সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

আশাশুনিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকের উপর হামলার অভিযোগ

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অবৈধভাবে প্রবেশ করে কর্তব্যরত শিক্ষকের উপর হামলা করে লাঞ্চিত ও উত্তরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলা সদরের সরকারী কলেজ কেন্দ্রের ৫নং কক্ষে কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগে জানান, শনিবার এসএসসি’র অংক পরিক্ষায় ওই রুমে আশাশুনি মডেল ও শ্রীউলা স্কুলের পরীক্ষার্থীরা অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে খাতা কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে আয়ত্বে নিয়ে উত্তরপত্র সাজ-গোজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উপেক্ষা করে ওই কক্ষের পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা কক্ষে প্রবেশ করে প্রথমে পরীক্ষার্থীদের নকল ও দেখাদেখি করার সুযোগ দিসনে কেন ? আগামীকাল থেকে হলে ঢুকবিনে, এমন সব কথা বলতে থাকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেতে থাকে এবং উত্তরপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে শিক্ষক রুহুল আমিন দ্রুত উত্তরপত্র হাতের মধ্যে চেপে ধরে অফিস রুমের দিকে দৌড় দেয়ার সময় পিছন থেকে ওই অভিভাবকরা তাকে মারপিট করে লাঞ্চিত করে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের দায়িত্বরত এএসআই আসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পরীক্ষা চলাকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসার সার্বক্ষনিক উপস্থিত থাকায় কোন ছাত্র-ছাত্রী নকল করার সুযোগ না পেয়ে পরীক্ষা শেষে কান্নাজড়িত ভাবে তাদের অভিভাবকদের বললে অভিভাবকরা ভেতরে প্রবেশ করে শিক্ষককে লাঞ্চিত করে। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী খবর পেয়ে ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে শিক্ষক প্রতিকার প্রার্থনা করে কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পায়রাডাঙ্গায় মাদক সম্রাট আজগার আলী বেপরোয়া !

নিজস্ব প্রতিবেদক : পায়রাডাঙ্গায় মাদক সম্রাট আজগার আলী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার নামে কেউ মূখ খুলতে পারেনা। কেউ কিছু করতে গেলে সে গোয়েন্দা পুলিশের ভয় দেখিয়ে অথবা তার বাড়িতে মাদক রেখে তাকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকে। আজগার আলী সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আশরাফ আলীর ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তার নামে নারী পাচারসহ একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, আজগার আলী দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও গাঁজা ব্যবসা করে আসছে। সে একজন বিএনপি নেতা হয়েও এসব মাদক নিয়ে জেলা শহর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে। তারপরও সে বীরদর্পে তার মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মারপিটের অভিযোগও আছে। তবে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারেনা। মুখ খুলতে গেলেই সে পুলিশের ভয় দেখিয়ে এবং মাদক রেখে তাকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয় বলে অভিযোগ।
শিবপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, আজগার আলী একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় কয়েকটি মাদক মামলা আছে। এক সময় আজগার আলীর কিছুই ছিল না। কিন্তু সে মাদক ব্যবসা করে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে। বর্তমানে সে পায়রাডাঙ্গায় একটি দ্বি-তল ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে। সে এতই চতুর যে, পায়রাডাঙ্গায় তার বাড়ি হলেও সে থাকে শিয়ালডাঙ্গা শ্বশুড় বাড়িতে। তবে সে রাতে রাতে এলাকায় ফিরে তার মাদক ব্যবসা চালিয়ে যায়। যদি এ ব্যাপারে কেউ কোন প্রতিবাদ করে, তাহলে সে তার বাড়িতে মাদক রেখে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। তার এই মাদক সিন্ডিকেট চালায় একই এলাকার জাকাত আলীর ছেলে জুয়েল হোসেন, শহিদুলের ছেলে সাগর ও আকবরের ছেলে সবুর। আজগার আলীর মোবাইলের মাধ্যমে মাদক বেচাকেনার সকল রেকর্ডও সংরক্ষিত আছে। আজগারের বিরুদ্ধে সদর থানার মাদক মামলা নং ৪৪, তাং- ১৯.০৯.১৫, মামলা নং ২৯, তাং- ১৩.১১.১৭, মামলা নং ০৭, তাং- ০৫.১২.১৭। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইনে ০৭, তাং- ০৫.১২.১৭ মামলা রয়েছে। এব্যাপারে আজগার আলীর মুঠে ফোনে (০১৭৯০-৫৩৫০১৯) যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায়, আমি কোন মাদক কেনাবেচা করি না। তবে আমি পুলিশের একজন সোর্স। এলাকায় মাদক ধরিয়ে দেয়ায় প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসাতে এধরনের কথা বলছে। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে বললে তিনি আরো জানায়, প্রতিপক্ষরা আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
মেলবোর্নে শনিবার ৭ উইকেটে জেতে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজে ডেভিড ওয়ার্নারের দলের এটি টানা তৃতীয় জয়। ইংল্যান্ডের ১৩৭ রান ৩৩ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় তারা। ফাইনালসহ সিরিজের বাকি চার ম্যাচ হবে নিউ জিল্যান্ডে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নেইমারের গোলে পিএসজির জয়

নেইমারের গোলে পিএসজির জয়

কর্তৃক Daily Satkhira
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যাটরিনার ‘ফিটনেস’ রহস্য ফাঁস

শপিং করতে গিয়ে কত পোশাক পছন্দ হওয়া সত্ত্বেও কিনতে পারেন না। দেহে অতিরিক্ত মেদ থাকায় পছন্দের পোশাক দেখেই রেখে দিতে হয়।

মেদহীন শরীর পাওয়ার জন্য অনেকেই খাওয়া দাওয়া কমিয়ে বা কোনও এক বেলার খাবার বাদ দিয়ে, কিংবা ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে কাটিয়ে দেন। তাই আন্দাজে নিজের মতো ডায়েট চার্ট না তৈরি করে জেনে নিন, ক্যাটরিনা কাইফের মতো ফিটনেস’র রহস্য কি-

১। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘুম থেকে উঠে সবার আগে অন্তত চার গ্লাস পানি খান এই নায়িকা।

২। ব্রেকফাস্টে খান কর্নফ্লেক্স অথবা ওটমিল।

৩। লাঞ্চে ক্যাটরিনা খান ব্রাউন ব্রেড ও মাখন। আর সঙ্গে গ্রিলড ফিশ।

৪। সন্ধ্যায় ব্রাউন ব্রেড খান পিনাট বাটার দিয়ে।

৫। ডিনারে খান রুটি, স্যুপ, গ্রিলড ভেজিটেবলস ও মাছ।

৬। এছাড়া, সারা দিনে প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর সেদ্ধ সবজি ও ফল খান ক্যাটরিনা।

তবে খাবারের সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চাও করেন সুন্দরী। ক্যাটরিনার মতো পেশাদার ফিটনেস ট্রেনারের সান্নিধ্য না পেলেও, নিয়মিত যোগব্যায়াম, বা জগিং করুন। তবে এক বা দু’দিন না। প্রতিদিন এই রুটিন মেনে চললে তবেই পাবেন মনের মতো চেহারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চুম্মার পর প্রেমে পড়েছেন শাকিব-মিম!

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আসছে ১৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে শাকিব খান-বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত বহুল আলোচিত ছবি ‘আমি নেতা হবো’।

ছবিটির ‘চুম্মা’ গানটি প্রকাশের পর পরই ব্যাপক সাড়া ফেলে। এবার ছবির নতুন একটি গান প্রকাশিত হলো। গানের শিরোনাম ‘আই এম ইন লাভ’।

রোমান্টিক গানটিতে মোহনীয় রূপে ধরা দিয়েছেন শাকিব-মিম। গানের কথা লিখেছেন সুদীপ কুমার দীপ। সঙ্গীত আয়োজন করেছেন আহমেদ হুমায়ন। কণ্ঠ দিয়েছেন শান ও মোনালী ঠাকুর।

শাকিব-মিমের পাশাপাশি আরও অভিনয় করেছেন ওমর সানী, মৌসুমী, সাদেক বাচ্চু, ডিজে সোহেলসহ অনেকে।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার পক্ষ থেকে জানা গেছে, ৮০টি হলে ছবিটির মুক্তির প্রক্রিয়া নিশ্চিত। এছাড়াও ‘আমি নেতা হবো’ ছবির জন্য চালু হচ্ছে ৫০টি বন্ধ প্রেক্ষাগৃহ।

‘আমি নেতা হবো’ ছবিটি পরিচালনা করছেন উত্তম আকাশ। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস রেকর্ড সংখ্যক হলে এই ছবিটি মুক্তি পাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রশ্ন ফাঁসের ‘মহামারি’ সঙ্গে ফের নকলবাজি

অনলাইন ডেস্ক: এসএসসির গণিতের প্রশ্নও সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পাওয়া গেল পরীক্ষা শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা আগে। এর মধ্যে ‘এমসিকিউ’ অংশের সঙ্গে মূল প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে গতকাল শনিবার বিভিন্ন জেলায় গ্রেপ্তার হয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে অনেকের স্মার্টফোন। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিনব ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে। গণিতের প্যাকেটে অন্য প্রশ্ন আসায় আরেক কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন এনে ফটোকপি করে পরীক্ষা নিতে হয়েছে।

শেরপুর মডেল গার্লস ইনস্টিটিউট কেন্দ্র থেকে এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্মার্টফোন থেকে বিভিন্নজনকে ‘গণিত’ প্রশ্ন সরবরাহ করার সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার অ্যানড্রয়েড স্মার্ট মোবাইল ফোনটিও জব্দ করা হয়।

শেরপুর সদর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের মডেল গার্লস ইনস্টিটিউট কেন্দ্রের সামনে টহল পুলিশের একটি দল দায়িত্বরত ছিল। এক যুবকের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে কনস্টেবল গোলাম মোস্তফা তার স্মার্টফোনটি জব্দ করেন। এরপর যুবকটিকে কেন্দ্রে কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হানুল ইসলামের কাছে সোপর্দ করা হয়। তার ফোনসেট পরীক্ষা করে গণিতের বহু নির্বাচনী পরীক্ষার ৩০টি প্রশ্ন ও উত্তর পাওয়া যায়। কেন্দ্রে অবস্থানরত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ এ জেড মোরশেদ আলীর প্রশ্নের মুখে যুবকটি বলেন, তার নাম মো. সেলায়মান হোসেন (২৫)। বাবা সদর উপজেলার লছমনপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম খোকা মিয়া। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের জানান, অনুষ্ঠিত গণিত পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া গেছে। শেরপুর সদর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আটক সোলয়মানের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। তার সঙ্গে জড়িত অন্যদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
রাজশাহীতে রাজশাহী সিটি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রাবিয়া ইসলাম রিম (২২) সকাল ১০টার দিকে জেলার পিএন গার্লস স্কুল কেন্দ্রের পাশে বসে মোবাইল ফোনে এসএসসির গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে সেগুলোর উত্তর কাগজে লিখে দিচ্ছিল। অভিভাবকরা বিষয়টি জানতে চাইলে সে কৌশলে সরে পড়ার চেষ্টা করে। তখন ছাত্রীটিকে আটক করে পুলিশের কাছ সোপর্দ করে তারা। বোয়ালিয়া থানার ওসি আমান উল্লাহ কালের কণ্ঠকে জানান, পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোনে মেসেঞ্জার ইনবক্সে পাওয়া ৩০টি অবকেজটিভ প্রশ্ন হুবহু মিলি গেছে। ফলে ওই ছাত্রীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পাবলিক পরীক্ষা আইনে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে বিকেলেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হস্তক্ষেপে জব্দ হলো প্রশ্নপত্র ফাঁসে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনসেট। এ ঘটনায় এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেরিনা সুলতানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি কেন্দ্রসচিবদের কাছে গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে নিজ অফিসের দিকে ফিরছিলেন। বাগাতিপাড়া পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুই-তিনটি জায়গায় জটলা দেখতে পেয়ে তিনি গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। একটি জটলার কাছে গিয়ে দেখেন, সবাই মোবাইল ফোনে কিছু একটা দেখছে। তিনি ঘটনা জানতে চাইলে সবাই পালিয়ে যায়। এ সময় ফেলে যাওয়া একটি মোবাইল ফোনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণিতের প্রশ্নপত্র দেখতে পান এবং পরে দেখা যায় কেন্দ্রে সরবরাহ করা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে এটি হুবহু মিলে গেছে। ফোনটি পরীক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেন শুভর বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে বহিষ্কার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত আরো একটি স্মার্টফোন পাওয়া গেলেও তাৎক্ষণিক এর মালিককে শনাক্ত করা যায়নি। শুভ উপজেলার দয়ারামপুর এলাকার কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের ছাত্র। ফোনটি তার বাবার কাছে ছিল বলে জানা যায়।
পরীক্ষার্থী শুভর বাবা সাবেক সেনা সদস্য রহমত আলী এবং শুভর ফুফাতো ভাই মাগুরা পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র ও সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বাগমারা এলাকার শাকিল হোসেনকে অভিযুক্ত করে বাগাতিপাড়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। বাগাতিপাড়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে দায়িত্ব অবহেলার জন্য দুই শিক্ষককে আটক এবং ছয় পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহাগ হোসেন জানান, পরীক্ষার্থী প্রণয় দাসের মোবাইলে ‘প্রশ্ন ধারা ৫৩’, ‘এসএসসি এক্সাম ২০১৮ (গণিত)’সহ পাঁচটি মেসেঞ্জার গ্রুপ পাওয়া যায়। মেসেঞ্জার ঘেঁটে দেখা গেছে ‘প্রশ্ন ধারা ৫৩’ থেকে সকাল ৯টায় প্রশ্ন ও সাড়ে ৯টায় ৩০টি এমসিকিউর উত্তর পেয়েছে। এসব প্রশ্ন ও উত্তরগুলো সে ওই দুই ছাত্রকে দিয়েছিল। অন্য ছয় পরীক্ষার্থী উত্তরগুলো মোবাইল থেকে দেখে লিখছিল। পরীক্ষা হলে মোবাইল নিষিদ্ধ হলেও দুই শিক্ষকের সামনেই তারা মোবাইল থেকে উত্তরগুলো লিখছিল। নোয়াপাড়া ময়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আটক প্রণয় দাস জানিয়েছে, মেসেঞ্জার দিয়ে সে প্রশ্ন সংগ্রহ করেছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি আলম চাঁদ জানান, প্রশ্ন ফাঁসে তিন পরীক্ষার্থীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সিলেটে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রসহ মো. দেলোয়ার হোসেন (১৮) নামের এক যুবককে গোয়েন্দা পুলিশ নগরের হাউজিং এস্টেটের আম্বরখানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ এলাকা থেকে আটক করে। দেলোয়ার কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার কলিমপুর গ্রামের মো. হুমায়ুন কবিরের ছেলে এবং সিলেটের মদন মোহন কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। পরে মিলিয়ে দেখা যায়, তার মোবাইলের প্রশ্নপত্রেই গতকাল পরীক্ষা হয়েছে। দেলোয়ারের মোবাইল ফোনে পূর্বে অনুষ্ঠিত বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও পাওয়া যায়। আম্বরখানা ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ দেব জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নরসিংদীর মাধবদীতে মাধবদী এসপি ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মেহেরুন নেসা ও ফরিদা ইয়াসমিন, লাইব্রেরিয়ান অঞ্জন দেবনাথ ও অভিভাবক মোখলেছুর রহমানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। পরীক্ষা চলার সময় শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিনের বাসায় প্রশ্নপত্রের সমাধান করা হচ্ছিল। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম রেজার নেতৃত্বে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে হাতেনাতে ধরা হয়।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশের একটি এসএসসি কেন্দ্রে দুই ঘণ্টা পরে গণিতের রচনামূলক প্রশ্ন পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্র দুটি হচ্ছে ফাতেমা জিন্নাহ বালিকা বিদ্যালয় ও কাসেম মাহাবুব উচ্চ বিদ্যালয়। রচনামূলকে প্রশ্ন সংকটের কারণে পাশের কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ ও ফটোকপি করে ফাতেমা জিন্নাহ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১১টা ১০ মিনিটে এবং কাসেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২টা ৫ মিনিটে পরীক্ষা শুরু করা হয়। ফাতেমা জিন্নাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, কেন্দ্রসচিব মো. ওসমান বলেছেন, বোর্ড থেকে রচনামূলক প্রশ্নের যে পাঁচটি প্যাকেট দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে একটি ছাড়া বাকিগুলোতে অন্য বিষয়ের প্রশ্ন ছিল।
ইউএনও লুৎফর রহমান জানান, প্রশ্নপত্রের গায়ে গণিত লেখা ছিল; কিন্তু প্যাকেট খুলে অন্য প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। এ কারণে অন্য কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে ফটোকপি করতে হয়েছে। তিনি বলেন, প্রায় এক হাজার ১০০ প্রশ্নপত্র সংকট পড়েছিল। এর মধ্যে পাশের কেন্দ্রগুলো থেকে চার শতাধিক সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকিগুলো ফটোকপি করতে হয়েছে। ইউএনও ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘প্রতি কেন্দ্রে কিছু বাড়তি প্রশ্ন যায়। যেমন—কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী আছে ১০৫ জন; কিন্তু প্রশ্ন তো আর পাঁচটি আলাদা করে প্যাকেট হয় না। এ কারণে পুরো এক প্যাকেট প্রশ্ন পাঠানো হয়। অব্যবহৃত প্রশ্নগুলো কেন্দ্রে জমা থাকে। সে ধরনের প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করে চার শতাধিক পাওয়া যায়।’ এসব কাজে লাগানো সম্ভব হয়েছে।
জানা যায়, ফাতেমা জিন্নাহ বালিকা বিদ্যালয়ে ৫৪৩ জন ও কাসেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৫৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে সাতজন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী আছে। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর প্রশ্ন সঠিক পাওয়া গেলেও নিয়মিত এক হাজার ৯৩ জন পরীক্ষার্থীর জন্য প্রশ্ন পাওয়া যায় মাত্র ২১০টি।
এ ছাড়া ফরিদপুরের সালথায় জয়ঝাপ উচ্চ বিদ্যালয় ও সালথা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কর্তব্যরত শিক্ষক নুরুল আমীন ও অঞ্জলি বিশ্বাসকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং নকল করার অভিযোগে তিন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। নওগাঁর বদলগাছী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের মহিলা কলেজ শাখায় এসএসসি গণিত পরীক্ষায় নকল সরবরাহের দায়ে মহিলা কলেজের পিয়ন মোশারফ হোসেনকে হাতেনাতে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট দুই পরীক্ষার্থীকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা বৈকুণ্ঠপুর স্কুলের ছাত্র সৈকত হোসেন ও আছির হোসেন।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার তিন কেন্দ্রে ছয় ছাত্রকে বহিষ্কার এবং খালিয়া রাজারাম ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রের সচিব ও সহকারী সচিবকে পরিবর্তন করা হয়েছে। কেন্দ্রে প্রবেশ করে উত্তরপত্র তৈরির অপরাধে নড়াইলের কালিয়ার এক স্কুলশিক্ষককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সিএমবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক এবাদত হোসেন একই উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
এ ছাড়া গতকাল কুমিল্লার কম্পানিগঞ্জ উপজেলার বদিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখা যায় অভিনব দৃশ্য। অভিভাবকরা বেপরোয়া ভঙ্গিতে বাঁশের খুঁটিতে নকল বেঁধে পৌঁছে দিচ্ছিল পরীক্ষার্থীদের কাছে।
এদিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা পরীক্ষাকেন্দ্রের সহকারী সচিব আমজাদ হোসেন নাহিনকে (৪৫) পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হযেছে। নাহিন বেরাইদেরচালা ধনাই বেপারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। দায়িত্বরত পুলিশ ও কেন্দ্রসচিবের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ১০টা থেকে গণিত পরীক্ষা চলছিল। আধাঘণ্টার এমসিকিউ পরীক্ষাও প্রায় শেষ, ওই সময় পরীক্ষার্থীদের দেওয়ার জন্য সংরক্ষিত বান্ডেল থেকে সৃজনশীলের একটি প্রশ্নপত্র সরিয়ে ফেলেন আমজাদ হোসেন।
পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বরত শ্রীপুর থানার শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শক (পিএসআই) নয়ন ভূইয়া বলেন, প্রশ্ন সরানোর দৃশ্যটি তাঁর চোখে পড়ে। এরপর ওই শিক্ষক কেন্দ্রের বাইরে যেতে চাইলে তাঁকে তিনি অনুসরণ করেন এবং বাইরে গিয়ে প্রশ্নপত্রটি সরবরাহ করার আগেই আটক করেন। পরে অনেকের উপস্থিতিতে দেহ তল্লাশি করে প্যান্টের পকেট থেকে একটি প্রশ্নপত্র উদ্ধার করা হয়। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান বলেন, পরে গুনে দেখা যায় উদ্ধৃত্ত প্রশ্নের মধ্যে একটি কম রয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হেলাল উদ্দিন বলেন, ওই ঘটনায় কেন্দ্রসচিব শাহজাহান সিরাজ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
এই পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল করতে না দেওয়ায় পরীক্ষার পর এক শিক্ষকের ওপর হামলা চালিয়েছে এক পরীক্ষার্থীসহ তার সহযোগীরা। ওই শিক্ষককে ধাওয়াও করা হয় বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে ওই শিক্ষক ছুটে গিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণকক্ষে অবস্থান নেন। ওই শিক্ষকের নাম শাখাওয়াত হোসেন (৩০)। তিনি তেলিহাটী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। কেন্দ্রসচিব শাহজাহান সিরাজ জানিয়েছেন, হামলাকারী টিপু মাওনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে। গতকাল দুপুর থেকেই এ বিষয়ের প্রশ্নের জন্য নানা পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দল এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দল এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আজকের এ সভায় বেশিরভাগ নেতার পক্ষ থেকে যে বিষয়টা এসেছে সে বিষয়টা হচ্ছে দল এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। দেশনেত্রীকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে সমগ্র দেশ আজকে ধিক্কার দিয়েছে। প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরা দেশবাসীকে সেজন্য ধন্যবাদ জানাই। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং সব নেতাকর্মী যারা বাধা, নিষেধ ও নির্যাতনকে উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠক চলাকালে রাত ৮টায় গুলশান কার্যালয় থেকে বেরিয়ে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব জানান, আজকে এ সভা আমাদের দলকে আরো ঐক্যবদ্ধ করবে। আজকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যে বক্তব্য সেটা আরো অনুপ্রাণিত করবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যাওয়ার সময়ই যে কথা বলে গিয়েছেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে গণতন্ত্রের জন্য, গণতন্ত্রেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সভায় বেগম খালেদা জিয়া, যাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় এ অনৈতিক অবৈধ সরকার তাদের একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার জন্য, তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য, মিথ্যা মামলায় পাঁচ বছরে সাজা দিয়েছে। এ সভায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে এবং অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ সভায় রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকা শহরে এবং সারা দেশে এ অনৈতিক অবৈধ সরকার অত্যাচার নিপীড়নের যে স্টিম রোলার চালিয়েছে। নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। নির্যাতন করেছে। তারাও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে কয়েক হাজার গ্রেপ্তার করা হয়েছে, প্রায় তিন হাজার। তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য এবং যে সমস্ত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার করার জন্য জোর দাবি জানানো হয়েছে।

বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, আপনারা সবাই জানেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় থেকে শুরু করে সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করা হয়েছে।

ফখরুল জানান, সভায় আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি এখন লন্ডন থেকে দায়িত্ব পালন করছেন তারেক রহমান সাহেব তার বক্তব্য টেলিফোনের মাধ্যমে জানিয়েছেন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য ফিরিয়ে আনার জন্য একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব দলের অংশগ্রহণের জন্য নিরপেক্ষ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আপনারা ইতিমধ্যে নিশ্চয়ই শুনেছেন আমাদের আজকে পাঁচজন সিনিয়র আইনজীবী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অন্যান্য যারা ছিলেন তারা গিয়েছিলেন। তারা হলেন- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান। তারা কারাগারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা শুনলে বিস্মিত হবেন, তাকে সম্পূর্ণ সলিটারি কনফারমেন্টে রাখা হয়েছে, এবানডেন্ট যে কেন্দ্রীয় কারাগার ছিল যেখানে কেউ বাস করে না এবং ঘর-বাড়ি স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যাচ্ছে, সেই কারাগারে সম্পূর্ণ একা প্রিজনার হিসেবে রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, শুনলে আপনারা বিস্মিত হবেন, ব্যথিত হবে সমগ্র জাতি, তাকে এখন পর্যন্ত কোনো ডিভিশন দেওয়া হয়নি। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করেনি। তিনি তো ৭৩ বছরের একজন বয়স্ক মানুষ। তার যে সর্বক্ষণিক পরিচারিকা জেল কোডের মধ্যে রয়েছে সে সর্বক্ষণিক পরিচারিকাকেও তার সঙ্গে থাকতে দেয়া হয়নি। এ বিষয়গুলো আমরা মনে করি একেবারে অমানবিক।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে তাকে ডিভিশন দিয়ে তার যথাযথ যে মর্যাদার মতো সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় নিয়ম এবং জেল কোডকে ভঙ্গ করার জন্য সরকারকে দায়ী থাকতে হবে।’

এ ছাড়াও সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) আইনজীবীদের মাধ্যমে কোনো বক্তব্য দেননি। আইনজীবী গিয়েছিলেন আইনগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest