সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবিইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় আহলে হাদীছ আন্দোলনেi বিক্ষোভপরীক্ষামূলক যুদ্ধবিমান (মডেল) তৈরিতে অবদানের জন্য বোরহান উদ্দীন- কে ছাত্রশিবিরের সম্মাননাপুনরায় সচল বৈছাআ, অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন সাতক্ষীরার আহ্বায়কজাতীয়তাবাদী সাইবার দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাসাতক্ষীরায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পরিচিতি সভাসীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি ইমন – সম্পাদক লিংকন,

প্যারাডাইস পেপারসে মুসাসহ ১৮ বাংলাদেশির অর্থপাচারের নতুন তথ্য

অনলাইন ডেস্ক: দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরসহ ১৮ বাংলাদেশি অর্থপাচারের মাধ্যমে ইউরোপের ক্ষুদ্র দেশ মাল্টায় বিনিয়োগ করে কম্পানি খুলেছেন। তাঁদের কেউ কেউ ওই সব কম্পানির পরিচালক আবার কেউবা শেয়ারহোল্ডার। আবার অনেকে একই সঙ্গে পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার হয়েছেন। বিদেশের ঠিকানা ব্যবহার করে আরো তিন বাংলাদেশিও মাল্টায় অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। তাঁরা দেশ থেকে অর্থ পাচার করে বিনিয়োগ করেছেন, নাকি প্রবাসে আয়ের অর্থ বিনিয়োগ করেছেন, তা স্পষ্ট নয়। আর বাংলাদেশে ব্যবসারত দুজন বিদেশিও মাল্টায় কম্পানি খুলেছেন।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের কনসোর্টিয়াম আইসিআইজে গতকাল ‘প্যারাডাইস পেপার্স’ নামের প্রতিবেদনের সর্বশেষ সংযোজনে এসব বাংলাদেশির নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে তাঁরা মাল্টায় কবে, কী নামে কম্পানি নিবন্ধন করেছেন, কম্পানিতে তাঁদের পদবি কী—এসব উল্লেখ করে নথি প্রকাশ করেছে। এতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তথ্য সংযুক্ত হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের কে কত টাকা পাচার করেছেন, বা কত টাকা বিনিয়োগ করেছেন সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশিত নথিতে নেই।

এর আগে গত নভেম্বর মাসে প্যারাডাইস পেপার্সের প্রকাশিত নথিতে ব্যবসায়ী নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামসহ ১০ বাংলাদেশির নাম প্রকাশ পেয়েছিল, যাঁরা বিদেশে কম্পানি খুলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৯১১ কোটি ডলার বা ৭২ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। আমদানি-রপ্তানির সময় পণ্যের প্রকৃত মূল্য গোপন করে এর বড় অংশ পাচার করেছেন ব্যবসায়ীরা।

জিএফআইর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় সাত হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার বা ছয় লাখ কোটি টাকারও বেশি। এই পরিমাণ টাকা বাংলাদেশের প্রায় দুটি জাতীয় বাজেটের সমান।

বাংলাদেশে বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রানীতি আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশিদের অন্য দেশে বিনিয়োগ করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আগাম অনুমোদন নিতে হয়। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিদেশে বিনিয়োগ করেছে। তবে প্যারাডাইস পেপার্সে যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের কেউই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমোদন নেননি। অর্থাৎ তাঁরা দেশ থেকে অর্থপাচার করে বিনিয়োগ করেছেন।

প্যারাডাইস পেপার্সে নাম থাকা মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি তাঁর বাড়ি থেকে অবৈধ একটি দামি গাড়িও জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা থাকার দাবি করা মুসা বিন শমসের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেন নিজেকে। তিনি মাল্টায় ভেনাস ওভারসিস হোল্ডিং কম্পানির শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালক। কম্পানিটি ২০১০ সালে মাল্টায় নিবন্ধিত হয়েছে। এ সম্পর্কে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, ‘মুসা বিন শমসের নিজেই আমাদের জানিয়েছেন, সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যাংকে তাঁর ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত রয়েছে। এ অর্থ কিভাবে পাঠানো হয়েছে, আয়ের উৎস কি—এসব জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি। মহাপরিচালক জানান, একটি বিলাসবহুল গাড়ি কেনায় তিনি দুই কোটি ১৭ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি ও অর্থপাচারের মামলায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে।

প্যারাডাইস পেপার্সে নাম থাকা অন্য বাংলাদেশিদের মধ্যে রয়েছে ধানমণ্ডির ৩ নম্বর রোডের ১৩২ নম্বর বাসার জুলফিকার আহমেদ। তিনি মাল্টায় ১৯৯৯ সালে নিবন্ধিত খালেদা শিপিং কম্পানি লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার।

বেঙ্গল শিপিং লাইন লিমিটেড, পাম ভিউ, ১০১-এ, আগ্রাবাদ চট্টগ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করে মাল্টায় তিনটি কম্পানি খুলেছেন মোহাম্মদ এ মালেক নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি ১৯৯৩ সালে মাল্টায় নিবন্ধিত শামস শিপিং লিমিটেডের পরিচালক, ১৯৯৭ সালে নিবন্ধিত কামার শিপিং লিমিটেডের পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার এবং ১৯৯৭ সালে নিবন্ধিত মারজান শিপিং লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। এই তিনটি কম্পানির পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকার মাওলানা শওকত আলী রোডের ৭৭ নম্বর বাড়ির মোহাম্মদ এ আউয়ালের নামও রয়েছে।

সাভারে অবস্থিত ঢাকা ইপিজেডের ব্যবসায়ী শাহনাজ হুদা রাজ্জাক মাল্টায় ২০০১ সালে ওশেন আইস শিপিং কম্পানি লিমিটেড ও সাউদার্ন আইস শিপিং কম্পানি লিমিটেড নামে দুটি কম্পানি নিবন্ধন করান। কম্পানি দুটির পরিচালক তিনি। তবে কম্পানি দুটি এখন বিলুপ্তির পথে বলে প্যারাডাইস পেপারসে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৯৯৯ সালে মাল্টায় নিবন্ধিত প্রিয়াম শিপিং লিমিটেডের পরিচালকও শাহনাজ হুদা রাজ্জাক।

ঢাকা ইপিজেডের ব্যবসায়ী ইমরান রহমান বাংলাদেশি পরিচয় ব্যবহার করে শাহনাজ হুদা রাজ্জাকের সঙ্গে ওশেন আইস শিপিং কম্পানি লিমিটেড ও সাউদার্ন আইস শিপিং কম্পানির পরিচালক হয়েছেন। শাহনাজ হুদার সঙ্গেই তিনি প্রিয়াম শিপিংয়ের পরিচালক হয়েছেন। অর্থাৎ এই তিনটি কম্পানি শাহনাজ হুদা ও ইমরান রহমান বিনিয়োগ করে গড়ে তুলেছেন।

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ার ৩১ নম্বর বালুর মাঠের ঠিকানা ব্যবহার করে মাল্টায় ২০০৯ সালে গেক্সিমকে ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে কম্পানি খুলেছেন তাজুল ইসলাম তাজন ও তুহীন ইসলাম সুমন। তাঁরা দুজনই কম্পানিটির শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালক। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার আজমিরীবাগ এলাকার ফারুক পালোয়ানও গেক্সিমকে ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালক।

বনানীর ওল্ড ডিওএইচএসের ৬ নম্বর সড়কের ৮৭/এ ঠিকানা ব্যবহার করে ২০০৩ সালে মাল্টায় নিবন্ধিত কম্পানি সেলকন শিপিং কম্পানির শেয়ারহোল্ডার হিসেবে রয়েছেন মাহতাবা রহমান। আর বারিধারা ডিওএইচএসের ৭ নম্বর সড়কের ৪২৪ নম্বর বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করেছেন মো. ফজলে এলাহী চৌধুরী। মাল্টায় ২০১৬ সালে নিবন্ধিত ডায়নামিক এনার্জির পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার তিনি।

ধানমণ্ডির ১৪ নম্বর সড়কের ১১/এ ঠিকানার কে এইচ আসাদুল ইসলাম নামের একজন মাল্টায় ইনট্রিপিট গ্রুপ ও ইনট্রিপিট ক্যাপিটাল নামে দুটি কম্পানি গঠন করেছেন ২০১৫ সালে। তিনি কম্পানি দুটির শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালক।

সুইডেনের নাগরিক এরিক জন এন্ডারসন উইলসন ঢাকার উত্তরা এলাকার ১৩ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করে ডাব্লিউএমজি লিমিটেড নামে মাল্টায় ২০০৯ সালে নিবন্ধিত কম্পানির শেয়ারহোল্ডার হয়েছেন। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ঠিকানা ব্যবহার করে আতিকুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি ২০০১ সালে মাল্টায় নিউ টেকনোলজি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড নামে নিবন্ধিত একটি কম্পানির শেয়ারহোল্ডার হয়েছেন।

বাংলাদেশি ও ভারতীয় হিসেবে পরিচয় দেওয়া আমানুল্লাহ চাগলা ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএসের ৮ নম্বর লেনের ৪৫৮ নম্বর বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করে মাল্টায় ২০০৯ সালে নিবন্ধিত পদ্মা টেক্সটাইলের পরিচালক হয়েছেন। ডাবলিনের ঠিকানা ব্যবহার করে মাহমুদ হোসেন নামের একজন গ্লোবাল এডুকেশন লিমিটেড নামে ২০১৪ সালে একটি কম্পানি খুলেছেন মাল্টায়। তিনি কম্পানিটির পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার। ডাবলিনের ঠিকানা ব্যবহার করে মো. রেজাউল হক নামের একজন মিলেনিয়াম কলেজের পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার হয়েছেন। কলেজটি মাল্টায় ২০১৪ সালে নিবন্ধিত। মো. কামাল ভূইয়া নামের একজন সালামা উম আলকুয়েন (বিদেশি ঠিকানা) ব্যবহার করে মাল্টায় ২০০৮ সালে ভূইয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং কম্পানি গড়ে তুলেছেন। তিনি কম্পানিটির পরিচালক, শেয়ারহোল্ডার ও সচিব। ইতালি-বাংলাদেশি পরিচয় দেওয়া ও পাদোপের ঠিকানা ব্যবহার করা ইউসুফ খালেক নামের একজন ২০১৬ সালে মাল্টায় কে এ কনসাল্ট লিমিটেড এবং কে এ সার্ভিস লিমিটেড নামে দুটি কম্পানির নিবন্ধন নিয়েছেন। তিনি কম্পানি দুটির শেয়ারহোল্ডার।

বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, বিদেশে কম্পানি গঠনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের নাম প্রকাশিত হলে সাধারণত তা খতিয়ে দেখা হয়। অবৈধ উপায়ে এসব কম্পানি করা হয়েছে কি না তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রয়োজনে অন্য দেশ থেকে তথ্য নেওয়া হয়। তথ্যের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। বর্তমানে এ রকম ৩২টি কেস দুদকে বিচারাধীন।

বাংলাদেশে মাল্টার অনারারি কনসাল শোয়েব চৌধুরী বলেন, মাল্টা মূলত একটি শিপিং হাব। যাঁরা শিপিং ব্যবসা করেন তাঁরা অতিরিক্ত ফি থেকে রেহাই পেতে কম্পানি খুলে থাকতে পারেন। কেউ কম্পানি খুলে দেশ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার করলে তা দেখা উচিত।

প্যারাডাইস পেপারসে গতকাল পর্যন্ত ২০০ দেশের সাত লাখ ৮৫ হাজার কম্পানি ও সাত লাখ ২০ হাজার বিনিয়োগকারীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সংগঠনটির তথ্যভাণ্ডারে এ পর্যন্ত ৮৯ জন বাংলাদেশির নাম রয়েছে, যাঁরা বিভিন্ন দেশে কম্পানি খুলেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কক্সবাজারের মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরে চলছিল শীব চতুর্দশী পূজা। ভিড় ঠেলে সিঁড়ি বেয়ে সবাই উঠছেন পূজা দিতে। কিন্তু সিঁড়ির নিচে অসহায় আকুতি করে যাচ্ছেন এক বৃদ্ধা। খুব করে চাইছেন কোনোভাবে মন্দিরে গিয়ে পূজা দেবেন তিনি। কিন্তু এমন ভিড়ে কার কথা কে শোনে। শেষ পর্যন্ত এগিয়ে এলেন মহেশখালী থানার কনস্টেবল আফতাব উদ্দিন। বৃদ্ধাকে কোলে তুলে সিঁড়ি বেয়ে মন্দিরে তুলে দিলেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে ছবিটি। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে আফতাব এক বৃদ্ধাকে কোলে তুলে বেয়ে উঠছেন মন্দিরের শতাধিক সিঁড়ি। আর তা অবলোকন করছেন সিঁড়ির দু’পাশে দাঁড়ানো পূজারী ও দর্শনার্থীরা। বৃদ্ধাকে মন্দিরের একেবারে জিরো পয়েন্টে এনে পূজা ও মনভরে প্রার্থনা করবার সুযোগ করে দিয়ে পুনরায় কোলে নিয়ে আগের জায়গায় নামিয়ে দেন পুলিশ কনস্টেবল আফতাব উদ্দিন।

গত মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে পূজার লগ্ন শুরু হয়ে শেষ হয়েছে বুধবার রাত ১টায়। আর এ পূজাকে উপলক্ষ করে সপ্তাহব্যাপী চলে ঐতিহ্যবাহী আদিনাথ মেলা।

বুধবার সকালে মেলা প্রাঙ্গণে বেলুন ব্যবসায়ী গণেশ বনিক (৪৬) ও মমতা রাণী বণিক (৩৮) নামে এক দম্পতি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা যান। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। এরই মধ্যে বিকেলে মহেশখালী থানার কনস্টেবল আফতাব উদ্দিনের (নং-৫২৯) এ মানবিক ঘটনা সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে।

এ ঘটনার রহস্য খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে এক অভিনব কাহিনী। যা ধর্মের চেয়ে মানবিকতাকে উঁচুতে তুলেছে। কোলে থাকা বৃদ্ধার হাতের কারণে পুলিশ সদস্যের নেমপ্লেটটি দেখা যাচ্ছিল না। তাই অনেকে মনে করেছিলেন সনাতনী যুবকটি তার বয়োবৃদ্ধ আত্মীয়াকে জীবনের শেষ বয়সে শিবপূজা দিতে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু যখন জানা গেল পুলিশ সদস্যটি মুসলমান তখন চারদিকে হৈ চৈ পড়ে যায়। এটা কীভাবে হলো? কেন একজন মুসলমান সনাতনী এক বৃদ্ধাকে এভাবে পূজা করতে সহযোগিতা করলেন? এ রকম নানা ধরনের আলোচনা। এতে পুলিশের ভালো-মন্দ নিয়ে নানাজন নানা অভিজ্ঞতার কথা বলে আলোচনাটি সরব রেখেছে।

পুলিশ কনস্টেবল আফতাব উদ্দিন বলেন, আমরা আদিনাথ মন্দির এলাকায় নিরপত্তার ডিউটি করছিলাম। আদিনাথ মন্দিরের নিচে বসেছে শতাধিক দোকান-পাটের মেলা যেখানে মানুষে গিজগিজ করছিল। আর মন্দিরে উঠতে পার হতে হয় শতাধিক সিঁড়ি। নিরপাত্তার স্বার্থে সিঁড়ির মাঝখান খালি রেথে দুপাশ দিয়ে পূজারী ওঠার ব্যবস্থা করা হয়। সেভাবেই সময় মতো পূজা দিতে যে যার মতো ব্যস্ত। সে ব্যস্ততায় দেখলাম লাইনে দাঁড়াতে অক্ষম এক বৃদ্ধা সিঁড়ির একপাশে বসে কাতর স্বরে সবার কাছে আকুতি রেখে চলছে, তাকে যেনো মূল মন্দিরে পৌঁছাতে সহযোগিতা করা হয়। কিন্তু কেউ বিষয়টি গ্রাহ্য করছে না। নতুন কাপড়ে কঙ্কালসার দেহের নারীটিকে দেখে আমার মায়ের কথা মনে পড়ে যায়। নিজের অজান্তেই তাকে কোলে তুলে নিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। মূল মন্দিরের সামনে তার পছন্দমতো জায়গায় বসালাম। পূজা ও প্রার্থনা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে আবার সেই জায়গায় এনে নামিয়ে দিলাম।

আপনি মুসলিম হয়ে একজন সনাতনী নারীকে পূজা করতে সহযোগিতা করলেন এতে কোনো সংকোচ কাজ করেছে কিনা জানতে চাইলে আফতাব বলেন, যখন বৃদ্ধাকে কোলে নিলাম তখন আমার মাথায় ধর্মানুভূতি কাজ করেনি। মনে হচ্ছিল আমি আমার মাকে তার আবদার পূরণে সহযোগিতা করছি। কোলে মানুষ নিয়ে শতাধিক সিঁড়ি ওঠা কষ্টকর; তাই চারপাশে তাকানো হয়নি আমার। কে কি করছে, কে ছবি তুলছে এসব খেয়ালে আসেনি। যখন তাকে পূর্বের জায়গায় নিরাপদে পৌঁছাতে পারলাম তখন নিজেকে বেশ প্রফুল্ল মনে হচ্ছিল। তখন দেখি বৃদ্ধাটি নির্দিষ্ট লগ্নের ভেতর পূজা দিতে পেরে নানা ধরণের আশীর্বাদ করছে। তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিরাপত্তার কাজে লেগে যাওয়ায় বৃদ্ধাটির পরিচয়ও জানা হয়নি। বৃদ্ধ নারীটি তার জন্য অনেক দোয়া-আশীর্বাদ করেছে, এটিই তার বড়ো পাওনা বলে জানান এ পুলিশ সদস্য।

পুলিশ কনস্টেবল আফতাব উদ্দিন মহেশখালী থানায় কর্মরত। তিনি নোয়াখালীর কবিরহাট এলাকার মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিকবিয়ষক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস রক্ষিত বলেন, কিছু ঘটনা এমনই হয়। যা দিয়ে প্রমাণ পাওয়া যায় আমরা অসাম্প্রদায়িক দেশের অধিবাসী। পুলিশ সদস্য আফতাবের ঘটনাটি ধর্মকে ছাপিয়ে মানবিকতার জয়গান এনে দিয়েছে। আমরা এমনই বাংলাদেশ অব্যাহত থাকুক কামনা করি। মানবিক মানুষ হিসেবে আফতাবকে আমরা স্যালুট জানাচ্ছি।

মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, সবার নিরাপত্তায় কাজ করতে গিয়ে পরিবার-পরিজন থেকে পুলিশ সদস্যদের বছরের সিংহভাগ সময় দূরেই থাকতে হয়। এরপরও পান থেকে চুন খসলেই সমালোচনায় করা হয় পুলিশের। কিন্তু আফতাবদের মতো অসংখ্য ভালো কাজ পুলিশ নিত্যদিন করছে। কিছু নজরে আসে আর কিছু আড়ালে থেকে যায়। নজরে আসা আফতাবের মানবিক ঘটনাটি সাধারণ মানুষের মতো আমাদেরও পুলকিত করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রভাষক শওকত আলী বাবু : বিশ্ব শান্তি কামনায় ৪দিন ব্যাপী সার্বজনীন শ্রী শ্রী দোগাছিয়া মহাশ্মশান কালীপূজা ও বসন্ত উৎসবের ৩য় দিনে কীর্তন, আলোচনা সভা ও যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে দোগাছিয়া মহাশ্মশান ও কালী মন্দির কমিটি আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্দির কমিটির সভাপতি বাবু মুকুন্দ মোহন ভারতী।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জোৎস্না আরা, যুগ্ন সম্পাদক সুলেখা দাস, আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মো. রমজান আলী বিশ্বাস, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন মুকুল, ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান সানা, তুজলপুর জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাধবকাটি বাজার কমিটির সভাপতি আবুল খায়ের বিশ্বাস, বাজার কমিটি ও ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমাণ্ডের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির লিটু প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুধাংশু শেখর সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে ফারিয়া’র মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

মইনুল ইসলাম: আশাশুনিতে ওষুধ কোম্পানী প্রতিনিধিদের সংগঠন ফারিয়ার এক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধায় আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় । সভায় যৌক্তিক কারণ ছাড়া মাসিক সভায় সদস্যদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা, নির্ধারিত সময়ে মিটিংয়ে উপস্থিত হওয়া, মার্কেটে সদস্যদের সমস্যা ও তা সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ফারিয়া আশাশুনির সভাপতি আইয়ুব হোসেন রানার (জুলফার ফার্মা) সভাপতিতে এবং সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের (বেক্সিমকো) সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রবকুল হোসেন (ড্রাগ ইন্টাঃ), মোঃ আব্দুল করিম(স্কয়ার), জিল্লুর রহমান(বায়োফার্মা), শফিকুল ইসলাম(একমি), অমিত ম-ল(পপুলার), মনিরুল ইসলাম(মনিকো), জন মিল্টন (স্কয়ার), রায়হানুল ইসলাম(এসিআই), সঞ্জয় বাছাড়(এডরুক), কাজী জাহিদুল ইসলাম(রেনাটা), আফাজউদ্দীন(অপসোনিন ফার্মা ), মেহেদী হাসান(অপসেনিন ফার্মা), ফরহাদ আলী(হেলথ্কেয়ার), এম এ সবুর(পেট্রন),কবির হোসেন(ড্রাগ ইন্টাঃ), ফিরোজ হোসেন(লিয়ন), মাহমুদ হাসান(ইনসেপটা) প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জ সীমান্তে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জ সীমান্তের ইছামতি ও কালিন্দী নদীর মোহনা বসন্তপুর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ম এলাকা থেকে বোরকা পরিহিত অজ্ঞত এক মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। থানা সূত্রে জানাযায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা নদীর চরে মহিলার লাশ ভাসতে দেখে থানায় সংবাদ দেয়।

এসময় উপ-পরিদর্শক ইসরাফিল হোসেন সঙ্গিয় পুলিশ ফোস নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে বোরকা পরিহিত অর্ধগলিত দূর্গন্ধযুক্ত অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ আরো জানায় অজ্ঞতনামা মহিলা মুসলিম পরিবারের বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। বেশ কয়েক দিন পূর্ব তাকে মেরে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়ে ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৬ তারিখ ১৫/২/১৮

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রায়ের অনুলিপি মেলেনি; রবিবার খালেদা জিয়ার আপিল হচ্ছে না

দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এক সপ্তাহ ধরে কারাগারে আছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলায় এ রায় ঘোষণা করার পর অতি জরুরী ভিত্তিতে ওইদিন বিকেলেই সহিমুহুরী নকল চেয়ে আবেদন করা হয়। তবে আজ বৃহস্পতিবার আদালত চলাকালীন সময় পর্যন্ত কোনো জাবেদা নকল পাননি তার আইনজীবীরা। ফলে রবিবার এ মামলায় আপিল করা যাচ্ছে না বলে জানান তার আইনজীবীরা।

খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আদালতের কার্যদিবসের সময় শেষ হওয়ার পর হতাশার সুরে বলেন, ‘রায়ের আদেশের সত্যয়িত অবিকল নকলের কপি দেওয়া হয়নি। নকলখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ সকাল থেকেই বলেছেন আজই মিলবে কপি। কিন্তু শেষ মুহুর্তে এসে জানান, ‘আজ সরবরাহ করা গেলো না।’

কবে নাগাদ কপি পাওয়া যাবে এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানা গেছে কি না-এমন প্রশ্নে আরেক আইনজীবী নুরজ্জামান তপন বলেন, ‘শুধু সকাল-বিকাল করা হচ্ছে। বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।’

রায়ের কপির সত্যায়িত অনুলিপি কত দিনের মধ্যে দিতে হয়- এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন আছে কি না জানতে চাইলে ফৌজদারী মামলার সিনিয়র আইনজীবী আইযুব আহমেদউল্লাহ জীবন বলেন, ‘ এটা আসামির আইনগত অধিকার। কোনো সুনির্দিষ্ট সময় না থাকলেও আবেদনকারীকে অনতিবিলম্বে কপি সরবরাহ করা ন্যায়বিচারের অংশ।’

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার বিকেলেই খালেদা জিয়ার রায়ের কপি পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী ছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ওইদিন না পেলেও আজ কপি পাওয়ার বিষয়ে সবাই নিশ্চিত ছিলেন। এ জন্য আদালতে সকাল থেকে শেষ সময় পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান কর্মস্থলে দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী কর্মকর্তার সভকক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একই কর্মস্থলে সুনামের সাথে দুই বছর কর্মরত থাকায় কেক কাটার মধ্যে দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিরা ও সাংবাদিকবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহারিয়ার মাহমুদ রনঞ্জু মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সেলিম, সমবায় কর্মকর্তা শেখ মুজিবর রহমান, শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম, পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা এমএ ওয়াজেদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, সোহরাওয়ার্দী পার্ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাড. জাফরুল্লাহ ইব্রাহীম, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল আলম বাবলু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ২০১৭ সালে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেন। এছাড়া উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদকে আধুনিকায়ন, ল্যাবরেটরি স্কুলের দ্বিতল ভবন নিমার্ণ, এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধি স্কুল সরকারি করণের যাবতীয় কার্যক্রম, অফিসার্স কল্যাণ ক্লাব ও প্রেসক্লাবকে আধুনিকায়নে সর্বত্তক সহযোগিতা, উপজেলা সদরে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ইকোপার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অবদান রেখেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নুরনগরে ৬ মাসেও শেষ হয়নি ১ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা

পলাশ দেবনাথ, নুরনগর থেকে: শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরের দক্ষিণ হাজীপুর এলাকায় নুরনগর-দুরমুজখালী বিজিবি ক্যাম্প এর মাঝে মাত্র এক কিঃমিঃ কারর্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজ ৬ মাসেও শেষ হলো না। গত ২৩শে ডিসেম্বর ২০১৭ সালে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার পরেও কোন রকমের অগ্রগতি হয়নি এক কিঃ মিঃ কারর্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের। এলাকার মানুষের চলাচলে নিত্য দিনের দুর্ভোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাড়িয়েছে এই নির্মানাধীন রাস্তাটি। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে সাধারণ পথচারীসহ ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী কয়েক শত স্কুলগামী শিক্ষার্থীর। এলোমেলোভাবে খোয়া ছড়ানো রাস্তায় পড়ে গিয়ে মাঝে মাঝে আহত ও রক্তাত্ব অবস্থায় স্কুলে আসছে শিক্ষার্থীরা। এলাকার মানুষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চায় আর কত দিন লাগবে রাস্তাটির কাজ শেষ হতে? খোয়া ভরা রাস্তায় কোন রকমের রুলার না দেওয়ায় চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। এবিষয় রাস্তা নির্মাণের সাথে যুক্ত ঠিকাদারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমার একটি মাত্র রুলার সেটি বংশীপুরে খারাপ হয়ে পড়ে আছে, চেষ্টা করছি অতি শীঘ্রই রাস্তাটিতে রুলার দেওয়া হবে। এবং তিনি আরও বলেন আগামী ২মাসের ভিতর রাস্তাটির অন্যান্য কাজসহ কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest