সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

৬৬ বছরের জিনাত আমান শ্লীলতাহানির শিকার!

বেশ কিছুদিন ধরেই নাকি তাকে অনুসরণ করছেন একজন। শুধু তাই নয়, মোবাইলে বার বার মেসেজ, এমনকি নানা ধরনের ভিডিও ক্লিপও আসছিল! শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে যেতে বাধ্য হলেন বলিউড অভিনেত্রী জিনাত আমন। তার দাবি, পূর্বপরিচিত ওই ব্যক্তি তার শ্লীলতাহানিও করেছেন। সোমবার জুহু থানায় অমর খান্না নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ৬৬ বছরের অভিনেত্রী।

মুম্বই লাইভের খবর অনুযায়ী, ডিসিপি পরমজিত্ সিংহ দাহিয়া জানিয়েছেন, সরফরাজ ওরফে অমর খান্না পেশায় ব্যবসায়ী। বহুদিন ধরেই জিনাত ও তার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে অমরের। কিছুদিন আগে দু’জনের সম্পর্কের অবনতি হয়। দুই পরিবারের মধ্যে কথাও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু, জিনাতের মোবাইলে মেসেজ, ভিডিও ক্লিপস পাঠিয়ে বিরক্ত করতে থাকেন অমর। বার বার অভিনেত্রীকে দেখা করার জন্য চাপও দিচ্ছিলেন তিনি। যদিও কোনোবারই দেখা করতে রাজি হননি জিনাত।

এর আগেও নাকি তিন বার, জিনাতের অ্যাপার্টমেন্টের সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে অমরের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে জুহু থানায় গিয়ে সোমবার রাতে অভিযোগ দায়ের করেন জিনাত। অমরের বিরুদ্ধে তাকে হুমকি এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন নায়িকা। অভিনেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৩৫৪ (ডি) ও ৫০৯ ধারায় অনুসরণ এবং শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। তদন্তের স্বার্থে, কী কারণে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল, তা-ও জানতে চায় পুলিশ।

১৯৮৫ সালে অভিনেতা মাজহার খানকে বিয়ে করেছিলেন জিনাত। পরে অভিনেতা সঞ্জয় খানের সঙ্গেও বিয়ে হয়েছিল। জিনাতের দুই স্বামীই মারা গেছেন। তার দুই ছেলে রয়েছে, আজান ও জাহান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুদিনা পাতার ৯টি বিস্ময়কর উপকারীতা

দক্ষিণ ভারতে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় এই ভেষজটি বাংলাদেশেও কিছুটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এতে আছে নানাবিধ উপকারি উপাদান। যা পেটের রোগ সারানোর পাশাপাশি ওজন কমাতে, মানসিক অবসাদকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং নানাবিধ ত্বকের রোগের চিকিৎসাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়। নিয়মিত পুদিনা পাতা খাওয়া শুরু করলে আরো অনেক উপকার মিলতে শুরু করে। যেমন ধরুন…

১. দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
পুদিনা পাতার অন্দরে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ মুখ গহ্বরে বাসা বেঁধে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে তো ফেলেই। সেই সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে নিয়মিত পুদিনা পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

২. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটায়
আজকাল কী ছোট ছোট জিনিস মনে রাখতে বেশ সমস্যা হচ্ছে? তাহলে সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই পুদিনা পাতার রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খাওয়া শুরু করলে ব্রেন পাওয়ার এতটা বেড়ে যায় যে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধি এবং মনোযোগও বাড়তে শুরু করে। এই কারণেই তো ছোট বাচ্চাদের প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে পুদিনা পাতা খাওয়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

৩. স্ট্রেস এবং ক্লান্তি দূর করে
বর্তমান সময়ে নানা ক্ষেত্রে কম্পিটিশন এতটা বেড়ে গেছে যে স্ট্রেস এবং ক্লান্তি যেন প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে পুদিনা পাতাই পারে আপনাদের সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন উপহার দিতে। কেন এমন কথা বলছি, তাই ভাবছেন তো? আসলে বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে মানসিক চাপ যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তখন যদি অল্প কিছুটা সময় কাজ থেকে ছুটি নিয়ে পুদিনা পাতার গন্ধ নেওয়া যায়, তাহলে দারুন ফল মেলে। এমনটা করলে ক্লান্তিও দূর হয়। আর যদি সরাসরি পুদিনার পাতার অ্যারোমা নিতে ইচ্ছা না করে, তাহলে গরম জলে মুঠো খানেক পুদিনা পাতা ফেলে ভাপ নিলেও সমান উপকার পাওয়া যায়।

৪. মাথা যন্ত্রণা কমায়
বিষয়টা শুনতে আজব লাগলেও বাস্তবিকই কিন্তু মাথা যন্ত্রণা কমাতে পুদিনা পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো পুদিনা পাতা নিয়ে তার গন্ধ শুকলেই দারুন আরাম পাওয়া যায়। আর যদি এমনটা করতে মন না চায়, তাহলে পুদিনা পাতার তেল অল্প করে মাথায় লাগালেও সমান উপকার মেলে। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির অন্দরে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান, প্রদাহ কমিয়ে মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যা কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে।

৫. ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করে
পুদিনা পাতায় উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি এনজাইম শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে দেহের অন্দরে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার কোনো সুযোগই পায় না। ফলে এই মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

৬. ওজন কমায়
পুদিনা পাতা খাওয়া শুরু করলে হজমে সহায়ক পাঁচক রসের ক্ষরণ বাড়তে শুরু করে। ফলে হজম ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কমতে শুরু করে। তাই যারা নতুন বছরে ওজন কমানোর প্ল্যান করছেন, তারা প্রতিদিনের ডায়েটে পুদিনা পাতাকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন!

৭. ত্বকের যত্নে কাজে আসে
পুদিনা পাতার রসে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিসেপটিক প্রপার্টিজ, যা ত্বকের অন্দরে লুকিয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। ফলে ত্বকের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি ব্রন এবং পিম্পল জাতীয় স্কিন ডিজিজের প্রকোপও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, এই প্রাকৃতিক উপাদানটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা পোকা-মাকড় কামড়ানোর পর জ্বালা যন্ত্রণা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮. গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ কমায়
নিয়মিত রান্নায় দিয়ে অথবা কাঁচা অবস্থায় পুদিনা পাতা খাওয়া শুরু করলে হজমে সহায়ক পাঁচক রসের ক্ষরণ বাড়তে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা কমে, সেই সঙ্গে বদ-হজমের মতো রোগও ধারে ঘেঁষতে পারে না। তাই যদি অনিয়ম-বেনিয়মের কারণে প্রায়শই বুক জ্বালা, চোরা ঢেকুর ওঠার মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে পুদিনা পাতার সঙ্গ নিতে ভুলবেন না যেন!

৯. ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
পুদিনা পাতার অ্যারোমা এতটাই কড়া হয় যে তা ইনহেল করলে বুকে জমে থাকা কফ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ফুসফুসের ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং নানাবিধ রেসপিরেটারি প্রবলমেও ধীরে ধীরে কমে যায়। প্রসঙ্গত, অ্যাজমা এবং জ্বর এবং সর্দি-কাশির প্রকোপ কমাতেও এই প্রাকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এবার থেকে এমন ধরনের কোনো সমস্যা হলে একবার পুদিনা পাতাকে কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। এমনটা করলে উপকার যে মিলবে, তা হলফ করে বলতে পারি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে তুলতে নিয়মিত পেঁপে খান

একটু খেয়াল করে দেখুন কী ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যেই না বেঁছে আছি আমরা। একদিকে বাঁড়ছে বিষ ধোঁয়া। ফলে ফুলফুসের কর্মক্ষমতা যাচ্ছে কমে। অন্যদিকে স্ট্রেস বাড়াচ্ছে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। এখানেই শেষ নয়, এমন পরিস্থিতিতে যেখানে আমাদের নিজেদের খেয়াল রাখার প্রয়োজন বেড়েছে, সেখানে এই কাজটা মন দিয়ে না করে উল্টে জাঙ্ক ফুড খেয়ে কমাচ্ছি আয়ু। এখন প্রশ্ন হল এমন পরিস্থিতিতে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার উপায় কী?

গবেষণা বলছে যখন শরীর প্রতি মুহূর্তে ভয়ানক ধাক্কা খাচ্ছে, তখন শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে পেঁপে, বিশেষত পেঁপের রস। কেন, রোজ এই ফলটি খেলে কী হতে পারে? বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে পেঁপের অন্দরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেল, যা নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। তাই তো সেই প্রাচীন কাল থেকে নানা রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগানো হয়ে থাকে এই ফলটিকে।

আর বর্তমানে আমরা সবাই যে ধরনের পরিবেশের মধ্যে শ্বাস নিচ্ছি, তাতে সুস্থ থাকতে বাস্তবিকই পেঁপের রস খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। গবেষণা বলছে নিয়মিত এক গ্লাস করে পেঁপের রস খেলে শরীরের অন্দরে ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর হওয়ার পাশাপাশি পেপেইন নামক এক ধরনের উপকারি এনজাইমের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা নানাবিধ শারীরিক সমস্যার হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। যেমন ধরুন…

১. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে
এই ফলটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, পেঁপেতে আরেকটি উপকারি উপাদান রয়েছে, যা লাইকোপেন নামে পরিচিত। এই উপাদানটিও ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়
প্রতিদিনের ডায়েটে পেঁপের রসকে অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরে পেপেইনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এই উপাদানটি ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কিন সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, নিয়মিত মুখে পেঁপের প্যাক লাগালেও সমান উপকার পাওয়া যায়। তাই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বক বুড়িয়ে যাক, এমনটা যদি না চান, তাহলে পেঁপের সঙ্গে নিতে ভুলবেন না যেন!

৩. গ্যাস্ট্রিক সমস্যাকে দূরে রাখে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, পেপেইন হল এমন একটি উপাদান, যার মাত্রা শরীরে বাড়তে শুরু করলে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে পাঁচক রসের ক্ষরণ এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে কোনো ধরনের পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, পেঁপেতে কার্পেইন নামেরও একটি উপাদান রয়েছে, যা নানাবিধ গ্যাস্ট্রিক সমস্যাকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার প্রকোপ কমায়
পেঁপের রসে উপস্থিত ফাইবার, শরীরে প্রবেশ করার পর বর্জ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের কষ্ট কমতে শুরু করে।

৫. স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত পেঁপে খাওয়া শুরু করলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্ট্রোকের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। এই কারণেই তো হাই ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত রোগীদের প্রতিদিনের ডায়েটে পেঁপের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

৬. ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ে
বায়ু দূষণের মাত্রা এত মাত্রায় বাড়ছে যে, সবারই ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমছে। ফলে বাড়ছে নানাবিধ রেসপিরেটরি প্রবলেমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত পেঁপের রস খাওয়া শুরু করলে দারুন উপাকার পাওয়া যায়। কারণ এই ফলটির অন্দরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান ফুসফুসের অন্দরে সৃষ্টি হওয়া প্রদাহ কমায়। ফলে লাং-এর কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়
শীতকালে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেড়ে যায়। কেন এমনটা হয় জানেন? কারণ এই সময় নানা কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধে। তাই এই ঠান্ডায় যদি সুস্থ থাকতে চান, তাহলে নিয়মিত পেঁপের রস খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই ফলটি, শরীরের অন্দরে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই দুটি ভিটামিন, ইমিউন সিস্টেমকে এত মাত্রায় শক্তিশালী করে তোলে যে রোগভোগের আশঙ্কা কমে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইয়েমেনের এডেন শহরের নিয়ন্ত্রণ হারাল সৌদি সমর্থিত সরকার

ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর এডেনে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পুরো আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। সৌদি সমর্থিত সরকারী বাহিনীর সঙ্গে কয়েকদিনের লড়াইয়ের পর বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এ নিয়ন্ত্রণ নেয়।

ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ বিন ডাগর ও তার মন্ত্রীসভার সদস্যরা এডেনের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দক্ষিণাঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীগুলোর কথাবার্তা চলছে বলে খবর হয়েছে। এই দুটি পক্ষ উত্তরাঞ্চলের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্র হয়ে লড়াই করছিল, কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ শুরু করায় ইয়েমেনে নতুন একটি যুদ্ধক্ষেত্রের সৃষ্টি হলো।

২০১৫ সালে উত্তরাঞ্চলভিত্তিক হুতি বিদ্রোহীদের অভিযানে রাজধানী সানার পতন হলে ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আব্দুরাব্বু মনসুর হাদি ও তার মন্ত্রীসভা রাজধানী থেকে পালিয়ে যান। পরে বন্দর শহর এডেনকে কেন্দ্র করে সরকার পরিচালনা করতে শুরু করেন তারা।

রেডক্রস জানিয়েছে, রোববার থেকে শুরু হওয়ার লড়াইয়ে এ পর্যন্ত ৪০ জন নিহত হয়েছেন।

এছাড়া বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এডেনের সামরিক ঘাঁটিও দখল করে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শাহরুখ খানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

মুম্বাইয়ের আয়কর বিভাগ শাহরুখ খানের আলিবাগের বাংলোয় রেজিস্ট্রিভুক্ত ‘দেজা ভ্যু’ ফার্মস প্রাইভেট লিমিটেডকে প্রাথমিক ভাবে ৯০ দিনের জন্য ক্রোক করেছে।

এর আগে গত ডিসেম্বরেই ‘প্রহিবিশন অফ বেনামি প্রপার্টি ট্রানজাকশনস অ্যাক্ট’ (পিবিপিটি) এই ফার্মটিকে ক্রোক করার নির্দেশ জারি করেছিল আয়কর বিভাগ।

মুম্বাইয়ে আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় বেনামি আইনের ২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী তারা যদি বুঝতে পারেন, কোনও ব্যক্তি বা উপভোক্তা এই বেনামি সম্পত্তির আইনভঙ্গ করেছেন, তাহলে তারা ৯০ দিনের জন্য সেই সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দিতে পারেন। আলিবাগে শাহরুখের এই বাংলোর আনুমানিক মূল্য ১৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

আলিবাগের সমুদ্রতটে ১৯ হাজার ৯৬০ বর্গমিটারের এই বাংলোয় রয়েছে সুইমিং পুল, বিচ আর হেলিপ্যাড। মুম্বাইয়ের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা থেকে বোঝা গেল। গত ২৪ জানুয়ারি শাহরুখের অফিস ‘রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট’ এবং ‘কলকাতা নাইট রাইডার্স’র চিফ এক্সজিকিউটিভ অফিসারকে ই-মেল পাঠানোর পরেও তিনি কোনও উত্তর না দেওয়ায় শাহরুখের আলিবাগ বাংলো ক্রোক করার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তামিম-ইমরুল ফিরলেও বাংলাদেশের দারুণ সূচনা

১০ ইনিংস পর ওপেনিংয়ে ৫০ এর বেশি রানের জুটি গড়েছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের শুরুটা দারুণ করেছিলেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল। কিন্তু মধ্যাহ্ন ভোজনের বিরতির আগেই ফিরে গেছেন দুজন। যদিও প্রথম সেশনে তাদের গড়ে দেওয়া মঞ্চে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২৭.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১২০ রান।

টস জিতে খেলতে নামলে ধীরে ধীরে লম্বা জুটি গড়েন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। স্পিন সহায়ক চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিনা উইকেটে পার করেন ৫০ রান। তামিম ইকবাল মাত্র ৪৬ বলে দেখা পান হাফসেঞ্চুরির। ১৪.১ ওভারে একটি রান নিয়ে পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি।

এই জুটিতেই চিন্তার ভাঁজ পড়তে থাকে লঙ্কান শিবিরে। জুটি ভাঙতে ১৩তম ওভারে অভিজ্ঞ হেরাথকে আনান অধিনায়ক চান্ডিমাল। হেরাথ না পারলেও পেরেরা এনে দেন সাফল্য। ১৬তম ওভারে দিলুরুয়ান পেরেরার স্পিনে পরাস্ত হন তামিম। পা বাড়িয়ে খেলার চেষ্টা করলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত করে স্টাম্পে। ৫৩ বলে তামিম ফিরে যান ৫২ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও একটি ছয়।

উল্টো দিকে সাবধান থেকেই খেলছিলেন ইমরুল কায়েস। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন হাফসেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু মধ্যাহ্ন ভোজনের একটু আগেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পা দেন। সান্দাকানের স্পিনে ৪০ রানে ফেরেন ইমরুল। তার ৭৫ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার।

তামিমের মঞ্চ গড়ে দেওয়া ফিফটিতে দ্রুতগতিতে দলীয় শত রান তুলে নিয়েছিলেন ইমরুল ও মুমিনুল। এই জুটিতে আসে ৪৮ রান। আগেরটিতে আসে ৭২ রান। মুমিনুল ব্যাট করছেন ২৬ রানে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরাজয় বাংলাদেশের

যুব বিশ্বকাপে পুরো টুর্নামেন্টের মতো বাংলাদেশের শেষটাও হলো ব্যাটিং ব্যর্থতায়। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পেরে ওঠেনি দল। দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৮ উইকেটে জয়ী হয়েছে।

৫ম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। কুইন্সটাউনে বুধবার বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৭৮ রানে। প্রোটিয়ারা জিতেছে ৬৯ বল বাকি রেখেই।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ পড়ে ব্যটিং বিপর্যয়ে। দলে ফেরা ওপেনার নাঈম শেখকে প্রথম ওভারে হারিয়ে শুরু। দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন অধিনায়ক সাইফ হাসান। সপ্তম ওভারে পাঁচ বলের মধ্যে আউট হয়ে যান আমিনুল ইসলাম ও তৌহিদ হৃদয়।

পরে মোহাম্মদ রাকিবের বিদায়ে বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারায় ৩৩ রানেই। চারটিই নেন টুর্নামেন্টে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা ফাস্ট বোলার ফ্রাসার জোন্স।

খাদের কিনারা থেকে দলকে উদ্ধার করেন আফিফ ও শাকিল হোসেন। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন গড়েন ৯৬ রানের জুটি।

বিপর্যয়েও দারুণ আক্রমণাত্মক খেলে আফিফ ৬৩ করেছেন ৫৯ বলে। ৭টি চারের পাশে ইনিংসে ছক্কা দুটি। যুব বিশ্বকাপের ৬ ম্যাচে আফিফের এটি চতুর্থ ফিফটি।

টুর্নামেন্টে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান শাকিল হোসেন করেন ৬১। দশে নেমে টিপু সুলতান ১৮। বাংলাদেশ এর পরও গুটিয়ে যায় ৪১.৪ ওভারেই।

দক্ষিণ আফ্রিকার দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শুরুটাকে কাজে লাগাতে না পারলেও তৃতীয় জুটিই দলকে এনে দেয় জয়। ১১৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন রেনার্ড ফন টোন্ডার ও হারমান রোলফেস।

স্কোর-

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৪১.৪ ওভারে ১৭৮ (সাইফ ১, নাঈম ২, আমিনুল ৭, হৃদয় ১, আফিফ ৬৩, রাকিব ২, শাকিল ৬১, অনিক ১৩, হাসান ০, টিপু ১৮*, রনি ০; জোন্স ৫/৩৩, এমনায়াকা ৩/২৭, রোলফেস ০/২৭, মোলেফে ০/২৫, স্মিথ ০/৩৮, ডি ক্লার্ক ১/২৭)

দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯: ৩৮.৩ ওভারে ১৮০/২ (ব্রিটজকে ৩৬, পিল্লাই ১২, ফন টোন্ডার ৮২*, রোলফোস ৪৪*; হাসান ০/২৮, রনি ১/২১, অনিক ১/৩১, টিপু ০/৩৯, আফিফ ০/২৮, রাকিব ০/১৬, সাইফ ০/১৭)।

ম্যান অব দা ম্যাচ: ফ্রাসার জোন্স

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চীনে ৫০০ কোটি রুপি আয়ের পথে আমিরের ‘সিক্রেট সুপারস্টার’!

১৫ কোটি রুপি খরচ করে বলিউডে গত বছর ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ ছবিটি নির্মাণ করা হয়। এতে আমির খানের সঙ্গে অভিনয় করেন ‘দঙ্গল’খ্যাত অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম। বোরকা পরিহিত মুসলিম তরুণীর গায়িকার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তৈরি এ ছবিটি ভারতের বক্স অফিসে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।

কিন্তু চীনে জমজমাট ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহে চীনে ছবিটির আয় ৪০০ কোটি রুপি। ছবিটি দ্বিতীয় সপ্তাহেও চীনে চলছে এবং বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

চীনে আয়ের দিক দিয়ে হলিউডের ব্যয়বহুল বাজেটের আলোচিত ছবি ‘স্টার ওয়ার্স: লাস্ট জেডি’কেও ছাড়িয়ে গেছে ‘সিক্রেট সুপারস্টার’। ছবিটির আয় চীনা বক্স অফিসে তাই কয়েকদিনের মধ্যেই ৫০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে। শুধু এ ছবিটিই নয়, আমিরের ‘দঙ্গল’ ও ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবিটি দুটিও চীনে ভালো ব্যবসা করেছিল। সূত্র: এনডিটিভি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest