সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

রূপা ধর্ষণ-হত্যার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণের পর হত্যার মামলায় পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া গতকাল সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। জরিমানার অর্থ থেকে বাদীর মামলা পরিচালনার প্রকৃত ব্যয় বাদে বাকি টাকা রূপার পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধ সংঘটনের কাজে ব্যবহৃত ‘ছোঁয়া পরিবহন’-এর বাসটির মালিকানা পরিবর্তন করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রূপার পরিবারকে দিতে নির্দেশ দেন আদালত।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত রূপার পরিবারের সদস্য ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান তাঁরা। অন্যদিকে প্রত্যাশিত রায় না পাওয়ায় উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী।
এই মামলায় অভিযোগ গঠন থেকে রায় পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১৪ কার্যদিবস। মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে ১৭১ দিনের মধ্যে সেটি নিষ্পত্তি হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। তিনি বলেছেন, এভাবে মামলা নিষ্পত্তি হলে আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। এতে করে কেউ আর এমন ঘৃণ্য অপরাধ করার সাহস পাবে না। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সহায়ক হবে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজের ছাত্রী রূপা (২৭) একটি প্রতিষ্ঠানে বিপণন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ নভেম্বর এই মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর গত ৩ জানুয়ারি মামলার বাদী মধুপুরের অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্য নেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। পরে আট কার্যদিবসে বিচার বিভাগীয় হাকিম, চিকিৎসক, তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চার কর্মদিবসে আসামিদের পরীক্ষা এবং উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো ছোঁয়া পরিবহনের বাসের হেলপার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার নন্দিবাড়ী গ্রামের শামীম মিয়া, মির্জাপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আকরাম হোসেন (হেলপার), একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (হেলপার) এবং বাসের চালক হাবিব মিয়া। বাসের সুপারভাইজার ময়মনসিংহের মির্জাপুর গ্রামের সফর আলী ওরফে গেন্দুকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট নাছিমুল আক্তার জানান, গতকাল সকাল ১১টার দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। পাঁচ আসামি ওই সময় আদালতে উপস্থিত ছিল। এজলাসে বসার পর বিচারক আবুল মনসুর মিয়া ৭৩ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়ে শোনান। চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা শেষ হয় সকাল ১১টা ২০ মিনিটে। রায়ে বাসের চালকসহ চার শ্রমিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয়। সুপারভাইজারকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত ছোঁয়া পরিবহনের বাসটি ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিহত রূপার পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দেন আদালত। ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করে ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়ার জন্য টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ছোঁয়া পরিবহনের বাসটির মালিকানা নিহত রূপার পরিবার বরাবর পরিবর্তন করে একই ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করতে মধুপুর থানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাছিমুল আক্তার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালতের কাছে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেছিলাম। আমরা সে রায় পেয়েছি। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বাদীপক্ষ ন্যায়বিচার পেয়েছে। এখন এই রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।’
নিহত রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। তবে রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি এখন আমাদের।’
রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে দাবি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম চৌধুরী দয়াল। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলাটি প্রমাণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তার পরও এমন রায়ে আমরা বিস্মিত। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। সেখানে অবশ্যই ন্যায়বিচার পাব এবং আসামিরা বেকসুর খালাস পাবে বলে আশা রাখি।’
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস আকবর খান, সিনিয়র আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট এম এ করিম মিঞা এবং মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামিপক্ষের আইনজীবীকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকার বনাঞ্চলের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে মধুপুর থানার পুলিশ। পরে পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে রূপার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে নিহত নারী তাঁর বোন রূপা বলে শনাক্ত করেন। হাফিজুরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে ৩১ আগস্ট রূপার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁর লাশ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তাঁর বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কে চলাচলকারী ছোঁয়া পরিবহনের বাসের চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলী, হেলপার শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে ২৮ আগস্ট গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট আসামিরা টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দিতে জানায়, ঘটনার দিন রূপা ছাড়াও পাঁচজন যাত্রী ছিল বাসে। তারা সিরাজগঞ্জ মোড় থেকে কালিহাতী পর্যন্ত রাস্তায় নেমে যায়। এরপর বাসটি কালিহাতী পার হলে চালকের সহকারী শামীম রূপাকে জোর করে পেছনের আসনে নিয়ে যায়। ওই সময় রূপা তার কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোনসেট শামীমকে দিয়ে তাঁকে নির্যাতন না করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু শামীম কোনো কথাই শোনেনি। পরে শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর তাঁকে ধর্ষণ করে। রূপা কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করলে তারা মুখ চেপে ধরে। একপর্যায়ে তাঁকে হত্যা করে। পরে মধুপুর উপজেলা সদর অতিক্রম করে বন এলাকায় রাস্তার পাশে লাশ ফেলে তারা চলে যায়।
গত ১৫ অক্টোবর এই পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলার চার্জশিট দেয় পুলিশ। মামলাটি বিচারের জন্য পরদিন ১৬ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়। গত ২৫ অক্টোবর আদালত এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। মোট ২৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিএনপিকে ব্যস্ত রেখেই ভোটে যাবে আওয়ামী লীগ

অনলাইন ডেস্ক: বিএনপিকে ব্যস্ত রেখেই আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলের নেতারা সেভাবেই কাজ শুরু করেছেন। বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা এখন দল গোছানোয় মনোযোগী হয়েছেন। জেলায় জেলায় চলছে সাংগঠনিক সফর। একই সঙ্গে বিরোধ কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলীয় প্রার্থী তালিকা তৈরির প্রক্রিয়ায়ও কাজ করছে সরকারের একাধিক সংস্থা। বিতর্কিতদের বাদ দেওয়া হবে ভোট থেকে। প্রাধান্য দেওয়া হবে নবীনদের। জানা গেছে, বিএনপিকে মামলায় ব্যস্ত রাখতে চায় সরকারি দল। সিনিয়র নেতাদের অনেকেই মনে করেন, মামলায় ব্যস্ত থাকলে তারা আর ভোটে না-ও আসতে পারেন। এলেও সুবিধা করতে পারবেন না। এ সুযোগই কাজে লাগাতে চায় সরকার। এর মধ্যে ভোটের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ শুরু করেছে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেলগুলো। চলছে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজও। আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোট শেষ করতে চায় আওয়ামী লীগ। সেভাবেই এগিয়ে চলছে সব প্রস্তুতি। দলের একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মামলা মোকাবিলায় ব্যস্ত রয়েছেন। এতে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে জাতীয় সংসদের সাবেক এই বিরোধী দল। আর একেই রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছেন ক্ষমতাসীনরা। অন্যদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা হওয়ার পর দলটির ভিত্তি নড়ে গেছে। খালেদা জিয়ার মাথার ওপর ঝুলছে জিয়া চ্যারিটেবলসহ ৩৫ মামলা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ও শিগগিরই হবে বলে মনে করছেন তারা। ফলে মামলা নিয়ে এমনিতেই চাপের মুখে রয়েছে বিএনপি। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দলের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যস্ত সময় পার করতে হবে দলটিকে। কিন্তু বিএনপির জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এতে দলীয় নিবন্ধন টিকিয়ে রাখার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও মাঠ গোছানোর মতো সময় তাদের হাতে থাকবে না।

অবশ্য দলগতভাবে আওয়ামী লীগ বা সরকার নয়, বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য সেই দলটিই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ। বিএনপির অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নেয়নি। বিএনপি নেত্রীকে নির্বাচনে আনার জন্য সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাও অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তিনি আসেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছি। এ নিয়ে অনেক কথাও হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও সংবিধান মেনে নির্বাচন করেছে। এখন আবার সামনে নির্বাচন। আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। নির্বাচনে বিএনপি আসবে এটা আমাদের বিশ্বাস।’ তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী জেলে। এখানে আওয়ামী লীগ বা সরকার দায়ী নয়। এ ছাড়া আইনের অনেক ধাপ এখনো সামনে রয়েছে। তারা আইনি পথেই এগোবেন। এখনো নির্বাচনের প্রচুর সময় বাকি। তাই কে নির্বাচনে আসবে কে আসবে না, এ ব্যাপারে আগাম মন্তব্য করা ঠিক নয়। আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক এ ব্যাপারে বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ীই আগামী নির্বাচন হবে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রীর অধীনে সেই নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে। আর আওয়ামী লীগ বা সরকার কোনো রাজনৈতিক কৌশলে বিএনপিকে ব্যস্ত রাখেনি। বিএনপি তাদের অপকর্মের ফল ভোগ করছে।’
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুন্সীগঞ্জে ক্ষুদ্র কৃষক ও বর্গাচাষীদের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের কৃষিঋণ বিতরণ

আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুন্সীগঞ্জ (শ্যামনগর) প্রতিনিধিঃ অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, সুন্দরবন শাখা, সাতক্ষীরা’র উদ্যোগে “প্রকৃত ক্ষুদ্র কৃষক ও বর্গাচাষীদের মধ্যে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কৃষিঋণ বিতরণ অনুষ্ঠান-২০১৮” অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০ টায় শাখা ব্যবস্থাপক মো: হাফিজ আল আসাদ এর সভাপতিত্ত্বে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ৭ নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: আকবর হোসেন পাড়।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বনশ্রী শিক্ষানিকেতনের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল করিম, হরিনগর হাটখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রব, ইউপি সদস্য জনাব মোস্তফা শেখ, মো: আনারুল ইসলাম। এছাড়াও উক্ত অনুষ্টানে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ কৃষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিভিন্ন বক্তা তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, সুন্দরবন শাখা, সাতক্ষীরা কর্তৃক বিতরণকৃত কৃষি ঋণের বিষয়ে শাখা কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার ভূয়ষী প্রশংসা করেন। কৃষকবৃন্দ উল্লেখ করেন যে কৃষি ঋণ পেতে তাদের কোন প্রকার হয়রানির সম্মুক্ষীন হতে হয়নি । সভ্যবৃন্দ কৃষকদের কৃষিঋণ গ্রহনসহ তা নিয়মিত ভাবে পরিচালনা করার উপর গুরুত্তারোপ করেন। শাখা ব্যবস্থাপক মহোদয় কৃষকদের যে কোন প্রয়োজনে তার সাথে সরাসরি যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তাছাড়া এ এলাকায় কৃষিঋণের আদায় সন্তোষজনক হওয়ায় তিনি কৃষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শাখার কর্মকর্তা জনাব শিবাশীষ সরদার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি সভাপতি মহোদয়ের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এসি রুমে, ফ্যানগুলো অচল থাকে ৫০ টাকার অভাবে! প্লাস্টার খসে দুর্ঘটনার আশংকা

মীর জাকির হোসেন, তালা: তালা উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষ ও পার্শ্ববর্তী পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া উপজেলা সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা গ্রহনের অন্যতম মাধ্যম তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। রিপোর্টার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র নানান সম্ভাবনা, সমস্যা ও দূর্নীতি বিষয়ে সার্বিক অবস্থা সরজমিনে দেখার পর ইতোমধ্যে গনমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ৩ পর্বের রিপোর্টের আজ দ্বিতীয় পর্ব।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারী সংকট রয়েছে অকল্পনীয়! একইসাথে এখানকার অ্যাম্বুলেন্স, এক্সরে, ইসিজি ও আল্ট্রাসনো ম্যাশিন অচল রয়েছে দীর্ঘদিন। তার সাথে অত্যাধুনিক অপারেশন রুম থাকলেও অ্যানেস্থিসিয়া ও সার্জন না থাকায় রোগীদের অপারেশন করানো যাচ্ছেনা।
সরজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা রোগীদের ওয়ার্ডের ফ্যানগুলো মাসের পর মাস অচল থাকায় রোগীদের চরম ভোগান্তীতে থাকতে হয়। অধিকাংশ ফ্যানগুলো সামান্য ২০ বা ৫০ টাকা ব্যয় করলেই সচল হবে। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিলাস বহুল এসি রুমে বসে অফিস করায় রোগীদের দুরাবস্থা দেখার সুযোগ তিনি পাননা! পরিচ্ছন্ন কর্মী সংকটের কারনে হাসপাতালের পুরুষ, মহিলা ও কেবিনের বাথরুমগুলো ব্যবহারে সম্পূর্ন অনুপযোগী হয়ে রয়েছে দীর্ঘ বছর ধরে। কোন সুস্থ্য বা অসুস্থ্য মানুষ বাথরুমে গেলে সেখানকার নোংরা ও দূর্গন্ধযুক্ত পরিবেশের কারনে তাকে অধিকতর অসুস্থ্য হতে হয়। হাসপাতালে রোগীদের জন্য সরবারহ করা খাদ্য’র মান ও পরিমান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সবসময়। হাসপাতালের ভিতরে বিড়াল আর বাহিরে রয়েছে কুকুরের অবাদ বিচরন। পুরাতন ভবনের ভিতরে, বাহিরে, ওয়ার্ডে দেওয়ালের ও ছাদের প্লাষ্টার খসে পড়ছে। নতুন ভবনের একাধিক স্থানেও একই অবস্থা হওয়ায় যে কোনও সময় দূর্ঘটনার আশংকা বিদ্যমান রয়েছে। রোগীদের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ন এক্সরে মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে পড়ায় ভোগান্তীর শেষ নেই আগত সেবা গ্রহিতাদের। মেশিনটি ঠিক করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার আবেদন করলেও, সমস্যা সমাধানে আজ পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র “স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন” নামের একটি কমিটি থাকলেও তার মিটিং হয়না বছরের পর বছর। ফলে সমস্যাগুলো চিহ্নিত হচ্ছেনা এবং কার্যকরি সমাধান হচ্ছেনা। ফলে তালাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাজিব সরদার হাসপাতালের নানান সমস্যার কথা স্বীকার করে জানান, রোগী ওয়ার্ডে যে সকল ফ্যান অচল রয়েছে তা’ গরম পড়ার আগেই ঠিক করা হবে। তাছাড়া, পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্ন কর্মীর অভাবে হাসপাতালের বাথরুম ও ওয়ার্ডের পরিবেশ উন্নত করা যাচ্ছেনা। তিনি বলেন, হাসপাতালের জন্য ৫টি পরিচ্ছন্ন কর্মীর পদ থাকলেও মাত্র ১টি পদে কর্মী আছে। ৪টি পদ শূণ্য থাকায় বিল্লাল ও পারভীন নামের দুজনকে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ দিয়ে কোনও ভাবে কাজ করানো হচ্ছে। আরও এই দুটি পদের কর্মীদের বেতনের টাকা প্রতি মাসে হাসপাতালের কয়েকজন ডাক্তার ও কর্মচারী এবং এখানকার একটি এনজিও এর কাছ থেকে নিয়ে পরিশোধ করা হয়।
ডাক্তার রাজিব সরদার জানান, হাসপাতালে আগত মায়েদের প্রসব পরবর্তী ও পূর্ববর্তী আধুনিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় এখান থেকে প্রতি সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মায়েরা চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। কিন্তু অন্য রোগীদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। প্রাপ্তি কম হওয়ায় হাসপাতালে আগত রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী ওষুদ সরবারহ করা যাচ্ছেনা। তাছাড়া ৫টির মধ্যে ১টি অক্সিজেন ফ্লোমিটার ভাল থাকায় মূমূর্ষ রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছেনা। তাছাড়া এখানে কর্মরত ডেন্টিস্ট সুমাইয়া বিনতে মুছা ও অর্থোপেডিক্স ডাক্তার জাহিদ ফেরদৌস ডেপুটেশনে যথাক্রমে সাতক্ষীরা সদর ও ঢাকার কুর্মীটোলা হাসপাতালে রয়েছে। যেকারনে সংশ্লিষ্ট রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে। হাসপাতালের এক্সরে ও অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করাসহ সকল সংকট সমাধানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। অবিলম্বে সকল সমস্যা সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হায় হায় কোম্পানির ৪ প্রতারক আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রতারনার ফাঁদ পেতে সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে জামানত নিয়ে চাকুরী ও গৃহ নির্মান ঋণ, হস্ত শিল্প, স্বাস্থ্য সেবা, পন্য ঋণ ও ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একটি হায় হায় কোম্পানী ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় জনতার সহায়তায় গত শনিবার পুলিশ সংঘবদ্ধ চক্রের ৪ প্রতারককে আটক করেছে।
জানা যায়, গত দুই মাস আগে জেলার পারুলিয়া, থানাঘাটা, গাভা, ব্রহ্মরাজপুর বাজার সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে দি ডার্ক বিজনেস কো-অপারেটিভ লিঃ (গভঃ রেজিঃ নং-২৯৬/১৬) সাইনবোর্ড তুলে অফিসের কার্যক্রম শুরু করে। এরপর বিভিন্ন পদে উচ্চ বেতনে চাকুরীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে দেয়ালে দেয়ালে সেঁটে দেয়া হয়। এতে করে উচ্চ শিক্ষিত নারী-পুরুষ বেকারত্ব ঘুচাতে লোভনীয় বেতনে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে প্রতিষ্ঠানে চাকুরী নেয়। নিয়োগকৃত ব্যক্তিরা এলাকায় কোম্পানীর নির্ধারিত ভর্তি ফরমে গৃহ নির্মান, হস্ত শিল্প, স্বাস্থ্য সেবা, পন্য ও ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে শুরু করে সঞ্চয় আদায়। বিশেষ করে যাদের এলাকায় গ্রহনযোগ্যতা বা পরিচিতি বেশি এমন ধরনের লোকজনকে টার্গেট করে প্রতিষ্ঠানে বড় বড় পদে নিয়োগ দেয়া হতো। যাতে করে অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ্বাসটা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে এভাবেই ধোকা দিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করতে থাকে। গত ২৮ দিনে ফিংড়ী ইউনিয়নের গাভা গ্রামের বিকাশ ওরফে প্যাচুর অফিস ভাড়া নিয়ে প্রতারকদের নিয়োগকৃত ২৭ জন কর্মী কয়েকটি অঞ্চল থেকে গৃহ নির্মান, হস্ত শিল্প, স্বাস্থ্য সেবা, পন্য ও ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা সঞ্চয় জমা হিসাবে হাতিয়ে নেয়। গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) ব্রহ্মরাজপুর বাজারের পিন্টু ঘোষের দ্বিতীয় তলায় সদ্য ভাড়া নেয়া দি ডার্ক বিজনেস কো-অপারেটিভ লিঃ এর অফিসে ওই এলাকার কয়েকজন যুবক চাকুরীর জন্য যায়। এ সময় অফিসের লোকজনের কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে তারা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ভূয়া বলে প্রমানিত হয়। এছাড়া অফিসের লোকজন সবকিছু প্রতারনা বলে স্বীকার করে। এই হায় হায় কোম্পানীর খবর ছড়িয়ে পড়লে গাভা অফিসের লোকজন ও গ্রাহকরা এসে ৪ প্রতারককে ধরে ফেলে। এরা হলেন বগুড়া জেলার গাবতলী থানার সোনারায় গ্রামের মোঃ মোশাররফ হোসেনের পুত্র মীর জুমলা সুজন ওরফে মোঃ সোহাগ চৌধূরী (৩২), খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার পুরাইকাটি (গজারিয়া) গ্রামের মোঃ আনারুল ইসলামের পুত্র মোঃ হাফিজুর রহমান ওরফে মাসুম (৩০), সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার নলকাছারী বাড়ী গ্রামের মৃত গফুর আলীর পুত্র মোঃ মহরম আলী (৩৫) ও গাইবান্ধা জেলা সদরের বলাবানুনিয়া গ্রামের মতলেবুর রহমানের কন্যা শারমিন সুলতানা (৩০)। আটককৃতদের রাতেই স্থানীয় জনতা ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস,আই অচিন্ত্য কুমার অধিকারীর মাধ্যমে সদর থানায় সোপর্দ করে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১১ ফেব্রয়ারী) সকালে সাতক্ষীরা থানায় প্রতারণার শিকার শ’খানেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহক হাজির হয়। এ সময় সাতক্ষীরা থানার ওসি (তদন্ত) শেখ শরিফুল আলম পুরো ঘটনা সম্পর্কে অবগত হন।
এ ঘটনায় ব্যাংদহা গাভা অফিসের টিম লিডার সাতক্ষীরা সদরের বাটকেখালী গ্রামের মোঃ আবুজার রহমানের পুত্র মোঃ ইমরান হোসেন (২৫) বাদী হয়ে আটককৃত ৪জন ও ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা আসামী বানিয়ে সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং-২৩, তাং-১১/০২/১৮ ইং।
আটককৃত মীর জুমলা সুজন জানায়, মাসুমের সাথে পরিচয়ের সুবাদে সেই তাদেরকে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসে। মাসুমের চাচাতো দুলাভাই সাতক্ষীরা মাগুরা গ্রামের জনৈক ইসমাইল হোসেন এই চক্রের মূলহোতা। প্রতিদিনের আদায়কৃত প্রায় সব টাকা সেই আমাদের কাছ থেকে গ্রহন করতো। সে নিজেকে পুলিশে চাকুরী করে বলে পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। তাকে ধরলে সব টাকা উদ্ধার সম্ভব।
আটক শারমিন সুলতানা জানায়, গত ৬ মাস পূর্বে আগের সংসার ত্যাগ করে সম্পর্কের মাধ্যমে মীর জুমলা সুজনের সাথে সংসার শুরু করি। মাসুম ও তার দুলাভাই ইসমাইল হোসেনের প্রলোভনে পড়ে এই চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ি। তারা ঘটনার সব নায়ক। সব টাকাই তাদের কাছে আছে।
আটককৃত মাসুম এসব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। ইসমাইলের শ্বশুরের নাম মোঃ রফিকুল ইসলাম। সে সাতক্ষীরা মাগুরা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের পুত্র।
অপর একটি সূত্র জানায়, ইসমাইলের শ্বশুর রফিকুল ইসলাম ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধের শর্তে ভূক্তভোগীদের কাছে তার নিজ নামীয় ব্যাংক হিসাবের একটি চেক প্রদান করেছে।
কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই অচিন্ত্য কুমার অধিকারী মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মামলার এজাহার কয়েকবার পরিবর্তন করিয়ে জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে ফিংড়ী এলাকার কয়েকজন নিরীহ ও নিরাপরাধ মানুষকে জড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ফিংড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান শামসুর রহমান এবং ফিংড়ী ইউনিয়নে কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিকের বাধাঁর মুখে শেষ পর্যন্ত সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতারণার শিকার অফিস ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা শাহরিয়ার কবির পিন্টু, কালিপদ, ইমরান, সেলিম সহ কয়েকজন জানান, তারা এমনভাবে কার্যক্রম শুরু করে এটা যে এতবড় প্রতারণা তা আমরা কিছুতেই বুঝতে পারিনি। আটক শারমিন সুলতানা একজন স্মাট সুন্দরী হওয়ায় তারা তাকে ঢাকা অফিসের অডিট কর্মকর্তা সাজিয়ে এসি প্রাইভেট গাড়ীতে করে অফিস ভিজিট করাতো। এমন ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদ থেকে অল্পতে বেঁচে গেছেন বলেও তারা মন্তব্য করেন।
অনেক অসহায় ও গরীব ঘরের শিক্ষিত বেকার ছেলে-মেয়ে চাকুরী নিয়ে এখন মস্তবড় বিপদে পড়েছেন বলেও জানান। গ্রাহকদের চাপের মুখে অনেক কর্মী এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এছাড়া অনেকে আবার লোকলজ্জার ভয়ে এলাকায় যেতে পারছেন না। ভূক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা তাদের টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে আটকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার তাঁর কার্যালয়ে প্রতারণার শিকার ও ক্ষতিগ্রস্থ ১৬ জন কর্মীর মাঝে বিতরণ করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিংড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান শামসুর রহমান।
সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহম্মদ জানান, মামলার তদন্তে অপরাধীরা চিহ্নিত হবে। এ সমস্ত প্রতারকরা মানুষকে ঠকিয়ে সর্বশান্ত করছে। তিনি আর্থিক কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরী নেওয়ার আগে চাকুরী প্রার্থীদেরকে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালভাবে খোঁজ-খবর নেওয়ার কথা বলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে ‘সেফটি’ প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
গাজী আল ইমরান, শ্যামনগর ব্যুরোঃ শ্যামনগরে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল ও টি.এম.এস.এস এর বাস্তবায়নে
সেফ এ্যাকুয়া ফার্মিং ফর ইকোনমিক এ্যান্ড ট্রেড ইমপ্রুভমেন্ট (সেফটি) প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প অবহিতকরন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন হলরূমে উক্ত অবহিতকরন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মরতা ফারূক হুসাইন সাগর, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মরতা মোঃ সেলিম খান, আটুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু, কাশিমাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ,  উপস্থিত ছিলেন সেফটির সাতক্ষীরা জেলা জোনাল প্রধান জিয়াউর রহমান, সেপটি প্রকল্পের পি.এম খন্দকার শহিদুল আলম, এ.ই.ও মোঃ মোস্তফা জামাল, এ.ডি মোঃ আমিনুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলার এ.এফ.এফ এম.বেলাল হোসেন, মোঃ মাসুদ পারভেজ, সূর্য্যকান্ত  বিশ্বাস, আবু কায়েম সোহান প্রমূখ, এ সময় চিংড়ি চাষী কৃষক, সুধীজন, সাংবাদিকবৃন্দ সহ গন্যমান্য ব্যাক্তবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অনুষ্ঠান পরিচালক সেফটি প্রকল্পের পি.এম. খন্দকার শহিদুল আলম কম্পিউটর প্রজেক্টরের মাধ্যমে চিংড়ি চাষের আদ্যপান্ত নানা বিষয়ের উপর ভিভিও চিত্র প্রদর্শন করেন। তিনি এসময় দক্ষিণাঞ্চলের বিক্ষ্যত চিংড়ির চাষের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে আধানিবিড় পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে কিভাবে উৎপাদন বহুলাংশে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন সেফটি প্রকল্প আধানিবিড় পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে চিংড়ীর উৎপাদন বাড়াতে সেইসাথে মানসম্মত চিংড়ি উৎপাদন ও ন্যায্যমূল্যে তা বিক্রির জন্য চাষীদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাবে। তাছাড়া টি এম এস এস একজন চিংড়ি চাষীর তার জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ৩০ শতাংশ লোন প্রাপ্তির সুবিধা দেবে যা ৩-৪ মাস পর কৃষক এককালীন পরিশোধ করতে পারবে। এরপর অতিথিবৃন্দ গূরূপ্তপূর্ন বক্তৃতা রাখেন। অতিথিবৃন্দের বক্তব্য শেষে চিংড়ি চাষীদের বিভিন্ন প্রশ্ন, সমস্যা ও পরামর্শ শোনা হয়।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আইনশৃংখলা সমুন্নত রাখতে কলারোয়ায় পুলিশের বিশেষ মহড়া

নিজস্ব প্রতিনিধি: সার্বিক আইন-শৃংখলা সমুন্নত রাখতে কলারোয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ মহড়া দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও গাড়িবহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ওই মহড়ায় অংশ নেন।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তারের নেতৃত্বে ওই মহড়া বের হয়।
উপজেলার সব এলাকার আইন-শৃংখলা রক্ষা করা ও সমুন্নত রাখা, কোন প্রকার নাশকতার অঘটনা যাতে না ঘটে, সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধীরা যাতে কোনভাবেই মাথাচাড়া দিতে না পারে, স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নকারীদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারী জানাতে এ বিশেষ পুলিশি মহড়া প্রদর্শন করা হয় বলে জানান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেব নাথ।
বিশেষ মহড়ায় অংশ নেন পুলিশ হেড কোয়ার্টারের এএসপি হুমায়ুন কবির, কলারোয়া থানার ওসি বিপ¬ব দেব নাথ, থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমান, সেকেন্ড অফিসার আমিনুল ইসলাম, এসআই পিন্টু লাল দাস, বিপ¬ব রায়, সোলাইমান আক্কাস, ইসমাইল হোসেন, রইচ উদ্দিন, হাসান শাহরিয়ার, শরিফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, এএসআই শামিম আক্তার, ইসহাক আলী, আব্দুল হালিম, তারেক মোহাম্মদ, রফিকুল ইসলাম, গোপাল চন্দ্র, শাহীনুর রহমান, রাসেল রানা, মিলন হোসাইন, রতন হাজরাসহ কলারোয়া থানার পুলিশ সদস্যরা।
আইন শৃঙ্খলার উন্নতি, জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস-নাশকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি জানাতে, কেউ যাতে শান্তি বিঘ্ন না ঘটাতে পারে ও সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তার লক্ষ্যে আয়োজিত ওই বিশাল পুলিশি মহড়ায় ‘অনেক এলাকার মানুষ সস্তি প্রকাশ করেন’ আবার ‘কেউ কেউ আতংকিতও হন’ বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার ওসি বিপ্লব দেব নাথ জানান- ‘যেকোন অরাজকতা এড়াতে ও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ বদ্ধপরিকর। মূলত পুলিশি তৎপরতায় কলারোয়া উপজেলার সার্বিক আইনশৃংখলা স্বাভাবিক ও সমুন্নত আছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পরীমনির পরিবর্তে অপু বিশ্বাস

অভিনয় করার কথা ছিল পরীমনির। কিন্তু পরীমনি চিকিৎসকের পরামর্শে ছবিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। কেন না ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পরীমনি সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত রবিবার রাতেই জানিয়ে দেন ছবিতে অভিনয় ‘না’ করার বিষয়টি।

কিন্তু এরইমধ্যে আজ জানা গেল, পরীমনির স্থানে ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। ইতোমধ্যে ছবিতে চুক্তি সাক্ষর করেছেন। এই ছবিতে অপু সহ-অভিনেতা হিসেবে পাচ্ছেন সাইমন সাদিককে। অপু বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অপু বলেন, হ্যাঁ ছবিটি আমি করছি। যদিও একটু সময় নিতে চাচ্ছিলাম কিন্তু পরিচালক যেহেতু বারবার বললেন সেহেতু আমি চুক্তি সাক্ষর করেছি। গল্প শোনার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসলে আমি পুরোদমে অভিনয়ে ফিরতে চাই।

ওপারে চন্দ্রাবতী নামের এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন নির্মাতা রফিক সিকদার। অন্যদিকে অপু বিশ্বাস নিজেকে পুরোদস্তুর ক্যামেরার সামনে ফেরাতে প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। সম্প্রতি বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত নতুন চলচ্চিত্র ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’-এর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে অপু বিশ্বাস। এতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করছেন চিত্রতারকা বাপ্পী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest