সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

মোস্তাফিজুর রহমান: আশাশুনিতে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃাতিক কেন্দ্রের স্থান পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. আব্দুর রউফ। রোববার সকালে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃাতিক কেন্দ্রের স্থান ও জমির অবস্থা পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম. বাকী বিল্লাহ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা, পিআইও সেলিম খান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম আজিজুল হক এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার দেশের সকল উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এরই আওতায় আশাশুনি উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন জমিতে ১৭০/১১০ ফুট জমির উপর এই মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রভাষক শওকত আলী বাবু : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমান উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য মালয়েশিয়া গমন করেছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নটিংহাম এর আমন্ত্রণে ফিউচার লিডারর্স এন্ড ম্যানেজার্স এম.এ এডুকেশনাল লিডারশীপ এন্ড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম এর আওতায় প্রিন্সিপাল ট্রেনিং মাস্টার্স অব আর্টস ইন এডুকেশন লিডারশীপ এন্ড ম্যানেজমেন্ট কোর্সে অংশগ্রহণ করতে শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় দেশ ত্যাগ করেন। উল্লেখ্য রবিবার সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে তাঁর বিদেশ সফর উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় মঙ্গল কামনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

উঁহু! এই প্রথমবার এমন ঘটল না! প্রথমবার শুধু ঘটনাটা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি! সাফ জানিয়েছেন রানী মুখার্জি তার পরিবারে নির্যাতন এবং মন্দ কথার স্রোত বয়ে যাওয়া প্রায় নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা!

তবে, এই নির্যাতনের বৃত্তান্ত কিন্তু পুলিশের কাছে জানাননি রানি। জানিয়েছেন নেহা ধুপিয়ার কাছে। আসলে, ‘ভোগ বিএফএফ’, অর্থাৎ বিশ্বখ্যাত ‘ভোগ’ পত্রিকা প্রযোজিত ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ফরএভার’ টক শো-তে পুরনো বন্ধু এবং দেশের ডাকসাইটে ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের সাথে হাজির হয়েছিলেন রানি।

নেহা ধুপিয়ার আতিথ্যে এই শো-তে এসে বলিউডের অনেক তারকাই নানা রকম বিস্ফোরক শিরোনাম উপহার দিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে। সেখানেই মন খুলে জানিয়েছেন নায়িকা পারিবারিক নির্যাতনের কথা।

তবে আগ বাড়িয়ে নয়। জানতে চেয়েছিলেন নেহা- রানি কি তার বরকে গালাগালি দেন? না কি মানুষটি আদিত্য চোপড়া এবং বলিউডের গডফাদারদের একজন বলে রেয়াত করে চলেন?

‘ও সবের প্রশ্নই উঠছে না! যখন আমার মাথা গরম হয়, তেড়ে গালাগালি করি আদিকে। শারীরিকভাবে হেনস্তাও করি, গায়ে হাত তুলি। তবে এটা কিন্তু একতরফা নয়। আদিরও মেজাজ গরম থাকলে মুখ দিয়ে খারাপ খারাপ কথা বেরোয়, আমায় পেটায়! এবং এটা একদিনের ব্যাপার নয়, প্রায় রোজই হয়’, অকপট স্বীকারোক্তি রানির।

তাহলে কি এটাই ধরে নিতে হবে যে খুব একটা সুখী দাম্পত্যে নেই নায়িকা? বাস করছেন চরম অশান্তির সংসারে?

এ রকম ভাবলে ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য সে-ই নায়িকারই উক্তি ব্যবহার করতে হবে। ‘একটা কথা এখানে না বললেই নয়। গালাগালি দেই বলে আর পেটাই বলে আমরা যে পরস্পরকে ভালোবাসি না, তা নয়! বরং খুব বেশি রকমের ভালোবাসি বলেই এটা করতে পারি! আর গায়ে হাত তুললেও তা ঠিক শারীরিক অত্যাচার নয়, বরং ভালোবাসার অত্যাচার বলা যায়, জানিয়েছেন রানি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেষ ম্যাচেও হারের লজ্জা বাংলাদেশের

জয়ের লক্ষ্যটা ছিল পাহাড়সম, ২১১ রান। শুরুতে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কাকে এই বিশাল সংগ্রহ গড়তে দেখেই হয়তো বাংলাদেশের জয় নিয়ে সন্দীহান হয়ে পড়েছিলেন সমর্থকেরা। শেষপর্যন্ত হয়েছেও তেমনটাই। তবে হারের ধরণ ও ব্যবধান যে এতটা খারাপ হবে- সেটা হয়তো প্রত্যাশা করেননি অনেকে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে হারের পর সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছে ৭৫ রানের বড় ব্যবধানে। ২১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮ বল বাকি থাকতেই ১৩৫ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস।

২১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৮ রানের মাথায় ওপেনার সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সেটি ছিল দ্বিতীয় ওভারের ঘটনা। পরের ওভারে সৌম্যর পথে হেঁটেছেন মুশফিকর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনও। কেউই স্পর্শ করতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা। চতুর্থ উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু দলীয় ৫৯ রানের মাথায় অষ্টম ওভারে তামিমকে সাজঘরমুখী করেন বাঁহাতি স্পিনার আমিলা আপোনসো। পরের ওভারে আরিফুল হকও সাজঘরে ফিরে গেছেন মাত্র ২ রান করে। ১৫তম ওভারে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পরপরই নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের হার। ৪১ রানের অধিনায়কোচিত এক ইনিংস এসেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে। শেষপর্যায়ে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ২০ ও মেহেদী হাসানের ১১ রানের ইনিংস দুটি হারের ব্যবধানটাই শুধু কমাতে পেরেছে বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে গেছে বাংলাদেশ। সমতা ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেও খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পরেননি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে কুশল মেন্ডিস, গুনাথিলাকা, থিসারা পেরেরাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে মাত্র চার উইকেট হারিয়েই স্কোরবোর্ডে ২১০ রান জমা করেছে শ্রীলঙ্কা।

শুরু থেকেই ঝড়ো ব্যাটিং করে গেছে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস ও গুনাথিলাকার ৬৬ বলের উদ্বোধনী জুটি থেকেই এসেছিল ৯৮ রান। একাদশতম ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছেন সৌম্য সরকার। ৪২ রান করে ফিরে গেছেন গুনাথিলাকা। তবে এরপরও বাংলাদেশি বোলারদের স্বস্তি দেননি মেন্ডিস ও পেরেরা। দ্বিতীয় উইকেটে তাঁরা গড়েছিলেন ৫১ রানের ঝড়ো জুটি। ১৬তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত আবু জায়েদ। সাজঘরে ফেরান ৩১ রান করা পেরেরাকে। পরের ওভারে ৭০ রান করা মেন্ডিসের উইকেটও তুলে নিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। শেষপর্যায়ে উপুল থারাঙ্গার ২৫ ও দাশুন সানাকার ৩০ রানের ছোট ইনিংস দুটিতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২১০ রান জমা করে শ্রীলঙ্কা।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্কোরকার্ডে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তুলেও বাংলাদেশকে হেরে যেতে হয়েছিল ছয় উইকেটে।

সিলেটে বাংলাদেশ মাঠে নামছে চার পরিবর্তন নিয়ে। ফিরে এসেছেন দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। অভিষেক সিরিজে অফস্পিনার মেহেদী হাসানের সঙ্গে সিলেটের ছেলে আবু জায়েদ রাহীর অভিষেকটাও হয়ে গেল নিজের ঘরের মাঠেই। আফিফ হোসেনের পরিবর্তে দলে এসেছেন মোহাম্মদ মিঠুন।

বাংলাদেশ একাদশ : মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, আরিফুল হক, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, নাজমুল ইসলাম অপু, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান ও আবু জায়েদ রাহী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি পর্দার আড়ালে কী ঘটেছিল?

২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি সারাদিনই ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা।

তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীসহ একদল সেনা কর্মকর্তা দুপুরের দিকে বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন। সে সময়ের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ একটি বই লিখেছেন।

‘শান্তির স্বপ্নে: সময়ের স্মৃতিচারণ’ নামে সে বইতে বর্ণনা করেছেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ইয়াজউদ্দিন আহমেদের সাথে বৈঠকে কিভাবে জরুরী অবস্থা জারীর বিষয়টি উঠে এসেছিল।

সে বইতে মঈন ইউ আহমেদ বর্ণনা করেন, ” আমি প্রেসিডেন্টকে দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি, নির্বাচন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের আল্টিমেটাম এবং বিদেশী রাষ্ট্র সমূহের অবস্থান, বিশেষ করে নির্বাচনের ব্যাপারে জাতিসংঘের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানালাম। জাতিসংঘ মিশন থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করা হলে যে বিপর্যয় ঘটতে পারে তা সবিস্তারে বর্ণনা করলাম। নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রেসিডেন্টকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝাতে সচেষ্ট হলো।”

সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারী।

২০০৭ সালের ২২শে জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে যে ধরনের সহিংস পরিস্থিতির তৈরি হতে পারে সে বিষয়টি গোয়েন্দা দৃষ্টিকোণ থেকে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে বুঝিয়েছেন।

সার্বিক বিবেচনায় সামরিক কর্মকর্তারা জরুরি অবস্থান জারীর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরলেন।

দেশে জরুরী অবস্থা জারী করা হতে পারে – এমন ধারণা পেলেও বিষয়টি নিয়ে ১১ই জানুয়ারি সারাদিনই নিশ্চিত হতে পারছিল না আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র নেতারা।

সেদিন দুপুরে প্রভাবশালী কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে বৈঠক হয়েছিল আওয়ামীলীগ নেতাদের।

সে বৈঠকটি হয়েছিল ঢাকাস্থ কানাডীয় হাই কমিশনারের বাসায়।

সেখানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের পাশাপাশি আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এবং ভারতের হাই কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

সে বৈঠকের বর্ণনা দিতে গিয়ে মি: সেলিম বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, ” বিভিন্ন কথার এক পর্যায়ে তারা বললো এভাবে হলে তো দেশ চলতে পারে না। এভাবে হলে তো বিশৃঙ্খলা-অরাজকতা বাড়বে। আপনার দুই দল যদি সমঝোতায় না আসেন তাহলে অন্যরকম ঘটনা ঘটতে পারে। ওনাদের কথায় মনে হলো কী যেন একটা হচ্ছে। কারণ ওনারা পজিটিভ কিছু বললেন না।”

একদিকে রাস্তায় আওয়ামীলীগের আন্দোলন এবং অন্যদিকে বঙ্গভবনে সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা চলছে।

একই সাথে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন ঢাকাস্থ বিদেশী কূটনীতিকরা।

পর্দার অন্তরালে কী ঘটতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে অনেকটা অন্ধকারে ছিল সদ্য ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়া দল বিএনপি। দলটি তখন ২২শে জানুয়ারির নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ১০ই জানুয়ারি গভীর রাত পর্যন্ত কুমিল্লায় নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন।

তখন খালেদা জিয়ার সাথে ছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশারফ হোসেন।

মি: হোসেন বলছিলেন, “কুমিল্লার পদুয়ার বাজারে রাত নয় থেকে ১১টা পর্যন্ত জনসভা করেছেন। আমরা রাত একটার সময় ঢাকায় ফিরে আসি। ১১ তারিখ বিকেলের দিকে জানতে পারলাম যে সেনাবাহিনী থেকে প্রেসিডেন্ট ভবনে গিয়েছেন এবং সেখানে কিছু একটা হচ্ছে। জাতিসংঘের কিছু একটা চিঠি নিয়ে সেনাপ্রধান এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি বঙ্গভবনে গিয়ে প্রেসিডেন্টকে দিয়ে জরুরী আইন ঘোষণা করাচ্ছেন।”

সাধারণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবেন সেটি নিয়ে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে তীব্র বিরোধের কারণে সহিংস পরিবেশ ছিল অনেকটা সময় ধরে।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মেয়াদ শেষ হবার অনেক আগে থেকেই সে সময় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট রাস্তায় আন্দোলন করছিল।

একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

জেনারেল মইন ইউ আহমেদ তার লেখা বইতে জরুরী অবস্থা জারীর পেছনে রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটও তুলে ধরেছেন।

সে বইতে মি: আহমেদের বর্ণনা ছিল এ রকম, ” একসময় ক্ষমতাধর কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি আমার সাথে দেখা করে জানাল, সব দলের অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী সহায়তা করলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহারের জন্য তারা জাতিসংঘকে অনুরোধ করবে। প্রচ্ছন্ন এ হুমকির পরিণতি অনুধাবন করতে আমার অসুবিধা হলো না। জাতিসংঘের কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রক এসব দেশের অনুরোধ ও মতামত যে জাতিসংঘ অগ্রাহ্য করতে পারবে না তা বলাই বাহুল্য। আমি এর পরিণাম চিন্তা করে শিউরে উঠলাম। তারপরেও আমার একমাত্র চিন্তা ছিল কিভাবে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্র যন্ত্রের কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখা যায়।”

সে সময় ইয়াজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ছিলেন ড: সোয়েব আহমেদ।

২রা জানুয়ারির নির্বাচনে যখন সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তখন ‘ভিন্ন কিছু’ আঁচ করছিলেন মি: আহমেদ।

সেদিন সব উপদেষ্টাদের বঙ্গভবনে যাবার জন্য অনুরোধ পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ।

ড: সোয়েব আহমেদ বঙ্গভবনে গিয়ে জানতে পারেন যে তিন বাহিনীর প্রধান রাস্ট্রপতির সাথে বৈঠক করছেন।

তখন উপদেষ্টা পরিষদের সবাই জানতে পারলেন যে রাষ্ট্রপতি জরুরী অবস্থা ঘোষণা করবেন। কিন্তু বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে তখনো তাদের জানানো হয়নি।

মি: আহমেদ বলেন, “এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি আমাদের সাথে চা চক্রে মিলিত হলেন। সেখানে তিনি জানালেন যে পরিস্থিতির জটিলতার কারণেই তত্বাবধায়ক সরকার ভেঙ্গে দিতে হচ্ছে। আমরা সবাই রেজিগনেশন দিয়ে চলে গিয়েছি।”

সে রাতেই শুরু হয়েছিল আরেকটি সরকার গঠনের প্রক্রিয়া।

প্রথমে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনুসকে সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাব দেয়া হলে তিনি তাতে রাজী হননি।

তখন ড: ফখরুদ্দিন আহমদ প্রস্তাব পেয়ে এগিয়ে আসেন।

সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদসহ বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা সে প্রক্রিয়া চালিয়েছিলেন।

ড: ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন সে সরকারে অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

নতুন তত্বাবধায়ক সরকারে যোগ দেয়া প্রসঙ্গে মি: হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, ” আমার কাছে লোক পাঠানো হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল যে আপনি আসেন। বলা হয়েছিল যে এটা কেউ জানবে না। সে হিসেবে আমি প্রাইম মিনিস্টারের অফিসের ওখানে আসলাম। সেখানে দেখলাম সামরিক বাহিনীর বড় বড় কর্মকর্তারা। ১৫-২০জনের মতো উপস্থিত ছিলেন।”

মি: হোসেন ধারণা করেছিলেন যে হয়তো সামরিক শাসন জারী হতে যাচ্ছে।

তখন জেনারেল মইন ইউ আহমেদ সবার সামনে দেশের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করলেন এবং মি: হোসেনকে নতুন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যোগ দেবার জন্য অনুরোধ করলেন।

কিন্তু ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বললেন, সরাসরি সরকারে যোগ না দিয়ে তিনি নতুন সরকারের পেছনে থেকে সহায়তা করবেন।

যুক্তি হিসেবে মি: হোসেন সরকার পরিচালনায় তার অনভিজ্ঞতার বিষয়টি তুলে ধরেন।

তখন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য মি: হোসেনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন।

” আমাকে ৪৮ ঘণ্টা পরে ফোন করা হলো। এর মধ্যে আমি জানলাম যে ফখরুদ্দিন সাহেবকে প্রধান উপদেষ্টা করা হবে। তখন আমি ভাবলাম যে ফখরুদ্দিন সাহেব যদি থাকে তাহলে ঠিক আছে। যাওয়া যেতে পারে। আমি ফখরুদ্দিন সাহেবের সাথে কথাও বললাম। উনি বললেন যে তুমি যদি আসো তো ভালোই হবে। এভাবেই আমি রাজী হয়েছি,” বলছিলেন মইনুল হোসেন।

ড: ফখরুদ্দিন আহমেদের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এবং এইচএম এরশাদসহ মহাজোটের নেতারা।

সে সরকার আওয়ামীলীগের আন্দোলনের ফসল বলে উল্লেখ করেছিলেন শেখ হাসিনা।

কিন্তু সে সরকার এক পর্যায়ে বিএনপির পাশাপাশি শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকে গ্রেফতার করেছিল।

আওয়ামীলীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, শুরুতে ভালো কথা বলা হলেও পরে সে সরকারের উদ্দেশ্য পাল্টে গিয়েছিল।

এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বাদ দেবার জন্য তখনকার সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠে।

রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্যবসায়ীকেও আটক করা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের উপর ছিল কড়া নজরদারী।

একটি সাধারণ নির্বাচনের বিষয়ে সেনা সমর্থিত সরকারের উপর চাপও বাড়ছিল।

অবশেষে ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর সকল দলের অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

যার মাধ্যমে দুই বছর পর দেশে ফিরে আসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পুলিশের অভিযানে ৩৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ পিকআপ আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় পুলিশের অভিযানে ৩৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ পিকআপ(খুলনা মেট্রো ন-১১-০০২৯) আটক করা হয়েছে। রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আটকের ঘটনা ঘটে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ বলেন, ‘পিকআপে করে মাদকের একটি বড় চালান যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাতক্ষীরা সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার সংগীয় ফোর্স নিয়ে সাতক্ষীরা সদরের ভালুকা-চাঁদপুর আমিনিয়া মসজিদ এলাকায় একটি পিকআপ এর গতিরোধ করেন। এ সময় ফন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চালক পিকআপ এর ভিতরে তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৩৫০ বোতল ফেলে পালিয়ে যায়। ফেন্সিডিল ও পিকআপ থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তুজুলপুর স্কুলের এক ছাত্রকে পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্কুল ছুটির পরে বাড়ি ফেরার পথে স্কুল ছাত্রকে পেটালো দুর্বৃত্তরা । আহত আশিকুর রহমান তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। সে সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের ইকরামুল ইসলামের ছেলে।

আশিকুর রহমানের পিতা ইকরামুল ইসলাম ডেইলি সাতক্ষীরা’কে বলেন,  রবিবার বিকালে স্কুল ছুটির পর  বাড়ি ফেরার পথে তুজলপুর এলাকার একদল সন্ত্রাসী তার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। আশিকের সহপাঠি সোহেলের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। স্বসস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারতে মারতে ভ্যান করে তুলে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে প্রায় ২ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় তুজলপুরের মোশাররফের পুত্র কিবরিয়া ভ্যান যোগে ছয়ঘরিয়ার ভোবার বটতলা এলাকায় ফেলে রেখে যায় বলে জানতে পার‌ি । এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে তার মা বাবাকে খবর দেয়। আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র জানায়, স্কুল ছুটির পর  বাড়ি ফেরার পথে তুজলপুর এলাকার একদল সন্ত্রাসী আকস্মিকভাবে মারতে মারতে ভ্যানে করে তুলে নিয়ে যায়।

আহত স্কুল ছাত্র আশিকুর জানান, তুজলপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আবু শাম, সাহাবুদ্দীনের ছেলে শামিম হোসেন, মোশাররফ হোসেনের ছেলে কিবরিয়াসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন তাকে হামলা করে।

তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘পরমাণু যুদ্ধের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে বিশ্ব’

বর্তমান পৃথিবী পরমাণু যুদ্ধের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন শীর্ষস্থানীয় মার্কিন পরমাণু বিজ্ঞানী আর্নেস্ট মোনিজ। নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভের সিইও ও কো-চেয়ারম্যান মোনিজ মনে করছেন, ক্ষুদ্রাকৃতির বিপুল পরিমাণ পারমাণবিক বোমা তৈরি হয়েছে বিশ্বে; যেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে একটুখানি অসাবধানতার কারণে অনিচ্ছাকৃত বিস্ফোরণ ঘটতে পারে যখন-তখন। হ্যাকিং আক্রমণের কারণেও পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণ হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন তিনি। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ওবামা সরকারের জ্বালানি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন মোনিজ। পরে তিনি নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভে তৎপর হন।

যুক্তরাষ্ট্র-সোভিয়েত ইউনিয়ন ছাড়াও যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল পরমাণু অস্ত্রে সমৃদ্ধ। তবে অস্ত্র উন্নয়নের কথা অস্বীকার করে থাকে বেশিরভাগ দেশ। নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভের সিইও এবং কো-চেয়ারম্যান আর্নেস্ট মোনিজ মনে করেন, ‘পৃথিবীর জন্য এটা আশীর্বাদ যে ভুল করে কোনও পারমাণবিক বোমা ছোড়া হয়নি এখন পর্যন্ত। কিন্তু ক্রমেই এই আশঙ্কা বাড়ছে। ভুলে বিস্ফোরণের সম্ভাবনার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে বহু পক্ষের বিবাদে জড়িয়ে যাওয়াও পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে’ । ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষুদ্রাকৃতির পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন তিনি।

গত বছর ১৩ জানুয়ারি শনিবার সকালে মোবাইল ফোনে এক জরুরি সতর্ক বার্তা পান যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই রাজ্যের বাসিন্দারা। ওই বার্তায় বলা হয়,  ‘ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি হাওয়াইয়ের দিকে ছুটছে। দ্রুত আশ্রয় খুঁজে নিন। এটা কোনও প্রশিক্ষণ নয়।’ ওই দিন রেডিও আর টেলিভিশনেও একই বার্তা প্রচারিত হয়। এরপরই রাজ্যজুড়ে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। পরে এই বার্তাকে ভুয়া বলে ঘোষণা দেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।

ভুল সতর্কতা সংক্রান্ত সেই ঘটনা সম্পর্কে মোনিজ বলেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে যে ভুল সতর্কতা সঙ্কেত দেওয়া হয়েছিল তা অনেক বড় পাল্টা ভুল সিদ্ধান্তের কারণ হতে পারত। হাওয়াইয়ের এই বিপদ সঙ্কেত যে ভুল ছিল তা বুঝতে ৩৮ মিনিট লেগে গিয়েছিল। ‘পরমাণু আক্রমণের জবাবে পাল্টা পরমাণু আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিতে  ট্রাম্প, পুতিনসহ অন্য নেতাদের জন্য ৩৮ মিনিট যথেষ্ট। আমরা এর আগেও এরকম ভুল সঙ্কেতের কারণে কয়েকবার বিপদের হাত থেকে বেঁচে গেছি। কিন্তু এভাবে বেঁচে যাওয়ার সুযোগ কমে আসছে।’

ট্রাম্প প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য নতুন স্বল্পপাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি ওবামা যুগে নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আর তা হলো ইউরোপে মোতায়েন করা বি-৬১ পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর আধুনিকায়নের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব। মেনিজ মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ওই দুই সিদ্ধান্ত পরমাণু আক্রমণের আশঙ্কা বাড়াবে।

সমালোচকরা বলছেন, রাজনীতিবিদ ও জেনারেলদের কাছে এসব ছোট ছোট অস্ত্রই বেশি প্রিয় হয়ে উঠবে। আর তা বাড়িয়ে দেবে পরমাণু আক্রমণের সম্ভাবনা। মোনিজও সেটাই মনে করেন। ম্যাসাচুয়েটস ইন্সটিটিউট-এমআইটির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক এই প্রধান বলেছেন, ‘ছোট ছোট এত পারমাণবিক অস্ত্র থাকলে সেগুলো হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারে যেকোনও সময়ে। তখন নির্দিষ্ট করে জানাটাও কঠিন হবে আক্রমণটা কোন পক্ষ শুরু করেছিল। তাছাড়া এমনও হতে পারে, তৃতীয় কোনো পক্ষ হ্যাকিং করে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধটা বাঁধিয়ে দিতে পারে।’

অধ্যাপক মোনিজ স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট যখন ইরাকের মসুল শহরে দখল নিয়েছিল তখন সেখানে ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত কোবাল্ট-৬০ জমা ছিল প্রচুর পরিমাণে। আইএস চাইলে তার অপব্যবহার করতে পারত। মোনাজ তাই চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় পদার্থের সুব্যবস্থাপনার তাগিদ দিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest