সর্বশেষ সংবাদ-
পণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনের মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের বিবৃতিসাতক্ষীরায় গৃহবধু গণধর্ষণের মামলার আসামী গ্রেপ্তারআশাশুনি বাজারের পাশে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনে উদ্বিগ্ন: ইউএনওর পরিদর্শণসাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় ৩৩ জনের জামিনসাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরাভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণ

এক রাতে ১০৬ চিকিৎসককে ঢাকার বাইরে বদলি; যোগ না দিলে অবমুক্তি

কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে এক রাতেই ১০৬ জন চিকিৎসককে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বদলির আদেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই চিকিৎসকদের মধ্যে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও জুনিয়র কনসালট্যান্টসহ অন্যান্য পদের ডাক্তার রয়েছেন।
তাঁদের মধ্যে ৪৪ জনকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন উপজেলায়, অন্যদের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কিংবা জেলা সদরে। বদলি হওয়া বেশির ভাগ চিকিৎসকই ছিলেন সংযুক্তি নিয়ে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ ডিসেম্বর রাতে ওই আদেশ ছাড়া হয় মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে। আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করলে পরদিন থেকেই অবমুক্ত বলে গণ্য করা হবে, এমনকি তারা ওএসডি হিসেবে বেতন-ভাতাও পাবেন না। মন্ত্রণালয়ের এমন কঠোর পদক্ষেপের পরও নানাভাবে বদলি ঠেকাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন অনেক চিকিসক। তবে হঠাৎ করে এই বদলির ফলে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ১০৬ চিকিৎসকের মধ্যে ওই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেরই আছেন ৫৩ জন। অন্যরা রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আগাম জানান দিয়ে বদলি করলে তদবিরে অতিষ্ঠ হতে হয়, ঠিকমতো আর বদলি করা যায় না।
তাই এবার কঠোর গোপনীয়তার মাধ্যমেই এ বদলি করা হয়েছে। এখন থেকে এমন বদলি আরো হবে। আর সুযোগ দেওয়া হবে না। কারণ মাঠে ডাক্তার শূন্যতায় মানুষের সেবা যেমন বিঘ্নিত হয়, তেমনি নানা মহল থেকে আমরা সব সময় গালমন্দ শুনতে থাকি। এ ছাড়া অতিরিক্ত সংযুক্তির কালচার থেকেও আমরা বেরিয়ে আসতে চাচ্ছি। ’

এদিকে এই বদলির আদেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। তিনি বলেন, ‘বদলির বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের বিশৃঙ্খল অবস্থা চলছে। কোনো পরিকল্পনা না করেই এমন বদলি কতটা সুফল বয়ে আনবে সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। বিশেষ করে একদিকে উপজেলা খালি করে জুনিয়র প্রায় সব ডাক্তারকে উচ্চশিক্ষার নামে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই। সেটাও যেমন পর্যায়ক্রমে করলে ভালো হতো, তেমনি এখন ঢাকা থেকে এতজন সিনিয়র ডাক্তারকে একযোগে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হলো তাতেও কোনো পরিকল্পনা নেই। ’

অধ্যাপক ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের উচিত ডাক্তার বদলি ও পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে আরো পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া, যাতে করে ডাক্তাররা গ্রাম ছাড়া না হয়, আবার ঢাকায় অতিরিক্ত সংযুক্তির সুযোগ না থাকে। ’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এত অতিরিক্ত ডাক্তারদের সংযুক্তি কেন এবং কিভাবে দেওয়া হয়েছিল সেটাও দেখতে হবে। মন্ত্রণালয় থেকেই তো এই সংযুক্তির আদেশ নিয়ে আসে!’

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘হঠাৎ করে এখানে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করে এক দিনে দুটি আদেশের মাধ্যমে ৫৩ জন ডাক্তারকে বদলি করা ঠিক হয়নি। এখন এতগুলো পদের শূন্যতা হঠাৎ করে কিভাবে সামাল দেব বুঝতে পারছি না। পর্যায়ক্রমে বদলি করলে এমন সমস্যায় পড়তে হতো না। ’

বিএমএ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) প্রভাবশালী নেতা ডা. উত্তম বড়ুয়া আরো বলেন, ‘নানা সময় প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের এই হাসপাতালে বিভিন্ন স্থানের ডাক্তারদের সংযুক্তি পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে পদ না থাকলেও মন্ত্রণালয় কিংবা অধিদপ্তর থেকে আদেশ নিয়ে এখানে এসে যোগদান করেছেন। আমরা বাধ্য হয়ে তাঁদের জায়গা করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের নিয়ে নতুনভাবে সেটআপ তৈরি করে আমরা হাসপাতালের সেবার মান আগের তুলনায় অনেক উন্নত করেছি। এখন সাধারণত কোনো রোগীকেই আর এই হাসপাতালে এসে বিনা চিকিৎসায় ফিরে যেতে হয় না, সব ধরনের চিকিৎসাই দেওয়া হয়। ’ তিনি আরো বলেন, ‘বদলির ক্ষেত্রে আরেকটি ঘটনাও মানা যাচ্ছে না। সেটা হলো যাঁদের বদলি করা হয়েছে তাঁরা সবাই সরকার সমর্থক সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতাকর্মী। অন্য দলগুলোর সমর্থক কেউ ওই তালিকায় পড়ল না কেন সেটা আশ্চর্য লাগছে। ’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পরীর অনুশোচনা

পরীর অনুশোচনা

কর্তৃক Daily Satkhira

আমি তো এই আমিটা, আমার মুখে মায়ের বুলি।

আমি তো এই আমিটা, চোখটা জুড়ে স্বপ্ন বুনি।
আমি তো এই আমিটা, বুকটা ভরা মায়ার খনি।
আমি তো এই আমিটা, দু’হাত করে যত্ন ধরি।
আমি তো এই আমিটা, দুর্গম পথ দু’পায়ে মাড়ই।
আমি তো এই আমিটা, কণ্ঠে কোমল সুরও সাধি।
আমি তো এই আমিটা, সিঁথি কাটা চুলে বেনুনি বাঁধি।
আমি তো এই আমিটা, কষ্ট পেলে ডুকরে কাঁদি।

তবে আমি এ কোন আমি? যে রাগের কাছে
উগ্র চরি!

তবে আমি এ কোন আমি? যে নিকৃষ্ট সেই ক্ষণজন্মাতে আপোষ করি!
তবে আমি এ কোন আমি? যে গলা চরাই বিশ্রী ঐ উন্মাদনায়!

এই তো আমি, আমিই তো! শোধরাতে যে
অনুশোচনায়…………….

(পরীমণির ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাহাড়কে ‘ব্যক্তি’র মর্যাদা!

কথা বলতে পারে না, চলতে পারে না, অনুভূতি নেই- এসব কারণে একটি পাহাড়কে আপনি ‘বস্তু’ মনে করতে পারেন। কিন্তু সেই একই পাহাড়কে ‘বস্তু’ নয়, ‘ব্যক্তি’ মনে করেন নিউজল্যান্ডবাসী।

সম্প্রতি দেশটির বিখ্যাত মাউন্ট টারানাকিকে ‘আইনের দৃষ্টিতে ব্যক্তি’র মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এর ফলে নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় আইনে একজন ব্যক্তি যেসব সুবিধা ভোগ করেন, মাউন্ট টারানাকিও তা ‘ভোগ’ করতে পারবে!

অবশ্য কোনো ভৌগলিক অঞ্চলকে আইনের দৃষ্টিতে ‘ব্যক্তি’র স্বীকৃতি দেয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এই নিয়ে তিনবার এমন নজির স্থাপন করলো নিউজিল্যান্ড। এই আইনি স্বীকৃতির মাধ্যমে মূলত একটি এলাকার পরিচর্যা ও সংরক্ষণের বিশেষ দায়িত্ব সরকার নিজে কাঁধে নেয়। এখন থেকে কেউ কোনোভাবে পাহাড়টির ক্ষতি করতে চাইলে তা সংশ্লিষ্ট ‘উপজাতির ক্ষতির চেষ্টা’ বলে গণ্য হবে।

নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ড দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত পাহাড় মাউন্ট টারানাকি। পর্বতটি স্থানীয় মাউরি উপজাতির কাছে খুবই পবিত্র একটি জায়গা। আসলে ‘জায়গা’ নয়; তারা মনে করেন, এই পাহাড়ই তাদের এক পূর্বপুরুষ এবং গোত্রের সদস্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে বোরো মৌসুমের আবাদ শুরু; ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা বোরো চাষে ঝুঁকে পড়েছে

কালিগঞ্জ ব্যুরো: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৫‘শ মেট্রিক টন। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এই লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫২০ মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থ বছরে বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক ফসল হওয়া ও ধানের দাম বেশি পাওয়ায় এ বছর কৃষকরা বোরো ধান চাষের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছে। তবে সার, বীজ, কিটনাশক পর্যাপ্ত পরিমানে সরবরাহ থাকায় লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ফসল উৎপাদন করেছে কৃষকরা। বিগত বছরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পর্যাপ্ত পরিমান ভাল জাতের বীজ সরবরাহ করা হয়েছিল। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর, বিএডিসি ও কৃষকদের সংগ্রহকৃত বীজ থেকে ভাল ফসল হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফজলুল হক মনি এ প্রতিনিধিকে বলেন। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে বোরো আবাদ মৌসুমে এ বছর ধানের বীজতলা তৈরি, ধানের পাতা সারা, জমিতে চাষাবাদসহ সকল ধরণের কার্যক্রম পুরদমে চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। বোরো মৌসুমের শুরুতে চলতি মাসের প্রথম দিকে সারাদেশ জুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে উপজেলা বিভিন্ন এলাকার বহু বীজতলা পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। সেখানে আবারও কৃষকরা নতুন করে ধানের বীজতলা তৈরী করেছেন। সরেজমিনে গেলে পাইকাড়া গ্রামের সফল কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর তিনি সাত বিঘা জমি চাষ করেন। এ বছরও তিনি সাত বিঘা জমিতে চাষাবাদ শুরু করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করতে মুজুরী, পানি, সার, কিটনাশকসহ সাড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা তার খরচ হয়েছিল। সময়ে অভাবে সরকারি ধানের বীজ তিনি সংগ্রহ করতে পানেনি। তাই স্থানীয় সারের দোকান থেকে তিনি বীজ সংগ্রহ করেছেন। বিঘা প্রতি ৭ কেজি ধানরে পাতা তৈরী করে এ বছরও তিনি সাত বিঘা জমিতে ধান চাষ করবেন। গত বছর ধানের ফলন ভাল হওয়ায় এবং বেশি দামে ধানেও বিক্রি করেছিলেন। বস্তা প্রতি (৬০ কেজি) সাড়ে ১১‘শ থেকে সাড়ে ১২‘শ টাকা পর্যন্ত ধান বিক্রি করেছেন। এছাড়া ভাড়াশিমলা গ্রামের আব্দুল আজিজ, চরদাহ গ্রামের আব্দুর রউফ, দেয়া গ্রামের শুনিল পাল, কুশুলিয়া গ্রামের গোবিন্দ মন্ডল, কৃষ্ণনগর গ্রামের আব্দুর রশিদ, বিষ্ণপুর গ্রামের আকবর আলী, তারালী গ্রামের স্বপন ঘোষ, নলতা গ্রামের আরশাদ আলী, মৌতলা গ্রামের শহিদুল ইসলাম, দুলাবালা গ্রামের শহিদুল ইসলামএবছর আমন মৌসুমে বস্তা প্রতি ধানের দাম বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে ১৪‘শ থেকে ১৫‘শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চলতি বোরো মৌসুমে প্রাকৃতিক পরিবেশ যদি ভাল থাকে তবে কৃষকরা জমিতে ভাল ফসল উৎপাদন করবেন এমটি তারা আশা করছেন।

 

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব থামছে না

শ্যামনগর ব্যুরো: মহামান্য হাইকোর্ট এর ১৬৩৯২/২০১৭ নং রিট পিটিশন আদেশ অমান্য করে শ্যামনগরের খোলপেটুয়া নদীর ভাঙন কবলিত এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে। নওয়াবেঁকী বড় কুপট এলাকায় ব্যবসায়ী জামান এর কর্মচারী শেখ রমজান আলীর নামে গত ১২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে সাতক্ষীরা ডেপুটি কালেক্টর হইতে কপোতাক্ষ নদীর পাতাখালীর চরে ৪৮৬ দাগে বালু উত্তোলনের ইজারা নেন। অথচ, ইজারাদাতা রমজান আলী ইজারা বিজ্ঞপ্তির ১২নং কলামের নির্দেশনা অমান্য করে খোল পেটুয়া নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যহত রেখেছে। এছাড়া উপজেলার শ্রীফলকাটি আইবুড়ি নদী থেকে, চন্ডিপুর, পাতাখালী, আটুলিয়া ও নুরনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় বোরিং করে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যহত রয়েছে। শ্যামনগরের অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্দের জন্য আইয়ুব আনসারী মহমান্য হাইকোটে গত ২১ আগষ্ট ২০১৭ তারিখের ১৬৩৯২/২০১৭ নং রীট পিটিশন করে। বিজ্ঞ আদালত অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্দের আদেশ দেন। এ ঘটনায় আইয়ুব আনসারী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দরখাস্ত করেন। উক্ত দরখাস্তে রীট পিটিশনের কপি, ইজারার কপি, ম্যাপের কপি উক্ত দরখাস্তের সাথে সংযুক্ত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৪ বছরের সন্তান ফেলে মায়ের নিরুদ্দেশ যাত্রা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিশু সন্তানের মায়া ও কাঁন্নাকে তুচ্ছ করে এক অবুঝ শিশু কন্যা সন্তানকে ফেলে জননীর অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে সদরের বল্লী ইউনিয়নের আমতলা এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে মানুষের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃদ্ধ শ^শুর শিশু সন্তানটিকে নিয়ে পড়েছে বিপাকে। বৃদ্ধ শ^শুর মো. আবু জাফর মোড়ল জানান, আমার ছেলে মো. হোসেন আলী মোড়ল দীর্ঘ চার বছর মালয়েশিয়া থাকার সুবাধে ছেলের বউ চায়না খাতুন মালয়েশিয়া থেকে পাঠানো নগত ৫০ হাজার টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালংকারসহ শাড়ি-কাপড় নিয়ে গত-১৯ ডিসেম্বর দুপুর বেলা বাড়িতে কেউ না থাকায় অজান্তে বোরখা পরা অবস্থায় পালিয়ে গেছে। পিত্রালয় ও সকল আত্মীয়- স্বজনের বাড়ি অনেক খোঁজা-খুজির পর অবশেষে নিরুপায় হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়রি করেছি। যার নং ১৫৪৫ তারিখ ২৫/১২/২০১৭। রেখে যাওয়া অবুঝ শিশু কন্যাকে নিয়ে আমি পেরেশান হয়ে পড়েছি। কোথায় যাবো কি করবো আমি ভেবে পাচ্ছিনা। আমার ছেলেটা দেশে নেই। তার এ অবুঝ শিশুটিকে কিভাবে দেখা-শোনা করবো।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসীরা জানায়, কৌশলে প্রবাসী আলী হোসেনের পাঠানো অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে তার স্ত্রী চায়না খাতুন পালিয়ে গিয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষ থেকে তাদের খোঁজ করলেও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা প্রশাসককে কালেক্টরেট সমিতির শুভেচ্ছা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন মহোদয় যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ায় বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির সাতক্ষীরা জেলা শাখার পক্ষ হতে গতকাল মঙ্গলবার ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সভাপতি সুজা খান চৌধুরী, সহ-সভাপতি জেপি মোশাররফ হোসেন, উপদেষ্টা এস এম শফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ এস এম শহীদুল ইসলাসহ সাতক্ষীরা জেলা কালেক্টরেট অফিসের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় শহিদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলিমের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

খেশরা (তালা) প্রতিনিধি: সোমবার তালা উপজেলার খেশরায় শেখ ফারুখ মার্কেটে ১৯৭১ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত শহিদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলিম মিয়া’র ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মৃতিচারণ ও দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শেখ আবুল কালাম আজাদ-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আ ’লীগের সাবেক সভাপতি ও তালা-কলারোয়ার সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিঃ শেখ মুজিবুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, খেশরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম, এম ফজলুল হক, বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজীব হোসেন (রাজু), তালা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের আহবায়ক প্রভাষক এস,আর আওয়াল, সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন, খেশরা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ফারুখ হোসেন (পিল্টু), খেশরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক শেখ তানভীর হোসেন (অমি) প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চাচালনা করেন প্রভাষক তরুণ কুমার দাশ।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা তার স্মৃতিচারণায় বলেন ১৯৭১ সালে এই অঞ্চলেরই বাতুয়াডাঙ্গা ক্যাম্পে থেকে আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এখনও আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃতভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনি। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সবশেষে খেশরা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest