ইউনুছ আলী, মাসুমা আক্তার, সন্ধ্যা মন্ডল, রাজিয়া সুলতানা প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং ভাষা শহিদ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারি শিক্ষক মো. আফজাল হোসেন।

আহছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসায়: মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে বিদ্যালয়ের হলরুমে অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুল মজিদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম, নুর আহম্মদ, নাসির উদ্দিন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং ভাষা শহিদ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন আহছানিয়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিয়া। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নবজীবন ইন্সটিটিউট: মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে বুধবার সকালে সাতক্ষীরা নবজীবন প্রাঙ্গণে নবজীবনের সভাপতি তারেকুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর জাসদের জেলা সভাপতি কাজী রিয়াজ, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম প্রমুখ।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নবজীবন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ শেখ রফিকুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ মীর মো. ফকরউদ্দিন আলী আহম্মেদ, টেক্সটাইলস্ ও গার্মেন্টস্ ডিজাইন বিভাগীয় প্রধান দেব কুমার মন্ডল, কম্পিউটার দ্বিতীয় পর্ব মারিয়া সুলতানা, ইলেকট্রিক্যাল দ্বিতীয় পর্ব নীলয় ঘোষ, নবজীবন ইন্সটিটিউটের সহকারি শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগীয় প্রধান নার্গিস খানম, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সিভিল বিভাগীয় প্রধান দেব দাস মাঝি প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং ভাষা শহিদ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মনিরা খাতুন ও জাকির হোসেন মিন্টু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নুরনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় নুরনগরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পালিত হয়েছে মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে পূর্ব পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন করেছিল বাঙালিরা। সেই আন্দোলনে পাক সেনাদের গুলিতে শহিদ হয়েছিল অনেকেই। এই ঐতিহাসিক ঘটনার জন্য ২১শে ফেব্রুয়ারি বর্তমানে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। বিষয়টা সকল বাঙালির কাছে অনেক গর্বের। এই দিনটির শুরুতেই নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানো হয়। নুরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানো হয় এবং একযোগে দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে র‌্যালী বের করা হয়। এছাড়া নুরনগর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ও নুরনগর ইউনিয়ন আ”লীগের সাধারন সম্পাদক এস এম সোহেল রানা বাবুর উপস্থিতিতে মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী শেষে একটি র‌্যালী বের করা হয়। অন্যদিকে নুরনগর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বখতিয়ার আহমেদ, নুরনগর ইউনিয়ন আ”লীগের পক্ষ থেকে জি এম হাবিবুর রহমান হবি সহ আ”লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহিদ স্মরনে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জাহাঙ্গীর আলম লিটন, কলারোয়া : কলারোয়া কেরালকাতা ইউনিয়নের ইলিশপুর অবৈধ ভাবে পরিচালিত হচ্ছে রয়েল ইটভাটা। ভাটায় অবাধে পুড়ছে গাছ-পালা যথাযথ আইন অমান্য করে বহাল তবিয়তে চলছে ইলিশপুরের রয়েল ভাটা, অবৈধ ইটের ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার মণ কাঠ, গাছ-পালা। ফলে ভয়াবহ বায়ু দূষণের মুখে পড়েছে এলাকাটি। দেখা দিয়েছে জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়ের আশঙ্কা। অভিযোগ রয়েছে, এ অবৈধ এবং পরিবেশ বিধ্বংসী কাজের অলিখিত বৈধতা দিয়েছেন কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন। বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উদাসীনতায় এবং পরোক্ষভাবে সহায়তা করায় ভাটা মালিকরা আইন অগ্রাহ্য করে কাঠ পোড়ালেও দেখার যেন কেউ নেই। দিনের পর দিন ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় প্রতিনিয়তই বায়ু দূষন হচ্ছে পাশাপাশি এর প্রভাব পড়ছে ভাটার আশপাশের ফসলী জমি এবং গাছপালার উপর। পরিবেশ সচেতন মানুষ এতে ক্ষুব্ধ হলেও তাদের করার কিছুই থাকছে না। ইট পরিবহনের কাজে ফিটনেস বিহীন নিষিদ্ধ ঘোষিত শত শত ট্রলি ব্যবহৃত হওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা গুলো। জানা গেছে, ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮৯ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী ফসলী জমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। ইট ভাটার জন্য অকৃষি জমি ব্যবহার করতে হবে এবং আইনের সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তা করতে হবে। যেমন ভাটায় ১২০ ফুট উচ্চতার চিমনি ব্যবহার, জনবহুল এলাকায় ও ফসলি জমিতে ভাটা নির্মাণ না করা এবং ইট পোড়ানোর কাজে দেশীয় বা বনজ কোনো ধরনের কাঠ ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ এসবের তোয়াক্কা না করে উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের ইলিশপুর রয়েলভাটা, অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা রয়েল ভাটায় ম্যানেজার তৌহিদুর রহমানের কাছে সাংবাদিরা কাঠ পৌড়ানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা উপজেলা প্রশাসনকে মাসিক দুই লক্ষ টাকা দেয়। সাংবাদিকরা লিখে কিছুই করতে পারবেনা আমাদের মালিক কবির হোসেন মাই টিভির সাংবাদিক রিপোর্ট করতে চেয়েছিল বলে গাছের সাথে বেঁধে রেখেছিল। এছাড়া রিপোর্ট করলে আপনার ব্যাবস্থা নেয়া হবে আমরা যশোর জেলার লোক এভাবেই হুমকি প্রদান করেন সাংবাদিকের। রয়েল ভাটা প্রতিনিয়ত কাঠ পুড়িয়ে ইট পোড়াচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবহার করছে ভ্যাকাস (পামওয়েলের গাদ)। সরেজমিন রয়েল ভাটায় এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি বেড়ে ইট পোড়ানোর কাজ চলছে পুরোদমে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক জানান, ভাটায় রাতে কাঠ পোড়ানো হয় সবচেয়ে বেশী। অনেকে কাঠ ভাটায় সংরক্ষণ না করে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে রেখে দেন। রাতের আঁধারে সেখান থেকে কাঠ নিয়ে পোড়ানো হয় ভাটায়। পুরোদমে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ। রয়েল ভাটার মালিক আবার গত কয়েক বছরের ইটের বিনিময়ে অগ্রিম টাকা নিয়ে ইট দিতে না পারায় এবছরও ভাটা জ্বালিয়ে ওই টাকা পরিশোধের চেষ্টা করছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভাটার এক শ্রমমিক জানান, যেভাবে ইটের অগ্রিম টাকা নেয়া হয়েছে তার পরিশোধ করতে আরো ২ বছর ভাটা পরিচালনা করতে হবে। ইটের দাদন দেয়া টাকা নিয়েও চিন্তিত রয়েছেন ইলিশপুরের অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ইটভাটা নির্মানের সময় অকৃষি জমির সনদ বাধ্যতা মূলক থাকলেও আমার সময়কালে কলারোয়ার রয়েল ভাটা মালিক এ সনদের জন্য আমার নিকট আসেনি। অধিকাংশ ইট ভাটা গড়ে উঠেছে কৃষি জমিতে। ফলশ্র“তিতে দিনে দিনে কমছে কৃষি জমি। গ্রামের মধ্যে ইট ভাটা নির্মানের ছাড়পত্র পরিবেশ অধিদপ্তর কিভাবে দেয় তা আমার বোধগম্য নয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কামরুল ইসলাম জানান, ইট পোড়ানো নির্গত ধোঁয়া মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। এতে ফুসফুস সংক্রমিত হয়ে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এসকল বিষয়ে ভাটা মালিক কবির হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান বর্তমান কয়লার যে দাম তাহাতে কয়লা কিনলে ব্যবসা করতে পারবোনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন জানান, আমি ইতোমধ্যে দু’এক জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছি। ভাটা মালিকদের মৌখিকভাবে সতর্ক করেছি। তারপরও ইটের ভাটায় কাঠ পোড়ানো হলে সেসব ভাটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ভাটা পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসী জানান, এলাকায় ইটের ভাটা হওয়ায় নগদ উপার্জনের আশায় অনেক দরিদ্র কৃষক চড়াদামে বিক্রি করছে জমির টপ সয়েল। এতে করে ওই সকল ফসলী জমি উর্বরতা হারাবে। কাঠ পোড়ানোর ফলে নির্গত কালো ধোঁয়া এবং তাপমাত্রার কারণে ভাটা পার্শ্ববর্তী জমিতে কমে গেছে ফসলের উৎপাদন। এদিকে তারা পুরোপুরি অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করলেও প্রশাসনের কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। কলারোয়ার রয়েল ইটভাটা নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না। টপ সয়েল এবং গাছ কাটা বন্ধ করতে এবং অবৈধভাবে পরিচালিত কেরালকাতা ইউনিয়নের রয়েল ভাটা বন্ধ করে পরিবেশ রক্ষায় এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

রাখাইনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন আং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের শতাধিক এমপি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি ১০০ জনের অধিক সাংসদের স্বাক্ষরসহ একটি চিঠি বরিস জনসনের কাছে পাঠিয়েছেন।

ওই চিঠিতে রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য  আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিন আং হ্লাইংয়ের বিচার করার জন্য ব্রিটিশ সরকারকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

মেডিসিন স্যানস ফ্রন্টিয়ারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, গত বছর একমাসে ৭ হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭৩০জন শিশু রয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, অসংখ্য প্রমাণ থাকার পরও মিয়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধের কথা অস্বীকার করে আসছে। এছাড়া, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যেসব আইন আছে, তার কোনোটিই পরিবর্তন করা হয়নি।  এতে আরও বলা হয়েছে, গত দুই বছর আগে ক্ষমতায় আসা বর্তমান মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের অবস্থা উন্নয়নের জন্য কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এ ঘটনায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন আং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার ঘটনা তাকে আরও বেশি সাহসী করে তুলছে।

ব্রিটিশ এমপিরা তাদের চিঠিতে বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের প্রস্তাব দিলে চীন ও রাশিয়া তার বিরোধিতা করবে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত হবে—এই দু’টি দেশকে বোঝানো, যেন তারা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest