সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

সাতক্ষীরায় প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে পি কে ক্লাব জয়ী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং সফ্টরক গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ-২০১৮ এর আজকের খেলা গণমুখী সংঘ বনাম পি.কে ইউনিয়ন ক্লাবের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় পি.কে ইউনিয়ন ক্লাব টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭টি উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান করে। দলের মোহন ৪৩, সুমন্ত ৩৩ রান করে। প্রতিপক্ষের চপল ৩টি উইকেট লাভ করে। জবাবে গণমুখী সংঘ ব্যাট করতে নেমে ৩৮.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করে। দলের তারেকুজ্জামান ৪৮ ও রবিউল ৪২ রান করে। প্রতিপক্ষের টিপু ৩টি আশিক ও জাকির ২টি করে উইকেট লাভ করে। ফলে পি.কে ইউনিয়ন ক্লাব ১৪ রানে জয়লাভ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এমপি নিজেই পরিষ্কার করলেন স্কুলের টয়লেট

স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে এমপি জানতে পারেন টয়লেটটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারছে না। মাটি দিয়ে কমোডের মুখ ভরাট হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় না। টয়লেটে গিয়ে এমন বেহাল দশা দেখে এমপি নিজেই লেগে গেলেন তা পরিষ্কার করতে। খালি হাতে কমোডের মুখ থেকে মাটি সরান তিনি। ভারতের মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় খাজুহা গ্রামের সরকারি এক স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার নায়ক বিজেপির স্থানীয় এমপি জনার্দন মিশ্র (৬১)। আজ এনডিটিভি অনলাইনে এ খবর প্রকাশ করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের এমপি জনার্দন মিশ্রের টয়লেট পরিষ্কারের এ দৃশ্য ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এমপি ভিডিওটি তাঁর টুইটারে পোস্ট করেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, এমপি কমোডের মুখের ভেতর হাত ঢুকিয়ে মাটি তুলে আনছেন। একপর্যায়ে একটি কাঠি দিয়ে তিনি কমোডের ভেতরের মাটি আলগা করে আবার তা হাত দিয়ে তুলে আনেন। পরে মগ দিয়ে পানি ঢেলে প্রবাহ পরীক্ষা করেন। কমোড দিয়ে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তিনি তা পরিষ্কার করে যাচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ভিডিওটি প্রচারের পর তা ৩০ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং রিটুইট হয়েছে ১ হাজার ৬০০ বার। এর আগে ভারতের দুই মন্ত্রীর প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগের ছবির বিপরীতে একজন এমপির এই কর্মকাণ্ড প্রশংসিত হয়েছে সব মহলে।

পরদিন শুক্রবার আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, এই এমপি রেওয়া নগরের রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছেন। আজ রোববার প্রকাশিত আরেক ভিডিওতে দেখা গেছে, এমপি স্কুলের এক শিক্ষার্থীর নখ পরিষ্কার করে দিচ্ছেন এবং শিক্ষার্থীদের পরিচ্ছন্ন থাকার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বোঝাচ্ছেন।

তবে এই এমপি এমন কাজ এই প্রথম করেছেন তা নয়; এর আগে ২৩ জানুয়ারি তাঁর আরেক ভিডিও লোকজনের নজর কাড়ে। সরকার পরিচালিত স্কুল নায়ি গারহিতে গিয়ে এমপি জনার্দন মিশ্র দেখেন, অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে এসেছে গোসল না করে অপরিচ্ছন্ন অবস্থায়। এমন এক শিশু ছাত্রকে তিনি গোসল করিয়ে দেন। ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এমপি হাত দিয়ে ওই ছাত্রের পা ঘষে ঘষে পরিষ্কার করছেন।

কয়েক দিন আগে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে জয়পুরে। সেখানে রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কালীচরণ সরাফের রাস্তার পাশের দেয়ালে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগের ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। তবে মন্ত্রী বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা এমন বড় কিছু নয়।’
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ নামে কর্মসূচি নেন। নিরাপদ পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্ন সড়ক নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে—সবার জন্য টয়লেট। দেশটির ২০১১ সালের সমীক্ষা অনুসারে, ৫৩ শতাংশ বাড়িতে কোনো টয়লেট নেই। নরেন্দ্র মোদির কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বচ্ছ ভারত গড়ার উদ্দেশ্যে জনার্দন মিশ্রের মতো অগোচরে থাকা অনেক ব্যক্তি কাজ করে চলেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মনের রঙে ক্যানভাস রাঙালো শিশুরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বময় গর্বের স্মারক অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। আমাদের জাতীয় জীবনের অনন্যোজ্জ্বল দিনটি বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালন করা হয়। এরই অংশ হিসেবে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মনের রঙে ক্যানভাস রাঙালো শিশুরা। রোববার বিকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় জেলা শিলকলা একাডেমির আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমিতে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় শতাধিক কোমলমতি শিশু চিত্র শিল্পীরা অংশ নেয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার আমিনুল ইসলাম, শাম্মী আক্তার তমা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন প্রমুখ। বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন চিত্রশিল্পী এম.এ জলিল, জেলা শিশু একাডেমির লাইব্রেরিয়ান শেখ মো. রফিকুল ইসলাম, নাজমুস সায়াদাত মান্টি প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সংবাদ প্রকাশে গাত্রদাহ শুরু হয়েছে ভাইপো সাঈদুজ্জামানের !

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আলীপুরের আলোচিত ভাইপো সাইদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। অপকর্ম ঢাকতে ইতোমধ্যে সাইদুজ্জামান বিভিন্ন দপ্তরে ধর্নাদিচ্ছেন। এমন প্রচারও দিচ্ছেন খুলনায় তার কসমেটিসের দোকান রয়েছে। কিন্তু খুলনায় তার দোকান অথচ থাকেন সাতক্ষীরায় তাহলে কিভাবে সেটি পরিচালনা করেন সেটা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, উক্ত ভাইপো সাইদুজ্জামান চোরাকারবারি ব্যবসার সাথে জড়িত। সে স্বল্প শিক্ষিত হয়েও চোরাকারবারি ব্যবসা পরিচালনা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। সে অধিকবার অবৈধ মালামাল সহ ধরা ও পড়েছে এছাড়া ১০জনু১৬ইং তারিখে ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ছাড়া পান। এছাড়া বিভিন্ন থানায় মামলা ও রয়েছে যেমন পাটিকেলঘাটা থানা মামলা নং- ঝ.ঞ.ঈ- ১৭১/১৩, চলমান।
প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনী প্রধানদের- চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশনা থাকলে ও সে দাপটের সাথে সকল কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধপথে উপার্জনের মাধ্যমে কোটি টাকার মালিক হলেও চাচার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের জন্য মরিয়া সে।
অবৈধ টাকার প্রভাবে আইন, আদালত, জনপ্রতিনিধি কারো কোন তোয়াক্কাই করেন না ভাইপো সাঈদুজ্জামান। এমনই অভিযোগ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর গ্রামের শরিয়াতুল্লা মোড়লের ছেলে ইমান আলীর।
কাগজ পত্রানুযায়ী ভিটাবাড়ির জমি সকল ভাই বোনের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় হওয়ার পর পথ, পুকুর, কবরস্থান বাদে চার ভাই যথাক্রমে প্রাপ্য বড় ভাই এনছাপ ০১.৭২(দখল নাই), মৃত ছামছুরের পুত্র সাইদুজ্জামান ১৪.৭৯ (দখল৩৪.২৫)শতক, ইমান ৩৩.৪৩ (দখল ২৪) শতক ও জিয়াদ আলী ১৯.২১ (দখল ১০.৯০) শতক করে প্রাপ্য। কিন্তু দেখা যায় ভিটাবাড়িতে সাইদুজ্জামান প্রাপ্য ১৪.৭৯ শতক ছাড়াও ১৯.৪৬ শতক ও বিলান ১৪.১২ শতক জমি দীর্ঘদিন জোর পূর্বক অবৈধ দখল করে রেখেছে। সেই সম্পত্তি ফেরত চাওয়ায় চাচা ইমান আলীর সাথে বিরোধে সূত্রপাত ঘটে। ইতোপূর্বে সাঈদুজ্জামানের চোরাকারবারী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় ইমান আলীর ছেলে মোঃ হাবিবুল্লাহ বাহার কে ০১নং আসামী করে আরো তিন জনের নামে সাতক্ষীরা আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় হাবিবুল্লাহকে তার চাকুরি হারাতে হয়। চাকুরি হারিয়ে হাবিবুল্লাহ বর্তমানে মানবেতর জীবন – যাপন করছে।
এরপর গত ২১জানুয়ারি১৮ তারিখের সদর থানার এস আই হাসানুর রহমান উক্ত মামলার তদন্ত করেন। তদন্তে উক্ত মামলা মিথ্যা প্রমানিত মর্মে প্রতিবেদনও দেন সদর থানার এস আই হাসানুর রহমান। এটা নিয়ে ডেইলি সাতক্ষীরায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর গাত্র দাহ শুরু হয়েছে সাইদুজ্জামানের।
অত্র এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ১২৫ জন গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণস্বাক্ষর করেছেন। এঘটনা অসহায় চাচা ঈমান আলী বিলম্বে ওই চোরাকারবারি ভাইপোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ধর্ষণ মামলায় তিন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : হুজুর ডেকে কাল্পনিক বিয়ে পড়ানোর পর অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়া এক নারীকে বাড়ি থেকে খুলনায় তুলে নিয়ে যেয়ে গণধর্ষণের পর গর্ভপাত ঘটিয়ে কয়েক দিন আটক রেখে মৃত্যুমুখে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আকতার রোরবার নির্যাতিতা মহিলার না-রাজির আবেদন শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
গ্রেফতার পরোয়ানার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের শেখ আব্দুল মোমিনের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক, দেবীপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক গোলাম রসুল ও একই গ্রামের সুকুমার মণ্ডল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ৩ ফেব্র“য়ারি যাদবপুর গ্রামের সুকুমার মণ্ডল ও গোলাম রসুল একই এলাকার এক নারীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ফুলবাড়ি গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের ঘেরের বাসায় নিয়ে যায়। ওই দিন বহু প্রতিশ্র“তি দিয়ে হুজুর ডেকে ছিদ্দিকের সঙ্গে ওই নারীর কাল্পনিক বিয়ে পড়ানো হয়। স্বামী স্ত্রী হিসেবে সময় পার করার একপর্যায়ে ওই নারী দু’মাসের অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়লে গত বছরের ১১ জুন সকালে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে খুলনায় একটি বাড়িতে আটক রাখা হয়। সেখানে পাঁচদিন যাবৎ ছিদ্দিক, সুকুমার ও গোলাম রসুল পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই নারীকে। ১৬ জুন রাইসা ক্লিনিকে ওই নারীর গর্ভপাত ঘটানো হয়। পরে তাকে বিভিন্ন স্থানে রেখে ২৫ জুন ছিদ্দিকের বোন রোজিনার মাধ্যমে বাড়ির পাশে নিয়ে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। থানা মামলা না নেওয়ায় গত বছরের ২৬ জুলাই ওই নারী বাদি হয়ে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে থানা মামলা নিলেও আসামীদের দারা প্রভাবিত হয়ে তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক লিটন মিঞা গত বছরের ৬ ডিসেম্বর আদালতে সকল আসামীদের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ওই নারীর গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকুরি, একটি জাল এফিডেফিড, অন্যের মোবাইল সিম ওই নারীর দেখানোসহ বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়। মামলার পর পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করায় ওই নারী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কাছে তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিবর্তনের আবেদন জানান।
মামলা তুলে নিতে রাজী না হওয়ায় ওই নারীর ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও অপহরণ মামলায় আসামী করা হয়।
মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, পুলিশের চুড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ওই নারী রোববার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে না- রাজির আবেদন করেন। এ আবেদন জমা দিতে গেলে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু তাতে সাক্ষর করেননি। পরবর্তীতে শুনানী শেষে তিনি সাক্ষর করেন। তবে তিনি না-রাজীর আবেদন শুনানীর জন্য সময়ের আবেদন জানালে বিচারক তা খরিজ করে দিয়ে তিন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
না-রাজীর আবেদনে প্রথমে বিশেষ পিপি’র সাক্ষর না করা ও তিন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. সেলিনা আক্তার শেলী।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মহান ২১ ফেব্র“য়ারি উপলক্ষ্যে পৌর তাঁতীলীগের প্রস্তুতি সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : মহান ২১ ফেব্র“য়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষ্যে পৌর তাঁতীলীগের আয়োজনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় পলাশপোল প্রাইমারি স্কুল চত্বরে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর তাঁতীলীগের আহবায়ক নুরজাহান সাদিয়া। যুগ্ম আহবায়ক শেখ ফিরোজ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, পৌর তাঁতীলীগের সদস্য সচিব কাজী ওবায়েদ, সিনিয়র সদস্য সাংবাদিক মাসুদ আলী, ১নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল আলিম, ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোওয়ার হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি সুলতান মাহমুদ সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন প্রমুখ। এসময় ২১ এর প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে পুস্পস্তাবক অর্পনসহ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অভিষেকেই বাজিমাত পূজার!

বাংলা চলচ্চিত্রের বেশ পরিচিত মুখ ‘পূজা চেরি’। শিশু শিল্পী হিসেবেই বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তবে এবার শিশু শিল্পী নয় বড় পর্দায় নতুন এক পূজার অভিষেক হলো। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘নূর জাহান’ চলচ্চিত্র দিয়ে নায়িকার খাতায় নাম লিখালেন পূজা। আর অভিষেকেই নিজের অভিনয় শিল্পী দিয়ে বাজিমাত করেছেন এই নায়িকা।

শুক্রবার সারা দেখে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবি ‘নূর জাহান’। আর মুক্তির পরপরই প্রশংসা আর সবার ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন শিশু শিল্পী থেকে নায়িকা হওয়া পূজা। শুক্রবার ও শনিবার বিভিন্ন সিনেমাহল ঘুরে চলচ্চিত্র সাংবাদিক, নির্মাতা ও দর্শকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ছবির পাশাপাশি ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা পূজার অভিনয়ে মুগ্ধ তারা।

শফিক-আল-মামুন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সাংবাদিক ছবিটি দেখার পর তার অভিমতে জানান, ‘ নতুন হিসেবে দুই জনই বেশ ভালো অভিনয় করেছেন।তবে বিশেষ করে পূজার কথা বলতেই হবে যে ছবির শুরুতেই পূজার এন্ট্রি টা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। পূজার অভিনয় দেখে একবারের জন্যও মনে হয়নি যে ঐ নায়িকা হিসেবে প্রথাম অভিনয় করছেন।

নির্মাতা সৈকত নাসির বলেন, ‘ প্রথমেই জাজ মাল্টিমিডিয়াকে ধন্যবাদ দিতে চাই এমন একটি চলচ্চিত্র উপহার দেয়ার জন্য। এরপর আমি পূজার কথা বলতে যাই দুর্দান্ত অভিনয় করেছে সে। ছবির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবারের জন্য ওকে দেখে মনে হয়নি যে ও নতুন।’

এদিকে দৈনিক আজকালের খবরের সিনিয়র বিনোদন সাংবাদিক আহামেদ তেপান্তর বলেন, ‘ অসাধারণ অভিনয় করেছেন পূজা। আমার মনে হয় চলতি বছর হবে পূজাময়। পাশাপাশি বাংলা চলচ্চিত্র আরো একজন অসাধারণ নায়িকা বাঁ অভিনেত্রী পেতে যাচ্ছে।

এদিকে সিনেমাটি দেখে তরুণ-তরুণীরা তাদের অনুভূতি জানিয়ে বলছেন, ছবিতে যেন নিজেদের জীবনের গল্প দেখেছেন। সেই প্রিয় কলেজ, সহপাঠির সঙ্গে আড্ডা-মজা, ক্লাসমেটের সঙ্গে প্রেম, পড়াশুনার পাশাপাশি প্রেমের সাগরে ডুব দেয়া, এসব যেন প্রত্যেকের জীবন থেকে কুড়িয়ে আনা ঘটনা। তাই ছবিটিকে অনেক বেশি জীবনঘনিষ্ঠ মনে হচ্ছে তাদের।

নূর ও জাহান নামের দুই কিশোর-কিশোরীর মিষ্টি প্রেম ও তার করুণ পরিণতির গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘নূর জাহান’। এটি পরিচালনা করেছেন কলকাতার অভিমন্যু মুখার্জী। ছবিতে পূজা ও আদ্রিত ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী, সুপ্রিয় দত্ত ও কাঞ্চন মল্লিক প্রমুখ। প্রযোজনায় রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া ও কলকাতার রাজ চক্রবর্তী প্রডাকশনস।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রশ্নফাঁসের মহামারীর নেপথ্যে -আমিরুল আলম খান

সারা দেশে পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস এখন নৈমিত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। একেবারে শিশু শ্রেণী থেকে দেশের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সরকারের তর্জন-গর্জন সবই ব্যর্থ করে দিচ্ছে প্রশ্নফাঁসকারীরা। কঠোর শাস্তি, রিমান্ড, প্রশ্নফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিলে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেও কাজ হচ্ছে না। চলতি মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, তথ্যপ্রযুক্তি ও পদার্থবিদ্যা মিলে যে আটটি পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার সবগুলো প্রশ্নই ফাঁস করে দিয়ে দুর্বৃত্তরা সরকারকেই চ্যালেঞ্জ করে বসেছে। এমনকি তারা ফেসবুকে আগাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে যথাসময়ে অন্য প্রশ্নও তারা ফাঁস করবে। বিচ্ছিন্নভাবে এর আগে কিছু প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের এমন ভয়াবহ রূপ আগে কখনও দেখা যায় নি। শোনা যায় নি, একেবারে প্রথম শ্রেণী থেকেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। সমগ্র জাতি সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ।

পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত সন্দেহভাজনদের তালিকা বেশ দীর্ঘ। প্রশ্ন প্রণয়নকারী থেকে প্রশ্ন সমীক্ষক, বিজি প্রেস ও শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারি ট্রেজারি, ব্যাংক বা থানায় পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, কোচিং সেন্টার এবং পরীক্ষাগ্রহণকারী কর্মকর্তা-শিক্ষকরা পর্যন্ত সন্দেহের তালিকায়। এই লম্বা তালিকার কোথাও না কোথাও প্রশ্নফাঁসের রহস্য লুকিয়ে আছে। কিন্তু তারা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

প্রশ্নপত্র কেন ফাঁস হয় সে প্রশ্নের জবাব হয়ত কল্পনা করা সম্ভব। পরীক্ষায় ভাল ফল করতে পারলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়। আর তাই প্রশ্নফাঁসকারী ও প্রশ্নসংগ্রহকারীদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলা সহজ শুধু যদি বিষয়টা গোপনে সারা যায়, অর্থাৎ সরবরাহকারী ও গ্রহণকারী উভয়ে যদি নিজেদের আড়াল করে রাখতে পারে। কাজেই সেখানে চাহিদা ও সরবরাহের সূত্রটা বেশ লাগসই মনে হয়।
কিন্তু প্রশ্নফাঁস এমন মহামারী আকার ধারণ করল কেন? সর্বকালেই তো পরীক্ষা হত। তখন তো প্রশ্নফাঁসের এমন মহামারী দেখা যায় নি! এখানে দুটো জবাব পাওয়া যেতে পারে। প্রথমত, এখন শিক্ষার্থী কী শিখছে তার চেয়ে নজর বেশি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পাচ্ছে কি-না? অর্থাৎ শিক্ষা হয়ে উঠেছে সার্টিফিকেটসর্বস্ব। সেখানে জ্ঞান অর্থহীন। এই ঘোড়দৌঁড়ে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক, কোচিং সেন্টার, নোট-গাইড লেখক-প্রকাশক, প্রশাসক যেন এক কাতারে প্রশ্নফাঁসকারীদের সঙ্গে গড়ে তুলেছে এক শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
প্রতি বছর পরীক্ষার ফল প্রকাশে যে আত্মম্ভরিতা এবং আত্মতুষ্টির নগ্ন প্রকাশ ঘটে তাও কিছু দুর্বৃত্তকে এই অন্যায় কাজে প্রলুব্ধ করে থাকতে পারে। শিক্ষার চেয়ে জনতুষ্টিবাদ প্রাধান্য পাচ্ছে শাসকগোষ্ঠীর কাছে। ফলে, দেশ থেকে শিক্ষা নির্বাসনে গেলেও পরীক্ষা এসে হাজির হয়েছে প্রবল প্রতাপে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রাথমিক সমাপনী ও জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষার জগদ্দল পাথর। এই দুই পরীক্ষায় আমাদের শিশুরা মনোবৈকল্যের শিকার হচ্ছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, প্রশ্নফাঁসের মতই পরীক্ষা হলে বলে-কয়ে উত্তর লেখার দুর্নীতি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে পরীক্ষার নামে কোমলমতী শিশুদের হাতে-কলমে দুর্নীতি শেখানোর মহোৎসব চলে। প্রভাবশালী রাজনৈতিকরা ঘোষণা দেন তার এলাকার ছাত্ররা যেন যে কোন মূল্যে দেশের সেরা রেজাল্ট করে। এভাবে, এক অনৈতিক প্রতিযোগিতায় নেতা-পাতিনেতারা শিক্ষকদের বাধ্য করে পরীক্ষার হলে অসাধু পন্থা অবলম্বনে সাহায্য করতে।

পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে দেশে কোন একমত্য নেই। স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্নফাঁসের সমুদয় দায় শিক্ষকদের ঘাঁড়ে চাপান। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা অনুসন্ধানে সরকারের বিভিন্ন স্তরের নানা পেশার লোকদের সন্ধান পেয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী যদি শুধুই শিক্ষকদের প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য দায়ী করেন, তাহলে অন্য দুর্বৃত্তরা নিজেদের নিরাপদ ভাবে এবং আরও বেপরোয়া উঠতে আস্কারা পায়। স্বীকার করতেই হবে, এ অবস্থা একদিনে সৃষ্টি হয় নি। শিক্ষা বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অন্যায় হস্তক্ষেপ গত প্রায় তিন দশক ধরে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই মন্ত্রণালয়ের অধীন্যস্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দলীয় কিন্তু অযোগ্য, অদক্ষ, দুর্নীতিবাজদেও নিয়োগ ও পদায়ন করে প্রতিষ্ঠানগুলোকেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর ফলে যিনি যেখানে আছেন সেখানেই মহাপরাক্রমশালী হয়ে উঠছেন। তারা জানে, তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ রা কাড়ার সাহস পাবে না।

গত প্রায় তিন দশকে শিক্ষা নিয়ে যত ছেলেখেলা হয়েছে, এমনটি পূর্বে কখনও দেখা যায় নি। অর্থাৎ, সমস্যার মূলে রয়েছে শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন এবং সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলায় শিক্ষার ভূমিকা সম্পর্কে শাসকগোষ্ঠীর ভুল দৃষ্টিভঙ্গি। পাবলিক পরীক্ষা প্রশ্নপত্রে দুই বা তিনটি বিভাজন আছে। প্রথম দুই ভাগ হল, সৃজনশীল প্রশ্ন এবং বহুনির্বাচনী প্রশ্ন। বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর শতভাগ মুখস্ত নির্ভর। অথচ, ঢোল পিটিয়ে বলা হচ্ছে, ‘মুখস্তকে না বল’। দ্বিতীয় ভাগে আছে সৃজনশীল প্রশ্ন। এই প্রদ্ধতির উদ্ভাবক বেঞ্জামিন স্যামুয়েল ব্লুম। তিনি প্রথমেই শিক্ষার্থীকে অসীম সৃজনশীল শিশু হিসেবে গণ্য করেন এবং শিশুর মধ্যে যে সৃজনশীলতা লুকিয়ে থাকে তার বিকাশ সাধনে শিক্ষকের সহায়কের ভূমিকা পালনের উপর জোর দেন। সেখানে শিক্ষার্থীর বয়স, রুচি এবং সামর্থ্য অনুযায়ী প্রশ্নের মাধ্যমে অধিকতর জ্ঞান সন্ধানে শিক্ষার্থীকে প্রণোদিত করা হয়। এ জন্য প্রথমেই সৃজনশীল পাঠ্যবই রচনা করা দরকার হয়। তারপর দরকার শিক্ষককে সৃজনশীল পাঠদানে দক্ষ করে তোলা। আমাদের দেশে এর কোনটাই করা হয় নি। প্রথম দুই জরুরি কাজ না করেই তৃতীয় ধাপ অর্থাৎ সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণের এক উদ্ভট নাটক মঞ্চস্থ করে চলেছে শাসকগোষ্ঠী। অর্থাৎ ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বনাশ করা হচ্ছে। এর পিছনে মুখ্য কারণটি হল, শাসকগোষ্ঠীর সন্তানরা কেই এই পদ্ধতিতে লেখাপড়া করে না। বাংলাদেশের মত এত বৈষম্যপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা বোধকরি দুনিয়ার অন্য কোথাও চালু নেই। সৃজনশীল প্রশ্নের নামে এমন সব নালায়েক প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের নাজেহাল করা হচ্ছে যে দুনিয়ায় এর কোন নজির নেই। তৃতীয় ভাগটি হল ব্যবহারিক পরীক্ষা। দেশে কোন স্কুল-কলেজেই এখন ব্যবহারিক ক্লাস করানো হয় না; কিন্তু সকল পরীক্ষার্থীকেই ব্যবহারিকে শতভাগ নম্বর দেবার রীতি গড়ে তুলেছে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপই এই দুর্নীতির আসল কারণ। শাসকগোষ্ঠীর উদ্দেশ্য, এদেশে আমজনতার সন্তানেরা ডিগ্রি পেতে পারে, কিন্তু তারা যেন কোন কাজ না পায়। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার বরাতে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ডিগ্রিধারী বেকারের হার বাংলাদেশে সর্বোচ্চ।

আমাদের সমাজ ও রাষ্টব্যবস্থা সৃজনশীল পদ্ধতি চালু ও চর্চার জন্য আদৌ প্রস্তুত নয়। সৃজনশীল পদ্ধতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দেবার অঙ্গীকার করে। অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় যা কখনো কার্যকর করা সম্ভব নয়। একটি উদার, গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক, সুশাসিত সমাজেই কেবল সৃজনশীল প্রদ্ধতি সফল হতে পারে। সৃজনশীল প্রশ্ন করে ‘অবমাননার দায়ে’ কক্সবাজারের বাঁশখালীর তের জন শিক্ষককে জেলে পাঠানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে অনেকে জেল খেটেছেন, কেউ চাকুরিচ্যূত হয়েছেন, অনেকে নানা রকম ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক হেনস্থার শিকার হয়েছেন। গণতন্ত্র একটি ভাল ব্যবস্থা হওয়া সত্বেও আমাদের দেশে যেমন তার সঠিক চর্চা ও প্রয়োগ করা যাচ্ছে না, ঠিক তেমনি সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিও এদেশে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

এ সকল কারণে দেশে প্রশ্নফাঁসের মহামারী শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে ইতিহাসে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সময়ে কোটি কোটি সন্তানের সুশিক্ষা প্রাপ্তি ও দক্ষ হয়ে মানবসমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের এই মাহেন্দ্রক্ষণে প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা বিধানের মত মৌলিক কর্মে ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য।

আমিরুল আলম খান: সাবেক চেয়ারম্যান, যশোর শিক্ষা বোর্ড। 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest