সর্বশেষ সংবাদ-
অপরিপক্ষ আম খাদ্য হিসাবে গ্রহণে সাতক্ষীরার ডিসি’র সতর্কতাআলীপুর ইউপিতে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা রউফ বিজয়ীআশাশুনির মরিচ্চাপ সেতুর অধিকরনকৃত জমি জবরদখল: অবৈধ স্থাপনা নির্মানের হিড়িকসাতক্ষীরায় ঘরে-বাইরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত: বিপাকে নি¤œ আয়ের মানুষকালিগঞ্জে রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৪শ’ কেজি আম জব্দব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশ

সৌরজগতের শেষ প্রান্তে সমুদ্রের সন্ধান, এলিয়েনের অস্তিত্বের সম্ভাবনা

এলিয়েন নিয়ে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। দীর্ঘ দিন ধরে এ নিয়ে গবেষণাও চলছে। আর তারই জের ধরে নাসার এক অভূতপূর্ব আবিষ্কার এলিয়েনের অস্তিত্বের সম্ভাবনা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিল। আমাদের সৌরজগতের মধ্যেই সমুদ্র লুকিয়ে থাকার আভাস পেলেন বিজ্ঞানীরা।

‘ডেইলি মেইল’ এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে এক অজানা বস্তু রয়েছে। এখানকার তাপমাত্রা অত্যন্ত কম। মাইনাস ২০০ ডিগ্রিতে নেমে যায় তাপমাত্রা। সেখানে অত ঠাণ্ডায় তরল পানি থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে, বরফের স্তরের নিচে সমুদ্র লুকিয়ে রয়েছে, এমনই আভাস পাওয়া গেছে। নাসার গবেষকেরা মনে করছেন, যা ভাবা হয়েছিল, তার থেকে বেশি সময় ধরে ওইসব জায়গায় পানি থাকা সম্ভব।

এ ব্যাপারে নাসার গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে, চাঁদের আকর্ষণের ফলে তৈরি হওয়া উত্তাপে সমুদ্র লুকিয়ে থাকতে পারে বহুদিন ধরে।
বিশাল বরফের চাঁইয়ের তলায় সেই সমুদ্র রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। নেপচুন আর প্লুটোর বাইরে অর্থাৎ সৌরজগতের শেষ প্রান্তে রয়েছে সেই সমুদ্র।

এদিকে নাসার বিজ্ঞানী প্রবাল সাক্সেনা জানিয়েছেন, ওই বস্তুটি জল ও প্রাণের ধারক বলে মনে করা হচ্ছে। যদি আমাদের গবেষণা সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। দীর্ঘদিন ধরেই ভিনগ্রহে চলছে প্রাণের খোঁজ। এবার আরও একবার সেই গবেষণা প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার দিকে একধাপ এগোল বলেই মনে করা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সিলেটের স্বপ্ন ভেঙে শেষ চারে মাশরাফীর রংপুর

ম্যাচ ছিল খুলনার বিপক্ষে রংপুরের। সঙ্গে হিসাব-নিকাশের সঙ্গী ছিল সিলেট সিক্সার্স। কারণ এই ম্যাচে রংপুর হেরে গেলেই পরের পর্বে খেলার সম্ভাবনা বেঁচে থাকতো সিলেটের। সেই ম্যাচটি ১৯ রানে জিতে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারে উঠে গেছে মাশরাফীর রংপুর রাইডার্স। আগেই শেষ চার নিশ্চিত করা খুলনাকে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানেই থাকতে হচ্ছে।

সমান (১১টি) ম্যাচ শেষে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম সিলেট। নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা জিতলে ১১ হবে। তাতেও তাদের পরের রাউন্ডে খেলা হচ্ছে না। পরের পর্বের অন্য দুটি দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৩। দুই নম্বরে থাকা ঢাকার পয়েন্টও ১৩। তবে তারা ম্যাচ খেলেছে একটি বেশি। প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দল ১২টি করে ম্যাচ খেলবে।

রোববার মিরপুরে আগে ব্যাট করে ১৪৭ রানের পুঁজি গড়ে রংপুর। মোহাম্মদ মিঠুন শেষ ওভারে শফিউলকে তিন ছক্কা মেরে লড়াইয়ের সংগ্রহ এনে দেন দলকে। জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানে থামে খুলনা।

খুলনার শুরুটা ভালোই হয়। শান্ত জীবন পাওয়ার পর দলকে ৬০ রান পর্যন্ত নিয়ে যান। নিজে ফেরেন ১৮ বলে ২০ করে। এরপর ক্লিঞ্চার ৪৫ বলে ৪৪ করে দলকে লড়াইয়ে রাখেন। চারটি চার এবং একটি ছয়ের মারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। চট্টগ্রামে এক ম্যাচে অর্ধশতক (৫৪) পাওয়া আফিফ হোসেন এদিন ৮ রানে ফেরেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অধিনায়ক রিয়াদ (৬) নাহিদুলের বলে বোল্ড হলে কিছুটা বিপাকে পড়ে খুলনা।

শেষ দিকে ক্যারিবীয় তরুণ আর্চার ১১ বলে ১৯ করে খুলনার জয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেন। কিন্তু সতীর্থর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে রানআউট হয়ে যান। তিনি ফিরে গেলেই মূলত পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে যায় খুলনা।

দুই ওভারে চার রান খরচায় দুই উইকেট নিয়ে রংপুরের সফল বোলার বোপারা। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সোহাগ গাজী, নাহিদুল, নাজমুল ইসলাম এবং উদানা। মাশরাফী উইকেট না পেলেও দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন। চার ওভারে ২১ রান দেন।

প্রথম ইনিংসে রংপুরকে লড়াইয়ের স্কোর গড়ে দেন ম্যাচসেরা মিঠুন। ৩৫ বলে চার ছক্কা ও দুই চারে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। টি-টুয়েন্টিতে এটিই এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের প্রথম ফিফটি। দুই বাউন্ডারিতে ১১ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।

গেইল-ম্যাককালাম জুটি সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছিল না বিপিএলের শুরু থেকেই। আগের ম্যাচ থেকে ম্যাককালামকে তিনে নামিয়ে জিয়াউর রহমানকে করা হয় গেইলের সঙ্গী। সেই ম্যাচের মতো এবারও ব্যর্থ হওয়ায় শুরুর জুটি পায়নি রংপুর। ৮ রান করে জিয়া ফিরে যান আবু জায়েদকে উইকেট দিয়ে। ম্যাককালামও পারলেন না ইনিংস বড় করতে। ১১ বলে ১৫ রান করেই ফিরে যান এই কিউই ব্যাটসম্যান।

আগের দুই ম্যাচে রান না পাওয়া গেইল ব্যাটে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়ে থেমে যান ৩৮ করে। ২৭ বলের ইনিংসটিতে চারটি চার ও দুটি ছক্কা।

খুলনার পেসার জফরা আরচার নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন শফিউল, আবু জায়েদ রাহি, ব্র্যাথওয়েট ও বিপিএলে অভিষিক্ত পাকিস্তানি লেগস্পিনার মোহাম্মদ ইরফান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিউইদের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস পরাজয়

ওয়েলিংটনে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে পরাজিত হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচের চতুর্থ দিন নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১৯ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। যার ফলে এক ইনিংস ও ৬৭ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

তৃতীয় দিন ২১৪ রানে দুই উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলে ভালো কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৭২ রানে পিছিয়ে থাকা ক্যারিবীয়ানরা চতুর্থ দিন বাকি আট উইকেটে মাত্র ১০৫ রান যোগ করতে পারে। ক্যারিবীয়দের হয়ে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেন ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।

কিউই বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পান ম্যাট হেনরি। দুটি করে উইকেট তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্ট, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও নেইল ওয়াগনার।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৩৪ রান করেছিল। জবাবে কিউইরা ৫২০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট সহ মোট নয় উইকেট পাওয়া ওয়াগনার ম্যাচ সেরা হন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৪ মাসের শিশুকে মাইক্রোওয়েভে ঢুকিয়ে নিগ্রহ মা-বাবার!

আমাদের চারপাশ যখন শিশুদের ওপরে যৌন নিগ্রহে উত্তাল, তখনই পৃথিবীর অন্য প্রান্ত থেকে উড়ে এল আর এক নজিরবিহীন শিশু নিগ্রহের খবর। তবে এবার আর কোন বাইরের লোক নয়, চার মাসের শিশুটির ওপরে অমানুষিক নিগ্রহের দায়ে অভিযুক্ত শিশুটিরই বাবা-মা।

জানা গেছে, মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি স্টেটের বাসিন্দা ডেরিক বয়েস স্লেজাক ও তার স্ত্রী মিকালাকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। তারা তাদের চার মাসের শিশুসন্তানকে একটি মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ তা চালু রেখেছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ডেরিক ও মিকালা, দু’জনেরই বয়স ২২। তারা তাদের চার মাস বয়সের শিশুপুত্রকে নিয়ে হাজির হয় এক হাসপাতালে। শিশুটির মুখে লাল দাগ দেখে সন্দেহ হয় সেখানকার ডাক্তারদের। এই দম্পতি জানায়, শিশুটির শরীরে কোনও অ্যালার্জি বেরিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন, এগুলো কোনও অ্যালার্জি নয়, এগুলো সেকেন্ড ডিগ্রি বার্ন ইনজুরি।

এরপর সেই দম্পতিকে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। তারা জানায়, এক টিভি কমার্সিয়ালে এমন এক দৃশ্য দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা শিশুটিকে মাইক্রেওয়েভের ভেতরে কিছুক্ষণ রেখে দিয়েছিল।
আপাতত ডেরিক ও মিকালার ঠিকানা সেন্ট ফ্রাঁসোয়া কাউন্টি জেলে হয়েছে বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শুভাকাঙ্ক্ষীরা অনন্ত জলিলকে ঢাকার মেয়র হিসেবে দেখতে চাচ্ছেন!

বন্ধুগন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আমি আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ার বরকতে, আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি। আশা করি আপনারাও ভালো আছেন।

বন্ধুগন, আমার প্রতি আপনাদের ভালোবাসায় আমি চির কৃতজ্ঞ। আমার অনেক শুভাকাঙ্খী চাচ্ছেন আমাকে মেয়র হিসেবে দেখতে। সেই বন্ধুদের বলছি, এ বক্তব্য আমার প্রতি আবেগের বহিঃপ্রকাশ।
বন্ধুরা, আমি কখনো রাজনীতি করিনি এবং করবও না। কারণ রাজনীতির জন্য আমি নই। দেশের অনেক যোগ্য রাজনীতিবিদ আছেন। তারাই আসবেন রাজনীতিতে এবং দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবেন আমি আশা করি। আর তাদের মাঝে থেকে একজন যোগ্য রাজনীতিবিদ উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হয়ে আমাদের প্রিয় ঢাকাকে নিরাপদ ও বাস যোগ্য ঢাকা গড়ে তুলবেন।
সদ্য প্রয়াত আনিসুল হক ভাইয়ের অবাস্তবায়িত স্বপ্ন পূরণ করবেন ইনশাআল্লাহ্। আর সেই যোগ্য রাজনীতিবিদকে খুঁজে বের করবেন দেশরত্ন, জননেত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যেভাবে যোগ্য হাতে দেশ পরিচালনা করছেন, তেমনিভাবে আমাদের ঢাকা উত্তরের জন্য যোগ্য, সৎ ও কর্মঠ মেয়র নির্বাচনের মাধ্যমে উপহার দিবেন। বন্ধুরা, আপনাদের অনুপ্রেরণায় আগেও যেভাবে মানুষ ও সমাজের সেবা করেছি, ইনশাআল্লাহ্ আল্লাহর রহমতে ভবিষ্যতে যেন তেমনটিভাবে সেবা করে যেতে পারে। আর আগেও যেভাবে আপনারা আমার পাশে ছিলেন, আশা করি সবসময় একই ভাবে আমার পাশে থাকবেন। আর আমি অতি সামান্য একজন মানুষ, তাই আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে সবসময় আপনাদের পাশেই থাকতে চাই। ইনশাল্লাহ। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।

(অনন্ত জলিলের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাটকেলঘাটায় জমে উঠেছে ফুটপাতের শীত পোশাকের বাজার

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : কয়েক দিনের শীত ও কিছুটা কুয়াশা পড়তে শুরু করাই প্রতিনিয়ত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে শীতের গরম কাপড় কেনার জন্য ফুটপাতের দোকান গুলোতে। বড় দোকানগুলোতে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্তরা ভিড় জমাচ্ছে। নি¤œ আয়ের মানুষেরা থানার বিভিন্ন রাস্তার পাশে ফুটপাত ও হকার্স দোকানীর কাছে ভিড় জমাচ্ছে। বিশেষ করে মৌসুমভিত্তিক দোকানগুলোতে শীতের কাপড় কেনা-বেচা পুরোদমে চলছে।
বাজার ঘুরে জানা গেছে, থানার সব থেকে বড় বাজার পাটকেলঘাটা বাজার এখানে প্রায় ১০-২০টি স্থানে ফুটপাতে পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রয় হয়ে থাকে। এছাড়াও থানার আশেপাশের বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে যেমন, মেলেকবাড়ি, ফুলবাড়ি, সরুলিয়া, কুমিরা ও পোড়ার বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে মৌসুমভিত্তিক শীতবস্ত্র বিক্রেতারা শীতের গরম কাপড় বিক্রয় করে থাকে। এছাড়াও বড় বড় দোকানে তো আছেই। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০-১২টা পর্যন্ত এই দোকান গুলোতে চলে বেচা-কেনা। প্রতিবছর শীত মৌসুম আসলেই তাদের বিক্রয়ের অবস্থা বেশি ভাল হয়। দোকান গুলোতে নি¤œবিত্ত থেকে শুরু করে প্রায় মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা প্রতিনিয়ত ভিড় করেন। কারণ মৌসুমের শুরুতেই শীত পড়তে শুরু করাই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে এই দোকান গুলোতে। গত কয়েক দিন ধরে শীত পড়তে থাকায় প্রচ- শীত থেকে মানুষ একটু গরম পাওয়ার আশায় আগে ভাগেই ভিড় জমাচ্ছে বড় দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকান পর্যন্ত। ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে হরেক রকম বাহারী পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। শুরুতেই শীত বস্ত্রের চাহিদা বাড়ায় তারা ঢাকা ও চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন মার্কেট থেকে দেশী-বিদেশী হরেক ডিজাইনের শীতের পোশাকের গাঁইট নিয়ে আসছে বলে জানা যায়। এখানের দোকান গুলোতে পুরনো সব রকমের পোশাকের কদর বেশি। পুরনো এসব পোশাক যথেষ্ট সস্তা এবং বেশ শীত নিবরণদায়ক বলে অনেকের ধারণা।
সর্বনিম্ম ৩০ থেকে ৪শ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের শীতের কাপড় পাওয়া যায়। গাঁইটে যেসব ভাল জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, বাচ্চাদের কাপড় পাওয়া যায় সেগুলোর দাম একটু তুলনামূলক বেশি হয়। দোকানীরা পোশাকের গাঁইট ক্রয়ে করেন ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। মুখবন্ধ এসব গাঁইট কেনার আগে খুলে দেখার নিয়ম নেই। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতি গাঁইট কিনে আনা হয় ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। কিনে আনার পরে মুখ খুলে নির্ধারণ করা হয় লাভ-লোকসানের হিসাব। পোশাকগুলো গাঁইট থেকে বের করার পর দাম হাকেন বিক্রেতারা। কোন পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না। গাঁইট থেকে বেরিয়ে আসা বিদেশী পুরনো পোশাকটি ক্রেতার খুব পছন্দ হয়ে গেলে তা বুঝতে পারেন চতুর দোকানীরা। সে অনুযায়ী দাম হাঁকা হয়। ক্রেতাদের কাবু করতে পারলে টাকার পরিমান বেড়ে যায়। এসব দোকানের বিক্রেতারা পোশাকের দাম নির্ধারণ করেন। তবে দর কশাকশি ছাড়া পছন্দের পোশাক ক্রেতাদের কেনা সম্ভব হয় না। সব পোশাকের দাম একটু বেশি করে চাওয়া হয়। যাতে বিক্রেতারা তাদের লাভ পুষিয়ে নিতে পারেন। মীর শাহা আলম, আব্দুর রাজ্জাক ও শামছুর রহমান সহ বাজারের ফুটপাতের কয়েক জন শীতবস্ত্র বিক্রেতা জানায়, সব বয়সী মানুষের পোশাক বিক্রয় হচ্ছে এসব দোকান গুলোতে। গার্মেন্টস আইটেমের চেয়ে শীতবস্ত্র বিক্রি করে বেশি লাভ হয়। ভাগ্যের উপর নির্ভর করে আমাদের লাভ-লোকসান। যদি ভাগ্যে ছেঁড়া ফুটো পোশাক পড়ে তাহলে লাভ উঠতে অনেক কষ্ট হয়। কারণ ভাল পোশাক গুলো ক্রেতারা নিতে চায়। বাকী ছেঁড়া পোশাক গুলো ফেলে রাখতে হয়। ক্রেতারা এগুলো ভাল করে দেখে কেনেন। এসব পোশাক গুলো সাধারণত পুরনো পোশাকের মত হয়ে থাকে। ঢাকা ও চট্রগ্রাম থেকে এসব শীতবস্ত্র আনা হয়। একটি গাঁইট ১০হাজার থেকে প্রায় ৩০ হাজর টাকা দিয়ে কিনে আনা হয়। একটি সোয়াটারের দাম ১২০-৩০০, গেঞ্জি ৭০-১৫০, জ্যাকেট ২৫০-৭৫০, বাচ্চাদের কাপড় ৩০-২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে, টোপ ২০-১১০, মাফলার ৩০-১০০ টাকা তার মধ্যে থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিতে চেষ্টা করেণ নিম্মবিত্ত দরিদ্র মানুষেরা। এবছর শীতের পোশাকের চাহিদা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা বাড়ছে। দৈনিক ৫-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়। আশা করি এবছর দোকানে শীতের পোশাকের চাহিদা বাড়বে এবং বিক্রয় আরো বেশি হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জে বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় উপজেলা কমিশনার (ভূমি) নুর আহম্মেদ মাছুমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ অহেদুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য নুরুজ্জামান জামু, মহিলা সদস্য রোজিনা কান্টু, থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রাজীব হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেন, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোশারফ হোসেন, উপজেলা নির্বাচন কমিশনার শৈলেন্দ্র নাথ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, বিশিষ্ট সাহিত্যিক অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান, পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যরা দায়িক্তভার গ্রহণ করেছে। সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতিতে গত শনিবার সকাল ১১ টায় নব নির্বাচিত কমিটি দায়িক্তভার গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামী ৩ বছর মেয়াদী এই কমিটিতে সভাপতি পদে দায়িক্ত গ্রহণ করেছেন দেবহাটা উপজেলার ফতেমা রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার ও অর্থ-সম্পাদক কালিগঞ্জ উপজেলার বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাংবাদিক গাজী মিজানুর রহমান। উক্ত অনুষ্ঠানে সাবেক জেলা শিক্ষক কর্মচারি কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার চিত্তরঞ্জন ঘোষের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক নজিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ ইউনুস আলী, সাবেক প্রধান শিক্ষক বিভূতি ভূষণ দত্ত, কালিগঞ্জ উপজেলার শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সাবেক প্রধান শিক্ষক শফিউদ্দীন প্রমুখ। কমিটির অন্যান্যরা হলেন সহ-সভাপতি প্রধান শিক্ষক সুকৃতি কুমার রায়, কৃষ্ণানন্দ মূখার্জী ও আমানুল্লাহ, সহ-সচিব সহকারী শিক্ষক মিলন কুমার মন্ডল,দপ্তর সম্পাদক নজিবুল ইসলাম, সদস্য প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার দে, হাফিজুর রহমান, হরিসাধন ঘোষ,এবাদুল হক, করিমুল্লাহ, জয়দেব বিশ্বাস, সুব্রত কুমার বৈদ্য, বিএম শামসুল হক, অরুপ কুমার সাহা, আতাউর রহমান, ফজলুর করিম, হালদার সহদেব কুমার ও ভোলানাথ চক্রবর্তী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest