সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষের হামলায় জখম-২সখিপুরে জামায়াতের এমপি প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের পথসভাসাতক্ষীরায় বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণনানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপনজাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন: সাতক্ষীরায় নবাগত এসপিআশাশুনির আনুলিয়া ও কাপসন্ডায় সড়ক নির্মান কাজে দুর্নীতির অভিযোগবাঁশদহে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়াকেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার’: সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের নিন্দাসাতক্ষীরার আপন প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেমুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা দেবহাটা মুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করছে শ্রীলঙ্কা। শুরু থেকেই তাদের চেপে ধরেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। দলের ২ রান উঠতেই একটি উইকেট হারায় লঙ্কানরা।

তবে পরে কিছুটা থিতু হয়েছিল উপুল থারাঙ্গা আর কুশল মেন্ডিসের জুটিটি। থারাঙ্গাকে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানিয়ে ৪১ রানের এই জুটিটি ভেঙেছেন বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১.৩ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৪ রান।

লঙ্কান দলের বাঁহাতি দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা আর কুশল পেরেরাকে ভড়কে দিতে নাসির হোসেনকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বুদ্ধিটা কাজে দিয়েছে বেশ।

নাসিরের প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান নিতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। মাশরাফি তো পরের ওভারে রানই দেননি। এর মধ্যে তার একটি এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে যান উপুল থারাঙ্গা।

পরের ওভারের প্রথম বলেই আঘাত হানেন নাসির। ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এসে তার নিচু হয়ে যাওয়া বল মিস করে বোল্ড হন ১ রান করা কুশল পেরেরা। এরপর মিড অফে মাশরাফিকে তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন থারাঙ্গা। লঙ্কান এই ওপেনার করেন ২৫ রান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান: সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপনের দাবিতে ৪ জেলেকে অপহরণ করেছে নবাগত বনদস্যু ডন বাহিনী। শুক্রবার ভোরে সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলার পাকড়াতলা খাল থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।

অপহৃত জেলেরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার পার্শ্বেখালী গ্রামের আবু বাক্কার গাজীর ছেলে শাহিন গাজী (৩০), একই এলাকার সোবহান শেখের ছেলে আলিম শেখ (৪৫), কৈখালী গ্রামের মৃত আজম গাজীর ছেলে রমজান আলী (৪০) ও কওছার আলী (৫০)।

ফিরে আসা জেলে পার্শ্বেখালী গ্রামের মৃত জহির গাজীর ছেলে মহিদুল ইসলাম জানান, তিনিসহ ৫/৬ জন জেলে এক সপ্তাহ আগে কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন থেকে বৈধ পাশ নিয়ে সুন্দরবনে গিয়েছিলেন মাছ শিকার করতে। শুক্রবার ভোরে তারা সুন্দবনের পাকড়াতলা খালে মাছ শিকার করার সময় তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে উক্ত চার জেলেকে অপহরন করে নবাগত বনদস্যু ডন বাহিনী।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক শোয়েব খান জানান, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাতক্ষীরা সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদকে সাথে নিয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩ পিছ অবিষ্ফোরিত ককটেল, বিপুল পরিমান জালেরকাঠি, জিহাদি বইসহ কট্টরপন্থি ৬ জামায়াত নেতাকর্মীকে আটক করেছে। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের ঘদাঘাটা বারাকাতিয়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকা হতে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সদরের শিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের নজরুল মোল্লার ছেলে হাফেজ মোঃ আব্দুল হাকিম মিন্টু(৩১), বাশঘাটা গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে আফজাল হোসেন(১৯), দক্ষিণ গদাঘাটা গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে ইউনুস হোসেন ছোটন(২১), টেংরা গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন(১৮), দেবহাটার ধোপাখালী গ্রামের মৃত ইমান আলী গাজীর ছেলে হাফেজ মোঃ আব্দুল হান্নান(২৬) ও কলারোয়ার নিলকণ্ঠপুর গ্রামের শওকাত আলীর ছেলে হামিদুর রহমান(২২)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সাতক্ষীরা সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার বলেন, নাশকতা সৃষ্টির লক্ষে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা ঘদাঘাটা বারাকাতিয়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঝেরপাড়া শাহী মসজিদে সরকার বিরোধী গোপন বৈঠক করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা ৩/৪টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পালানোর সময় জামায়াত ও শিবিরের ৬ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনা স্থল হতে ৩টি অবিষ্ফোরিত ককটেল, বিপুল পরিমান জালের কাঠি ও জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইমরান হোসেন (কাদাকাটি): আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের মিত্র তেঁতুলিয়া গ্রামে গলায় রশি দিয়ে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল (বৃহস্পতি বার) দুপুরে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
মৃত জব্বার মোড়লের পুত্র মোঃ রশিদ মোড়ল (৬৮) গতকাল সকাল ১০ টার দিকে বাড়ি থেকে এসে তার নিজের চাউল ব্যাবসা দোকানের ভিতরে দরজার হাক লাগিয়ে নিজে দোকানের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে আত্নহত্যা করেন। দুপুরে বাড়ি ফিরতে দেরি হলে তার স্ত্রী মন্জুয়ারা বেগম দোকানে এসে দেখে দরজা বন্ধ করা। দরজা ভেঙ্গে দোকানে প্রবেস করে স্থানিও লোকজন ডেকে মন্জুয়ারা শ্বামির লাস উদ্ধার করেন। সরজমিনে দেখা গেছে দীর্ঘদিন শে পেটে ব্যাথায় ভুগছিলেন। এ ঘটনার পর কাদাকাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দ্বীপংকর সরকার (দ্বীপ) আশাশুনি থানায় খবর দেন। আশাশুনি থানার SI প্রদ্বীপ কুমার সানা ঘটনাস্থলে যেয়ে, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও স্থানিও লোকজোনের কাছে তদন্তকরে লাশ দাফন কাফনের অনুমতি দেন।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তার হাতে তুলে দেয়া হবে স্যার গ্যারফিল্ড (গ্যারি) সোবার্স ট্রফি। একই সঙ্গে অইসিসি’র বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কারও পকেটে পুরেছেন ভারত অধিনায়ক।

২০১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিরাট কোহলি টেস্টে ৭৭.৮০ গড়ে রান করেছেন ২২০৩। সেঞ্চুরি করেছেন ৮টি। ওয়ানডে ক্রিকেটে এই সময়ের মধ্যে ৮২.৬৩ গড়ে করেছেন ১৮১৮ রান। সেঞ্চুরি করেছেন ৭টি। ১৫৩ স্ট্রাইকেরেটে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২৯৯ রান করেছেন নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে। পুরোটা বছর ধরে যার ব্যাটে এত রান, তাকেই বর্ষসরা হিসেবে বেছে নিলো আইসিসি।

এর আগে ২০১২ সালে আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতেছিলেন বিরাট। হলেন সব ফরম্যাট মিলিয়ে বর্ষসেরা ক্রিকেটার। গ্যারি সোবার্স ট্রফির দখল নেওয়ার পর কোহলি বলেন, ‘২০১৭-র বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়ে স্যার গ্যরি সোবার্স ট্রফি জেতার গুরুত্ব আমার কাছে অপরিসীম। এর আগেও আইসিসির বর্ষসেরা হয়েছিলাম, তবে এই প্রথমবার সোবার্স ট্রফি উঠল আমার হাতে। আমি অত্যন্ত গর্বিত। একজন ক্রিকেটারের কাছে সম্ভবত এটা বিশ্বের সেরা সম্মান।’

পরপর দুই বছর দু’জন ভারতীয় জিতলেন আইসিসির বর্ষসেরার ট্রফি। গত বছর জিতেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এরপর কোহলি। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘পর পর দু’বছর দু’জন ভারতীয় আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতছে, এটা সত্যিই বিশেষ অনুভূতি৷ গতবার অশ্বিন আর এবার আমি এই পুরস্কার জিতলাম। আইসিসিকে ধন্যবাদ কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য।’

আইসিসির পক্ষ থেকে বর্ষসেরা পুরস্কারের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে কোহলির নাম রয়েছে আরও দু’টি ক্ষেত্রে। বর্ষসেরা টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বিরাটের নেতৃত্বে টেস্ট দলে রয়েছেন ভারতের চেতেশ্বর পূজারা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ওয়ানডে দলে কোহলি ছাড়াও জায়গা পেয়েছেন রোহিত শর্মা ও জসপ্রিত বুমরাহ। বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স নির্বাচিত হয়েছে ইয়ুজবেন্দ্র চাহ্বালের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৫ রানে ৬ উইকেট।

বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি ১৬ টেস্টে ৭৮.১২ গড়ে ১৮৭৫ রান করেছেন। সেঞ্চুরি করেছেন ৮টি। হাফ সেঞ্চুরি পাঁচটি। সেরা উঠতি ক্রিকেটারের পুরস্কার উঠছে পাক অলরাউন্ডার হাসান আলির হাতে। সেরা অ্যাসোসিয়েট ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন আফগান স্পিনার রশিদ খান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নতুন বছরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আর এই সিরিজটি লঙ্কানদের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন সাকিব-তামিমদের সাবেক কোচ এবং বর্তমানে লঙ্কানদের কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করা চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

সম্প্রতি ভারত সফরে একাবারেই নিজেদের সামর্থ্যের পরিচয় দিতে পারেনি লঙ্কান ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের যথাযথ স্কিল থাকা সত্ত্বেও কিছু বিষয় ঠিকভাবে করতে না পারার কারণেই সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি শ্রীলঙ্কা বলে অভিমত হাথুরুসিংহের।

তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজকের ম্যাচ সামনে রেখে মাশরাফিদের প্র্যাকটিসে ছিল অন্য আমেজ। কারণ দলটি যে পারফেক্ট, তার প্রমাণও দিয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। যে জিম্বাবুয়ে আজকের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে, সে জিম্বাবুয়েকে প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে এক রকম বিধ্বস্ত করেই জিতেছিল ম্যাচ।

যেখানে ছিল না কোনো টেনশন, ভয় বা জড়তা। খেলোয়াড়দের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই বলে দিচ্ছিল লঙ্কাকে থোড়াই পাত্তা দিচ্ছে তারা এ ম্যাচে। হবেই না কেন! এ শ্রীলঙ্কাকে গত মার্চে শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০। প্রতিটি সিরিজে তাদের হারিয়েছে এবং সিরিজ ড্র করে এসেছে বাংলাদেশ। এবার খেলা নিজের দেশে।

এমনিতেই ইদানীং বিশ্ব ক্রিকেটে একটা কথা চালু রয়েছে- ঘরের মাটিতে কাউকেই ছাড় দেয় না বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ- কাকে ছাড় দিয়েছে? কোন দলটিকে না হারিয়ে ছেড়েছে? সেই মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুস্তাফিজরাই তো আজ খেলবেন। ফলে জড়তা আসবেই বা না কেন?

আজ ওই কাজগুলো ঠিক রেখে খেললেই তো হলো। বাংলাদেশ আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কী করবে এ নিয়ে অনেক বিশ্লেষণ। কারণ লড়াইটা তো হাতুরাসিংহের বিপক্ষে মাশরাফিদের। ফলে এমন এক ম্যাচের উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে ক্রিকেট পাড়ায়।

তবে লঙ্কান দলেও কিছুটা সমস্যা যাচ্ছে। ২০১৭ সাল খুবই বাজে কেটেছে তাদের। বলা হয় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে রেকর্ড। তা থেকে উত্তরণের জন্য কোচিং স্টাফে পরিবর্তন। অধিনায়কেও পরিবর্তন এনেছে তারা দলের সাথে। কিন্তু নতুন বছরের সূচনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারতেই হয়েছে।

এ ম্যাচে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ইনজুরির জন্য বাইরে থাকার কথা। যদি তাই হয় শেষ পর্যন্ত এটাও তাদের জন্য একটা দুঃসংবাদ। যদিও টিম শ্রীলঙ্কার মেসেজ অন্য রকম। পেছনের দুর্বলতা তারা মোটেও মনে রাখতে চায় না। এ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোই তাদের আসল লক্ষ্য।

এটাও ঠিক একটা দল বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে, সেখানে অনেক সমস্যা এসে উপনীত হয়। অব্যাহত জয় এসব থেকে মুক্ত রাখতে পারে। হেড কোচ হাতুরাসিংহের সম্ভবত ওই মন্ত্রই থাকবে এ ম্যাচে। দলে বেশ ক’জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় তাদের। উপল থারাঙ্গা, কুশল পেরেরা, দিনেশ চান্দিমাল, কুশল মেন্ডিস, তিসারা পেরেরা প্রমুখ। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট তারাও।

তবে মাশরাফি যেমন বলেছেন, গত বেশ কিছু দিন তো আমরা হাতুরাসিংহের প্লানে খেলেছি। এখন ওগুলোতে নেই। আমাদের প্লানটা আমরাই সাজিয়ে খেলব। মাশরাফি এটাও বলেছেন। এ ব্যাপারে কঠোর সতর্ক থাকবেন তারা।

বাংলাদেশ দলেও দীর্ঘদিন পর ফেরা এনামুল হক বিজয়, মুস্তাফিজ, রুবেল হোসেনরা যাতে ভালো পারফরম্যান্স করে তাই মূল লক্ষ্য। মাশরাফি, সাকিব, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহীম, সাব্বির রহমানরা আজ প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করবেন এটাই টিম বাংলাদেশের চাওয়া। তবে এটাও ঠিক শ্রীলঙ্কা দলে যেমন হাতুরাসিংহে প্রধান কোচ।

তবে দলের সবার প্রিয় এ ক্রিকেটারের মন্ত্রটাও ক্রিকেটারদের আজ উৎসাহিত করবে জয়ের ব্যাপারে। কারণ খেলা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হলেও মূল টার্গেট কিন্তু হাতুরাসিংহে। হঠাৎ না বলে চাকরি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।

তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাজে রেজাল্টের পর। এবং দায়িত্ব নেন এ শ্রীলঙ্কার। সে অনাকাক্সিত মুহূর্তের সব দায় এসে পড়েছিল ক্রিকেটারদের ওপর। মাশরাফি-সাকিবরা কি এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাবেন? হয়তো না। আজ খেলা শুরু হবে দুপুর ১২টায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আগ্রাসী ব্যাংকিং বন্ধে ব্যাংক খাতের ঋণ ও আমানতের অনুপাত কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ব্যাপারে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) মনে করছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির চাপ সৃস্টি হবে। এতে  জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। বিষয়টি উল্লেখ করে গত ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে চিঠি দিয়েছে ব্যাংকের এমডিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স,বাংলাদেশ (এবিবি)। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

গভর্নরের কাছে লেখা এবিবির চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা উদ্বিগ্ন যে, নিকট ভবিষ্যতে অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) কমিয়ে ৮০ দশমিক ৫ শতাংশের আশপাশে নামিয়ে আনা হবে। যদি তাই হয়, তবে ব্যাংকিং খাতে অতিরিক্ত ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার আমানতের প্রয়োজন হবে।

চিঠিতে এমডিরা আরও জানায়, আমরা উদ্বিগ্ন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন এডিআর নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে ব্যাংকগুলোর আমানতের সুদ হার বাড়বে। কারণ, বাড়তি আমানত সংগ্রহের জন্যই ব্যাংকগুলো আমানতের সুদ বাড়িয়ে দেবে। এতে ব্যাংক ব্যবস্থায় নতুন আমানত আসবে তাও নয়। শুধু এক ব্যাংকের আমানত আরেক ব্যাংকে যাবে। ফলে যে ব্যাংক আমানতের সুদ বাড়াবে, বিদ্যমান আমানতকারীরা অন্য ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে সেই ব্যাংকে খাটাবে। আবার আমানতের সুদ বাড়লে ব্যাংকগুলো ঋণের সুদ হারও বাড়িয়ে দেবে, যা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করবে।

গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত নিয়ে ঋণ বিতরণ করাই ব্যাংকের প্রধান কাজ। এক্ষেত্রে দেশের সাধারণ ধারার ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আমানত সংগ্রহ করলে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা ঋণ দিতে পারে। তবে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে পারে সর্বোচ্চ ৯০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বেশির ভাগ বেসরকারি ব্যাংকেরই এডি রেশিও ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ফলে বেশির ভাগ বেসরকারি ব্যাংকে সৃষ্টি হয়েছে তারল্য বা নগদ টাকার সংকট। এ পরিস্থিতিতে গত ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আগ্রাসী বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকতে কঠোর নির্দেশ দেন গভর্নর।

সভা শেষে ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী বলেছেন,ব্যাংকগুলো থেকে যে হারে ঋণ বিতরণ হচ্ছে, সে হারে আমানত না আসায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য বিদ্যমান এডি রেশিও’র হার কমিয়ে আনার বিষয়ে ব্যাংকার্স সভায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমডিদের নিজ থেকে এডি রেশিও কমাতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পরবর্তীতে সার্কুলার ইস্যু করে এডি রেশিওর নতুন হার নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এ হার সাধারণ ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ৮০ ও ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ৮৫ শতাংশের কিছুটা বেশি হতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নগদ জমা সংরক্ষণ (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা সংরক্ষণ (এসএলআর) বাদ দিয়ে এ হার নির্ধারণ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ব্যাংকগুলো যে হারে ঋণ বিতরণ করেছে, সে হারে আমানত সংগ্রহ করতে না পাড়ায় এডি রেশিও বেড়ে গেছে।

এ বিষয়ে এবিবি চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ঋণ যে হারে গেছে, সে হারে আমানত আসেনি। ফলে ব্যাংকগুলোর এডি রেশিও বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ৮৫ শতাংশের বেশি এডি রেশিও কোনও ব্যাংকের থাকতে পারবে না।

এদিকে গভর্নরকে লেখা এবিবি’র চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কিছু সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এই নীতিমালা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে চাইলে ব্যাংকগুলোর চলমান ঋণ বিতরণ চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে। বিশেষ করে চলতি মূলধন ঋণ, গ্রাহকের পক্ষে আমদানি বিলের অর্থ পরিশোধ ও চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ বিতরণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এতে গ্রাহক তথা রফতানিকারক, এসএমই ও করপোরেট গ্রাহকদের তহবিল সংকটে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। তখন এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া ব্যাংকগুলোর পক্ষে কঠিন হবে। বিশেষ করে নির্বাচনি বছরে তা আরও কঠিন হবে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকে যদি  পরিবর্তিত এডিআর নীতিমালা বাস্তবায়ন করতেই হয়, তবে কমপক্ষে একবছর সময় দিয়ে সেটা বাস্তবায়নে যাওয়া উচিত।

এবিবি’র চিঠিতে বলা হয়, বিকল্পভাবে এডি রেশিও’র বিষয়টি ক্যামেলস রেটিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। অর্থাৎ, যাদের এডিআর বেশি হবে তাদের ক্যামেল রেটিংয়ে নেতিবাচক হবে। এছাড়া, ব্যাংকের মূলধন ভিত্তি বাড়াতে টায়ার-২ এর আওতায় সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডের যে তহবিল রয়েছে, সেটা এডি রেশিও হিসাবে গণ্য করারও অনুরোধ করেছে এবিবি। একইসঙ্গে অফ ব্যালেন্স শিট আইটেমের বিপরীতে ব্যাংকের যে একশতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়, সেটাতে ছাড় দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে।

এদিকে, আমানতকারীদের আকর্ষণ করতে নতুন বছরে বেশিরভাগ ব্যাংক আমানতের সুদ হার বাড়িয়ে দিয়েছে। নতুন সুদ হার অনুযায়ী, অগ্রণী ব্যাংক দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ বাড়িয়ে ৩ মাস মেয়াদী আমানতে সুদ হার নির্ধারণ করেছে  ৫ শতাংশ, ৬ মাস মেয়াদী আমানতে সুদ হার করা হয়েছে  ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং এক বছর বা এর বেশি মেয়াদী আমানতে সাড়ে ৫ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করেছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকও তিন মাস মেয়াদী আমানতে সাড়ে ৪ শতাংশ থেকে প্রায় এক শতাংশ বাড়িয়ে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। ৬ মাস মেয়াদের আমানতে তারা ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশের পরিবর্তে সাড়ে ৫ শতাংশ এবং এক বছর মেয়াদীতে ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। আর স্বল্প মেয়াদীতে ৩ থেকে বৃদ্ধি করে ৪ শতাংশ এবং সঞ্চয়ী আমানতে সাড়ে ৩ শতাংশের পরিবর্তে ৪ শতাংশ সুদ দিচ্ছে।

২০১৮ সালের শুরু থেকেই সাড়ে ৬ শতাংশ সুদে মেয়াদী আমানত নিচ্ছে ঢাকা ব্যাংক। রাষ্ট্রীয় মালিকানার অগ্রণী ব্যাংক সব ধরনের মেয়াদী আমানতের সুদ হার দশমিক ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। রূপালী ব্যাংক আমানতে সুদ হার এক শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। একইভাবে  অন্য ব্যাংকগুলোও আমানতে সুদ হার বাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা এখন ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর ঋণের চাহিদা বাড়ার কারণে ব্যাংকগুলোর কাছে আমানতের চাহিদা বাড়ছে। তারল্যের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে ব্যাংকগুলো আমানতে সুদের হারও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে ব্যাংক থেকে চলে যাওয়া আমানতকারীরা আবার ব্যাংকের দিকে ফিরতে শুরু করেছে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর শেষে ব্যাংক খাতে ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়ে ঋণ বেড়েছে ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ। অবশ্য গত নভেম্বরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। অক্টোবরে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৮ দশমিক ৬৩, সেপ্টেম্বরে ছিল ১৯ দশমিক ৪০, আগস্টে ছিল ১৯ দশমিক ৮৪ এবং জুলাইয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। জুনে ঋণ বৃদ্ধির হার ছিল ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবশেষে জয় পেল রিয়াল

অবশেষে জয় পেল রিয়াল

কর্তৃক Daily Satkhira

স্প্যানিশ কাপে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে লেগানেসের মাঠে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। বৃহস্পতিবার রাতে মার্কো আসেনসিওর একমাত্র গোলে তিন ম্যাচ পড়ে জয় পেল জিনেদিন জিদানের দল।

গত ৭ জানুয়ারি লিগে সেল্তা ভিগোর মাঠে ২-২ ড্র করার তিন দিন পর কোপা দেল রে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে দ্বিতীয় সারির ক্লাব নুমানসিয়ার সঙ্গে ড্র করে রিয়াল। এর তিন দিন পর লিগে ভিয়ারিয়ালের কাছে হারে জিদানের শিষ্যরা। অবশেষে মিলল জয়ের দেখা।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ছয় ম্যাচে রিয়ালের এটি দ্বিতীয় জয়। সমান দুটি করে হার ও ড্র।

শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক খেলেও সাফল্যের দেখা কিছুতেই মিলছিল না রিয়াল মাদ্রিদের। উল্টো কয়েকবার গোল খেতে বসেছিল তারা। অবশেষে ৮৯তম মিনিটে একমাত্র গোলে জয় তুলে নে আসেনসিও। বাঁ-দিক থেকে তিও এরনদেঁজের ক্রসে দারুণ ভলিতে জয়সূচক গোলটি করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

আগামী বুধবার রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে হবে ফিরতি লেগ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest