সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির সহায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক—এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে, তা ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে। এ সময় সরকারের পরিসর ছোট করা হবে। সরকার নির্বাচনের সময়ে শুধু রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে না।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে সরকারের চতুর্থ বর্ষপূর্তির দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে। কিন্তু সে সরকার কেমন হবে তার ব্যাখ্যা ওই বক্তব্যে ছিল না।

সংসদে সরকারি দলের সাংসদ তানভীর ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে, তার একটি ব্যাখ্যা দেন। সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন হচ্ছে সংবিধান। সংবিধান অনুযায়ী সহায়ক সরকার বলে কোনো সরকার গঠন করার বিধান নেই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিএনপি কোনো দিনই গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার পক্ষে ছিল না। আর এ জন্যই বর্তমানে তারা অসাংবিধানিকভাবে সহায়ক সরকারের দাবি করে আসছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের সরকার গণতন্ত্রকে সব সময় সমুন্নত রাখবে। সে জন্য সংবিধান পরিপন্থী কোনো সরকারব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব না।’

বিএনপির অবৈধ দাবি করা অভ্যাস
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জন্ম নিয়েছে মার্শাল ল জারি করে সংবিধান লঙ্ঘন করার মাধ্যমে অবৈধ পথে। তাই অবৈধ দাবি করাটা তাদের অভ্যাস। জিয়াউর রহমানের আমলে ভোটারবিহীন গণভোট (হ্যাঁ/না ভোট) করেছিল বিএনপি এবং সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে কোনো নিয়মনীতি অনুসরণ না করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে এবং সরকার গঠন করেন। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরবর্তী সময়ে তাঁর এই কর্মকাণ্ড অবৈধ ঘোষিত হয়েছে।

বিএনপি নির্বাচনী-ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করার পর মাগুরা ও ঢাকার উপনির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি করেছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে অবৈধ সরকার গঠন করে বিএনপি। গণ-আন্দোলনের মুখে দেড় মাসের মধ্যে তাদের পতন ঘটে। ওই সময়ে বিএনপি নির্বাচনী-ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্পষ্ট রূপরেখা থাকা সত্ত্বেও তাদের পছন্দসই ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার চেষ্টা করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করার উদ্দেশ্য থাকায় দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থাকে।

সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দায়িত্ব নিলেন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী

বাংলাদেশ পুলিশের নবনিযুক্ত ইন্সপেক্টর জেনারেলের (আইজিপি) দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জাবেদ পাটোয়ারী।

বুধবার দুপুরে পুলিশ সদরদফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক।

দায়িত্ব হস্তান্তরের মাধ্যমে ৩২ বছরের কর্মজীবনের ইতি টানেন একেএম শহীদুল হক।

বুধবার পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত ‘বিদায় সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে শহীদুল হক বলেন, আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব শেষ হওয়ার মাধ্যমে পূর্ণ সন্তুষ্টি নিয়ে ৩২ বছরের চাকরি জীবনের ইতি টানছি।

তিনি আরও বলেন, গত তিন বছর এক মাস আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে চেষ্টা করেছি পুলিশের সক্ষমতা উঁচুমাত্রায় নিয়ে যেতে এবং পুলিশকে জনবান্ধব করতে। দায়িত্ব পালনকালে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সাহকিতার সঙ্গে সব সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি।

‘গত তিন বছরে পুলিশে যা অর্জন তার কৃতিত্ব কনস্টেবল থেকে আইজি পর্যন্ত সবার। আর সব ব্যর্থতার দায় আমার। দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের সবাইকে হয়তো খুশি করতে পারিনি। একটা প্রশাসনিক কাঠামোতে কাজ করতে হয়েছে। এর বাইরে কিছু চাপ, কিছু গাইডলাইন থাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমি কারো প্রতি বিরাগভাজন ছিলাম না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, স্বপ্ন অনেক থাকে কিন্তু সব তো পূরণ হয় না। তবে অধিকাংশ কর্মপরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করেছি। পুলিশের পেশাদারিত্বের জন্য ২০টি নির্দেশনা দিয়ে গেছি। ৯৯৯- জরুরি সেবা ছিল সবচেয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।

তবে থানা লেভেলে পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। আমি চেয়েছিলাম মানুষ যেখানে অভিযোগ নিয়ে যায়, যেটা মানুষের শেষ ভরসা, সেখানে সেবা পেয়ে যেন সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরে। আমি থানা পর্যায়ে সেবার মান বাড়াতে অনেক চেষ্টা করেছি, অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু পুরোপুরি পরিবর্তন হয়নি। যদিও এটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পুলিশে নতুন ছেলেরা আসছে, আশা করব তারাই মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে।

একই অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বিগত দিনগুলোতে আইজিপিকে সবাই যেভাবে সহায়তা করেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সামনের দিনগুলোতেও সে সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।

মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার পুলিশের যে প্রয়াস, সেটা অব্যাহত রাখতে পারলে আরও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন সদ্য দায়িত্ব নেয়া জাবেদ পাটোয়ারী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পরীর স্বপ্নজাল-এর প্রচারণা শুরু

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ফিল্ম ক্লাবের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু হলো পরীমণির ‘স্বপ্নজাল’ সিনেমার। মঙ্গলবার ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে এক আড্ডা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে ছবিটির পরিচালক এবং অভিনেতা- অভিনেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

ছবিটির পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, স্বপ্নজালের নায়ক ইয়াশ রোহান ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ছাত্র। তাই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকেই আমরা প্রচারণা শুরু করলাম।

ইতোমধ্যে ছবিটির একটি ট্রেইলার প্রকাশিত হয়েছে। যা নজর কেড়েছে চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের। বিশেষ করে এ ছবিতে এক ভিন্নলুকে পরীকে দেখা গেছে।

‘মনপুরা’খ্যাত পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘স্বপ্নজাল’। ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমণি। তার বিপরীতে আছেন ইয়াশ রোহান। এছাড়া অভিনয় করেছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, ফজলুর রহমান বাবু এবং মিশা সওদাগর প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অফিস না করে ১৪ বছর বেতন উত্তলোন; অনিয়ম, দুর্নীতি, ও ডাক্তার সংকটে ধুকছে তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

শাকিলা ইসলাম জুঁই : জনবল, ডাক্তার সংকট আর দুর্নীতি ও অব্যবস্থ্যপনার কারণে চরমভাবে ভেঙে পড়েছে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সেবা। বন্যা কবলিত উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার এক মাত্র আশ্রয়স্থল এ হাসপাতালটিতে ৩৪টি ডাক্তারের পদ থাকলেও ডাক্তার রয়েছে মাত্র ৬ জন। এদের মধ্যে অনেকেই আছেন ডেপুটিশনে আবার কেউ রয়েছেন প্রশিক্ষনে। বিশেষ করে সার্জন, এ্যানেসথেসিয়া, গাইনি, চক্ষু কনসালটেন্ট ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ না থাকায় চরম চিকিৎসা সংকটে পড়েছে এ উপজেলার মানুষ। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ৪র্থ শ্রেণিসহ মোট ২৩১টি পদের মধ্যে ৭৬টি পদই খালি রয়েছে। দীর্ঘ ৬ মাস ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে এক্স-রে ম্যাশিন ও এ্যাম্বুলেন্সটি। হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি বিকল থাকায় রোগীদের ছুটতে হয় বাহিরে কোন প্রাইভেট ক্লিনিক অথবা জেলা শহর সাতক্ষীরায় বা খুলনায়। ফলে চরমভাবে উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট তালার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকৎসা বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলাবাসী।
তার মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কুদরত-ই-খূদা ও হেলথ্ ইন্সেপেক্টর মীর মহাসিন আলীর ক্ষমতার দাপট, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এখন পরিণত হয়েছে চরম দুর্নীতির আখড়ায়। মেডিকেল টেকনিশিয়ান (ডেন্টিস) মোঃ নাসির উদ্দীন দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে অফিস না করেও বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। রাজধানী ঢাকার বাড্ডায় নিজস্ব বাসভবনের সাথে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন বিলাশ বহুল অত্যাধুনিক একটি বেসরকারি ক্লিনিক। মেডিকেল টেকনিশিয়ান নাসির উদ্দীন সেখানেই মূলত ব্যস্ত সময় পার করেন। একই অভিযোগ অফিস সহকারী-কাম হিসাব রক্ষক রেজওয়ান এর বিরুদ্ধে। তিনিও বছরের পর বছর অফিস না করে হাসপাতালের সকলকে ম্যানেজ করে হাজিরা খাতায় সই-স্বাক্ষরের মাধ্যমে বেতন ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। তবে এ বিষয়ে কেউ কারও যেন মাথা ব্যথা নেই।
গত ২৮ জানুয়ারী তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে হাসপাতালের একমাত্র এক্স্র-রে ম্যাশিনটি ৬ মাস ধরে নষ্ট হয়ে আছে। এ্যাম্বুলেন্সটি বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। সার্জন, এ্যানেসথেসিয়া, গাইনি, চক্ষু, কনসালটেন্ট ও মেডিসিনসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় প্রতিদিনই প্রচুর পরিমাণ রোগী চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। মাত্র ৪ জন মেডিকেল অফিসার নিয়ে জোড়া তালি দিয়ে ধুকে ধুকে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্র এর কার্যক্রম। তবে জরুরী বিভাগে গিয়ে দেখাগেছে কোন মেডিকেল ডাক্তার নেই। হাসপাতালে সাংবাদিক আসার খবরে তড়িঘড়ি করে জরুরি বিভাগে ছুটে আসেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো: রাইহান ইসলাম ও মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আবু সাইদ রিপন। তবে মো: রাইহান ইসলামের পোস্টিংও আবার ইউনিয়ন সাব সেন্টারে। সেখানে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রাম থেকে আসা খুকুমনি তার ৪ বছরের পা ভেঙ্গে যাওয়া নাতনিকে ডাক্তার দেখাবেন বলে এসেছেন। এসময় বাইরে থেকে আসা আরও কয়েক জন পা ভাঙা রোগী উপস্থিত হতেই হাসপাতালের এক্্র-রে ম্যাশিন নষ্ট থাকায় তাদেরকে এক্্র-রে করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় বেসরকারী ক্লিনিক তালা সার্জিকাল ক্লিনিকে। পরে সেখান থেকে তারা ২৬০ টাকা দিয়ে এক্্র-রে করে হাসপাতালে ঔষধের জন্য উপস্থিত হয়েছেন। কিন্তু হাসপাতালে কোন ঔষধ নেই বলে তাদের সাব জানয়ে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। অধিকাংশ বেড নোংড়া অপরিস্কার অবস্থায় খালি পড়ে আছে। হাসপাতালে কোন বিষেশজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে রোগী ফিরে যাওয়ার কারনে তাই রোগীর সংখ্যাও কম বলে জানালেন কয়েক জন নার্স।
তবে হাসপাতালের বেডে ভর্তি চিকিৎসাধীন রোগী দক্ষিণ নলতার আব্দুল কুদ্দুস জানান, বমি, গ্যাসসহ শারিরিক নানা সমস্যার কারণে দুই দিন আগে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু ঠিকমত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। হাসপাতাল থেকে গ্যাসের ট্যাবলেট ছাড়া বাকি ঔষুধ সব বাইরে থেকে চড়া দামে কিনে আনতে হচ্ছে। খাদ্য খাবার চিড়ি, চিনি, কলাসহ যা দেওয়া হয় তাও অত্যন্ত নিন্ম মানের। একই অভিযোগ করলেন পাশ্ববর্তী বেডে চিকিৎসাধীন পাইকগাছার জামাল। তাকেও বাইরে থেকে ঔষক কিনে আনতে হয়।
১৯৬৫ সালে ৩১ শয্যার মধ্য দিয়ে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর যাত্রা শুরু হয়। সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপির বদান্যতায় ২০০৯ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও লোকবল নিয়োগ না হওয়ায় হাসপাতালটি চলছে এখন ধুকে ধুধে। হেলথ ইন্সেপেক্টর মীর মহাসিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কুদরত-ই-খূদা সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারনে হাসপাতালটি এখন পরিনত হয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায়। মেডিকেল টেকনিশিয়ান (ডেন্টিস) মোঃ নাসির উদ্দীন দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে অফিস না করেও বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। একই অভিযোগ অফিস সহকারী-কাম হিসাবরক্ষক রেজওয়ান এর বিরুদ্ধে। তিনিও বছরের পর বছর অফিস না করে হাসপাতালের সকলকে ম্যানেজ করে হাজিরা খাতায় সই-স্বাক্ষরের মাধ্যমে বেতন ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন।
এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং দীর্ঘ ৮/১০ বছর ধরে স্টাফ কোয়াটারে বসবাসরত নার্স ও ডাক্তারদের ভাড়ার টাকা সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাত ও হাপাতালের চুরি করে সরকারী ঔষধ বিভিন্ন ক্লিনিকে বিক্রি বন্ধসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগের দাবীতে গত ১৫ জানুয়ারী হাপতালালের সামনেই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে এলাকাবাসী। তালা প্রেসক্লাবের ব্যানারে উক্ত কর্মসূচী পালিত হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মেডিকেল টেকনিশিয়ান (ডেন্টিস) মোঃ নাসির উদ্দীন ও অফিস সহকারী-কাম হিসাবরক্ষক রেজওয়ান এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কুদরত-ই-খূদা জানান, আমি ১ বছর হচেছ তালা হাসপাতালে যোগদান করেছি। দীর্ঘ দিন যাবত অফিস না করে মেডিকেল টেকনিশিয়ান (ডেন্টিস) নাসির উদ্দীন ও অফিস সহকারী-কাম হিসাবরক্ষক রেজওয়ানের বেতন ভাতা উত্তলনের বিষয়ে কেন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি তা আমার জনানেই। অফিস না করে বেতন ভাতা উত্তলোন ও স্টাফ কয়াটারের ভাড়ার টাকা যারা আত্মসাৎ করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি। এসব অনয়ম ও দুর্নীতির সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা: তহিদুর রহমান জানান, আমি ঢাকাতে ট্রেনিং এ আছি, তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর কর্মরত কর্মকর্তাদের বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং স্টাফ কয়াটারের ভাড়ার টাকা রাজস্ব ক্ষাতে জমা না দিয়ে প্রদান অফিস সহকারী কর্তৃক টাকা আত্মসাতের বিষয়টি শুনেছি। সাতক্ষীরায় ফিরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছাত্রকে জুতা ধোয়া পানি খাওয়ানোয় মাদরাসা শিক্ষক গ্রেফতার

শিক্ষার্থীদের জুতা ধুয়ে পানি খাওয়ানোর অপরাধে দায়ের হওয়া শিশু নির্যাতন মামলায় ঝালকাঠিতে মো. মনিরুজ্জামান (৫৫) নামের এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান শহরের বিকনা এলাকার মৃত. আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও বিকনা দ্বীনিয়া মহিবুল্লাহ মাদরাসার শিক্ষক।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারী ঝালকাঠির শহরতলির বিকনা দ্বীনিয়া মহিবুল্লাহ মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রদের গণিত শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান ১ থেকে ৫০ পর্যন্ত লিখতে বলেন। তখন অনেকে লিখতে পারলেও নাছিরুল্লাহ ও একই শ্রেণির যুবায়েরসহ বেশ কয়েকজন লিখতে পারেনি। পরে যারা শিখতে পেরেছে তাদের জুতা ও পা ধোঁয়া পানি জোর করে শিক্ষার্থী নাছিরুল্লাহ ও যুবায়েরসহ অন্যদের পান করায় শিক্ষক মনিরুজ্জামান। এসময় ওই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পরলে তাদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।

নাছিরুল্লাহ ঝালকাঠি শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকার মো. রুহুল আমিনের ছেলে। এঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা সাহিদা বেগম বাদি হয়ে শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের ধারায় ঝালকাঠি থানায় মামলা করেন।

মাদ্রসার প্রধান শিক্ষক আবদুল্লাহ বলেন, ঘটনার পর মাদরাসা গভনিং কমিটির সাথে আলোচনা করে সভা ডাকা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার হওয়া শিক্ষক মনিরুজ্জামানকে আজ বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা বাস টার্মিনালে উত্তেজনা; পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

আসাদুজ্জামান: মালিক সমিতির নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের হাতে এক বাস মালিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় সাতক্ষীরা বাস টার্মিনাল থেকে জেলার সব রুটে এক ঘণ্টার জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। বুধবার দুপুর ১ টা থেকে ২টা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকে।
বাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ জানান, বুধবার বেলা ১১টচার দিকে বিনা কারণে শেখ জামালউদ্দিনকে মারপিট করেন মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি সাইফুল করিম সাবু। এ ঘটনায় সাধারণ মালিক শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তিনি জানান, এ সময় আরো আহত হন, বাস শ্রমিক আকতার হোসেন, মিজানুর রহমান ও ডাবলু।
এদিকে, এ খবর চাউর হতেই জেলার সব রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন মালিক ও তাদের সমর্থক শ্রমিকরা। পরে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহমেদ ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এক ঘন্টা পর গাড়ি চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবু জানান, সেখানে মারপিটের কোন ঘটনাই ঘটেনি। মালিক সমিতির নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শেখ জামাল উদ্দীনের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। পরে সেটি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোরশেদ বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাহাজে ২৬টি ভেড়া আর ১০টি ছাগল থাকলে ক্যাপ্টেনের বয়স কত?

চীনের একটি স্কুলের অংক পরীক্ষায় এমন একটি প্রশ্ন এসেছে, যা দেখে হতভম্ভ হয়ে পড়েছিল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী আর দেশটির সামাজিক মাধ্যম।

‘যদি একটি জাহাজে যদি ২৬টি ভেড়া আর ১০টি ছাগল থাকে, তাহলে ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনের বয়স কতো?’ – ঠিক এই প্রশ্নটিই করা হয়েছিল চীনের শুনকিং জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষায়। ওই পরীক্ষার্থীদের গড় বয়স মাত্র ১১ বছর।

প্রশ্ন আর শিক্ষার্থীরা উত্তর দেয়ার যে প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়েছে, সেই উত্তরপত্রের ছবি চীনের সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

যদিও দেশটির শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, এটি কোন ভুল নয়। বরং এর মাধ্যমে আসলে জটিলতার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

তবে জটিল হলেও সাধ্যমত সেই প্রশ্নেরও উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।

একজন লিখেছে, ‘ক্যাপ্টেনের বয়স হবে কমপক্ষে ১৮, কারণ একটি জাহাজ চালানোর জন্যে তাকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।’

আরেকজন লিখেছে, ‘তার বয়স ৩৬, কারণ ২৬+১০ মিলে হয় ৩৬। কারণ ক্যাপ্টেন তার বয়স অনুযায়ী প্রাণীগুলো নিয়েছেন।’

তবে দেখা গেল, একটি ছাত্র বেশ সহজেই হাল ছেড়ে দিয়েছে।

সে লিখেছে, ‘ক্যাপ্টেনের বয়স হলো….আমি জানি না…। আমি এই প্রশ্নের সমাধান করতে পারবো না।’

তবে অনলাইন জগতের সবাই কিন্তু এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মতো অতটা নম্র নন।

চীনের ক্ষুদে-বার্তার সামাজিক নেটওয়ার্ক উইবোতে একজন লিখেছেন, ‘এরকম প্রশ্ন করার কোন যুক্তি নেই। ওই শিক্ষক নিজে কি এর উত্তর জানেন?’

‘একটি স্কুলে যদি ২৬ জন শিক্ষক থাকেন, যাদের ১০ জন কোন চিন্তাভাবনা করেন না, তাহলে প্রিন্সিপালের বয়স কতো?’ – আরেকজন লিখেছেন।

তবে কেউ কেউ স্কুলের পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন, যদিও প্রতিষ্ঠানটির নাম প্রকাশ করা হয়নি।

একজন বলছেন, ‘পুরো ব্যাপারটার উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনা করতে সাহায্য করা। সেটা ভালোভাবেই করা হয়েছে।’

‘এই প্রশ্নটি শিশুদের চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য করবে এবং তাদের সৃষ্টিশীল হতে সাহায্য করবে। আমাদের এরকম আরও প্রশ্ন থাকা উচিত,’ উইবোতে আরেকজনের অভিমত।

‘প্রথার বাইরে চিন্তাভাবনা’
এই বিতর্ক শুরু হওয়ার পর ২৬ শে জানুয়ারি একটি বিবৃতিতে শুনকিং শিক্ষা দফতর বলছে, এর উদ্দেশ্য ছিল জটিলতার ব্যাপারে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রস্তুত এবং তাদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা পরীক্ষা করা।

গবেষণায় বলা হয়েছে, আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের অংকের জটিল পরিস্থিতি সমাধান করার বিষয়ে প্রস্তুতির অভাব রয়েছে,’ এমন কথাও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

প্রথাগতভাবে চীনের শিক্ষা পদ্ধতি খাতায় লিখে নেয়া আর পুনরাবৃত্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে সমালোচকরা বলে আসছেন।

শিক্ষা দফতর বলছে, এই প্রশ্নের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের সেই বাধা ভাঙ্গার চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়েছে, ফলে তারা প্রথার বাইরে গিয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারছে। তবে আপনি সব সময় এমন মানুষ পাবেন, যাদের কাছে সব প্রশ্নের জবাব রয়েছে।

‘একেকটা প্রাণীর গড় ওজন হিসেব করলে ২৬টি ভেড়া আর ১০টি ছাগলের মোট ওজন হয় সাত হাজার ৭০০ কেজি,’ উইবোতেই একজন উত্তর দিয়েছেন।

চীনে পাঁচ হাজার কেজির বেশি মালামাল নিয়ে একটি জাহাজ চালাতে হলে, একজন নাবিকের অন্তত পাঁচ বছর ধরে বোট চালানোর লাইসেন্স থাকতে হয়। আর এ ধরনের একটি বোট লাইসেন্স পাওয়ার সর্বনিম্ন বয়স হলো ২৩ বছর। তাই এই ক্যাপ্টেনের বয়স অন্তত ২৮ বছর। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জেলা পর্যায়ে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় জেলা পর্যায়ে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে শহরের পিটিআই এ দিন ব্যাপি প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে সনদ পত্র প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ পত্র প্রদান করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর মো. আসিফ ইকবাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন। জেলা পর্যায়ে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা-২০১৮ এ ৭৯ টি ইভেন্টে ৫শ’৫৩ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি অঞ্চল পর্যায়ে যশোর জেলা স্কুলে সাতক্ষীরা জেলার ৭৯ জন প্রথম স্থান অধিকারকারী অংশ নেবে। প্রতিযোগিতার উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে জানো, বাংলাদেশকে জানো, উপস্থিত অীভনয়, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, ক্বেরাত বাংলা তরজমা, শিশু সাহিত্য, ধারাবাহিক গল্পবলা, দেশাত্ববোধক সংগীতসহ ৭৯ টি ইভেন্ট রয়েছে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শিশু একাডেমির লাইব্রেরিয়ান শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest