সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৬ হাজার কেজি গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টশ্যামনগরে শরীরে পেট্টোল ঢেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগতীব্র তাবদাহে সাতক্ষীরায় সুপেয় খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালিগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা ও গ্রাহক হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভঅপরিপক্ষ আম খাদ্য হিসাবে গ্রহণে সাতক্ষীরার ডিসি’র সতর্কতাআলীপুর ইউপিতে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা রউফ বিজয়ীআশাশুনির মরিচ্চাপ সেতুর অধিকরনকৃত জমি জবরদখল: অবৈধ স্থাপনা নির্মানের হিড়িকসাতক্ষীরায় ঘরে-বাইরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত: বিপাকে নি¤œ আয়ের মানুষকালিগঞ্জে রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৪শ’ কেজি আম জব্দব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধে

কলারোয়ায় আওয়ামীলীগের দু’ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-১০

নিজস্ব প্রতিবেদক : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষন ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি পাওয়ায় সরকারি ভাবে কলারোয়া উপজেলা চত্বরে অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠান চলাকালিন পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুর কর্মী সমর্থকরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপনের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে লাল্টুর সমর্থকরা স্বপনের কর্মী সমর্থকদের উপর ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদে স্বপনকে তার কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুর কর্মী সমর্থকরা দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন জানান, লাল্টু গ্রুপের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং আমার নেতা কর্মীদের মারধর করে আহত করে।
তবে, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এটা ফিরোজ আহমেদ স্বপনের কারসাজি। তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার জানান, উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত কলারোয়া থানায় উভয় পক্ষ অবস্থান করছিলো বলে জানাগেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাত্র ২ রানে অলআউট!

মাত্র ২ রানে অলআউট!

কর্তৃক Daily Satkhira

ক্রিকেট মাঠে প্রায়ই বিভিন্ন রকমের মজার ঘটনা ঘটতে থাকে। কিছু ঘটনা ক্রিকেটপ্রেমীদের যেমন আনন্দ দেয়, তেমনই কিছু ঘটনা থাকে যা বিশ্বাস করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। মাঝে মধ্যে নিজের চোখকেও বিশ্বাস হয় না। মনে হয় ঠিক দেখছি তো!

এই রকমই অবাক করা এক ঘটনার সাক্ষী থাকল গুন্টুরের জেকেসি কলেজ গ্রাউন্ড। শুক্রবার বিসিসিআইয়ের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ওয়ান ডে লিগ এবং নক-আউট টুর্নামেন্টের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল নাগাল্যান্ড ও কেরল। আর এই ম্যাচেই মাত্র ২ রানে শেষ হয়ে যায় নাগাল্যান্ডের ইনিংস।

১০ উইকেট হারিয়ে দুই রান। তার মধ্যে একটি ওয়াইড বলে এক রান। স্কোর বোর্ডের এরকম দুর্দশা দেখে অবাক হতে পারেন। কিন্তু এরকম ঘটনা ঘটেছে ভারতে। কেরালার বিপক্ষে এই রান করে নাগাল্যান্ড প্রদেশের অনূর্ধ্ব ১৯ নারী ক্রিকেট দল। এটি স্থানীয় খেলায় একটি রেকর্ড।

বিসিসিআই আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলাদের ওয়ানডে প্রতিযোগিতায় নাগাল্যান্ড নারী দল টস জিতে ব্যাট নেয়, শুরুতেই প্রথম বলে ওয়াইড দেয় কেরালা বোলার। তারপর ব্যাটসম্যান মেনকা ১৮ বলে খেলে এক রান করেন। এরপর মেনকা ছয়তম ওভারে আউট হয়ে যান ক্যাচ হয়ে। এরপর বাকিরা এসেছেন আর প্যাভিলিয়নে গিয়েছেন।

কেরলের হয়ে ছ’টি মেডেনসহ দু’টি উইকেট নেন সৌরভ্যা পি। একটিও রান না দিয়ে একটি করে উইকেট নেন সান্দ্রা সুরেন এবং বিবি সেবাস্তিন। কেরলের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন মিনু মানি। নাগাল্যান্ডের দু’জন রান আউট হন। রান আউট দু’টি করেন দিব্যা গণেশ এবং মালবিকা সাবু।

এই দল মোট ১৭ ওভার বল খেলে তার মধ্যে ১৬টি ওভারই ছিলো মেইডেন। ২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে খেলা শেষ করে নাগাল্যান্ড। কেরালা নারী দল খেলতে নেমে ২ বলেই ৩ রান করে জিতে যান। অন্যদিকে এই নাগাল্যান্ড দলের এক বোলার গত ১ নভেম্বর মণিপুরের বিপক্ষে টানা ৪২টি ওয়াইড দিয়েছিলো।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় ২০০৪ সালের হারারেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ৩৫ রান সর্বনিম্ম স্কোর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি উদযাপনে বর্ণিল শোভাযাত্রা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য’ ওয়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রার” এ অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে” বিশ^ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ র” স্বীকৃতি লাভ করায় এ অসামান্য অর্জনকে যথাযোগ্যভাবে পালনের লক্ষ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ এর মধ্য অনুষ্ঠানে শুভ সুচনা করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপুর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় এমপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া বাঙালী জাতির জন্য বিশাল গৌরবের। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিশ^। বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার এই ভাষণের দিক-নির্দেশনাই ছিল সে সময়ের বজ্রকঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। আজ ৪৫ বছর পরেও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আবেদন বাঙালির কাছে অটুট আছে। লেখক ও ইতিহাসবিদ জেকব এফ ফিল্ড’-এর বিশ্বসেরা ভাষণ নিয়ে লেখা গ্রন্থে এই ভাষণ স্থান পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ববাসীর কাছে বিশেষ করে বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কাছে আলোর দিশারীতে পরিণত হয়েছে। তিনি এ ভাষণ দিয়েছিলেন ঔপনিবেশিক পাকিস্থানী দুঃশাসন থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। ১৯৪৮ সালে ভাষার দাবিতে আন্দোলন শুরু করার সময়ই বঙ্গবন্ধু বুঝে গিয়েছিলেন স্বাধীনতা ব্যতীত এই জাতির চূড়ান্ত মুক্তি মিলবে না। তিনি আরো বলেন, রেসকোর্সের জনসমুদ্রে দেওয়া জাতির পিতার এই কালজয়ী ভাষণে ধ্বনিত হয়েছিল বাংলার গণমানুষের প্রাণের দাবি। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে এক জনসভার ডাক দেন। সেদিনের জনসমুদ্রে তিনি বজ্রকন্ঠে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’ বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা। এই ভাষণে তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ করেন। আবার সশ¯্র সংগ্রামের দিক-নিদের্শনাও দিয়ে যান।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজেরঅধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান, এনএসআই’র সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল হান্নান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, আব্দুল করিম বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন খান লিপি, এন.এসআই’র সাতক্ষীরা সহকারী পরিচালক আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, জেলা ডেপুটি কমান্ডার মো. আবু বক্কর সিদ্দীক, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাদাৎ হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম ছায়েদুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার সম্পাদক মহসিন হোসেন বাবলু, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. হাসানুল ইসলাম, সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউটের অধ্যক্ষ জি.এম আজিজুর রহমান, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা শ্রমিক লীগ নেতা শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, পৌর কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথি, সাতক্ষীরা নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আমিনুর রহমান উল্লাস, জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেনরী সরদার, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন, কণ্ঠশিল্পী মনজুরুল হক, আবু আফফান রোজ বাবু, শামীমা পারভীন রতœা প্রমুখ। স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সর্বস্তরের জনগণ, বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার, বর্ডার গার্ড বাহিনীর বর্ণাঢ্য বাদক দল ও শিশু কিশোরদের সমন্বয়ে আনন্দ শোভাযাত্রায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল ১০টায় আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক, ঐদিন একই স্থানে বেলা ১১টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যায় চলচ্চিত্র প্রদর্শন (ওরা ১১জন), সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে ৭ই মার্চের ভাষণের উপর রচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

 

 

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে সংখ্যালঘুদের জায়গা দখলের মহোৎসব চলছে’

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, সরকারী দলের নাম ভাঙিয়ে এক শ্রেণির মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের ছত্রছায়ায় এ দেশের সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও মন্দিরের জায়গা দখলের মহোৎসব চলছে। এরা বঙ্গবন্ধুর স্লোগান দেয় কিন্তু হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুকে ধারন করে না।
এরা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির কথা বলে ফায়দা লুটে, অথচ তার আদর্শ ধারন করে না। এ অবস্থায় দাড়িয়ে আজকের বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের বাস্তবতা। শুক্রবার বিকেলে পিরোজপুর জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, এ দেশের আড়াই কোটি জনগণকে আর ধোকায় ফেলা যাবে না। কলা গাছ দিবেন, চোর দিবেন, ডাকাত দিবেন আর মাথার উপর থাকবে বঙ্গবন্ধুর ছবি। বলা হবে এখানে ভোট না দিলে মুক্তিযুদ্ধ ভেসে যাবে। সেখানে আমাদের কথা হলো যারা সৎ, যোগ্য আর প্রকৃত অর্থে বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারন করে তাদের মনোনয়ন দিন। আর যারা সংখ্যালঘুদের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড করে তাদের আমরা ভোট দিতে পারি না।

রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে পিরোজপুর জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রবীন রাজনিতিবিদ এ্যাডভোকেট চন্ডি চরন পাল।
জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক তুষার কান্তি মজুমদারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ক্যাপ্টেন (অবঃ) সচীন কর্মকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুখেন্দু শেখর বৈদ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার, জেলা উদীচীর সভাপতি এম এ মান্নান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খান মো. আলাউদ্দিন, পিরোজপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শফিউল হক মিঠু, রেজাউল করিম মন্টু, জয়দেব চক্রবর্তী।

পরে ভোটারদের মতামতের ভিত্তিতে তুষার কান্তি মজুমদারকে সভাপতি, গৌতম চন্দ্র সাহাকে সাধারণ সম্পাদক, চন্দ্র শেখর হালদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিপঙ্কর মাতা মিন্টুকে কোষাধ্যক্ষ করে ১০১ সদস্যের জেলা কমিটি গঠন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেসির চতুর্থ সোনার জুতা

লিগ শিরোপা বা ইউরোপ সেরার কোনো ট্রফিই উঁচিয়ে ধরতে পারেননি লিওনেল মেসি। দুটো শিরোপাই গেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের ঘরে। তবে গত মৌসুমেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে সপ্রতিভ ছিলেন মেসি। লা লিগার সর্বোচ্চ গোল স্কোরার ছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর। চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় সেরা গোলস্কোরারও ছিলেন বার্সার প্রাণভোমরা। সব মিলিয়ে ইউরোপীয় আসরে সংখ্যা সংখ্যায় মেসির আশপাশেও ছিলেন না বাকিরা। সেটারই পুরস্কার পেলেন ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় তারকা। চতুর্থবারের মতো ‘গোল্ডেন সু’ ট্রফি জিতলেন তিনি।

শুক্রবার এই ট্রফি জেতেন মেসি। বার্সা তারকার হাতে স্বর্ণপাদুকা তুলে দেন ২০১৫-১৬ মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও মেসির সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। এর আগে তিনবার স্বর্ণপাদুকা জিতেছেন মেসি। সর্বপ্রথম ২০০৯-১০ মৌসুমে এই ট্রফি জেতেন তিনি। সেবার ইউরোপের সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৩৪ গোল করেছিলেন তিনি। ২০১১-১২ মৌসুমে মোট ৫০টি গোল করে দ্বিতীয়বার এই স্বর্ণপাদুকা ঘরে তোলেন তিনি। পরের বছর মেসি করেন ৪৬ গোল। ফলে সেবারও এই মর্যাদাপূর্ণ এই ট্রফিটি নিজের করে নেন তিনি। গত মৌসুমে ৩৭ গোল করেছেন এই ফুটবলবিস্ময়।

মেসির মতো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও চারবার এই পুরস্কার জিতেছেন। এবার মেসির প্রতিপক্ষ ছিলেন রোনালদোর স্বদেশি বাস দোস্ত। পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে ৩১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চীনের অধীনে থাকার কথা জানালেন দালাই লামা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে দালাইলামা বলেন, আমরা স্বাধীনতা চাইব না। আমরা চীনের সঙ্গে থাকতে চাই। আমরা আরও উন্নয়ন চাই।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি তিব্বতের স্বাধীনতার দাবি ত্যাগের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ এসব কথা বলেন।

দালাইলামা বলেন, দুটি আলাদা দেশ হলেও চীন-তিব্বতের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে, যদিও মাঝে মধ্যে লড়াই হয়। তবে আমরা এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই। তিব্বতের আলাদা সংস্কৃতি আছে এবং পৃথক জীবনপ্রণালি আছে। চীনারা তাদের দেশকে ভালোবাসে এবং আমরাও আমাদের দেশকে ভালোবাসি।

উল্লেখ্য, তিব্বতের নির্বাসিত আধ্যাত্মিক নেতা দালাইলামা চীনের হাত থেকে স্বাধীন হতে চেয়েছিলেন আগে। কিন্তু এবার দীর্ঘদিনের সে স্বাধীনতার দাবি ত্যাগ করে চীনের অধীনে থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘পদ্মাবতী’ মুক্তির প্রতিবাদে ঝুলন্ত মরদেহ

নতুন মোড় নিল পদ্মাবতী বিতর্ক। নাহারগড় দুর্গে উদ্ধার হল ঝুলন্ত মৃতদেহ।
পাশে পাথরের উপর রহস্যজনকভাবে লেখা, ‘আমরা কেবল পুতুলই ঝোলাই না পদ্মাবতী’। ঘটনার পরই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। একই সঙ্গে সারা ভারত জুড়ে ‘পদ্মাবতী’ বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হল। সেই সঙ্গে এই প্রথম বিতর্ককে কেন্দ্র করে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

ঝুলন্ত সেই মরদেহ নিয়ে এখনও বেশ ধন্দে পুলিশ। আদতে এ ঘটনা আত্মহত্যা নাকি সেই ব্যক্তিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে রহস্য দানা বেঁধেছে মৃতদেহ পাশের পাথরের ওপর লেখাটি নিয়ে। আসলেই লেখাটি সেই ব্যক্তি লিখেছেন না উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কেউ লিখে দিয়ে গেছে, তা নিয়ে বেশ সন্দিহান পুলিশ।

কারণ ছবি নিয়ে যাদের সবচেয়ে বেশি আপত্তি, সেই করণী সেনাই সম্প্রতি আপোসের রাস্তা খুলে দিয়েছিল।
আগে দীপিকার নাক ও পরিচালকের মাথা কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হলেও বুধবার সেনার তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, মেওয়ারের রাজ পরিবারকে দেখাতে হবে এই ছবি। রাজ পরিবারের সদস্যদের যদি আপত্তি না থাকে তাহলে এ ছবি নিয়ে তারাও আর আপত্তি জানাবেন না। নির্বিঘ্নে মুক্তি পেতে পারবে সঞ্জয় লীলা বানসালির এ ছবি।

যেখানে করণি সেনা আপোষের রাস্তা খুলে দিয়েছে, সেখানে শুক্রবারের এমন ঘটনা কি বিক্ষোভের আঁচ জিইয়ে রাখতেই ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনো হয়েছে কিনা বিভিন্ন মহলে উঠছে সেই প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই ছবিকে প্রশংসাপত্র দিয়েছে ব্রিটেনের সেন্সর বোর্ড। এবার সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে প্রসূন যোশীর সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের ওপর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিসরে মসজিদে হামলা, নিহত ২৩৫

মিসরে জনাকীর্ণ একটি মসজিদে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিতে কমপক্ষে ২৩৫ জন নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার দেশটির নর্থ সিনাই প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও ১৩০ জন আহত হয়েছে। সরকারি এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এমইএনএ এ কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

মিসরের সংঘাতময় ওই অঞ্চলে এটা অন্যতম ভয়াবহ হামলা। কেউ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। ওই অঞ্চলে ইসলামি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ছবিতে দেখা গেছে, এল আরিশ শহরের পশ্চিমে বির আল-আবেদ এলাকার আল রাওদাহ মসজিদে মরদেহ কম্বল দিয়ে ঢাকা। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও বার্তা সংস্থা এমইএনএর খবরে বলা হয়েছে, ২৩৫ জন নিহত হয়েছে ও ১৩০ জন আহত হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সুফি অনুসারীরা প্রায়ই ওই মসজিদে জমায়েত হতেন। আইএসসহ জিহাদি সংগঠনগুলো সুফি অনুসারীদের কাফের বলে বিবেচনা করে থাকে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘হামলার পর আতঙ্কে মসজিদ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া লোকদের তারা গুলি করছিল। ঘটনাস্থলের কাছে থাকা অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করেও তারা গুলি ছোড়ে।’

মিসরের নিরাপত্তা বাহিনী সিনাইয়ের উত্তরে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। সেখানে জঙ্গিরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কয়েক শ সদস্যকে হত্যা করে। গত তিন বছরে দুই পক্ষের লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। সেখানে জঙ্গিদের বেশির ভাগ হামলার লক্ষ্যবস্তুই হলো নিরাপত্তা বাহিনী। তবে তারা মিসরের খ্রিষ্টান গির্জা ও তীর্থযাত্রীদের ওপর আক্রমণের মাধ্যমে হামলার পরিধিকে উপদ্বীপের বাইরেও প্রসারিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পরপরই দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক ডাকেন। এ ঘটনায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest