সর্বশেষ সংবাদ-
বিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরসাতক্ষীরায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প সমাপনীতালায় আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারআশাশুনিতে আশা ব্রিক্সের লেলিহান শিখায় জনজীবন বিপর্যস্ত

বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়

বহু মানুষই অক্সফোর্ড বা কেমব্রিজকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় বলে মনে করেন। যদিও এটি ভুল ধারণা।

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জানা যায় মরক্কোর ফেস নামক স্থানে ৮৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আল-কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। প্রায় ১৩০০ বছর আগে এক মুসলমান নারী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, যার নাম ফাতিমা আল-ফিহরি।

আল-কারাউইনকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম রয়েছে। অতীতে আরো প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। তবে সেগুলো এখন আর চালু নেই। তবে আল-কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনো চালু রয়েছে। সে হিসেবে এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ও চালু বিশ্ববিদ্যালয়।

মধ্যপ্রাচ্যে আল-কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল মুসলিম বিশ্বে নেতৃত্বদানকারী অন্যতম একটি আধ্যাত্মিক ও শিক্ষাবিষয়ক কেন্দ্র। এটি মূলত ইসলাম শিক্ষাবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন বেশ কয়েকজন ইহুদি দার্শনিকও।
বিশ্ববিদ্যালয়টি ইসলামিক বিশ্ব এবং ইউরোপের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। মানচিত্রকার মোহাম্মদ আল ইদ্রিসী, যাঁর মানচিত্র রেনেসাঁর সময় ইউরোপিয়ানদের গবেষণা করতে সাহায্য করেছিল; তিনি এখানে পড়ালেখা করেছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক পণ্ডিত ও বুদ্ধিজীবী পড়ালেখা করেছিলেন, যাঁরা মুসলিম ও ইহুদি বিশ্বকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গৃহকর্মী থেকে মাইক্রোসফটের অ্যাম্বাসেডর ফাতেমা

অভাব অনটনের সংসার ছিল ফাতেমার। মাত্র ৯ বছর বয়সে তাই তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় মধ্যবিত্ত একটি পরিবারের গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে। সেখানে সামান্য বেতনে কাজ করতে হতো তাকে।

প্রায় দু’বছর পর কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার এই কিশোরীর বয়স যখন ১১ বছর হলো তখন হঠাৎ একদিন তারা বাবা-মা তাকে বাড়িতে ডেকে পাঠাল।

আর তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অন্য কারণে নয়, আসলে তার বিয়ে দেয়ার জন্য। ১১ বছর বয়সী ফাতেমার বিয়ে ঠিক হয়েছিল ২৫বছর বসয়ী এক যুবকের সঙ্গে।

সম্প্রতি মাইক্রোসফট তাদের ওয়েবসাইটে ফাতেমাকে নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করেছে। ফাতেমা মাইক্রোসফটকে বলেছে, আমার সব আনন্দ মাটি হয়ে গেল যখন আমি বুঝলাম আমাকে আসলে বিয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।

বিয়ের সব আয়োজন চূড়ান্ত। তবে ঠিক আগ মুহূর্তে সেখানে গিয়ে হাজির হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। বাল্য বিয়ের ছোবল থেকে তারা ফাতেমাকে রক্ষা করে।

বাল্য বিয়ের হাত থেকে যে সংস্থাটি ফাতেমাকে বাঁচিয়েছিল সেটির নাম হলো- আশার আলো পাঠশালা। বিয়ে বন্ধ হওয়ার পর ফাতেমার শিক্ষার দায়িত্বও নেয় তারা। তবে তারপরও ফাতেমার বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ ছিল। ফাতেমাও ছিল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ- বিয়ে সে করবে না।

এরপর ফাতেমা চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। পিএসসি ও জেএসসিতে জিপিএ-৫ পায় সে। এখনও সে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দারিদ্র্য ও বাল্য বিয়ের কবল থেকে তার মতো অন্য মেয়েদের বাঁচাতে কাজ করছে সে।

ফাতেমার এই পথে তার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র ছিল তার কম্পিটার শিক্ষা। যার শুরুতে ছিল ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট।

এখন অন্য যেসব কিশোরী বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে আছে ফাতেমা তাদের ডিজিটাল দক্ষতার উপর প্রশিক্ষণ দেয়। মাইক্রোসফট তাকে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও বানিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শাহজালালের চোখ উৎপাটন : পিবিআইয়ের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি

খুলনায় শাহজালাল নামে এক যুবকের দুই চোখ উৎপাটনের মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি পিটিশন দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম আমলি আদালতে বাদীর পক্ষে এ পিটিশন দাখিল করা হয়।

নারাজি পিটিশনে পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন মনগড়া, পক্ষপাতমূলক, কথিত এবং সর্বোপরি ঘটনাকে আড়াল করে আসামি পুলিশ কর্মকর্তাদের রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে পক্ষপাতিত্বমূলক প্রতিবেদন বর্জন করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ চাওয়া হয়েছে। আদালতের বিচারক মো. শাহীদুল ইসলাম শুনানি শেষে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আদেশের দিন ঠিক করেছেন।

আদালতে দেয়া নারাজি পিটিশনে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট সাক্ষ্য, প্রমাণ, তথ্য-উপাত্ত এবং আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্বেও পিবিআই পরিদর্শক মো. বাবলুর রহমান খান সম্পূর্ণ মনগড়া ও পক্ষপাতমূলক কল্পকাহিনী বর্ণনার মাধ্যমে আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। যে কারণে বাদী অপূরণীয় ক্ষতিগ্রস্ত ও ক্ষুব্ধ হয়ে নারাজি দাখিল করেছেন।

এছাড়া পিটিশনে ১৫টি পয়েন্ট উল্লেখ করে ঘটনার স্বপক্ষে এবং আসামিদের বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষপাতিত্ব প্রতিবেদন বর্জনপূর্বক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ চাওয়া হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, তারা পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন দিয়েছেন। শুনানি শেষে আদালত আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আদেশের দিন ঠিক করেছেন।

এর আগে আদালতে দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই পরিদর্শক মো. বাবলুর রহমান খান উল্লেখ করেন, তদন্তকালে জানা যায়- ভিকটিম শাহজালাল ওরফে শাহ জামাল ওরফে শাহ গত ১৮ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় খালিশপুর থানাধীন গোয়ালখালি বাসস্ট্যান্ডে ছিনতাইকালে হাতেনাতে ধৃত হয়ে বিক্ষুব্ধ জনগণ কর্তৃক মারপিটের শিকার হন। এতে তার দুই চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে চোখ দুটি নষ্ট হয়ে যায়। যা পেনাল কোডের ১৪৩/৩২৩/৩২৬ ধারার অপরাধ। তদন্তকালে এ নৃশংস ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, এর আগে আদালতে দেয়া শাহজালালের মায়ের এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১৮ জুলাই শাহ জালাল নগরীর নয়াবাটি রেললাইন বস্তি কলোনীর শ্বশুরবাড়ি থেকে রাত ৮টায় শিশু কন্যার দুধ কেনার জন্য বাসার পার্শ্ববর্তী দোকানে যান। এ সময় খালিশপুর থানার ওসি নাসিম খানের নির্দেশে তাকে থানায় ডেকে নেয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা থানায় গেলে ওসি তাকে ছাড়ানোর জন্য দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ কর্মকর্তারা শাহজালালকে পুলিশের গাড়িতে করে বাইরে নিয়ে যায়। পরদিন ১৯ জুলাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাকে দুই চোখ উপড়ানো অবস্থায় দেখতে পান।

এ সময় শাহজালাল জানান, পুলিশ কর্মকর্তারা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে গাড়িতে করে গোয়ালখালি হয়ে বিশ্ব রোডের (খুলনা বাইপাস সড়ক) নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার হাত-পা চেপে ধরে এবং মুখের মধ্যে গামছা ঢুকিয়ে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে দুটি চোখ উপড়ে ফেলে।

এ ঘটনায় শাহজালালের মা রেনু বেগম বাদী হয়ে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় দাবিকৃত টাকা না পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা যোগসাজসে তার ছেলে মো. শাহ জালালের দুটি চোখ উৎপাটন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। মামলায় খালিশপুর থানার ১১ পুলিশ ও আনসার কর্মকর্তাসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিকেলে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত

ক্রিকেট

ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড
সরাসরি, বেলা ১২টা
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত
ষষ্ঠ ওয়ানডে
সরাসরি, বিকাল ৫টা
সনি টেন ১

ফুটবল

লা লিগা
জিরোনা-লেগানেস
সরাসরি, রাত ২টা
সনি টেন ২
এফএ কাপ
চেলসি-হালসিটি
সরাসরি, রাত ২টা
সনি ইএসপিএন
ইন্ডিয়ান সুপার লিগ
ব্যাঙ্গালুরম্ন-পুনে সিটি
সরাসরি, রাত ৮.৩০ মি.
স্টার স্পোর্টস ২

বাস্কেটবল

মিনেসোটা-লস অ্যাঞ্জেলেস
সরাসরি, সকাল ৮টা
সনি সিক্স

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পরকিয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীসহ আটক ৪

আসাদুজ্জামান: পরকিয়ায় বাধা দেয়ায় সাতক্ষীরায় শহরের পারকুখরালীতে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে শহরের পারকুখরালী গ্রামের রাহাতুল্লাহ’র রাইস মিলে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহতের নাম সোনিয়া খাতুন (২৫)। সে শহরের ইটাগাছা নতুন গ্রামের মৃত কওছার আলীর মেয়ে ও শ্যামনগর উপজেলার ঘোলা গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী ।
আটককৃতরা হলেন, সোনিয়ার স্বামী শ্যামনগর উপজেলার ঘোলা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, সাদ্দাম হোসেনের প্রেমিকা নাজমা খাতুন, সাদ্দাম হোসেনের মা ফাতেমা খাতুন ও রাইস মিল ম্যানেজার সোহাগ হোসেন ।
নিহত সোনিয়ার বড় ভাই জিয়াউর রহমানের জানান, সাদ্দাম হোসেন ও তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুন শহরের কুখরালি গ্রামে রাহাতুল্লাহ’র রাইস মিলে কর্মচারি হিসেবে কাজ করতেন। একই রাইস মিলে কাজ করতেন সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী নাজমা খাতুন। নাজমা খাতুনের স্বামী ইব্রাহিম পাটকেলঘাটা ত্রিশ মাইলের একটি কারখানায় কাজ করেন। নাজমা খাতুনের স্বামী তার কাছে না থাকায় সে সোনিয়ার স্বামী সাদ্দাম হোসেনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়্ন।ে এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। এরই জের ধরে শুক্রবার ভোরে সাদ্দাম তার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঘরের ভিতর আড়ায় ঝুলিয়ে দেয়।
সাতক্ষীরার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পরকিয়া জেরে সোনিয়াকে তার স্বামী সাদ্দাম পিটিয়ে হত্যা করেছে। নিহতের মুখে, গলায় ও পিঠে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সাদ্দামকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকী তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুরুষ সেজে দুই মেয়েকে বিয়ে করে সুইটি!

নিজেই একজন নারী। সে নারী হয়েও পুরুষ সেজে ২ মেয়েকে বিয়ে করেছে। এমনকি বিয়ের পর পণের জন্য ওই দুই নারীর মধ্যে একজনের উপর অত্যাচারও করেছে সুইটি সেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারে বলা হয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ধমপুরের বাসিন্দা সুইটি ‘কৃষ্ণ সেন’ নামে একটি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে মেয়েদের সঙ্গে ভাব জমাত। তার পরে তাঁদের বিয়েও করত।

তার প্রথম ‘স্ত্রী’ হলদোয়ানির কাঠগোদাম এলাকার বাসিন্দা। ২০১৪ সালে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে কাঠগোদাম আসে সে। সুইটি তাঁকে জানায়, সে আলিগড়ের এক সিএফএল বাল্ব ব্যবসায়ীর ছেলে। ওই মহিলার পরিবারের কাছ থেকে সাড়ে আট লক্ষ টাকা পণ নেয় সে। পরে আবার তাঁকে পণের জন্য মারধরও করে।

এর মধ্যেই আবার কালাধুঙ্গির এক মহিলার সঙ্গে ভাব জমায় সুইটি। তিনি আবার তার প্রথম বিয়েতে অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন। পরে তাঁকেও বিয়ে করে সুইটি। হলদোয়ানির তিকোনিয়া এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানেই দুই ‘স্ত্রী’-র সঙ্গে থাকত সে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুই মহিলাই বুঝতে পারেন, সে পুরুষ নয়। দ্বিতীয় জনকে টাকার লোভ দেখিয়ে চুপ করাতে পেরেছিল সে। কিন্তু তার ‘প্রথম স্ত্রী’ হলদোয়ানি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তার পরেই গ্রেফতার হয় সুইটি।

মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, সুইটি নারীই। জেরায় সে জানিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই তার ছেলেদের মতো হাবভাব ছিল। পুরুষ সাজার জন্য চুল কেটেও ফেলেছিল। মোটরসাইকেল চালাত। সিগারেট খেত।

সুইটির পরিবারের সদস্যেরা তার দুই ‘স্ত্রী’-র বাড়িতে আশীর্বাদ ও বিয়ের সময়ে এসেছিল। তাদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সুইটির বিরুদ্ধে প্রথমে পণের জন্য হেনস্থার অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু আইনত সে ‘স্বামী’ই নয়। ফলে এখন তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই ঘটনা নিয়ে শান্ত শহর হলদোয়ানিতে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মনোবিদদের মতে, সুইটির ‘পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার’ রয়েছে। কারণ, সে নিজের লিঙ্গ স্বীকার করতে রাজি নয়। যে ভাবে সে দুই স্ত্রী-র উপরে অত্যাচার করেছে তাতেও মানসিক গোলমালের প্রমাণ মেলে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাজধানী আবুধাবিতে যাত্রাবিরতির পর শনিবার দেশে ফিরবেন। প্রধানমন্ত্রী ইতালি ও ভ্যাটিকান সিটিতে চার দিনব্যাপী সরকারি সফর শেষে বৃহস্পতিবার সকালে রোম থেকে আবুধাবি এসে পৌঁছান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সেখান থেকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে যাত্রাবিরতির পর শনিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরে আসবেন।

তিনি বলেন, এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একটি বিমান আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ইউএইতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।

ইতালিতে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন সংস্থার (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট গিলভার্ড হুয়াংবোর আমন্ত্রণে ইফাদের পরিচালনা পর্ষদের বার্ষিক বৈঠকে যোগদান করেন।

পোপ ফ্রান্সিসের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা হলি সিটি (ভ্যাটিকান সিটি) সফর করেন এবং পোপ ও সেক্রেটারি স্টেট অব ভ্যাটিকান সিটি কার্ডিনাল পিয়েত্রো প্যারোলিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশে ইয়ামাহার আমদানি ও বাজারজাত করণে বৈধ একমাত্র এসিআই

অনলাইন ডেস্ক: দেশে ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল আমদানি ও বাজারজাত করার জন্য এসিআই লিমিটেডকে বৈধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করেছে আদালত। পুশ ইন্টারন্যাশনাল, নিউ সোনারগাঁ মোটরস, আরএন এন্টারপ্রাইজ, পোলারিস টেক লিমিটেড, পাওয়ারপ্যাক ইন্টারন্যাশনালের ওপর ইয়ামাহা মোটরসাইকেল আমদানি ও বিপণনের ক্ষেত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আদালতের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। এতে অবৈধ আমদানিকারকরা মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াতে বাধাগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও আইনি জটিলতায় পড়বে।
জানা গেছে, অবৈধভাবে দেশে আসা মোটরসাইকেল নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আবার ক্রেতারা কেনার পর সার্ভিস নেওয়ার সময় সঠিক সময়ে সঠিক সার্ভিস পাচ্ছেন না। এমনকি প্রচলিত মডেল না হবার কারণে সঠিক যন্ত্রাংশও পাওয়া যায় না। বৈধ ডিলাররা তাদের সার্ভিস পয়েন্টে আসলে গাড়ির চেসিস ও ইঞ্জিন নাম্বার মিলিয়ে দেখে তারপর সার্ভিস দিয়ে থাকেন। বৈধ আমদানিকারকরা সঠিক মূল্য প্রদর্শন করে ১৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক প্রদান করেন। কিন্তু অবৈধ আমদানিকারকরা কম মূল্য দেখিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভোক্তাদের প্রতারিত করে।
সম্প্রতি এসিআই লিমিটেডের প্রচলিত মডেলের বাইরে এফজেডএস এফআই ভি ২.০ এবং ফেজার এফআই ভি ২.০ মডেলের মোটরসাইকেল দেশের বাজারে বিপণন করা হচ্ছে। এসব মডেলের মোটরসাইকেল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমদানি করছে, যারা বৈধ আমদানিকারক নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসিআই লিমিটেড আদালতে আবেদন করে।
প্রতিষ্ঠানটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মেসার্স এসিআই মোটরস লিমিটেড কর্তৃক ইয়ামাহা মোটর প্রাইভেট কোম্পানির তৈরিকৃত ইয়ামাহ ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলে বৈধ আমদানিকারক এসিআই মোটর লিমিটেড ছাড়া সকল অবৈধ আমদানিকারক কর্তৃক আমদানিকৃত ইয়ামাহা মোটরসাইকেল বাজারজাত, রেজিস্ট্রেশন, মেকার্স কোড ও টাইপ অনুমোদন বাতিল ঘোষণা করে আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আদালতের এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএর করণীয় বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) মো. নূরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিআরটিএর সচিব মুহাম্মদ শওকত আলী বলেন, বিজ্ঞ আদালত এসিআই মোটর লিমিটেডকে দেশের একমাত্র বৈধ আমদানিকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিআরটিএ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে কার্যকর পদেক্ষপ গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রান্সপোর্ট) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, অবৈধ মোটরসাইকেল আমদানির বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলে সে বিষয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ অ্যাকশন গ্রহণ করবে। কেননা, অবৈধ আমদানিকৃত মোটরসাইকেল অপরাধমূলক কাজে বেশি ব্যবহার করা হয়। আর পরবর্তী সময়ে অপরাধমূলক কার্যক্রম হলে চিহ্নিত করতে অসুবিধায় পড়তে হয়। এজন্য পুলিশ বাহিনী এ বিষয়ে সবোর্চ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে।
জানা গেছে, আমদানিকৃত মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রি করতে হলে বিল অব এন্ট্রি অ্যাসেসমেন্টে নোটিশ, গেট পাশ, সিকেডি অনুমোদন, কমার্শিয়াল অনুমোদন ও এলসি কপি সংযুক্ত করতে হয়। ব্যক্তি মালিকানাধীন হলে এর পাশাপাশি ভোটার আইডি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ঠিকানা প্রমাণের জন্য বিদ্যুৎ অথবা গ্যাস বিলের কপি সংযুক্ত করতে হয়।
আমদানিকৃত মোটরসাইকেলে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে চেসিস নাম্বারসহ অন্যান্য বিষয়গুলো চেক করা হয়। এতে অনেক সময় অবৈধ আমদানিকারকরা ধরা পড়েন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest