সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন সমিতির কঠোর হুশিয়ারীসাতক্ষীরায় শিশু-যুব ও স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালাশ্যামনগরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক সুন্দরবনের ত্রাস সাইফুলসাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি

শ্যামনগর নুরনগরে পানিতে ডুবে ১৫ মাসের শিশুর মৃত্যু

পলাশ দেবনাথ, নুরনগর: শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরের মানিকপুর এক শিশুর পানিতে ডুবে করুণ মৃত্যু হয়েছে। মানিপুর গ্রামের বাবলুর রহমানের এক মাত্র পুত্র ইমন (১৫মাস) পানিতে ডুবে মারা গেছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর ১টা ৩০মিনিটের দিকে বাড়ির সংলগ্ন মাঠে বসে পত্রিকা পড়ছিল শিশুটির পিতা বাবলুর রহমান এসময় শিশু ইমন পাশেই খেলা করছিল হঠাৎ শিশুটিকে না দেখতে পেয়ে বাবলুর রহমান খোঁজ করতে থাকে। বাড়ির আশেপাশে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাশ্ববর্তী পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন শিশুটিকে পানি থেকে তুলে দেখতে পায় তার মৃত্যু হয়েছে। শিশু ইমনের অকাল মৃত্যুতে পিতা-মাতা সহ স্বজনদের আহাজারীতে ঐ এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। মানিকপুরস্থ বাবলুর রহমানের বাড়িতে শিশু ইমনের জানাযার নামাজ আসর বাদ অনুষ্ঠিত হয় এবং পারিবারিক কবর স্থানে দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ধুলিহরে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই, ফের গ্রেফতার!

ধুলিহর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর বাজারের সাহেব বাড়ি মোড় থেকে পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছিনতাইয়ের আড়াই ঘন্টা পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফের সেই আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর মাগরিবের আযানের কয়েক মিনিটি আগে সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের কুলতিয়া ঘোষপাড়া গ্রামের পশু চিকিৎসক সত্যরঞ্জন ঘোষের পুত্র চন্দন ঘোষ (২৬) ভ্যানযোগে আশাশুনি-চাপড়া সড়ক দিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিল। এ সময় ভ্যানটি ধুলিহর এলাকার জাহানাবাজ মাদ্রাসার সামনে বটতলায় পৌছালে ৪ যুবক ২টি বাজাজ ডিসকভার মোটর সাইকেলে এসে পথরোধ করে নিজেদেরকে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্য পরিচয় দিয়ে পিস্তল দেখিয়ে ভ্যান থেকে নামিয়ে নেয় এবং গুলি করার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ফেলে রেখে যায়। ঘটনার রাতেই চন্দন ঘোষ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
চন্দন ঘোষের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের সময় সে একটি মোটর সাইকেলের নাম্বার মুখস্থ করে রাখে। গাড়িটির নাম্বার সাতক্ষীরা হ-১২-৬০৪৬। এই নাম্বারটি খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোটর সাইকেলের মালিক দেবহাটা থানার কোমরপুর গ্রামের নুর মোহাম্মাদ সরদারের পুত্র কলেজ শিক্ষক মোঃ তানভীর হোসেন। কিন্তু এই গাড়িটি ২৬/০৫/১৪ তারিখে সে যশোর জেলার কেশবপুর থানার মঙ্গলকোটের বসুন্তিয়া গ্রামের ফজর সরদারের পুত্র হালিম সরদারের নিকট এফিডেভিট মূলে বিক্রয় করে। এরপরে বিনা এফিডেভিটে বা নামপত্তন না করেই ৪ ব্যক্তির কাছ ঘুরে সাতক্ষীরা শহরের নিউ মীর এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে গাড়িটি বাকীতে গত ইং ১৭/০৭/১৭ তারিখে ক্রয় করে ধুলিহর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ শামছুর রহমান গাজীর পুত্র মোঃ মোমিনুর রহমান গাজী ওরফে মহিন (২৬)। এসব নানান সূত্র ও চন্দনের বর্ননায় ছিনতাইয়ের সাথে মহিনের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমান পায় পুলিশ। তাকে ধরতে পুলিশ কয়েক জায়গায় অভিযানও চালায়। বুধবার (১৭ জানুয়ারী) দুপুর একটার দিকে মহিন ধুলিহর বাজারের সাহেব বাড়ি মোড়ে অবস্থান করছে এ ধরনের একটি সংবাদের ভিত্তিতে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস, আই অচিন্ত্য কুমার অধিকারী তাকে ধরতে সাইফুল নামের একজন পুলিশ কনষ্টেবলকে পাঠায়। এ সময় এস, আই অচিন্ত্য কুমার অধিকারী একটি মানসিক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাংদহা এলাকায় ছিলেন। সাহেব বাড়ি মোড়ে মহিনকে পেয়ে পুলিশ কনষ্টেবল সাইফুল তাকে আটক করে। কিন্তু ধুলিহর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি খবর পেয়ে লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার নেতৃত্বে জোরপূর্বক মহিনকে ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
এ খবর মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ নড়েচড়ে বসে। ধুলিহর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মহিনকে গোবিন্দপুর খেয়াঘাট এলাকা থেকে এস, আই অচিন্ত্য কুমার অধিকারীর নেতৃত্বে কনষ্টেবল আনোয়ার, সাইফুল ও বাবুল বিশেষ কায়দায় আটক করতে সক্ষম হয়। আটকের পর মহিনকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরপরই পুলিশ তৎপর হওয়ায় আসামী ছিনতাইয়ের মূল নায়ক শফি গা ঢাকা দিয়েছে। তাকেও পুলিশ খঁজছে।
অপর একটি সূত্র জানায়, ধুলিহর এলাকার চিহ্নিত একটি বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ও এলাকার বাইরে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ডিবি, সিআইডি ও বিভিন্ন সংস্থার পরিচয় দিয়ে এবং পুলিশ-প্রশাসনের সোর্স পরিচয়ে টাকা ও মালামাল ছিনতাই করে যাচ্ছে। তাদের নামে একাধিক হত্যা, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও নাশকতার মামলা রয়েছে। মূলত ওই সংঘবদ্ধ ও চিহ্নিত চক্রের সদস্যরা এই ছিনতাইয়ের কাজটি করেছে বলে এলাকার একাধিক সচেতন মহল ধারনা করছে। এই চক্রের অন্যতম সদস্য মহিন। তার নামেও সদর থানা সহ বিভিন্ন থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
অপর একটি সূত্র জানায়, ধুলিহর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি দীর্ঘদিন ধরে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় ভূমি জবর-দখল, চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন অপরাধী তার ছত্রছায়ায় থেকে নানান অপরাধ অব্যাহত রেখেছে। শফি এলাকায় জিরো থেকে হিরো হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও এই শফি ভ্যান চালিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতো। আর এখন সে সমাজে দাপট দেখিয়ে নিজেকে নেতা হওয়ার চেষ্টায় রত আছে।
ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস, আই অচিন্ত্য কুমার অধিকারী মহিনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরা বন্দরে জেলা প্রশাসন সেবাকুঞ্জ উদ্বোধন করলেন বিভাগীয় কমিশনার

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে জেলা প্রশাসন সেবাকুঞ্জ উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ভোমরা স্থল বন্দরে বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্টেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফলক উন্মোচন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহম্মদ, ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ জুয়েল আহমেদ, ভোমরা কাষ্টমস্ সি.এন্ড.এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিমসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবার মান নিয়ে এমপি রবির ক্ষোভ

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সদর হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সদর হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সদর হাসপাতাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন কমিটির সভায় প্রতিটি সভায় যে সব আলোচ্যসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা আজ অবধি বাস্তবায়ন করা হয়নি এবং একই আলোচ্যসূচি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা পুরোদমে ভেঙে পড়েছে। সাতক্ষীরার বিভিন্ন মানুষ আমার কাছে অভিযোগ করেছে। হাসপাতাল চত্বরে নোংরা ও দুর্গন্ধে হাসপাতালের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।” অতিরিক্ত পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে হাসপাতালের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, “হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিতে অর্থ আদায় খুবই দুঃখজনক। ডাক্তাররা ঠিকমতো হাসপাতালে থাকেনা। তারা প্রাইভেট ক্লিনিক নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে গরিব অসহায় রোগীদের হয়রানি করছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সরকারি বেতন নেবেন অথচ তাদের সেবা দেবেন না তা হবে না। সদর হাসপাতালকে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে হবে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে সেবার নামে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত করে সরকারের ইমেজ নষ্টকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
এসময় আর বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তাওহীদুর রহমান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ডা. মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে.এম আরিফুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক বিশ^াস, পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, ডা. সুশান্ত ঘোষ, সদর হাসপাতালের প্রকৌশলী আমিনুর রহমান ও কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ভারপ্রাপ্ত ডা. ফরহাদ জামিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে যুবলীগ সভাপতির বাড়িতে বিস্ফোরণ; তাজা বোমা, গুলি ও অস্ত্র উদ্ধার

আব্দুল আলিম: সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ০৫ নং কৈখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হোসেন মোল্যার বাড়িতে বোমা বিষ্ফোরন হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে শ্যামনগর থানা পুলিশ ০২ টি তাজা বোমা, ০২ টি গুলি, রামদা, লাঠি ও জিআই, পাইপ উদ্ধার করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বুধবার ভোররাত্র আনুমানিক ১.০০টার দিকে কৈখালী ইউনিয়নের বৈশখালী গ্রামের মৃত সাকাত মোল্যার পুত্র ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন মোল্যার বাড়িতে একটি বোমা বিষ্ফোরণ হয়। বোমা বিষ্ফোরণে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ইউনিয়ন ব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সংবাদটি শ্যামনগর থানা পুলিশকে অবগত করলে থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল মান্নান ও সঙ্গীয় ফোর্স তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ০২ টি তাজা বোমা, ০২ টি গুলি, রামদা, লাঠি ও জিআই পাইপ উদ্ধার করে শ্যামনগর থানায় নিয়ে যায়।
বোমা বিষ্ফোরণের পরে ০৫ নং কৈখালী ইউনিয়ন ব্যাপি জন সাধারনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন, বোমা বিষ্ফোরণের কথাটি আমি সকালে শুনেছি। আমার মনে হয় ঘটনাটি সম্পূর্ণ পরিকল্পনা মাফিক সাজানো। সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাসানোর জন্য এমন ধরনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “আমরা ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে কাউকে সনাক্ত করা হয়নি।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আবারও নির্বাচিত হলে এলাকার অসমাপ্ত উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবো-ডেইলি সাতক্ষীরাকে এমপি জগলুল হায়দার

তোষিকে কাইফু: সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এস. এম জগলুল হায়দার তার নির্বাচনী এলাকায় নদীভাঙনে শ্রমিকদের সাথে মাটি কেটে বাঁধ বাঁধার পরবর্তী শ্রামিকদের সাথে একই সারিতে বসে খাবার খাওয়াসহ নানাভাবে আলোচিত হয়েছেন। অবহেলিত সাতক্ষীরার সুন্দরবনের কোল ঘেষে যাওয়া উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র সংবাদের শিরোনামে নিয়ে আসা সেই জগলুল হায়দার এমপির সাথে একান্ত সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, “আমি আবারও নির্বাচিত হলে এলাকার অসমাপ্ত উন্নয়নসহ জনগণের সেবা প্রদানে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবো।”
তিনি সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন সাতক্ষীরার সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরা’র সাথে।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার নির্বাচনী এলাকার ৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করে দিয়েছেন। এছাড়াও আমার উপকূলীয় এলাকায় স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, কালভার্টসহ সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমার সময়কালে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার নির্বাচনী এলাকা অবহেলিত শ্যামনগর উপজেলায় যে উন্নয়নের ছোঁয়া দিয়েছেন বিগত সরকারের আমলে এমন উন্নয়নের ছোঁয়ার একটি অংশও এই শ্যামনগরে পড়েনি। শিক্ষা ক্ষেত্রে যে সফলতা, বিশেষ করে অবকাঠমগত উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেছে এ সময়ে।”
বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমান জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, কৃষি, তথ্যসহ সার্বিক বিষয়ে উন্নয়ন করে যাচ্ছে। ইংরেজি বছরের প্রথম দিন সারাদেশে একযোগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে কোটি কোটি বই বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। যাতে তারা নব উদ্যমে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে। এজন্য ইংরেজি বছরের ১ম দিনটি এখন বিনামূল্যে বই বিতরণ উৎসব হিসেবে পালিত হচ্ছে। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ৩৬ কোটি বই বিতরণ একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এটা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষেই শুধু সম্ভব। আগামীতে শেখ হাসিনা আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে শুধু বই নয়, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে মিড ডে মিল ব্যবস্থা চালু করা হবে।”
বিগত ২০০৭ সালে সিডর এবং ২০০৯ সালে ঘুর্ণিঝড় আইলা হওয়ার পর বাংলাদেশের মধ্যে উপকূলীয় এলাকা শ্যামনগর সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। তখনকার সময়ে কিভাবে তিনি এসব এলাকার মানুষের পাশে থেকে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেনÑ সেকথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “২০০৭ সালে সিডর এবং ২০০৯ সালে ঘুর্ণিঝড় আইলা হওয়ার পর জননেত্রী শেখ হাসিনা শ্যামনগরে এসে মানুষের সমস্যাটা দেখার পর যাতে আমরা এই ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে পারি সে জন্য তিনি ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করেছেন। এবং আমরা এই কয় বছর জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশানুযায়ী কাজ করে সেই ক্ষতিগুলো পূরণ করতে পেরেছি বলে আমি মনে করি।”
বর্তমান সরকারের আমলে শ্যামনগর এলাকায় মোট কত কিলোমিটার রাস্থার নির্মাণ কাজ করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বঙ্গকন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পরে শ্যামনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় শতাধিক কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং করা কয়েছে। এর ভিতরে নাওয়াবেকি এবং কাশিমাড়ির রাস্তা উল্লেখযোগ্য। এসময় তিনি বলেন শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের একাংশ মিলে সর্বমোট অর্ধশত সাইক্লোন সেন্টার নির্মিত হয়েছে।
শ্যামনগরের প্রত্যন্ত অঞ্চল গাবুরা ও পাতাখালির যোগাযোগ মাধ্যম দূর্গম হওয়ায় ঐসব এলাকার মানুষদের নিয়ে কি ভাবনা আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শ্যামনগরের উপকূলীয় এলাকা গাবুরা ও পাতাখালির যোগাযোগ মাধ্যম খুবই দূর্গম। এই এলাকার চারপাশ দিয়ে নদী বয়ে চলেছে। তাই উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে এসব এলাকার উন্নয়নের কাজে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি।”
সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সাধারণ মানুষের পাশে সময় কাটানো সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমি গরীব ও অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ঝড়, বরষাসহ সকল আঘাত উপেক্ষা করে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াই। আমার নির্বাচনী এলাকাটি আসলে আইলা দুর্গত, সুন্দরবনের পাশ ঘেরা, বঙ্গোপাসাগরের পাশে অবস্থিত। বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন হয়। যখনই সেখানে ভাঙন দেখা দেয়, তখনই সেখানে আমি ছুটে যাই। শ্রমিকদের সঙ্গে লুঙ্গি পরে কাজ করি। এতে করে শ্রমিকরা তাদের কাজে আরও উদ্বুদ্ধ হয়, আবারও তাদের কাজেও আগ্রহ বাড়ে।
পরিশেষে, তিনি যদি আবারও ক্ষমতায় আসতে পারেন তাহলে শ্যামনগরবাসীর জন্য কি করতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমার নির্বাচনী এলাকা সাতক্ষীরা-৪ আসনের শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের আংশিক এলাকার মানুষের কাছে আমার দাবি যদি আগামীতে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেন এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারিÑ আমি ইতিপূর্বে যে কাজগুলো করেছি আর যে কাজগুলো এখনো অসমাপ্ত আছে সে কাজগুলো আমি সমাপ্ত করবো। এবং সবসময় আমি গরীব-দুঃখি মানুষের পাশে থেকে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে থাকতে চাই।
সর্বশেষে তিনি যাতে একাদশ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে জনগনের তথা এলাকার উন্নয়নে সচেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারেন এ ব্যপারে সকলের কাছে দোয়া চান ও সহযোগিতা কমনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সদরে পানিতে ডুবে এক শিশুর করুণ মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা পানিতে ডুবে এক শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে। শিশুর নাম সাইফ হোসেন(২)। সে সদরের নারায়ণজোল গ্রামের মোঃ আব্দুল্লাহ এর ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
শিশুর দাদা হাজী আনছার আলী বলেন, সকাল ৯ টা হতে সাইফ নিখোজ ছিলো। আমরা অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করেছিলাম। কিন্তু কোথাও খুঁজে না পেয়ে মাইকিংও করি। দুপুরের দিকে সাইফের চাচি রোজিনা খাতুন ঘরের পিছনের ডোবায় সাইফকে ভাসতে দেখে। পরে তার চেচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে এসে সাইফকে মৃতাবস্থায় ডোবা হতে উদ্ধার করে। সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই হারুন-অর রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২০১৮ সালে ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষের তীব্রতা বাড়বে

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে ২০১৮ সালে দুর্ভিক্ষের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে ত্রাণ সংস্থাগুলো। দুর্ভিক্ষ নিয়ে কাজ করা মার্কিন সংস্থা ফেমিন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম নেটওয়ার্ক জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে লোহিত সাগরের দুই বন্দরে অবরোধ চলতে থাকলে নতুন করে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ এর জুলাইয়ে গত বছরের একইসময়ের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে।

এর আগে জাতিসংঘ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, দেশটিতে বিশ্ব-ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে জোরালো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সৌদি জোট যখন ইয়েমেনের বিরুদ্ধে অবরোধের ডাক দিয়েছে, তখনই এই আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতিসংঘ।

সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের তাণ্ডব এরইমধ্যে দুর্ভিক্ষ ও মহামারি এনেছে দেশটিতে। নতুন করে সেখানে অবরোধ আরোপে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতিসংঘ।

মার্কিন সমর্থিত এই জোটের অভিযোগ, ইরান হুথি বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে। আর এই সরবরাহ বন্ধ করতেই অবরোধ আরোপ তাদের।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বসবাস। তাদের আমদানির ৮৫ শতাংশই থাকে খাবার ও ওষুধ। মানবিক দিক বিবেচনা করে ৩০ দিনের জন্য সোমবার বন্দর খুলে দেওয়া হয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইয়েমেনের পরিচালক স্টিফেন এন্ডারসন বলেছেন, তিনি সন্দিহান যে বন্দরের অবস্থা এমন থাকবে কিনা।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘বন্দরগুলো আবার বন্ধ হয়ে গেলে অনেক মানুষ মারা যাবে। ইয়েমেনিরা যুদ্ধ, খাবার স্বল্পতা, জ্বালানি ও খাবারের দামের ঊর্ধ্বগতি, কলেরা ও ডিপথেরিয়ায় মহামারির সমস্যায় জর্জরিত।’

জাতিসংঘের এপ্রিলের পরিসংখ্যানেই ইয়েমেনে অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে বলে জানানো হয়। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ২১ লাখ। ৫ বছরের নিচের ৪ লাখ ৬০ হাজার শিশু অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। মোট নাগরিকের ৫৫ শতাংশই ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত। কলেরা সেখানে মহামারি আকারে হাজির হয় কিছুদিন আগে।

২০১৫ সাল থেকেই হুথিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেখানে বিমান হামলা চালাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেক বেসামরিক। বাস্তুহারা হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। তাদের জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো। আরোপিত অবরোধের কারণে লাখ লাখ ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা নিয়মিত পৌঁছাতে পারে না।

বেশি দামের কারণে ইয়েমেনিদের নিজেদের সহায় সম্বল বিক্রি করে  খাবার কিনতে হচ্ছে। এতে করে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে বলে জানান স্টিফেন এন্ডারসন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest