গাছের শাখায় জেগে উঠেছে নতুন পাতার সবুজ কুঁড়ি। শিমুল, পলাশ বনে বয় রঙিন ফুলের সৌরভ। ফাগুন হাওয়ায় দোল দিয়ে এসে গেছে বসন্ত। সভ্যতার চাকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেঁচে থাকা ঋতুরাজকে বরণ করে নিতে কুহু স্বরে ডেকে উঠছে কোকিল। বসন্তকে বরণ করে নিতে তারুণ্য সেজেছে বাসন্তী সাজে। আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে/ তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে, করো না বিড়ম্বিত তারে/ আজি খুলিয়ো হৃদয় দল খুলিয়ো/ আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো’। কবিতায় এভাবেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসন্তকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। কৃষ্ণচূড়ার রঙে আজ সাজবে তরুণ-তরুণীরা। লাল-হলুদের বসনে নিজেদের রাঙানোর পাশাপাশি হলুদ গাঁদার ফুলে ভিন্ন এক সাজে তরুণীরা সাজাবে নিজেদের। ঘুরে বেড়াবে প্রিয়জনের হাত ধরে। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথের ১৪০০ সাল কবিতার প্রতি উত্তরে নজরুল ১৪০০ সাল নামেই একটি কবিতায় লিখেছিলেন— ‘আজি নব বসন্তের প্রভাত বেলায়, গান হয়ে মাতিয়াছ আমাদের যৌবন মেলায়’। বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে। এ ছাড়া তরুণ-তরুণীরা বাংলা একাডেমি আয়োজিত একুশের বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শাহবাগ, চারুকলা চত্বর, পাবলিক লাইব্রেরি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ধানমন্ডি লেক, বলধা গার্ডেন মাতিয়ে রাখবে সারা দিন। বসন্তকে বরণ করে নিতে নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তিসহ নানা বর্ণাঢ্য আয়োজন করেছে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ। দীপন সরকারের গিটারে বসন্ত বাহার যন্ত্রসংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সকাল ৭টায় চারুকলার বকুলতলায় শুরু হবে এই উৎসব। উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে রাখা হয়েছে বসন্ত কথনপর্ব, আবির বিনিময়, রাখীবন্ধন, ধ্রুপদী, দলীয় নৃত্য এবং দলীয় সংগীত। বরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে একক আবৃত্তি ও একক সংগীত পরিবেশন করা হবে। এ পর্ব শেষ হবে সকাল ১০টায়। এরপর বিকাল সাড়ে ৩টায় একযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলা, লক্ষ্মীবাজারের বাহাদুর শাহ পার্ক, ধানমন্ডি ৮ নম্বর রোড সংলগ্ন রবীন্দ্র সরোবর উন্মুক্ত মঞ্চ (লেকের পাশে) এবং উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টর রবীন্দ্র সরণির উন্মুক্ত মঞ্চে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে বর্ণাঢ্য এ আয়োজন।

শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলের সার্বিক তত্বাবধানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য সচিব ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক ও প্রকাশক হাফিজুর রহমান মাসুম, আশাশুনি থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আক্তারুজ্জামান, সাতক্ষীরা-৩ আসনের এমপি প্রতিনিধি শম্ভুজিৎ মন্ডল, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর আলম লিটন, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার সরকার, সাতক্ষীলা প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জী, সাংসদের এ্যামব্যাসেডর সাংবাদিক তোষিকে কাইফু প্রমুখ। এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এ পেশাকে বলা হয় জাতির বিবেক, সমাজের দর্পণ। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মানুষ আগে চায় একটু পত্রিকা পড়তে। পড়ে জানতে চায় দেশ বা নিজ এলাকার খবরগুলো। প্রধান অতিথি সাংবাদিকদের কাছে বিশেষভাবে আহব্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা আশাশুনির উন্নয়নের কথা লেখেন। কোথায় কোথায় সরকারের উন্নয়ন পৌছায়নি, সেখানকার কথা তুলে ধরেন পত্রিকায়। বর্তমান সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। এ সরকার প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন করেছে। সরকার বছরের শুরুতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিচ্ছে। ছাত্র ছাত্রীদের উপবৃত্তি দিচ্ছেন ও শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের এ উন্নয়নের ধারাকে ধরে রাখতে হলে এ সরকারের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন প্রধান অতিথি।
আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সিনিয়র সহ-সভাপতি আইয়ুব হোসেন রানা ও যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ আবু ছালেকের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা বিল্টু, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সহ-সভাপতি সুব্রত দাশ, শেখ বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকাশ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম নূর আলম, অর্থ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ময়না, ক্রীড়া সম্পাদক আলমিন হোসেন ছট্টু, প্রচার সম্পাদক বাপন মিত্র, নির্বাহী সদস্য শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, বাহবুল হাসনাইন, উত্তম দাশ, শ্রীউলা প্রেসক্লাব, চাম্পাফুল প্রেসক্লাব সহ সাংবাদিক জি এম আজিজুর রহমান রাজ, এস এম শাহিন আলম, আবু হাসান, বিএম আলাউদ্দীন বিশ্বাস, ইমরান হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি আমন্ত্রিত সকল অতিথিবৃন্দের সাথে নিয়ে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের বার্ষিক ক্যালেন্ডারের মোড়ক উন্মোচন করেন।
