সর্বশেষ সংবাদ-
২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শেষ মুহূর্তে প্রচারনায় সরগরম দেবহাটাতালায় ধানের ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত : আহত ১০শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের র‌্যালিসাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু।সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতসাতক্ষীরার রাজ্জাক পার্কে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসব্যাপী বসুন্ধরা পন্য বিক্রি শুরুসাতক্ষীরায় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ৫ দিন পার না হতেই একই এলাকায় আবারো ডাকাতিএস এস সি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম আহনাফ তাহসিনকারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি সমমান মর্যাদা ঘোষনার উদ্যোগে বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপন

সৌদির বিমান হামলায় ৩০ ইয়েমেনি নিহত

ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটির হাজ্জাহ প্রদেশের হিরান এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে আলজাজিরার খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর থেকে হিরান এলাকায় কমপক্ষে ১৬টি বিমান হামলা চালানো হয়। হামলা চলে ভোর ৫টা পর্যন্ত। ওই এলাকায় হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থক শেখ হামদি ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করতেই ওই হামলা চালানো হয়।

এ বিষয়ে হুসাইন আল-বুখাইতি নামের একজন হুতি বিদ্রোহী জানান, মঙ্গলবার রাতে চালানো হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে এক পরিবারের ১০ সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া ১০ জন প্রাথমিক চিকিৎসকও নিহত হয়েছেন।

আল-মাসিরাহ নামের হুতি নিয়ন্ত্রিত একটি টেলিভিশন চ্যানেল তাদের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে হামলা-পরবর্তী কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে। সেখানে বোমায় ধ্বংস হওয়া গাড়ি ও নিহত শিশুদের পড়ে থাকতে দেখা যায়।

২০১৪ সাল থেকে চলমান যুদ্ধে ভেঙে পড়েছে ইয়েমেনের অবকাঠামো। লড়াইয়ে একদিকে রয়েছে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহের অনুগত হুতি বিদ্রোহীরা। অন্যদিকে রয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত এই দুপক্ষের লড়াইয়ে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার ইয়েমেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় পুলিশের সহযোগিতায় পাচার হওয়া শিশু ৫দিন পর উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারতে পাচার হওয়া শিশু অবশেষে ৫দিন পরে কলারোয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হলো। ফিরে পেল তার মা।
মঙ্গলবার সকালে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ সাংবাদিকদের জানান- কলারোয়া থানা পুলিশের উদ্যোগে “মা ফিরে পেল পাচার হয়ে যাওয়া তিন বছরের শিশু বাচ্চা মুস্তাকিম হাসান আপনকে।
সে কলারোয়া উপজেলার উত্তর ভাদিয়াল গ্রামের আলমগীর হোসেন ও মোছাঃ নাসরিন সুলতানের পুত্র।
৪নভেম্বর বেলা ১২টার দিকে কলারোয়া থানায় শিশু পাচার সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়।
পরে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথের তৎপরতায় পুলিশ অভিযান শুরু করে।
পুলিশের অভিযানের কথা জানতে পেরে শিশু পাচারকারী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আত্মগোপন করে। পরে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করে তাহাদের নির্দেশ মোতাবেক ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৭ ধারা মোতাবেক কলারোয়া থানার মামলা নং-০৩, তাং-০৪/১১/১৭ খ্রিঃ রুজু করে পাচার হয়ে যাওয়া শিশু বাচ্চা মুস্তাকিম’কে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ এর সাথে জরুরী ভাবে পতাকা বৈঠক করেন এবং ভিকটিমকে উদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
উক্ত নির্দেশনা মোতাবেক ৬ নভেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ৭৬ বিএন বিএসএফ বিওপি বিথারিদের মাধ্যমে ভারতের হামিকপুর বাসস্ট্যান্ড হইতে পাচার হয়ে যাওয়া শিশু মুস্তাকিমকে উদ্ধার পূর্বক বাংলাদেশ ভারতের সীমান্ত এলাকা কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভাদিয়ালী ১নং পোস্ট নামক স্থানে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৩৮/ই কোম্পানী মাদরা বিওপি এর বিজিবি সদ্যদের মাধ্যমে রাত ৯টার দিকে কলারোয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
পরে ভিকটিম মুস্তাকিম হাসানকে তাহা মা মোছা. নাসরিন সুলতানার কোলে তুলে দেয়া হয়।
বর্তমানে মামলাটির সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে এজাহার নামীয় আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য থানা পুলিশের অভিযান অব্যহত রেখেছে বলে জানা ওসি বিপ্লব দেব নাথ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার বিতর্কিত ‘জীবন স্যার’ এখন ১৫ বছরের শিশু জেডিসি পরীক্ষার্থী!

মো: বশির আহমেদ : ‘জীবন স্যার’ এর নাম শুনেছেন? সাতক্ষীরার বহুলালোচিত জীবন মাস্টার! কখনও পীর সাহেব, কখনও হাকিম, কখনও পাশের গ্যারান্টিসহ ইংরেজি প্রাইভেট পড়ানো বিচিত্র এক চরিত্র এই জীবন স্যার! সেই জীবন স্যার এখনও বয়স কমে ৮ম শ্রেণির মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ১৫ বছরের শিশু!
আশাশুনি উপজেলার গুনাকরকাটি খায়রীয় আজিজীয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের জেডিসি পরীক্ষার্থী আবু আইয়ুব আনছারীকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার দরগাহপুর সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসার ছাত্র, রোল নং ২৭২৭০০, রেজি: নং ১৭১৮৭৯৫৫৫৩, জন্ম তারিখ: ১৫-১০-২০০২ ইং ১৫ বছর বয়সী কে এই আবু আইয়ুব আনছারী? কি তার আসল পরিচয়? প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে তার জীবনের কিছু গোপন রাখা তথ্য। ৫০ উর্ধ্ব বয়সের আবু আইয়ুব আনছারী ওরফে ‘জীবন স্যার’ বহু শিক্ষকেরও শিক্ষক। সাতক্ষীরা শহরের সর্বত্র আলোচিত এই জীবন স্যার। তাকে নিয়ে আলোচনা শেষ নেই। কখনও প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবে তার বাড়িতে পুলিশ যায় প্রাইভেট শিক্ষক জীবনের ভিজিডিং কার্ডে লেখা আছে- তিনি একাধারে আল কুরআনের গবেষক, ইংরেজি শিক্ষা প্রশিক্ষক, অভিজ্ঞ ইংলিশ শিক্ষক, পীরে কামেল, মুফতী, কারী, হোমিও-হারবাল চিকিৎসক এবং ধর্মীয় আলোচক।
তিনি আবার ইংরেজি প্রাইভেট পড়ান। কালিগঞ্জ উপজেলার ছেলে জীবন বহু দিন থেকে সাতক্ষীরাতে অবস্থান করে প্রাইভেট বাণিজ্য করে আসছেন।
৮ম শ্রেণিতে পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে জীবন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি জেডিসি পরীক্ষা দিচ্ছি তো কি হয়েছে। শিক্ষার শেষ নেই। মানুষকে উপকার করতে শেখেন।”
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে এইস এস সি পরীক্ষার আগের দিন রাতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার অপরাধে সন্দেহভাজনের তালিকায় থাকার কারণে পুলিশের তাড়া খেয়ে কিছুদিন আতœগোপনে ছিলেন তিনি। এলাকার সচেতন মহলের ধারণা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে দুর্বল হওয়ার কারণে কেন্দ্রের ২৯০ জন শিক্ষার্থীকে অনৈতিক সাহায্য করার জন্য তাকে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানো হচ্ছে।
দরগাহপুর সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জানান, বিষয়টি আগে এভাবে ভাবিনি। একটা ঘটনা তো ঘটেই গেছে। এখন কি করা যায় তাই ভাবছি।
গুনাহকরকাটি খায়রীয়া আজিজীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও: নুর ইসলাম জানান, জীবন স্যারের শুধুমাত্র জন্ম সালটা ভুল হয়ে গেছে। বোর্ডে কথা হয়েছে সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
কেন্দ্র সচিব নৈকাটি দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ শেখ ইমদাদুল হক জানান, জেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসারকে জন্ম তারিখ এবং বয়সের পার্থক্যের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। ওনারা বলেছেন কাগজপত্র ঠিক থাকলে তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হোক!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আতিয়ার রহমান ছিলেন মুজিব আদর্শের সৈনিক -নজরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা পৌর শাখার ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক সফল সংগ্রামী সভাপতি মরহুম আতিয়ার রহমানের ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে শহরের কে-লাইন পরিবহন কাউন্টারের সামনে ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের আয়োজনে ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এস.এম ইউসুফ সুলতান মিলনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, ‘মরহুম আতিয়ার রহমান ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মুজিব আদশ্যের সৈনিক। সে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।’ প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সাহিদ উদ্দীন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহিন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ, ৮নং ওযার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল আনিছ খান চৌধুরী বকুল, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এপিপি এড. মুস্তাফিজুর রহমান শাহনওয়াজ, কৃষকলীগ নেতা এড. আল মাহমুদ পলাশ ও ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান মিঠু প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নলতায় খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ৫ বছরের শিশুকে বিকৃত যৌন নিপীড়ন

নিজস্ব প্রতিনিধি : খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ব্রাক স্কুলের ৫ বছরের এক শিশু ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করেছে আবুল হোসেন নামের এক নরপশু। শিশুটির বুকে কামড় দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করেছে সে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা কলেজ মোড়ে এক সাইকেল মিস্ত্রির দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ জনতা মঙ্গলবার সন্ধা ৬ টার দিকে জনতা ঐ সাইকেল মিস্ত্রী ও তার ছেলেকে পিটিয়ে জখম করেছে। এসময় আবুল হোসেন ও তার ছেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে নলতা হাসপাতালে যায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হাসপাতালের প্রাচির টপকিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
সরেজমিনে জানা যায়, পূর্ব নলতা গ্রামের মৃত সেলিমের শিশু মেয়ে দাদার কাছে থেকে নলতা ব্রাক স্কুলে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজ মোড়ের সাইকেল মিস্ত্রী সোনাটিকারী গ্রামের মৃত আদর আলী গাজীর ছেলে আবুল হোসেন (৫৫) স্কুলে যাওয়া ও আসার পথে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে দোকানে বসায়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তার ভাইঝি দাদার চায়ের স্টলে যাওয়ার সময় সাইকেল মিস্ত্রী আবুল হোসেন তাকে দোকানের মধ্যে নিয়ে খাবার দিয়ে তার দু’ বুকে(স্তনে) কামড় দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে এবং কাউকে বিষয়টি না বলার জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে ক্ষত স্থানে ব্যাথা শুরু হতে থাকলে শিশুটি তার মাকে বিষয়টি খুলে বলে। বিষয়টি তার মা স্থানীয়দের জানালে ক্ষুব্ধ জনতা আবুল হোসেনকে উত্তম-মধ্যম দেয়। এসময় বাধা দেওয়ায় ছেলে আলমগীর হোসেনকেও (২৫) পিটিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা । পরে তারা নলতা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। তবে বিষয়টি অভিযুক্ত আবুল হোসেন অস্বীকার করেছে।
এদিকে কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক সুধাংশু হালদার, উপপরিদর্শক হেকমত আলী ও এমদাদুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। এবং অভিযুক্তদের আটকের উদ্দেশ্যে নলতা হাসপাতালে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই আবুল হোসেন ও তার ছেলে পালিয়ে যায়। তবে আবুল হোসেনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটার জোয়ার গুচ্ছগ্রাম প্রাইমারিতে শ্রেণিকক্ষ সংকটে পাঠদান ব্যাহত

কেএম রেজাউল করিম : দেবহাটার গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সংকট হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, পারুলিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ভূমিহীদের মাঝে শিক্ষার আলো আলোকিত করতে ১৯৯৫ইং সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা ৫ জন, ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা ১৭৮জন। কয়েক বছর আগে পাঁকা পুরাতন জরাজীর্ণ একটি ভবন দেখা যায়। ভবনের পাঁকা অংশে বিভিন্ন স্থান ধ্বসে পড়ে শিক্ষার্থীদের মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে এমন অবস্থায় ২০০৬ইং সালে ভূমিহীন পল্লীর জনসাধারণের জন্য নির্মিত আশ্রায়কেন্দ্রে শুরু হয় বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। সেই রুমে কোন রকম ভাবে শুরু হওয়া পাঠদান বর্তমানে নানা সংকটের মুখে পড়েছে। কেননা প্রতিটা বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ শুধুমাত্র শিশু শ্রেণির জন্য বরাদ্ধ। যেখানে শিক্ষা উপকরণ রাখা হয়েছে ৪টির ১টিতে, একটি রুম অফিস কক্ষ হিসাবে, অপর দুটি কক্ষে পাঠদান করা হলেও সংকট থেকে যায় আরও রুমের। এতে করে খোলা পরিবেশে ক্লাস করানো হচ্ছে। আর তাতে শিক্ষার্থীরা পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে নেই ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আধুনিক মানসম্মত কমন রুম, নেই সীমানা প্রাচীর, ওয়াশ রুম, নেই ভালো টয়লেট। ঝড়-বৃষ্টি হলে শিক্ষকসহ ছাত্র/ছাত্রী এবং বই পুস্তক বৃষ্টি পানিতে ভিজে যায়। রৌদের সময় ধুলাবালিতে ভরে যায়।
তবে ১৯৯৫ সালের এই বিদ্যালয় ভবনটি সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়ে আছে বহুদিন। বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো বার বার প্রশাসনকে জানানো হলেও তেমন কোন ফল পাওয়া যায়নি। ফল না পেয়ে স্থানীয় ভূমিহীন ছিন্নমূলের মানুষের সহযোগীতায় পরিত্যাক্ত ভবনে ঝুঁকির মধ্যে পাঠদান করা হলেও সেটি এখন পুরোপুরি বন্ধ। সেই সাথে বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা। নেই আধুনিক পাঠদানের উপকরণ ব্যবস্থা। নেই পর্যাপ্ত আধুনিক বেঞ্চ-টেবিল। নেই সীমানা প্রাচীর। বিদ্যালয়টিতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে আসে। আর এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। যেখানে বর্তমান সরকার শিক্ষার বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখলেও এই বিদ্যালয়টি অবহেলায় পড়ে আছে।
অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবর রহমানের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি বিদ্যালয়টির শুরু থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ভবনের আবেদন করেও কোন সাড়া পাচ্ছি না। যদি আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়টির দিকে সু-দৃষ্টি দেয় তাহলে আমরা খুবই উপকৃত হব।
এ ব্যপারে অত্র বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য মোকারম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নতুন করে কমিটিতে এসেছি। শিক্ষকদের থেকে জানতে পারলাম বিভিন্ন দপ্তরে ভবনের জন্য আবেদন করে এখনো কোন সুফল পাওয়া যায়নি। আমি আসার পর থেকে নিজ অর্থায়নে এবং পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশকে শিক্ষাবান্ধব করে তুলছি। সরকারি ভাবে একটা নতুন ভবন তৈরি করে দিলে আমাদের এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা নির্বিঘিœ পড়ালেখা করতে পারবে। তাছাড়া আগের অকেজো ভবনটি প্রতিনিয়ত ভেঙে পড়ছে যাতে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই অকেজো ভবনটি ভেঙ্গে স্থানটিতে নতুন ভবন তৈরি করতে কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করছি।
অনতি বিলম্ভে পাঁকা নতুন ভবন নির্মাণ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ করে দেয়ার জন্য দাবি করেন শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় সুইড খাতিমুন্নেসা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় সুইড খাতিমুন্নেসা হানিফ লস্কর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষে সুইড খাতিমুন্নেসা হানিফ লস্কর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাশিস সরদার, জেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম, সুইড খাতিমুন্নেসা হানিফ লস্কর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য বিশিষ্ট সমাজ সেবক ডা. আবুল কালাম বাবলা ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা তুলসী কুমার পাল প্রমুখ। সভায় সুইড খাতিমুন্নেসা হানিফ লস্কর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাক ক্রয় এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় সুইড খাতিমুন্নেসা হানিফ লস্কর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুইড খাতিমুন্নেসা হানিফ লস্কর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে বিএনপি

এম বেলাল হোসাইন : “বিপ্লবের এই দিনে, জিয়া তোমায় পড়ে মনে” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকালে শহরের আমতলা মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আমতলামোড়স্থ নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি রহমততুল্লাহ পলাশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শেখ তারিকুল হাসান, বিএনপি নেতা রফিকুল আলম বাবু, হাবিবুর রহমান হবি, আবুল হাসান হাদী, অধ্যাপক শের আলী, অধ্যাপক নরুমোহাম্মদ পাড়, আইনুল ইসলাম নান্টা, মাসুম বিল্লাহ শাহিন, এড. এবিএম সেলিম প্রমুখ
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, “১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর ছিল আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশ প্রেমিক সৈনিক ও জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের দিন। তাদের সম্মিলিত প্রতিরোধ ব্যুহ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিল দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করার এক হীন চক্রান্ত। সাধারণ সৈনিকরা বিপ্লবের প্রথম ধাপেই জেল থেকে মুক্ত করে আনেন তাদের প্রিয় অধিনায়ক সেনা প্রধান জিয়াউর রহমানকে। তিনি সেনা বিদ্রোহকে প্রশমিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সৈনিকরা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। তিন দিনের গুমোট পরিবেশ মুহূর্তেই পরিবর্তিত হয়ে যায়।
সেনাবাহিনীর ট্যাংকের নলে মালা পরিয়ে দেয় উৎফুল্ল জনতা। ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় উঠে বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস। রাজধানী ঢাকার রাজপথে জনতার গগন বিদারি শ্লোগানের সঙ্গে ট্যাঙ্কের গর্জন মিলে সৃষ্টি করে এক অভূতপূর্ব আবহ। সে আবহ আবারও পুনরায় জানান দেয়, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দাবিয়ে রাখা সম্ভব নয়।”
আলোচনা সভা শেষে দিবসটি উপলক্ষ্যে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সেখানে একটি কেক কাটেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest