সর্বশেষ সংবাদ-
নানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপনজাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন: সাতক্ষীরায় নবাগত এসপিআশাশুনির আনুলিয়া ও কাপসন্ডায় সড়ক নির্মান কাজে দুর্নীতির অভিযোগবাঁশদহে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়াকেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার’: সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের নিন্দাসাতক্ষীরার আপন প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেমুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা দেবহাটা মুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভাআশাশুনি বকচরে মানবতার আলোর শীতবস্ত্র বিতরণসাতক্ষীরায় ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালনসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দোয়া

দেশের সব কোচিং সেন্টার শুক্রবার থেকে বন্ধ

দেশের সব কোচিং সেন্টার শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে বন্ধ থাকবে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালীন পর্যন্ত এ ধরনের প্রতিষ্ঠান খোলা থাকতে পারবে না। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকের পর এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

শিক্ষামন্ত্রীর ভাষ্য, ‘কোচিং সেন্টার হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের আখড়া। এ কারণে পরীক্ষার সাত দিন আগে থেকে এই কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আমরা মরিয়া ও কঠোর। কারণ আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা সবদিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি। আগে বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নফাঁস হতো, সেটা বন্ধ করেছি। কিন্তু এখন শিক্ষকরাই প্রশ্নফাঁস করছেন। তবে সব শিক্ষক নন, কিছু শিক্ষক এসবের সঙ্গে জড়িত।’

ফেসবুক বন্ধের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়, পরীক্ষা চলাকালীন সীমিত সময়ের জন্য এগুলো বন্ধ রাখার উদ্যোগ নিয়েছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

বৈঠকে জানানো হয়, পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগেই প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে এসে নিজ নিজ আসনে বসতে হবে। এরপর আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ছবি তোলা যায় না এমন একটি মোবাইল ফোন শুধু কেন্দ্র সচিবের কাছে থাকবে। এছাড়া পুরো কেন্দ্রে আর কোনও মোবাইল ফোন থাকবে না। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোনও ধরনের ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। এমনকি পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আংটি আর ঘড়ি পরীক্ষা করা হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব জেলা প্রশাসক ও উপজেলা কর্মকর্তারা একটি টিম করে দেবেন যারা পরীক্ষার আধঘণ্টা আগেই কেন্দ্রে পৌঁছাবে। তবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কোনোভাবেই প্রশ্নের প্যাকেট খোলা যাবে না। কেউ এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া কেন্দ্রে মোবাইল কোর্টও থাকবে, তবে দেশের সব কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। আর এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।’

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার সব শিক্ষাবোর্ডের ছাত্রছাত্রীরা একই প্রশ্ন পাবে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন। তিনি বললেন, ‘সারাদেশে শিক্ষার মান যেন একই হয় সেজন্য এসএসসি পরীক্ষায় সব বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্ন রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে আলোচনা হয়েছে বিভিন্ন বোর্ডে বিভিন্ন প্রশ্ন থাকার কারণে শিক্ষার মান একইরকম থাকে না। এজন্য শিক্ষার্থীরা এবার একই প্রশ্নে পরীক্ষা দেবেন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুলিশের নতুন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী

পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হলেন ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তার এই নিয়োগ আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ শাখার এআইজি সহেলী ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জাবেদ পাটোয়ারী এখন স্পেশাল ব্রাঞ্চের অ্যাডিশনাল আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন আইজিপি হিসেবে আগে থেকেই আলোচনায় ছিল তার নাম।আইজিপি বদলের কথা শোনা যাচ্ছিল এক বছর আগে থেকেই। গত বছরের শেষ প্রান্তে এসে বিষয়টি সরব হয়। জাবেদ পাটোয়ারী ছাড়াও এ সময় আইজিপি হিসেবে আরও যাদের নাম শোনা গিয়েছিল তারা হচ্ছেন অ্যাডিশনাল আইজি (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ও ডিএমপি কমিশনার মো.আছাদুজ্জামান মিয়া। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইজিপি পদে বেছে নিয়েছেন জাবেদ পাটোয়ারীকে।
বর্তমান আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর আইজিপি পদে যোগ দেন এ কে এম শহীদুল হক। এর আগে অ্যাডিশনাল আইজি (প্রশাসন) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেতে ‘পদ্মাবতী’ নাম পরিবর্তন করে ‘পদ্মাবত’ করা হয়েছে। আইনি জটিলতা কাটিয়ে ছবি মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। কিন্তু ছবি মুক্তির একদিন আগেই বুধবার ‘পদ্মাবত’কে কেন্দ্র উত্তাল হয়ে উঠল ভারতের একাংশ। রাজস্থান, হরিয়ানা, গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে একপ্রকার তাণ্ডব চালাল কার্নি সেনার সমর্থকরা।

দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এই রাজ্যগুলোর একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ থেকে শুরু করে বাসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ কোন কিছুই বাদ গেল না। এমনকি যে সিনেমাহলগুলোতে আগামীকাল এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, বাদ যায়নি সেই হল গুলোও। রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হয়েছে সেগুলোতে।

আমেদাবাদের সিনেমা হল, মলগুলোতে ভাঙচুর চালানো হয়। প্রায় ১৫টির মতো মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরগাও’এ আগামী রবিবার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি বলবৎ থাকছে।

রাজস্থানেও বিভিন্ন জায়গায় মিছিল, সড়ক অবরোধ, সিনেমা হলের সামনে আগুন জ্বালানো, গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষোভ দেখায় কার্নি সেনার সমর্থকরা। দিল্লি-জয়পুর জাতীয় সড়কে অবরোধের ফলে অসুবিধায় পড়েন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভের জেরে রাজস্থানে চিতোরগড় দুর্গ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ এমনকি জম্ম্-কাশ্মীরেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও। গুরুগ্রামে স্কুল বাস লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠেছে কারনি সেনার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সেসময় জিডি গোয়েঙ্কা ওয়ার্ল্ড স্কুলের বাসের ভিতরই ছিলেন দ্বিতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অন্য কর্মীরা।

এদিকে, বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে পুলিশও লাঠিচার্য, টিয়ার গ্যাস এমনকি শূণ্যে গুলিও চালায়। তবু বিক্ষোভকারীদের শান্ত করা যায়নি। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক ব্যক্তিকে আটকও করা হয়েছে।

‘পদ্মাবত’ বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। ছবির পরিচালক সঞ্জয় লীলার কুশপুতুল পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আসানসোলের মুর্দাশোলে ভিএইচপি’র সদস্যরা বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের ফলে জানজট সমস্যা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।

এদিকে পদ্মাবত ইস্যুতে ছবি নির্মাতাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি জানান, এ রাজ্যে যদি ছবিটি দেখানো হয় তবে তিনি খুশিই হবেন এবং আইন-শৃঙ্খলার দিকটিও কঠোর হাতে দেখা হবে।

আগামীকাল ‘পদ্মাবত’কে ঘিরে কলকাতায় যাতে কোন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে ইতিমধ্যেই কলকাতা শহরের প্রতিটি সিনেমা হল, মাল্টিপেক্স-এ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এলাকায় অবস্থিত প্রতিটি সিনেমাহলগুলোতে কড়া নজর রাখার।

এ ব্যাপারে মমতা জানান ‘আমি মনে করি আদালত ইতিমধ্যেই রায় দিয়ে দিয়েছে। সকলেই এই রায় মেনে নেওয়া উচিত। এটা একটা সাংবিধানিক সংস্থা। ‘পদ্মাবতী’ নাম পরিবর্তন করে ‘পদ্মাবত’ করা হয়েছে। সরকারের উচিত আদালতের এই নির্দেশ মেনে নেওয়া। এ রাজ্যে যদি এই ছবিটা মুক্তি পায় তবে আমি খুব খুশি হবো’।

বিক্ষোভকারীদের তোপ দেগে মমতা বলেন ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত। বজরং দলসহ যে সংগঠনগুলো এই বিক্ষোভ দেখিয়েছে, বিজেপি’র উচিত তাদের নিয়ন্ত্রণ করা। আমি সকলের কাছেই শান্তির আবেদন জানাচ্ছি’।

উল্লেখ্য, মেবারের রানি পদ্মাবতীর জহরব্রত নিয়ে ছবিটি তৈরি করেছেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি। ছবিটিতে রানি পদ্মীনি চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন, রাজা রতন সিং’এর চরিত্রে অভিনয় করেছে শহীদ কাপুর, সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি’র চরিত্রে রয়েছে রনবীর সিং। পদ্মাবতীকে নিয়ে ছবি তৈরি করায় ক্ষুব্ধ হয় কারনি সেনা। ছবিটি মুক্তি পেলে তার ফল ভাল হবে না বলেও পরিচালককে সরাসরি হুমকি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবৈধ লোনা পানি উত্তোলন বন্ধের দাবিতে কালিগঞ্জে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধভাবে অবাধ লোনা পানি উত্তোলন বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টায় কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে ধলবাড়িয়া ইউনিয়নবাসীর আয়োজেনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিটি পালিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় বাসিন্দা আফসার আলী, রবিউল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ঢালি, কেরামত ঢালি, আব্দুস সালাম, মোমিন মাস্টার প্রমুখ। মানববন্ধনে এ সময় ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের সহ¯্রাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, একটি কূচক্রি মহল বাঁশঝাড়িয়া স্লুইচ গেট দিয়ে অবৈধ ভাবে লোনা পানি তুলে মৎস্য ঘের করার কারনে উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশঝাড়িয়া, পিরোজপুর, মহেশ্বর কাঠি, গান্ধুলুয়া, হরিখালি, বাহাদুর পুর, নোইহাটিসহ কয়েকটি গ্রামের শত শত বিঘা ফসলি জমি ও ঘর বাড়ি নষ্ট হচ্ছে। তাই উক্ত মানববন্ধন থেকে বক্তারা এই লোনা পানি উত্তোলন বন্ধসহ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে অনলাইন নিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় প্রথম যখন অনলাইন নিউজ পোর্টালের যাত্রা শুরু হলো সবাই আশান্বিত হয়ে উঠলো ‘যাক অনলাইনে সাতক্ষীরার সব খবরগুলো অন্য সব মাধ্যমের চেয়ে দ্রত পাওয়া যাবে।’ কিন্তু হায়! তখন কে ভেবে ছিলো মানসন্মত পোর্টালের ভিতর ঢুকে পড়বে কিছু মানহীন, নিম্ন শ্রেণির পোর্টাল, যাদের কাজ হলো হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে, ভুয়া খবর ছড়িয়ে মানুষ কে বিভ্রান্ত করা। এদিকে টাকা দিলেই অনলাইনের সম্পাদক সায়েব দিয়ে দিচ্ছেন আইডি কার্ড। গলায় কার্ড ঝুলিয়ে মটর সাইকেলের সামনে বড় করে প্রেস ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের স্টিকার মেরে শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নব্য সাংবাদিকরা। এছাড়া বিভিন্ন পেশায় কর্মরত মানুষ নিজেদের মটর সাইকেলে অনলাইনের স্টিকার মেরে নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে।
এই টাইপের নিম্ন শ্রেণির পোটাঁল গুলো মূলতো যৌন সুড়সুড়ি মার্কা খবর আর ভুয়া খবর প্রকাশ করে পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য।
কারণ এরা জানে যৌনতা নির্ভর খবর প্রকাশ করলে পাঠক হুমড়ি খেয়ে পড়বে, আর এদের পাঠক সংখ্যাও বাড়বে। এজন্যই দেখবেন ধর্ষণ খবর, অবৈধ সম্পর্কের খবরগুলো এরা রসিয়ে রসিয়ে এবং গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করে অথচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ রয়ে যায় আড়ালেই।
সাতক্ষীরায় মানসন্মত পোর্টাল যে নেই ব্যাপারটা এমন নয়। কিছু আছে খুবই মানসন্মত। এরা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে। কিন্তু মানহীন-তৃতীয় শ্রেণির পোর্টালগুলোর কারণে অন্যদেরও দুর্নাম হয়।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মো: আবুল কাশেম মুহিউদ্দিন বলেন অনুমোদনবিহীন অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টাল সাতক্ষীরায় রয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার একটি নীতিমালা তৈরি করছে। খুব শীঘ্রই আমরা এসব অনঅনুমোদিত অনলাইন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আর যদি কোন অনলাইন রাষ্ট্রবিরোধী কর্যকালাপ এর খবর এবং মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে তহালে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বুধহাটা প্রতিনিধি: আশাশুনির বুধহাটায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এস এস সি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুন্দুড়িয়া পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়: বেলা ১২টায় বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে কুন্দুড়িয়া হাইস্কুল চত্বরে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য গনেশ চন্দ্র গাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মোঃ আরিফুল ইসলাম। সিনিয়র শিক্ষক জিএম গাওছুল আলমের পরিচালনায় সহকারী শিক্ষক তাপস চক্রবর্তী সহ এলকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এবছর বিদ্যালয়টি থেকে ১০৪জন শিক্ষার্থী এস এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণন করবে।
কওছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা: বুধবার সকালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব গয়জুদ্দীন গাজীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওঃ আবুল আলা মওদুদী। শিক্ষক মাওঃ কুতুবউদ্দীন ও মাওঃ আব্দুস সালামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সহ সভাপতি আইয়ুব হোসেন রানা, ইউনিয়ন আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান আলী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মইজুদ্দীন গাজী, রজব আলী ও মাস্টার শফিকুল ইসলাম, খরিয়াটি দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার জুম্মান আলী, শিক্ষক মাওঃ রহমতউল্লাহ, হাফেজ মাওঃ রুহুল আমীন, মাওঃ আব্দুল ওহাব প্রমুখ। এবছর মাদ্রাসাটি থেকে ৫২জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুল: সকাল ১১টায় স্কুল চত্বরে অনুষ্ঠিত বিদায়ানুষ্ঠানে সিনিয়র শিক্ষক তাপস বসাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক এস এম সিরাজুল ইসলাম। প্রভাষক মহিনুর ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক খান সালামত হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবিনা ইসলাম, জোৎনা ঘোষ, বিজলী ঘোষ, শিরিন সুলতানা প্রমুখ। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবছর ১২৯জন শিক্ষার্থী এস এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
গাবতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়: কুল্যা ইউনিয়নের গাবতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য এস এম দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে বিদায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার দাশ। এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক রাম প্রসাদ, নিমাই চন্দ্র রায়, রঘুনাথ দাশ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক মেম্বর আশুতোষ দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এবছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৫২জন শিক্ষার্থী এস এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ জাফরুল আলম, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ: জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে উপজেলার শ্রেষ্ঠ স্থান লাভ করেছেন কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বাছাড়। মাদ্রাসার শ্রেষ্ঠ প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা সদরে অবস্থিত হাজী তফিল উদ্দীন মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা রমিজ উদ্দীন। উপজেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত হয়েছে নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজ, শ্রেষ্ঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে শ্রীকলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা নির্বাচিত হয়েছে উপজেলা সদরে অবস্থিত নাসরুল উলুম সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা। কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজের প্রভাষক ফিরোজ হায়দার, মাধ্যমিক পর্যায়ে কালিগঞ্জ পাইলট মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গোপাল চন্দ্র গাইন এবং মাদ্রাসা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক তারালী কেন্দ্রীয় আলিম মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী আকরাম হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন; শিশু সন্তানকে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন গৃহবধু শ্যামলী

তালা প্রতিনিধি: বিয়ের সময় দাবী মোতাবেক বরপক্ষকে সব মিলিয়ে দিতে হয়েছিল ২ লক্ষাধিক টাকার যৌতুক। বিয়ের পর আবারও দাবী মটরসাইকেল কেনার জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা! কিন্তু যৌতুকের দাবীর সেই দেড় লক্ষ টাকা দিতে না পারায় তালার দরিদ্র পরিবারের মেয়ে শ্যামলী সরকারের জীবনে নেমে এসেছে অমানিশার ঘোর অন্ধকার! এক দিকে কোলে শিশু সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়ি ছাড়া, অপরদিকে স্বামী, শশুর ও শাশুড়ির হুমকির মূখে অসহায় হয়ে পড়েছে গৃহবধু শ্যামলী সরকার। বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন’র মধ্যে থাকা গৃহবধু শ্যামলী সরকার- স্বামী-সংসারের অধিকার ও কোলের শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। শ্যামলী সরকার উপজেলার লক্ষনপুর গ্রামের বিনয় সরকারের মেয়ে।
শ্যামলী সরকার জানান, প্রেমজ সম্পর্ক সূত্রে একই গ্রামের মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে তিশান সরকারের সাথে বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক আদালত’র মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৫ আগষ্ট বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদির পর উভয় পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে তিশান ও শ্যামলী খ্রীষ্টান ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী আবারও বিয়ে করেন। এসময় স্বামী তিশানের দাবী অনুযায়ী শ্যামলীর পিতা স্বর্নালংকার ও আসবাবপত্র সহ ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল যৌতুক প্রদান করে। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পার হতেই মটরসাইকেল কেনার জন্য তিশান আরো দেড় লক্ষ টাকা দাবী করলে শ্যামলীর দরিদ্র পিতা তা দিতে ব্যর্থ হয়। এতে তিশান তার স্ত্রী শ্যামলীকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
শ্যামলী জানান, গত বছরের ৪ জুলাই তিশান যৌতুকের দাবীতে তার (স্ত্রী শ্যমালীর) পিতার বাড়িতে যায়। এসময় সে আবারও মটরসাইকেল কেনার জন্য দেড় লক্ষ টাকা দাবী করলে শ্যামলী ও তার পিতা দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিশান তার স্ত্রী শ্যামলীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এঘটনায় শ্যামলীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঘটনার বিচার চেয়ে শ্যামলী সরকার তার স্বামীর বিরুদ্ধে তালা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার এস.আঅই মিজানুর রহমান প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে ইতোমধ্যে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট (১২৮/১৭) প্রদান করেছেন। বর্তমানে মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধিন রয়েছে।
এদিকে, মামলা দায়েরের পর থেকে অদ্যবদী পুলিশ যৌতুকলোভী তিশান সরকারকে গ্রেফতার করতে পারেনি। যে কারনে তিশান ও তার পিতা মনোরঞ্জন এবং মা’ পারুল সরকার প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নেবার জন্য প্রকাশ্যে শ্যামলীকে হুমকি প্রদান করছে। এতে চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে অসহায় শ্যামলী সরকার। শ্যামলী সরকার অভিযোগ করে বলেন, তিশান ইতোমধ্যে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। তাছাড়া,
যৌতুক হিসেবে মটরসাইকেল না দেওয়ার জেরে তিশান তার স্ত্রী শ্যামলী ও ১৭ মাস বয়সী শিশু সন্তান জিসান সরকারের কোনও দেখভাল করে না। এতেকরে বর্তমানে অসহায় হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে দরিদ্র পরিবারের মেয়ে গৃহবধু শ্যামলী সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest