সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন সমিতির কঠোর হুশিয়ারীসাতক্ষীরায় শিশু-যুব ও স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালাশ্যামনগরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক সুন্দরবনের ত্রাস সাইফুলসাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি

গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি

গ্রেফতার আতঙ্কে এখন ঘরছাড়া অবস্থায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ৮ ফেব্রুয়ারি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ মামলার রায়কে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপিতে। এদিকে গত রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ছাড়া এরই মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৫৫ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। গত রাতে মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ ছয় নেতা-কর্মীকে।

বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের মাঠপর্যায়ের প্রায় ২৭৫ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে। দলের আরেক প্রবীণ স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতার বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্র জানায়, দেশব্যাপী বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৭৮ হাজার ৩২৩। আর আসামির সংখ্যা ৭ লাখ ৮৩ হাজার ২৩৮ জন। এ সরকারের সময়ে তাদের ৭৪৭ জন নেতা-কর্মী অপহূত হয়েছেন; সরাসরি ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে খুন’ হয়েছেন ৫২০ জন; ১৫৭ জন এখনো নিখোঁজ। গত দুই দিনে নতুন করে চার মামলায় ৯০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে অজ্ঞাত আসামিই বেশি। ফলে গাঢাকা দিয়েছেন মধ্যসারি ও নিম্নস্তরের নেতা-কর্মীরা। অনেকেই বন্ধ রেখেছেন নিজের সেলফোন। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার এড়িয়ে চলার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৮ ফেব্রুয়ারি শান্তিপূর্ণভাবে আদালত পাড়ায় নেতা-কর্মীদের অবস্থান নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি। দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে তিনি শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের এই নির্দেশনা দেন। ঢাকাসহ সারা দেশের সাংগঠনিক ইউনিটগুলোতে একই বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করছে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা ৮ ফেব্রুয়ারি শান্তিপূর্ণভাবে আদালতে যেতে চায়। কিন্তু সরকার সেটা মেনে নিতে পারছে না। উদ্দেশ্য একটাই, আগামী নির্বাচনকে একতরফা করা। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসনকে জেলে নিয়ে কিংবা সাজা দিয়েও বিএনপিকে দমাতে পারবে না। কোনো কারণে বেগম জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে সেই নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। ওই নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যও হবে না।’

গত মঙ্গলবার বকশীবাজারে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে ৯০০ নেতা-কর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে। যাদেরকে নতুনভাবে আটক করা হচ্ছে, তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ অন্যান্যদের ওই মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা আশঙ্কা করছেন, আটক হলে তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে। পুলিশের ওপর আক্রমণের মামলার ধারাও জটিল বলে মনে করেন তারা। তাই গতকাল বিশেষ আদালতে খালেদা জিয়ার হাজিরা থাকলেও নেতা-কর্মীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, গত দুই দিনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সহসম্পাদক, ছাত্রদলের সহগণসংযোগ সম্পাদক আমজাদ হোসেন চৌধুরী শাহাদাত, যুব দলের সাবেক সহসম্পাদক গাজী হাবিব হাসান রিন্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা মহিলা দলের সভাপতি বেগম রাজিয়া আলিম, সাবেক যুবনেতা আবদুজ জব্বার, যুবদল নেতা মো. রুবেল, মো. হানিফ, দুলাল, মামুন আহম্মেদ, রাকিব আকন্দ, হোসনা, পারভিন, দিথি, লায়লা, জাকিয়া, মাহফুজুর রহমান চেয়ারম্যান, ফরিদ উদ্দিন জুয়েল, শাহ আলম, মাহবুব খান, সোকন মিয়া, মিন্নাত আলী, ইব্রাহিম, আমিনুর রহমান প্রমুখ। গতকালও বকশীবাজার থেকে কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। রাতে তল্লাশি চালানো হয়েছে নেতাদের বাসায় বাসায়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘৮ ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে সরকার এক অশুভ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। গণগ্রেফতার সরকারের ভয়ঙ্কর অশুভ পরিকল্পনার অংশ। সরকার ভাবছে, গ্রেফতার করে দেশের মানুষ ও জাতীয়তাবাদী শক্তি ভয় পেয়ে যাবে, আতঙ্কগ্রস্ত হবে। এই গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশ আরও বেশি ক্ষোভে-বিক্ষোভে ফেটে পড়বে।’

সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশি অভিযান চালায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানের বাসায়। গতকাল সকালে জিনজিরা যুব দলের সভাপতি মামুনের বাসায় পুলিশ তল্লাশি করে। এভাবে তল্লাশি ও আটকের ফলে দেশব্যাপী গ্রেফতার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বিএনপিতে। আটকের ঘটনার পর গতকাল অনেক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনও বন্ধ রেখেছেন অনেকে। বন্ধ পাওয়া গেছে বিএনপি নেতাদের পিএসদের নম্বরও।

এদিকে কয়েক দিনের তুলনায় গতকাল সকাল থেকে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও নেতা-কর্মীদের আনাগোনা কম ছিল। আর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। দুই দিন ধরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তাকে ছাড়াও গুটি কয়েক নেতা-কর্মীও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থাকছেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কারাগারে, ৫৫ নেতা-কর্মী রিমান্ডে : গ্রেফতারের পরদিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে আনা হয়। তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এ ছাড়া রাজধানীতে মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও প্রিজন ভ্যানের তালা ভেঙে দুই কর্মীকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার পৃথক চার মামলায় বিএনপির ৫৫ জন নেতা-কর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকার মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে রমনা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি। আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন বলেই গয়েশ্বর চন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

শাহবাগ ও রমনা থানায় দায়ের হওয়া পৃথক চার মামলার অন্য আসামিদের পক্ষে বিএনপির আইন সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়াসহ বিএনপিপন্থি চারজন আইনজীবী আদালতকে বলেন, পুলিশের ওপর বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালাননি। বরং পুলিশ নিজের লোক দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। যাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে, তাদের কারও বিরুদ্ধেই সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনতে পারেনি পুলিশ।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেন, আসামিদের মধ্যে কয়েকজন আছেন, যারা বৃদ্ধ। গতকালের হামলার ঘটনার সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন থানা ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করছে। তারই অংশ হিসেবে দু-তিন দিন আগে এসব আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গতকাল এ ঘটনা ঘটিয়ে তাদের এই মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি সাজ্জাদুল হক আদালতে বলেন, আসামিরা পুলিশকে হত্যার উদ্দেশেই ইটপাটকেল ছুড়ে আক্রমণ করেছে। নাশকতা চালিয়েছে। কেন পুলিশের ওপর এই আক্রমণ এবং কোন নেতারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন— তা খুঁজে বের করার জন্য এই আসামিদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেয়। আদালত সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় পৃথক দুই মামলায় ১৮ জনকে দুই দিন করে এবং রমনা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় ৩৫ জনকে দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। সাবেক মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলামকে তিন দিন এবং কেন্দ্রীয় নেতা আনিসুর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হার্ড লাইনে সরকার

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার আগেই হঠাৎ মারমুখী বিএনপিকে প্রতিহত করতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। সহিংসতা বন্ধসহ সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে সরকার জিরো টলারেন্সে থাকবে। তালিকা অনুযায়ী আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো দেশজুড়ে অভিযান পরিচালনা করবে। পুরনো মামলা সচলসহ সহিংসতা করলেই আন্দোলনকারী ও হুকুমদাতাদের গ্রেফতার করা হবে। পাশাপাশি রাজপথে সক্রিয় থেকে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলারও সিদ্ধান্ত আছে আওয়ামী লীগের। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সরকার ও আওয়ামী লীগের এ অবস্থান থাকবে। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রমতে, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজপথ নিজেদের দখলে রেখে নির্বাচনী প্রস্তুতি সারতে চায় সরকার। সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাজা হবে। এ মামলায় সাজা হওয়ার মতো সব রকম প্রমাণাদি আছে বলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা তাদের অবহিত করেছেন। সাজা হলে বিএনপি আন্দোলনের মরণ কামড় দেবে। গত মঙ্গলবার হাই কোর্টের সামনে দলটি সেই শক্তি দেখিয়েছে। পুলিশের গাড়ি ভেঙে আটককৃতদের ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ আদালত এলাকাসহ শাহবাগ, প্রেস ক্লাব, মত্স্য ভবনসহ বিভিন্ন জায়গায় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি সেদিন রাজপথ দখলে রাখবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা, সন্ত্রাস নৈরাজ্য কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। যারাই সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শান্তি ও স্থিতিশীলতা অবস্থা বজায় রাখতে যা যা করণীয় তা-ই করা হবে। গতকাল মহানগর নাট্যমঞ্চে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উসকানি না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা কোনো উসকানি দেব না, কিন্তু আক্রমণ হলে সমুচিত জবাব দেব। সে জন্য প্রস্তুত হোন, মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন।’ সূত্রমতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সরকারবিরোধী আন্দোলনকে মাথায় রেখে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী নেতাদের মামলাগুলোও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সেসব মামলার ভিত্তি কতটা শক্তিশালী তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যখনই বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামবে তখনই সরকার বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা পুরনো মামলায় গ্রেফতার করা হবে। পাশাপাশি নতুন মামলায়ও গ্রেফতার করা হবে সামনের সারির নেতাদের। ইতিমধ্যে পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামী ৮ তারিখ পর্যন্ত ধরপাকড় আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, যেসব এলাকায় বিএনপি-জামায়াত তাণ্ডব চালাতে পারে সে এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। যেসব নেতাকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে হুমকি মনে করা হবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, আমরা সরকারে আছি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। কেউ যদি আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারাই আইন ভঙ্গ করবে তাদেরই শাস্তি পেতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গণতন্ত্র সূচকে আট ধাপ অবনতি, বিশ্বে ৯২তম বাংলাদেশ

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)-এর গণতন্ত্রের সূচকে বছরখানেক আগের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। সংস্থাটির দৃষ্টিতে এক ধাক্কায় আট ধাপ নিচে নেমেছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অবস্থান। ২০১৬ সালে ইআইইউ-এর গণতন্ত্রের সূচকে ১০ এর মধ্যে ৫ দশমিক ৭৩ নম্বর পেয়ে বিশ্বে ৮৪তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ ২০১৭ সালে ৫ দশমিক ৪৩ নম্বর পেয়ে এসেছে ৯২তম অবস্থানে। গতকাল লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গণতন্ত্রের সূচকে এই তথ্য দেওয়া হয়। আগের বছরের মতো এবারও সূচকে বাংলাদেশকে ‘হাইব্রিড রেজিম’ বিভাগে রাখা হয়েছে। ২০১৭ সালের বৈশ্বিক সূচকে আবারও শীর্ষস্থান অধিকার করেছে নরওয়ে। আর সূচকে সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে উত্তর কোরিয়া। গড় হিসাবে এশিয়ার দেশগুলো ২০১৭ সালে পেয়েছে ৫.৬৩ নম্বর। যদিও বিশ্বের গড় হিসাব ২০১৬ সালের ৫.৫২ থেকে কমে নেমেছে ৫.৪৮ এ। ইআইইউ হচ্ছে দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান দ্য ইকোনমিস্ট গ্রুপের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ। ২০০৬ সাল থেকে শুরু হওয়া এই গণতন্ত্রের সূচকে দেখা যায় ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কমে একেবারে নিম্ন পর্যায়ে এসেছে। কেননা, উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও সংবাদমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলে সূচক পতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়। ২০১৭ সালে ‘সারা বিশ্বে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’ বিভাগে দেখা যায় মাত্র ৩০টি দেশের জনগণ সংবাদমাধ্যমের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ ভোগ করেন। তারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শতকরা ১১ ভাগ। অন্যদিকে, ৪৭টি দেশের জনগণ, যারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৩৫.৯ ভাগ, ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা’ ভোগ করতে পারেন না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অসম প্রেম ও বিয়ের গল্পে শ্রীলেখা!

টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। বাংলা কমেডি শো মীরাক্কেল এর বিচারক হিসেবে তিনি বেশ জনপ্রিয়। ৪৬ বছর বয়সে এসেও রুপালি পর্দায় রীতিমতো ঝড় তুলছেন এ অভিনেত্রী।সম্প্রতি সব্যসাচী ভৌমিক পরিচালিত শর্ট ফিল্ম ‘লকড’ এ তিনি অভিনয় করেছেন।

‘লকড’ এর গল্পে দেখা যাবে, বিবাহবার্ষিকীর দিন সকালে স্বামী-স্ত্রী আবিষ্কার করেন, তারা ঘরের ভিতর লকড হয়ে পড়েছেন। অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও বাইরে বের হতে পারছেন না। ধৈর্য হারিয়ে একটা সময়ের পর তারা দুজন একে অন্যকে দোষারোপ করতে শুরু করেন। বয়সের অসম প্রেম ও সেই দাম্পত্যের দাঁত-নখগুলো ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে। বিবাহবার্ষিকীর সকালের মানেটা ক্রমশই পাল্টে যেতে থাকে।

প্রায় ২০ মিনিটের এই ছবিতে মাত্র দুটি চরিত্র। একজন শ্রীলেখা মিত্র এবং তার অল্প বয়সী স্বামীর চরিত্রে রয়েছেন শঙ্খদীপ রায়।

ছবিটি নিয়ে বেশ আশাবাদী শ্রীলেখা। তিনি বলেন, ‘স্ক্রিপ্ট পড়েই ছবিটা নিয়ে আগ্রহী হয়ে পড়েছিলাম। অনেক ক্ষেত্রে বিয়ের আড়ালেও কিছু ভণ্ডামি লুকিয়ে থাকে, এই ছবি সেগুলোর সামনে একটা আয়না তুলে ধরবে। গল্পটা পছন্দ হতেই তাই রাজি হয়ে যাই।’

ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি নাগাদ ‘লকড’ ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ইউটিউবে বা অন্য কোনও চ্যানেলে মুক্তির আগে এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিকে বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন পরিচালক সব্যসাচী ভৌমিক। এ বছরের শেষের দিকে ‘লকড’ মুক্তি পাবে বলেও তিনি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আবদুল হামিদই দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মো. আবদুল হামিদকেই প্রার্থী করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির সংসদীয় বোর্ড বুধবার রাতে তাকে মনোনীত করেছে। জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই হবেন দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি। ফলে দ্বিতীয় মেয়াদে মো. আবদুল হামিদই রাষ্ট্রপতি থাকছেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভা শুরু হয়। শেষ হয় রাত পৌনে ৯টায়। সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আবদুল হামিদের নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আর এতে সমর্থন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এরপর সভায় উপস্থিত সদস্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে আবদুল হামিদকেই আগামী মেয়াদের জন্য প্রার্থী করা হয়।

যে কারণে প্রার্থী করা হলো তাকে

দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ চায় ক্ষমতার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে। নির্বাচনকালীন সরকারে প্রধানমন্ত্রী শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবেন। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কোনো ক্ষমতা থাকবে না। এ সময় রাষ্ট্রপতির পদটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো রাষ্ট্রপতির অধীনে। ফলে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত সৈনিক। এ কারণে তাকেই প্রার্থী করা হয়েছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আবদুল হামিদই ২১তম রাষ্ট্রপতি

আগের নির্বাচনগুলো পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯৯১ সালের পর সব রাষ্ট্রপতিই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও সরকারি দলের মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এ কারণ দলটির মনোনীত প্রার্থীই হবেন দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি।

আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে দুবার দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। তার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিলে।

তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। সে হিসেবে তফসিল ঘোষণা করে ইসি।

যদিও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করার কথা ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি। এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ছিল। মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাইয়ের সময় ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি। ১৮ ফেব্রুয়ারি ছিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাংবাদিক কাজী মামুনের মেয়ে বৃত্তি পেয়েছে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাংবাদিক কাজী জামাল উদ্দীন মামুনের মেয়ে কাজী জান্নাত আরা সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন আয়োজিত বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বৃত্তি পেয়েছে। কাজী জান্নাত আরা সী ব্রীজ কিন্ডার গার্টেনে বর্ষিক পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে সকলের দোয়া প্রার্থী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি যুব মহিলালীগের সভাপতি সীমা সম্পাদক শিম্মি

আশাশুনি ব্যুরো: বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ আশাশুনি উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি সীমা পারভিন ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শামীমা পারভীন শিম্মি।
সাতক্ষীরা জেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি ফারহা দিবা খান সাথী ও সাধারণ সম্পাদক সাবিহা হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে ঘোষিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি আনজুমান আরা জুই, রুবাইয়া পারভীন, মাহফুজা খাতুন, সাহারা বান তোহরা উশা, মর্জিনা খাতুন, শম্পা হালদার ও সাজেদা খাতুন, যুগ্ম-সম্পাদক রেবেকা সুলতানা, হেনা বেগম ও তাছলিমা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমা খাতুন, মিনারা খাতুন, রোজিনা খাতুন ময়না, প্রতিমা গোলদার ও ফারহানা আক্তার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাহেরা খাতুন, দপ্তর সম্পাদক আবেদা খাতুন, অর্থ সম্পাদক হাফিজা খাতুন, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক শিউলি আক্তার, ত্রাণ সম্পাদক নাসিমা খাতুন, সমাজ কল্যাণ মাছুরা, সাংস্কৃতিক মলিনা চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ জান্নাতুল ফেরদাউস, তথ্য ও গবেষণা নমিতা রানী, মুক্তিযুদ্দা বিষয়ক শাবেত্রী হালদার, ক্রীড়া মমতাজ বেগম,ধর্ম বিষয়ক অনিমা সরকার, মহিলা উন্নয়ন খাদিজা বেগমসহ ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আরব বিশ্বের প্রথম নারী কুস্তিগির সাদিয়া

সাদিয়া বেসিসো। জর্দানের আম্মানের বাসিন্দা। তার প্রথম পরিচয় তিনি একজন টিভি উপস্থাপক। কিন্তু উপস্থাপনার গণ্ডি পেরিয়ে মার্শাল আর্ট। আর এখন রীতিমতো পেশাদার কুস্তিগির (রেসলার) হিসেবে নাম লিখিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিনোদন প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টে (ডব্লিউডব্লিউই) কুস্তি লড়তে হাজির হন সাদিয়া। যা তাকে প্রথম আরব নারী কুস্তিগিরের খেতাব এনে দিয়েছে।

গত সোমবার ডব্লিউডব্লিউইতে যুক্ত হন পেশাদার মার্শাল আর্টের অ্যাথলেট সাদিয়া। ৩১ বছর বয়সী এ জর্ডানি নারী ২০১৪ সালে মার্শাল আর্ট শুরু করেন। বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। স্বীকৃতি স্বরূপ ডোরাকাটা নীল বেল্টও পেয়েছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে সাদিয়া জানান, তিনি বিভিন্ন শোতে উইমেন সুপারস্টার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তাঁর প্রত্যাশা, মার্শাল আর্ট ও টিভি উপস্থাপনায় ডব্লিউডব্লিউই তাঁর সুযোগকে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারবে।

তিনি আরও জানান, রিংয়ের ভেতরে কুস্তি লড়তে তাঁর আরও দুই বছর সময় লাগতে পারে। তবে তিনি কতটা ভালো কাজ করছেন, তার ওপর বিষয়টা নির্ভর করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest