সর্বশেষ সংবাদ-
পণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনের মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের বিবৃতিসাতক্ষীরায় গৃহবধু গণধর্ষণের মামলার আসামী গ্রেপ্তারআশাশুনি বাজারের পাশে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনে উদ্বিগ্ন: ইউএনওর পরিদর্শণসাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় ৩৩ জনের জামিনসাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরাভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণ

কালিগঞ্জে সাহিত্যিক গাজী আজিজুর রহমানের জন্মজয়ন্তী পালন

কালিগঞ্জ ব্যুরো : সাহিত্যে জগতে দুই বাংলার খ্যাতিমান পুরুষ কালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক প্রবন্ধকার, কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক গাজী আজিজুর রহমানের ৭০তম জন্মজয়ন্তী ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। বর্ষা-বসন্ত ও হেমন্তের সোপান পেরিয়ে শুক্রবার বিকেল ৪ টায় প্রেসক্লাব ও সুশীলনের আয়োজনে সুশীলন কার্যালয়ে বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্তা সুশীলনের পরিচালক বিশিষ্ট আবৃতিকার মোস্তাফা নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবর্ধিত অতিথি‘র বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চ‘ুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিশিষ্ঠ কবি কিশোরী মোহন সরকার, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলহাজ্ব আব্দুল খালেক, অধ্যাপক শ্যামাপদ দাশ, অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, সোহরাওয়ার্দী পার্ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডঃ জাফরুল্লাহ ইব্রাহীম, সুশীলনের উপ-পরিচালক মোস্তফা আক্তারুজ্জামান পল্টু, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুজ্জামান জামু, কবি মঞ্জুর লুতফর রহমান প্রমুখ। গাজী অজিজুর রহমানের ৭০তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন, কেক কাটা, কবিতা আবৃতি, দূরন্ত সত্তর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিল্পী, এনজিও ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মঙ্গলবার সাতক্ষীরায় আ ‘লীগের বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ আ ’লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহ্বানে আগামী ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এক প্রতিনিধিসভা ও দলীয় সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানের কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি ও নির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি মুনসুর আহমেদ। সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা, পৌর আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে স্ব স্ব ব্যনারসহ উপস্থিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক : জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কলারোয়ায় এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে কলারোয়া উপজেলার কামারআলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ওই যুবলীগ নেতা কামারালী গ্রামের আরিজুল ইসলামের পুত্র হেলাল হোসেন (৩১)। এঘটনায় রাত আড়াইটার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিবার সুত্রে জানায়, মোঃ হেলাল হোসেন শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বাজার থেকে বাড়ী ফিরছিলো। পথিমধ্যে একই এলাকার অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ওৎ পেতে থাকা মৃত মুজিবর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, বজলুর রহমানের ছেলে শাওন, মোস্তফা সরদারের ছেলে নাজমুল, মৃত হামেদ আলী সরদারের ছেলে মোস্তফা, মৃত হামেদ আলী সরদারের পুত্র মোস্তফা সরদার ও হবিবার সরদারসহ ৪/৫জন তার গতিরোধ করে। এসময় তারা হেলালের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা মৃত ভেবে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে রেখে চলে যায়।
তারা আরো জানায়, এলাকায় উক্ত ব্যক্তিরা ভূমিদস্যু হিসাবে পরিচিত। তারা অত্র এলাকার বহু মানুষের জমি জাল দলিল করে অবৈধভাবে জমি দখল করেছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে থামিয়ে রাখে। এছাড়াও তারা এলাকার চিহ্নিত জামাত-শিবিরের সক্রিয় সদস্য। তাদের নামে নাশকতার একাধিক মামলাও রয়েছে। জমি জায়গা বিষয়কে কেন্দ্র তাদের হেলালের সাথে হামলাকারীদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। যার প্রেক্ষিতে ওই রাতে তারা এঘটনা ঘটিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিষয় নিয়ে শুক্রবার বিকালে যুগিখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ রফিকের উপস্থিতিতে একটি মীমাংসা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি বৈঠকে। আর রাতেই এই মারপিটের ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল সুত্রে জানায়, আহত হেলালের মাথায় ৬টার অধিক কোপের দাগ পাওয়া গেছে। সেখানে ৪০টির অধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক। এব্যপারে মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে পারিবারিক সূত্রে জানায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তারালী হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : কালীগঞ্জের তারালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক কর্তৃক দুর্নীতির মাধ্যমে স্কুলের জমি নিজের নামে করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার পেতে ও ঐ দুর্নীতিবাজ সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলী রেজুলেশন করে বর্তমানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উপর দায়িত্ব ন্যস্ত করেছেন। অভিযোগ মতে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার তারালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ মুর্শিদ আলী (ইনডেক্স নং- ২৯১৩৯১) গত ১৭ মে২০১৭ ইং তারিখে অবসর গ্রহন করেন। সেসময় জিয়াদ আলী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে গত ০৯অক্টোবর২০১৭ তারিখে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি নবায়নের জন্য স্কুল পরিদর্শনকালে বিদ্যালয়ের জমিজমা সংক্রান্ত ক্রটি পান। সেকারনে তিনি ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ইং তারিখে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ৫৯০৩ নং স্মারকে স্কুলের জমির দলিলের ফটোকপি, জমির খারিজের কপি, জমির খাজনা দাখিলার কপি ও জমির হাল জরিপের কপি তার দপ্তরে প্রেরন করতে বলেন। তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জমির কাগজপত্র যাচাই করাকালে দেখতে পান সাবেক প্রধান শিক্ষক মুর্শিদ আলী অবসর গ্রহণকালে প্রতিষ্ঠানের নামীয় সাড়ে ৯৯ একর জমির মধ্যে ৩৩ একর জমির দলিল (দলিল নং- ২৬৪৮), সাড়ে ৯৯ একর জমির খারিজের কপি ও হালনাগাদ খাজনা কপিসহ জমির হাল জরিপের কপি স্কুলে জমা দেননি। যার কারণে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গত ০৫ নভেম্বর ১৭ ইং তারিখে উপরোক্ত কাগজপত্র বুঝিয়ে দিতে সাবেক প্রধান শিক্ষক মুর্শিদ আলীর কাছে ০০১/১৭ নং স্মারকে পত্র পাঠান। পরে মুর্শিদ আলী ০৭নভেম্বর১৭ ইং তারিখে লিখিতভাবে তার জবাব প্রেরন করেন। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটি ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাম-লী তার জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করেন। তবে কাগজপত্রে দেখা গেছে, গত ইং ০৭-১২/২০১৪ তারিখ পর্যন্ত দাখিলা অনুযায়ী স্কুলের ৯৯ শতক জমির খাজনা পরিশোধ আছে। কিন্তু মুর্শিদ আলী প্রধান শিক্ষক থাকাকালে অবসরগ্রহনের পূর্বে গত ইং ১৩ এপ্রিল১৭ তারিখে স্কুলের জমি আত্মসাৎ করার অসৎ উদ্দ্যেশ্যে মাত্র ৬৬ শতক জমির দাখিলা পরিশোধ করেন। তিনি বিদ্যালয়ের জমি হাল রেকর্ড না করে কিছু জমি নিজের নামে, কিছু জমি তার পিতা ও তার স্ত্রীর নামে রেকর্ড করেন। যার কারনে ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকবৃন্দ মুর্শিদ আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উপর দায়িত্বভার অর্পণ করেছেন। এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াদ আলী সাবেক প্রধান শিক্ষক কর্তৃক জমি আত্মসাৎ করার চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে। তবে মুর্শিদ আলীর সেলফোনটি বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে কাঁচা হলুদ ও মধুর মিশ্রণ

কাঁচা হলুদের গুণাবলী সম্পর্কে আমরা অনেকেই পরিচিত। আয়ুর্বেদেও হলুদের উপকারিতার কথা উল্লেখ করা রয়েছে। যে কোনও রকমের ইনফেকশন হলে কাঁচাহলুদের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের সমস্যা, লিভারের সমস্যা, পেশীর সমস্যা, কেটে যাওয়া বা ছড়ে যাওয়ার জন্যও হলুদ উপকারী।

এছাড়া হলুদের মধ্যে এমন উপাদান থাকে যার ফলে গ্যাসট্রিক, পেপটিক এবং গ্যাসট্রিক আলসার ইত্যাদির জন্যও উপকারী। অ্যালঝাইমারস-এর জন্যও কাঁচা হলুদ উপকারী। চিকিৎসকরা প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কাঁচা হলুদ খাওয়ার একটি পদ্ধতিও বর্ণনা করেছেন তারা।

এক টেবিল চামচ কাঁচা হলুদ গুঁড়ো এবং ১০০ গ্রাম মধু নিন। দুটোকে ভাল করে মিশিয়ে নিন। জানা গেছে, ফ্লু, জ্বর, সর্দি-কাশি হলে এই মিশ্রণ এক ঘণ্টা অন্তর অন্তর খান।
দ্বিতীয় দিন দু’ঘণ্টা অন্তর খান।

প্রতিদিন অন্তত দু’বার হলুদ-মধু খেলে উল্লিখিত রোগগুলির থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই মিশ্রণ অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যৌবন ধরে রাখতে যা খাবেন

যৌবন ধরে রাখতে আমরা কত কিছুই না অনুসরণ করি। অথচ এমন কিছু খাবার আছে যা নিয়ম করে খেলে আপনার যৌবন থাকবে অটুট।

জেনে নিন সেসব খাবারের কিছু তথ্য:

ডিম : ডিম সিদ্ধ হোক কিংবা ভাজি, সব ভাবেই ডিম শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

মধু : মধুর রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। সকালে খালি পেটে জিহ্বা দ্বারা মধু চেটে খেলে কফ দূর হয়, পাকস্থলী পরিস্কার হয়, দেহের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়, গ্রন্থ খুলে দেয়, পাকস্থলী স্বাভাবিক হয়ে যায়, মস্তিস্ক শক্তি লাভ করে, স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে, যতি শক্তি বৃদ্ধি হয়, মূত্রথলির পাথর দূর করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়, গ্যাস নির্গত হয় ও ক্ষুধা বাড়ায়। প্যারালাইসিসের জন্যও মধু উপকারী। মধু হাজারো রকম ফুল ও দানার নির্যাস। দুনিয়ার সকল গবেষকগণ একত্রিত হয়ে এমন নির্যাস প্রস্তুত করতে চাইলেও কখনো বানাতে পারবে কিনা এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

দুধ : শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং যৌবন ধরে রাখতে দুধের ভূমিকা অতুলনীয়। বিশেষ করে ছাগলের দুধ পুরুষের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভুমিকা রাখে। এর রহস্য হলো এই যে, দুধ রতিশক্তি সৃষ্টি করে দেহের শুস্কতা দূর করে এবং দ্রুত হজম হয়ে খাদ্যের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়, বীর্য সৃষ্টি করে, চেহারায় লাল বর্ণ তৈরী করে, দেহের অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং মস্তিস্ক শক্তিশালী করে।
বাদাম ও বিভিন্ন বীজ : কুমড়ার বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে। সেক্স হরমোনগুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

চিনি ছাড়া চা : প্রতিদিন দুধ-চিনি ছাড়া চা পান করলে শরীরে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। চা ব্রেইন কে সচল করে, রক্ত চলাচল বাড়ায় ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত তিন থেকে ৫ কাপ পর্যন্ত চিনি ছাড়া সবুজ চা বা রঙ চা খেলে শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং শরীরের ওজন কিছুটা হলেও কমে যায়।

রঙিন ফল : শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কলা, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের মেডিকেল টিমের গবেষণা অনুযায়ী একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। আবার টেক্সাসের A&M ইউনিভার্সিটির মতে তরমুজ শরীরে শারীরিক উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। তারা যৌন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন।

রসুন : এতে রোগ নিরাময় হয়। রসুনে অনেক উপকারিতা রয়েছে। রসুন ফোড়া ভালো করে, ঋতুস্রাব চালু করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক করে, পাকস্থলী থেকে গ্যাস নির্গত করে, নিস্তেজ লোকদের মধ্যে শারীরিক ক্ষমতা সৃষ্টি করে, বীর্য বৃদ্ধি করে, গরম স্বভাব লোকদের বীর্য গাঢ় করে, পাকস্থলী ও গ্রন্থর ব্যাথার উপকার সাধন এ্যাজমা এবং কাঁপুনি রোগেও উপকার সাধন করে। তবে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অধিক রসুন ব্যবহার ক্ষতিকর। এই রসুনকে আবে হায়াত বলেও আখ্যা দেয়া হয়।

তৈলাক্ত মাছ : তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ শারীরিক জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড DHA O EPA শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং গ্রোথ হরমোনের নিঃসরন হয়। ফলে শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

পালং শাক ও অন্যান্য সবজি : পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। জাপানের গবেষকদের মতে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়লে শারীরিক উদ্দীপনাও বাড়ে। পালং শাক ও অন্যান্য বিভিন্ন রকম শাক, ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি এগুলোতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন বি সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো সুস্থ শারীরিক জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শীতে সুস্থ থাকতে করণীয়

হাড় কাঁপানো শীত না এলেও প্রকৃতিজুড়ে বইছে হিমেল হাওয়া। এ সময় ত্বক ও চুলের রুক্ষতা, শুষ্কতাসহ নানারকম অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। কিন্তু সুস্থ সবল থাকা আমাদের সবারই কাম্য। কেননা কর্মজীবনের স্বাভাবিক কাজ কর্ম চালিয়ে যেতে সুস্থ থাকা অতি জরুরি। তাই শীতে নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। এজন্য কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে।

১. শীতে বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই হাতে গ্লাভস পরে বের হবেন। কারণ শরীরের তাপগুলো হাতের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তাই হাতের গ্লাভস শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করবে।

২. শীতকালে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা যায় খুব সহজেই। তাই আপনাদের মধ্যে যারা খুব রোগা আছেন তারা বেশি করে খাবার খান।
তবে যারা মোটা তারা অবশ্যই এই সময় খাবারটা ডায়েট করে খাবেন। কারণ আপনি অতিরিক্ত মোটা হয়ে যেতে পারেন।

৩. এই সময় সকালে বা দুপুরে কাজে বের হওয়ার সময় সান’স ক্রিম মেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ শীতকালে সূর্য পৃথিবীর অনেক কাছে চলে আসে। আর তাই এই সময় ৮০ শতাংশ ক্ষতিকারক রে আমাদের স্কিনের ক্ষতি করতে পারে।

৪. আমরা অনেকেই মনে করি যে শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাড়ির বাইরে বের হলে আমাদের শরীর হয়ত খারাপ করবে। তবে আপনি জানেন কি? ঠান্ডাতে আমাদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার অনেক বেড়ে যায় ফলে শরীর খারাপ হবার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।

৫. শীতকালে আমাদের পানি তেষ্টা খুব কম পায়। তাই গরমকালের তুলনায় শীতকালে পানি খাওয়ার পরিমাণ অনেক কমে যায়। কিন্তু শরীর ঠিক রাখতে গেলে আমাদের প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ২ লিটার পানি খাওয়া আবশ্যক। না খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া কিডনির সমস্যা, হজমের সমস্যা প্রভৃতিও দেখা দেয়। তাই পানি তেষ্টা না পেলেও কিছু সময়ের ব্যবধানে বেশি করে পান খান। এতে দেখবেন শীতকালে শরীরের কোনও সমস্যাই দেখতে পাওয়া যাবে না।

৬. শীতকালে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে আমরা অনেক গরম জামা পরি। কিন্তু প্রয়োজনের থেকে বেশি গরম জামা পরার ফলে আমাদের শরীরের ভেতরে ঘাম হয়ে যায়। যার জন্য ঠান্ডার লাগার সমস্যাও দেখা দেয়। তাই বেশি গরম জামা না পরে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচতে যেটুকু দরকার সেইটুকু পরাই উচিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শাকিব-অপুর কি আদৌ বিয়ে হয়েছে?

ঢালিউডের জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান-অপু বিশ্বাসের বিয়ে ও ডিভোর্স নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে মিডিয়া পাড়ায় রীতমত তোলপাড় চলছে। দু’জনের দেওয়া তথ্যে গড়মিল থাকায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে তাদের বিয়ের বিষয়টি।

বিয়ের তারিখ, কাবিনের টাকার পরিমাণ, সাংসারিক বিষয় নিয়ে দু’জনের দেয়া তথ্যে মিল না থাকা ও ডিভোর্সের সময় শাকিব খান কাবিননামা দিতে না পারায় তাদের দু’জনের আদৌ বিয়ে হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন এখন অনেকের মুখেই।

অন্যদিকে, শাকিব-অপুর ডিভোর্স ঝড় শেষ না হতেই নতুন করে শুরু হয়েছে তাদের দেনমোহর বিতর্ক।

শাকিব আর তার আইনজীবী বলছেন, কাবিননামায় দেনমোহর হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ৭ লাখ ১ টাকা। আর অপুর দাবি, ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। শাকিবের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপু নতুন করে জালিয়াতির আশ্রয় নিতে যাচ্ছে। ৭ লাখ ১ টাকাকে সে উল্টে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা বানাতে চাইছে। দেনমোহর যদি ১ কোটি টাকাও হয় এরপর ভাঙা টাকা হিসেবে ৭ লাখ টাকা কেমন করে হবে। নিশ্চয়ই একটি রাউন্ড ফিগার হওয়ার কথা। তার এই জালিয়াতির অপরাধে তাকে আইনগতভাবে শাস্তি পেতে হবে।

অপু বলছেন, যদিও আমার কাছে কাবিননামার কোনো কপি নেই, তারপরও মনে পড়ছে কাবিননামায় ১ কোটি ৭ লাখ টাকাই উল্লেখ ছিল। আমাকে ডিভোর্স দিলে এই অঙ্কের টাকাই দিতে হবে।

শাকিব খান এ কথা শুনে হেসে উঠে বলেন, আমি আর কোনো ঝামেলার মধ্যে নেই। আইনই সব দেখবে।

শাকিব খান বলেন, সংসার জীবন নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। তারপরও যখন বিষয়টি ঘোলাটে হচ্ছে তাই বলব, যার সঙ্গে মতের মিল হয় না, তার সঙ্গে কখনো এক ছাদের নিচে বসবাস করা যায় না।

অনেক কষ্ট সহ্য করে ৯ বছর সংসার করেছি। এখন আমার একটি সন্তান আছে। তার সামনে যদি খুনসুটি লেগেই থাকে তাহলে তার মন-মানসিকতার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

জয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবেই সেপারেশনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। বিষয়টি পৃথিবীতে আমার ক্ষেত্রে প্রথম নয়। সচেতন মানুষরা সব সময় সন্তানের ভালোর চিন্তা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়। আমিও তাই নিয়েছি। যখন মনের মিল হচ্ছে না তখন দূরত্ব বজায় রেখে চললেও কারও সমস্যায় আমি তো হাত গুটিয়ে বসে থাকব না। আমি চাই, আমার ছেলে দেখুক তার বাবা ভালো ভালো কাজ করে যাচ্ছে। এ নিয়ে তার মধ্যে গর্ব কাজ করুক। আমার প্রত্যাশা, জয় ডিজনি ওয়ার্ল্ডসহ বিশ্বসেরা স্থানগুলোতে বিচরণ করুক। দুঃখ, কষ্ট আর অভাব তাকে যেন ছুঁতে না পারে সে চেষ্টাই করে যাব। তাকে আমার চেয়েও উন্নত স্থানে দেখতে চাই। শাকিবের কাছে প্রশ্ন ছিল আপনার নতুন জীবন কেমন হবে?

আত্মপ্রত্যয়ী এই শীর্ষনায়ক বলেন, জীবন তো মানুষের একটাই। সবাইকে একদিন পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়। মানুষ বেঁচে থাকে কাজের মাধ্যমে। আমি আরও উন্নত কাজ করে যেতে চাই। বলিউডের ছবিতেও কাজ করার কথা ছিল। ব্যস্ততা আর নানা ঝামেলায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এখন তো আমি বাংলাদেশ আর কলকাতা দুই দেশের ছবিতেই কাজ করছি।

এবার বলিউডের ছবিতেও অভিনয় করব। নিজেকে প্রয়োজেনে হলিউড পর্যন্ত ছড়িয়ে দেব। এটি ব্যক্তি শাকিবের জন্য নয়, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের জন্যই আমার এই চিন্তা-চেতনা। বিশ্ব আবারও দেখুক এবং জানুক বাঙালি জাতি সাহসী এবং বীরের জাতি। তারা সব সময় শ্রেষ্ঠত্ব এবং বিজয় অর্জন করতে জানে। আমাদের দেশ ক্রিকেট দিয়ে যদি বিশ্বে আলাদা এবং গর্বের পরিচিতি অর্জন করতে পারে, তাহলে চলচ্চিত্র দিয়ে কেন পারবে না।

চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আমাদের সেই সোনালি অতীত তো রয়েছেই। সেই ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে জীবনবাজি রেখে লড়ে যাব। এখন ব্যক্তিজীবন বলে আর কিছু নেই। চলচ্চিত্র জীবনই সব। চলচ্চিত্র আর সন্তান জয়ের সমৃদ্ধির জন্যই শুধু ভূমিকা রেখে যাব। অন্য কিছু নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest