সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

হাতে হাতে প্রশ্ন, সারা দেশে অসংখ্য গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক: মাধ্যমিকের পদার্থের প্রশ্নও ফাঁস হয়েছে; বহু স্থানে লঙ্ঘন হয়েছে কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল ফোন বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা। অনেক কেন্দ্রেই পরীক্ষার ঘণ্টাখানেক আগে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ও উত্তরের জন্য। এসব ঘটনায় অনেক পরীক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়েছে, অনেককে বহিষ্কার করা হয়েছে। চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত বাসভর্তি পরীক্ষার্থী পান যারা হলে ঢোকার আগে মোবাইল ফোনে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র দেখা ও উত্তর মেলানো নিয়ে ব্যস্ত ছিল। তাদের ধরে নিয়ে আলাদাভাবে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। সাভারের একজন ছাত্রীর হাতে পাওয়া যায় পদার্থের হুবহু এমসিকিউ অংশের উত্তর। বহিষ্কার করার পর মেয়েটি দোতলা থেকে লাফ দিয়ে গুরুতর আহত হয়ে এখন হাসপাতালে কাতরাচ্ছে।

বাসে হানা, ধরা ৫৪ : চট্টগ্রামের অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী বলেন, ওয়াসা মোড় এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে ঢুকে দেখা যায়, বাসভর্তি পরীক্ষার্থীর অনেকে মোবাইল ঘাঁটছে। অল্প দূরেই বাওয়া স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্র। তল্লাশি চালিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঁচটি মোবাইল ফোনসেট এবং সেগুলোতে পদার্থবিজ্ঞানের এমসিকিউ প্রশ্ন পাওয়া যায়। পরে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে এই প্রশ্ন মিলে যাওয়ায় বিজ্ঞানের ২৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়। তাদের মধ্যে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত ছিল এমন ৯ জন শনাক্ত হয়েছে। অভিযানের সময় বাসে একজন শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি জানতে পারলেও ব্যবস্থা নেননি। তাঁকেসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, বাসে পাওয়া ৫৪ জনের মধ্যে ৩০ জন কমার্সের শিক্ষার্থী ছিল। উদ্ধারকৃত প্রশ্নপত্রে কমার্সের প্রশ্ন ছিল না বলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পটিয়া থেকে বাসে আসে আইডিয়াল স্কুলের এই ৫৪ শিক্ষার্থী।

এ ছাড়া পুলিশ লাইন স্কুল কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী দুই ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী। তিনি বলেন, ওই কেন্দ্রের দুই বোন পরীক্ষার্থী ছিল। তাদের বাবা মোবাইল ফোনের ম্যাসেঞ্জারে মেয়েদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেন। এই প্রশ্নপত্র পেয়ে দুই বোনকে বহিষ্কার করা হয়। তাদের বাবাকে খোঁজা হচ্ছে।

এদিকে ফটিকছড়ির সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু হাছনাত মো. শহিদুল হক জানান, পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে ফটিকছড়ি হেঁয়াকো বনানী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের অদূরে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্র দেখার সময় ১০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে তিনজনের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বাকি সাতজনকে পরীক্ষার হল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি আটক করা হয়। তিনি বলেন, আটককৃতরা ফটিকছড়ির বাগান বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, গজারিয়া জেবুন্নেসাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং চিকনছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রসচিব মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন।

লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা : অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের ফাঁস হওয়া প্রশ্নের (অবজেকটিভ) উত্তর হাতে লিখে পরীক্ষা দিতে এসে সাভারে এক শিক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে। ঘটনার পর লজ্জায়-অপমানে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহননের চেষ্টা করে ওই শিক্ষার্থী। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

সাভারের অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক পরীক্ষার্থীর হাতে লেখা নকল ধরা পড়ার পরই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বহিষ্কৃত ওই শিক্ষার্থী তার বন্ধুর মাধ্যমে পরীক্ষার আগের রাতেই প্রশ্ন পেয়েছিল বলে তাঁর কাছে স্বীকার করেছে।

জান্নাতুল ফেরদৌস নামের ওই শিক্ষার্থী সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনির ইয়াদুল বারী বাবলু ও নাসিমা আক্তার বিউটির মেয়ে। সাভার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

সাভার অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন পিটার গমেজ জানান, তাঁদের কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দেওয়ার সময় তার হাতে ২৫টি অবজেকটিভ প্রশ্নের উত্তর লেখা দেখতে পান ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ম্যাজিস্ট্রেট) মেজবাহ উদ্দিন। হুবহু প্রশ্ন মিলে যাওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর জান্নাতুলকে বহিষ্কার করা হলে সে বাইরে এসে ভবনের দ্বিতীয় তলার বারান্দা থেকে হঠাৎ লাফিয়ে পড়ে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে সেখান থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমজাদুল হক বলেন, ওই শিক্ষার্থীর বাম পায়ের হাড় ভেঙে গেছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে থাকা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন জানান, ওই পরীক্ষার্থী জানিয়েছে, কুষ্টিয়া জেলার এক বন্ধুর কাছ থেকে রাতে সে প্রশ্নপত্র পেয়েছে।

ইউএনওর তৎপরতায় : কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম গতকাল সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হান মেহবুবকে ছাত্র সাজিয়ে রামচন্দ্রপুর রামকান্ত স্কুলকেন্দ্রের কাছে পাঠান। তিনি নিজেও আসেন। পরে দুটি স্যামসাং মোবাইল ফোনসেটসহ খাইরুল ইসলাম নামের এক যুবককে আটক করা হয়। খাইরুল উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে। তার মোবাইলে প্রশ্ন ফাঁসকারী অনেকের ফোন নাম্বার ও ছবি রয়েছে বলে মিতু মরিয়ম জানান। তিনি বলেন, অপরাধ স্বীকার করায় তাকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সৈয়দপুরে গ্রেপ্তার ১, বহিষ্কার ১ : নীলফামারীর সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে দুই পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এর মধ্যে জায়েদ আলী নামের একজনকে সৈয়দপুর থানা পুলিশে সোপর্দ এবং নয়ন দেবনাথকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জায়েদ আলীর মোবাইল ফোনে পাওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানান সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. তাজউদ্দিন খন্দকার।

নাজিরপুরে ২ বছরের জেল : পিরোজপুরের নাজিরপুরে গাওখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে থেকে রিপন চক্রবর্তী (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রিপন উপজেলার গোবর্ধন গ্রামের শংকর দেব চক্রবর্তীর ছেলে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ দণ্ড দেন। ঝুমুর বালা জানান, পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে ওই ছেলের মোবাইলে পাওয়া উত্তর হুবহু মিল পাওয়ায় এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই ছেলের মোবাইলে মেসেঞ্জারে দেখা যায় ঢাকার ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র তাকে এ উত্তরপত্র পাঠিয়েছে। প্রেরকের ব্যাপারেও খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পকেটে দুই মোবাইল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী দীপ কুমার দাস ওই বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১০৩ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিতে যায়। কক্ষ পরিদর্শক মো. লোকমান হোসেন ছাত্রদের দেহ তল্লাশির সময় দীপের পকেটে দুটি মোবাইল ফোনসেট পান। পুলিশ এসে ফোনটি জব্দ করে। পরে পরীক্ষা করে পদার্থবিজ্ঞানের হুবহু প্রশ্ন পাওয়া যায় মোবাইলটিতে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান বলেন, ‘নিয়ম ভঙ্গ করায় তাৎক্ষণিকভাবে ওই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’ সরাইল থানার ওসি মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ওই পরীক্ষার্থী জানিয়েছে জয় রায় নামে একজনের কাছ থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে সে প্রশ্নপত্রটি পেয়েছে। কেন্দ্রসচিব শেখ সাদি বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

দিনাজপুরে গ্রেপ্তার ৭ : বিরলের ধুকুরঝাড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের অদূরে সকাল ৯টায় মোবাইল ফোনে প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দেখার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ বি এম রওশন কবীর তিন পরীক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনসহ গ্রেপ্তার করেন। কেন্দ্রসচিব বিমল চন্দ্র সরকার জানান, পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে ধুকুরঝাড়ী বাজারের মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্র দেখার সময় ম্যাজিস্ট্রেড তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তৈয়ব আলী জানান, তিনি গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তিন পরীক্ষার্থী হচ্ছে ফরক্কাবাদ এনআই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ও মাঝাপাড়া গ্রামের নুর ইসলাম নয়ন, মোহনা মঙ্গলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ও ধনগ্রামের মাহফুজ আলম ও মোহনপুর গ্রামের আনছারুল আজিমের ছেলে রিয়াদ উল ইসলাম।

মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র সরবরাহের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৮০ সালের পরীক্ষা আইনের ৪ ধারা মোতাবেক মামলা করা হয়েছে। বিরল থানার মামলা নং-০৯। তারিখ-১৩-০২-২০১৮ ইং।

এ ছাড়া ধর্মপুর ইউসি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক শিক্ষার্থীকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করা হয় বলে জানা যায়।

বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে মোবাইল ফোনে প্রশ্ন ও উত্তর দেখার সময় পরীক্ষার্থী ওমর ফারুককে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার মোর্শেদ মোবাইলসহ ধরে কেন্দ্রে নিয়ে যান। পরীক্ষা শুরুর পর প্রশ্নপত্রে মিল পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরীক্ষার্থীর বাড়ি আনোয়ারা ধদইর গ্রামে।

অন্যদিকে বিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান গেট থেকে ইউএনও তিন পরীক্ষার্থী কলেজ বাজার এলাকার নাজমুল সাকিব, শৌলাহার গ্রামের শামীম আহমেদ সবুজ ও উড়ুম্বা গ্রামের বিজয় চন্দ্রকে আটক করেন। ইউএনও মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জব্দ করা একটি স্মার্টফোন থানায় দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রসচিব রইচ উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার ও ইন্টারনেটে প্রশ্ন খোজার অপরাধে মামলা হয়েছে।

ভালুকায় আটক ৪ : গতকাল ময়মনসিংহের ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে থেকে ভালুকা পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের শামছুল হোসেনের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা, রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মিনারা ও রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মনোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া হবিরবাড়ী ইউনিয়ন সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র এলাকা থেকে আটক করা হয় গাজীপুর শ্রীপুরের আবদার গ্রামের সবুজ মিয়াকে। ভালুকা মডেল থানার ওসি মামুন-অর-রশিদ জানান, আটককৃতদের বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া পরীক্ষা চলাকালে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি কোচিং সেন্টারে কোচিং করানোর অপরাধে তিনজন শিক্ষককে এক হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিতরা হলেন উপজেলার ধলীয়া গ্রামের এইচ এম মুনীম, ভরাডোবা গ্রামের রাজিবুল হাসান ও রোহান আহাম্মেদ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামাল গতকাল এ দণ্ড দেন।

ভূঞাপুরে আটক ১, বহিষ্কার ৪ : পরীক্ষা শুরুর আগে ভূঞাপুর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরের মাঠ থেকে সিজেন খান ওরফে আব্দুল কাইয়ুম নামে এক কলেজ ছাত্রকে আটক করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফ আহমেদ। সহকারী কমিশনার জানান, মঙ্গলবার পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে দেখা যায় চার পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ না করে মোবাইল ফোনে কিছু একটা দেখছে। তাদের জিজ্ঞাসা করতে গেলে মোবাইলের মালিক পাপ্পু পালিয়ে যায়। এ সময় তার সহযোগী সিজেন খান ওরফে আব্দুল কাইয়ুম ও এক পরীক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনসহ আটক করা হয়। সেখানে উপস্থিত তিন পরীক্ষার্থী দৌড়ে হলে প্রবেশ করে। পরে ওই চার পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুছ ছালাম মিয়া বলেন, আটক দুজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে।

১০ শিক্ষকের বিরুদ্ধে : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার বলিহার ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্র থেকে ১০ শিক্ষক আর কখনো পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। শিক্ষকরা হলেন প্রশান্ত বাড়ৈ, মনিরা খানম, মনির হাওলাদার, কবিতা কির্ত্তনীয়া, অশোক জয়ধর, শামীম আহম্মেদ, মোহসিন তালুকদার, লায়েকউজ্জামান, নিয়াজ মকদুম ও জয় প্রকাশ বিশ্বাস। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিলাল হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, ১০২, ১০৩ ও ১০৪ নং রুমে এই শিক্ষকরা পরীক্ষার্থীদের নকলে সহায়তা করছিলেন।

ইউএনওকে লাঞ্ছিত করায় : শনিবার এসএসসি গণিত পরীক্ষা শেষে যাদুরচর কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা ইউএনওকে অবরুদ্ধ করে রাখে স্কুলের একটি কক্ষে। ইউএনওর গাড়িও ভাঙচুর করে। সে ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় দেড় শ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন যাদুরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও একই প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ময়নাল হক। কেউ গ্রপ্তার হয়নি। রৌমারী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সিসি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

মিসাইল গ্রুপের সাব্বির আটক : র‌্যাবের একজনকে ধরল র‌্যাব : র‌্যাব-২ গতকাল দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও তালতলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীচক্রের সদস্য সন্দেহে সাব্বির আহম্মেদ নামের একজনকে আটক করে। সাব্বিরের বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ। বাবার নাম সইজ উদ্দিন শেখ। র‌্যাব-২-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফিরোজ কাউসার বলেন, তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সাব্বিরকে আটক করা হয়। সে ধামরাই সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত। সাব্বির হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়াও ফেসবুকের মিসাইল ও আইসিটি গ্রুপের সদস্য। মিসাইল গ্রুপের অ্যাডমিনের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে সে পরীক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করত। বিকাশের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করত।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জিয়া পরিবারের রাজনীতি কোন পথে- বিবিসির বিশ্লেষণ

দুর্নীতি মামলায় জেলে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এখন দলের দায়িত্ব নিয়েছেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান। যিনি নিজেও দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও বহু মামলায় অভিযুক্ত।

‘বিএনপি সময় অসময়’ গ্রন্থের লেখক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি জিয়াউর রহমান মারা যাবার পর এবং এরশাদের সময়ও সংকটে পড়েছে। ওয়ান ইলেভেনের সময়ও একটা বড় সংকট তাদের গেছে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি জটিল। তিনি বলেন, দলতো আছে, কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দলের মধ্যে সংহতিটা থাকবে কিনা। কারণ এই দলের অনেক নেতা অতীতে দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন আবার এসেছেন, আবার চলেও যেতে পারেন। সরকার থেকে নানান টোপ তাদের দেওয়া হতে পারে। সুতরাং এই সময়টা বিএনপির জন্য খুবই নাজুক।

কিন্তু বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করছেন, তাদের নেতা জেলে যাওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ। তিনি বলেন,       মামলা বিএনপিকে বেশি ক্ষতি করতে পারবে না। কারাগারেও তাকে বেশিদিন রাখতে পারবে না। দল অটুট আছে, অটুট থাকবে। মামলা একটা একটা বড় হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে আওয়ামী লীগের সরকার। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস আমাদের কর্মীবাহিনী, জনগণ এগুলো উপেক্ষা করে মোকাবিলা করে তারা আমাদের যে রাজনৈতিক লক্ষ্য সে লক্ষ্যে তারা পৌঁছতে পারবে।

রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির চূড়ান্ত রাজনৈতিক লক্ষ্য নির্বাচনে জয়ী হয়ে দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা। প্রায় এগার বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বিএনপি। কারাগারে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরো মামলা আছে রায়ের অপেক্ষায়। তারেক রহমানেরও দেশে ফেরার পরিস্থিতি নেই।

মহিউদ্দিন আহমদ বলছেন, যেহেতু এই দলগুলো এক ব্যক্তি কেন্দ্রিক। বিএনপির মতো দলে সেকেন্ড ম্যান বলে কিছু নাই। যাকে তারা সেকেন্ড ম্যান বলছেন তিনিও তো দৃশ্যমান না। এটা আরেক ধরনের সংকট এবং এই সংকটটা আরো বড় মনে হবে যেহেতু নির্বাচনটা কাছে। সুতরাং নির্বাচনে এবার যদি বিএনপি খুব প্রস্তুতি নিয়ে মোকাবিলা করতে না পারে তাহলে তাদের অস্তিত্ব সংকটে পড়তে হবে।

এবছরই বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। গত নির্বাচন বয়কট করা দল বিএনপি এবার যখন নির্বাচন করতে চাইছে তখন দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া কারাগারে গেলেন।

মহিউদ্দিন আহমদ মনে করেন, যে কোনো কিছু ঘটে যেতে পারে। এইটা সামাল দেবার জন্য যে ব্যক্তিত্ব, ক্যারিশমা এবং নেতৃত্ব দরকার সেটা কিন্তু দলের মধ্যে বেগম জিয়া ছাড়া আর কারো নাই। দলে যদি নেতৃত্ব না থাকে, দলের পাঁচজন নেতা যদি পাঁচ রকমের কথা বলেন, যেটা ইতোমধ্যে আমরা আলামত দেখছি তাহলে তো এই দলটা নির্বাচন করার মতো সামর্থ্য অর্জন করবে না।

বর্তমান পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার এবং তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভবিষ্যত্ অনেকটাই নির্ভর করছে আদালতের রায়ের ওপর। বিরোধী দল ও মতের প্রতি সরকারের কঠোর অবস্থানও স্পষ্ট। এ অবস্থায় বিএনপির ভবিষ্যত্ নেতৃত্ব নিয়ে কী কোনো ভাবনা আছে বিএনপিতে? এ প্রশ্নে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নেতৃত্বের কোনো সংকট বিএনপিতে নেই। নতুন কিছু ভাবার কিছু নেই। আমরা এগুলো নিয়ে এতটুকু চিন্তিত নই শঙ্কিত নই। এটা পার্ট অব পলিটিক্স। যতই ষড়যন্ত্র করা হোক তাদেরকে রাজনীতি থেকে সরানো যাবে না। এটা সম্ভব না।

তবে বাংলাদেশের বাস্তবতা এবং বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি একটি পরিবার কেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল। পরিবার কেন্দ্রিক রাজনীতির সমস্যাটা হচ্ছে এখানে যদি পরিবার থেকে ঐ ধরনের ক্যারিশম্যাটিক লিডার বেরিয়ে না আসেন আরেকজন তখন ঐ রাজনীতিতে আর টেকে না বেশিদিন। অতীতে আমরা দেখেছি মুসলিম লীগের একই পরিণতি হয়েছে। এছাড়া কৃষক শ্রমিক পার্টি ও ন্যাপের একই পরিণতি হয়েছে।

মহিউদ্দিন আহমদের মতে, আমাদের দেশে সামন্ত ধাঁচের মানসিকতা আমরা পরিবারগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি। জিয়া পরিবার থেকে একটা বিকল্প কাউকে বের করতে হবে। কারণ পরিবারের বাইরে নেতৃত্ব তো যাবে না। স্ট্যান্ডিং কমিটির যে অবস্থা কেউ কাউকে মানে না। পরিবার থেকেই কাউকে না কাউকে আসতে হবে। আমরা অনেক গসিপ শুনেছিলাম যে তারেকের স্ত্রী (জোবাইদা রহমান), তাকে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য করা হলো না কেন এটা নিয়ে কয়েকজন কথা বলেছেন। এর বাইরে তো আমি দেখি না আসলে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস

ভালোবাসার নামই প্রেম। ভালোবাসার গভীরতাকে মোহ নামে আখ্যায়িত করেন অনেকে। তবে হাজারো দ্বন্দ্ব সংঘাতের এই পৃথিবী টিকে আছে ভালোবাসার টানে। স্নেহ-প্রীতির বন্ধন, প্রেম আর ভালোবাসার জন্য কি বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন হয়! কিন্তু তারপরও পৃথিবীর মানুষ পালন করে আসছে একটি দিন। আর সেই কাঙ্ক্ষিত দিনটিই আজ— বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে। দিনটি আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবার জন্য হলেও প্রধানত তারুণ্যের জয়জয়কার ঘোষিত হবে আজ। ফাগুন হাওয়ায় ভেসে যাবে ভালোবাসার নৌকা। প্রেমকাতর হৃদয়ের রক্তরাঙা গোলাপটি তুলে দেবে প্রিয়ার হাতে। হিয়ার মাঝে বেজে উঠবে গান, আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল। ভালোবাসা দিবস উদযাপনের ইতিহাস বেশ পুরনো। এ নিয়ে প্রচলিত রয়েছে অনেক কাহিনী। তবে সবচেয়ে বেশি যে গল্পটি প্রচলিত সেটি হচ্ছে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজকের ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের একটি ঘটনা। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে ওই ধর্মযাজক একই সঙ্গে চিকিৎসক ছিলেন। তখন রোমান সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় ক্লডিয়াস। বিশ্বজয়ী রোমানরা একের পর এক রাষ্ট্র জয় করে চলেছে। যুদ্ধের জন্য রাষ্ট্রে বিশাল সৈন্যবাহিনী গড়ে তোলা দরকার। কিন্তু লোকজন বিশেষ করে তরুণরা এতে উৎসাহী নয়। সম্রাটের ধারণা হলো, পুরুষরা বিয়ে করতে না পারলে যুদ্ধে যেতে রাজি হবে। তিনি তরুণদের জন্য বিয়ে নিষিদ্ধ করলেন। কিন্তু প্রেমপিয়াসী তারুণ্যকে কি নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ করা যায়! এগিয়ে এলেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। ভ্যালেন্টাইন প্রেমে আবদ্ধ তরুণ-তরুণীদের বিয়ের ব্যবস্থা করলেন। কিন্তু এক দিন ধরা পড়ে গেলেন ভ্যালেন্টাইন। তাকে জেলে নেওয়া হলো। দেশজুড়ে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিল। অনেকেই ভ্যালেন্টাইনকে জেলখানায় দেখতে যান। ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। কারাগারের জেলারের একজন অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনকে দেখতে যেত। চিকিৎসক ভ্যালেন্টাইন মেয়েটির অন্ধত্ব দূর করলেন। তাদের মধ্যেও সৃষ্টি হলো হৃদয়ের বন্ধন। ধর্মযাজক হয়েও নিয়ম ভেঙে তিনি প্রেম করেন। আইন ভেঙে তিনিও বিয়ে করেন। খবর যায় সম্রাটের কানে। তিনি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড দেন। সে তারিখটি ছিল ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে রোমের রাজা পপ জেলুসিয়াস এই দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। রাজধানীর বিভিন্ন উদ্যান, বাংলা একাডেমির বইমেলা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কফিশপ, ফাস্টফুড শপ, লং ড্রাইভ অথবা নির্জন গৃহকোণে একান্ত নিভৃতে চলবে তরুণ-তরুণীদের অভিসার। চকলেট, পারফিউম, শুভেচ্ছা কার্ড, ই-মেইল, মোবাইলে এসএমএস, প্রেমবার্তা, আংটি, প্রিয় পোশাক, বই অথবা রক্তগোলাপ উপহার হিসেবে আজ দেওয়া-নেওয়া হবে তরুণ-তরুণীদের মাঝে। শুধু তরুণ-তরুণীরাই নয়, এদিনে সন্তানের প্রতি তাদের পিতামাতার ভালোবাসাও উৎসারিত হয় স্বর্গীয়ভাবে। ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে অন্যান্য বছরের মতো এবারও নগরজুড়ে নানা অনুষ্ঠানমালা রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বই মেলা আর টিএসসি চত্বরের সবুজ ঘাসে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিনোদন পিয়াসী নগরবাসীকে দারুণ আকৃষ্ট করে। এ ছাড়া চারুকলার বকুলতলা, শিল্পকলা একাডেমি, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, উত্তরা, বনানীসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেও রয়েছে নানা অনুষ্ঠান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পুলিশ সদস্যের স্কুল পড়ুয়া পুত্র খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠের বকচরা বাইপাস সড়ক এলাকায় পুলিশ পুত্রকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে এই হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সাকিব হোসেন (১৫) সে পুলিশ লাইন্স স্কুলের ১০ ম শ্রেণীর ছাত্র ও পুলিশ কনেস্টবল নজরুল ইসলামের ছেলে। এসময় একই সঙ্গে থাকা রাশেদ নামের অপর এক সঙ্গী আহত হয়। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাশেদ শহরের রসুলপুর গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য আব্দুল আজিজের ছেলে।
পুলিশ ও অন্যান্য সূত্র জানায়, সাকিব হোসেন, রাশেদ ও অমি পুলিশ লাইন্স স্কুলের ১০ ম শেণির ছাত্র। তারা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বকচরা মাহফিলে যায়। সেখানে যেয়ে কামালনগর কলোনির আব্দুল কাদের ও একই এলাকার জনৈক শান্তর সাথে তুচ্ছ ঘটনায় বচসা হয়। বিষয়টি সেখানেই নিস্পত্তির পর সভা শুনে বকচরা দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে বাইপাস সড়কে পৌছানো মাত্রই দুর্বৃত্তরা সাকিব ও তার বন্ধুদের উপর হামলা করে। গাছের ডাল দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। এসময় সাকিব ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে। আহত হয় রাশেদ। একই সময়ে প্রাণ ভয়ে দৌড়ে পালায় অমি। পরে স্থানীয়রা গুরুত্বর জখম সাকিব ও রাশেদকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। একই সাথে থাকা অপর সঙ্গী আহত রাশেদ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ইনটেলিজেন্স) মহিদুল হক রাতে জানান, চিকিৎসাধীন রাশেদ কিছু তথ্য দিয়েছে। তারই ভিত্তিতে শহরের কামাল নগরের আমিরুজ্জামান বাবুর পুত্র অমিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়াসহ বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় নদীতে ডুবে ৫ বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় বেত্রবতী নদীর পানিতে ডুবে মাত্র ৫বছর বয়সী তাহমিদ নামের এক শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান- কলারোয়া সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে কামরুলের বাড়িতে ২ মেয়ে ও ১ শিশু পুত্রকে নিয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন মরহুম মুজিবুর রহমানের স্ত্রী রোজিনা খাতুন রোজি। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির উঠানে খেলা করছিলো শিশুপুত্র তাহমিদ। সেসময় তার মা ঘরের কাজ করছিলেন। ১০/১৫ মিনিট পরেই তিনি দেখেন তার শিশুপুত্র উঠানে নেই। সাথে সাথে বাড়ির আশে-পাশে, সামনের পুরাতন খাদ্য গোডাউন রাস্তাসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় খোঁজখবর করেও যখন শিশুকে পাওয়া গেলো না তখন বাড়ির একেবারেই পাশের বেত্রবতী নদীর মধ্যে পানিতে নেমে খোঁজ করতে থাকেন স্বজনরা। এরই মাঝে প্রায় ঘন্টাখানিক সময় পেরিয়ে গেছে। সেসময় নদীর মধ্যে ডুবে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশুপুত্র তাহমিদের মরদেহ। শিশুটির মৃগি রোগের লক্ষন ছিলো বলে প্রতিবেশিরা জানান।
শিশুর মৃত্যুতে স্বজনদের আর্তনাদে সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। বেলা ১টার দিকে শিশুটির মামার বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধবকাটি এলাকায় তার দাফন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডায়াবেটিস থেকে আজীবন মুক্ত থাকার ৯টি প্রমাণিত উপায়

আমাদের নিত্য ব্যবহার্য শব্দগুলোর মধ্যে এখন ডায়াবেটিস শব্দটি বেশ কমন হয়ে পড়েছে। কেননা ডায়াবেটিস যেন এখন মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে। দেখা যাবে যে আমাদের আশেপাশেরই কারো না কারো ডায়াবেটিস আছে।

এমনকি জরিপে দেখা গেছে, ১৯৮০ সালে বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ছিল যেখানে ১০৮ (১০ কোটি ৮০ লাখ) মিলিয়ন সেখানে তা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২২ (৪২ কোটি ২০ লাখ)। এ থেকেই বুঝা যায় সামনে দিনে পরিস্থিতি আরো কত ভয়াবহ হতে চলেছে।

আমরা ইতিমধ্যেই জানি যে, ডায়াবেটিস হলো একটি বিপাকীয় প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট রোগ। যার কারণে দেহ যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদনে অক্ষম হয়ে পড়ে বা ইনসুলিন প্রত্যাখ্যান করে। ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে।

রক্তে সুগারের মাত্রা খুব বেশি বেড়ে গেলে ক্লান্তি, ঘন ঘন প্রস্রাব, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয়।

ডায়াবেটিসের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয়টি হলো এই রোগ কখনো পুরোপুরি ভালো হয় না। তবে এর লক্ষণগুলো দূর করা যায় এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

তবে এমন কিছু প্রমাণিত উপায় রয়েছে যেগুলো নিয়মিতভাবে মেনে চললে আপনি জীবনে কখনো ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবেন না। যদি না আপনার পরিবারের ডায়াবেটিসের কোনো ইতিহাস না থাকে।

১. স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
দেহের ওজন স্বাস্থ্যকর মাত্রায় নিয়ন্ত্রিত রাখার মধ্য দিয়ে শুধু ডায়াবেটিসই নয় বরং আরো নানা ধরনের রোগ বালাই থেকে মুক্ত থাকা যায়। স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৭০% কমে আসবে।

২. সালাদ খান
প্রতিদিন অন্তত এক বাটি সালাদ খান। যার মধ্যে থাকবে গাজর, শসা, লেটুস, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি। প্রতিদিন দুপুরে বা রাতে খাবার খাওয়ার আগে এই সালাদ খেতে হবে। সালাদে এক চা চামচ ভিনেগারও যুক্ত করতে পারেন। ভিনেগার রক্তকে কমমাত্রায় সুগার শোষণে সহায়তা করে। আর রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমবে।

৩. প্রচুর হাঁটাহাঁটি করুন
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক সেরা ব্যায়ামগুলোর একটি হাঁটাহাঁটি। প্রতিদিন অন্তত ৪০মিনিট হাঁটাহাঁটি করলেই আপনার বিপাকীয় হার এমন পর্যায়ে থাকবে যা আপনার দেহে ইনসুলিনের মাত্রাকেও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রাখতে যথেষ্ট। ফলে ডায়াবেটিসেরও ঝুঁকিও কমে আসবে।

৪. পূর্ণ শস্যজাতীয় খাদ্য খান
ওটমিল, বার্লি, ব্রাউন রাইস, ভুট্টা, বাজরা ইত্যাদি পূর্ণ শস্য জাতীয় খাদ্য দিয়ে সকালের নাস্তা করুন। পূর্ণ শস্য জাতীয় খাদ্যে আছে আঁশ, যা রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে সহায়ক। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে। এছাড়া পূর্ণ শস্যজাতীয় খাদ্য কোষ্ঠকাঠিন্য, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগ থেকেও বাঁচাবে।

৫. কফি পান করুন
বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, প্রতিদিন অন্তত দুই কাপ কফি পান করলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে আসে ২৯%। তবে চিনি ছাড়া কফি পান করতে হবে। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এই কাজ করে।

৬. ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন
আজকাল চাইলেই হাতের কাছে পাওয়া যায় নানা ধরনের ফাস্টফুড। যা দেখে হয়তো লোভ সামলানো অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু ফ্রাইস, পিজ্জা, বার্গার এর মতো ফাস্ট এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে স্থুলতা, উচ্চ কোলেস্টেরল, হজমে সমস্যা এবং হৃদরোগের মতো নানা রোগ দেখা দিতে পারে। এসব খাবার দেহে ইনসুলিনের মাত্রায়ও ক্ষতিকরভাবে হেরফের ঘটিয়ে দিতে পারে। যা থেকে ডায়াবেটিসও হতে পারে।

৭. দারুচিনি খান
দারুচিনি তেল বা পাউডার আকারে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে আসে ৪৮%! গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, দারুচিনির আছে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড এর মাত্রা কমিয়ে আনার প্রাকৃতিক সক্ষমতা। আর এই দুটি উপাদান প্রাকৃতিক ভাবে কমিয়ে আনতে পারলে রক্তে সুগারের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে আসে।

৮. স্ট্রেস বা মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকুন
মাথা ব্যথা থেকে শুরু করে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগও হতে পারে অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে। সুতরাং আপনি যদি এমন কেউ হন যিনি প্রায়ই তীব্র মানসিক চাপে থাকেন তাহলে রিল্যাক্স করার নানা কৌশল এবং যোগ ব্যায়াম করে স্ট্রেস কমান। এতে আপনার দেহে কর্টিসোল হরমোনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবে।

৯. ধুমপান ত্যাগ করুন
স্ট্রেসের মতোই ধুমপানও নানা ধরনের মারাত্মক রোগের আরেকটি কারণ। ফুসফুস ক্যান্সার এর মতো ভয়ঙ্কর রোগের পাশাপাশি ডায়াবেটিসেরও একটি কারণ ধুমপান। সুতরাং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে না চাইলে আজই ধুমপান ছেড়ে দিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আগামীর সুপারস্টার পূজা !

ইন্ডাস্ট্রিতে প্রকট নায়িকা সংকট। কেউ আছেন জনপ্রিয়তায়, শিডিউলে নেই। শিডিউল থাকলেও খামখেয়ালিপনায় ভোগান্তিতে ফেলেন প্রযোজক-নির্মাতাদের। তবে বেশিরভাগই কাগজের নায়িকা, কাজে দুর্বল। না টানতে পারছেন দর্শক, না পারছেন ইন্ডাস্ট্রির ভরসা হয়ে উঠতে।

সেই সংকটে সবার দৃষ্টি এখন নতুন নায়িকার সন্ধানে। আপাতত উঠে আসছে পূজা চেরির নাম। শিশুশিল্পী থেকে পূজার নায়িকা হিসেবে অভিষেক ঘটছে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি। এদিন মুক্তি পাবে যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘নূরজাহান’। এখানে কলকাতার নতুন মুখ আদৃতের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। সাবলীল অভিনয় দিয়ে অনেক আগে থেকেই নিজের জন্য আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। অপেক্ষা ছিলো নায়িকা হিসেবে কেমন হবেন সেটা দেখার। এরইমধ্যে ‘নূরজাহান’ ছবির গানে তাকে বেশ প্রাণবন্ত দেখা গেছে। এটি দেখে ‘পোড়ামন ২’ ছবিতেও পূজাকে নিয়ে অনেক সম্ভাবনা দেখছে ইন্ডাস্ট্রি।

সেই সম্ভাবনাকেই নতুন করে শিরোনামে তুলে আনলেন কলকাতার সফল নির্মাতা রাজ চক্রবর্তী। গতকাল সোমবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রোমান্টিক প্রেমের গল্পে নির্মিত ‘নূরজাহান’ ছবির মুক্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন। সেখানে ছবিটির টিম সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রাজও। তিনি ‘নূরজাহান’র কলকাতার প্রযোজক।

অনুষ্ঠানে তিনি পূজার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। তার অভিনয় নিয়ে নানারকম দিকনির্দেশনাও দিয়ে গেলেন। তিনি পূজাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ঢাকার মেয়ে পূজা অনেক সুইট। ওর মধ্যে ভালো অভিনয় করার ক্ষমতা রয়েছে, সেটা বের করে আনতে হবে। যদিও পূজা একটু দুষ্টু হয়ে যাচ্ছে। তারপরেও ওকে ঠিক মত নির্দেশনা দিতে হবে। তাহলেই পূজা আগামীর সুপারস্টার হয়ে ওঠবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজিজ ভাই যখন আমার কাছে পূজাকে পাঠালেন তখন আমি তার লুক টেস্ট নেই। এরপর আজিজ ভাইকে শুধু একটাই কথা বলি, পূজাকে আমার কাছে দিয়ে দেন। ওর মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে। আমি নতুনদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আমার সিনেমার প্রোফাইল দেখলে আপনারা সেটা বুঝতে পারবেন। বোঝে না সে বোঝে না, চিরদিনই তুমি যে আমার, লে ছক্কা এসব ছবি যখন বানিয়েছিলাম দেব, সোহম নতুন ছিল। আমি সফল হয়েছি। পূজাকে নিয়েও যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছি সেটা সফল হবে বলে আমি বিশ্বাসী। আপনারা আপনাদের পূজাকে সাপোর্ট করুন। ও নায়িকা হিসেবে ইন্ডাস্ট্রির ভরসা হবে।’

এছাড়া নতুন নায়ক হিসেবে আদৃতকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরাও আদৃত-পূজা জুটিকে অভিনন্দিত করেন। তাদের ছবিটি নতুন বছরের সফল সিনেমা হবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

ভারত বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘নূর জাহান’। ১৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় ৭০ এবং বাংলাদেশে ৩০টির মত সিনেমা হলে ‘নূর জাহান’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এই ছবি পরিচালনা করেছেন যৌথভাবে আব্দুল আজিজ ও অভিমন্যু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের এক মতবিনিময় সভা সংগঠনের আহবায়ক এডঃ ফাহিমুল হক কিসলুর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, মোঃ আনিসুর রহিম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, এটিএন বাংলার সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সদস্য স্বপন কুমার শীল, জেলা জাসদের (আম্বিয়া) সাধারণ সম্পাদক ইদ্রীস আলী, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক হাসান হাদী, জেলা জাসদের শিল্প ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, এনজিও কর্মী অপারেশ পাল, রওনক বাশার, ইকবাল লোদী প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest