সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ

তরিকুল ইসলাম লাভলু: কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার সোনাটিকারী আহ্ছানিয়া দরবেশ আলী মন্নুজান মেমোরিয়াল প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলে গতকাল সোমবার সকাল ৯ টায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী,অভিভাবক সম্মেলন,পুরস্কার বিতরণী সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে আলহাজ্জ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু দাউদ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন,কালিগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন,নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েম,বিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিক্ষক রজব আলী দৈনিক দৃষ্টিপাতের নলতা প্রতিনিধি ও কালিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম,সহ-সভাপতি ডাঃ জিএম ফজলুর রহামান,সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম লাভলু,বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য মঈনুল ইসলাম মুকুল,মোহর আলী,আলহাজ্জ ইদ্রিস আলী, আলহাজ্জ আবুল কাসেম,মাহবুবুল হক,পাপিয়া সুলতানা,শিরিনা খাতুনসহ শিক্ষকবৃন্দ,অভিভাবকবৃন্দ,শিক্ষার্থীবৃৃন্দ ও সুধিবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন,সুদর্শন কুমার ব্যানার্জি। অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে বিকাল ৩ টা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সভ্যতার উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়েছে নানা ধরনের অস্ত্র। আদিমকাল থেকে মানুষ অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করে নিজেকে বন্য প্রাণীর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার জন্য। কিন্তু ধীরে ধীরে এখন অস্ত্রের ব্যবহার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এখন অস্ত্রের ঝনঝনানি বেড়েছে মানুষ মানুষকে মারতেই। তার একটি নিদর্শন বলতে পারেন একটি দেশের ৩২ কোটি নাগরিকের মধ্যে ২৯ কোটি মানুষের হাতে অস্ত্রের থাকা। এর ফলও মারাত্মক আকার ধারণ করছে দেশটিতে। দেশটির নাম যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলিতে সাধারণ মানুষ নিহত হওয়া প্রতিদিনের ঘটনা। গত বুধবারও দেশটির এক স্কুলে সাবেক ছাত্রের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। এমন গোলাগুলির ঘটনার পরই কিছু তাক লাগানো তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটিতে ঘটা এমন ঘটনার হিসাব রাখতে থাকা একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান ‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ’।

১. প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে এলোপাতাড়ি গুলিতে (Mass Shooting) ৩৪৬ জন নিহত হন। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ৪৩২, এবং ২০১৫ তে এটি ছিল ৩৬৯।

২. যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ এলোপাতাড়ি গোলাগুলির (Mass Shooting) থেকে ‘বড় ধরনের এলোপাতাড়ি গুলি’ (Major Mass Shooting) কে আলাদা করে দেখা হয়। কোনো ঘটনায় চারজনের বেশি লোক নিহত হলে সেই ঘটনাকে ‘মেজর ম্যাস শুটিং’ বলা হয়। ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গড়ে প্রতি ৭২ দিনের ব্যবধানে একটি বড় ধরনের এলোপাড়াতি গুলির ঘটনা ঘটে। ২০০০ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত এই ব্যবধান ছিল ১৬২ দিন। অর্থাৎ, দিন দিন এমন ঘটনার হার বেড়েই চলেছে। গত বছরের অক্টোবর মাসে লাস ভেগাসে বন্দুক হামলায় নিহত ৫৮ জনকে এই কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে

৩. গোলাগুলির কোনো বড় ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ‘অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ’ এর দাবি উঠলেও আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে যায় অস্ত্র বিক্রি! উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের কথা। আগের মাস নভেম্বরে সান বার্নান্দিনোতে হামলায় ১৪ জন নিহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ওবামা প্রশাসন অস্ত্র আইনে কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দেয়। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে দেখা যায় ব্যক্তিগত অস্ত্র কেনার হিড়িক পড়েছে মার্কিনীদের মধ্যে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, নতুন হামলায় নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই অস্ত্র কেনায় আগ্রহী হন সাধারণ মানুষ।

৪.একই দিনে একাধিক স্থানে এলোপাতাড়ির গোলাগুলির ঘটনায় হত্যার ঘটনাও ঘটছে। গত বছরের অক্টোবরে একই দিনে মান্দালা উপকূলে এবং কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। উভয় ঘটনায় ৬২ জন নিহত হন।

৫.সাধারণ মানুষের অস্ত্রের বৈধ মালিকানার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে এক নম্বর। দেশটির শতকরা ৯০ শতাংশ মানুষের বৈধভাবে ব্যক্তিগত অস্ত্র রয়েছে। দেশটিতে ৩২ কোটি মানুষের হাতে ২৯ কোটি অস্ত্র রয়েছে। ২০০৭ সালের এক হিসাব মতে, যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ মানুষের কাছে ২৫ থেকে ২৯ কোটি অস্ত্র রয়েছে। বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা ৩২ কোটির একটু বেশি।

৬. ম্যাস শুটিং বা এলোপাতাড়ি গুলি নিয়ে এত তথ্য দিলেও যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলিতে নিহতের সংখ্যার খুবই নগন্য অংশ এ ধরনের ঘটনায় হয়ে থাকে।
২০০১ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ১৩ বছরে দেশটিতে গুলিতে নিহতের সংখ্যা চার লাখ ছয় হাজার ৪৯৬ জন। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এই তথ্য দিয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ ৩৭ হাজার ৫২ জন নিজের বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করেছেন! অর্থাৎ, গুলিতে নিহতের ধরনের মধ্যে আত্মহত্যাই সর্বোচ্চ সংখ্যক। এক লাখ ৫৩ হাজার ১৪৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া সাড়ে আট হাজার জন দুর্ঘটনায় গুলিতে নিহত হয়েছেন। পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে চার হাজার ৭৭৮ জন।

৭.অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দিক থেকে মার্কিনীরা পুরোপুরি দ্বিধাবিভক্ত। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৭ শতাংশ মার্কিনী নিজেদের হাতে বন্দুক রাখার পক্ষে। আর ৫১ শতাংশ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পক্ষে। আগের দশক থেকে ব্যক্তিগত অস্ত্র রাখার পক্ষে জনমত বাড়ছে। ১৯৯৯ সালে ৬৫ শতাংশ লোক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশের প্রশংসায় ট্রাম্প

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের গভীর প্রশংসাও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. শহিদুল হকের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপসহকারী লিসা কার্টিসের বৈঠকে এ কথা জানান কার্টিস। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস রবিবার এ তথ্য জানায়। এতে আরও বলা হয়, কার্টিস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপসহকারী এবং হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালকও। তিনি বৈঠকে বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কার্টিস বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলের বিভিন্ন দিকও বৈঠকে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ ছাড়া তারা দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। কার্টিসের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব শহিদুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর উপসহকারী মন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ওয়েলস বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত। তিনি এই জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। পররাষ্ট্রসচিব সর্বশেষ সাক্ষাৎ করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারীমন্ত্রী মার্ক স্টোরেলার সঙ্গে। তিনি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় জোরালো সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিনন্দন জানান। আর মার্ক স্টোরেলা বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্রদের বিমান হামলায় ৯৪ জন নিহত হয়েছেন, যারা সবাই বেসামরিক নাগরিক। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক। খবর রয়টার্সের।

বিরোধীদের হাতে থাকা একটি অঞ্চল দখলে নিতে স্থল অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে সিরীয় বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের (এসওএইচআর) বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

এসওএইচআরের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেছেন, পূর্ব ঘুটা শহরতলীর আবাসিক এলাকাগুলো ছিল হামলার লক্ষ্যবস্তু। এতে বহু লোক হতাহত হয়।

তবে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ৭৭ বলে জানানো হয়েছে। নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। এদের মধ্যে ২০ জন শিশুও আছেন।

আল জাজিরার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, অনেক আহত ব্যক্তিতে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে। তাদের সবার শরীর বেয়ে রক্ত ঝরছে। আহতদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী মানুষ আছেন। তাদের আর্তনাদে হাসপাতালগুলো ভারী হয়ে এসেছে। তাদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

স্থানীয় এক চিকিৎসক বলেন, সরকারি বাহিনী আবাসিক এলাকায় যা কিছু নড়তে দেখেছে, সেসব এলাকায় গুলি করেছে। আহত মানুষের ভিড়ে ভরে গেছে প্রতিটি হাসপাতাল। প্রতিটি হাসপাতালে অনুভূতিনাশক ও অন্যান্য ওষুধ ফুরিয়ে গেছে।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ ঠেকাতে জেলায় জেলায় তদারক দল

অনলাইন ডেস্ক: পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদের নিয়োগে ঘুষ ঠেকাতে জেলায় জেলায় তদারক দল পাঠাবে পুলিশ সদর দপ্তর। এই দলের উপস্থিতিতে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। কনস্টেবল নিয়োগ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশের ৬৪টি জেলায় ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হবে। পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে গত রোববার পুলিশের অপরাধবিষয়ক সভায় আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, জেলায় জেলায় কনস্টেবল নিয়োগে লাখ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন হচ্ছে। এই দুর্নীতিতে পুলিশের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতারাও জড়িত। পুলিশ বাহিনীর কনস্টেবল নিয়োগ নিয়ে সব সময়ই অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই রাজনৈতিক দলের স্থানীয় কিছু নেতার কাছে চাকরিপ্রার্থীরা ধরনা দিতে শুরু করেন।

এর আগে এ বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে এই নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে তা স্থগিত করা হয়। রোববারের অপরাধবিষয়ক সভায় কনস্টেবল নিয়োগপ্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত করার নির্দেশ দেন পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী।

সদর দপ্তরের সংস্থাপন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এ বছর সাড়ে আট হাজার পুরুষ, দেড় হাজার নারীসহ মোট ১০ হাজার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল গত বছরের ২১ ডিসেম্বর। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই নিয়োগ চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। এ সময় ৬৪ জেলায় নিয়োগ দেওয়া হবে। এত দিন পুলিশ সুপাররা তাঁদের নিজের মতো করে নিয়োগ দিতেন। এবার সেই প্রক্রিয়া তদারক করতে প্রতি জেলায় দুজন করে কর্মকর্তা যাবেন। তাঁদের একজন পুলিশ সুপার ও অন্যজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদের হবেন। তাঁরা প্রশ্ন তৈরি করা, পরীক্ষা নেওয়া, খাতা কোডিং করা, উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা থেকে ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত সবকিছু তদারক করবেন। এই দলের উপস্থিতিতেই নিয়োগ চূড়ান্ত করা হবে। কর্মকর্তারা আশা করছেন, এতে কনস্টেবল নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ কমে যাবে।

সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আয়ু বৃদ্ধিসহ থানকুনি পাতার বিস্ময়কর ৮টি উপকারীতা

প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রের জন্ম লগ্ন থেকেই এই শাকটির ব্যবহার হয়ে আসছে। কারণ থানকুনি পাতা বা ব্রাহ্মী শাক খেলে নাকি ব্রেন পাওয়ার অনেক বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে মেলে আরো অনেক উপকার। সত্যিই কি তাই? একেবারেই! কারণ এই শাকটির গুণাগুণকে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও মান্যতা দিয়েছে। তাই রোগমুক্ত জীবনের পথের সন্ধান পেতে আজই খাওয়া শুরু করুন থানকুনি।

প্রসঙ্গত, প্রতিদিনের ডায়েটে ব্রাহ্মী শাকের অন্তর্ভুক্তি ঘটালে সাধারণত যে যে উপকারীতাগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল…

১. ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কয়েকটা করে থানকুনি বা ব্রাহ্মী শাকের পাতা মুখে নিয়ে চেবালে ধীরে ধীরে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। তাই তো ব্রঙ্কাইটিস, বুকে কফ জমা এবং সাইনাসের মতো সমস্যা কমাতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি দারুন কাজে আসে। এবার বুঝেছেন তো নিয়মিত এই শাকটি খাওয়ার প্রয়োজন কতটা!

২. বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে থানকুনি বা ব্রাহ্মী শাকে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ব্রেনের হিপোকম্পাস অংশটির ক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি চোখে পড়ার মতো বাড়তে শুরু করে। প্রসঙ্গত, মনোযোগ বাড়াতেও এই শাকটি বিশেষ ভূমিকা নেয়। কারণ ব্রেনের হিপোকম্পাস অংশটির ক্ষমতা বাড়ছে না কমছে, তার উপর মনোযোগের বাড়া-কমা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পায়।

৩. রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে
অতিরিক্ত টেনশনের কারণে কি ব্লাড প্রেসার ওঠা-নামা করছে? তাহলে আজ থেকেই ব্রাহ্মী শাক খাওয়া শুরু করুন। কারণ এই শকটি রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ব্লাড প্রেসার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণে যাতে কোনও ধরনের ক্ষতি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে।

৪. ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে
এই শাকটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানটি শরীর থেকে নানাবিধ ক্ষতিকর উপাদানদের বার করে দিয়ে একদিকে যেমন ক্যান্সার সেলের জন্ম আটকায়, তেমনি সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই কারণেই তো সুস্থ জীবন পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে ব্রাহ্মী শাকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করাটা জরুরি।

৫. দেহের অন্দরে প্রদাহ কমায়
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে শরীরের কোনও জায়গায় কেটে যাওয়ার পর ক্ষতস্থানে ব্রাহ্মী শাক বেঁটে লাগালে জ্বাল-যন্ত্রণা একেবারে কমে যায়। শুধু তাই নয়, নিয়মিত এই শাকটি খেলে শরীরের অন্দরে তৈরি হওয়া ইনফ্লেমেশনও কমে যেতে শুরু করে। ফলে কমে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।

৬. স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির মাত্রা কমায়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ব্রাহ্মী শাক খেলে মস্তিষ্কের অন্দরে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির জন্ম দেওয়া কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণ কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মানসিক চাপ যেমন কমে, তেমনি মনের হারিয়ে যাওয়া অনন্দও ফিরে আসে। প্রসঙ্গত, আজকের দিনে ছাত্র-ছাত্রী হোক কি চাকরিজীবী, সকলেই নানা কারণে বেজায় মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। ফলে ডিপ্রেশনের মতো মানসিক রোগের খপ্পরে পরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ব্রাহ্মী শাক খেলে কতটা উপকার মিলতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।

৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
নিয়মিত এই শাকটি খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি-এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করে তুলতে সাহায্য করে। আর একবার ইমিউনিটি বেড়ে গেলে কোনও ধরনের সংক্রমণ তো ধারে কাছে ঘেঁষতে পারেই না, সেই সঙ্গে আরও নানাসব রোগ দূরে পালাতেও বাধ্য হয়।

৮. অ্যালঝাইমার রোগকে দূর রাখে
ব্রাহ্মী শাকে উপস্থিত ব্যাকোসাইড নামক এক ধরনের বায়ো-কেমিকাল ব্রেন টিস্যুর ক্ষত সারিয়ে তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বয়সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্রেন পাওয়ার কমে যাওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি কগনিটিভ ফাংশন কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পৃথিবীতে সম্ভবত সবচেয়ে ভারী বস্তু হচ্ছে বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ।কিন্তু সেই লাশ কাঁধ থেকে নামিয়ে কবরে রেখেই ফুটবল মাঠে নামলেন এক বাবা।

ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইরাকে। সন্তান মারা যাবার চব্বিশ ঘণ্টাও পার হয়নি। পরক্ষণেই মাঠে ফুটবল খেলতে নেমে পড়লেন বাবা।

ইরাক প্রিমিয়ার লিগের দল নাফত মেসানের হয়ে খেলেন আলা আহমেদ। দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল তার কাছে। তিনি গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। বৃহস্পতিবার মারা যায় তার ছেলে। শুক্রবার শোক চাপা দিয়ে আহমেদ মাঠে নামেন ম্যাচ খেলতে। ম্যাচের আগে ক্লাবের কোনো সহ খেলোয়াড়, কোচ কাউকে জানাননি শোক সংবাদ।

ইরাক প্রিমিয়ার লিগে আল শারতার সঙ্গে ম্যাচ ড্র করে নাফত মেসান। ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলেন আলা আহমেদ। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার পর পুত্র-বিয়োগের বেদনা আর বুকের মধ্যে চেপে রাখতে পারেননি আলা আহমেদ। মাঠেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তখনই বিষয়টি জানতে পারেন তার সতীর্থরা। সতীর্থরা সমবেদনা জানান আলা আহমেদকে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরেই মারা যায় আমেরিকান ফুটবলার মারকুইজ গোডউইনের সন্তান। কিন্তু সন্তানের মৃত্যুর কিছুক্ষণ পরই খেলতে নেমে পড়েন মারকুইজ। শুধু তাই নয়, দলের হয়ে একটি গোলও করেছিলেন আমেরিকার সেই ফুটবলার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঠকছে গ্রাহক : মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে ৭৫৯ অভিযোগ

অজান্তে ব্যালেন্স কাটা, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা না দেয়াসহ গ্রাহকের সঙ্গে প্রতিদিনই নানা প্রতারণা করছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ, রবি, বাংলালিংক, এয়ারটেল ছাড়াও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে গত সাত মাসে প্রায় ৭৫৯টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ৭৫৯ অভিযোগের মধ্যে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে ২১৩টি, রবির বিরুদ্ধে ২০১টি, সম্প্রতি রবির সঙ্গে একীভূত হলেও স্বাধীন ব্র্যান্ড হিসেবে থাকা অপারেটর এয়ারটেলের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৫৯টি অভিযোগ, বাংলালিংকের বিরুদ্ধে ১৪৮টি এবং টেলিটকের বিরুদ্ধে জমা পড়েছে ৩৮টি অভিযোগ।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর বলেন, ভোক্তারা প্রতারিত কিংবা হয়রানির শিকার হয়ে অধিদফতরে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু একটি মোবাইল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান উচ্চ আদালতে রিট করায় গত বছরের ২৮ মে-এর পর থেকে অধিদফতর এ সংক্রান্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে পারেনি। আর রিটের কারণে এখন অপারেটরদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। তবে আইনি জতিলতা দূর হলে গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে অপারেটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।

অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এ রিট আবেদনের আগে মোবাইল কোম্পানির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে প্রায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, যার ২৫ ভাগ অর্থ অভিযোগকারীদের প্রদান করা হয়। রবি অজিয়াটা লিমিটেড গত মে মাসে এ ধরনের জরিমানার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করে, যেটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। ওই রিটের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অধিদফতর আইন অনুযায়ী মোবাইল অপারেটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest