সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভাসাতক্ষীরা কারা মহাপরিদর্শকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলাসাতক্ষীরায় গ্রিলের তালা ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরিসাতক্ষীরার লাবসা বাইপাস সড়কে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্টদেবহাটায় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে স্কুল শিক্ষক ও আয়া আটক কালিগঞ্জে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আটক-৩সাংবাদিক কামরুজ্জামানের শ্যালকের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শোকসাতক্ষীরায় ভেজাল মাছের খাবার ও সার তৈরির অভিযোগে ২০ হাজার টাকা জরিমানাজলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে শ্যামনগরে প্রশাসনকে স্মারকলিপিছাত্রশিবিরের সাদিক ভিপি-ফরহাদ জিএস-মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত

অমিতাভ বচ্চন হাসপাতালে ভর্তি

মুম্বাইয়ের লীলাবতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। তবে হঠাৎ কেন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। যদিও বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি রুটিন চেকআপের জন্যেই অমিতাভকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সারা রাত শুটিং করেছেন অমিতাভ। শুক্রবার সকালে বাড়ি ফেরেন বচ্চন। এরপরেই এদিন সন্ধ্যায় অসুস্থতা বোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে তার পরিবারের লোকজনকেও দেখা গেছে। এমনকি, বিগ-বির অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন তার অসংখ্য অনুগামীরা। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হজমশক্তি ঠিক রাখতে চাইলে…

হজমশক্তি ঠিক রাখা সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি। এ জন্য কিছু স্বাভাবিক কাজই একটু সতর্কভাবে করতে হবে। হজমশক্তি বাড়ানোর উপায় নিয়ে আজকের টিপস।

শারীরিক অনুশীলন

শরীর সচল রাখলে হজমও সহজ হবে। এ কারণে নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম বা অনুশীলনকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যাপ্ত পানি

পানি পান করার কোনো বিকল্প নেই। প্রচুর পানি পান করলে পরিপাকতন্ত্রও সঠিকভাবে আর্দ্র থাকে এবং হজম সহজ হয়। তবে খাবারের সঙ্গে বেশি পানি পান করা যাবে না। খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে পানি পান করতে হবে।

এনজাইমযুক্ত খাবার খান

যেসব খাবারে এনজাইম আছে, সেসব বেশি করে খেতে হবে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে দই, দানাদার খাবার ইত্যাদি। এ ছাড়া আদা কিংবা পুদিনা পাতাও হজম সহায়ক।

আঁশযুক্ত খাবার

খাবারের আঁশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেসব খাবারে পর্যাপ্ত আঁশ নেই, সেসব খাবার সীমিত খাওয়াই ভালো। শাক-সবজি ও ফলমূলে পর্যাপ্ত আঁশ থাকায় সেগুলো খেতে হবে।

নিয়মিত খাবার গ্রহণ

খাওয়ার সময়টি যেন প্রতিদিন একই থাকে। শরীর পরবর্তী খাবারের সময় অনুযায়ী অভ্যস্থ হয়ে ওঠে এবং সে অনুযায়ী পাচক রস নিঃসরণ করে। কিন্তু খাবারের সময় ঠিক না থাকলে এ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়, হজমে গণ্ডগোল হয়ে যায়।

চা-কফি সীমিত

কয়েক কাপ চা-কফি পান করতে বাধা নেই। বাড়তি ক্যাফেইন পেটে গেলে হজমশক্তি কমে যায়। এ ছাড়া খাবারের অন্তত এক ঘণ্টা পরে চা-কফি পান করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উত্তপ্ত সীমান্ত, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন

আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক। আর তারই জের ধরে এবার রাশিয়ার সর্বপশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত কালিনিনগ্রাদ অঞ্চলে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মনে করা হচ্ছে, পূর্ব ইউরোপে রুশ সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় মার্কিন সামরিক তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে রুশ পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান ভ্লাদিমির শামানোভের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের খবর জানানো হয়েছে। তবে ঠিক কতটি ক্ষেপণাস্ত্র কতদিনের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে তা তিনি জানাননি।

শামানোভ বলেন, ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিদেশি সামরিক ঘাঁটিগুলো বাছাই করা হয়েছে। রাশিয়া এর আগেও একাধিকবার তার পশ্চিম সীমান্তে মার্কিন সেনা সমাবেশের জবাব দিতে কালিনিনগ্রাদে ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র প্রচলিত অথবা পরমাণু ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম।

এদিকে, লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট ডালিয়া গ্রিবুসকাইত রাশিয়ার এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া স্থায়ীভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। এর ফলে ইউরোপের প্রায় অর্ধেক দেশের রাজধানী শহরের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলা ভাষায় পর্তুগিজদের যত দান

‘কেদারা’ নিয়ে অনেক গল্প চালু আছে। এর মধ্যে ছাত্র-শিক্ষকের গল্পটি বহুশ্রুত। শিক্ষার্থীর জ্ঞানের বহর যাচাই করার জন্য শিক্ষক বললেন, ‘যাও, একটি কেদারা নিয়ে এসো।’ ছাত্র অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কেদারার সন্ধান করতে পারল না। যখন শিক্ষক বললেন, ‘যাও একটি চেয়ার নিয়ে এসো’—সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্র এনে হাজির করল। এই কেদারা শব্দটিকে সাধারণত আমরা বাংলা হিসেবেই দেখে থাকি, যদিও এটি পর্তুগিজ ভাষা থেকে এসেছে। এমন আরো অনেক শব্দ বাংলায় পাওয়া যায় যেগুলো ঠিক বাংলা নয়; কিন্তু যুগ যুগ ধরে শব্দগুলো এতই ব্যবহৃত হয়েছে যা সাধারণ মানুষের কাছে বাংলা হয়ে গেছে।

ফিরিঙ্গি, হার্মাদের মতো অপবাদ যে জাতির বিরুদ্ধে দেওয়া হতো শুরুতে তারা হচ্ছে পর্তুগিজ। তবে তারা এ দেশে অনেক নতুন নতুন জিনিসপত্র ও পণ্যদ্রব্য নিয়ে এসেছিল। এর মধ্যে গাছগাছালিই ছিল ৩৫ রকম। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে বাদাম, ব্রাজিল থেকে আনারস, আফ্রিকা ও মোজাম্বিক থেকে আতাফল, পেরনাম্বুকো থেকে লাল মরিচ, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পেঁপে, ইন্ডিগো থেকে নীল, আফ্রিকা ও ব্রাজিল থেকে আলু, চিনা আলু ও মিষ্টি আলু; পেরু ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে কৃষ্ণকলি এবং রঙিন ফুল তাদের হাত ধরেই আসা। এগুলো বাংলা শব্দের ভাণ্ডারে এমনভাবে মিশে গেছে যে মৌলিক পরিচয়টিই হারিয়ে গেছে। এখন আম, বাদাম, আলু, আতা, পেঁপে কিংবা মরিচকে অন্য ভাষার শব্দ বললে বরং সেটাই বেমানান হয়ে যাবে।

আকবরের শাসনামলে ১৬০৫ সালের দিকে পর্তুগিজদের কল্যাণে বাংলায় সর্বপ্রথম তামাক চাষ শুরু হয়। তবে তারা ১৫০০ সালের দিকে এ দেশে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে যাতায়াত শুরু করে বলে বিভিন্ন ইতিহাসবিদ মনে করেন। অনেক প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে ক্ষতিকর তামাক চাষ শুরু করে তারা হার্মাদ নামের সত্যতা প্রমাণ করেছে বলে অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন। কারণ তামাক একটি নেশাজাতীয় পণ্য হলেও এর ব্যবহার এত ব্যাপকতা লাভ করেছে, যা থেকে কোনো দেশই মুক্তি পাচ্ছে না। একই সময় লিচু ফলটি তারা বঙ্গে নিয়েছিল। তামাক শব্দটি যেমন কুখ্যাত তেমনি লিচু কিংবা পেয়ারা শব্দ দুটি সবার কাছে সুস্বাদু শব্দে পরিণত হয়েছে।

যুগ যুগ ধরেই পর্তুগিজ শব্দ বাংলা ভাষায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এতে ভাষা সমৃদ্ধ হয়েছে না ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটা নিয়ে প্রথম দিকে অনেক তর্ক-বিতর্ক হলেও বর্তমানে বাঙালিরা সেসব শব্দ সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছে। বর্তমানে প্রতিটি বাঙালির ঘরে ঘরে আলমারির ব্যবহার রয়েছে। এটি প্রথম পর্তুগিজরাই নিয়ে আসে। একইভাবে কামরা, জানালা, গরাদ, চাবি, কামিজ, ফিতা, বোতাম, আলপিন, গামলা, বালতি ও কেরানি শব্দগুলো পর্তুগিজ থেকে ধার করা হলেও বর্তমানে শব্দটি বাংলাভাষীদের বহুল ব্যবহৃত শব্দে পরিণত হয়েছে।

বাঙালিদের একটি প্রিয় খাবার মোরব্বা। সেটাও তারা উদ্ভাবন করে। একইভাবে আম, কমলা, লেবু ও আদা থেকে তৈরি খাবার পণ্যও তাদের হাত ধরে এ দেশের মানুষ ব্যবহার করতে শিখেছে। কালের প্রবাহে পর্তুগিজদের অস্তিত্ব এখানে না থাকলেও তাদের ব্যবহৃত শব্দগুলো বাঙালিদের মধ্যে জিইয়ে আছে। এমনকি একসময়ে পর্তুগিজ শাসিত ভাওয়ালের নাগরী এলাকায় অনেক পর্তুগিজ আচার, ভাষা ও শব্দ টিকে আছে। সেখানকার লোকজন তরকারির ঝোলকে ‘কালদো’ বলে। এ কালদো শব্দটি পর্তুগিজ থেকে এসেছে। তেমনি সেখানে বহুল ব্যবহৃত শব্দ কোমাদি (কম্পানি), কেন্দু (বড় বোনের স্বামী), নানু (বড় ভাই), পাদু (ধর্মপিতা), পুতু (কাকা), মাদি (ধর্ম মাতা) ও মানা (বড় বোন) পর্তুগিজ ভাষা থেকে এসেছে।

ভাওয়ালের খ্রিস্টান ধর্মপল্লীতে বসে প্রথম বিদেশি হিসেবে বাংলা ভাষার গ্রন্থ লিখেছিলেন পর্তুগিজ পাদরি মানো এল দো আসসুম্পসাঁও। বইটি পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে ১৭৪৩ সালে বই আকারে ছাপা হয়েছিল। তখন বাংলা হরফ আবিষ্কার না হওয়ায় রোমান শব্দে বাংলা উচ্চারণরীতি ওই গ্রন্থে পালন করা হয়। বহু ভাষাবিদ ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় এটাকে বাংলা ভাষার প্রথম বই হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘উক্ত বইতে বাংলা ভাষার প্রাচীন গদ্য সংরক্ষিত হয়েছে। কোনো বিদেশির হাতে এটাই সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় লেখা গ্রন্থ।’

আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের বিবরণ থেকে জানা যায়, আরবদের পরে পর্তুগিজরা প্রথমে ব্যবসায়ী হিসেবে এবং পরে ধর্ম প্রচারের জন্য এ দেশে এসেছিল। তারা সে সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। অনেকে ধুতি পাঞ্জাবি পরে খাঁটি বাঙালি সেজেছিল। যার কারণে তাদের অনেক সংস্কৃতি, আচার ও ভাষা বাঙালিদের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। বিশেষ করে তাদের অনেক শব্দ বাংলা ভাষার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে, যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আর পর্তুগিজদের আগে আরবীয়রা এ দেশে এসেছিল বলে অনেক আরবি শব্দও পর্তুগিজরা গ্রহণ করেছিলেন।

আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ তাঁর ইসলামাবাদ গ্রন্থে কতগুলো পর্তুগিজ শব্দ উল্লেখ করেছেন, যা বাংলা শব্দে রূপান্তর হয়েছে। সেগুলো হলো কাপ্তান, পিন, কামান, কার্তুজ, কম্পাস, তাঁবু, খ্রিস্টাব্দ, আলকাতরা, গুদাম, চা, চাবি, চুনা, ছাপ, নিলাম, ঝড়, তোয়ালে, পাউরুটি, পাদ্রি, পালকি, পিপা, পাতিহাঁস, ফর্মা, জাহাজের বয়া, বর্গা, ভাতা, ভাপ, মাদি, মাস্তুল, মিস্ত্রি, মেজ, লস্কর, লণ্ঠন, লেবু, সাগু, সিপাহি, ডাকাত প্রভৃতি। প্রতিটি শব্দই এখন বাংলা শব্দে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলা ভাষাকে এসব পর্তুগিজ শব্দ বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবৈধ ব্যবসায় নাম জড়াল রাইমার!

সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের জামা-কাপড় আইন ফাঁকি দিয়ে শিয়ালদায় নিয়ে আসা। তার পর তা কলকাতা তো বটেই, পাশাপাশি সারা ভারতেই বিক্রির জন্য ছড়িয়ে পড়া। আইন ফাঁকি দিয়ে এই অবৈধ ব্যবসার রমরমার কথা অনেকেরই জানা।

সেই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গেই এবার নাম জড়িয়ে গেল জনপ্রিয় নায়িকা রাইমা সেনের!

জানা গেছে, আবুল বাশারের ‘ভোরের প্রসূতি’ অবলম্বনে একটি ছবি তৈরিতে হাত দিয়েছেন পরিচালক আশিস রায়। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র, অর্থাৎ যে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তার নাম সিতারা। এই চরিত্রটির নামেই ছবিরও নাম রেখেছেন পরিচালক। আর এই সিতারার ভূমিকাতেই বাংলা ছবির পর্দা এ বার দেখবে রাইমা সেনকে।

আশিস রায়ের এই ছবিটিতে রাইমা ছাড়াও দেখা যাবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা এফ আর বাবুকে। তিনি ছবিতে অভিনয় করবেন সিতারা ওরফে রাইমার স্বামীর চরিত্রে। এছাড়া এম নাসির, যিনি ‘বাহুবলী’ ছবিতে শিবগামী দেবীর স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তাকেও সিতারা-য় দেখা যাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়।

খবর বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ থেকেই ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছে। আপাতত জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের সীমান্ত এলাকায় শুটিং চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কারাগারে খালেদা জিয়ার ২৪ ঘণ্টা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সোয়া তিনটায় কারাগারে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনটিকে ‘সাবজেল’ ঘোষণা করে সেখানে রাখা হয় তাকে। বর্তমানে একজন নারী ও একজন পুরুষ ডেপুটি জেলার ও কয়েকজন নারী কারারক্ষী এই ‘সাবজেলে’ দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া, বাইরে রয়েছেন আরও শতাধিক কারারক্ষী। তারা সবাই খালেদা জিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

কারা সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া কারাগারে সুস্থ আছেন। তারপরও তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেহেরুন নেছা নামে একজন মহিলা নার্সকে সার্বক্ষণিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিকালে তিনি হালকা নাস্তা করলেও রাতে কারাগারের দেওয়া খাবার খেয়েছেন। সবজি, মাছ, মাংস ও ডালসহ সব ধরনের খাবারই তাকে দেওয়া হয়েছিল। তার পছন্দের খাবার পেপের জুসও দেওয়া হয়। এছাড়া, খালেদা জিয়া যে কক্ষে রয়েছেন সেখানে ডিস সংযোগ ও এসি লাগানো হয়েছে।

কারা সূত্র আরও জানায়, খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পরপরই ঘুমিয়েছেন।শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘুম থেকে উঠে কয়েকটি পত্রিকা পড়েছেন। এরপর তাকে রুটি, সবজি, ডিম ও চা দেওয়া হয়। তিনি সেগুলো খেয়েছেন। দুপুরেও কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া খাবার খেয়েছেন খালেদা জিয়া। শুয়ে, বসে, পত্রিকা পড়ে ও কারারক্ষীদের সঙ্গে আলাপ করেই সময় কাটিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার সকালে খালেদা জিয়ার জন্য তার পছন্দের কিছু ফল নিয়ে জেল গেটে গিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতার স্ত্রী। কিন্তু খালেদা জিয়ার পছন্দের সেই ফল পৌঁছেনি তার কাছে। জেল গেট থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাদের। দুপুরে আবারও ফল নিয়ে জেলগেটে যান বিএনপির তিন নেত্রী। তারা হলেন অ্যাডভোকেট আরিফা জেসমিন, নেত্রকোনা জেলা মহিলা দলের যুগ্মআহ্বায়ক রেহানা তালুকদার ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি উম্মে কুলসুম রেখা। পুলিশ তাদেরও ফিরিয়ে দেয়।

শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার জন্য খাবার নিয়ে যান তার মেজো বোন সেলিমা রহমান ও ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, শামীমের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলে অভীক ইস্কান্দার। আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তারা একটি গাড়িতে করে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে তারা কারাগার এলাকা ত্যাগ করেন।

কারা অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন্স) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির কয়েদি বন্দি হিসেবে খালেদা জিয়া সব সুবিধা পাবেন। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টা কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া সব খাবারই তিনি খেয়েছেন। তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। বিকালে খালেদা জিয়ার স্বজনরা তার সঙ্গে দেখা করে কিছু খাবার ও ফল দিয়ে গেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে সরকারে সন্তোষ

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে সরকার খুশি। দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার দিন গত বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ সারা দেশে বড় ধরনের কোনো সহিংসতার ঘটনা না হওয়ার পেছনে পুলিশ, র‌্যাব আর গোয়েন্দাদের কঠোর অবস্থানকেই কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকার সংশ্লিষ্টরা বলছে, রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে পুরো পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে তা অভাবনীয়। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে এ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
পুলিশের সূত্রগুলো জানায়, খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, রায়ের দিন রাজধানী ঢাকায় বড় ধরনের গণজমায়েতের চেষ্টা করবে। গুলশানের বাসভবন থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বের হয়ে ধীর গতিতে যেতে থাকবেন। তখন হাজার হাজার নেতা-কর্মী গাড়িবহরের পেছন পেছন যাবে। ঢাকার বিভিন্ন অলিগলি থেকে বেরিয়ে বড় ধরনের শোডাউন করবে নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি বুঝে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করবে। এমন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নড়েচড়ে বসে। রায়ের সাত দিন আগে থেকেই রাজধানীকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করতে শুরু করে। ধরপাকড় শুরু হয়। তল্লাশি চলে নেতা-কর্মীদের বাসা বাড়িতে। আবাসিক হোটেলগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়। চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায়। রায়ের আগের রাতে রাজধানীতে বিজিবি টহল দেয়। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয় গোটা রাজধানীতে। এদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে। ৮ ফেব্রুয়ারি কী হবে—এ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। অজানা আশঙ্কা ছিল চারদিকে। দিন যতই ঘনিয়ে আসতে থাকে, মানুষের অস্বস্তি বাড়তে থাকে। রায়ের দিন কী যেন কী হয়—এমন আশঙ্কায় ঘর থেকে সেদিন লোকজনও খুব একটা বের হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানে বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ছাড়াই দিনটি পার করে দেশবাসী। পুলিশের তৎপরতায় রাজধানীতে স্বস্তি বজায় থাকায় পুলিশ ও র‌্যাবের ভূমিকা ছিল উল্লেখ করার মতো। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। রায়ের দিন বিকালে ডিউটিরত সব পুলিশ ইউনিট ও টিমের স্পটে হাজির হয়ে পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান তিনি। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রায় ১৫টি গাড়ি বহর নিয়ে আদালত ও আশপাশের স্পটগুলোতে ঘুরে ঘুরে পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সাধুবাদ জানান ডিএমপি কমিশনার। এ সময় গাড়িবহর থেকে পুলিশ সদস্যদের প্রতি হাত নেড়ে অভিবাদন জানান, স্পটে নেমে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন আছাদুজ্জামান মিয়া। এ সময় তিনি বলেন, তোমাদের অনেক ধন্যবাদ। আমরা কোনো নৈরাজ্য সহ্য করব না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত থাকবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তারেককে নিয়ে বিএনপিতে দুই মত?

লন্ডনে চিকিৎসাধীন তারেক রহমান বাংলাদেশের আইনের চোখে একজন পলাতক আসামি। আর এ অবস্থার মধ্যেই তিনি বিএনপির ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’-এর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দলের গঠনতন্ত্রের ৮ ধারার ‘গ’ উপধারা অনুযায়ী, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব নেবেন ‘সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান’। তবে গত বছর খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরে থাকার সময়ে তিন মাসের অনুপস্থিতি কিংবা এক-এগারো’র সরকারের সময়ে একবছরের বেশি কারাবাসের সময় তারেককে ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’ করার প্রয়োজন মনে করেনি বিএনপি। আর এবার চেয়ারপারসন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তারেককে ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’ করার কথা জানালেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে করে দল ও দলের বাইরে অনেকেই মনে করছেন, তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত করার মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নতুন করে বিতর্ক ও সমালোচনার সুযোগ দেওয়া হলো। যেখানে খালেদা জিয়ার কারাবরণ ‘শাপে বর’ হতে পারে— রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের এমন ভাষ্য সত্ত্বেও নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়লো বিএনপি।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলছেন, ‘গঠনতন্ত্র মেনেই তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা স্বাভাবিকভাবেই ঘটেছে। এতে করে দলীয় গঠনতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এক-এগারো’র সময় বিএনপির গঠনতন্ত্রে এই সুযোগ ছিল না। এবং ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) যখন লন্ডনে গিয়েছিলেন, তখন কিন্তু আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। এখন জেলে যাওয়ায় সে সুযোগ কম। চাইলেই দেখা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান দায়িত্ব পালন করবেন।’
বিএনপির কোনও কোনও সিনিয়র নেতা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেছেন, তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত করার মধ্যদিয়ে পুরনো বিতর্ক নতুন করে উঠে আসবে। ক্ষমতায় থাকতে ‘হাওয়া ভবন’ চর্চা, ‘বিকল্প প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়’ তৈরি করা, দুর্নীতির মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে তারেক রহমানের রাজনৈতিক আবেদন এখনও খালেদা জিয়ার চেয়ে বহুগুণ কম। সেই কারণেই খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারেককে এভাবে ভারপ্রাপ্ত করার মধ্যদিয়ে একদিক দিয়ে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অবজ্ঞার প্রকাশ ঘটেছে।
যদিও বিএনপির নয়া পল্টন কার্যালয়ের একটি সূত্রের ভাষ্য, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর আগ্রহের কারণে তারেক রহমান দ্রুত ‘ভারপ্রাপ্ত’ পদে বসতে আগ্রহী হয়েছেন। এতে করে বিএনপির মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে না তাকে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার রায়ের পর পরই স্থায়ী কমিটি ছাড়াই সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া জানানোর পর থেকে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতেই স্থায়ী কমিটিতে সিদ্ধান্ত ছিল, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং স্থায়ী কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে মহাসচি দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন। আর এই সিদ্ধান্ত মানতেই সমস্যা হচ্ছে দলের একটি অংশের।
রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। যদিও শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্য ছিল, ‘দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির সঙ্গে সমন্বয়ে দল আগামীতে পরিচালিত হবে ।’
রিজভীর এই বক্তব্য মেনে নিলেও বিএনপির একটি অংশ বলছে, তারেক রহমান বিএনপির ভবিষ্যৎ। তার নেতৃত্ব নিয়েও কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যখন খালেদা জিয়ার গ্রেফতার হলেন, আর সময় গেল মাত্র ২৪ ঘণ্টা, তখনই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার মধ্যদিয়ে মূলত বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে উপেক্ষা করা হয়েছে। বিশেষ করে দলের এই সময়ে যখন বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা, সেখানে হঠাৎ করে তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার ঘোষণা দেওয়া হলো। বিশেষ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ভারপ্রাপ্ত’ করায় দলের মধ্যে এই মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাষ্য, ‘কোনও দ্বিমত বা দ্বন্দ্ব তৈরি করবে না। আর এতে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয় না। এটা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত। গত কাউন্সিলে তারেক রহমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।’
ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছে, তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে বিএনপি প্রমাণ করেছে—‘তারা দুর্নীতির পথ থেকে সরে আসেনি। প্রমাণ হয়েছে বিএনপি সুস্থ রাজনৈতিক চিন্তা করতে পারে না। তারা মনে করে, আইন আদালতের ঊর্ধ্বে তারা।’
বিএনপি’র যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদ বলেন, ‘তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত হয়েছেন গঠনতান্ত্রিক নিয়মে। এটা তো দেরি হয়ে গেছে। আরও আগেই করা দরকার ছিল। আর ভারপ্রাপ্ত হওয়ায় দলে কেন প্রশ্ন থাকবে? কোনও সমস্যা থাকবে না।’ আর আওয়ামী লীগ সমালোচনা করছে, তার মানে বিএনপি ঠিক পথেই আছে (রাইট ওয়ে) বলেও মন্তব্য করেন কয়সর আহমেদ।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘বিএনপির একটা গঠনতন্ত্র আছে, সেই অনুযায়ী তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে দলের অন্য নেতারা সবাই তো আছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল আরও ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী হবে আগামীতে।’
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দল পরিচালিত হবে। সেক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করে আগামী দিনের করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ায় আমি কোনও সমস্যা দেখছি না। এনিয়ে দলের মধ্যে কোনও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলেও মনে করি না। কারণ, আমাদের দলের গঠনতন্ত্রে চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যানই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হবেন—এটা সুস্পষ্টভাবে বলা আছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest