তালায় গৌরবের একুশ থেকে রক্তাক্ত ‘৭১’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন

মীর জাকির হোসেন, তালা: উপজেলার জেঠুয়া বাজার কপোতাক্ষ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত গৌরবের একুশ থেকে রক্তাক্ত “৭১” স্মরনিকার ২য় বর্ষ’র ২য় সংখ্যার মোড়ক আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে- স্থানীয় সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরনিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

আইডিয়াল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (আইডো) এর সহযোগীতায়, কপোতাক্ষ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কপোতাক্ষ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ’র সভাপতি ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপীর সভাপতিত্বে ও জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ রামপ্রসাদ দাশ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, তালা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু, তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মীর জাকির হোসেন, খেশরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাজিব হোসেন রাজু, তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সরদার জাকির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সরদার মশিয়ার রহমান প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুর রশিদ, আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যাপক এম.এ গফ্ফার, অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মো. হাফিজুর রহমান, জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতা মীর জিল্লুর রহমান, কপোতাক্ষ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ’র সম্পাদক জি.এম. নজরুল ইসলাম, কবি তপন পাল ও আওয়ামীলীগ নেতা কার্তিক চন্দ্র প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয় পরে সংশ্লিষ্ট স্মরনিকার মোড়ক উন্মোচন শেষে উক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাতে এই উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অসহায় রেহেনাকে পুনর্বাসন করলেন পুলিশ সুপার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জর্জ কোর্ট সংলগ্ন এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে বেড়ানো প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক রেহেনা খাতুনকে চা-পানের দোকান করে দিয়ে পুনর্বাসন করলেন পুলিশ সুপার। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় দোকানটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তিনি।
সাংবাদিক আকরামুল ইসলামের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা বঙ্গবন্ধু যুব আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি, কোর্টের এপিপি তামিম আহম্মেদ সোহাগ, দৈনিক সাতক্ষীরার সম্পাদক ও একাত্তর টিভির রিপোর্টার বরুণ ব্যানার্জী।
এ সময় সাতক্ষীরার নবাগত পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আমি প্রত্যাশা করি চা-পানের দোকানটির মধ্য দিয়ে অসহায় রেহেনা খাতুন ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।
চা-পানের দোকানটি উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক তানভীর আহম্মেদ চৌধুরী, সাতক্ষীরা জর্জ কোর্টের আইনজীবী. মনিরউদ্দীন, সবুজ, জিয়া, হুমায়ুন কবির, সাইদুজ্জামান জিকু, সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক শাহিদুর রহমান, অমিত কুমার, খলিলুর রহমান, আবু সাঈদসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
এ সময় উপস্থিত সকলে সাতক্ষীরার নবাগত পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানকে অসহায় প্রতিবন্ধীকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা সদরের বিনেরপোতা এলাকার প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক রেহেনা খাতুনের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে ফেসবুকে প্রচারণা চালানোর পর তার পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মানবতাবিরোধী অপরাধ: খুলনার ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় খুলনার ডুমুরিয়া থানার শেখ আবদুর রহিমসহ (৬৮) ১১ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে এই সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।

৫৬তম প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান সাংবাদিকদের জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, অগ্নিসংযোগসহ ৬টি অভিযোগ আছে। ১৯৭১ সালে তাদের লোমহর্ষক অপরাধের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে ৭৩০ পাতার প্রতিবেদনে।’

তদন্ত সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তা সানাউল হক বলেন, ‘প্রতিবেদনটি প্রস্তুত। আজই এটি প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

মামলার অন্য ১০ আসামি হলেন শামসুর রহমান (৮২), ওমর আলী ফকির (৭০), জাহান আলী বিশ্বাস (৬৭), মো. আক্কাস সরদার (৬৮), নাজের আলী ফকির (৬৫), মো. শাহাজাহান সরদার (৭৫), আবদুল করিম শেখ (৬৫), আবু বক্কার সরদার (৬৭), মো. রওশন গাজী (৭২), মো. সোহরাব হোসেন সরদার (৬২)।

আসামিদের মধ্যে আব্দুর রহিম ও শামসুর রহমান গাজী ওরফে মেজো ভাই বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বাকিরা বর্তমানে রাজনীতি করেন না।

১১ আসামির মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওমর আলী ফকির (৭০) ও  মো. আক্কাস সরদার (৬৮) এখনও পলাতক বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তা সানাউল হক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘ভাগ্যবান’ ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিতে দিন অস্ট্রেলিয়ার

অ্যাশেজের নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। দুই ম্যাচ হাতে রেখে অস্ট্রেলিয়া ‘ছাইদানি’ পুনরুদ্ধার করলেও উত্তেজনা কিন্তু একটুও কমেনি। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের চতুর্থ টেস্ট উপভোগ করতে ৮৮ হাজার দর্শক এসেছিলেন মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। তাদের হতাশ করেননি ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ। একজনের ‘সৌভাগ্যে’ পাওয়া সেঞ্চুরি, অন্যজনের হাফসেঞ্চুরিতে প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৩ উইকেটে ২৪৪ রান তাদের।

মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। ক্যামেরন ব্যানক্রফটের সঙ্গে ১২২ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার। ৯৫ বলে ২৬ রানে ক্রিস ওকসের এলবিডাব্লিউ হন ব্যানক্রফট।

কিছুক্ষণ পর সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরী হয় মাঠে, যখন ওয়ার্নারের রান ৯৯। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা টম কুরানের বলে শর্ট-আর্ম পুল করতে গিয়ে সরাসরি মিড অনে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ক্যাচ দেন অসি ওপেনার। ততক্ষণে ক্রিজ ছেড়ে সাজঘরের পথে হতবিহ্বল ওয়ার্নার এবং কুরান তার প্রথম উইকেট নেওয়ায় সতীর্থদের অভিনন্দনে সিক্ত। কিন্তু আম্পায়ার টিভি রিপ্লেতে দেখতে পেলেন ‘ওভারস্টেপ’ করেছেন ইংলিশ পেসার। নো বল ডেকে ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে আনা হয়।

সৌভাগ্যবান ওয়ার্নার তার ২১তম টেস্ট সেঞ্চুরি পেতে খুব বেশি দেরী করেননি। ১৩০ বলে ১৩ চার ও ১ ছয়ে ১০০ রান করেন তিনি। সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি অসি ওপেনার। ১০৩ রানে তিনি জেমস অ্যান্ডারসনের শিকার হন।

অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথকে বেশিক্ষণ সময় দিতে পারেননি উসমান খাজা (১৭)। তৃতীয় উইকেট হারানোর পর ৩১.৫ ওভার শক্ত প্রতিরোধ গড়ে দিন শেষ করেছেন স্মিথ ও শন মার্শ। ৮৪ রানের অপরাজিত জুটিটি নামবে দ্বিতীয় দিন সকালে। স্মিথ ৬৫ ও মার্শ ৩১ রানে অপরাজিত আছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক কে শুভেচ্ছা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ায় আহছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলুসহ সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজব দুনিয়া; চেয়ারে বসলেই মৃত্যু!

কখনো কখনো নিরপরাধ কোনো কিছু হয়ে উঠতে পারে অভিশাপ কিংবা ভয়ঙ্কর কোনো কারণ। আবার সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা বা অভিশাপ অতি সাধারণ একটি জিনিসকেও রাতারাতি নিয়ে আসতে পারে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এমনই এক নিরীহ গাছের বস্তু হচ্ছে একটি সাধারণ চেয়ার। কয়েকশ বছরের পুরনো এই চেয়ারটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক রহস্যময় মৃত্যুর নির্মম ইতিহাস।

চেয়ারকে সবাই আরামের প্রতীক হিসেবে জানে। কিন্তু সেই আরামের প্রতীক যদি হয়ে ওঠে মৃত্যুর কারণ- তাহলে বিষয়টি অস্বাভাবিকই হওয়ার কথা। কিন্তু চেয়ার অব ডেথ বা মৃত্যু চেয়ারের গল্প যেন অস্বাভাবিকতাকেও হার মানায়।

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে কুখ্যাত এই চেয়ারটি রয়েছে ইংল্যান্ডের উত্তর ইয়র্কশায়ারের বাসবি স্টুপ ইন [Busby Stoop Inn] নামে এক সরাইখানায়। কেবল এই চেয়ারটির কারণেই জায়গাটি সমগ্র ইংল্যান্ডের মানুষের কাছে এক রহস্যময় স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অবশ্য চেয়ারটির অভিশপ্ত ইতিহাসের সঙ্গেও এই সরাইখানাটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

মূল ঘটনাটি বেশ পুরনো। সেই ১৭০২ সালের কথা। সে বছর থমাস বাসবি নামে একজন অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড হয়। অপরাধী যত ভয়ঙ্করই হোক না কেন, মৃত্যু দণ্ডাদেশ কার্যকর করার আগে তার শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়ার নিয়ম সেই তখন থেকেই প্রচলিত ছিল। আর তাই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে থমাসের মৃত্যু দণ্ডাদেশ কার্যকর করার আগে তার শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে থমাস এক অদ্ভুত আবদার করে বসে। সে অতিপ্রিয় পানশালাতে গিয়ে নিজের প্রিয় চেয়ারে বসে জীবনের শেষ খাবার খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। ফলে থমাসের শেষ ইচ্ছা পূরণের ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। খাবার শেষ করে চেয়ারটি ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় থমাস। এরপর বক্তৃতার ঢঙে বলে ওঠে ‘সবাইকে সাবধান করে দিচ্ছি। এটা আমার প্রিয় চেয়ার। আমি আর কখনো এটাতে বসার সুযোগ পাব না। তাই বলে দিচ্ছি, এই চেয়ারে যে বসবে সে হঠাৎ করেই মারা যাবে।’ ঘটনাটি পানশালার সবাইকে ভড়কে দিয়েছিল। এরপরের ২০০ বছর পার হয়ে গেলেও চেয়ারটি সেই পানশালাতেই রয়ে যায়। কিন্তু কেউ সেটিতে বসত না।

কিন্তু তাহলে এটি অভিশপ্ত হলো কী করে? ইতিহাস সে-ই রেখেছে বলেই কিন্তু চেয়ারটির নাম দেওয়া হয়েছে মৃত্যু চেয়ার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একজন বৈমানিক সেই পানশালাতে এসে অভিশপ্ত চেয়ারে বসলেন। সে দিন তার কিছু হলো না। তবে এরপর তিনি আর যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেননি। এর বাইরে আরো ক’জন সৈন্য এই চেয়ারে বসেছিলেন। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এদের কেউই কখনো জীবিত ফিরে আসেননি। ১৯৬৭ সালে ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীর দুইজন পাইলট ওই চেয়ারে বসেছিলেন। খাবার-দাবার শেষে পানশালা থেকে বের হয়েই তারা এক ট্রাক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। আর সেই দুর্ঘটনায় দু’জনই মারা যান। এসব ঘটনার পর এই চেয়ারটির দুর্নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

লোকমুখে গল্পটি বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। তবে যথারীতি এমন অভিশাপে বিশ্বাস করেন না এমন লোকেরও অভাব ছিল না। ১৯৭০ সালে একজন স্থপতি এই চেয়ারে বসে অভিশাপকে ভুল প্রমাণের চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিশাপকে ভুল প্রমাণের আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

যেদিন চেয়ারটায় বসেছিলেন, ঠিক সেদিন বিকালেই এক গর্তে পড়ে মারা যান ওই স্থপতি। এরপর আরেক ছাদ ঢালাইকারী ওই চেয়ারে বসেন। তিনিও এখানে বসার পর অভিশাপের বিষয়টি রীতিমতো হেসে উড়িয়ে দেন। এই লোকটি ছাদ থেকে পড়ে যান এবং মৃত্যুবরণ করেন। আরেকজন মহিলা এই চেয়ারে বসার পর মস্তিষ্কের টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মারা পড়েন। এভাবে সত্যি সত্যি এই চেয়ারের সঙ্গে আকস্মিক মৃত্যুর যোগসাজেশের অদ্ভুতুড়ে উদাহরণ দিন দিন বাড়তেই থাকল। শুধু তাই নয়, এত বছর ধরে অনেকেই মৃত থমাসকে পানশালায় ঘুরে বেড়াতে দেখেছে বলে দাবি করেছে। ক্রমাগত এসব ভয়াবহ ঘটনা দেখে পানশালার কর্তৃপক্ষ এই চেয়ারটি ওখানকার বেসমেন্টে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

কিন্তু যে লোকটি এই চেয়ার বহন করছিল, সে ওই বেসমেন্টে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য চেয়ারের উপর বসে পড়ে। সে দিনই লোকটি এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায়। ১৯৭২ সালে অভিশপ্ত এই চেয়ারটি স্থানীয় জাদুঘরে দিয়ে দেওয়া হয়। এখনো সেখানেই রয়েছে এটি। চেয়ারটি মাটি থেকে পাঁচ ফুট উপরে ঝুলিয়ে রেখে প্রদর্শন করা হচ্ছে, যাতে সেটিতে কেউ বসতে না পারে।

চেয়ারের অভিশাপের বিষয়টিকে অনেকেই হয়তো মানতে চাইবেন না। কিন্তু থমাসের ঘটনাটি মিথ্যা নয়। ইতিহাস বলছে, এই চেয়ারে বসা মানুষগুলোর করুণ পরিণতিও মিথ্যা নয়। তাহলে কী সত্যি চেয়ারটি অভিশপ্ত?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যানসার প্রতিরোধে কলা

কলার রয়েছে যেমন এর স্বাদ, তেমনই পুষ্টিগুণ। আসুন দেখে নেওয়া যাক কী কী কারণে নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত।

কলা মানসিক চাপ কমায়। মনটাকেও সতেজ করে তোলে।

রাতের ক্লান্তি দিনেও কাটেনি। ঘুম কম হয়েছে। কলা হতে পারে আপনার ক্লান্তির সমাধান।

কলায় রয়েছে ভিটামিন বি৬। যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখেত সাহায্য করে।

কলার মধ্যে আছে ফাইবার। ফাইবার পাচন ক্ষমতা বাড়ায়।

কলায় রয়েছে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। তাই নিয়মিত কলা খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।

নিয়ম করে রোজ কলা খেলে ত্বকের জেল্লা বাড়বে। রেহাই মিলবে জেদি ব্রণ ও অ্যাকনের হাত থেকে।

কলা ক্যানসারের প্রতিরোধেও মহৌষধ। তাই নিয়মিত কলা খেলে মারণ রোগটিকেও দূরে রাখা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

অনেকের কাছেই সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়াটা ভীষণ অস্বাস্থ্যকর মনে হতে পারে। কিন্তু খালি পেটে রসুন খাওয়া দেহের জন্য ভীষণ স্বাস্থ্যকর একটি ব্যাপার।

খালি পেটে রসুন খেলে এমন কিছু উপকার হয়, যেটা অন্য খাবারের সাথে রান্না করা অবস্থায় খেলে হয় না। এটি শুধু বিভিন্ন ধরণের রোগ দূরই করে না, পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপের শিকার তারা দেখেছেন, রসুন খাওয়ার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ উপশম হয়। রসুন খাওয়ার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পায়।

শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে : অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করে।

প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক : গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর মতো কাজ করে। সকালে নাস্তার পূর্বে রসুন খেলে এটি আরও কার্যকরীভাবে কাজ করে। তখন রসুন খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং রসুনের ক্ষমতার কাছে তারা নতিস্বীকার করে। তখন শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াসমূহ আর রক্ষা পায় না।

যক্ষ্মা প্রতিরোধক : আপনার যদি যক্ষ্মা বা টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে পারেন। এতে আপনার যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সহায়তা পাবেন।

অন্ত্রের জন্য ভাল : খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে। এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। এটা হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এটি স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম। স্ট্রেস বা চাপের কারনে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় পরতে হয়। তাই, খালি পেটে রসুন খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এ সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

শ্বসন : রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুন এ সকল রোগ আরোগ্যের মাধ্যমে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।

সতর্কবার্তা
যাদের রসুন খাওয়ার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা রয়েছে বা হয় তারা অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এছাড়া যাদের রসুন খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোন সমস্যা দেখা যায় তাদের জন্য কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভাল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest