সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার লাবসা বাইপাস সড়কে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্টদেবহাটায় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে স্কুল শিক্ষক ও আয়া আটক কালিগঞ্জে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আটক-৩সাংবাদিক কামরুজ্জামানের শ্যালকের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শোকসাতক্ষীরায় ভেজাল মাছের খাবার ও সার তৈরির অভিযোগে ২০ হাজার টাকা জরিমানাজলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে শ্যামনগরে প্রশাসনকে স্মারকলিপিছাত্রশিবিরের সাদিক ভিপি-ফরহাদ জিএস-মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিতসাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অন্যের রেকর্ডীয় সম্পত্তি জরব দখলের অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেআগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৮ জনের নামে দ্রুত বিচার আদালতে মামলাপুলিশকে রাজনৈতিক দলের লাঠিয়াল বাহিনী বানানো যাবে না: শিবির নেতা সিফাত

চাচার জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে ভাইপো !

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে চাচার জমি অবৈধভাবে দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারি ভাইপো। এ নিয়ে একাধিকবার শালিসী বৈঠকে মিমাংসা হলেও পরবর্তীতে আবারো জবর দখল শুরু করে ভাইপো। সে সদরের আলীপুর গ্রামের মৃত সামছুর রহমানের পুত্র চোরাকারবারি সাঈদুজ্জামান (বাবলু)।
অবৈধ টাকার প্রভাবে আইন, আদালত, জনপ্রতিনিধি কারো কোন তোয়াক্কাই করেন না ভাইপো সাঈদুজ্জামান। এমনই অভিযোগ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর গ্রামের শরিয়াতুল্লা মোড়লের ছেলে ইমান আলীর।
কাগজ পত্রানুযায়ী ভিটাবাড়ির জমি সকল ভাই বোনের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় হওয়ার পর পথ, পুকুর, কবরস্থান বাদে চার ভাই যথাক্রমে প্রাপ্য বড় ভাই এনছাপ ০১.৭২(দখল নাই), মৃত ছামছুরের পুত্র সাইদুজ্জামান ১৪.৭৯ (দখল৩৪.২৫)শতক, ইমান ৩৩.৪৩ (দখল ২৪) শতক ও জিয়াদ আলী ১৯.২১ (দখল ১০.৯০) শতক করে প্রাপ্য। কিন্তু দেখা যায় ভিটাবাড়িতে সাইদুজ্জামান প্রাপ্য ১৪.৭৯ শতক ছাড়াও ১৯.৪৬ শতক ও বিলান ১৪.১২ শতক জমি দীর্ঘদিন জোর পূর্বক অবৈধ দখল করে রেখেছে। সেই সম্পত্তি ফেরত চাওয়ায় চাচা ইমান আলীর সাথে বিরোধে সূত্রপাত ঘটে। ইতোপূর্বে সাঈদুজ্জামানের চোরাকারবারী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় ইমান আলীর ছেলে মোঃ হাবিবুল্লাহ বাহার কে ০১নং আসামী করে আরো তিন জনের নামে সাতক্ষীরা আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় হাবিবুল্লাহকে তার চাকুরি হারাতে হয়। চাকুরি হারিয়ে হাবিবুল্লাহ বর্তমানে মানবেতর জীবন – যাপন করছে।
এরপর গত ২১জানুয়ারি১৮ তারিখের সদর থানার এস আই হাসানুর রহমান উক্ত মামলার তদন্ত করেন। তদন্তে উক্ত মামলা মিথ্যা প্রমানিত মর্মে প্রতিবেদনও দেন সদর থানার এস আই হাসানুর রহমান। এটা নিয়ে পত্র-পত্রিকায় একাধিক সংবাদও প্রকাশিত হয়।
এদিকে এ বিষয়ে মিমাংসা করার জন্য কিছু শর্ত স্বাপেক্ষে গত ২৫ নভেম্বর’১৭ তারিখে একটি শালিসী বৈঠক আহ্বান করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। সেখানে আলীপুর ইউপি সদস্য আতাউর রহমান, ও সাঈদুজ্জামানের অভিভাবকের দায়িত্ব পালনকারী আকবর আলী সরদার, তার আপন বড় চাচা এনছাপ, স্থানীয় সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তারপরও সে শালিস না মানায় আলীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, সাঈদুজ্জামানের আপোন বড় চাচা এনছাপ আলী, ১,২, ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ব্যবস্থা পত্রে সুপারিশ করেন। এছাড়া এলাকাবাসীর মধ্যে ১২৫ জন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সাঈদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণস্বাক্ষর করেন।
ভুক্তভোগী অসহায় চাচা ইমান আলী জানান, সে ২০১৩ সাল হতে ৪ বছরের অধিক সময় ধরে নানান ভাবে অত্যচার করে যাচ্ছে। ২৫মার্চ১৭ইং তারিখে অবৈধ ভাবে জায়গা দখল করে প্রাচির নির্মানের ভিডিও তথ্য রয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে লাঞ্চিত ও হুমকি প্রদর্শন করায় তার বিরুদ্ধে ০৭অক্টোবর১৭ইং তারিখে অভিযোগ দায়ের সহ একের অধিকবার সাধারণ ডায়েরি নং-১৯১৩ ও ৩৮৬ রয়েছে যা তদন্তে সঠিক পেয়েছে। তারপর ও সে মিথ্যা অভিযোগে ১৬ অক্টোবর’১৭ইং তারিখে ০৯ টি ধারা দিয়ে মামলা নং-৩০৪/১৭ইং সাতঃ দায়ের করে, তার বিরুদ্ধে ২২-২৩ অক্টোবর’১৭ইং তারিখে ১৮৫ জনের গণস্বাক্ষর করে। ২৫নভেম্বর’১৭ইং তারিখের শালিসে ৫৩ জনের এবং ১০মার্চ’১৭ইং তারিখে শালিস অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে ৮৯ জনের গণস¦াক্ষর রয়েছে।
উক্ত সাঈদুজ্জামান চোরাকারবারি ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কারণে কালো টাকার প্রভাবে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে চলে। যে কারণে তার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন চাচা ঈমান আলীসহ অন্যান্য ভাই ও তাদের পরিবার। অবিলম্বে উক্ত ভাইপো নামের কলঙ্ক সাঈদুজ্জামানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে ভাইপো সাঈদুজ্জামান বাবলুর ব্যবহৃত ০১৯৮১৬৯১৫৬৩ নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তা সম্ভব হয়নি।

১২.০২.২০১৮

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লাবসা ইউপিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে বাবু’র দায়িত্বভার গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : লাবসা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু। সোমবার দুপুর ২টায় ১৩নং লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আব্দুর রাজ্জাকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামির হোসেন, ২নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ সাঈদ আলী সরদার, ৩নং ওয়ার্ডের মোঃ আজিজুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ডের আসাদুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ডের কাজী মনিরুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ডের মনিরুল ইসলাম, ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর মাছুরা বেগম, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের ফেরদৌসী ইসলাম মিস্টি, ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সুফিয়া খাতুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, লাবসা ইউপি চেয়াম্যান আব্দুল আলিম অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি গ্রহণ করেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবুকে দায়িত্বভার অর্পণ করেন। এদিকে বাবু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করে লাবসা ইউনিয়নবাসীসহ সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে খালেদা জিয়াকে

কুমিল্লার নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর ফিরোজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এর আগে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান। এরপর থেকেই খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন।

জানা যায়, বিএনপির অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার উপজেলার জগমোহনপুরে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলা হয়। এতে বাসটিতে আগুন ধরে ৮ জন দগ্ধ হয়ে মারা যান।

এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে মামলা করেন। এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৬ মার্চ কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে খালেদা জিয়াসহ মোট ৭৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রকাশ করবে সরকার

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করছে জানিয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘সব গোয়েন্দা সংস্থার তালিকা সমন্বয় করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।’

সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘তুলনামূলক অপরাধ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, ডাকাতি, দস্যুতা, খুন, অপহরণ ও চুরি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলার যথেষ্ট উন্নতি সাধন হয়েছে।’

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশেষভাবে মাদকের ব্যাপারে কনসার্ন। মাদক পাচার, মাদক ব্যবসায়ী, গডফাদার-সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেয়া তালিকার ভিত্তিতে মোট ৮৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১৮৮ জন জেল হাজতে আছে। তারপরেও এটার ব্যাপারে আরও তৎপর হওয়ার প্রয়োজন। সেই বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আগামীতে তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পাবে।’

গত ডিসেম্বর মাসে মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী মিলে মোট ১০ হাজার ১২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে আমু বলেন, ‘সরকার মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। সব গোয়েন্দা সংস্থা থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের লিস্ট তৈরি করা হচ্ছে। সব গোয়েন্দা সংস্থার তালিকা সমন্বয় করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।’

‘আমরা মাদকের বিষয়ে জোর দিচ্ছি। জঙ্গি ব্যাপারটা মোটামুটি একটা নিয়ন্ত্রণের পর্যায়ে আছে। মাদকটা যাতে আর বিস্তার লাভ করতে না পারে সেটা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছি।’

কমিটির সভাপতি বলেন, ‘আমরা কতগুলো কর্মপন্থা নিচ্ছি। জনগণকে সম্পৃক্ত করা, সব স্কুল কলেজের শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করতে চাই। তারা যাতে ক্লাসে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন। মসজিদে খুৎবার আগে বয়ানে যাতে ইমাম সাহেবরা মাদকের ক্ষতির জিনিসটা তুলে ধরেন। যাতে একটা সামাজিক বিপ্লব হয়। এগুলো যাতে কার্যকর হয় সেজন্য মনিটরিংও করা হবে।’

২০১৬ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত জঙ্গিবিরোধী মোট ৩২টি বড় অভিযান পরিচালিত হয়েছে জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘অভিযানে ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। শীর্ষ জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছেন ৬৪ জন, ভিকটিম উদ্ধার হয়েছেন ১০৩ জন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন ৮ জন। নিহতদের মধ্যে পুলিশ ৬ জন, র‌্যাব একজন ফায়ার সার্ভিসের একজন রয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত জঙ্গি অভিযানে নিহত, হত্যা চেষ্টা, বোমা হামলা ইত্যাদি নিয়ে মোট ৮০টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে চারটি মামলার বিচার শেষ হয়েছে। চার্জশিট হয়েছে ২৮টি মামলার। প্রায় সব মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে।’

গত ডিসেম্বরে দেশে ১৬ হাজার ৫৪২টি মামলা হয়েছে জানিয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, ‘এরমধ্যে উদ্ধারজনিত যেমন- অস্ত্র উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, বিস্ফোরক উদ্ধার মামলা ৮ হাজার ৭৭৫টি। যা মোট মামলার ৫৩ শতাংশ।’

আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফোনসহ পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে পেলেই গ্রেফতার

প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে এবং কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল ফোনসহ কাউকে পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

এছাড়া পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে প্রবেশ না করলে তাকে আর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে।

‘জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ-সংক্রান্ত’ এক আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (মাউশি), সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের গত রোববার ওই নির্দেশ পাঠানো হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার সময় কেবল কেন্দ্র সচিব সাধারণ একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন, যা দিয়ে ছবি তোলা যায় না। তবে ওই ফোনটিও কেন্দ্র সচিবের কক্ষে রেখে ব্যবহার করার নিয়ম।

এবার এসএসসি ও সমমানের সব পরীক্ষার প্রশ্নই পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ফাঁস হয়েছে, সেই প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে।

পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ৫ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিলেও লাভ হয়নি। এক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের পর বিভিন্ন ফেইসবুক ও মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে পরের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের বিজ্ঞাপন চলছে নিয়মিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটার ইছামতি নদী থেকে অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার ইছামতি নদী থেকে অজ্ঞাতনামা ৭ বছরের এক মেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে দেবহাটার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নির্ধারনকারী ইছামতি নদীর ছুটিপুর এলাকা থেকে ৬/৭ বছর বয়সী অজ্ঞাত ঐ শিশুটির লাশ ভেসে আসতে দেখে স্থানীয় জেলে ও জনগন। তারা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। এসময় বিজিবির দেবহাটা ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার জিন্নাত আলী শেখ উপস্থিত ছিলেন। ওসি কাজী কামাল হোসেন লাশ উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, শিশুটিকে কেউ চিনতে পারছেনা। তবে শিশুটির পোশাক দেখে স্থানীয় মানুষদের ধারনা শিশুটি ভারতীয় হতে পারে। ওসি আরো জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরন করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সিটি কলেজে একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেন এমপি রবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সিটি কলেজে ৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু সাঈদ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরায় আমার নির্বাচনী এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্য কোন সরকারের আমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হয়নি। আমার নির্বাচনী এলাকায় চার বছরে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ হয়েছে। যেসব ভবন দোতালা আছে সেই সব ভবন গুলি ৪তলা ভবনসহ আরো উন্নয়ন করা হবে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী মো. তানভীর ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের বিদ্যুৎসায়ী সদস্য মকসুমুল হাকিম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎন্সা আরা, শিক্ষক প্রতিনিধি কৃষ্ণপদ সরকার, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারি সহকারি প্রকৌশলী এম.এম.এ জায়েদ বিন গফুর ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসানুজ্জামান শাওন প্রমুখ। মাধ্যমিক ও উচ্চ উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৪তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন ২ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আগামী ১৮ মাসে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করবে। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সদস্য ওবায়দুর রহমান লাল্টু, জেলা যুবলীগ নেতা মীর মহিতুল আলম মহি, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, এড. রফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম, প্রভাষক মুকুন্দ ঘোষ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদিকা সুলেখা দাস, রুখসানা পারভীন, দপ্তর সম্পাদক তহমিনা ইসলাম, যুবলীগ নেতা শেখ শফিউল ইসলাম সফি,ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার মফিজুর রহমান প্রমুখ। এসময় সিটি কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা সিটি কলেজের প্রধান অফিস সহকারি আব্দুল ওহাব আজাদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তরা ভাঙ্গলো শহীদ মিনার!

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার হাওয়ালখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য নির্মিত শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাতে কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শহীদ মিনারটি নির্মানে বাধা দিয়েছিলেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম রিপন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিউল ইসলাম জানান আসন্ন ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের লক্ষ্যে স্থানীয় সমাজসেবক যুবক মো. আলাউদ্দিনকে বিদ্যালয়ে একটি শহীদ মিনার তৈরি করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তিনি বলেন আলাউদ্দিন বিভিন্ন জনের সহায়তা নিয়ে স্কুলের জমিতে সম্প্রতি হাজার দশেক টাকা ব্যয়ে শহীদ মিনারটি তৈরি করে দেন। প্রধান শিক্ষক জানান সোমবার সকালে স্কুলে এসে আমরা দেখতে পাই শহীদ মিনারটি কে বা কারা ভেঙ্গেচুরে ফেলেছে ।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাঁশদহা ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান শহীদ মিনারটি নির্মানকালে বাধা দিয়েছিলেন বিএনপির সাবেক নেতা বর্তমানে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম রিপন। এ নিয়ে তার ঝগড়াও হয়েছিল আলাউদ্দিনের সাথে। তিনি জানান সমাজসেবক আলাউদ্দিন স্কুল কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই সরকারি জমির এক পাশে শহীদ মিনারটি তৈরি করেছিলেন। রাতে সেটি দুর্বৃত্তরা ভেঙ্গে দিয়েছে। শহিদুল ইসলাম জানান বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন শহীদ মিনারটি ভাংচুরের পেছনে খোরশেদ আলম রিপনের হাত থাকতে পারে। তবে যোগাযোগ করা হলে রিপন বলেন এ অভিযোগ সত্য নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest