সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণসাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাসাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাডভোকেসি সভাবিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমান

নুরনগরে হাবিবপুর মাদ্রাসার ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করেছেন শিক্ষক

নুরনগর থেকে পলাশ দেবনাথ : শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরের হাবিবপুর দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিশু ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সূত্রে জানাযায় অত্র মাদ্রসার কেরাত বিভাগের ছাত্র মো. সোহেল রানা (১১)-কে একদিন মাদ্রাসায় অনপুস্থিত থাকার কারণে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। সোহেল অত্র মাদ্রাসার বোডিং-এ থেকে মাদ্রাসায় কেরাত বিভাগে লেখাপড়া করে। মাদ্রাসা গত ৫দিন ছুটি ছিল, মাদ্রাসার সকল ছাত্ররা ছুটি কাটিয়ে শনিবার মাদ্রাসার বোডিং আসছে। কিন্তু সোহেল শনিবার মাদ্রাসায় অনপুস্থিত ছিল যার কারণে মাদ্রাসার কারী আঃ হান্নান মোল্যা শিশু সোহেলকে অমানবিকভাবে পিটিয়ে জখম করেছে। সোহেল নুরনগর ইউনিয়নের দক্ষিন হাজীপুর গ্রামের মোঃ হোসেন আলী গাজীর পুত্র। শিশুটির পিতা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন আমার ছেলেকে এভাবে হুজুর কেন মারলো তার বিচার চাই। এলাকার সচেতন মহল বলছেন কোমলমতি শিশুদের উপর এহেন আচরণ ন্যাক্কারজনক। এবিষয়ে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ মুফতি ইকবাল সোবহানের কাছে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে তিনি শিশু সোহেল নির্যাতনের ঘটনাটি এড়িয়ে যেতে অনুরোধ জানান। এবিষয় এলাকার সাধারণ মানুষ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এবং বিচারের দাবি জানিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পলিটেকনিকে ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ‘পলিটেকনিক রাইডার্স’ জয়ী

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াছির আরাফাতের সভাপতিত্বে খেলাটি উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি এম আজিজুর রহমান। খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এহসান হাবীব অয়ন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবীব লিমু, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান শাওন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রমজান আলী রাতুল প্রমূখ। পলিটেকনিক রাইডার্স নির্ধারিত ৮ উইকেটে ‘কম্পিউটার ৯’ স্টারকে পরাজিত করে। খেলা শেষে অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সরকারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার প্যারাডাইজ পেপারস কেলেঙ্কারি: নাম আছে ট্রাম্প, ট্রুডো ও রানি এলিজাবেথের

আবারও ধাক্কা খেল বিশ্ব। আরেকটি আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হলো আজ। কার নাম নেই এ কেলেঙ্কারিতে? ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমনকি বিশ্বজুড়ে মহা নায়ক বনে যাওয়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো! প্রায় ১৪ কোটি গোপন নথি ফাঁস হওয়া এই কেলেঙ্কারির নাম দেওয়া হয়েছে প্যারাডাইজ পেপারস।

পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির ধাক্কা এখনো সামলে নিতে পারেনি অনেক দেশ। এক বছর আগের সে কেলেঙ্কারির নাম আবারও তুলতে হয়েছে আজ। গতবারের মতোই এবারও যে হাটে হাড়ি ভেঙেছে জার্মান দৈনিক জিটডয়েচ সাইতং। বারমুডায় অবস্থিত অ্যাপলবাই নামের এক আইনি সহযোগী সংঘটনের গোপন নথি জোগাড় করে সেটা তারা দিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিক সংঘটনকে (আইসিআইজে)। ৬৭টি দেশের ৩৮০ জন সাংবাদিক ১ কোটি ৩৪ লাখ ডকুমেন্টস এখন তদন্ত করে দেখছে।

অধিকাংশ তথ্যই বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদদের। যারা কর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ট্যাক্স হেভেনে (কর দিতে হয় না কিংবা খুবই নিম্ন হারে কর দেওয়া যায় এমন দেশ) বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তদন্তের এখনো শুরু মাত্র। তাই পুরো তথ্য পাওয়া এখনো সম্ভব নয়। তবে এর মাঝেই চমকে দেওয়ার মতো কিছু তথ্য দিয়েছে বিশ্বের বড় বড় সব সংবাদমাধ্যম।

এক নজরে প্যারাডাইজ পেপারস

৩৮২ তদন্ত করছেন ৬৭টি দেশের ৩৮২ জন সাংবাদিক
১২০ ১২০ জন রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনেতার নাম এসেছে
১০৪ ১.৪ টেরাবাইট তথ্য ফাঁস হয়েছে
১৯ ১৯টি ট্যাক্স হেভেন অর্থ পাচার করা হয়েছে
অর্থ পাচারে সহযোগিতাকারী দুটো প্রতিষ্ঠানের নাম জানা গেছে

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ

গোপন নথিতে দেখা গেছে কেম্যান আইল্যান্ড ও বারমুডায় রানির নামে আলাদা তহবিল সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রায় ১ কোটি পাউন্ড পরিমাণের গোপন অর্থের হিসেব পাওয়া গেছে। এ দুটো জায়গায় রানির ৫০ কোটি পাউন্ডের ব্যক্তিগত সম্পত্তি দেখভাল করে ডাচি অফ ল্যাঙ্কাস্টার। ডাচি দাবি করছে, তারা বিনিয়োগ বিষয়ক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জড়িত ছিল না। এবং রানি নিজে এ ব্যাপারে জানেন এমন কোনো ইঙ্গিতও দেওয়া হয়নি।

এই বিনিয়োগে বেআইনি কিছুর ইঙ্গিত মেলেনি, বা বলা হয়নি রানি কর দিচ্ছেন না। কিন্তু রাজপরিবারের কারও অন্য দেশে বিনিয়োগ করা নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রাইট হাউস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে। যারা দরিদ্রদের নিষ্পেষিত করছে বলে অভিযোগ আছে। প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ পাউন্ড কর বকেয়া আছে এই প্রতিষ্ঠানের। ৬ হাজার লোক তাঁদের চাকরি হারিয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

ট্রাম্প প্রশাসনে বাণিজ্যসচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত উইলবার রস। জনশ্রুতি আছে নব্বইয়ের দশকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছিলেন বলেই রসের এমন অবস্থান প্রাপ্তি। বিভিন্ন নথিতে দেখা গেছে রস এমন এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত, যারা রাশিয়ান সংস্থাকে তেল ও গ্যাস শিপিং করে। যে প্রতিষ্ঠানে অংশীদার ভ্লাদিমির পুতিনের জামাই এবং আরও দুজন ব্যক্তি যারা যুক্তরাষ্ট্রের চোখে অপরাধী।

এমনিতেই ট্রাম্প ও রাশিয়ার মধ্যকার গোপন আঁতাত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক ঝড় তোলা হয়েছে। এবার রসের এমন তথ্য কীসের ইঙ্গিত দেয়, সেটা সময়ই বলে দেবে।

জাস্টিন ট্রুডো

কানাডীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন স্টেফান ব্রনফম্যান। মাত্র দুই ঘণ্টায় ট্রুডোকে আড়াই লাখ ডলার তহবিল এনে দিয়েছিলেন ব্রনফম্যান। কিন্তু গোপন নথিতে দেখা যাচ্ছে, ব্রনফম্যান ও তাঁর প্রতিষ্ঠান কেম্যান আইল্যান্ডে প্রায় ৬ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছেন। অথচ ট্রুডো বারবারই ‘অফশোর’ (কর থেকে বাঁচার জন্য বিদেশে বিনিয়োগ) বিনিয়োগের বিপক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন। ট্রুডোর জন্য এটা বিরাট বড় এক ধাক্কা।

গতবার পানামা কেলেঙ্কারিতে লিওনেল মেসির নাম এসেছিল। এবারও ফুটবল বাদ পড়েনি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব এভারটন এফসিতে বিনিয়োগ করা বড় একটা অংশ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।  সূত্র: বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, আইসিআইজে।

অ্যাপলবাই লিকসে যে দেশের নাগরিকদের নাম পাওয়া গেছে

তালিকায় থাকা ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দেশ
৩১,১৮০ যুক্তরাষ্ট্র
১৪,৪৩৪ যুক্তরাজ্য
১২,০১৭ বারমুডা
৮,৬৪০ ক্যামান আইল্যান্ডস
৭,০৬৫ হংকং
৫,৯২৪ চীন
৩,১৭৬ কানাডা
৩,০৫৪ আইল অব ম্যান
২,৩৬৩ সুইজারল্যান্ড
২,১৬৬ ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গারা গণহত্যার শিকার, পাশে আছি বাংলাদেশের- বিশ্বনেতারা

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো হত্যা-নির্যাতনের ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) ৬৩তম সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা। তাঁরা দেশে ফিরে গিয়ে তাঁদের জাতীয় ও প্রাদেশিক পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা উত্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
একই সঙ্গে চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সিপিএ সম্মেলনে বিশেষ রেজুলেশন (সিদ্ধান্ত প্রস্তাব) গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন সিপিএ চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সিপিএ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কোনো এজেন্ডা না থাকলেও প্রতিনিধিদের বিশেষ আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। গতকাল রবিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সিপিএ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ব্রিফ করেন। এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত একাধিক সংসদ সদস্য জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিং শেষে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এ বিষয়ে সিপিএভুক্ত দেশগুলোর জাতীয় ও আঞ্চলিক পরিষদে আলোচনা এবং মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান। এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) মতো সিপিএ সম্মেলনে একটি রেজুলেশন গ্রহণের অনুরোধ জানান। এরপর আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ১৮ দেশের প্রতিনিধি সিপিএ চেয়ারপারসনের প্রস্তাব অনুযায়ী রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে নিজ নিজ দেশের পার্লামেন্টে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁরা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধানের দেওয়া প্রস্তাবের আলোকে সিপিএ সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের রেজুলেশন গ্রহণের পক্ষে ঐকমত্য প্রকাশ করেন।
এ সময় সিপিএ চেয়ারপারসন প্রস্তাবটি বিবেচনার আশ্বাস দেন। তিনি এ বিষয়ে নির্বাহী কমিটিতে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে প্রতিনিধিদের জানান। ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘যেকোনো বিরোধ নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারের সৃষ্টি। তাদেরই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। মিয়ানমারের কারণে আজ আমরা সংকটের মুখোমুখি। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের কারণে আমাদের কঠিন চাপে পড়তে হয়েছে। এ সংকট নিরসনে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। ’ এ সময় অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির এমপি মার্গারেট কোয়ার্ক রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত ও চীন কিভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে? জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরের সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। চীন ইতিমধ্যে সহায়তা পাঠিয়েছে।

ব্রিফিং শেষে আলাপকালে বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট সদস্যরা বাংলাদেশের পক্ষে তাঁদের অবস্থানের কথা জোরালোভাবে তুলে ধরেন। মালদ্বীপের স্পিকার আব্দুল্লাহ মাসেহ মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে মিয়ানমারে এ ধরনের নির্যাতন হচ্ছে, যা জঘন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘন। এটা গণহত্যা। এটা বন্ধ করতে হবে। এ জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সিপিএ সম্মেলনে আমাদের প্রস্তাব পাস করতে হবে। ’

যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য জন ফকস বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ যা করছে তা প্রশংসার যোগ্য। মিয়ানমার যা করেছে তা যে গণহত্যা, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই সম্মেলনে কোনো একটা প্রস্তাব না এনে বাংলাদেশ ত্যাগ করাটা বাংলাদেশের ওপর অবিচার করা হবে। সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা কক্সবাজারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের দুরবস্থা দেখে আসতে পারেন বলে তিনি প্রস্তাব দেন। আগামী ২৩ নভেম্বর হাউস অব লর্ডসে তিনি বিষয়টি তুলবেন বলেও শ্রতিশ্রুতি দেন।

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট সদস্য নাফিজা শাহ বলেন, ‘পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার খর্বের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের প্রতি আমরা আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করি। বাংলাদেশ একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছে, এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে চাই। আমরা চাই মিয়ানমার সরকার দ্রুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়াসহ সব অধিকার নিশ্চিত করবে। ’

সাউথ ওয়েলসের পার্লামেন্ট সদস্য মো. আজগর বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যাটি আমি বুঝি। বাংলাদেশের ওপর যে চাপ এখন চলছে সেটাও সহজে অনুমান করা যায়। এ বিষয়টি নিয়ে সম্মেলনে একটি প্রস্তাব আনা হোক। কমনওয়েলথ একটি বড় প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা যেতে পারে। ’

কানাডার সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান বলেন, ‘মিয়ানমারে যা হয়েছে তা গণহত্যা। আমরা চাই, এ সমস্যার সমাধান হোক। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া হোক। ’ তিনি বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ব্যাপক প্রশংসা করেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার ডেপুটি স্পিকার লেসা সেলোনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি আমরা একাত্মতা প্রকাশ করি। রাখাইনের ঘটনার নিন্দা জানাই। ’ চলমান সংকট নিরসনে মিয়ানমারের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখতে তিনি সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান।

মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট সদস্য ড. মো. হাতা রামলি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারে প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারি। সেখানে আমাদের বার্তা পৌঁছাতে পারি, যাতে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়। তাদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে এবং সব ধরনের নির্যাতন বন্ধ করে। ’

ক্যামেরুনের এমপি নোয়াম তেবো জন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি আমরা আন্তরিক সহমর্মিতা জানাই। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মহানুভবতা দেখিয়েছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষে একা এই চাপ সহ্য করা কঠিন হবে। দ্রুত সংকট নিরসন হবে বলে আমি আশাবাদী। ’

এদিকে গতকাল দিনের কার্যসূচি শেষে বিআইসিসি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গাদের ইতিহাস তুলে ধরেছেন। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের সে দেশের নাগরিক বলে অস্বীকার করলেও রোহিঙ্গারা যে সেখানে পার্লামেন্ট সদস্য ছিল তার তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেছে। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পাঁচ দফা প্রস্তাবের আলোকে তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সিপিএ প্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন। বলেন, প্রতিনিধিদের সবাই এ ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁরা রাখাইনে হত্যা-নির্যাতনের ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি তাঁরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী নাবিল বলেন, ‘ইতিমধ্যে সিপিএ প্রতিনিধিদের অনেকেই কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। তার পরও যাঁরা ক্যাম্প পরিদর্শনে যেতে চান, তাঁদের জন্য জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সংকট নিরসনে ইতিমধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সে দেশ সফর করেছেন। আমরা আশা করছি, দ্রুত এ সংকট নিরসন হবে। ’

সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, তানভীর ইমাম ও পংকজ দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।

এশিয়া গ্রুপের বৈঠক : সম্মেলন চলাকালে গতকাল বিকেলে এশিয়া গ্রুপের একটি রিজিওনাল বৈঠকেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হয়। এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, এ সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি, তাই তাদেরই এর সমাধান করতে হবে। পূর্ণ নাগরিকের মর্যাদা দিয়ে নিঃশর্তভাবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি মিয়ানমার সরকারের প্রতি চাপ বাড়াতে এশিয়াভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুটি রেজুলেশন আকারে গ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঝাল খাবার খাওয়া কি আদৌ উচিত?

ঝাল, মশলা সহযোগে বানানো খাবার ছাড়া তো আমাদের মুখেই উঠেনা। কিন্তু এমন খাবার খাওয়াটা কি আদৌ উচিত? এ বিষয়ে হওয়া গবেষণা এবং চিকিৎসকেদের মতামত নিয়ে আলোচনা করা হবে, তবে তার আগে জানার চেষ্টা চালাবো কেন আমরা এমন ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করি।
বেশ কিছু কেস স্টাডিতে একটা কথা সামনে এসেছে যে ঝাল খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতাকে অনেকে রোলার-কোস্টার রাইডের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন।

আসলে সবই জানেন ঝাল খেলে হুস-ফাস করতে হবে। হবে অল্প-বিস্তর কষ্টও। তবু সেই অভিজ্ঞতা পেতে সবাই মুখিয়ে থাকেন। আর যদি বাঙালির কথা বলেন তো, তাহলে বলতে হয়, আমাদের জিনেই রয়েছে তেল-ঝালের প্রতি এক অমোঘ প্রেম। কিন্তু প্রশ্ন হল এমন ঝাল দেওয়া খাবার খেলে কি শরীরে বিবিধ অঙ্গের ক্ষতি হয়ে থাকে? গবেষকদের মতে ঝাল খাবার খেলে শরীরের নানা উপকার হয়। যেমন…

১. ওজন কমে:
একেবারে ঠিক শুনেছেন! নিয়মিত ঝাল খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হয়। কারণ লঙ্কার শরীরে উপস্থিত ক্যাপসিসিন নামক উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর মেটাবলিজেম রেট এতটা বাড়িয়ে দেয় যে ফ্যাট জমার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে ফ্যাট বার্ন করার প্রক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করে।
ফলে ওজন বাড়ার কোনও আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, ঝাল খাবার খাওয়ার পর প্রায় ২০ মিনিট পর্যন্ত ক্যাপসিসিন শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদকে গলাতে থাকে। তাই তো চটজলদি ওজন কমাতে লঙ্কা দিয়ে বানানো ঝাল জাল খাবার খাওযার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

২. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
সমগ্র বিশ্বজুড়ে হওয়া একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব দেশের নাগরিকেরা বেশি মাত্রায় ঝাল খেয়ে থাকেন, তাদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কারণ লঙ্কা দিয়ে বানানো ঝাল খাবার খেলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। সেই সঙ্গে হার্টের অন্দরে হওয়া ইনফ্লেমেশনও কমে। ফলে নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৩. ক্যান্সার রোগ দূরে থাকে:
আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চের প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে কাঁচা লঙ্কায় উপস্থিত ক্যাপসিসিন, ক্যান্সার সেলেদের মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ঝাল খাবার তৈরি করার সময় ব্যবহৃত হলুদ এবং সরষের তেলও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয়। গবেষণা অনুসারে হলুদ এবং সরষের তেল ক্যান্সার সেলের গ্রোথ আটকাতে এবং টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, আমরা অনেকেই খাবারের স্বাদ বাড়াতে গোলমরিত ব্যবহার করে থাকে। এই মশলাটিও ক্যান্সার রোগের প্রতিরোধে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।

৪.ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:
ঝাল খাবার খাওয়া মাত্র সারা শরীর গরম হয়ে যায়। ফলে রক্তের প্রবাহ বাড়ে যাওয়ার কারণে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসতে সময় নেয় না। প্রসঙ্গত, লঙ্কায় উপস্থিত ভিটামিন এ এবং সি-ও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে মজবুত করতে এবং সংক্রমণকে দূরে রাখতেও সাহায্য় করে।

৫. মানসিক অবসাদ দূর করে:
বেশ কয়েকদিন ধরেই মনটা কেমন দিশেহারা। সেই সঙ্গে হাসিও যেন দূর পালিয়েছে! তাহলে আর সময় নষ্ট না করে পছন্দের ঝাল খাবার খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে। কারণ এমন ধরনের খাবার খাওয়া মাত্র আমাদের মস্তিষ্কে সেরাটোনিন নামক “ফিল গুড” হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মন খারাপের কালো মেঘ কাটতে সময় লাগে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সংসার ভাঙল অভিনেত্রী কিম শর্মার

বিনোদন ডেস্ক : ২০০০ সালে আদিত্য চোপড়ার হাত ধরে ‘মোহাব্বতে’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ অভিনেত্রী কিম শর্মার। প্রথম সিনেমা সুপারহিট হওয়ার পর অন্যান্য সিনেমায় ভালো করতে পারেননি এই অভিনেত্রী। ২০১০ সালে ভারতের শিল্পপতি আলি পুঞ্জানিকে বিয়ে করেন তিনি।
তবে এক সময় শোনা গিয়েছিল, অন্য নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় কিমকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন তার স্বামী। সে সময় খবরটিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিলেও জানা গেল, আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে কিম ও তার স্বামীর।
কয়েক মাস আগে আলির বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছিলেন কিম। অবশ্য বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে কিমের কাছ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘মিস ওয়ার্ল্ড-২০১৭’ প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থানে জেসিয়া!

বিনোদন ডেস্ক : আগামী ১৮ নভেম্বর চীনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘মিস ওয়ার্ল্ড-২০১৭’ এর ৬৭তম আসর। এবারের প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১২০টি দেশ থেকে সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করছেন। এবার সেখানে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে অংশ নিয়েছেন মিস বাংলাদেশ-২০১৭ বিজয়ী জেসিয়া ইসলাম। সম্প্রতি চীনের এক হোটেলে মিস ওয়ার্ল্ড ‘হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন জেসিয়া।
এ রাউন্ডের ফলাফল থেকেই শীর্ষ ৪০জন প্রতিযোগীকে পরবর্তী রাউন্ডের জন্য নেওয়া হবে। যদিও এখনো ‘হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ’ এর ফলাফল জানা যায়নি, তবে জেসিয়া আছেন গ্রুপ নম্বর ছয়ে।
মিস ওয়ার্ল্ড-২০১৭ প্রতিযোগিতায় আয়োজক কমিটির নির্বাচন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ‘দ্য গ্রেট প্যাজেন্ট কমিউনিটি ডট কম’ নামের একটি অনলাইন সংস্থা এক গণভোটের আয়োজন করেছে। যে কোনো মানুষ বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকেই এ ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এমনকি একজন ব্যক্তি যত খুশি ইচ্ছা ভোটও দিতে পারবেন।
সম্প্রতি এ অনলাইন সংস্থাটি নিজেদের ওয়েব সাইটে লিখে- ‘মিস ওয়ার্ল্ড-২০১৭’তে কোন দেশের সুন্দরী বিজয়ী হওয়া উচিত? ইতোমধ্যে সে সাইটে ব্যাপক পরিমাণ ভোট পড়ে এবং দর্শকদের এ অনলাইন ভোটে শীর্ষস্থানে চলে আসে বাংলাদেশের জেসিয়া ইসলামের নাম। মূল প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই অনলাইনে ভোটে জেসিয়ার এ শীর্ষস্থান অর্জনকে বিরাট সাফল্য হিসেবে দেখছেন মিস ওয়ার্ল্ডের বাংলাদেশের অনুসারীরা। ‘মিস ওয়ার্ল্ড-২০১৭’র চূড়ান্ত পর্বে ফলাফল যাই আসুক না কেন, অনলাইন ভোটে জেসিয়ার এ এগিয়ে থাকাতে উচ্ছ্বসিত তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে টানা দ্বিতীয় জয় সিলেট সিক্সার্সের

স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরের মাঠে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)র পঞ্চম আসরের দুর্দান্ত যাত্রা শুরু করছে সিলেট সিক্সার্স। এবারকুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকেও পরাজয়ের হাত থেকে বাচাতে পারে নি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। সিলেট সিক্সার্সে কাছে ৪ উইকেটে হারে নবীর ভিক্টোরিয়ান্স।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেওয়া ১৪৬ রানের টার্গেট। আর সেই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে থারাঙ্গা ও ফ্লেচার ৭৩ রানের জুটি করে সিলেটকে অনেকটাই জয়ের দিকে এগিয়ে দেন। ফ্লেচারকে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে সাজঘরে ফিরিয়েছেন ডোয়াইন ব্রাভো। এরপর মোহাম্মদ নবীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাব্বিরও ফিরেছেন ৩ রান করে। ৫১ রান করে রান আউটের কবলে পড়েন থারাঙ্গা। অধিনায়ক নাসির ২০ বলে ১৮ রান করে আউট হয়ে সাজঘঅরে ফিরে যায়। তবে বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারে নি রস হুইটলি ও শুভাগত হোম।
তবে মাঠে নেমেই প্রথম বলে ছক্কা হাকান নুরুল হাসান সোহান। ১৯.৫ বলের সময় ৪ মেরে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় সিলেট সিক্সার্স। এর আগে গতবারের চ্যাম্পিয়ান ঢাকা ডায়নামাইটসকে কোন প্রকার চান্স দেয়নি উদ্বোধনী ম্যাচে। ঢাকাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে প্রথম ম্যাচে বিশাল জয় তুলে নেয় সিলেট সিক্সার্স।
শনিবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটসের মুখোমুখি হয়েছে নাসির হোসেনের দল। ঐ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক নাসির হোসেন। আজও টস জিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপক্ষে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নাসির হোসেন।
শুরুতেই সিলেট সিক্সার্সের বোলাররা মাঠে নেমেই কোণঠাসা করে তুলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনিংয়ে খেলতে নামা ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসকে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৪৫ রান করে কুমিল্লা। জয়ের জন্য সিলেটের করতে হবে ১৪৬ রান। কুমিল্লার হয়ে ওপেন করতে আসেন লিটন কুমার দাস ও ইমরুল কায়েস। এ দুই ওপেনার দেখে-শুনে ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন সিলটের বোলারদের। ৩৬ রানের একটি অসাধারণ জুটিও গড়ে তোলেন।
কিন্তু প্রথম দিনের মতোই এদিনও সিলেটের হয়ে প্রতিপক্ষে শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন নাসির হোসেন। ইনিংসের পঞ্চম ওভার করতে আসেন নাসির। নাসিরের পঞ্চম বলটি ইমরুল সজোরে খেলতে চাইলে, ব্যাটের কোনায় লেগে সরাসরি স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। ফলে ১২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন কুমিল্লার এ ওপেনার। এরপরই তাইজুলের জোড়া আঘাত। পর পর ব্যক্তিগত দুই ওভারে তুলে নেন লিটন দাস ও জস বাটলারের উইকেট। এরপর মারলন স্যামুয়েলসের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ১৪৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে সক্ষম হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। স্যামুয়েলস ৪৭ বলে করেন ৬০ রান। এ ছাড়া ১৬ বলে ২৬ রান করেন অলক কাপালি। সিলেটের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ক্রিসমরি সান্তোকি ও তাইজুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest