সর্বশেষ সংবাদ-
পুনরায় সচল বৈছাআ, অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন সাতক্ষীরার আহ্বায়কজাতীয়তাবাদী সাইবার দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাসাতক্ষীরায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পরিচিতি সভাসীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি ইমন – সম্পাদক লিংকন,সাতক্ষীরায় জেলা তাঁতীদলের সভাপতি রিপন – সম্পাদক সাহেব আলীআশাশুনিতে এক রাতে ৪ দোকানে দুঃসাহসীক চুরিসাতক্ষীরা সদরে বাঁশদহা সমাজকল্যাণ পরিষদের অফিস উদ্বোধনউত্তর-পশ্চিম কাটিয়া জামে মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা : প্রতিবাদে মানববন্ধনআশাশুনিতে কিশোরীকে অপহরনের অভিযোগ: ৮ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশশ্যামনগরে কিশোর কিশোরী-যুবদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচ ও গ্রামীণ খেলাধুলা  

ভারতকে হারিয়ে সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

ভারতকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপসে শিরোপা জিতলো বাংলাদেশের মেয়েরা। রবিবার ১-০ গোলে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপসের ফাইনাল জিতেছে মারিয়া-তহুরারা।

লিগের শেষ ম্যাচে এই ভারতকে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়বার একই ফলের পুনরাবৃত্তি করলো স্বাগতিকরা, হেরফের হলো কেবল জয়ের ব্যবধানে। ৪১ মিনিটে প্রথম গোল করে বাংলাদেশ। শামসুন্নাহার ছিলেন গোলদাতা। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে তার বাড়ানো বলে আনুচিংয়ের শট ভারতীয় ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফেরে। এরপরই লক্ষ্যভেদী শট নেন শামসুন্নাহার।

এনিয়ে ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের শিরোপা হলো তিনটি। দুটিই এসেছে এএফসি আঞ্চলিক পর্ব থেকে। ২০১৫ সালে নেপালে ও ২০১৬ সালে তাজিকিস্তানে অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মেয়েরা। এবার তৃতীয় শিরোপা তারা জিতলো সাফের মতো আসরে। স্বাগতিকরা আধিপত্য দেখিয়ে এসেছে এতদূর। এর আগে সাফে রানার্সআপ হয়েছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।

সাফের মূল আসরে এই ভারতের কাছে হেরে গত বছর শিলিগুড়িতে শিরোপা জেতা হয়নি। এবার বাংলাদেশ নিলো প্রতিশোধ। অপরাজিত থেকে হলো চ্যাম্পিয়ন। লিগে নেপালকে ৬-০, ভুটান ও ভারতকে ৩-০ গোলে হারানোর পর ফাইনালেও শেষ বাধা পার করলো তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকার চেয়েছে চালের দাম বৃদ্ধি পাক- সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী

সরকার চেয়েছে চালের দাম বৃদ্ধি পাক। কৃষক ন্যায্য মূল্য পাবে বলে চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের পরিকল্পনায় ছিল। কিন্তু প্রতি কেজি চালের দাম ৫০ টাকার বেশি হওয়াটা মানুষের জন্য বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের ২০১৬ সালের ক্যালেন্ডার বছরের লভ্যাংশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তার দফতরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

লভ্যাংশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রতন কুমার লাল অর্থমন্ত্রীর কাছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা হস্তান্তর করে।

মন্ত্রী বলেন, গ্রামীন ব্যাংক আগের চেয়ে ভাল করছে। বাংলাদেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ব্যাংকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।

‘সাড়ে পাঁচ লাখ বাংলাদেশি মানুষ দরিদ্র হচ্ছে’ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সানেম পত্রিকায় প্রকাশিত এমন খবরের বরাদ দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি তাদের নিজেদের পর্যবেক্ষণ, এটা সঠিক নয়। তবে চালের দাম বাড়ায় দেশের মানুষ কিছুটা বেকায়দায় আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইঁদুর-মাকড়সার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিবে পুদিনাগাছ

ইঁদুর, তেলাপোকা, মাকড়সার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। সব কেটেকুটে সাফ করে দিচ্ছে? দেখেও কিছু করতে পারছেন না। বিষ দিয়েও দমন হচ্ছে না ইঁদুর।

আর টিকটিকি-মাকড়সার ভয়ে তো বাথরুমে যেতেও ভয় লাগে। দেওয়াল বেয়ে টিকটিকির এমনই এদিক-ওদিক ছুটোছুটি ভয়ে শিউরে যাচ্ছেন। আপনার বাচ্চাও ভয়ে আঁতকে উঠছে।

জীববৈচিত্র্য, প্রকৃতির ভারসাম্য, ইকোসিস্টেম এসব বাদ দিন। ঘরে তো আর পোকামাকড়ের সঙ্গে থাকা যায় না। ইদানীং আবার মশার উত্‍‌পাতও খুব বেড়েছে।সন্ধ্যাবেলায় বাদ দিন, রাতেও মশার জ্বালায় ঠিকতে পারছেন না।

এত খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে প্রশ্নের একটাই কারণ, সমধান রয়েছে আপনার হাতের মুঠোতেই। পুদিনাগাছ চেনেন নিশ্চয়ই। এই পুদিনার গন্ধ আমাদের অস্বস্তির কারণ না-হলেও, ইঁদুর-মাকড়সাদের একদমই সহ্য হয় না। ঘরে পুদিনার পাতা থাকলে, এই কীটপতঙ্গ-পাল পালানোর পথ পাবে না।

কীভাবে কাজে লাগাবেন পুদিনা। খুবই সোজা। বাজার থেকে পুদিনা পাতা কিনে এনে ভালো করে বেটে পুদিনা-চা বানিয়ে ফেলুন। ঘরের চার কোণে, বাথরুমে, যেখানে ইঁদুর-মাকড়সা-আরশোলার উত্‍‌পাত বেশি, স্প্রে করুন। বিশেষত দরজা-জানলার চারপাশে। টবে বসানো পুদিনার গাছও ঘরে বসাতে পারেন। দেখুন কেমন ম্যাজিক কাজ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায় কাঁচা টমেটো

রতিদিন দুটো করে কাঁচা টমেটো খেলে বায়ু দূষণ যতই বাড়ুক না কেন ফুসফুসের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও চিন্তাই করতে হবে। কারণ ফুসফুস-এর দেখাশোনার দায়িত্ব সেক্ষেত্রে নিয়ে নেবে এই রক্তিম সবজিটি। কিন্তু টমেটো কিভাবে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়াবে? ব্লমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেল্থের গবেষকদের করা একটি স্টাডিতে দেখা গেছে টমেটোর ভেতরে এমন অনেক শক্তিশালী উপাদান রয়েছে, যা ধূমপান এবং বায়ু দূষণের কোনও প্রভাব যাতে ফুসফুসের উপর না পরে, সেদিকে খেয়াল রাখে।

সেই সঙ্গে ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও মারাত্মক বৃদ্ধি করে। প্রসঙ্গত, জার্মানি, ইংল্যান্ড এবং নরওয়ের প্রায় ৬৮০ জন বাসিন্দার উপর প্রায় ১০ বছর ধরে এই গবেষণাটি চালানোর পর টমেটোর এইসব গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। এই পরীক্ষাটি চলাকালীন গবেষকরা লক্ষ করেছিলেন যে নিয়মিত টমেটো খাওয়ার অভ্যাস করলে একদিকে যেমন ফুসফুসের ফাংশনের উন্নতি ঘটে, তেমনি ভঙ্গুর শরীরও বল ফিরে পায়। সেই সঙ্গে আরও সব শারীরিক উপকারিতা মিলতে শুরু করে, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

রান্নায় এই সবজিটির ব্যবহার বাঙালিরা প্রায়শই করেই থাকেন। কিন্তু কাঁচা টমাটো খাওয়ার অভ্যাস সচরাচর খুব একটা চোখে পরে না। একথা বলতে দ্বিধা নেই যে রান্নার পরিবর্তে যদি কাঁচা অবস্থায় নিয়মিত ২-৩ টা করে টমাটো খাওয়া যায় তাহলে দারুন উপকার মেলে। এক্ষেত্রে শরীরের যে যে উপাকার হয়…

১. ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর করে:
নিয়মিত যদি একটা করেও টমেটো খেতে পারেন তাহলে দেহের অন্দরে দিনের চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম এবং আয়রনের চাহিদাও পূরণ হয়। এবার ভাবুন তো যদি একটার জয়গায় দুটো করে টমাটো খেতে পারেন, তাহলে কতটাই না উপকার মেলে। প্রসঙ্গত, নার্ভের কর্মক্ষমতা বাড়াতে পটাশিয়াম বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অন্যদিকে আয়রন, রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।

২. হাড় শক্তপোক্ত হয়:
ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-কে সমৃদ্ধি হওয়ার কারণে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে টমাটোর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো বুড়ো বয়সে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের হাত থেকে বাঁচতে এখন থেকেই টমাটো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

৩. ক্যান্সার বিরোধী:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে টমাটোয় উপস্থিত লাইকোপেন প্রস্টেট, কলোরেকটাল এবং স্টমাক ক্যান্সার রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে লাইকোপেন হল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কোষের বিভাজন ঠিক মতো হতে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমে। আর যদি একবার ক্যান্সার কোষ জন্ম নিয়েও নেয়, তাহলেও যাতে তার বৃদ্ধি দ্রুত গতিতে না হয়, সেদিকে টমাটো খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ শরীরকে ক্ষয় করার সুযোগ পায় না।

৪. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:
টমাটোয় উপস্থিত লাইকোপেন নামে একটি উপাদান ত্বকের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে আরেকভাবেও এই সবজিটিকে কাজে লাগাতে পারেন। কীভাবে? ১০-১২ টা টমাটো নিয়ে ভেতরটা পরিষ্কার করে নিন। তারপর টমনাটোর স্কিনটা ভুল করে সারা মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পরে ভাল করে মুখটা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে কয়েকবার এমনভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন বলিরেখা কমতে শুর করবে। সেই সঙ্গে স্কিনের ঔজ্জ্বল্যও বৃদ্ধি পাবে।

৫. ধূমপানের কুপ্রভাব থেকে বাঁচায়:
টমাটোয় রয়েছে কিউমেরিক এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা কার্সিনোজের প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ফলে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। তাই যারা একান্তই ধূমপান ছাড়তে পারছেন না, তারা দয়া করে দিনে ২-৩ টে কাঁচা টমাটো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

৬. চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:
চুলের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতে ভিটামিন-এ-এর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর এই উপাদানটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে টমেটোতে। তাই দীর্ঘদিন যদি চুলকে সুন্দর রাখতে চান, তাহলে কী করণীয়, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না। প্রসঙ্গত, দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতেও ভিটামিন-এ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হয়:
কখনও খাবারের সঙ্গে তো কখনও অন্যভাবে আমাদের শরীরে টক্সিক উপাদানের প্রবেশ ঘটে। এই ক্ষতিকারক উপাদানগুলি যাতে শরীরের কোনও ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের হাত থেকেও রক্ষা করে। টমাটো যেহেতু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, তাই তো শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কাঁচা টমাটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

৮. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়:
টমেটোতে উপস্থিত ভিটামিন এ, ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের আশঙ্কা তো কমায়ই, সেই সঙ্গে রাত-কানার মতো রোগ দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমে যাক, এমনটা যদি না চান, তাহলে নিয়মিত টমাটো খেতে ভুলবেন না যেন!

৯. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:
টমাটোয় উপস্থিত ভিটামিন বি এবং পটাশিয়াম, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, যাদের পরিবারে হাই কোলেস্টেরল এবং ব্লাড প্রেসার রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা আজ থেকেই কাঁচা টমাটো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন আয়ু বাড়বেই বাড়বে।

১০. কিডনি স্টোনের আশঙ্কা কমায়:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বীজ সমেত টমাটো খেলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলকাতায় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে সংবর্ধনা

সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’-এ পুরস্কারে ভূষিত করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় ‘উত্তীর্ণ’ মুক্তমঞ্চে বাংলা সঙ্গীতমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পীকে এই সম্মানে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার স্বরূপ ৫০ হাজার রুপি, উত্তরীয় ও স্মারক তুলে দেওয়া হয় বন্যার হাতে। পুরস্কার তুলে দেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যার পাশাপাশি এই সম্মানে ভূষিত হন আরও ৭ জন শিল্পী। এরা হলেন তবলা বাদক শুভঙ্কর বন্দোপাধ্যায়, সন্তুর বাদক তরুণ ভট্টাচার্য, গিটারে দেবাশিস ভট্টাচার্য, লোকগীতিতে স্বপন বসু, ঝুমুর শিল্পী বিমলা দেবী, পট গানের শিল্পী স্বর্ণ চিত্রকর ও ফকিরি গানে খাইবার ফকির।

সন্ধ্যায় ‘বিশেষ সঙ্গীত সম্মান, সঙ্গীত মহাসম্মান ও সঙ্গীত সম্মান’-এই তিনটি ধারায় পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সঙ্গীত জগতের সমস্ত ক্ষেত্রের শিল্পীদের।

‘বিশেষ সঙ্গীত সম্মান’এর পুরস্কার মূল্য ২ লাখ রুপি। এই সম্মান তুলে দেওয়া হয় সঙ্গীতশিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্য (মুম্বাই) ও জিৎ গাঙ্গুলীকে।

অন্যদিকে ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে ছিলেন ইমন চক্রবর্তী, পরিমল ভট্টাচার্য, দূর্বাদল চট্টোপাধ্যায়, গৌতম দাস বাউল, মায়ারানি পোদ্দারসহ মোট ১৩ জন শিল্পী। পুরস্কার বাবদ প্রত্যেক শিল্পীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ১ লাখ রুপি, উত্তরীয় ও স্মারক।

এদিনের এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপক শিল্পীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, অজয় চক্রবর্তী, হৈমন্তী শুক্লা, সৈকত মিত্র, উষা উত্থুপ, দেবজ্যাতি বোস, রাজ্য সরকারের তিন মন্ত্রী যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়সহ বিশিষ্টরা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে কয়েকটি গানও গেয়ে শোনান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।

শনিবার সঙ্গীত মেলার উদ্বোধনের পর আগামী কয়েকদিন ধরেই এই গানমেলার অনুষ্ঠান চলবে শিশির মঞ্চ, ফণিভূষণ, মধুসূদন মঞ্চ, রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনসহ কলকাতা শহরের কয়েকটি মঞ্চে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর কলকাতার রবীন্দ্রসদনে হবে এই গান মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দ্বিতীয় দিনের অনশনে প্রাথমিকের শিক্ষকরা

জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে বেতনের দাবিতে জাতীয় শহীদ মিনারে আজ দ্বিতীয় দিনের মত আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। এ দাবিতে মহাজোটের অধীনে থাকা ১০টি সংগঠনের শিক্ষকরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের উদ্যাগে এ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পাটি, পত্রিকা বিছিয়ে পৌষের শীতের রাত পার করেছেন ‘মানুষ গড়ার কারিগর’ এসব শিক্ষকরা।

এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়েছে কী না জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিক রবিউল বলেন, শনিবার রাতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে দাবি পূরণের কোনো আশ্বাস তারা দেননি। তাই আমাদের অনশন চলবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গ্রামীণ ব্যাংকের কিস্তির টাকা দিতে না পেরে আগুনে পুড়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে গ্রামীণ ব্যাংকের কিস্তির টাকা দিতে না পেরে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে জরিনা খাতুন (২৮) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার পশ্চিম খাসকাউলিয়া গ্রামের দরিদ্র কৃষি শ্রমিক আব্দুর রউফের স্ত্রী। শনিবার সকালে নিজের ঘর আটকিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে রাত একটার দিকে মারা যান। তার শিশুসহ ৫টি সন্তান রয়েছে।

জরিনার স্বামী আব্দুর রউফ অভিযোগ করে জানান, সংসারে অভাবের কারণে পাশ্ববর্তী টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার শাহজানী ভাড়রা ইউনিয়ন গ্রামীন ব্যাংকের শাখা অফিস থেকে স্ত্রীর নামে গত চলতি বছরের ৭ মে দু’দফায় ৩০ হাজার টাকা ঋণ নেয়া হয়। এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহের রবিবার সাড়ে ৭শ’ টাকা কিস্তি দিয়ে আসছিলাম। এ অবস্থায় অভাবের সংসার চালানোর পাশাপাশি কিস্তির টাকা যোগার করতে সমস্যা হতো। অভাবের কথা শুনে এনজিও গ্রামীন ব্যাংকের মাঠ কর্মীরা কিস্তির টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এ নিয়ে স্ত্রী দুশ্চিন্তাগ্রস্থ ছিল। কোনভাবেই কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতে পারছিলেন না। তাই আগের দিন শনিবার সকালে নিজের ঘর আটকিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এতে তার শরীরের অধিকাংশ অংশ পুড়ে যায়। উদ্ধারের পর প্রথমে চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ঢাকায় নেবার পরামর্শ দেন। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে রাত একটার দিকে সে মারা যায়।

এবিষয়ে গ্রামীন ব্যাংক ভাড়রা শাখা ম্যানেজার রঞ্জু আহমেদ জানান, টাকার জন্য তেমন চাপ দেয়া হয়নি। জরিনার মৃত্যুর কথা শুনে আমরা তার বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দিয়েছি। পাওনা টাকা মওকুফসহ বীমার টাকা পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।

ইউপি চেয়ারম্যান সহিদ হোসেন জানান, শুনেছি আত্মহত্যা করেছে। তবে কি জন্য তা জানা নেই। তবে আমাদের এলাকার অসংখ্য মানুষ গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছে। এটাই কারণ হতে পারে।

চৌহালী থানার ওসি আকরাম হোসেন জানান, ছুটিতে আছি। বিষয়টি আমার জানা নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফাইনালের প্রথমার্ধে এগিয়ে বাংলাদেশ

সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ।

রবিবার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচটিতে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেই বিরতিতে গেছেন মারিয়া-মনিকারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest