সর্বশেষ সংবাদ-
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

অনন্য উচ্চতায় মাশরাফি

অনন্য উচ্চতায় মাশরাফি

কর্তৃক Daily Satkhira

মাশরাফি কোনো সাধারণ নাম নয়। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে যারা ভালোবাসে তাদের কাছে আবেগের নাম মাশরাফি। দেশীয় ক্রিকেটকে যিনি নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। নিজের নামের পাশে ব্যক্তিগতভাবে তেমন কোনো রেকর্ড জমা করতে না পারলেও অধিনায়ক হিসেবে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে।

বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার কৃতিত্ব এখন মাশরাফির। তিনি পেছনে ফেলেছেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারকে। মাশরাফি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫২ ম্যাচে যার মধ্যে ৩০টি ম্যাচে জয়লাভ করে টাইগাররা।

ক্রিকেটকে ভালোবেসে নিজের জীবন তুচ্ছ করা মানুষটার অধীনে প্রথমবারের মতো ২০১৫ সালের আইসিসি বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার পর ঘরের মাঠে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব গড়ে বাংলাদেশ। আর সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলে টাইগাররা। ত্রিদেশীয় সিরিজেও মাশরাফির নেতৃত্বে পরপর ৩টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে টাইগাররা।

বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের তালিকায় মাশরাফির পরেই আছেন হাবিবুল বাশার। যিনি ৬৯টি ম্যাচের নেতৃত্বে ছিলেন, যার মধ্যে ২৯ ম্যাচে জয় লাভ করে বাংলাদেশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পেনশনের টাকা চেয়েছেন এস কে সিনহা

পেনশনের টাকা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি পাঠিয়েছেন দুর্নীতিসহ ১১ অভিযোগ মাথায় নিয়ে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করা বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এই চিঠি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কাছে আসে।

এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা গেছে। পদত্যাগী এই প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ ১১ অভিযোগ থাকায় তিনি এখন অবসরোত্তর সুবিধা পাবেন কি না সে বিষয়টিও পর্যালোচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

হেয়ার রোডে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ঠিকানা ব্যবহার করে ডাকযোগে পেনশন প্রাপ্তির চিঠিটি পাঠিয়েছেন বিচারপতি এস কে সিনহা। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা বরাবরে লেখা ওই চিঠিতে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘আমি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছি যা গত ১১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসরকালীন যেসব প্রাপ্য রয়েছে তা পাওয়ার অধিকারী আমি। যেদিন থেকে আমার অবসরকালীন দিন শুরু হয়েছে সেদিন থেকে আমার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. জাকির হোসেন বলেন, পেনশনের টাকা চেয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতির একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। এখন প্রসেস করা হচ্ছে। শিগগিরই এটি অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পেনশন পাবেন। এই নিয়মেই বিচারপতিদের পেনশন ছাড় করা হয় বলেও জানান তিনি।

এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র বলেন, সাধারণত চাকরির মেয়াদ ৮ বছর হলেই বিচারপতিরা অবসরকালীন ছুটি পেলেও, দুর্নীতিসহ ১১ অভিযোগ মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করা বিচারপতি সিনহা এসব সুবিধা পাবেন কি না, সে বিষয়ে বিভিন্ন আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আইনের বাইরে গিয়ে কোনো কাজই করা হবে না বলেও জানান তিনি। ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই যুদ্ধাপরাধের একটি মামলার শুনানিতে একাত্তরে নিজের শান্তি কমিটির সদস্য থাকার কথা তুলে ধরে আলোচনায় আসেন বিচারপতি সিনহা। তারপর প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়ে বিচার বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করার অভিযোগ নানা সময় তুলে আলোচনার জন্ম দেন তিনি। নিম্ন আদালতের বিচারক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন নিয়ে তার সঙ্গে সরকারের বিরোধ হয় আলোচিত। এরপর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ভাস্কর্য স্থাপন নিয়েও সরকারের সঙ্গে টানাপড়েন চলে বিচারপতি সিনহার। তার শেষ বিতর্কের শুরু সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে, যা প্রথমে ছুটি এবং শেষে পদত্যাগে গিয়ে শেষ হলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে বড় জয় বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশই ছিল পরিস্কার ফেভারিট। সেই তকমার যথার্থতাও দারুণভাবে প্রমাণ করলেন মাশরাফি-সাকিব-তামিমরা। জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল টাইগাররা।

সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ২১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে জিম্বাবুয়ে। টস জিতে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ হয় ২১৬ রান। জিম্বাবুয়েকে জিততে টার্গেট ছিল ২১৭ রানের।

২১৭ রান টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে ঠিক সামলে উঠতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিং বিপর্যয়ে টাইগারদের কাছে হারতে হয় ৯১ রানের ব্যবধানে।

ব্যাট করেতে নেমে শুরটা ভালো করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে শট খেলতে গিয়ে প্রথম স্লিপে সাব্বির রহমানকে ক্যাচ দিয়েছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। আউট হওয়ার আগে করে ৫ রান। মাশরাফির পরেই জিম্বাবুয়ে শিবিরে জোড়া আঘাত হানে সাকিব আল হাসন। সলোমন মিরেকে বোল্ড করে সাজঘরে ফিরায় সাকিব এর পরের বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরে ব্রেন্ডন টেইলর আউট হওয়ার আগে করে ০ রান।

এরপর দলীয় ৩৪ রানে অফ স্টাম্পে মাশরাফির গুড লেংথ বল। খোঁচা মারতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন ক্রেইগ আরভিন। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন সাব্বির রহমান। সিরিজে আরো একবার বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ আরভিন। ফেরার আগে করে ১১ রান। তারপর ক্রিজে নেমে জিম্বাবুয়ের রানের চাকা সচল করে সিকান্দার রাজা ও পিটার মুর তবে তাদের ইনিংস বড় করতে দেয়নি সানজামুল ইসলাম। তার বোল খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরে পিটার মুর। আউট হওয়ার আগে করে ৪২ বলে ১৪ রান। পরের বলে আবার সেই সানজামুলের বোলং ঘুর্নিতে আউট হয় ম্যালকম ওয়ালার(০)। সবাই যখন ব্যাট হাতে ব্যার্থ তখন একাই লড়েছে সিকান্দার রাজা। তবে রাজা কে মোস্তাফিজ বোল্ড করলে হার নিশ্চিত হয় যায় জিম্বাবুয়ের। সিকান্দার রাজা ৫৯ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যায়। এরআগে আউট হয় গ্রায়েম ক্রেমার তিনি করেন ৩১ বলে ২৩ রান। তারপর আর কেউই উইকেটে ধারাতে পারেনি ।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরটা ভালো হয়নি টাইগারদের ব্যাসম্যানদের। আগের দুই ম্যাচে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা এনামুল হক বিজয় আজ শুরুতেই আউট হয়। জিম্বাবুইয়ান পেসার কাইল জার্ভিসের বলে এলবিডব্লিউ হওয়া ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান করেছেন ১ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ১ উইকেটে ২ রান।

তামিম ইকবালের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। মাঠে নেমে দেখে শুনে খেলতে থাকেন সাকিব ও তামিম। জিম্বাবুইয়ান স্পিনারের পরের ওভারের প্রথম বলে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়েছে সাকিব আল হাসান। তবে আউট হওয়ার আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দ্বিতীয় ফিফটির দেখা পায় সাকিব। তার ব্যাট থেকে আছে ৫১ রান।

তারপর তামিম-সাকিবের শতরানের জুটি ভাঙার পর তামিম-মুশফিকের ব্যাটে ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৩৫ রানের এ জুটি ভাঙার পরই হঠাৎ এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ২ উইকেটে ১৪৭ থেকে দ্রুতই স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৭০, ২৩ রানেই চলে যায় ৬ উইকেট!

এরপর উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমারের বলে সুইপ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টপ এজ হয়ে বল উঠে যায় ওপরে, শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ নেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ২৫ বলে এক ছক্কায় মুশফিক করেন ১৮ রান। পাঁচ নম্বরে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহও। গ্রায়েম ক্রেমারের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে তিনি ৭ বলে করেছেন ২ রান। সাবাই যখন সাজঘরে আসা যাওয়ার ব্যাস্ত তখন দলকে একাই এগিয়ে নিচ্ছেলেন তামিম ইকবাল। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে দল জিতে যাওয়ায় ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিক ৮৪ রানেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। আজ টানা তৃতীয় ম্যাচে পঞ্চাশ পার করলেন। কিন্তু সেটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করতে পারলেন না তিনি। ৭৬ রান করে স্টাম্পড হয়ে গেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর নাসির (২),সাব্বির(৬) ও মাশরাফি(০) কেউই ইনিংস বড় করতে পারেনি। তারপর শেসের দিকে এসে সানজামুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ১৯ রান আর সেই রানের জন্য দলীয় ২০০ রানের কাছাকাছি যায় বাংলাদেশ। এরপর মোস্তাফিজের অপরাজিত ২১ বলে ১৪ ও রুবেল হোসেনের ৪ বলে ৮ রানে বাংলাদেশের সংগ্রহ দারায় ২১৬।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ১২৫/১০ (৩৬.৩)
টার্গেট: ২১৭
আউট: হ্যামিল্টন মাসাকাদজ,সলোমন মিরে, ব্রেন্ডন টেইলর, ক্রেইগ আরভিন,ম্যালকম ওয়ালার, পিটার মুর।
বাংলাদেশ: ২১৬/৯ (৫০ওভার )

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান,মুশফিকুর রহিম , মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, সানজামুল ইসলাম।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, সলোমন মিরে, ক্রেইগ এর্ভিন, ব্রেন্ডন টেইলর (ডব্লু), সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, ম্যালকম ওয়ালার, গ্রায়েম ক্রেমার,কাইল জার্ভিস, তেন্ডাই চাতারা, ব্লেসিং মুজারবাণী

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ

জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই আর ৩ উইকেট। রুবেল হোসেনের বলে গ্রায়েম ক্রেমার আউট হয়ে গেলে জিম্বাবুয়ে হারায় সপ্তম উইকেট। স্কোর ৩০ ওভারে ৭ উইকেটে ৯৫ রান।

ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্কোরটা খুব বেশি বড় হয়নি বাংলাদেশের। বোলিংয়ে তাই ভালো শুরুর অপেক্ষায় ছিল স্বাগতিকরা। মাশরাফি ও সাকিবের চমৎকার বোলিংয়ে সেটা পেয়েছে বাংলাদেশ। তাদের আঘাতে জিম্বাবুয়ে ৩৪ রানেই হারায় ৪ উইকেট।

জিম্বাবুয়ের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকা এই ওপেনার মাত্র ৫ রান করে ধরা পড়েন সাব্বির রহমানের হাতে। মাশরাফির বাউন্সের সঙ্গে সুইং করা বলটা মাসাকাদজার ব্যাটের কানায় লেগে ভাসতে ভাসতে তালুবন্দী হয় সাব্বিরের।

ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই আবার আঘাত। এবার ঘূর্ণিতে সাকিব বোকা বানান সোলোমন মীরকে। বোল্ড করে এই ওপেনারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। যাওয়ার আগে মীর করেন মাত্র ৭ রান।

সাকিব ঝড় থামেনি, পরের বলেই আবার উইকেট। এবার ফেরান তিনি ব্রেন্ডন টেলরকে। মুখোমুখি হওয়া নিজের প্রথম বলেই এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন এই উইকেটরক্ষক। প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি খালি হাতে।

মাশরাফি-সাকিবের পর উইকেট উৎসবে নাম লেখালেন সানজামুল ইসলাম। এই স্পিনারের জোড়া আঘাতে বিধ্বস্ত জিম্বাবুয়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৩ দিন পর সচল হল যুক্তরাষ্ট্র সরকার

প্রায় তিন দিন পর সচল হল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় সোমবার রাতে সরকারের অচলাবস্থার অবসানে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যৈষ্ঠ এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর প্রকাশ করেছে।

সিনেটের সংখ্যালঘিষ্ঠ নেতা চাক শুমার ও সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মিচ ম্যাককনেলের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর সোমবার নিম্নকক্ষ ও সিনেটে সরকারের অচলাবস্থার অবসানে ভোটাভুটি হয়। অভিবাসন সম্পর্কিত বিষয়ে নিশ্চয়তা নিয়ে ওই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত অবস্থানের কারণে বাজেট বরাদ্দের বিষয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। কিন্তু সে বিষয়ে সমঝোতা হওয়ায় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট বরাদ্ধের বিষয়ে আনা প্রস্তাবটি সোমবার ২৬৬-১৫৯ ভোটে পাশ হয়েছে। বরাদ্ধ পাওয়ায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা মঙ্গলবার সকালে কাজ যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌন্দর্য আর নান্দনিকতায় সাতক্ষীরার লেক ভিউ সকলকে মুগ্ধ করছে

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা কোলাহলমুক্ত নান্দনিক ও মুক্ত পরিবেশে মানসিক প্রশান্তির সুযোগ পাওয়া যাবে- এমন স্থান খুবই কম। বিশেষ করে শহরে তো এরকম স্থান নেই বললেই চলে। নাগরিক জীবনের কর্মব্যবস্ততায় হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ দিনের শেষে বা সপ্তাহান্তে সুযোগ খোঁজে একটু ভিন্নতায় নিজেকে, নিজের পরিবারকে নিয়ে ঘুরে আসতে। সাতক্ষীরা শহরে এমনই এক স্থান হিসেবে স্বল্প সময়ের মধ্যে সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে লেক ভিউ ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট। এর নান্দনিক সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হচ্ছেন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই। উদ্বোধনের এক মাসের মধ্যে সকলের নজরে পড়েছে এই চমৎকার রেস্তোঁরাটি।
সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের রসনা ও দৃষ্টির সুখের দাহিদা মেটাতে, পরিবার পরিজন নিয়ে মনোরম পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটাতে সকল বয়সের মানুষের ভিড়ে মুখরিত সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকায় অবস্থিত তুফান কনভেনশন সেন্টার এন্ড রিসোর্ট সেন্টারের লেক ভিউ ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট।
শত ব্যস্ততার মাঝে, হাজারও কাজের ফাঁকে মানুষ চায় একটু প্রশান্তি, একটু বিনোদন। মনে ছুটে যায় দূর-দূরান্তে। চোখ মেলে দেখতে ইচ্ছা করে প্রকৃতিতে একটু নির্জন মনোরম খোলা-মেলা নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও নান্দনিক পরিবেশ। দেশের সর্ব দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা সাতক্ষীরা পৌর এলাকার কামালনগরে অবস্থিত তুফান কনভেনশন সেন্টার এন্ড রিসোর্টের ভিতরে বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে কৃত্রিম লেকের মাঝখানে নির্মিত লেক ভিউ ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট তাই সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলার পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত হতে শুরু করেছে।
তুফান কনভেনশন সেন্টার এন্ড রিসোর্ট এ বিবাহ, জন্মদিন, হালখাতা, সভা-সেমিনার করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আছে পর্যটকদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা। পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমণ করতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এখানে। চমৎকার আবহাওয়া, নৈসর্গিক পরিবেশ পেয়ে সবাই খুশি। প্রশান্তি ও বিনোদনের জন্য পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই ঘুরতে আসছেন এখানে।
লেক ভিউ ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানজিম কালাম তমাল এ প্রতিবেদককে বলেন, সুকু বিনোদন মানুষের দেহ ও মনের খোরাক যোগায়। শত ব্যস্ততার মাঝে, হাজারও কাজের ফাঁকে মানুষ চায় একটু প্রশান্তি। এখানে বিনোদন ও বিশুদ্ধ উন্নতমানের খাবরের সাথে সাথে সব শ্রেণি পেশার মানুষের মন কাড়ার মত পরিবেশ তৈরি করেছি আমরা। এখানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত অভিজ্ঞ সেফ দ্বারা চাইনিজসহ বিভিন্ন দেশী বিদেশী খাবার তৈরিতে অভিজ্ঞদের দিয়ে খাবার প্রস্তুত করা হয়। সব বয়সের মানুষের মন ভরিয়ে দেয়ার চেষ্টাই লেক ভিউ ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট-এ আমরা রেখেছি।
তুফান কনভেনশন সেন্টার এন্ড রিসোর্ট লেক ভিউ ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, আমার মরহুম পিতার আদর্শকে পুজি করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে সাতক্ষীরাবাসীর সেবা করার প্রত্যয় নিয়ে তুফান কনভেনশন সেন্টার এন্ড রিসোর্ট লেক ভিউ ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্টটি করেছি। সকল মানুষের জন্য স্বল্প খরচে রুচি সম্মত বিভিন্ন খাবার ও সুস্থ্য বিনোদন দিতে আমার এ প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার বাইরে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। জেলার বাইরে থেকেও প্রতিদিন বহু মানুষ এখানে আসছেন, মুগ্ধ হচ্ছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুপুরে মাঠে নামছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
বাংলাদেশের কাছে এটা স্রেফ একটা আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ। ইতোমধ্যে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে গেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ফলে তাদের এই ম্যাচ জয় বা পরাজয়ে তেমন কিছু যায় আসে না। কিন্তু জিম্বাবুয়ের কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে এই ম্যাচ জেতা তাদের অনেকটাই এগিয়ে দেবে।
এমন ভিন্নমুখী দুই সমীকরণ নিয়ে আজ দুপুর ১২টায় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের এই চতুর্থ ম্যাচটিও হবে দিবা-রাত্রির ম্যাচ।
জিম্বাবুয়ের জন্য সমীকরণটা একটু বেশি জটিল হয়ে গেছে সর্বশেষ ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যাওয়ায়। বোনাস পয়েন্টসহ দুই ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে পরস্পরের বিপক্ষে পেয়েছে একটি করে জয়ে ৪টি করে পয়েন্ট। এখন জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে কোনো এক দল বাকি দুই ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি জয় পেলে তারা চলে যাবে ফাইনালে।
কিন্তু দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ জিতলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান; দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট নির্ধারণ হবে রানরেটে। বাংলাদেশ দুই ম্যাচ হারলেও নেট রান রেটে ফাইনালিস্ট নির্ধারণ হবে। তবে কোনো দল বোনাস পয়েন্টসহ জিতলে তারা তখন সরাসরি ফাইনাল খেলবে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন কে?

রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. আবদুল হামিদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে আগামী ২৩ এপ্রিল। সংবিধান অনুযায়ী আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ পদে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের তফসিল নির্ধারণের লক্ষ্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে আগামীকাল বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার বৈঠকের ব্যবস্থা করতে সংসদ সচিবালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই প্রস্তুতির মধ্যে আগামী রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে চলছে নানা আলোচনা। এ আলোচনায় দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নাম বিশেষভাবে উঠে আসছে। পাশাপাশি এটাও শোনা যাচ্ছে, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকেই দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত করা হবে। বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নামও আলোচনায় আছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা জানান, গত মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তৎকালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তখন শেখ রেহানা ও সৈয়দ আশরাফ কেউই প্রস্তাবে সায় দেননি। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। সৈয়দ আশরাফ তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সে কারণে তিনি দল ছেড়ে রাষ্ট্রপতি হতে চাননি। এখন সৈয়দ আশরাফ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। দলীয় কর্মকাণ্ডেও আগের মতো সক্রিয় নেই। ফলে এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার প্রস্তাব পেলে তা প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা কম। আর রাষ্ট্রপতি পদ নিয়ে সৈয়দ আশরাফদের পরিবারের কিছু নস্টালজিয়া আছে। সৈয়দ আশরাফের বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির গুরুদায়িত্ব সামলেছেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ওই নেতাদের মতে, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী নেতারা এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন অনেক ভেবেচিন্তে। কারণ এবার যিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন তাঁর মেয়াদেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেকোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে সৎ, পরীক্ষিত এবং দৃঢ়চেতা একজনকে রাষ্ট্রপতি করাকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দেবে আওয়ামী লীগ। সৈয়দ আশরাফ আলোচিত এক-এগারোর দুঃসময়ে দলকে সামলেছেন আবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আর বিভিন্ন দল-মতের মানুষের কাছে আশরাফের অন্য রকম গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বিবেচনায় তিনিই এগিয়ে থাকবেন বলে অনেক নেতা মনে করছেন।

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানায়, রাষ্ট্রপতি পদে আবদুল হামিদকে আরেক মেয়াদে নির্বাচিত করার বিষয়েও আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে আলোচনা আছে। আবদুল হামিদকে নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিতর্ক হয়নি। মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। ফলে তাঁকে আরেক মেয়াদে নির্বাচিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাকেও রাষ্ট্রপতি পদে দেখা যেতে পারে—এমন আলোচনাও আছে। রেহানা রাজি থাকলে তাঁকে এ পদে দেখা যাবে—এ মতেও বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকেও রাষ্ট্রপতি পদে দেখা যেতে পারে বলে মনে করে আওয়ামী লীগের একটি অংশ। তাদের মতে উচ্চশিক্ষিত, মেধাবী শিরীন শারমিন চৌধুরীর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে শিরীন শারমিনই হবেন দেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন তা নিয়ে দলের মধ্যে নানামুখী আলোচনা আছে। দলীয় নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকসহ অনেকেই আগ্রহী আছেন। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি কারো বিষয়েই এখনো দলীয় নেতাদের কাছে কোনো ইঙ্গিত দেননি। সৈয়দ আশরাফের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, ‘আশরাফের মতো নির্লোভ ও পরীক্ষিত নেতা রাষ্ট্রপতি হলে সেটি আমাদের জন্য ভালোই হবে। কিন্তু এখানে শেখ হাসিনার চাওয়া ও সৈয়দ আশরাফের সম্মতির ব্যাপার আছে। দেশে-বিদেশে সৈয়দ আশরাফের গ্রহণযোগ্যতার কমতি নেই। তবে এ দেশের ওপর প্রভাবশালী একটি বিদেশি রাষ্ট্র আশরাফকে খুব বেশি পছন্দ করে বলে মনে হয় না।’

এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল নির্ধারণের জন্য আগামীকাল বিকেলে সংসদ সচিবালয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বৈঠক হতে পারে। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হবে। স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকের সময় চাওয়া ছাড়াও দলভিত্তিক সংসদ সদস্যদের নামের তালিকা চেয়েও একটি চিঠি পাঠানো হবে। এর আগে ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ২০ দিন আগে ওই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৯ এপ্রিল। কিন্তু তার আগেই ২৪ এপ্রিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সংবিধানে রাষ্ট্রপতির চলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে আগামীকাল ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। আইনজ্ঞরা বলছেন, মেয়াদ পূরণের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে বলতে প্রথম ৩০ দিনকে বোঝাবে। নির্বাচন কমিশনও তা-ই মনে করে। গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, সংবিধান অনুসারে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির আগেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

তবে নির্বাচনের সময় আসন্ন হলেও বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে এত দিন তেমন আলোচনা ছিল না। গতকাল সকালে বিষয়টি নিয়ে সিইসি সব নির্বাচন কমিশনার ও কমিশন সচিবকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। এ বৈঠকের জন্য নির্বাচন আইন সংস্কার বিষয়ক কমিটির একটি পূর্বনির্ধারিত সভাও বাতিল করা হয়।

প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কারো বয়স ৩৫ বছরের নিচে হলে, সংসদ সদস্য নির্বাচনের যোগ্য না হলে এবং সংবিধানের অধীন অভিশংসন দ্বারা রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারিত হলে তিনি অযোগ্য বিবেচিত হবেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী আইন অনুসারে সংসদ সদস্যরা প্রস্তাবক ও সমর্থক না হলে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, এবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পন্ন হবে। সংসদে ক্ষমতাসীন দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে অন্য কোনো দল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest