সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষের হামলায় জখম-২সখিপুরে জামায়াতের এমপি প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের পথসভাসাতক্ষীরায় বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণনানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপনজাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন: সাতক্ষীরায় নবাগত এসপিআশাশুনির আনুলিয়া ও কাপসন্ডায় সড়ক নির্মান কাজে দুর্নীতির অভিযোগবাঁশদহে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়াকেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার’: সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের নিন্দাসাতক্ষীরার আপন প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেমুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা দেবহাটা মুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

যৌথ প্রযোজনা হয়ে গেলো আমদানি ছবি!

‘ইন্সপেক্টর নটিকে’। জিৎ ও নুসরাত ফারিয়া জুটির তৃতীয় ছবি। এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া ও জিতের জিৎ’স ফিল্মওয়ার্ক। যৌথ প্রযোজনার এ ছবিটি আজ (১৯ জানুয়ারি) দু’দেশে মুক্তির কথা ছিল।

তবে ভারতে যথাসময়ে মুক্তি পেলেও বাংলাদেশের বিষয়টি স্থগিত করা হলো অনেকটা নীরবেই। কিন্তু কেন?
গেল সন্ধ্যায় এমন প্রশ্নের জাবাবে জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রধান আবদুল আজিজ বললেন, ‘কিছু জটিলতার কারণে ছবিটি দেশে মুক্তি পাচ্ছে এক সপ্তাহ পিছিয়ে, ২৬ জানুয়ারি।’ আরও জানালেন, ছবিটি দেশে মুক্তি পাচ্ছে সাফটা চুক্তির আওতায়, আমদানিকৃত চলচ্চিত্র হিসেবে!
যৌথ প্রযোজনা হিসেবে নির্মিত হয়েও ‘ইন্সপেক্টর নটিকে’ কেন আমদানি ছবি হিসেবে বাংলাদেশে আসছে? জবাবে প্রযোজক আবদুল আজিজ বললেন, ‘‘ছবিটির কাজ যখন শুরু হয় তখন যৌথ প্রযোজনার নতুন নীতিমালা তৈরি চলছিল। সেসময় যৌথ প্রযোজনার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। তাই নীতিমালার প্রতি সম্মান জানিয়েই ‘ইন্সপেক্টর নটিকে’ আমরা আমদানি ছবি হিসেবে সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছিলাম। সে অনুযায়ী এটি ২৬ জানুয়ারি প্রদর্শিত হবে এখানে।’’
জানা যায়, সাফটা চুক্তির আওতায় আমদানি করা ‘ইন্সপেক্টর নটিকে’-এর বিপরীতে জাজেরই আরেকটি পুরনো ছবি জলি ও শাহরিয়াজ অভিনীত ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ রফতানি হচ্ছে ভারতে।
এদিকে ভারতে আজ (১৯ জানুয়ারি) ‘ইন্সপেক্টর নটিকে’ মুক্তি প্রসঙ্গে ফারিয়া বলেন, ‘প্রায় ১৩০টি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। কলকাতায় গত দু সপ্তাহ ধরে এর প্রচারণা চালিয়ে আসছি। আশা করি ভালো কিছু হবে।’
কলকাতার অভিনেতা জিৎ ও বাংলাদেশের নুসরাত ফারিয়া জুটির তৃতীয় ছবি ‘ইন্সপেক্টর নটিকে’। এতে দু’জনেই অভিনয় করছেন পুলিশ চরিত্রে। জিৎ-ফারিয়া জুটি বেঁধে এর আগে ‘বাদশা-দ্য ডন’ ও ‘বস টু’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। পর পর দুই ঈদে ছবি দুটি মুক্তি পেয়েছিল।
‘ইন্সপেক্টর নটিকে’ পরিচালনা করেছেন কলকাতার অশোক পাতি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল মাঠে স্কুলের সকল ছাত্রছাত্রীরা ১২টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমত। প্রধান শিক্ষক আশরাফুন নাহার নার্গিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বাকী বিল্লাহ, অবঃ শিক্ষক একেএম এমদাদুল হক, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আঃ হান্নান, রবিউল ইসলাম, আঃ গনি, জি এম আল-ফারুক, মিজানুর রহমানসহ সকল শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২০ জানুয়ারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জের শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর থাকেন ঢাকায়, অফিসে আসেন বিমানে…

ডেস্ক রিপোর্ট: এ যেন নতুন যুগের জমিদার! ‘ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল’….অনুকরণে অনেকেই বলছেন ‘….বিমানে চড়িয়া মর্দ অফিসে আসিলেন’। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান। কর্মস্থল কালিগঞ্জ হলেও থাকেন ঢাকাতে। এ উপজেলায় যোগদান করেছেন ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ। তবে কখনোই নিয়মিত অফিস করেননি তিনি। করলেও মাসে মাত্র ২ থেকে ৩ দিন।
তবে সেটাও ভিন্ন কারণে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বোর্ড কিংবা ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে উপস্থিত থাকতে। আর যাতায়াতও বিলাসিতায় পূর্ণ। ঢাকা থেকে বিমানে যশোর। সেখান থেকে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে আসেন কালিগঞ্জ। সন্ধ্যার ফ্লাইটে ফেরেন পুনরায় ঢাকায়।
অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য ও এমপিওভুক্তির নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান কিরণ। অথচ দায়িত্ব পালন তো দূরে থাক সরকারি কোনো গুরুত্বপূর্ণ সভায়ও তিনি থাকেন অনুপুস্থিত।
বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হয় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম সাইদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আজিজুরের নিয়মিত অফিস না করা, শিক্ষা বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগের তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্ত এই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও স্থানীয় দুজন এমপি লিখিতভাবে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন। তবুও অজ্ঞাত কারণে কোনো প্রতিক্রিয়া হয়নি আজো। নিয়মিত উত্তোলন করছেন বেতন-ভাতা। তাছাড়া বিষয়গুলো লিখিতভাবে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকেও জানানো হয়েছে। কিন্তু আজো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তার বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের অভিযোগের অন্ত নেই। বিমানে যাতায়াত তার। এ নিয়ে ক্ষোভে রয়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরাও।
সম্প্রতি কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেন আজিজুর রহমানকে। তবে সেখানেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
এই শিক্ষা কর্মকর্তার বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, যোগদানের পর থেকে মাসে তিন দিনের বেশি অফিস করেননি কখনও। ঢাকা থেকে বিমানের আসেন যশোরে। এরপর মাইক্রোবাস অপেক্ষায় থাকে। সেটা দিয়ে আসেন কালিগঞ্জ।
তবে এ বিষয়ে আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের এস আই রোকনুজ্জামানের অত্যাচার ও চাঁদাবাজির কারণে ঘরছাড়া হয়েছেন কালিগঞ্জের কুমারেশ দাশ নামে এক পান ব্যবসায়ী। ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার নিকট থেকে চার দফায় হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ৬৪ হাজার টাকাসহ চার চারটি ব্যাংক একাউন্টের চেক। আর এস আই রোকনুজ্জামানের দাবী কৃত চাঁদার বাকি এক লক্ষ টাকা না দেওয়ায় ফেরত পাননি জোর করে খালি চেকে স্বাক্ষর করে নেওয়া পান বিক্রেতা কুমারেশ দাশের ওই চারটি চেক। গত এক মাস ধরে মামলার ভয় দেখিয়ে আবারও ৪ লক্ষ টাকা দাবী করা হয়েছে তার নিকট। যে কারনে কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের শৈলপুর গ্রামের বাসিন্দা তারাপদ দাশের ছেলে পান বিক্রেতা কুমারেশ দাশ আজও গ্রেফতার ও ক্রসফায়ার আতংকে নিজ বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
খোজ খবর ও তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের তৎকালিন সেকেন্ড অফিসার এস আই শফিকুল ও তার সহযোগী এস আই রোকনুজ্জামান ও এস আই মোরশেদ খোদ ডিবি অফিসের ভিতরেই গড়ে তোলেন নিজস্ব সিন্ডিকেট। তাদের কাজ ছিল ব্যবসায়ীসহ বভিন্ন ব্যক্তিকে তুলে এনে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া। ডিবি অফিসের পাশে পোষ্ট অফিসের পাশ্ববর্তী পুলিশের পরিত্যক্ত একটি ভবন ছিল এই গ্রুপের একটি টর্চার সেল। সেখানে বিভিন্ন সময় লোক ধরে এনে পুলিশ সুপারের গোপন করে আটকিয়ে রাখা হত। এলাকাবাসী জানলেও এস আই শফিকুল, এস আই রোকনুজ্জামান ও এস আই মোরশেদের ভয়ে কেউ পুলিশ সুপারকে জানাতে শাহস পেত না। এভাবে তারা পুলিশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে সাতক্ষীরা ডিবি অফিসকে রুপান্তরিত করে মানুষ কেনা বেঁচার হাটে। কিন্তু নবাগত পুলিশ সুপার যোগদানের পর ডিবি পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এস আই শফিককে বদলি করা হয় কলারোয়া থানায়। এর পর থেকে ডিবি পুলিশের হয়রানি বন্ধ হলেও বন্ধ হয়নি এস আই রোকনুজ্জামানের অত্যার ও চাঁদাবাজি।
গত বছরের ৩১ জুলাই ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে নোটিশ করা হয় কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের শৈলপুর গ্রামের বাসিন্দা তারাপদ দাশের ছেলে পান বিক্রেতা কুমারেশ দাশকে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নোটিশে বাদি করা হয় একই উপজোর একই ইউনিয়নের সাতবসু গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আফজাল হোসেনকে। গত বছর ৯ আগস্ট এস আই রোকনুজ্জামান ধমকদিয়ে কুমারেশ দাশকে ডিবি অফিসে হাজির হয়ে বাদিকে ৪ লক্ষ টাকা পরিষোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে। কিন্তু এঘটনার আগেই আফজাল হোসেনের নিকট থেকে সুধে করে নেওয়া ১লাখ ৫০ হাজার টাকা সুদে আসলে পরিশোধ করেছিলেন কুমারেশ দাশ। ঘটনার দিন ৯ আগষ্ট সকালে সাতক্ষীরা ডিবি অফিসে হাজির হতেই এস আই রোকনুজ্জামান জোরকরে ৪ লাখ টাকার একটি কাগজে স্বাক্ষর করে লকাপে আটকিয়ে রাখেন পান বিক্রেতা কুমারেশ দাশকে। বলা হয় আফজাল হোসেনের নিকট থেকে ধার বাবদ নেওয়া ৪ লক্ষ টাকা পরিশোধ না হলে ফেনসিডিল মামলায় চালান করে দেওয়া হবে। এভাবে এক দিন এক রাত আটক রাখার পর প্রতিবেশি রবিউল ও নুরইসলাম ডিবি অফিসে এসে দারগা রোকনুজ্জামানকে ২৪ হাজার টাকা দিলে দাবীকৃত ৪ লাখ টাকা পরিশোধের ১ মাসের সময় বেঁধে দিয়ে ইসলামি ব্যাংক কালিগঞ্জ শাখার একটি খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ওই পান বিক্রেতা কুমারেশকে। এর ভিতর এক মাস যেতে না যেতেই দারগা রোকনুজ্জামান ওই পান বিক্রেতার বাড়ীতে গিয়ে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে মালুরবাচ্চা বলে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং মাদারচোদ বলে টাকা নিয়ে অফিসে আসতে বলে। এঘটার দুই দিনের মাথায় কুমারেশ তারই পরিচিত সাতক্ষীরা জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ধুলিহরের তুহিন খানকে নিয়ে ডিবি অফিসে হাজির হলেও দারগা রোকনুজ্জামানের হাত থেকে রেহায় মেলেনি কুমারেশের। বরং আরও তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন দারগা রোকনুজ্জামান। পরে বাড়ী থেকে তার স্ত্রী পূর্ণিমা দাশ গহনা বন্দক ও ধার দেনা করে দ্বিতীয় দফায় ২০ হাজার টাকা দারগার হাতে দিলে শান্ত হয় এস আই রোকনুজ্জামান। কিন্তু আরও একটি ইসলামি ব্যাংক কালিগঞ্জ শাখার খালি চেকে স্বাক্ষর করে নেয় রোকনুজ্জামান। এ ঘটনার ১৫ দিনের মাথায় রাত ৮টার দিকে অফিসে ডেকে তৃতীয় দফায় কুমারেশকে আটক রাখা হয়। ৪ লাখ টাকা দিলে রাতেই ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান সাতক্ষীরা অন্তরা মাল্টিমিডিয়া কম্পিউটারের মালিক জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন খান। তাকে বাঁচানোর জন্য দলীয় পরিচয় দিলেও তাতে কোন কাজ হয়নি। তুহিনের ভাষ্যমতে টাকা না দেওয়ায় রাত ১২টার সময় দারোগা কুমারেশকে মালুর বাচ্চা বলে ডেকে আবাদের হাটে কুলবাগানে নিয়ে ক্রসফায়ার দেওয়া হবে বলে উজু করায়। এক পর্যায়ে আবারও তৃতীয় দফায় ২০ হাজার টাকা ও কুমারেশের স্বাক্ষর করা ফাকা দুটি ব্যাংক একাউন্ট চেক নিয়ে ওই রাতেই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। গত বুধবার সাতক্ষীরায় এসে সাংবাদিকদের কাছে কাঁদতে কাঁদতে ডিবি দারগা রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন কালিগঞ্জের পান ব্যবসায়ী কুমারেশ দাশ। বর্তমানে তিনি দারগা রোকনুজ্জামানের অত্যাচারে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এব্যাপারে এস আই রোকনুজ্জামান জানান, ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কুমারেশকে চিনি না। কিছুক্ষন বাদে তিনি জানান এস আই মোরশেদ চেনে। বিষয়টি সাতক্ষীরা অন্তরা মাল্টিমিডিয়া কম্পিউটারের মালিক তুহিন মিমাংশা করে দিয়েছে। আর পাটকেলঘাটার বিষয়। গত পরশু সিসি নিয়ে বদলি হয়ে যশোর চলে আসছি। বদলি হলে অনেক অভিযোগ উঠে।
তথ্য অনুসন্ধ্যানে এস আই রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে বেরিয়ে এসেছে আরও রোমহর্ষক কাহিনী। ঘটনা গত বছরের অক্টোবর মাসের। কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের চাঁদপুরের বাসিন্দা মাদক ব্যবসায়ী মহিদুলের ছেলে শিবির ক্যাডার আলিমকে আটক করে ৮১ হাজার টাকায় রফাদফার মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। ওই মাসেই একই উপজেলার একই ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় একটি মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ভ্যানচালক আক্তার হোসেনকে জোর করে ধরে এনে মাদকব্যবসায়ী বলে ডিবি অফিসে এক রাত এক দিন আটক রাখে। পরে মোটা অংকের টাকায় রফাদফা হলে মুক্তি মেলে ওই ভ্যান চালকের।
২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর পাটকেলঘাটা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ভ্যারাইটি স্টোরের মালিক বাবুকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলে ডিবি পুলিশের এস আই শফিকুলের নেতৃত্বে এস আই রোকনুজ্জামান সহ বেশ কয়েক জন ডিবি পুলিশ জোর করে আটক করে নিয়ে আসে। ওই দিন রাত ৪ টার সময় বাবুর স্ত্রী এসে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা দিলে মুক্তি মেলে তার স্বামীর। এর কদিন যেতে না যেতেই পাশ্ববর্তী ব্যবসায়ী পাটকেলঘাটার আল্লার দান ক্লথ স্টোরের মালিক অহিদকে রাত ৮টার দিকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে আটক করে নিয়ে আসে এস আই রোকনুজ্জামান ও এস আই শফিকুল। কিন্তু ওই রাতেই মোটা অংকের টাকায় মুক্তি মেলে অহিদের। এমন অসংখ্য ব্যবসায়ীকে অহেতুক আটক করে হয়রানি করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ চান ভুক্তভোগীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর নিকট থেকে জামায়াতপন্থী সংস্থা স্টাফ এর কথিত বৃত্তি বাণিজ্যের নামে আদায়কৃত মাথাপিছু ১৫০ টাকা ৭দিনের মধ্যে ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে সমাজসেবা কর্তৃপক্ষ। মহাপরিচালকের টেলিফোনিক নির্দেশনা পেয়ে সাতক্ষীরা জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক স্টাফ কর্তৃপক্ষকে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকা ৭ কর্মদিবসের মধ্যে ফেরত দিয়ে তা সমাজসেবা কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করার জন্য চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে ৪১.০১.৮৭০০.০০০.২৭.০০৬.১২ নং স্মারকে সাতক্ষীরা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এ নির্দেশ দেন। জানা গেছে, জামায়াত-শিবির পন্থী স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী বৃদ্ধিজীবীদের দ্বারা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্টাফ এর কার্যক্রম ম একাধিক অভিযোগে গত ১৩ আগস্ট’১৭ তারিখে ০৩.০৭৯.০১৬.০৪.০০১২.০২০১৬-৮৪৪(৩) নং স্মারকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্থগিত করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ৭ ডিসেম্বর’১৭ তারিখে ৪১.০১.৮৭০০.০০০.২৭.০০৬.১২ নং স্মারকে সাতক্ষীরা সমাজসেবা অফিসার তাদের সকল কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
কিন্তু তারপরও কথিত বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের নামে সংস্থাটি শিক্ষার্থী প্রতি ১৫০ টাকা করে নিবন্ধন এবং আরও ৫০টাকা করে সিলেবাস ও প্রসপেক্টাস বাবদ আদায় করে। এদিকে তাদের এই বৃত্তিনামক শিক্ষা বাণিজ্যে অংশ নেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করে জেলার প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পাওয়ার পরও স্টাফ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ ফেরত না দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কৌশল আটতে থাকে। একপর্যায়ে স্টাফ অত্যন্ত সুকৌশলে গত ১৩ জানুয়ারি সকাল থেকে আশাশুনি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে গোপনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কার্যক্রম পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও তাদের এ আয়োজনে প্রশাসন কোন প্রকার বাধা দেয়নি বা তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাটিয়া আমতলায় ফুটপথে অবৈধভাবে গভীর নলকুপ স্থাপনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা পৌরসভার কাটিয়া আমতলা এলাকায় জনবহুল রাস্তার ফুটপথ দখল করে অবৈধভাবে গভীর নলকুপ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, কাটিয়া আমতলা এলাকার গৌর দত্ত নামের এক ব্যক্তি কাউকে তোয়াক্কা না করে জনবহুল রাস্তার ফুটপথ দখল করে গভীর নলকুপ স্থাপন করেছেন। তাকে বার বার নিষেধ করা হলেও তিনি কোন তোয়াক্কায় করেননি। এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুস সেলিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানাছিলো না। আমি খোজ নিয়ে দেখবো। এছাড়া আপনি বিষয়টি মেয়র সাহেবকে একটু জানান। পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে বার বার ফোন দিয়েও তিনি রিসিভ না করা তা সম্ভব হয়নি। এঘটনায় উক্ত নলকুপ স্থাপনকারী গৌরদত্তের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি আমার জায়গায় নলকুপ স্থাপন করছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবৈধ নেট-পাটা অপসারণে দলুয়া নদীতে কম্বিং অপারেশন

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: দলুয়া নদীতে কম্বিং অপারেশনের মাধ্যমে নেটপাটা অপসারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারি সকালে তালা উপজেলা সিনিয়ার মৎস কর্মকর্তা মোঃ হাদিউজ্জামানের নেতৃত্বে দলুয়া নদীতে মাদরা ব্রীজ হতে দলুয়া ব্রীজ এর মধ্যে নদীতে বসানো নেটপাটা আংশিক অপসারণ করা হয়েছে। অপসারণ কালে খলিষখালী পুলিশ ক্যাম্পের আই সি নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস, উপজেলা মৎস সহকারী নির্ন্মল কুমার ঘোষ, খলিষখালী পুলিশ ক্যাম্পের ৬ জন সদস্য উপজেলা মৎস কর্মকর্তার সঙ্গে ছিলেন। এ অপারেশন কে নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নদীতে মৎস আহরণকারী কিছু মৎসজীবি নাম না প্রকাশের শর্তে জানান এখন শুস্ক মরশুম নদীতে পানিরছিটা তেমন চাপনেই এমনিতেই কয়দিন পরে নদীতে পানি শুকিয়ে যাবে যেটা কয়েক বছর ধরে হয়ে আসছে, সেখানে আমরা গরিব মৎসজীবি বর্তমান সময়ে আমাদের নুন আনতে পানতি ফুরাচ্ছে নদীতে মাছ ধরে যায় ককেজি চাউলের টাকা যোগাড় করছিলাম সেটাও গেল। বৃষ্টির সময়কালে পানি বাধাপ্রাপ্ত হবার সমস্যা থাকে এখনতো সেটা প্রশ্নই আসে না, তাহলে আমাদের মত গরীব মানুষের কথা কেন একটু ভাবা হলোনা, আমরাতো আমাদের শেখ হাসিনা মাকে ভোট দেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে ইউপি সদস্যের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মীর সালমান রহমান ডালিম বুধবার রাতে বাজারে দোকানের ভিতরে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হওয়ায় দোকান পাট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় মৌতলা বাজারের সকল কার্যক্রম বন্ধরেখে স্থানীয় দোকানদাররা সহ ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ ইউপি সদস্যর উপর হামলা কারিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির জন্য মৌতলা বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করেন। উল্লেখ্য বুধবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে মৌতলা বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। জানাযায়, মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ও মীর জিয়াউর রহমানের ছেলে সালমান রহমান ডালিম বুধবার রাত ৯ টার দিকে মৌতলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে জনৈক শহিদ আলীর ওষুধের দোকানে সামনে পৌছালে হঠাৎ একদল সন্ত্রাসী তাকে ধাওয়া করে। এসময় তিনি দৌঁড়ে বাজারে অবস্থিত দাদা ভাইয়ের গার্মেন্টসের দোকানে আশ্রয় নেন। সন্ত্রাসীরা ওই দোকানে প্রবেশ করে শার্টার বন্ধ করে দিয়ে রড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে সালমান রহমান ডালিমের মাথা ফাঁটিয়ে দেয়। সন্ত্রাসীদের হামলায় ওই দোকানে অবস্থানরত দাদা ভাইয়ের ছেলে সাগর হোসেনও (২৮) আহত হন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে সংঘবদ্ধ হয়ে তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা ছয়টি মোটর সাইকেল যোগে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর জখম অবস্থায় ইউপি সদস্য ডালিমকে উদ্ধার করে দ্রুত শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থান্তর করা হয়। কিন্তু সেখানেও অবস্থার অবনতি ঘটলে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন তাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest