সর্বশেষ সংবাদ-
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের র‌্যালিসাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু।সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতসাতক্ষীরার রাজ্জাক পার্কে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসব্যাপী বসুন্ধরা পন্য বিক্রি শুরুসাতক্ষীরায় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ৫ দিন পার না হতেই একই এলাকায় আবারো ডাকাতিএস এস সি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম আহনাফ তাহসিনকারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি সমমান মর্যাদা ঘোষনার উদ্যোগে বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনসাতক্ষীরায় ১২০ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ: দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-সাতক্ষীরায় ৪ টি অস্ত্র, ২৯ রাউন্ড গুলি ও তিনটি ম্যাগাজিন জব্দ

এক নজরে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা। তিনি ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু ২০০৯ পর্যন্ত কয়েক দফায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সিটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৪৪ এর ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরির জন্ম। পিতার নাম মরহুম হোসেন আহমদ চৌধুরি আর মাতা মরহুম বেদৌরা বেগম। আট ভাইবোনের মাঝে মহিউদ্দিন মেজ। পিতা চাকরি করতেন আসাম বেংগল রেলওয়েতে। পিতার চাকরির সুবাদে মহিউদ্দিন পড়াশোনা করেছেন মাইজদি জেলা স্কুল, কাজেম আলি ইংলিশ হাই, আর প্রবর্তক সংঘে। স্কুল জীবনে ছাত্রলীগের সাথে জড়িয়ে পড়েন।

স্কুল শেষে শেষে বাবার আদেশে ভর্তি হয়ে ছিলেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোর্সে। সেখানের পাট না চুকিয়ে ভর্তি হন চট্টগ্রামের অন্যতম বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম কলেজে। বছর না ঘুরতেই কমার্স কলেজম, শেষ পর্যন্ত সিটি কলেজ।
সিটি কলেজেই তার বিপ্লবী রাজনৈতীক জীবনের হাতেখড়ি। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

জহুর আহমদ চৌধুরীর হাত দিয়ে রাজনীতি শুরু। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিতে গিয়ে পাক বাহিনীর কাছে গ্রেফতার হন অসংখ্যবার। মুক্তিযুধ্যে অংশ নিতে গিয়ে আইএস আইয়ের চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমি সদরদপ্তরের কাছে গ্রফতার হয়ে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন দীর্ঘ চার মাস।

শহিদ ভেবে বাবা ছেলের নামে দিয়ে ছিলো ফাতেহা। এরই মাঝে একদিন মানসিক রোগীর নাটক করে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে পালিয়ে বেরোন মহিউদ্দিন। পাড়ুই জমান ভারতে। সেখানে সশস্ত্র প্রশিক্ষন শেষে সক্রিয়ভাবে সম্মুখসমরে অংশ নেন। ছিলেন ভারত-বাংলা যৌথবাহিনীর মাউন্টেন ডিভিশনের অধীনে।

বঙ্গবন্ধুর খুবই কাছের আর আদরের ছাত্রনেতা ছিলেন মহিউদ্দীন। কিন্তু তৎকালিন সময়ে প্রবল ক্ষমতাশালী হয়েও ক্ষমতার মোহ স্পর্শ করেনি তাকে।

কিছুদিন না যেতেই ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে নিহত হন বঙ্গবন্ধু। অল্পের জন্য মহিউদ্দিন ধরা পরা থেকে বেঁচে যান, মৃত্যু বরণ করেন সাথি মৌলভি সৈয়দ। পালিয়ে গিয়ে ভারতে প্রতিবিপ্লবীদের সাথে যোগ দেন। লক্ষ্য সামরিক জান্তা, খুনি মোশতাককে সামরিক ভাবেই পরাস্ত করা। কিছুদিন পরেই দলের নির্দেশে পন্থা পরিবর্তন করে আবার সক্রিয় হন প্রকাশ্য রাজনীতিতে।

দেশে এসেই নির্যাতন, আর একের পর এক কারাভোগ। তখন স্বৈরাচার জিয়া ক্ষমতায়। মুক্তিযোদ্ধাদের উপর জিয়ার দমন, বংগবন্ধু হত্যাকাণ্ডে গোপন ষড়যন্ত্রের ভুমিকা, প্রতিবাদী করে তোলে মহিউদ্দিনকে। দলের নির্দেশে চলে বৈপ্লবীক প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ। তরুণ ছাত্রনেতা মহিউদ্দিনের জুজুতে সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা তটস্থ।

মাঝে আওয়ামী লীগের ভেতরেই ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর হয়ে উঠলো। বঙ্গবন্ধু কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুমিকাকে নগণ্য করতে তাকে ঠেকাতে শত্রুরা উঠেপরে বসলো। অদম্য সাহসী মহিউদ্দীন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়ে দলবল নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্য ঝাপিয়ে পরলেন। সব বাধা অতিক্রম করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দলের কাণ্ডারির দায়ীত্ব নিতে সহয়তা করলেন।

স্বৈরাচারি সামরিক জান্তা এরশাদের শাসনামলে চট্টগ্রামে স্বয়ং জান্তা প্রধানকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে চক্ষুশূল হন সরকারের। ফলে আবারও রাজনৈতিক বন্দি। ততদিনে চট্টগ্রামের আপামর জনতার নয়নমনি হয়ে উঠেন মহিউদ্দীন চৌধুরী।

একানব্বইয়ের ঘুর্ণিঝড়ে দুস্হ জনতার পাশে দাঁড়িয়ে, অসহযোগ আন্দোলনে খালেদার সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, গরিব-দুঃখি-শ্রমিকের অধিকারের কথা বলে মহিরুহে পরিনত হন আজকের মহিউদ্দীন।

ওয়ান ইলেভেনের শাসনামলে জেলে যান। ষাটোর্ধ বয়সে কারান্তরিন ছিলেন দীর্ঘ দুই বছর। এরমধ্যেই নির্মম ভাবে ইন্তেকাল করেন আদরের মেয়ে ফওজিয়া সুলতানা টুম্পা। নানান টালবাহানা করে টুম্পাকে মৃত্যু অবধারিত জেনেও দেখতে দেয়নি অনির্বাচিত সরকার নামক ভদ্রবেশি আরেক নব্য সামরিক জান্তা। শতচেষ্টা আর মানসিক নির্যাতন করেও টলাতে পারে নি সরকার মহিউদ্দীনকে একটুও।

তিনি ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।

২০০৫ সালের মেয়র নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন মন্ত্রীকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। পাশাপাশি প্রতিপক্ষের তুলনায় ভোটের ব্যবধানও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাইলসকে আইনি নোটিশ দিলেন শাফিন

জনপ্রিয় ব্যান্ড দল মাইলস দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতে যে নক্ষত্রের মতোই। এবার বুঝি এই নক্ষত্রের পতন হতেই যাচ্ছে।
দলটির সাথে দীর্ঘদিন ধরে নেই শাফিন আহমেদ। শাফিন ছাড়া দলটি সম্প্রতি কানাডায় একটি কনসার্টে অংশ নিয়ে সুপার ফ্লপ তকমা পেয়ে দেশে ফেরে। সম্প্রতি খবর আসে শাফিনের স্থলে যোগ দিয়েছেন পাভেল।

শাফিন আহমেদ নিজেকে ‘মাইলস’র উদ্যোক্তা দাবি করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন অন্য সদস্যদের কাছে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোস্তফা জামাল পাশার মাধ্যমে তৈরিকৃত সেই নোটিশে জানানো হয়, ‘মাইলস’র কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষমতা একমাত্র শাফিন আহমেদ রাখেন। কিন্তু সম্প্রতি তাকে ছাড়াই ব্যান্ডটি স্টেজে শো করছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৪ বছর ধরে প্রশ্নফাঁসে জড়িত প্রেস কর্মচারী খান বাহাদুর!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ছাপা হয় রাজধানীর ফার্মগেটস্থ ইন্দিরা রোডের একটি প্রেসে। সেই প্রেসের কর্মচারী খান বাহাদুর। নামেই শুধুই নয়, অপকর্মে যেন ভয়-ডর নেই তার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়ে বিগত ৪টি বছরের প্রশ্নফাঁস করেছেন খান বাহাদুর। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি। ফাঁস করা প্রশ্ন বিক্রি, ছাত্রদের হাতে তুলে দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে তৈরি করেছেন বড় একটি সিন্ডিকেট।

বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ইন্দিরা রোড থেকে প্রেস কর্মচারী খান বাহাদুরকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ। গ্রেফতারের পর এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

শুধু খান বাহাদুর নয়, এ পর্বে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র, একটি জেলার ক্রীড়া কর্মকর্তা ও একজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রও রয়েছেন।

সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, বিগত চার বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছিলেন প্রেস কর্মচারী খান বাহাদুর। গত ১৩ অক্টোবর ঢাবি ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগেই মেলে প্রশ্নপত্র। অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সাথে মিলও পাওয়া যায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নের। প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার ও সমালোচনা স্বত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করে প্রশ্নই ফাঁস হয়নি! বরং দ্রুতই অনুষ্ঠিত সে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, গত ২০ অক্টোবর ঢাবি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রশ্নফাঁসের ডিভাইসহ মহীউদ্দিন রানা ও আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যে ১ নভেম্বর ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইশরাক হোসেন রাফি ও ও ফারজাদ সোবহান নাফিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ৩ নভেম্বর প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্যতম হোতা আনিন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৪ নভেম্বর রংপুর থেকে তনয় ও গাজীপুর থেকে আকাশকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ঢাবি প্রক্টরের সহযোগিতায় ও তনয়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তানভীর আহমেদ মল্লিক, মো. বায়জিদ, নাহিদ ইফতেখার, ফারদিন আহমেদ সাব্বির. প্রসেনজিৎ দাস, রিফাত হোসাইন, আজিজুল হাকিম, তানভির হাসনাইন, সুজাউর রহমান সাম্য, রাফসান করিম ও মো. আখিনুর রহমান অনিককে গ্রেফতার করা হয়।

মোল্যা নজরুল বলেন, এ পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর নাটোর ও পাবনা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রকিবুল হাসান ইসামীকে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়। গত ১৩ ডিসেম্বর জামালপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সাইফুল ইসলামকে। খান বাহাদুরের সঙ্গে আগে থেকে পরিচয় ছিল সাইফুলের। খান বাহাদুরের প্রেসে প্রশ্নপত্র ছাপার বিষয়টি জানতে পারেন সাইফুল। সাইফুলের দেয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় প্রেসের কর্মচারী খান বাহাদুরকে। যে প্রেসে তিনি কাজ করতেন সেখানে ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ছাপানো হয় এবং তার মাধ্যমে প্রেস থেকে পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে জানান মোল্যা নজরুল ইসলাম।

এরপর গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর জিগাতলা থেকে নাজমুল হাসান নাঈম, ৯ ডিসেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে বনি ইসরাইল ও রাজশাহীর বিনোদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় মো. মারুফ হোসেনকে। বনি ও মারুফ দুজনই ভর্তি জালিয়াতির জন্য ছাত্র সংগ্রহ এবং রকিবুল হাসান ইসামীকে ছাত্রদের তথ্য সরবরাহ করতেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনের: সৌদি বাদশাহ

পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনের, দেশটির অধিকার ফিরিয়ে দিন বলে উল্লেখ করেছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ।

পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ঘোষণার পর এবার সৌদি বাদশাহও তাতে সমর্থন জানালেন।

তিনি বলেন, ধর্মীয় সমস্যা হলেও একে রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। স্বাধীন দেশ হিসেবে তাদের বৈধ অধিকার রয়েছে পূর্ব জেরুজালেমে। এ সময় তিনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথাও বলেন।

তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে বিশ্বের ইসলামী দেশগুলোর জোটের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের বিশেষ সম্মেলনে বাদশাহ উপস্থিত ছিলেন না। তবে সেখানে যৌথ ঘোষণায় বুধবার রাজধানীর স্বীকৃতি আসে। যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিপরীতে নেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প এর আগে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এরপর দেশে দেশে শুরু হয় বিক্ষোভ, ট্রাম্পের নিন্দা জানান অনেক বিশ্বনেতা।
পৃথিবীর অন্যতম পবিত্র নগরীর মর্যাদা রয়েছে জেরুজালেমের।
ছোট্ট একটি শহরকে ঘিরে তিন ধর্মের মানুষের আবেগ, স্মৃতি এবং ঐতিহ্য। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর শহরও জেরুজালেম। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় থাকা, ‘ওল্ড সিটি’ খ্যাত শহরটি বিভক্ত মুসলিম, ইহুদি, খ্রিস্টান ও আর্মেনীয় বসতিতে। এখানে রয়েছে এসব ধর্মের অনেক পবিত্র স্থাপনা। তাই এই নগরীর পবিত্রতা নিয়ে মতভেদ না থাকলেও নিয়ন্ত্রণের অধিকার নিয়ে আছে নানা বিতর্ক। আছে দফায় দফায় দখল, পুনর্দখল, ধ্বংস আর পুনর্নির্মাণের রক্তক্ষয়ী ইতিহাস। সবচেয়ে বেশি টানাপোড়েন পবিত্র ভূমিকে ঘিরে। চলমান ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের কেন্দ্র এ এলাকায় অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্র মসজিদ আল আকসা বা বায়তুল মোকাদ্দাসসহ মুসলিমদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

একই জায়গায় অবস্থিত ইহুদিদের পবিত্র ভূমিখ্যাত ‘টেম্পল মাউন্ট’ বা ‘ঈশ্বরের ঘর’। যা ‘কুব্বাত আস সাখরা’ নামে হিসেবে পরিচিত। টেম্পল মাউন্টকে ঘিরে থাকা ‘ওয়েস্টার্ন ওয়াল’ ইহুদিদের কাছে ‘পৃথিবীর ভিত্তিপ্রস্তর’ হিসেবে স্বীকৃত। এখানে নিয়মিত প্রার্থনায় অংশ নেন লাখো ইহুদি।

যিশু খ্রিস্টের স্মৃতিবিজড়িত গির্জার কারণে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছেও পবিত্রতার দিক থেকে সমান গুরুত্বপূর্ণ জেরুজালেম। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস, এখানেই ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল যিশুকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

কৃষ্ণ দাস : তালায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে তালা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপ-শহরে শোক র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরদার মশিয়ার রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইখতিয়ার হোসেন, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাসান হাফিজুর রহমান, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রহমান, শহীদ মক্তিযোদ্ধা কলেজের অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা আ’লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আলাউদ্দীন জোয়ার্দ্দার, তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন,তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, তালা হাসপাতালের আরএমও ডাঃ রাজিব সরদার, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ শাহিনুর রহমান এবং জেএসডি কেন্দ্রীয় নেতা মীর জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুলিশের হস্তক্ষেপে তালায় ১৬ দিনের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেল ৮৫ বছরের বৃদ্ধাসহ পরিবারটি

কৃষ্ণ দাস : তালা থানা পুলিশের জোর প্রচেষ্টায় ১৬ দিনের বন্দিদশা থেকে (১৪ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তি পেয়েছেন তালার দঃ নলতার একটি পরিবার। নভেম্বরের ২৮ তারিখে প্রতিবেশী শরীকরা বাড়িটির যাতায়াতের অন্ততঃ ৮টি জায়গায় কাটা-বেড়া ও ইটের সীমাণা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে সবগুলো পথ বন্ধ করে দিলে সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ৩ সদস্যের পরিবারটি। এতে পরিবারের ৮৫বছরের অসূস্থ বৃদ্ধা রিজিয়া বেগম ও এ্যাপেন্ডিসাইটিসে আক্রান্ত কলেজ ছাত্র হাবিবুর রহমানের (২২) এর ওষুধ পর্যন্ত কিনতে বাইরে যেতে পারেনি। বন্ধ হয়ে যায় তার কলেজ যাওয়াও। গত ১৬ দিনে গোসল করেননি তারা। বন্দিদশা থেকে মুক্তির পর তাদের এমন হৃদয়গ্রাহী কথা শুনে রীতিমত হতবাক হয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি এলাকাবাসীও।

তালা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,গত ২৮ নভেম্বর থেকে তালার দঃ নলতার মৃত ডাঃ রেজোয়ান মোড়লের ছেলে হাবিবুর রহমান মোড়লের পরিবারটিকে পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে অবরুদ্ধ করে রাখে তারই প্রতিবেশী মৃত আকিম উদ্দিন মোড়লের ছেলে সামাদ মোড়ল ও আমজেদ মোড়লের ছেলে পশু চিকিৎসক রহমান গংরা। প্রায় ২/৩ দিনের জোর প্রচেষ্টায় তারা সম্মিলিতভাবে হাবিবুরদের বাড়ির চারিপাশে অন্ততঃ ৮ টি জায়গায় কাটা,বেড়া ও ইটের সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেয়।

এতে হাবিবুরের ৮৫ বছরের অসুস্থ্য বৃদ্ধা দাদী রিজিয়া বেগম,৬২ বছরের মা রিজিয়া বেগম ও কলেজ ছাত্র এ্যাপেন্ডিস আক্রান্ত হাবিবুর অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। আর এতে করে গত ১৬ দিন তারা বাড়ির বাইরে এসে ডাক্তার দেখাতে কিংবা ওষুধ পর্যন্ত কিনতে পারেনি। এতে তারা আরো অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। বাড়ির বাইরে থেকে বেঁচে থাকার আতœচিৎকারে এলাকাবাসী প্রশাসন সহ সাংবাদিকদের জানালে বৃহস্পতিবার সকালে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এস আই নাজমুল হাসান,মাহাফুজুর রহমান,এস আই কামাল সহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘেরা-বেড়াগুলি অপসারণ করেন। এসময় দীর্ঘ ১৬ দিনের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বেরিয়ে বাইরে এসে হাউ-মাউ করে কেঁদে ফেলেন। তাৎক্ষণিক সেখানকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে তাদের হৃদয় বিদারক আহাজারীতে।

দীর্ঘ দিন পাশাপাশি বসবাসের পর হঠাৎ প্রতিবেশীদের এমন কঠোর অবস্থানের কারণ কি এমন প্রশ্নের জবাবে বাড়ির একমাত্র পুরুষ সদস্য কলেজ ছাত্র হাবিবুর রহমান জানান,প্রতিবেশী শরীক সামাদ গংদের পারিবারিক কবর স্থানে যাতায়াতে তারা হাবিবুরদের জায়গা ব্যবহার করতে হয়। তাদের দাবি হাবিবুরের বাড়ির ভিতর দিয়ে কবরস্থানের পথ দিতে হবে। আর হাবিবুরের কথা সে জায়গা দেবে তবে তা বাড়ির পাশ দিয়ে। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে মতদ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে সামাদ-ডাঃ রহমান গংরা ইগো সমস্যাকে ইস্যু করে চ্যালেঞ্জ স্বরুপ তাদের অবরুদ্ধ করে,যাতে বাধ্য হয়ে হাবিবুর তার বাড়ির ভিতর দিয়ে কবরস্থানের রাস্তা দিতে বাধ্য হয়।

প্রসঙ্গত,১৬ দিন পূর্বে উভয় পক্ষের মধ্যে এমন সংকট তৈরী হলে থানা ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এর পরেই তারা মূলত ঐ ঘেরা-বেড়া দেয়। বৃহস্পতিবার ওসির ঐ বেড়া অপসারণকালে সামাদ গংদের কেউ এগিয়ে আসেনি। তাই নতুন করে আশংকায় আতংক তৈরী হয়েছে পরিবারটির মধ্যে যে,পুনরায় তারা কোন অঘটনের জন্ম দেন কিনা।

তবে ওসি এসময় উভয় পক্ষকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পরবর্তী নির্দেশ দেয়া না পর্যন্ত যার যার অবস্থানে থাকতে বলেছেন।
সর্বশেষ একটি অসহায় পরিবারের ১৬ দিনের বন্দিদশা থেকে মুক্তির ঘটনায় থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সাথে সাথে আশংকা প্রকাশ করেছেন অনাগত ভবিষ্যতের দুঃশ্চিন্তায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম টেস্ট ৩১ জানুয়ারি

আগামী বছরের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দু’টি করে টেস্ট ও টি-২০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। লংকানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি। এটি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে।

প্রথম টেস্ট শেষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। এই টেস্টটি হবে ঢাকায়।

টেস্ট সিরিজ শেষে দু’টি টি-২০ ম্যাচে লড়বে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। ঢাকায় প্রথম টি-২০ ম্যাচ হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৮ ফেব্রুয়ারি সিলেটে দ্বিতীয় ও শেষ টি-২০ দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাংবাদিক মোজাফ্ফর রহমানের বিবৃতি

আমি মোজাফ্ফর রহমান বাংলাদেশ টেলিভিশন’র জেলা সংবাদ প্রতিনিধি ও জাতীয় দৈনিক সকালের খবর পত্রিকার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এই দুটি গণমাধ্যম ছাড়া অন্য কোন গণমাধ্যমের সাথে আমার কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। আমি এর আগে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু আমার পেশাগত ও ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে পত্রিকাটির গুরুত্বপূর্ণ এই পদে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব না হওয়ায় বিগত এক বছর পূর্বে আমি দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকা কর্তৃপক্ষের সাথে স্বেচ্ছায় সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করি। আমি পত্রিকাটির সাফল্য কামনা করি। যদি কোন স্বার্থান্বেষী মহল আমার নাম ব্যবহার করে কোনপ্রকার ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেন তার দায়ভার আমি গ্রহণ করবো না। মোজাফ্ফর রহমান সাতক্ষীরা প্রতিনিধি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও সকালের খবর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest