সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন সমিতির কঠোর হুশিয়ারীসাতক্ষীরায় শিশু-যুব ও স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালাশ্যামনগরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক সুন্দরবনের ত্রাস সাইফুলসাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি

তালা মাগুরায় কপোতাক্ষের বেড়িবাঁধের মাটি কাটছে সানি ব্রিকস

দেবাশীষ মূখার্জ্জী: মাগুরা ইউনিয়নের বলরামপুরে অবস্থিত সানি ব্রিকস এর নামে কপোতাক্ষের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সহ বাঁধ ও তালা-পাটকেলঘাটার এল,জি ইডির রাস্তার মধ্যবর্তী প্রায় ০২কিঃমিঃ চরাঞ্চালের জমির মাটি কাটা চলছে বছরের পর বছর। সরজমিনে দেখা যায়,স্হানীয় প্রশাসন কে ম্যানেজ করে জমির মালিকদের লোভ ও প্রয়োজনে ভয়ভীতি দেখিয়ে মহামান্য হাই কোর্টের আদেশ অমান্য করে বেড়িবাঁধের নিকটে নদের তলদেশ অধিক পরিমানে বড় বড় দীঘির সৃষ্টি করে মাটি কাটা চলছে। স্থানীয়রা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন সানি ভাটার ম্যানেজার স্থানীয় রবীন পালের নেতৃত্বে মাটি কাটা হয়। এল,জি,ইডির রাস্তার সমুহ ক্ষতি সাধন পূর্বক ট্রলি,মাটি কাটা মেশিন সহ ভারী যানবাহন ওঠানো নামানো করা হয়। স্থানীয়রা আরে জানান ক্ষমতাসীন নেতা ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যনেজ করে এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকলে অল্প বৃষ্টি কিংবা নিন্মচাপ হওয়া মাত্র দুর্বল বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হতে পারে স্থানীয় ০৯ গ্রামের গরীব ও মধ্যবর্ত্তী কৃষকদের ঘাম ঝরানো ইরি বোরো ধান। তাতে সর্বশান্ত হওয়ার আশংকায় হাজারো কৃষক পরিবার। হুমকীর মূখে কাঁচা পাকা রাস্তা সহ কয়েক হাজার পরিবার। এমতব্স্থায় উক্ত রবীন পালের মোবাইল নং যোগাযোগ করলেও মোবাইল রিসিভ হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শুরু হলো ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি

‘আমার ভাই এর রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি ’ রক্তে রাঙানো সেই ফেব্রুয়ারি মাস ভাষা আন্দোলনের মাস শুরু হলো। আজ থেকে ধ্বনিত হবে সেই অমর সঙ্গীতের অমিয় বাণী। বাঙালি জাতি পুরো মাসজুড়ে ভালোবাসা জানাবে ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের।

ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে দুর্বার আন্দোলনে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা এবং আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেরণা। তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন এবং একাত্তরে নয় মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

বস্তুত ফেব্রুয়ারি মাস একদিকে শোকাবহ হলেও অন্যদিকে আছে এর গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। কারণ পৃথিবীর একমাত্র জাতি বাঙালি ভাষার জন্য এ মাসে জীবন দিয়েছিল। আর তাই দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও স্বীকৃত।

একুশের মাসের সবচেয়ে বড় কর্মযজ্ঞ মাসব্যাপী বইমেলা শুরু হচ্ছে কাল থেকে। বাংলা একাডেমিতে বিকেল তিনটায় এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ মাসে আয়োজন করেছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।

‘দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতা ’স্লোগানে কাল পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনের কবিতা উৎসব। প্রতিবছরের মত এবারও উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে। সকালে উৎসবের উদ্বোধন করবেন কবি আসাদ চৌধুরী।

জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত জানিয়েছেন, উৎসবে অতিথি হিসেবে নয় দেশের ১৭ জন কবি অংশগ্রহণ করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবে বার্ষিক সাধারণ সভা

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাবের হলরুমে শেখ সাইফুল বারী সফু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু’র সঞ্চালনায় বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নিয়াজ কওছার তুহিন, শেখ আনোয়ার হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল আলম বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুল, তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম, আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, কোষাধ্যক্ষ কাজী মুজাহিদুল ইসলাম তরুন, দপ্তর সম্পাদক মীর জাহাঙ্গীর হোসেন, নির্বাহী সদস্য শেখ আবু হাবিব, সদস্য জি এম সামসুর রহমান, জিএম আব্দুল বারী, শেখ শামীম উর-রহমান, শেখ লুৎফর রহমান, মনিরুজ্জামান মহসিন, গাজী জাহাঙ্গীর কবীর, ডাঃ কেরামত আলী, অসিত অধিকারী, এসএম গোলাম ফারুক, শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু প্রমুখ। সভায় প্রেসক্লাবের বার্ষিক আয় ও ব্যায়ের হিসাব নিকাশ, সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল, সদস্যদের বকেয়া মাসিক চাঁদা ও নতুন বছরে পত্রিকার পরিচয় পত্র এবং প্রেসক্লাব বিরোধী কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪জন সদস্যের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণসহ আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি প্রেসক্লাবের বার্ষিক বনভোজনসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি কামালকাটি প্রাইমারির প্রধান শিক্ষককে বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

মোস্তাফিজুর রহমান : আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের কামালকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাকিলা খাতুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিকার ও বদলির দাবিতে গণ পিটিশনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানের এসএমসি সদস্য ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরিত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক সাকিলা খাতুন সময়ানুবর্তিতা, মা সমাবেশ, উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীর প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার সাথে কাজ করে থাকেন। সপ্তাহে ২/৩ দিন স্কুল করেন, সময়মত আগমন-প্রস্থান করেন না। শ্রেণি পাঠদান ও পাঠ পর্যবেক্ষণ করেননা। ত্রুটিপূর্ণ পাঠদানের কারণে পাশের হার নি¤œমানের ও অসঙ্গতিপূর্ণ। উপবৃত্তি প্রকল্পের কার্ড, অর্থ বিতরণ, মাসিক হাজিরা নীরিক্ষণের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ গ্রহন করে থাকেন। পাঠ্য বই বিতরনে শিক্ষার্থীদের থেকে পরিবহন ব্যয় বাবদ টাকা আদায়, সরকার প্রদত্ব উন্নয়ন বাজেটের সম্পূর্ণ অর্থ ব্যয় না করে আত্মসাত, আনুসাংগিক বরাদ্দকৃত অর্থে দ্রব্যাদি ক্রয় না করা, অবৈধ ধার্যকৃত পরীক্ষার ফিস দিয়ে আনুসংগিক দ্রব্যাদি ক্রয়, বিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটি থাকা সত্ত্বেও তঞ্চকি কাজ ধরা পড়ার ভয়ে প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভূয়া ম্যানেজিং কমিটির কার্যবিবরণী মাসিক সভায় জমা দান, বিদ্যুৎ বিল ও লেট্রিনের জন্য শিক্ষার্থীদের থেকে প্রতি মাসে ১০ টাকা করে আদায় করার অভিযোগ করা হয়েছে। অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে তাকে অন্যত্র বদলিসহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সাকিলা খাতুন জানান, আনীত অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। শত্রুতা ও আক্রোশমূলকভাবে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে। আমি নিয়মিত স্কুলে যাই, মনিটরিং করি, মা সমাবেশ করি। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা করি। আমি উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারী গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ৪টি পদে সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আকাশ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএম নুর আলম ও অর্থ-সম্পাদক মইনুল ইসলাম নির্বাচনে জয়লাভ করে। দ্বি-বার্ষিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠণের লক্ষ্যে বুধবার সকালে বুধহাটাস্থ আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব কার্যালয়ে ক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আকাশ হোসেন, সুব্রত দাশ, শেখ বাদশা, মইনুল ইসলাম, এমএম নূর আলম, মোখলেছুর রহমান ময়না, শেখ হেদায়তুল ইসলাম, আবু ছালেক, আলমিন হোসেন ছট্টু, উত্তম কুমার দাশ, বাপন মিত্র, তপন বিশ্বাস, সত্য রঞ্জন সরকার প্রমূখ। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আইয়ুব হোসেন রানাকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মাষ্টার সুব্রত দাশ ও শেখ বাদশাকে সহ-সভাপতি, আবু ছালেককে যুগ্ম-সম্পাদক, মোখলেছুর রহমান ময়নাকে দপ্তর সম্পাদক, আলমিন হোসেন ছট্টুকে ক্রীড়া সম্পাদক, বাপন মিত্রকে প্রচার সম্পাদক, শেখ হেদায়েতুল ইসলাম ও সোহরাব হোসেনকে কার্যনির্বাহী সদস্য করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি কমিটি ঘোষনা করা হয়। এ ছাড়া বাহাবুল হাসনাইন, উত্তম কুমার দাশ, আজিজুল ইসলাম, তপন বিশ্ব্সা ও সত্যরঞ্জন সরকারকে সাধারণ সদস্য করে মোট ১৮ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যে ফলের রস কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে

লেবু বা লেবু জাতীয় ফল যেমন মাল্টা, কমলা ইত্যাদির রস কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে আমাদের শরীরকে প্রতিরোধ করে। লেবুর রসে hydroxycitrate (HCA) থাকে, যা আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল গলিয়ে দিতে সাহায্য করে।

এই ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টালের কারণেই মূলত কিডনিতে পাথর হয়।

ইউনিভার্সিটি অব হাউজটনের অধ্যাপক জেফ্রি রিমার জানিয়েছেন, মিনারেল জমে শক্ত হয়ে আমাদের কিডনিতে জমে যায়। একেই আমরা কিডনির পাথর বলে থাকি। উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবিটিস, ওবেসিটি থেকে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। যে কোনও লেবুর রস এই জমাট বাঁধা ক্যালসিয়াম গলিয়ে দিতে সাহায্য করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু; জেলায় পরীক্ষার্থী ২৬ হাজার ৩শ ১৩ জন

এম বেলাল হোসাইন: সারা দেশের ন্যায় আজ থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষা ২০১৮। আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এসএসসি, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা ২০১৮। পরীক্ষা নকলমুক্ত ও পরীক্ষার পরিবেশ সুন্দর করতে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পরীক্ষা কেন্দ্রের ২শ গজের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণরুপের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কেন্দ্র গুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ফোর্স ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ থাকবে। পরীক্ষায় কোন শিক্ষক ও কর্মচারী নকল করতে সহযোগিতা করলে তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষার্থীরা যাতে কোন অবৈধ কাগজপত্র না নিয়ে যেতে পারে সে জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাসী করে কেন্দ্রে ঢোকানো হবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পুর্বে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। যে সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের সন্তান পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করবে সে সকল শিক্ষক ইনভিজিলেটর হিসেবে সেই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেনা। পরীক্ষা আসে পাশে এক কিলোমিটারের মধ্যে সকল ফটোষ্টাট মেশিন পরীক্ষা চলাকালিন সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো অবস্থাতেই কোন শিক্ষক নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। পরীক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্যূুলক ও অশোভন আচরণ করলে কেন্দ্র বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষার্থীদের তাৎক্ষনিক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কেন্দ্র গুলোতে ডাক্তার নিয়োগ থাকবে। পরীক্ষা চলাকালিন কেন্দ্রের পার্শ্বে মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
এবছর সাতক্ষীরা জেলায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৩শ ১৩ জন। পরীক্ষায় জেলায় মোট ২৩ টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৫৪৩ জন। এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২ শত ১৭ জন এবং দাখিল পরীক্ষার ১১টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ৫শ ৫৩ জন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সাতক্ষীরা টাউন গার্লস মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২শ ৫৭ জন। সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সাতক্ষীরা পিএন স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১ শ ৩৩ জন। নবারুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭শ ৯০ জন। এসএসসি ভোকেশনাল সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ এবং সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ শ ৯৫ জন। দাখিল পরীক্ষায় সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২ শ ৪৬ জন।
কলারোয়া উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলারোয়া গার্লস পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৭ জন। সোনাবাড়িয়া মাধ্যমিক সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সোনার বাংলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬’শ ৪৭ জন। খোর্দ্দ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও খোর্দ্দ সালেহা হক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ শ ৮৭ জন। কলারোয়া গার্লস পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ শ ৩১ জন। এসএসসি ভোকেশনাল কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলারোয়া সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ শ ৭৭ জন। দাখিল পরীক্ষায় কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসা ও কলারোয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ শ ৩১ জন।
তালা উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় তালা সরকারি বি,দে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও শহীদ আলী আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৩শ ৬৩ জন। কুমিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কুমিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬শ ৩৬ জন। খলীষখালী মাগুরা এসসি কলেজিয়েট ইনস্টিটিউট ও ৪২ নং বালিয়াদহ সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ শ ২২ জন। আমিরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কুমিরা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ শ ৬৪ জন। এসএসসি ভোকেশনাল কুমিরা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কুমিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১শ ৫১ জন। দাখিল পরীক্ষায় তালা আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শ ৮৩ জন। পাটকেলঘাটা আল আমিন ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শ ৫৮ জন।
আশাশুনি উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় আশাশুনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আশাশুনি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১শ ১৮ জন। দরগাপুর এস কে আর এইচ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দরগাপুর সিদ্দিকিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬শ ৯ জন। বুধহাটা বিবিএম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বুধহাটা কওছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ শ ১১ জন। বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬শ ১১ জন। এসএসসি ভোকেশনাল সুন্দরবন টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ ও আশাশুনি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯জন। দাখিল পরীক্ষায় আশাশুনি দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫শ ৪০ জন। গুনাকরকাটি আজিজিয়া খাইরিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২শ ৬৬জন।
কালিগঞ্জ উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কালিগঞ্জ পাইলট গার্লস মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৫শ ৬২ জন। নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নলতা গার্লস মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬শ ৭২জন। চাম্পাফুল আঃপ্রঃচঃ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চাম্পাফুল সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪শ ৮২ জন। এসএসসি ভোকেশনাল কালিগঞ্জ পাইলট কমিউনিটি হাইস্কুল ও কালিগঞ্জ সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১শ ৯৫জন। দাখিল পরীক্ষায় কালিগঞ্জ নাছরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪শ ৩ জন এবং নলতা আহছানিয়া দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ শ ৪৭ জন। দেবহাটা উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় দেবহাটা বিবিএমপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দেবহাটা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫শ ৮১ জন। পারুলিয়া এসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পারুলিয়া গার্লস মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭শ ৪ জন। এসএসসি ভোকেশনাল আহছানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও হাদিপুর জগন্নাথপুর দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯০ জন এবং দাখিল পরীক্ষায় সখিপুর দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২শ ৫৩ জন। শ্যামনগর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় নকিপুর এইচ,সি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও শ্যামনগর সরকারি মহসীন কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১ শ ৪৩ জন। নওয়াবেকী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ছফিরুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ শ ৪৯ জন। নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬শ ৮৪ জন। এসএসসি ভোকেশনাল নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও শ্যামনগর সরকারি শিশু শিক্ষা নিকেতন কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯০ জন। দাখিল পরীক্ষায় শ্যামনগর কেন্দ্রিয় মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬শ ৭৫ জন এবং নওয়াবেকী বিড়ালক্ষী কাদেরিয়া সিনিয়র মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪শ ৫১ জন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চির বিদায় নিলেন গোয়ালডাঙ্গা ফকিরবাগড় স্কুলের সোমনাথ মন্ডল

বড়দল (আশাশুনি) প্রতিনিধি: এ বিদায় চিরবিদায় নয়, এ বিদায় খনিকের বিদায়, গত রবিবার ২০১৮ সালের স্কুলে এস,এস,সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য কথাগুলো বলেছিলেন আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা ফকিরবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সোমনাথ মন্ডল (৪৫)। কিন্তু বক্তৃতা রাখা কালীন তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে এভাবে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের কাঁদিয়ে চির বিদায় নিবেন এটায় হয়তো তার কপালে লেখা ছিল। বুধবার ভোর ৫ টায় খুলনা গাজী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। দুপুর ১২ টায় তার লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স বিদ্যালয়ে চত্বরে এসে পৌছালে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয় তাকে শেষ এক নজর দেখার জন্য হাজার হাজার জনগনের সমাগম ঘটে এবং ফুলদিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানায়। মৃত্যু কালে স্ত্রী, এক পুত্র, এক কণ্যা সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। বিকাল ৫ টায় বুড়িয়া শ্মশান ঘাটে তার শেষ কৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ উপলক্ষে গোয়ালডাঙ্গা ফকিরবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest