সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্ন

কুকের শতক, ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড

এবারের অ্যাশেজটা যেনো দুঃস্বপ্নের মতো কাটছে জু রুটদের। ইতোমধ্যে প্রথম তিন টেস্ট হেরে বসে আছে ইংল্যান্ড। মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টেও শুরুটা হয়েছিল বাজেভাবে। তবে দ্বিতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংলিশরা।

ভালো অবস্থানে থাকা স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে ৩২৭ রানে অলআউট করে দিয়েছে তারা। আর ব্যাট করতে নেমে ২ ‍উইকেটে ১৯২ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন অ্যালিস্টার কুক। অর্ধশত রান থেকে এক রান দূরে থেকে দিন শেষ করেছেন অধিনায়ক রুট।

এর আগে ৩ উইকেটে ২৪৪ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ভালো অবস্থানে থেকেও খুব বেশি দূর যেতে পারেনি স্টিভ স্মিথরা। ৩২৭ রানেই গুটিয়ে গেছে অজিরা।

স্টুয়ার্ট ব্রড, জেমস অ্যান্ডারসন ও ক্রিস ওয়াকসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬৭ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। এছাড়া অজিদের প্রথম ইনিংসে স্টিভ স্মিথ ৭৬ ও শন মার্শ ৬১ রানের ইনিংস খেলেন।

ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ৪টি, অ্যান্ডারসন ৩টি ও ক্রিস ওয়াকস ২টি উইকেট পেয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তৃণমূলের সাথে দূরত্ব বাড়ছে এমপিদের

ঢাকার পার্শ্ববর্তী একটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বললেন, ‘ভাই! আর পারি না। নয় বছর দলের নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে এমপি সাহেব ব্যস্ত নিজের স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে। একজনকে বানিয়েছেন মেয়র, আরেকজনকে দিয়েছেন দলের দেখভালের দায়িত্ব। এখানে দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মূল্যহীন।’ এ অবস্থা শুধু ঢাকার পার্শ্ববর্তী উপজেলায় নয়, দেশের শতাধিক আসন-এলাকায়ও একই চিত্র। কর্মীদের মূল্যায়ন নেই। আত্মীয়করণ আর ব্যক্তিকরণ নিয়েই ব্যস্ত এমপিরা। দলের নেতা-কর্মীদের পরিবর্তনে নবাগতদের প্রাধান্য সব ক্ষেত্রে। ফলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এমপিদের দূরত্ব বাড়ছে।

সূত্রমতে, ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীরা অনেকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে ১০ জন এমপির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিজ দলের নেতা-কর্মীরা। অনেকের বিরুদ্ধে সুযোগ ও সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে তৃণমূল। সেদিন জামালপুরের এক নেতা বললেন, ‘এমপি সাহেব উপজেলা যুবদল নেতাকে এনে জেলা কমিটিকে পাশ কাটিয়ে যুবলীগের পৌর সভাপতি বানিয়েছেন। এখন পৌরসভায় দলের প্রার্থীকে ডোবানোর প্রক্রিয়া মজবুত করার কাজে ব্যস্ত এই সাবেক যুবদল ও বর্তমান যুবলীগ নেতা। মেয়র পদে তিনি নিজে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছেন। ক্ষোভের অনল তৈরি হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মনে।’ আজ সেই পৌরসভায় ভোট হচ্ছে। ওই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বললেন, ‘যদি দলের পার্থী পরাজিত হন, তাহলে কাকে দায়ী করব? সাবেক যুবদল ও বর্তমান যুবলীগ নেতাকে না এমপি সাহেবকে?’ এভাবেই চলছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানামুখী কার্যক্রম। অনেক এমপি দলের নেতা-কর্মীদের চাপে রাখতে বিএনপি-জামায়াতকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। রাজশাহী ও নাটোরের তিনজন এমপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দলের নেতারা। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র এক বছর বাকি। আগামী বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা। এই সময়ে এমপিদের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের দ্বন্দ্ব ও বিরোধে উদ্বিগ্ন আওয়ামী লীগ। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে এ উদ্বেগ। বিশেষ করে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ের পর দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দূরত্বও ভোটের ব্যবধান বড় করে দিয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে যে কোনো মূল্যে এ দ্বন্দ্ব দূর করতে চায় ক্ষমতাসীন দল। দলের শীর্ষ নেতারা বার বার মন্ত্রী-এমপিদের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বিরোধ ও দূরত্ব কমিয়ে আনার তাগিদ দিচ্ছেন।

কিছু কিছু এলাকায় এমপিদের সঙ্গে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দূরত্ব আছে স্বীকার করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে ছোটখাটো যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো ছয় মাসের মধ্যে মিটিয়ে ফেলা হবে। দলকে সুসংগঠিত করতে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ইতিমধ্যে কর্মিসভা, বর্ধিত সভা করা হচ্ছে। এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, নির্বাচন পর্যন্ত চলবে।’

তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এমপিদের সঙ্গে দূরত্ব সবচেয়ে বেশি বাড়ছে তৃণমূলের। দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশ কাটিয়ে চলছেন তারা। তাদের অনেক দম্ভ! নেতা-কর্মীরা কোনো কাজে এমপিদের কাছে গেলে চরম দুর্ব্যবহার করেন এবং বলে থাকেন, কেউ কি ভোট দিয়ে এমপি বানিয়েছো? নেত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন তাই এমপি হয়েছি। মনোনীত তাই নির্বাচিত এ রকম অর্ধশত এমপি নির্বাচনের পর নির্বাচনী এলাকায় যাতায়াত কমিয়ে দিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগও তারা কমিয়ে দেন। কেউ কেউ ছয় মাস বা এক বছর পর নির্বাচনী এলাকায় গেলেও সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েই ঢাকায় চলে আসেন। ফলে নেতা-কর্মীরা এমপিকে দলীয় কর্মকাণ্ডে পান না। কেউ কেউ এলাকার নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছেন এমন অভিযোগও আছে। এভাবে গত চার বছরে অনেক এমপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, এ দূরত্ব আর ঘোচানো সম্ভব নয়

নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে অভিযুক্ত সংসদ সদস্যরা ততই এলাকামুখী হতে গিয়ে স্থানীয়ভাবে বিরোধিতার মুখে পড়ছেন। হবিগঞ্জের এক এমপি বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার মামলার আসামিকে আওয়ামী লীগে যোগদান করিয়েছেন। নেতা-কর্মীরা ব্যাপারটির বিরোধিতা করলে নিজ দলের নেতাদের ওপর চালানো হয়েছে নির্যাতনের স্টিম রোলার। চট্টগ্রাম এলাকায় একজন এমপির বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরকে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ শুরু থেকেই। তিনি নিজেও জামায়াত ঘরানার ছিলেন। দুটি উপজেলার আওয়ামী লীগের সিংহভাগই তার সঙ্গে নেই। তিনিও দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন না। দিনাজপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এলাকায় এক এমপিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো। আরেক উপজেলার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ন্যূনতম যোগাযোগ নেই এমপির। নড়াইলের এক এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে শুধু নিজের সংসদীয় এলাকায় নয়, গোটা জেলার রাজনীতিতেই নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করার। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোয় নিজের পছন্দ না হলে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিয়েছেন। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন তার নামে ‘লীগ’।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযূষকান্তি ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোথাও কোথাও এমপিদের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু আওয়ামী লীগের মূল শক্তি তৃণমূল তো। জাতীয় সংসদসহ যে কোনো নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার ক্ষেত্রেও তারাই মূল দায়িত্ব পালন করে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অনেক পদক্ষেপের একটি হিসেবে আমরা এই দূরত্ব কমানোর উদ্যোগ নিয়েছি। তৃণমূলের সঙ্গে মতবিনিময়, কর্মিসভা, বর্ধিত সভার মাধ্যমে দূরত্ব কমানো হবে। দলীয় সভানেত্রী এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাটকেলঘাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষকের কারিগররা

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: শীতের তীব্রতা যতই বাড়ছে পাটকেলঘাটায় লেপ-তোষকের কারিগররা ততটায় ব্যস্থ হয়ে পড়ছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীনভাবে শীত নিবারনের জন্য গরম লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্থ সময় পার করছে। অর্ডার অনুযায়ী ও তুলার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রকমের লেপ তোষক তৈরী করছে কারিগররা।
সরেজমিনে জানা যায়, পাটকেলঘাটা বাজারের কারিগরদের তৈরী লেপের কদর দেশের প্রায় প্রত্যেক অঞ্চলে রয়েছে। শীত মৌসুমের শুরুর প্রায় ২ মাস আগে থেকে এখানকার লেপ-তোষক তৈরীর কারিগররা ব্যস্থ সময় পার করছে। জেলা শহরের চাহিদা মিটেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে এগুলো সরবরাহ করা হয়। স্থানীয় শাহাজাহান শেখ, আব্দুল হান্নান, নুর ইসলাম ফেকড়, হানেফ আলীসহ বেশ কয়েকজন কারিগর জানায়, তুলার উপর নির্ভর করে লেপ-তোষক তৈরী করা হয়। তবে সাধারন ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রেখে এগুলো প্রস্তুত করা হয়ে। ৭শ থেকে ৪ হাজার টাকার মুল্যের লেপ-তোষক গুলো বেশী বিক্রি হয় সাথে অর্ডার গুলোও বেশী হয়। তবে গরীব ও দুঃস্থদের কথা বিবেচনায় রেখে এগুলো বেশী তৈরী করা হয়। তবে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে কর্মব্যস্থতাও বেড়েছে। রাতদিন এগুলো তৈরীতে কাজ করে যাচ্ছে ধুনকাররা। পাটকেলঘাটা বাজারের ভারতী বস্ত্রালয়, আল মদিনা বস্ত্র সম্ভার, আল্লাহর দান ক্লাথ স্টোর, উর্মি গার্মেন্টস, রুপা ফ্যাশান, ঝিকঝাক ফ্যাশান, বৈশাখী বস্ত্রালয় এর মালিক ও কর্মচারীরা জানান, শীতের শুরুতে লেপ-তোষকের চাহিদা তুলনামুলক কম থাকলেও শীতের তীব্রতা বাড়ায় এগুলো বিক্রির চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন দামের রকমারী কভারের তৈরী সাথে সাথে তুলোর তার তাম্যের ভিত্তিতে দাম হয়ে থাকে। তবে মধ্য বিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা বেশী এগুলো কেনাকাটা করছে বলে জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চাম্পাফুলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীসমাবেশ

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়ন সেচ্ছসেবক লীগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫ টায় চাম্পাফুলের ঘুষুরিয়া বাজারে কর্মীসমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য শেখ নুরুজ্জামান জামু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চাম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহম্মেদ উজ্জল, তারালি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামাম হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-নুরুল হক, মহিলা সম্পাদিকা ফাতেমা ইসলাম রিক্তা প্রমুখ। এসময় তারালি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের জামাল উদ্দিনের ক্যান্সার আক্রান্ত মেয়ের জন্য জেলা পরিষদের ৫ হাজার টাকার চেক গ্রহণ করেন জামাল উদ্দিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কক্সবাজারে দুই বিমান বিধ্বস্ত, ৪ পাইলট জীবিত উদ্ধার

কক্সবাজারের মহেশখালীতে আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় সংঘর্ষের পর বিমানবাহিনীর দু’টি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই বিমানে থাকা চারজন পাইলটকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা পালপাড়া ও উপজেলার ছোট মহেশখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিধ্বস্ত হওয়ার পর পর বিমানে আগুন ধরে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়েছে কি-না তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানা যায়নি।

বুধবার রাতে আইএসপিআরের পরিচালক রাশিদুল হাসান বলেন, দুই বিমানে থাকা চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।

আইএসপিআর জানায়, বিধ্বস্ত বিমানের একটিতে ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শরীফ ও স্কোয়াড্রন লিডার মনির। অপর বিমানে ছিলেন উইং কমান্ডার আজিম ও রাজীব। চার পাইলট বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৫৬ মিনিটে প্রশিক্ষণ বিমান দুটি নিয়ে উড্ডয়ন করেন। ৫০ মিনিট পর কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সাধন কুমার মোহন্ত জানিয়েছেন, বিমান বাহিনীর দু’টি প্রশিক্ষণ বিমান সান্ধ্যকালীন মহড়ায় উড়তে গিয়ে আকাশে সংঘর্ষ হয়। পরে মাটিতে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত অংশটি মহেশখালী উপজেলার দু’টি স্থানে পড়েছে বলে জানালেও এতে কেউ হতাহত হয়েছে কি-না তা জানাতে পারেননি তিনি।

তিনি বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমান দু’টি এয়ারফোর্সের অতটুকুই সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাকে জানিয়েছেন। সেখানে কে বা কারা ছিলেন তা আইএসপিআর তথ্য বিবরণী মাধ্যমে জানাবে।

এদিকে, খবর পেয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল কালাম ও সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থলে গেছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে মহেশখালীর দমকল বাহিনী।

মহেশখালীর ইউএনও মো. আবুল কালাম জানান, সন্ধ্যার পর পর আকাশে দু’টি বিমানের সংঘর্ষে বিকট শব্দ শোনা যায়। এর পরই মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা পালপাড়া এলাকায় বিমানের একটি অংশ পড়ে আগুন জ্বলে। আর একটা অংশ পড়েছে উপজেলার নিকটবর্তী ছোট মহেশখালী এলাকায়।

মহেশখালী থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, খবর পেয়ে পুলিশের পৃথক ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজুল হক টুটুলসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলের পথে রয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় মিনি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

খেশরা (তালা) প্রতিনিধি: তালার শ্রীমন্তকাটী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ছাত্র কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত ৮ দলীয় মাস্টার আকবর আলী স্মৃতি মিনি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
জালালপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য গোলদার আশরাফুল হকের সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ মহিবুল্লাহ মোড়ল।

অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম মুক্তি, নতুন বাজার কমিটির সভাপতি মাষ্টার আল আমিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছহিলউদ্দীন সরদার, ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শেখ আব্দুর রাজ্জাক, ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনি, ছাত্র কল্যান পরিষদের উপদেষ্টা খুরশিদ আলম মশিউর এবং মরহুম মাষ্টার আকবর আলীর পুত্র মোঃ আসাদুজ্জামান জনি প্রমুখ।

ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করেন শ্রীমন্তকাটী আম বাগান ক্রিকেট একাদশ বনাম দোহার আটুলিয়া ক্রিকেট একাদশ। দোহার আটুলিয়া ক্রিকেট একাদশ ২ উইকেটে আমবাগান ক্রিকেট একাদশ’কে পরাজিত করে। খেলা পরিচালনা করেন মাসুকর রহমান ও নিশাত শরীফ শাওন। টুর্নামেন্টের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন পরিষদের সভাপতি কুমার দেবাশীষ, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান সবুজ, দপ্তর সম্পাদক সাব্বির হোসেন, সদস্য নাহিদ হোসেন, সাঈদ, শোভন, তরিকুল, শামীম, পল্লব ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পৌর সভায় মাস্টার রোল কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা পৌর মাস্টার রোল কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ৩টায় সাতক্ষীরা পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ খান টগরের সভাপতিত্বে এ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পৌর মাস্টার রোল কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান শিমুল, কোষাধ্যক্ষ ইয়াছিন আলী সুমন, দপ্তর সম্পাদক তুষার রায়, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত আলী খানসহ সংগঠনের সাধারণ সদস্য বৃন্দ। সভায় সংগঠনকে গতিশীল করার জন্য সকল সদস্যদের আহ্বান জানানো হয়। সংগঠনের সকল নিয়ম কানুন সকল সদস্যদের মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাত পোহালোই গাবুরা ইউপির উপ-নির্বাচন

গাজী আল ইমরান, শ্যামনগর ব্যুরো: রাত পোহোলেই ২৮ ডিসেম্বর বৃহম্পতিবার গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি.এম আলী আযম টিটোর মৃত্যুতে উক্ত পদটি শুন্য হলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ১৭.০০.০০০০.০৭৯.৪১.১৮.১৬-৫৪৮ নং স্মারকের মাধ্যমে গাবুরা ইউনিয়ন উপ-নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী গাবুরা ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি ও প্রাক্তন ইউপি সদস্য মো. রবিউল ইসলাম নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান মৃত আলহাজ্জ্ব সোহরাব গাজীর বড় ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মাসুদুল আলম প্রতিক ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। এ নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বুধবার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরার নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার সাজেদুর রহমান, জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন, জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মাজাহারূল ইসলাম, কালিগঞ্জ-শ্যামনগর এলাকার সার্কেল সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুর রহমান বলেন, গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকছে। নিñিদ্র নিরাপত্তা থাকছে এখানে। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমদের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা প্রস্তুত আছে। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, গাবুরা ইউনিয়ন উপ-নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোস্ট গার্ড, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবের সমন্ব^য়ে চার স্তরের নিরাপত্তা থাকছে এ নির্বাচনে। পুলিশের ২ টি মোবাইল টিম কাজ করবে, টহলে থাকে ১ প্লাটুন বিজিবি, ১ প্লাটুন র্যাব, ১ প্লাটুন কোস্ট গার্ড সার্বক্ষণিক কাজ করবে। তিনি আরো বলেন, মোট ৯ টি কেন্দ্রের প্রতি কেন্দ্রে অস্ত্রসহ তিন পুলিশ সদস্যসহ একাধিক আনসার ভিডিবি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এ বিষযয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী বলেন, এ নির্বাচনে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি। আশা করি কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এ নির্বাচনে ঘটবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest