সর্বশেষ সংবাদ-
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

দেবহাটায় স্বাড়ম্বরে সরস্বতী পূজা উদযাপিত

দেবহাটা ব্যুরো: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যা ও সংগীতের দেবী সরস্বতী। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। শ্রীপঞ্চমীর দিনে খুব ভোরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছাত্র-ছাত্রীদের নিজ গৃহ ও সার্বজনীন পূজামন্ডপে দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়। দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন বাসভবন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেবহাটা উপজেলা ফুটবল মাঠ সরস্বতী পূজা উদযাপন কমিটির আয়োজনে ফুটবল মাঠে সোমবার সরস্বতী পূজা স্বাড়ম্বরভাবে পালিত হয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ফুটবল মাঠে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হয়। মন্ত্র উচ্চারণ করে দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ, আরতি আরাধনা, প্রসাদ আস্বাদন ও নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাণী অর্চনা করা হয়। সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে দেবহাটার হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। দেবহাটা ফুটবল মাঠ পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ রামকৃঞ্চ দত্ত, বরুন সোম, অনিক দত্ত, বিশ^জিৎ আচার্য্য, গৌরাঙ্গ ঘোষ, গোপাল গোস্বামী, সুদীপ্ত মন্ডল, অর্পন দত্ত সহ সকল নেতৃবৃন্দের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং পরিচালনায় অত্যন্ত সুন্দরভাবে সকল অনুষ্ঠানমালা উদযাপিত হয়েছে। এছাড়া সন্ধ্যায় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃবৃন্দ জানান, বিদ্যার দেবী স্বরস্বতীকে বরন করার জন্য কমিটির উদ্যোগে জাঁকজমকপূর্নভাবে স্বরস্বতী পূজা উদযাপন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ভুয়া এনজিও’র মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৩ প্রতারক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় আল বারাকা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামে এক ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে চাকুরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার বিকাল সাড়ে চার টার দিকে শহরের পল্লীমঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে একটি ভাড়া বাড়িতে ওই ভুয়া এনজিও অফিসে হানা দিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চকদুয়ারি গ্রামের নবাব আলির ছেলে ইয়াছিন খান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দামারপোতা গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে বায়েজিদ বোস্তামিসহ তিন জন।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার জানান, সাতক্ষীরায় বেকার যুবক যুবতীরদের কাছ থেকে চাকুরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আল বারাকা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি ভুয়া এনজিও। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুরাতন সাতক্ষীরায় জনৈক মামুনের বাড়িতে ভাড়া নেয়া ওই এনজিও অফিসে অভিযান চালানো হয় এবং তিন প্রতারককে আটক করা হয়। এ সময় চাকুরি দেওয়ার নাম করে তৈরী করা ভুয়া নিয়োগপত্র, আইডি কার্ড, ছবি ও চেয়ার টেবিল জব্দ করা হয়। তিনি আরো জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধো বিস্তারিত জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেবের সাড়ে ৪ কোটি টাকার বাড়ি !

ন্যাশনাল ডেস্ক: রাজধানীর বছিলা রোডে সাত তলা বাড়ি বানাচ্ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন। পশ্চিম ধানমন্ডির বি ব্লকের ৪ নং রোডের ২৬ নম্বর প্লটে নির্মাণাধীন বাড়িটিই তার। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্মাণাধীন এই বাড়িটি এখন যে অবস্থায় আছে জমিসহ সেটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। বাড়িটি সম্পন্ন করতে আরও লাগবে অন্তত ১ কোটি টাকা।
বছিলা রোডের ওই বাড়িটিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটি দুটি ইউনিটের। প্রতি ইউনিটে দুটি বেডরুম, একটি ডাইনিং রুম, দুটি বাথরুম এবং দুটি বারান্দা রয়েছে। সিঁড়িসহ লিফটের পজিশনও রয়েছে। একদম নিচতলায় গ্যারেজের জন্য জায়গা রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র দোতলায় দুটি ইউনিট সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি তলাগুলো খালি পড়ে আছে। কক্ষের দেয়াল তোলাসহ বাকি কাজ সম্পন্ন করা হয়নি।
মোতালেব হোসেনের প্লটটির উত্তর পাশেই বাস করেন একটি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আতাউল্লাহ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোতালেব হোসেনের এই বাড়িটি ৩ কাঠা জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০০৪ সালে মোতালেব হোসেন ৩ কাঠা জমি কিনেছিলেন ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। তখন প্রতি কাঠা জমির দাম ছিল ৯০ হাজার টাকা। মোতালেব হোসেন, জামাল উদ্দিন এবং এক মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আতাউল্লাহসহ আরও কয়েকজন মিলে একই দাগে সর্বমোট জমি কিনেছিলেন ১৫ কাঠা। এর মধ্যে মোতালেব হোসেন কিনেছিলেন ৩ কাঠা, আতাউল্লাহ ৪ কাঠা, জামাল উদ্দিনের ৪ কাঠা এবং বাকিরা মিলে আরও ৪ কাঠা জমি কিনেছিলেন।
আতাউল্লাহ বলেন, ‘মোতালেব হোসেনের বাড়িটিতে ৭ তলা ফাউন্ডেশন দেওয়া হয়েছে। তিনি বাড়িটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন অন্তত এক বছর আগে। বাড়িটিতে ইতোমধ্যে আনুমানিক খরচ হয়েছে দেড় কোটি টাকা। আরও অন্তত এক কোটি টাকা খরচ করতে হবে বাড়িটি সম্পন্ন করতে।’
স্থানীয়রা জানান, এই এলাকার বর্তমান বাজার মূল্য প্রতিকাঠা জমি ৬০ লাখ টাকা। সে হিসেবে মোতালেবের ৩ কাঠা জমির দাম বর্তমানে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, মোতালেব প্রায়ই বাড়িটিতে আসতেন। নির্মাণকাজের খোঁজখবর নিতেন। তিনি কখনও প্রাইভেট কারে, কখনও রিকশায় চড়ে আসতেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে জানা গেছে, দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে ১০ম গ্রেডে সরকারি বেতন পেতেন শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন। তার মূলবেতন ২৮ হাজার ১০০ টাকা। বাড়িভাড়াসহ বিভিন্ন খাতে কেটে নেওয়ার পর বর্তমানে মাসে মোট ১৩ হাজার ৮৮ টাকা উত্তোলন করেন তিনি। তার ব্যাংক লোন আছে ৬ লাখ টাকা। এ কারণে তার এমন কোটি টাকার ভবন নির্মাণ বিস্ময়কর বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে মোতালেব হোসেনের এত সম্পদের পেছনে বড় ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু তিনি সরকারি কর্মকর্তা, সেহেতু তার সম্পদের বিষয়ে ভালো করে তদন্ত করতে হবে। মন্ত্রণালয়কেই এ বিষয়ে কাজ করতে হবে। তাছাড়া একজন দুর্নীতিবাজ কখনোই এককভাবে দুর্নীতি করতে পারে না। তার সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। এটা তদন্ত করে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জনি নিখোঁজ; চরম অবহেলা ছিল সাতক্ষীরার পুলিশের -পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কুখরালীর শেখ মোখলেছুর রহমান জনির ‘নিখোঁজের’ ঘটনায় থানায় মামলা বা জিডি না নেওয়ায় জেলার সদর থানার পুলিশ দায়িত্ব পালনে চরম অদক্ষতা ও অবহেলা দেখিয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। পিবিআই বলছে, এটা শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য মোটেই কাম্য নয়।
পিবিআইয়ের প্রতিবেদনটি রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়েছে। জনি নিখোঁজের ঘটনা পিবিআইয়ের মাধ্যমে তদন্ত করতে গত বছরের ১৬ জুলাই নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট জনি ‘নিখোঁজ’ হন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস বলেন, পিবিআইয়ের প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়েছে। আদালত আজ মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
পিবিআইয়ের প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে দায় এড়াতে পারে না। কেননা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে গ্রেপ্তার করলে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর কর্তব্য যথাসময়ে তাকে আদালতে উপস্থাপন করা। আর কোনো অপরাধী চক্র করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব ভিকটিম ও অপরাধী চক্র উভয়কে খুঁজে বের করে আদালতে উপস্থাপন করা। অন্যথায় এ ধরনের অভিযোগ মিথ্যা কিংবা বানোয়াট হলে তা প্রমাণ করার দায়িত্বও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর বর্তায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাতক্ষীরা জেলার সদর থানা-পুলিশের তৎকালীন ওসি মো. এমদাদুল হক শেখ ও এসআই হিমেল এবং পরবর্তীকালে ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লাসহ অন্যরা তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করায় নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা উদ্ঘাটিত হয়নি। উল্টো পুলিশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণœ হয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে পিবিআই।
পিবিআই বলছে, জনির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত, নাকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কোনো অপরাধী চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা প্রমাণ করা যায়নি। তা ছাড়া তৎকালীন ওসি মো. এমদাদুল হক শেখের পরবর্তী ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা তাঁর সময়কালে অভিযোগের বিষয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনির প্রকৃত অবস্থান জানার একটি সুযোগ নষ্ট হয়েছে।
প্রতিবেদনের পর্যালোচনায় বলা হয়, থানায় রক্ষিত সকল রেজিস্ট্রার পর্যালোচনাকালেও থানা হেফাজতে ভিকটিমকে রাখার বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যায় না। ফলে ওই এসআই হিমেল জনিকে গ্রেপ্তারপূর্বক থানা হেফাজতে রাখার বিষয়টি অস্পষ্ট। কোনো নিরপেক্ষ সাক্ষী বলেনি জনিকে থানায় ধরে আনা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জনির খোঁজ না পেয়ে তাঁর স্ত্রী জেসমিন নাহার গত ২ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৬ মার্চ হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি নিখোঁজ ব্যক্তির বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে ব্যাখ্যা জানাতে নির্দেশ দেন। এরপর প্রতিবেদন জমা পড়ে। এতে বলা হয়, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আদালত বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুসারে সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হাবিবুল্লাহ মাহমুদকে ঘটনা তদন্ত করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ কর্তৃক জনিকে গ্রেপ্তার ও তিন দিন পর্যন্ত থানায় আটকে রেখে পরবর্তীকালে অস্বীকারের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
এর আগে জনির স্ত্রী জেসমিন নাহার বলেছিলেন, ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাঁর স্বামী মোখলেছুরেকে আটক করেন সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক হিমেল হোসেন। ওই রাতে তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি করে সদর থানা-পুলিশ। ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট থানায় গিয়ে তিনি স্বামীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে খাবার দিয়ে আসেন। ৮ আগস্ট থানায় গিয়ে তিনি স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। থানা থেকে বলা হয়, মোখলেছুর রহমান জনি নামে থানায় কেউ নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজ দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া কাল মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে না। এখনো মিয়ানমার-বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন নিয়ে অনেক কাজই বাকি আছে।

নাফ নদের তীরে প্রত্যাবাসনের জন্য এখনো কোনো স্থান যেমন নির্ধারণ করা যায়নি তেমনি ট্রানজিট পয়েন্টগুলোতে এখন পর্যন্ত একটি তাঁবু পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়নি। তবে বাংলাদেশের পক্ষে প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রস্তুতিমূলক কাজ চালানো হচ্ছে দ্রুত। যেকোনো সময় প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু করা হবে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত কাজ সম্পাদনে গঠিত যাচাই-বাছাই কারিগরি (টেকনিক্যাল) কমিটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ১৫ জানুয়ারি মিয়ানমারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সম্পাদিত চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে। মিয়ানমারে এই চুক্তি সম্পাদনের পর থেকেই বাংলাদেশে সরকারি ভাবে তোড়জোড় শুরু হয়ে পড়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে।

এ প্রসঙ্গে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই কারিগরি (টেকনিক্যাল) কমিটির আহ্বায়ক এবং কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) কোনোভাবেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকি আছে।’

অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবেই। প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত জরুরি কাজগুলো গুছিয়ে নেওয়ার পর যেকোনো সময়ই তা শুরু করা সম্ভব হবে।’ সচিব জানান, প্রত্যাবাসন কাজে সবার আগে যা প্রয়োজন সে কাজগুলোই আগেভাগে এখন করা হচ্ছে।

গত বছর আগস্টের শেষদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। কক্সবাজার ও বান্দরবানের একাধিক এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৯ লাখের বেশি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুষম উন্নয়নে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

বিশ্বের উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর সুষম উন্নয়ন সূচকে প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে অনেক এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) গত শুক্রবার ‘সুষম প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ডব্লিউইএফের প্রকাশিত বিশ্বের উন্নয়নশীল অর্থনীতির ৭৯টি দেশের তালিকায় ভারত ৬২তম ও পাকিস্তান ৪৭তম অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেশী এ দুই দেশকে পেছনে ফেলে ৩৮তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

জীবনযাত্রার মান, পরিবেশগত স্থিতিশীলতা ও ঋণ থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষার ওপর ভিত্তি করে বৈশ্বিক এ সূচক প্রকাশ করেছে ডব্লিউইএফ।

তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র নেপাল রয়েছে বাংলাদেশের ওপরে। ডব্লিউইএফের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত অর্থনীতির দেশ হিসেবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। এরপরই আছে আয়ারল্যান্ড (দ্বিতীয়), লুক্সেমবার্গ (তৃতীয়), সুইজারল্যান্ড (চতুর্থ) ও ডেনমার্ক (পঞ্চম)।

এছাড়া শীর্ষ উদীয়মান অর্থনীতির দেশের শীর্ষে আছে লিথুনিয়া। এরপরই আছে হাঙ্গেরি (দ্বিতীয়) আজারবাইজান (তৃতীয়) লাটভিয়া (চতুর্থ) ও পোল্যান্ড (পঞ্চম)।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলন শুরু হবে মঙ্গলবার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ওই বৈঠকে অংশ নেবেন। জরুরি ভিত্তিতে নতুন ধরনের সুষম প্রবৃদ্ধি মডেলের দিকে মুখ ফেরাতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউইএফ।

এদিকে, সোমবার ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল বার্ষিক বৈষম্য শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলছে, গত বছর বিশ্বে যে পরিমাণ সম্পদ তৈরি হয়েছে তার কোনো ভাগই পায়নি বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ। তবে ওই সম্পদের প্রায় ৮২ শতাংশই গেছে বিশ্বের মাত্র এক শতাংশ ধনীর হাতে।

সোমবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ‘২০১৭ সালে বিশ্বে কোটিপতিদের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৭৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈশ্বিক চরম দারিদ্র্য দূর করার জন্য এ অর্থ যথেষ্ঠ।’ অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক উইনি বিয়ানইমা কোটিপতিদের সম্পদ বৃদ্ধির এ ঘটনাকে ‘অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতার’ লক্ষণ বলে মন্তব্য করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঝাউডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুলের ভবন পরিত্যক্ত, খোলা আকাশের নিচে চলছে ক্লাস

জি.এম আবুল হোসাইন : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। বিদ্যালয়ের একটি ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় শিক্ষকেরা বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ নিচ্ছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিথী সার্ন্যাল বলেন, বিদ্যালয়ের ৪কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন বিগত বর্ষার মৌসূমে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। ভবনটির এক পাশের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ছাদ ও দেওয়ালের প্লাষ্টার খসে পড়ছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানালে ইউসিআরসি প্রশিক্ষক আবু তাহের, সদর উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মামুন হোসেন, জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন স্কুলটি পরিদর্শন এসে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। তিনি আরো বলেন, গত বছর স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২ শিফ্টের পরিবর্তে ৩ শিফ্টে শিক্ষকেরা ক্লাস পরিচালনা করেন। ২০১৭ সালের বার্ষিক পরীক্ষার সময় স্কুলের পার্শ্ববর্তী একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে পরীক্ষা নেওয়া হয়। নতুন বছরের শুরুতে ক্লাশ করার কোন উপায়ান্তর না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৪শতাধিক ছাত্রছাত্রী অধ্যায়ন করছে। ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের পাথরঘাটা, গোবিন্দকাটি, ওয়ারিয়া, ঝাউডাঙ্গা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কোমলমতি শিশুরা এ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করতে আসে। প্রচন্ড শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে তাদের কষ্ট হচ্ছে। আম ও নারিকেল গাছের নিচে ক্লাস নেওয়ার সময় গাছ থেকে নারিকেলের মুছি ও শুকনো ডাল পড়ে মারাত্বক বিপদের আশংক্ষা রয়েছে। এছাড়া স্কুল মাঠের পাশেই বাথরুম অবস্থিত। বাথরুমের দূর্গন্ধে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাশ করতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে। আগামী গীষ্ম ও বর্ষা মেীসুমে কিভাবে ক্লাস নেওয়া হবে সেটা নিয়ে মহা দুঃচিন্তায় আছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আসমত চৌধুরী জানান, ১৯৯৪ সালে ভবনটি নির্মান করা হয়। ভবনটিতে ৩টি ক্লাস রুম ও ১টি উপকরণ রুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। গত বছরে প্রবল বর্ষণে ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়া শীত, ধুলোবালি ও যানবাহনের শব্দ সহ নানাবিধ কারণে বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পড়াশুনা মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

বর্তমানে অভিভাবকগণ তাদের ছেলে মেয়েদেরকে এই বিদ্যালয়ের পরিবর্তে অন্যান্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করার চিন্তা ভাবনা করছেন। অতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ ভবনটি সংস্কার করা না হলে স্কুলটি ছাত্র শূণ্য হয়ে পড়ার আশংক্ষা প্রকাশ করা হচ্ছে।

বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকগণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার দেবহাটার সীমান্ত নদী ইছামতি থেকে এক ব্যক্তির মরাদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে দেবহাটা উপজেলার সীমান্ত নদী ইছামতির নোয়াপাড়া এলাকা থেকে তার মরাদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম আসমান আলী শেখ (৫০)। তিনি নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত মোহর আলী শেখের ছেলে।
সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল হোসেন জানান, প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কাজের সন্ধানে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে ফিরে আসার সময় ভোর রাতের কোন এক সময় সীমান্ত নদী ইছামতির পানিতে ডুবে আসমান আলী শেখ মারা গেছেন। পরে আজ দুপুরে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে ইছামতি নদীর বাংলাদেশ পাড় থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest