সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

ফিদেল কাস্ত্রোর বড় ছেলে দিয়াজের ‘আত্মহত্যা’

কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর ছেলে ফিদেল অ্যাঞ্জেল কাস্ত্রো দিয়াজ বালার্ট মারা গেছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্রানমা জানিয়েছে, দিয়াজ আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে হাভানা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার কিউবার রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্রানমার খবরে বলা হয়, ‘ফিদেল কাস্ত্রো দিয়াজ বালার্ট প্রচণ্ডরকমের বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। কয়েক মাস ধরে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক তার চিকিৎসা করেছেন। সকালে তিনি মারা গেছেন।

৬৮ বছর বয়সী দিয়াজ বালার্ট দেখতে অনেকটা বাবার মতো হওয়ায় তিনি ফিদেলিতো নামে পরিচিত ছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর প্রথম সন্তান তিনি। দিয়াজ বালার্ট পারমাণবিক পদার্থবিদ হিসেবে কাজ করেছেন এবং কাউন্সিল অব দ্য স্টেট অব কিউবার উপদেষ্টা ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাবার বইয়ে মেয়ের মলাট

এবারের অমর একুশে বইমেলায় চারটি বই আসছে অভিনেতা আবুল হায়াতের। অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় কলাম লিখেছেন তিনি।

সেগুলো নিয়ে অনন্যা প্রকাশনী থেকে বেরোচ্ছে ‘এসো নীপবনে’, ‘ঢাকামি’ ও ‘জীবন খাতার ফুটনোট’।

এ ছাড়া শব্দ শিল্প প্রকাশনী থেকে বেরোচ্ছে গল্পের বই ‘মিতুর গল্প’। চারটি বইয়েরই প্রচ্ছদ করেছেন তাঁর মেয়ে বিপাশা হায়াত।

এ বিষয়ে আবুল হায়াত বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ২৬টি বই বেরিয়েছে আমার। বেশির ভাগ বইয়ের প্রচ্ছদ বিপাশার করা। ও চারুকলায় ভর্তি হওয়ার পর আর কাউকে দিয়ে আমার বইয়ের প্রচ্ছদ করাতে হয়নি।’

বাবার বইয়ের প্রচ্ছদ করা নিয়ে জানতে চাইলে বিপাশা বলেন, ‘বাবার লেখার সঙ্গে ছোটবেলা থেকে পরিচয়। তাঁকে ব্যক্তিগতভাবেও খুব কাছ থেকে জানি। এ জন্য বাবার বইয়ের প্রচ্ছদ করতে আলাদা সুবিধা পাই। মজাও লাগে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৩২ ধারার বিরুদ্ধে জনমত ক্রমশ জোরালো হচ্ছে

বিতর্কিত আইসিটি আইন বিলুপ্ত করে প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারার বিরুদ্ধে জনমত ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। মানবাধিকার ও গণমাধ্যমকর্মীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতারাও এই আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হচ্ছে এর তীব্র সমালোচনা। আইনটি জাতীয় সংসদে পাস করার আগে চূড়ান্ত খসড়াটির এই ধারাসহ বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি একটু ভেবেচিন্তে প্রণয়ন করা উচিত। কারণ, আইনটির চূড়ান্ত খসড়া মন্ত্রিপরিষদ সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর বিভিন্ন মহল যেভাবে এর বিরোধিতা করছে, সরকারের উচিত তা বিবেচনায় নেওয়া। বিশেষ করে গণমাধ্যমকর্মীরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা নিয়ে যেভাবে সোচ্চার, তাঁদের দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এর আগে মনে হয় কোনো আইনে গণমাধ্যমের জন্য এত বিরোধাত্মক বিধান ছিল না। সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে খসড়াটি চূড়ান্ত করেছে, সেটি এখনো আইনের রূপ পায়নি। এখনো সুযোগ আছে খসড়াটি সংশোধন করার।’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও একুশে টেলিভিশনের সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা প্রণয়নের সময় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা এর বিরোধিতা করেছিলেন। সরকার বলেছিল, ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ হবে না। শেষ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হলো ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগের কথা, তার দ্বারা গণমাধ্যমকর্মীদের হয়রানির কথা।’ তিনি বলেন, ‘এখন নতুন করে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করতে খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। সেই খসড়ার কোথাও সাংবাদিক বা গণমাধ্যম নিয়ে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু খসড়ার ৩২ ধারা নিয়ে শঙ্কার কথা বলছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। সরকার বলছে, এটির আপপ্রয়োগ হবে না। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা প্রণয়নের সময়ও একই কথা বলা হয়েছিল। তাই গণমাধ্যমকর্মীদের দাবি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, সম্পাদক ও সাংবাদিকতা বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়াটি আরো উপযোগী করা। সাংবাদিকরা এটি নিয়ে যে শঙ্কা প্রকাশ করছেন, তার সমাধান না করে সংসদে আইন আকারে পাস করা হলে এটির অপপ্রয়োগ হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।

আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা সাংবাদিকতার জন্য একটি উটকো ঝামেলা সৃষ্টি করবে। খসড়াটি সংশোধন না করে যদি আইন আকারে পাস হয়, তাহলে তা পর্যালোচনা করা হবে। পর্যালোচনা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে কি না তা নিয়েও আলোচনা করা হবে।’

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, ‘নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাকেও ছাড়িয়ে গেছে। ওই আইন বাতিল করার জন্য এবার যা করা হচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা আরো সংকুচিত হবে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হবে এবং সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ আরো কঠিন হয়ে পড়বে।’ তিনি বলেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠানে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, ছবি তোলা, ভিডিও করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এখানে ‘বেআইনি’ শব্দটি ব্যবহার করে সাংবাদিকদের তথ্য-সংগ্রহ এবং ফটো বা ভিডিও চিত্র ধারণ বন্ধ করাই মূল উদ্দেশ্য। এ ধরনের কাজকে গুপ্তচরবৃত্তি বা রাষ্ট্রদ্রোহ বলে তথ্য সংগ্রহের কাজটি আরো কঠিন করে তোলা হলো। এটি সাংবাদিকতার জন্য চরম হুমকি।”

চূড়ান্ত খসড়া সংশোধনের দাবি টিআইবির : প্রস্তাবিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৭’কে জনগণের বাক ও মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার ও সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক কনভেনশনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আখ্যায়িত করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এ আইনের সব বিতর্কিত ধারা সংশোধন এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের অভিমতের ভিত্তিতে পরিমার্জনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এই আহ্বান জানান।

কড়া সমালোচনায় সিপিবি : অবৈধ, অন্যায় ও গণবিরোধী কাজ করে পার পাওয়ার অভিসন্ধি থেকে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো ‘কালো আইন’ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। গতকাল পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে সিপিবি কার্যালয়ে ‘গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার কর’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারাকে ‘কালাকানুন’ আখ্যা দিয়ে সিপিবি সভাপতি বলেন, ওই আইনের কোথায় কোথায় সংশোধন করতে হবে সে বিষয়ে সুপারিশ ও পরামর্শগুলোর তোয়াক্কা না করে বিপরীতমুখী নতুন বিধান যুক্ত করে এবং বিচ্ছিন্ন ধারাগুলো এক জায়গায় করে আইন হচ্ছে। ‘কালাকানুন দূর হবে আশা করেছিলাম, কিন্তু সরকার কালো আইনের বদলে কুচকুচে কালো আইন জাতিকে উপহার দিচ্ছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শহিদের সাথে মঞ্চে উঠে বেকায়দায় মীরা

‘পদ্মাবত’ বিতর্কের মাঝেই এবার ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে হাজির হলেন শহিদ কাপুর। স্ত্রী মীরা রাজপুতকে নিয়ে ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে উপস্থিত হন শহিদ।

ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে ডিজাইনার অঙ্কিতা দোগরের পোশাক পরে স্বামী স্ত্রী দুজনই ছিলেন। মঞ্চে উঠে যখন দু’জনে পোজ দিতে শুরু করেন, তখন আচমকাই ওড়না জড়িয়ে যায় মীরার মাথায়। কোনওক্রমে সেই পরিস্থিতি সামলে নেন শহিদ কাপুর।

স্ত্রীর মাথা থেকে চটপট ওড়না সরিয়ে দেন তিনি। এরপর ফের দু’জনে মঞ্চের ওপর পোজ দিতে শুরু করেন। যদিও অঙ্কিতা দোগরের পোশাক পরে শাহিদ-মীরার হাজিরাকে ‘স্বপ্নের’র মত বলেই অনেকে মন্তব্য করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শহরে মাংস বিক্রির মাইকিং নিষিদ্ধ করেছে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : যখন তখন মাংস বিক্রির মাইকিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন শহর মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। গতকাল শহর মাংস সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওলিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে সকল সদস্যদের অবগতির জন্য জানিয়েছেন, মাংস বিক্রি সংক্রান্ত প্রচার মাইক যোগে করা শব্দ যন্ত্র ব্যবহার ও শব্দ দূষণ আইনের পরিপন্থি। যে কারণে মাইক যোগে মাংস বিক্রিয় সংক্রান্ত মাইকিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরায় মাইক যোগে মাংস বিক্রি সংক্রান্ত যত্রযত্র প্রচারের পূর্বে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় নিজ দায়িত্বে প্রচার করতে হবে। সেক্ষেত্রে অত্র সমিতির কোন দায়বদ্ধতা থাকবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুম্বাইতে বাংলাদেশি তকমা’র ভয়ে তটস্থ পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা

বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকজন বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। বর্ধমানের এক বাসিন্দা মুম্বাই থেকে বিবিসিকে বলেন, এখন কাগজ-পত্র দেখালেও পুলিশ ছাড়েনা।

ওই পরিবারগুলির দাবী, তাদের কাছে নাগরিকত্বের সবরকম প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও নারী ও শিশু সহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিজের দেশেই নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে জলের মতো টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধৃতদের এক আত্মীয়। তাদের জেল থেকে ছাড়াতে পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বর্ধমানের ওই গ্রামের মানুষ।

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় ব্যাপক বন্যার কারণে প্রায় ১৫ বছর আগে কালনা এলাকা থেকে কাজের খোঁজে মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিলেন আলি আকবর মোল্লা।

মুম্বাইতেই কায়িক শ্রমের কাজ করে গড়ে তুলেছিলেন সংসার। নিজে কখনও রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে বা কখনও মুটের কাজ করেন। স্ত্রী কাজ করেন পরিচারিকা হিসাবে। ছেলে পড়ছিল স্থানীয় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে।

কিন্তু সপ্তাহ-খানেক আগে তার সংসারে নেমে এসেছে বিপত্তি।

স্কুল পড়ুয়া ছেলে সহ পরিবারের আরও কয়েকজনকে ভোর চারটের সময়ে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। তার আগে আরও কয়েকজন আত্মীয়কেও একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মি. মোল্লা টেলিফোনে মুম্বাই থেকে বিবিসিকে জানাচ্ছিলেন, “বাংলাদেশী মনে করে ওদের ধরে নিয়ে গেছে। তার মধ্যে আমার ছেলেও আছে। সব ডকুমেন্ট আছে। কিন্তু পুলিশ চেক করে দেখলই না। আগেও ধরত এরকম, কিন্তু কাগজপত্র ঠিক থাকলে ছেড়ে দিত। কিন্তু এখন দেখছি ধরেই সোজা জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আর কোর্টে গিয়ে প্রমাণ করতে হচ্ছে যে আমরা সত্যিই ভারতীয়।”

কয়েকজনকে ১৪ই ডিসেম্বর, আর বাকিদের ২৫ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ।

এই খবর পাওয়ার পরে কালনা এলাকার কালীনগর গ্রাম থেকে মুম্বাইতে কাজ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন আতঙ্কে ফিরে এসেছেন।

ওই গ্রামেরই বাসিন্দা শেখ হাবিব আলির কথায়, “বছর কুড়ি পঁচিশ ধরে আমাদের গ্রামের মানুষ মুম্বাইতে কাজে যায়। কিন্তু এরকম হেনস্থা কখনও হয় নি আগে। বাচ্চা ছেলে মেয়েদেরও ধরে নিয়ে গেছে। মুম্বাই পুলিশকে ফোন করেছিলাম। সব প্রমাণ দেওয়ার পরে এখন তারা বলছে জন্মের সার্টিফিকেট দাও। সেসব কি আর গ্রামের মানুষের থাকে? ওদের জমির দলিল যোগাড় করে সেটাই মুম্বাইতে পাঠাচ্ছি। যদি তাতে মানে।”

উপায় না দেখে গ্রামের মানুষরা স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।

কালনার সাবডিভিশনাল অফিসার নীতিন সিংহানিয়ার কাছে গ্রামের মানুষরা আবেদন করেছেন যাতে ধৃতদের ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করা যায়।।

মি. সিংহানিয়া বিবিসিকে বলছিলেন যে ধৃতরা যে তাঁর এলাকারই বাসিন্দা, সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন।

“ওঁরা আমার কাছে আবেদন করেছেন। জেলাশাসকের সঙ্গেও কথা বলেছি। বিষয়টা নিয়ে রাজ্য সরকারের একজন উপসচিব মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন – এটাই নিয়ম। চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব ওই ধৃতদের গ্রামে ফিরিয়ে আনতে,” বলছিলেন মি. সিংহানিয়া।

মুম্বাই বা দিল্লিতে বাংলাভাষী দেখলেই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী বলে সন্দেহ করা হয়ে থাকে। তার ওপরে যদি মুসলমান নাম হয়, তাহলে পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ অথবা রাজনৈতিক দলগুলির সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়।

পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে যে বাংলাদেশীদের মতোই চেহারার মানুষ থাকেন, বা একই ভাবে কথা বলতে পারেন, সেটা অনেকেই জানেন না বা জানলেও মানতে চান না।

এর আগে দিল্লির উপনগরী নয়ডাতেও পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার বাসিন্দা এক পরিচারিকাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল যে ওই পরিচারিকা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী। তবে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে যে তিনি ভারতীয় নাগরিক।

আলি আকবর মোল্লা জানাচ্ছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের অনেক সময়েই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী বলে সন্দেহ করে মুম্বাই পুলিশ। সেজন্য নিজের দেশেও সবসময়েই নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র নিয়ে ঘুরতে হয় তাঁদের।

মুম্বাই পুলিশ সেখানকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে অনেক সময়েই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা জাল ভারতীয় নথি যোগাড় করে নেন টাকা দিয়ে। এখন যাঁদের ধরা হয়েছে, তারা যদি সত্যিই ভারতীয় হন, তাহলে সেই প্রমাণ আদালতের কাছে দিতে হবে।

তবে মি. মোল্লা বলছেন নিজের দেশে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য তার জলের মতো অর্থ খরচ হয়ে যাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: আবারও সাতক্ষীরা বাসটার্মিনালে হামলা করে মারপিট ও অফিস ভাংচুর করেছে একদল শ্রমিক। তারা বাস মালিক সমিতির এক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হারুন জানান, একদল শ্রমিক কোনো কারণ ছাড়াই বাস টার্মিনালের একটি কক্ষ ভাংচুর করে। তারা বাসমালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদের কক্ষও ভাংচুর করে। তিনি জানান, এ সময় শ্রমিকরা বাস মালিক সমিতির কর্মকর্তা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান আসাদুল হককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে ফেলে। তারা তার ওপর চড়াও হবার চেষ্টা করে। এতে দুই পক্ষে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ এ সময় আসাদুলকে উদ্ধার করে। এসআই হারুন আরও জানান শ্রমিকদের হামলায় জিয়া নামের একজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাকে সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার বাসটার্মিনালে একই ভাবে হামলা করে তারা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক শেখ জামাল উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করেন। এর প্রতিবাদে জেলার সব রুটে এক ঘন্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষায় পদে পদে ঘুষ বাণিজ্য

অনলাইন ডেস্ক: দেশের শিক্ষা সেক্টরে পদে পদে ঘুষ বাণিজ্য সব দফতরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। থানা শিক্ষা অফিস থেকে শুরু করে শিক্ষা অধিদফতর পর্যন্ত সব বিভাগ, শাখা ও ইউনিটেই ‘ঘুষ’ একচ্ছত্র প্রভাব নিয়ে আছে। স্কুলে ছাত্র ভর্তি, শিক্ষক নিয়োগ, বদলি, পদায়ন, শিক্ষকের এমপিওভুক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন, জাতীয়করণ এমনকি অবসরের পর পেনশনের টাকা তুলতেও ঘুষ চলছে অবাধে। বিভিন্ন খাতে ডিজিটালাইজেশনে দুর্নীতি কমলেও শিক্ষা খাতে তার ছোঁয়া লাগেনি। ঘুষ-দুর্নীতি নিশ্চিত করতে এমন সব কৌশল আবিষ্কার হয়েছে যা রীতিমতো বিস্ময়কর। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরে কথা বলতে গেলেও ঘুষ লাগে বলে প্রচার আছে। সেখানে কোনো শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তা বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তা আমলে নিতে হলেও চাহিদামাফিক টাকা খরচ করতে হয়। সেসব অভিযোগ তদন্ত করাতে যেমন টাকা লাগে, আবার তদন্ত টিমের কার্যক্রম থামিয়ে দিতেও ঘুষের প্রচলন রয়েছে। শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রুটিন পরিদর্শনে গেলেও তাদের খুশি না করে উপায় থাকে না। শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তিতে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত অন্তত ছয়টি ধাপে ২০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়। আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণে ঘুষ দিতে হয় কমবেশি ২০টি ধাপে। এ নিয়ে তহবিল সংগ্রহের তথ্যও আছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগ, আগে তাদের এমপিও প্রতি ঘুষ দিতে হতো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এখন সেই ঘুষের পরিমাণ দুই থেকে তিনগুণ বেড়েছে। এ ছাড়াও নাম, বয়সসহ নানা বিষয় সংশোধন, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পেতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে ফাইল পাঠাতে ঘুষ দিতে হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা, জেলা শিক্ষা অফিসারকে দিতে হয় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। এসব ক্ষেত্রে মোট ঘুষ দিতে হয় ২৫/৩০ হাজার টাকা। ২০১৫ সালে সারা দেশের এমপিও নয়টি আঞ্চলিক অফিসে বিকেন্দ্রীকরণ করার পর শিক্ষক হয়রানি, ঘুষ লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে কয়েকগুণ। অভিযোগ উঠেছে, এমপিও দেওয়ার আগ মুহূর্তে প্রতিটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়।

ঘুষ-দুর্নীতির মচ্ছব : ঘুষ ছাড়া শিক্ষা ভবনে কিছুই হয় না। নানা নামে ঘুষ নেন কর্মকর্তারা। রয়েছে বিভিন্ন অঙ্কের রেট। এমপিওভুক্তি, পদোন্নতি, টাইম স্কেল সব এখান থেকেই হয়। রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল কিংবা কিন্ডারগার্টেনের অনুমতি নিতে বিশাল অঙ্কের টাকা ঘুষ দিতে হয়। একই অবস্থা হাইস্কুল ও কলেজের ক্ষেত্রেও। এই ঘুষের পরিমাণ সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা। কোনো কারণে প্রতিষ্ঠান বা নির্দিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অনুদান বা বেতন বন্ধ হয়ে গেলে তা পুনরায় চালু করতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। পেনশনের কাগজপত্র প্রসেসিংয়ে ঘুষ দিতে হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের আগে পরিদর্শককে ঘুষ দিতে হয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রিপোর্ট দেওয়া হয়। এই ঘুষের পরিমাণ ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

ঘুষ লেনদেন বাণিজ্য সফল করতে শিক্ষা ভবনেই গড়ে উঠেছে আলাদা সিন্ডিকেট। একজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত আছে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের দুই নেতা। অন্যদিকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতির জাঁদরেল এক নেতার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা আরেকটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। সিন্ডিকেট সদস্যরা সবাই কোটি কোটি টাকার মালিক। মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের অনেকে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অনৈতিক সুবিধা আদায় করছে বেপরোয়াভাবে। শিক্ষক নিয়োগ, এমপিওভুক্তি, উপবৃত্তি, বই বিতরণ ও বিভিন্ন শিক্ষকের অনিয়ম তদন্ত সংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা অনিয়ম করছে। তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে। এ ছাড়া শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, মানববন্ধন এমনকি বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের হাতে শিক্ষা কর্মকর্তা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। মাউশির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এলেও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অধিদফতরের সিনিয়র কিছু কর্মকর্তার কারণে এসব অনিয়মের তদন্তও হয় না। অনুসন্ধানকালে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি, রাজধানীর মিরপুরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম রনি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের মার্চে ওই পদে এমপিওভুক্তির জন্য তাকেও ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসারকে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক মো. আ. মোতালেব তারই অঞ্চলের উপ-পরিচালক এ এস এম আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফকে দিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মাউশি। ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে খুলনার আঞ্চলিক কার্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যশোর জেলার ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান। ওই শিক্ষকরা বলেছেন, ঘাটে ঘাটে ঘুষ দিয়েই এমপিও পাওয়া যায়। উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক কার্যালয় এই তিন জায়গায় ঘুষ না দিলে এমপিও পাওয়া যায় না।

চিঠিপত্রেও ঘুষ-হয়রানির ফাঁদ : প্রাথমিক শিক্ষক নেতারা বলছেন, মাঝে-মধ্যেই ভুল পরিপত্র ও অসঙ্গতিপূর্ণ নানা ধরনের সরকারি চিঠি জারি করা হয়। এরকম একাধিক পরিপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে হাজার হাজার শিক্ষকের বেতন-পেনশন বন্ধ হয়ে আছে। চাকরি হারিয়ে জাতীয়করণকৃত বেসরকারি রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষক এখন ধরনা দিচ্ছেন জেলা-উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে। একই কারণে উন্নীত স্কেলে বেতন পাচ্ছেন না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। আর তিন ধাপে দেড় বছরের মধ্যে জাতীয়করণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ থাকলেও তা শেষ হচ্ছে না তিন অর্থবছরেও। এ নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে।

সব স্তরে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করতে না পেরে সহনীয় মাত্রায় ঘুষ নিতে শিক্ষামন্ত্রী যে আকুতি জানিয়েছেন তাতে শিক্ষা খাতে দুর্নীতির করুণ চিত্রই ফুটে উঠে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ নানা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনানুষ্ঠানিক একটি নোটও দেন। ওই নোটে তিনি নিজের মন্ত্রণালয়ের সীমাবদ্ধতা, ভুলত্রুটি, ব্যর্থতা স্বীকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। এ ছাড়া দুর্নীতি, অনিয়ম, শিক্ষক হয়রানির কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে যে কোনো স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, শিক্ষামন্ত্রীর এই নোটের পর নড়েচড়ে ওঠেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। শিক্ষা সেক্টরের এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের ৩৯টি সুপারিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব সুপারিশে প্রশ্নপত্র ফাঁস, নোট বা গাইড বই বন্ধ, কোচিং বাণিজ্য রোধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ, এমপিওভুক্তি, নিয়োগ ও বদলিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির উৎস এবং তা বন্ধের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত ‘শিক্ষা সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক টিম’-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest