সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

অনীক আজিজ স্বাক্ষরের অবিনাশী স্বাক্ষর

সুভাষ চৌধুরী: স্বাক্ষর একটি নাম, একটি স্বাক্ষর। একটি প্রতিশ্রুতি, একটি সংগ্রাম, একটি উদীয়মান সূর্য, একটি নক্ষত্র। একটি আদর্শ, একটি পথ। একটি অবিরাম চলমান ফটোগ্রাফী, একটি জীবন, একটি প্রকৃতিকে বেঁধে রাখা। মুক্তিযুদ্ধের ফ্রেমে আঁকা, ভাষা সংগ্রামের তুলিতে বুলানো একটি প্রলম্বিত প্রত্যাশা, একটি স্বাক্ষর।
শনিবার বিকালে সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের উপচে পড়া ভিড়ে রুদ্ধদ্বারে মুক্ত প্রাণের মতো গম্ভীর কন্ঠে ভেসে আসছিল স্বাক্ষর, তার জীবন, তার আদর্শের এসব শব্দগুলি। পিনপতন নীরবতার মধ্যে শতজনের মতো আমিও নীরবে সিক্ত হয়েছি আপন অশ্রুতে। হয়তো তখন ভুলেই গিয়েছিলাম কে আমি, কোথায় আমি। কবিতার ভাষায় চয়িত শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠছিল মঞ্চ। কানফাঁটা আওয়াজ আঘাত করছিল হৃদয়ের গভীরে। শুধু শুনেছি, আর দেখেছি, আর শিখেছি । ছবির কলা কৌশলে বার বার স্বাক্ষর রেখে গেছে নিজের স্বাক্ষর। এ যেনো তারই উচ্চারন, এ যেনো তারই প্রতিশ্রুতি, একাত্তরের ঘাতকদের বিচার চাই।
একটি সাধারন পরিবার থেকে উঠে আসা, বিজ্ঞান মনস্ক,রাজনীতি মনস্ক, সংগ্রামী চেতনা ও প্রতিবাদে ভাস্বর। কখনও মিছিলে, কখনও স্লোগানে, কখনও চিত্রায়নে। রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা শিশুটির ভেতর বাহিরও ছিল রাজনীতি মোড়ানো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর, অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক, প্রতিবাদে দৃঢ় কন্ঠস্বর, এক স্পর্ধিত তরুনের নাম অনীক আজিজ স্বাক্ষর। তার হৃদয়ের ভেতর ছিল এক প্রস্ফুটিত পদ্ম। তার বাহির ছিল আরেক প্রস্ফুটিত গোলাপ। তার অকাল প্রয়াণ হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। তার অসময়ের চলে যাওয়া মানুষকে শুন্যতায় ঠেলে দিয়েছে। তার অপ্রত্যাশিত প্রস্থান মাতৃত্বের ফল্গুধারাকে আহত করেছে। যে জীবন সে দেখতে চেয়েছিল, যার ছবি সে বারবার আঁকতো, যে জীবনকে সে আদর্শ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে বারবার সংগ্রাম করেছে, মিছিল করেছে সেই জীবনের প্রতি কেনো এতো তুচ্ছ জ্ঞান সে প্রশ্নের জবাব নেই। সৃজনশীলতা ছিল যার জীবনের গতি তা কেনো মৃত্যুর যুক্ত অক্ষরে বাঁধা পড়লো। এ প্রশ্নেরও জবাব মেলেনি।
অনীকের নাগরিক স্মরণ সভায় কন্ঠশিল্পী আবু আফফান রোজ বাবুর কন্ঠে উচ্চারিত হলো তোমার সমাধি ফুলে ফুলে ঢাকা। স্তব্ধ স্থির একাডেমি মিলনায়তন যেনো আরেক বার ডুকরে কেঁদে উঠলো। শিল্পী মঞ্জুরুল হক গাইলেন যাবার আগে কিছু বলে গেলে না। কবিতার ভাষায় মিনা মিজানুর রহমান বললেন আকাশের অগনিত নক্ষত্রের মেলা থেকে খসে পড়লো একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র, সে তো অনীক আজিজ স্বাক্ষর। কেউ গাইলেন তুমি রবে নীরবে। কবি তৃপ্তি মোহন মল্লিক বললেন পৃথিবীর ধ্রুব সত্য বানী চিরন্তনী, সাম্যবাদ মৃত্যুতে প্রকট। তুমি ছিলে তুমি আছো। সংস্কৃতিকর্মী মুশফিকুর রহমান মিল্টন কবিতার শব্দে বললেন অনীক আজিজ স্বাক্ষর এমন যার নাম। ক্ষনিকের ছোঁয়া পেয়ে মোরা হারিয়ে ফেললাম।
আবৃত্তি ও কন্ঠশিল্পী শামীমা পরভিন রতœার কম্পিত কন্ঠে উচ্চারিত হলো মা নাসরিন খান লিপির লেখা কবিতা ‘কেনো চলে গেলে কিছু বলে গেলে না, কোনো চলে গেলে সূত্রটি বলে গেলে না’। কবি দিলরুবা রুবির ‘সেই ছেলেটা’ কবিতায় ‘সেই ছেলেটা যাকে দেখলে মনে হয় মুঠি ভরা মেঘ ভাঙ্গা সোনা রোদ’। কবি শহীদুর রহমান ‘ঝরে যাওয়া এক উজ্জ্বল জ্যোতিস্ক’ কবিতায় বললেন ‘এভাবেই চলে যাবে তুমি এমন তো কথা ছিল না’।
ফুলে ফুলে ভরে উঠা অনীক আজিজের প্রতিকৃতি ঘিরে শিল্পকলা একাডেমির প্রবেশ পথ যেনো প্রস্ফুটিত বাগানে পরিনত হয়েছিল। অগনিত মানুষের পদচারনায় যেনো জীবন্ত হয়ে উঠেছিল প্রবেশ দ্বার। ২১ জানুয়ারি আত্মহননের অবিশ্বাস্য ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে ওঠা মানুষ কেবলই নীরবে অশ্রু মুছেছেন। হৃদয়ের গভীরে ক্ষত নিয়ে বারবার কেঁেদছেন। বাবা মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন ‘আমার আক্ষেপ আমার ছেলে মিছিলে আন্দোলনে সংগ্রামে মারা যায়নি কেনো। কেনো সে লড়াইয়ের ময়দানে একজন সৈনিক হিসাবে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেনি। মা নাসরিন খান লিপি বলেন আমার ছেলের কোনো চাহিদা ছিল না। ছিল আমার প্রতি পাগলের মতো অফুরান ভালবাসা। বোন অদিতি আদৃতা সৃষ্টি কান্না জড়িত কন্ঠে জানালো আমাদের জীবন ছিল রাখী বন্ধনের মতো। আমাদের জীবন ছিল বন্ধুর মতো। স্মরণ সভায় শামীম পারভেজের ‘অনীক মানে যোদ্ধা’ ডকুমেন্টারিতে ফুটে উঠেছে অনীকের জীবন, তার সংগ্রাম, তার চলার পথ, তার আদর্শ, তার প্রকৃতি ও জীবনবোধ ও মানবপ্রেম। মাসুদুল হকের ছবিতে প্রস্ফুটিত হয়েছে প্রকৃতির প্রতি অনীকের ভালবাসার অন্তরঙ্গ চিত্র। নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে এসে দৈনিক সত্যপাঠ সম্পাদক হারুনার রশীদ বলেন অনীক নিজেই প্রগতির সকল কাজে স্বাক্ষর করে গেছে। অনীক নিজেই একটি শিক্ষা, নিজেই একজন শিক্ষক। সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুম বলেন অনীক ছিল গনজগরণ মঞ্চের সম্মুখ সারির সংগঠক ও সার্বক্ষণিক কর্মী। অনীকের নিরহংকার চরিত্র আমাদের তরুণদের জন্য আদর্শ হতে পারে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো.মোসলেমউদ্দিন বলেন অনীকের আদর্শের পথ প্রলম্বিত। অনীক একজন নিবেদিত সৈনিক। তার স্মরণে তৈরি হবে অনীক ট্রাস্ট। অনুভূতি ব্যক্ত করতে এসে কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন বলেন মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য। তুমি রবে নীরবে। ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ইকবাল কবির জাহিদ বলেন ‘আমরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অভিন্ন অঙ্গিকারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। অনীকের আদর্শ আমাদের আদর্শ, অনীকের গনজাগরন মঞ্চ আমাদের মঞ্চ, অনীকের সব অঙ্গিকার আমাদের অঙ্গিকার, তা থেকে আমরা যেনো কেউ সরে না যাই। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারন সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন অনীক ছিল আমার নিকট প্রতিবেশি। ঢাকার মিছিলে সংগ্রামে তার পায়ে স্যান্ডেল নেই, হাতে ছিল ক্যামেরা। তাকে দেখে সাহস জাগে, কারণ অনীকরাই তো সমাজ পরিবর্তনের শক্তির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তিনি বলেন ‘তোমার স্বপ্ন গুলো পূরন হবে। দেশে বিপ্লব হবে। লাল পতাকার জয় হবে’।
হৃদয়স্পর্শী স্মরণ সভায় ওয়াকার্স পার্টি নেতা মহিবুল্লাহ মোড়ল ও এড. ফাহিমুল হক কিসলুর শোক কম্পিত ও ভারাক্রান্ত কন্ঠে বারবার উঠে এসেছে অনীকের জীবন সংগ্রামের কথা, তার মানবপ্রেম ও আদর্শের কথা।
বাবা মুস্তফা লুৎফুল্লাহর সাম্যবাদী আদর্শের রাজনীতি মোড়ানো পরিবারের বৃন্ত থেকে ছিটকে পড়া অনীক। নিরহংকার, নির্লোভ, সত্যনিষ্ঠ, কর্মঠ, আবেগী তরুন অনীক ছিল এক সরল সহজ হাসিমাখা হৃদয়ের অধিকারী। অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে যার নিত্য পদচারনা, অন্যায় আর অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে যার নিরন্তর লড়াই, তারই নাম অনীক আজিজ স্বাক্ষর। ছাত্র, সংগঠক, ফটোগ্রাফার, মিষ্ট ও মৃদূু ভাষী, মুক্তমনা, টগবগে দুরন্ত তারুণ্যের দীপ্ত স্বাক্ষর অনীক আজিজ স্বাক্ষরের অকাল প্রয়াণ তাই বারবার রেখে যায় অবিনাশী স্বাক্ষর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি

দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গভবনে তাঁকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

প্রধান বিচারপতির শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগ করার পর থেকে প্রধান বিচারপতির পদ খালি ছিল। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। গতকাল শুক্রবার সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর বিচারপতি ওয়াহহাব পদত্যাগ করেন।

গত বছর ১ আগস্ট উচ্চ আদালতের বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে নিয়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণ রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা ও আইনজীবীরা। তাঁরা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগেরও দাবি তোলেন। এরই মধ্যে গত ২ অক্টোবর হঠাৎ করেই এক মাসের ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি আবেদনে ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে যাওয়ার কথা জানান রাষ্ট্রপতিকে। পরে গত ১৩ অক্টোবর রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এরপর ১০ নভেম্বর ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনই দেশের বাইরে থেকেই পদত্যাগপত্র পাঠান সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের ওপর ন্যস্ত হয়। এ নিয়েই বিচার বিভাগ ও সরকার পরস্পর বিরোধী অবস্থানে চলে গিয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তানে অভিনেত্রীকে গুলি করে হত্যা

পাকিস্তানের মারদানে বাড়িতে ঢুকে স্থানীয় এক অভিনেত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে তিন বন্দুকধারী। স্থানীয় পুলিশ বলছে, মারদানের শেইখ মালতুন শহরে ওই অভিনেত্রীর বাড়িতে প্রবেশের পর বন্দুকধারীরা গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে।

পাকিস্তানের দৈনিক ডন বলছে, বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশের পর বন্দুকধারীরা তাদের সঙ্গে মঞ্চ অভিনেত্রী সাম্বুলকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় বাধা দিলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই অভিনেত্রী।

দেশটির অপর দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, মারদানের ওই অভিনেত্রীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নাইম খাট্টাক, জেহাঙ্গীর খান ও নাসিব খান নামের তিন দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তুলে নেয়ার চেষ্টায় বাধা দেয়ায় তিনি খুন হয়েছেন।

হত্যাকাণ্ডের পর হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশের এক সাবেক কনস্টেবলকেও খুঁজছে পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেষ দিনে বাংলাদেশের ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার পর পাল্টে গেল চট্টগ্রাম টেস্টের চিত্র। চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে শেষ দিনে এখন ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই স্বাগতিকদের। ৩ উইকেটে ৮১ রান নিয়ে দিন শেষ করে তারা এখনও পিছিয়ে ১১৯ রানে।

শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে ৭১৩ রানে তাদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। যাতে ২০০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে ‘ফিফটি’ পূরণ হওয়ার পরই লঙ্কান ঘূর্ণিতে টাইগাররা হারিয়েছে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে। দুই ওপেনারের সঙ্গে দিনের শেষ বলে আউট হয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিম।

তার কাছ থেকে দারুণ শুরুর প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের। তামিম সেই প্রত্যাশা মেটানোর ইঙ্গিতও দিলেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে। কিন্তু সান্দাকানের ঘূর্ণিতে ব্যাট চালিয়ে বিপদে ফেলে গেলেন বাংলাদেশকে। লঙ্কান স্পিনারের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তামিমের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকবেলার গ্ল্যাভসে। আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশি ওপেনার ৬২ বলে খেলে যান ৪১ রানের ইনিংস।

তামিমের আউটের আগে বাংলাদেশ প্রথম ধাক্কা খায় ইমরুল কায়েসের উইকেট হারিয়ে। ২০০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে তার কাছ থেকেও ভালো একটি ইনিংসের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু পারলেন না, ১৯ রান করে ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। দিলরুয়ান পেরেরার বলে বাজে শটে আউট হয়েছেন তিনি। সুইপ খেলতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দেন দিনেশ চান্ডিমালের হাতে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেছেন ১৯ রান।

দ্রুত ২ উইকেট হারানোর প্রভাবটা আরও বেশি করে পড়ে দিনের শেষ সময়ে। আর একটি বল হলেও হয়তো দিনের শেষ ঘোষণা করতেন আম্পায়াররা। মুশফিকুর রহিম এই সময়টাই নিতে পারলেন না। তার আউটের পরপরই দিনের খেলা শেষের ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। আউটের জন্য ভাগ্যকেও দোষ দিতে পারেন সাবেক অধিনায়ক। রঙ্গনা হেরাথের বল তার ব্যাট ছুঁয়ে পায়ের সামনের দিকে লেগে তালুবন্দী হয় কুশল মেন্ডিসের।

মাত্র ২ রানে মুশফিকের ইনিংস থামার পর এখন বাংলাদেশকে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে হচ্ছে শেষ দিনে। শ্রীলঙ্কার চেয়ে তারা পিছিয়ে আছে ১১৯ রানে, হাতে আছে ৭ উইকেট। শেষ বিকেলে যেভাবে বল ঘুরেছে, তাতে আরও কঠিন সময়ই অপেক্ষা করছে পঞ্চম দিনে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় বাস ও মোটরসাইকেলের  মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-২

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার তালয় যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৩ টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়ায় সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, বাপ্পী হোসেন (২৭) ও আতাউর রহমান (৩০)। তাদের বাড়ি খুলনা মহানগরীর শেখ পাড়ায়।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খুলনাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস নওয়াপাড়া নামকস্থানে সাতক্ষীরাগামী একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই উক্ত দুই যুবক নিহত হয়।
খুলনার চুকনগর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম জানান, নিহতদের মরাদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পাঠানো হয়েছে। ##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তান তালেবানদের সদর দফতর: আফগানিস্তান

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে পাকিস্তানকে জঙ্গিদের নিরাপদ ঘাঁটি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আর এবার পাকিস্তানকে তালেবানদের সদর দফতর বলে উল্লেখ করলেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।

শুক্রবার তিনি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে অবিলম্বে সন্ত্রাস দমনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া, বিশ্বজুড়ে নাশকতার জন্য পাকিস্তানকেই দায়ী করলেন আফগান প্রেসিডেন্ট ঘানি।

সম্প্রতি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে বিস্ফোরক দিয়ে নাশকতা ঘটনো হয়। তার আগে কাবুলেরই চারতারা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে জঙ্গি হামলা হয়। নাশকতায় বারবার রক্তাক্ত হচ্ছে আফগানিস্তান। এই সমস্ত ঘটনাগুলোকেই এদিন উল্লেখ করলেন ঘানি।

আর তারই জের ধরে সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিয়েছে আফগানিস্তান। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে মদতদাতা বলেও উল্লেখ করেছে আফগানিস্তান। ফলে এই দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও জটিল হচ্ছে। এমনটাই দাবি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ভারতের

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চতুর্থবারের জন্য অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতল ভারত। ফাইনালে শতক তুলে নিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার মনজ্যোত করলা।

প্রথমে ব্যাট করে ৪৭.২ ওভারে ২১৬ রান কবে অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার খেলার আগেই ওয়া-পন্টিংদের উত্তরসূরীদের অল-আউট করে দেয় ভারতের যুবারা। ভারতের হয়ে ঈশান, অনুকূল, নাগারকোটি ও অভিষেক দুটি করে উইকেট পান। সিভম মাভির সংগ্রহ এক উইকেট। ভারতের বোলিং আক্রমণ অস্ট্রেলিয়ার শেষ ছয় উইকেট তুলে নেয় মাত্র ৩৩ রানে।

এদিকে, জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে ৩৮.৫ ওভারে প্রয়োজনীর রান তুলে নেয় ভারত। শতরান তুলে নেন ওপেনার মনজ্যোত করলা। ১০২ বলে ১০১ রান হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ব্যাট হাতে মনজ্যােতকে সঙ্গে দেন দেসাই। ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলা দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নও ফাঁস হওয়ার অভিযোগ!

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার বাংলা দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নও ফেসবুকে ফাঁস হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে পরীক্ষা শুরুর প্রায় ঘণ্টা খানেক আগে বাংলা দ্বিতীয়পত্রের নৈর্ব্যক্তিক (বহুনির্বাচনি) অভীক্ষার ‘খ’ সেটের উত্তরসহ প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় ফেসবুকে। যার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষাটি শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর ১টায়।

শুক্রবার রাত থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজ নজরদারিতে রাখার পরও শনিবার সকাল ৯টা ০৩ মিনিটে বাংলা দ্বিতীয়পত্রের নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার ‘খ’ সেটের উত্তরসহ প্রশ্নপত্রটি ফেসবুকে একটি গ্রুপে পাওয়া যায়। প্রশ্নপত্রটি ওই গ্রুপে আপলোড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য অনেক গ্রুপ ও পেজে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পরীক্ষা শেষ হলে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া প্রশ্নের সঙ্গে ওই প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।

ফেসবুকে ওই প্রশ্নপত্রটি ছড়িয়ে দিয়ে পোস্টকারীরা লিখেছেন, ‘দ্রুত প্রশ্নটি পড়ে নিন। যাদের যাদের লাগবে দ্রুত ইনবক্স করুন। পেজে লাইক দিয়ে অ্যাক্টিভ থাকুন।’

মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া পাভেল নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, তার পরীক্ষা ভালো হয়েছে।

ঢাকা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহেদুল খবীর চৌধুরী বলেন,  ‘আমরা এখনও এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আমরাও নজরদারিতে রেখেছি। চেষ্টা করছি, মিলিয়ে দেখবো। তারপর করণীয় তা জানাবো।’

এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্ন একই কায়দায় ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়। বাংলা প্রথমপত্রের বহুনির্বাচনি অভীক্ষার ‘খ’ সেট প্রশ্নপত্র পরীক্ষার প্রশ্ন ও ফেসবুকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল ছিল।  পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই তা ফেসবুকে পাওয়া যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest