সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অর্ধনগ্ন করে র‌্যাগিং, এরপর সেলফি!

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছয় নবীন শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের নামে অর্ধনগ্ন করে শৌচাগারে সেলফি তুলতে বাধ্য করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী তপোবন আবাসিক এলাকার একটি মেসে রাতভর এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

পরিচিত হওয়ার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত র‌্যাগ দিয়ে অর্ধনগ্ন করে টয়লেটে সেলফি তুলে।

এদিকে র‌্যাগিংয়ের বিষয় প্রমাণিত হলে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের ওপর প্রশাসন জিরো টলারেন্স আছে। আমরা চাই না কাউকে মানসিক চাপের মুখে রাখা হোক। আর র‌্যাগিংয়ের নামে অশ্লীলতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী তপোবন আবাসিক এলাকার একটি মেসে রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছয় নবীন শিক্ষার্থীকে একই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী পরিচয়ের নামে রাতভর অর্ধনগ্ন করে মানসিক ও শারীরিক নিযার্তন করে। এ সময় শৌচাগারে নিয়ে অর্ধনগ্ন হয়ে সেলফি তুলতে বাধ্য করা হয়। একপর্যায়ে সিনিয়রদের কথা মতো বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কার্যকলাপ না করলে তাঁদের অর্ধনগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের অনেকে কথা না শোনায় তাঁদের মারধর করে সিনিয়ররা। র‌্যাগিংয়ের বিষয়গুলো কাউকে জানানো হলে আবারও মেসে ডেকে নেওয়া হবে। পাশাপাশি শিক্ষাজীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেয় সিনিয়ররা।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মারধর ও অর্ধনগ্নতার শিকার হওয়ায় এখন মানসিকভাবে একদম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নবীন শিক্ষার্থীরা। সিনিয়র শিক্ষার্থীদের হুমকির ভয়ে তারা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতেও আগ্রহী নয়। এমনকি নিরাপত্তার ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর অভিযোগ পর্যন্ত দিতে পারছে না তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে সিনিয়রদের এমন আচরণে বিস্মিত তারা।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, র‌্যাগিংয়ে জড়িতদের মধ্যে সিভিল অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ১৯ জন এবং পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের একই বর্ষের একজন শিক্ষার্থী জড়িত। এদের মধ্যে কয়েকজন সিনিয়র আগ্রাসী ভূমিকায় ছিল বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

শাবিপ্রবির প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা যেকোনো ধরনের র‌্যাগিংয়ের বিপক্ষে। আগেই শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ পেলে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ পাশাপাশি তিনি এ রকম ঘটনার কোনো অভিযোগ থাকলে সরাসরি এসে জানানোর অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ের তদন্ত করা হবে। র‌্যাগিংয়ের বিষয়টি প্রমাণিত হলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বিধানসভার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার সকাল ৭টা থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শুরু হয় এ ভোটগ্রহণ। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বুথে বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো।
এই রাজ্যে মূল লড়াইটা সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যে হলেও এবারে লড়াইটা হচ্ছে সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে।
ত্রিপুরায় মোট বিধানসভা আসন ৬০টি। ভোট হচ্ছে ৫৯টি আসনে। চরিলাম আসনে সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই আসনটিতে ভোট হবে আগামী ১২ মার্চ।

ভারতের সংবাদ মাধ্যম পিটিআই জানিয়েছে, ত্রিপুরাতে মোট ভোটার ২৫ লাখ ৭৩ হাজার ৪১৩ জন। এর মধ্যে ১৩ লাখ পাঁচ হাজার ৩৭৫ জন পুরুষ ও ১২ লাখ ৬৮ হাজার ২০ জন নারী ভোটার। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ১১ জন ভোটার রয়েছে। এবার নতুন ভোটারের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৮০৩ জন।

ত্রিপুরার ৫৯টি কেন্দ্রে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৩০৭ জন। যার মধ্যে ৫৬টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। বাকি তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএমের জোটসঙ্গী ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই ও আরএসপি। পাশাপাশি বিজেপি লড়াই করছে ৫০টি আসনে। বাকি নয়টি আসনে লড়াই করবে বিজেপির জোটসঙ্গী ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা।

কংগ্রেস লড়ছে ৫৮টি আসনে। ত্রিপুরার মোট ৬০ টি আসনের মধ্যে সরকার গড়তে লাগবে ৩১টি আসন। ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম পেয়েছিলো ৪৯টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছিলো ১০টি আসন এবং স্বতন্ত্র থেকে পেয়েছিল একটি আসন। কিন্তু গত পাঁচ বছরে এই ত্রিপুরা রাজ্যের রাজনৈতিক রসায়ন পুরোপুরি বদলে গেছে। সিপিএমকে টক্কর দিতে এখানে উল্লেখযোগ্যভাবে উঠে এসেছে বিজেপি।

এই রাজ্যে শেষ কয়েকটি ভোটে দারুণভাবে সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। ফলে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা দখলের ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ আশাবাদী বিজেপি।

এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে এসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যবাসীর কাছে আহ্বান জানান, এবারের ভোটে ত্রিপুরায় মানিক ফেলে হীরে নিতে।

সকালে আগরতলার রামনগরের উমাকান্ত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভোট দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। অন্যদিকে, উদয়পুর বুথে নিজের ভোট দেন ত্রিপুরার বিজেপি সভাপতি বিপ্লবকুমার দেব। তিনি জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনের ফল হবে ঐতিহাসিক। কারণ ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকালে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ৩৮০ কোম্পানি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাশিয়ার চার্চে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৫

রাশিয়ার একটি চার্চে বন্দুকধারীর হামলায় কমপেক্ষ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন এক নারী ও দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত চারজন।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানায়, কিজলার শহরের চার্চটিতে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রার্থনা শেষে বের হওয়ার সময় বন্দুকধারী অতর্কিত গুলি ছোড়া শুরু করে। পরে পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারী নিহত হন। যদিও তাঁর পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের শহর কিজলারে মূলত: নানা সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। তবে, অন্য সম্প্রদায়ের চেয়ে এখানে মুসলিমদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যানসার প্রতিরোধী চালের সন্ধান মিলল ভারতে

ক্যানসার প্রতিরোধী তিনটি প্রজাতির চালের সন্ধান মিলল ভারতে। বিজ্ঞানীদের দাবি, গাওয়ান, মহারাজি ও লাইচা প্রজাতি চালের ক্যানসার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে।

এই তিন প্রজাতির চালই উৎপন্ন হয় ছত্তিশগড়ে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এখন ক্যানসার রোগীকেও সারিয়ে তোলা সম্ভব। বহু বছর সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারেন ক্যানসার আক্রান্তরা। কিন্তু যে পর্যায়ের ধরা পড়লে সুস্থ থাকা যায়, সেই পর্যায়ে খুব কম রোগীরই ক্যানসার ধরা পড়ে। অধিকাংশই যখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। অনেক সময় আবার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও ফের শরীরের বাসা বাঁধে এই মারণরোগ।

আর সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান ও পরিবেশগত কারণে, সারা বিশ্ব জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা।

পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, ২০২১ সালে মধ্যে সারা বিশ্বেই ক্যানসার মহামারি আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

ক্যানসার নির্মূল করতে গবেষণা চালাচ্ছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। ভারতের ছত্তিশগড়ে উৎপাদিত ৩টি প্রজাতির চালে ক্যানসার প্রতিরোধকারী উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন রায়পুরের ইন্দিরা গান্ধী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও মুম্বাইয়ের ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানীরা।

গবেষক দলের সদস্য দীপক শর্মা জানিয়েছেন, গাওয়ান, মহারাজি ও লাইচা প্রজাতির চালে ফুসফুস ও স্তন ক্যানসার নিরাময় করার উপাদান রয়েছে। এতে সুস্থ কোষগুলির কোনও ক্ষতি হয় না। লাইচা প্রজাতির চাল ক্যানসার কোষগুলি ধ্বংস করাই শুধু নয়, তাদের সংখ্যাবৃদ্ধি ঠেকাতেও বিশেষভাবে সহায়ক।

তিনি জানিয়েছেন, ছত্তিশগড়ের বস্তারের প্রত্যন্ত এলাকায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসায় এই প্রজাতির চাল ব্যবহারও করা হয়। প্রতিদিন কেউ যদি ২০০ গ্রাম করে গাওয়ান, মহারাজি ও লাইচা প্রজাতির চাল খান, তাহলে ক্যানসারের মতো মারণরোগকেও প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ওই তিন প্রজাতির চালের ক্যানসার প্রতিরোধকারী উপাদানগুলি ইঁদুরের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। সুষম খাদ্যের তালিকাতেও তা অন্তর্ভূত করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেড় লাখ নতুন মুক্তিযোদ্ধার আবেদন

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য সারা বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ আবেদনপত্র পাওয়া গেছে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য অনলাইনে ও সরাসরি আবেদনের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৫০টি। এসব আবেদন যাচাই বাছাইয়ের জন্য ৪৭০টি কমিটিও গঠন করেছে মুক্তিযোদ্ধ মন্ত্রণালয়। সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, ইকবালুর রহীম, কামরুল লায়লা জলি বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে মন্ত্রণালয় আরো জানায়, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ষষ্ঠ তালিকার কাজ শুরু করেছে। এ মুহূর্তে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৩১ হাজার ৩৮৫। ৩৭৩টি যাচাই বাছাই কমিটি এরমধ্যে বছাই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ৯৭টি কমিটির প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। এছাড়া যাচাই বাছাই কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২৯ হাজার ৩৭২ জন আপিল আবেদন করেছেন। ফলে যথাযথভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা হলে কোন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অর্ন্তভুক্তির সম্ভাবনা থাকবে না বা কোন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়বে না বলে বৈঠকে জানানো হয়।

সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত মুক্তযোদ্ধা সংসদকে লিজ প্রদানকৃত সম্পত্তির লিজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এসময়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উক্ত জমির সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হওয়ায় উক্ত সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে পুনরায় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে দেয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে রাশিয়ার আদলে দেশীয় প্রযুক্তি দিয়ে দ্রুত প্যনোরমা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করার সুপারিশ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার; কালিগঞ্জের পুলিশ সদস্য আলিম আটক

এম বেলাল হোসাইন: সাতক্ষীরার দেবহাটায় অজ্ঞাত পরিচয় এক নারী ও এক শিশুর লাশ উদ্ধারের পর জানা গেছে তারা পরস্পর মা-মেয়ে। মা মেয়ে হত্যার মূল আসামী পুলিশ কনস্টেবল আলিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সাতক্ষীরার একদল পুলিশ সদস্য ঝিনাইদহে গিয়ে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় আবদুল আলিমকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন। আলিম ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলো।
মহেশপুর থানার ওসি লস্কর জায়াদুল হক বলেন, আবদুল আলিম সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানা-পুলিশে কমর্রত ছিলেন। ইতিমধ্যে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলাটি সাতক্ষীরার পুলিশই তদন্ত করবে।
এদিকে আবদুল আলিমকে রোববার সাতক্ষীরা আদালতে তোলার কথা থাকলেও সেটি সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সুধাংশু কুমার হালদার বলেন, যেহেতু বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি ডাবল মার্ডারেরর মামলা। আমরা অভিযুক্ত আলিম কে নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। সে কোথায় কিভাবে ছিলো। সে নিজে করেছে। নাকি কাউকে দিয়ে করিয়েছে। এসব জানার চেষ্টা করছি। আর অভিযানের থাকার কারণে তাকে হাজির করতে পারিনি।
অন্যদিকে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবীর দত্ত বলেন, আমার থানার কর্মকর্তারা অভিযানে রয়েছে। যেহেতু কনস্টেবল আলিমকে এখনো আমার থানায় হাজির করা হয়নি। সেকারণে অফিসিয়ালী তাকে গ্রেফতার বলা যাচ্ছে না। তাকে প্রাথমিক তদন্তে আলিম ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও তার মোবাইলের কললিষ্ট, ওই মহিলার সাতক্ষীরায় আসা এসব প্রশ্নে যে কোন জবাব দিতে পারছে না। যাইহোক অভিযান চলছে। অভিযান শেষ হলে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার ইছামতী নদীতে এক দিনের ব্যবধানে দুটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরিচয় না মেলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে লাশ দাফন করা হয় একই কবরস্থানে। পরে তাদের পরিচয় জানা যায়। জানা গেছে তারা আসলে মা-মেয়ে। তাদের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরে।
নিহত নারীর নাম রিপ্না খাতুন (২২)। তিনি মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মুসা মিয়ার স্ত্রী। তাঁর সঙ্গে জীবন দিতে হয়েছে নিষ্পাপ শিশু মুন্নি আক্তারকে (৪)।
মুসা মিয়া বলেন, রিপ্নার বাবার বাড়িও যাদবপুরে। সাড়ে পাঁচ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। এক বছর পর জন্ম নেয় মুন্নি। বিয়ের আগে রিপ্নার সঙ্গে একই গ্রামের আবদুল আলিমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি তিনি জানতেন। তবে নিকটাত্মীয় হওয়ায় তিনি বিয়েতে রাজি হন। রিপ্না পুরোনো প্রেমিক আলিমকে ভুলে গেছেন বলে জানিয়েছিলেন।
মুসা মিয়ার ভাষ্য, প্রথম দিকে তাঁদের সংসারজীবন বেশ ভালো ছিল। কিন্তু রিপ্না মুঠোফোনে আলিমের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। আলিম পুলিশের চাকরি করেন। তাঁর কর্মস্থল সাতক্ষীরায়। সেখানে আলিম বিয়ে করেছেন। একটি সন্তান রয়েছে।
রিপ্না খাতুন মেয়ে মুন্নিকে সঙ্গে নিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে বের হন। বলে যান, মহেশপুর হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছেন। এরপর থেকে কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় মুসা মিয়া মহেশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এই নিখোঁজের পেছনে পুলিশের কনস্টেবল আবদুল আলিমের হাত থাকতে পারে বলে তিনি থানা-পুলিশকে জানিয়েছিলেন।
সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি সীমান্তের নদী ইছামতীর ছুটিপুর এলাকা থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার হয়। তবে লাশের কোনো পরিচয় মেলেনি। ফলে স্থানীয় চৌকিদার ফজর আলী থানায় একটি জিডি করেন। সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি দাফন করা হয়।
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুধাংশু কুমার হালদার বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি ইছামতীর নদীর বসন্তপুর এলাকা থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর শরীরের একাধিক স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। ফলে থানার এসআই ইসরাফিল হোসেন একটি হত্যা মামলা করেন। তবে এ লাশেরও পরিচয় মেলেনি। ফলে একই কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি দাফন করা হয়।
পুলিশ বলছে, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুধাংশু কুমার হালদার। তিনি নিহত নারীর ছবি দেশের বিভিন্ন থানায় পাঠান। ছবি দেখে ঝিনাইদহের মুসা মিয়া লাশটি তাঁর স্ত্রীর বলে শনাক্ত করেন। গত শুক্রবার তিনি সাতক্ষীরায় পৌঁছান। সঙ্গে মহেশপুর থানার একদল পুলিশও ছিল। পরে দেবহাটা থানায় গিয়ে মুসা ওই শিশুর লাশের ছবি দেখেন। সেটি তাঁর মেয়ে মুন্নি বলে শনাক্ত করেন।
মুসা মিয়া বলেন, তিনি স্ত্রী-সন্তানের লাশ পেতে চান। আদালতে রোববার আবেদন করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় বাঁকাল দারুল হাদিছ আহমাদীয়া সালাফিইয়া এতিমখানা বালিকা শাখা উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আহলে হাদীছ আন্দোলনের কেন্দ্রিয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও জেলা সেক্রেটারী মাওঃ আলতাফ হোসেন, জেলা সভাপতি মাওঃ আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা সদস্য ও আহলে হাদীছ আন্দোলনের কেন্দ্রিয় শুরা সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রহমান সরদারের সভাপতিত্বে ও উপাধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ মহিদুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আহলে হাদীছ আন্দোলনের সহ-সভাপতি মাওঃ মোঃ ফজুলর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক শাহীদুজ্জামান ফারুক, অর্থ সম্পাদক মোঃ কেরামত আলি, প্রচার সম্পাদক মোঃ শাহিনুর রহমান, যুব বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আব্দুস সামাদ, আহলে হাদীছ যুব সংঘের জেলা সভাপতি মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ-সভাপতি মাওঃ আসাদুল্লাহ, সেক্রেটারী মাওঃ মুজাহিদুর রহমান, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
দারুল হাদীছ আহমাদীয়া সালাফিইয়ার বালিকা শাখার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, আল্লাহর রহমত অনুগ্রহ ছাড়া কোন কাজ করা সম্ভব নয়। ভবিষ্যতের সাতক্ষীরাকে গড়ার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। আহলে হাদীছ আন্দোলনের নেতা কর্মীরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। তারা আল্লাহর পথে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ড. আসাদুল্লাহ আল গালীবের নেতৃত্বে সংগঠনটি শক্তিশালী সংগঠনে রুপান্তরিত হয়েছে। আল্লাহর অনুগ্রহ প্রাপ্তির জন্য তিনি সর্বদা এতিমদের সাথে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং আহলে হাদীছ আন্দোলনকে আরো গতিশীল করতে তিনি সার্বিক সহযোগিতা করারও আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি আরো বলেণ, আমৃত্যু সাতক্ষীরা বাসীর জন্য কাজ করে যাবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মোঃ আরাফাত আলী: কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশঝাড়িয়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন গেল্লের খাল প্রশাসনের ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় কতিপয় ব্যাক্তি করছে খাল দখলের মহা উৎসব। গত ৪ ফ্রেরুয়ারি ডেইলি সাতক্ষীরা অনলাইন পত্রিকায় কালিগঞ্জে ৮০ হাজার টাকা করে সরকারি খালের পজিশন বিক্রি করছেন কাদের শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচরে বসে প্রশাসন। দুই চার দিন দখলকারীরা কাজ বন্ধ রেখে বর্তমানে আবারও তৎপর দখলবাজরা।
তৎকালীন বিষয়টি সর্ম্পকে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহম্মেদ মাছুম বলেন, খাল দখলকারীদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে এছাড়া নতুন করে স্থাপনা বন্ধ রাখার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে পরবর্তীতে আইননুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু দখলদাররা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির কথা অমান্য করে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণসহ ১ একর জমি দখল করে অবৈধ স্থপনা গড়ে তুলছে ধলবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাজুয়াগড় গ্রামের মৃত মোনতেজ গাজীর ছেলে গোলাম গাজী, শুকচান গাজীর ছেলে গোলাম গাজী ও একই এলাকার উচ্ছেপাড়া গ্রামের মৃত সেফাত উল্ল্যাহ গাজীর ছেলে কাশেম গাজী। অবধৈভাবে খাল দখলকারী গোলাম গাজী, কাশেম গাজী ও গোলাম গাজী জানান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাদেরকে নোটিশ করে যেতে বলেন গত ৭ ফ্রেরুয়ারি তারা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির অফিসে হাজির হলে তিনি তাদেরকে খালে পানি সরবরাহের পথ রেখে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন বলে জানান দখলকারীরা। এছাড়া যদি কোন ব্যাক্তি দখল সর্ম্পকে কোন তথ্য নিতে আসে তাহলে ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তথ্য গ্রাহীতাদের তার সাথে কথা বলার জন্য বলেছেন এমনটাই জানান তারা । উল্লেখ্য যে গত ১ মাস যাবৎ ড্রেজার দিয়ে খাল খনন করে মাটি তুলে দখল নিয়ে ৮০ হাজার টাকা করে পজিশন বিক্রি করেছেন কাটুনিয়া রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক আব্দুল কাদের। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশঝাড়িয়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন গেল্লের খাল বাজুয়াগড় গ্রামের মৃত পঁচলা শেখের ছেলে আব্দুল কাদের তার বসত বাড়ীর সামনে অবস্থিত ড্রেজার দিয়ে খাল থেকে মাটি খনন করে ১ একর জমি দখল করে ৩ পরিবারের নিকট থেকে মোট ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে জানা যায়। বর্তমানে গেল্লের খালের উপর বসত বাড়ী গড়ে তুলেছে ধলবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাজুয়াগড় গ্রামের গোলাম গাজী, গোলাম গাজী (২) ও একই এলাকার উচ্ছেপাড়া গ্রামের কাশেম গাজী।
স্থানীয় অনেকেই বলেন এই খাল দিয়ে বাঁশঝাড়ীয়া, নৈহাটী, হরিখালী, বাহাদুরপুর, বাজুয়াগড়, পিরোজপুর, মহেশ্বরপুর, গান্ধুলিয়া, উচ্ছেপাড়া ও বদরকাটী গ্রামের পানি সরবরাহের এক মাত্র মাধ্যম। তাছাড়া পানি সেচসহ এলাকার কৃষি মৎস্যচাষের জন্য প্রায় ১ হাজার চাষী এই খালের উপর নির্ভরশীল। খাল দখল করে বিক্রি করার কারণ জানার জন্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদেরের বাড়িতে না থাকায় তার দেখা মেলেনি তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ধলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী শওকত হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (০১৭৪৩৯১৬৫০৮) নাম্বারে একাধীক বার চেষ্টা করলেও নাম্বার বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি সর্ম্পকে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নুর আহম্মেদ মাছুম বলেন দখলকারীদের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলাম এবং তাদেরকে বলে হয়েছে খালের জায়গা ছেড়ে দিয়ে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে তারা না শুনলে পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে রেগুলার মামলা করা হবে। উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করার পরও সরকারি খাল ভেকু দিয়ে মাটি ভরাট করে অবৈধ স্থপনা গড়ে ওঠায় দখল হতবাক হয়েছে এলাকাবাসী অতি দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ দখলকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে উপজেলার সর্বসাধারণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest