সর্বশেষ সংবাদ-
পণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনের মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের বিবৃতিসাতক্ষীরায় গৃহবধু গণধর্ষণের মামলার আসামী গ্রেপ্তারআশাশুনি বাজারের পাশে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনে উদ্বিগ্ন: ইউএনওর পরিদর্শণসাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় ৩৩ জনের জামিনসাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরাভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণ

ঢাকায় হাথুরুসিংহে, বৈঠকে বসছেন বিসিবির সঙ্গে

শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার দায়িত্বই নিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’ শুক্রবার তার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার আনুষ্ঠানিক চুক্তির খবর ছেপেছিল। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে তার পদত্যাগ কিংবা চুক্তির যে বিষয়গুলো ছিল, তা ‘ক্লিয়ার’ হয়নি এখনও। এ নিয়ে কথা বলতে শনিবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছেছেন হাথুরুসিংহে। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, হোটেল রেডিসনে দুপুর সাড়ে ১২টায় শ্রীলঙ্কান এই কোচ বৈঠকে বসবেন বিসিবির সঙ্গে।

পদত্যাগপত্র দেওয়ার পর এবারই প্রথম বাংলাদেশে পা রেখেছেন হাথুরুসিংহে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষ করে তিনি চলে গিয়েছিলেন তার বাসস্থান অস্ট্রেলিয়ায়। এর মাঝেই বিসিবির কাছে পদত্যাগপত্র দেন তিনি। বাংলাদেশে আবার যখন আসছেন, তখন তিনি শ্রীলঙ্কার কোচ। অথচ বাংলাদেশের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের বক্তব্য অনুযায়ী, পদত্যাগপত্র দেওয়ার পর থেকে হাথুরুসিংহের সঙ্গে কথা হয়নি তাদের। তার মানে, বিসিবির সঙ্গে চুক্তির বিষয়গুলো ‘ক্লিয়ার’ না করেই তিনি চুক্তি সেরে ফেলেছেন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে।

ঢাকায় এবার আসার উদ্দেশ্য হাথুরুসিংহের তাই বিসিবির কাছ থেকে ‘ক্লিয়ারেন্স’ নেওয়ার। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের সঙ্গে পদত্যাগের কারণ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন তিনি হোটেল রেডিসনে। বৈঠক শেষে হয়তো সংবাদমাধ্যমের সামনেও দায়িত্ব ছাড়ার আসল কারণ তুলে ধরবেন হাথুরুসিংহে।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে ঝামেলায় শ্রীলঙ্কার কোচ দায়িত্ব ছাড়তে পারেন, এমন একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নাজমুল হাসান। তবে আসলেই কী ঘটেছিল, সেটা পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে আজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শনি ও রবিবার সারাদেশে বৃষ্টি ঝরবে

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে সারা দেশে শনি ও রবিবার থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে সোমবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে উঠতে পারে।

ঢাকা আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ রুহুল আমিন বিষয়টি জানিয়ে বলেন, এখন যে শীত অনুভূত হচ্ছে সেটি মূলত বৃষ্টির কারণে। তবে নিম্নচাপ সরে গেলে মধ্য ডিসেম্বরের পর থেকে এমনিতেই শীতের প্রকোপ একটু বাড়বে।

এ দিকে মধ্য পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পশ্চিম এলাকায় গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জল্পনা বাড়িয়ে ইতালিতে আনুশকাদের পারিবারিক পুরোহিত

ইতালিতে কি বিয়ে করতেই গেছন বলিউ অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। এমন জল্পনায় গতকাল শুক্রবার দিনভর সরগম ছিল বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। সেই জল্পনা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিলেন আনুশকাদের পারিবারিক পুরোহিত।

খবর অনুযায়ী, আনুশকাদের পারিবারিক পুরোহিত মহারাজ অনন্ত বাবা আনুশকার পরিবারের সঙ্গে শুক্রবার ইতালি গিয়েছেন। অন্য দিকে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে পরিবারসহ ইতালি উড়ে গিয়েছেন বিরাটও। পুরোহিতকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ায় এই জুটির বিয়ের জল্পনা আরও দৃঢ় হচ্ছে।

চলতি বছরের গোড়ায় উত্তরাখণ্ডে অনন্ত বাবা-র সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিরাট-আনুশকা। তখনও তাদের বিয়ের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিতে।

শোনা যাচ্ছে, ৯ ডিসেম্বর থেকেই বিরাট-আনুশকার প্রি-ওয়েডিং পার্টি শুরু হবে। এরপর ১১ বা ১২ ডিসেম্বর হবে আসল বিয়ের অনুষ্ঠান। যদিও আনুশকার মুখপাত্র দিন দু’য়েক আগেই বিয়ের খবরকে গুজব বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের হামলায় ১৫ শান্তিরক্ষী নিহত

আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের হামলায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের ১৫ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৫৩ জন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রুয়ান্ডা ও উগান্ডা সীমান্তে দেশটির পূর্বাঞ্চলে নর্থ কিভু প্রদেশে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর এই হামলাকে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম হামলা বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।

এদিকে, গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস কঙ্গোতে শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা বলে উল্লেখ করেছেন। এই হামলায় কঙ্গোর নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত পাঁচ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

কঙ্গোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলের এই হামলায় শান্তিরক্ষী বাহিনীর ১৫ সদস্য নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন অন্তত ৫৩ জন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মিশনের কমকর্তাদের ধারণা দেশটির বিদ্রোহী গ্রুপ এই হামলা চালিয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, কঙ্গোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য যারা কাজ করছে তাঁদের ওপর এই কাপুরুষোচিত হামলা চালানো হয়েছে।

এটিকে জঘন্যতম হামলা উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে এন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘শান্তিরক্ষীদের ওপর এ ধরনের হামলা অপ্রত্যাশিত এবং এটা যুদ্ধাপরাধ গঠনের শামিল। আমি কঙ্গো কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।’

কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মামান সিদিকৌ বলেছেন, এই হামলায় জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে শান্তিরক্ষা মিশন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শনিবার ঢাকায় আসছেন হাথুরুসিংহে!

বাংলাদেশের ক্রিকেটে হাথুরুসিংহে অধ্যায় শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে। গত অক্টোবরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। যদিও হঠাৎ দায়িত্ব ছাড়ার কারণ জানাননি টাইগারদের সাবেক কোচ।

বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে ঢাকায় আসতে পারেন হাথুরুসিংহে। দুপুর দুইটায় বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা। বৈঠকে পদত্যাগ সহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে হাথুরুসিংহের চুক্তির মেয়াদ ছিল। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন কোচের পদ থেকে। শুক্রবার শ্রীলঙ্কা দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন হাথুরুসিংহে। ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’ জানিয়েছে, ২০ ডিসেম্বর ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে শ্রীলঙ্কা অধ্যায় শুরু করবেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ।

হাথুরুসিংহে পদত্যাগ করার পর নতুন কোচের সন্ধানে নেমেছে বিসিবি। এরই মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক কোচ রিচার্ড পাইবাসের সাক্ষাৎকার নিয়েছে বিসিবি। শনিবার রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের সাবেক কোচ ফিল সিমন্সের আসার কথা।

সিমন্স আসার আগেই অবশ্য কোচিং স্টাফদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিসিবি প্রধান। সেখানে তিন দলের অধিনায়ক মাশরাফি-মুশফিক-সাকিব সহ ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন থাকবেন বলে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে। ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসেল আর ফিজিও মারিও ভিল্লাভারায়েনের থাকার কথা ওই বৈঠকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত ২, আহত অন্তত ২৫০

বিক্ষোভ-সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিম তীর। জেরুজালেমকে ইসরায়েলি রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনী বলপ্রয়োগ করলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। শুধু গাজা উপত্যকাতেই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত দুইজন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫০ জন।

জুমা’র নামাজের পর জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের বাইরে এবং গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভে অংশ নেন হাজার হাজার মুসল্লি। পশ্চিম তীরের হেবরন, বেথেলহেম, রামাল্লাসহ পুরো ফিলিস্তিনজুড়েই এমন বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এসব বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনী বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলি বাহিনীর কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেটের জবাবে পাল্টা পাথর নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা। ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ-বিক্ষোভ ঠেকাতে পশ্চিম তীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ইসরায়েল।

রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয় বিপুল সংখ্যক মানুষ। এ সময় তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুতুল দাহ করেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে নিক্ষেপ করা একটি রকেট ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বিস্ফোরিত হয়েছে। জবাবে ইসরায়েলি ট্যাংক ও বিমান থেকে গাজায় হামলা চালানো হয়েছে।

তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে একটি মসজিদের বাইরে সমবেত হন তিন হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী। এ সময় তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলবিরোধী নানা স্লোগান দেন। রাজধানী আঙ্কারাসহ তুরস্কের অন্যান্য শহরেও ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হাজার হাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন। ফিলিস্তিনিদের একটি শরণার্থী শিবিরের কাছের রাস্তায় পাঁচ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী জড়ো হন।

ইরান, জর্ডান, মিসর, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় মার্কিন দূতাবাস এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

জেরুজালেমকে রক্ষার নতুন ইন্তিফাদার ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাস।

এদিকে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির খবর বেশি সময় ধরে প্রচার না করতে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতি নির্দেশ দিয়েছে সৌদি রয়েল কোর্ট। দেশটির রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রের সম্পাদকদের কাছে এ সংক্রান্ত নোটিস পাঠানো হয়েছে। জর্ডানে অবস্থিত সৌদি আরব ও ইসরায়েলের দূতাবাস থেকে দেশ দুইটির নাগরিকদের ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জর্ডানে আয়োজিত কোনও বিক্ষোভে অংশ না নিতে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে, মিডল ইস্ট মনিটর, ইন্ডিপেনডেন্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পটলের পুষ্টিগুণ

পটল ভাজা হোক কিংবা পটলের ঝোল। অথবা দই পটল। এসব খেতে তো দারুণ লাগে। কিন্তু জানেন কি? পটল খাওয়া শরীরের পক্ষে কতটা ভালো?

১. পটলে ফাইবার থাকে যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা সমাধানে এবং লিভারের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করে।

২. পটলের বীজ এমন একটি স্বাস্থ্যকর বীজ যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এবং মল নির্গমনে সাহায্য করে।

৩. পটলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য নিশ্চিন্তে পটলের তরকারি খেতে পারেন। এটি পেট ভরা রাখতে ও খিদে কমাতে সাহায্য করে।

৪. পটলের আরেকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হচ্ছে এটি রক্তকে পরিশোধিত করে। এর ফলে ত্বকের যত্নেও এই সবুজ সবজিটি ভালো কাজ করে।

৫. পটলের ছোট গোলাকার বীচিগুলো কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগারের মাত্রা প্রাকৃতিকভাবে কমাতে সাহায্য করে।

৬. আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ঠাণ্ডা, জ্বর ও গলা ব্যথা কমতে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয় পটল।

৭. পটলে ভিটামিন এ ও সি থাকে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে ত্বকের জন্য উপকারী। ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিস্তার রোধ করে বয়সের ছাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে পটল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনাই আওয়ামীলীগের ট্রাম্প কার্ড

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই ‘ট্রাম্প কার্ড’ হিসেবে দেখছেন দলটির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী। গত নয় বছরে উন্নয়ন সাফল্য ও ব্যক্তিগত ইমেজে শেখ হাসিনা এখনো সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতার শীর্ষে। দল ও সরকার সবকিছুই এককভাবে সামাল দিয়ে চলেছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুগোপযোগী নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি, প্রার্থী মনোনয়নে চমক সৃষ্টি করে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে টানা তৃতীয় মেয়াদে দলকে ক্ষমতায় আনতে সক্ষম হবেন বলে মনে করেন দলটির নেতারা। সূত্রমতে, বিশ্বের শীর্ষ নেতৃত্বের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান আরও আগে থেকেই। তবে কেবল নেতৃত্বেই নয়, ৭০০ কোটি মানুষের এই বিশ্বের উন্নয়ন কোন পথে, সেই ভাবনা ও দর্শনের দিক থেকেও তিনি এখন বিশ্বনেতাদের কাতারে। সম্প্রতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি সমর্থন বাড়ছে বিশ্বনেতাদের। তাই আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তি ইমেজ সামনে রাখবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

দলটির নেতারা জানিয়েছেন, দুই শতাধিক সংসদীয় আসনে গ্রুপিং, নেতাদের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-লড়াই এখন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। নেতার সঙ্গে কর্মীর, উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে এমপি-মন্ত্রীদের দূরত্ব বেড়েই চলেছে। আপাতদৃষ্টিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ।

কিছু কিছু এমপি নিজ এলাকায় এতটাই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন যে, তারা মনোনয়ন পেলে প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার পথ সুগম হবে। আবার এমপিদের ‘বিশেষ লীগ’ বাহিনীর অত্যাচারে দলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও অতিষ্ঠ। সে কারণে তারা পরিবর্তন চায়। মনোনয়নযুদ্ধ নিয়ে শুরু হওয়া দ্বন্দ্ব আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন তৃণমূল  আওয়ামী লীগের নেতারা। সে কারণে মনোনয়ন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসার মতো প্রার্থী নির্বাচনে একমাত্র শেখ হাসিনাই শেষ ভরসা বলে মনে করছেন তারা। কারণ, সারা দেশে প্রতিটি আসনের বর্তমান এমপি ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে সর্বশেষ রিপোর্টটিও প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তিনি নিজে নজর রাখছেন এমপিদের কার্যকলাপের দিকে। ইতিমধ্যে যারা বিতর্কিত হয়েছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে যারা মনোনয়ন পাবেন না তাদের ডেকে সতর্ক করার পাশাপাশি কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে।দল ও সরকারের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলকে ক্ষমতায় আনতে নির্বাচনী ইশতেহার থেকে শুরু করে মনোনয়নেও চমক দেখাবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য বিতর্কিত ও জনবিচ্ছিন্ন এমপিদের এবার মনোনয়ন দেবেন না দলীয়-প্রধান। নির্বাচনী এলাকায় সর্বজনগ্রাহ্য ও দলীয় রাজনীতিতে অতীতের ভালো রেকর্ডধারীকে বেছে নেওয়া হবে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় থাকছে নতুনত্ব। আবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েও যারা পরপর দুবার হেরেছেন এবার সেসব প্রার্থীর কপাল পুড়বে। ওইসব পরাজিত প্রার্থীকে বাদ দিয়ে নতুন মুখ খোঁজা হচ্ছে। দলটির নেতারা বলছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে— এটা নিশ্চিত। সে কারণে বিএনপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়ে আসার মতো প্রার্থীই দেওয়া হবে। অন্যদিকে নির্বাচনী ইশতেহারে থাকছে নতুনত্ব। ভিশন ২০৪১ স্বাপ্নিক মহাপরিকল্পনার কথা জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সড়ক ও সেতু, যানজট নিরসনে নতুন নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হবে। অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির বিষয়ে থাকবে নতুন ঘোষণা। ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধ করতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকছে নির্বাচনী ইশতেহারে। শিক্ষা খাত নিয়ে থাকবে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। রোহিঙ্গা ও পার্বত্যাঞ্চলের জন্য থাকছে আলাদা ঘোষণা। নারীদের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি আগামীতে কী করণীয় তা থাকছে নির্বাচনী ইশতেহারে। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দেশ গড়ে তুলতে তরুণ প্রজন্মের জন্যও থাকছে নতুন ভিশন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা-গোমতী ও কাঁচপুর ব্রিজ করার কথাও রাখা হবে সেখানে। নির্বাচনের এক বছর বাকি থাকলেও এই সময়ের মধ্যে মেট্রোরেলের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে দৃশ্যমান করা হবে। এই এক বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ দৃশ্যমান করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক নিয়ে আমলাতান্ত্রিক যেসব জটিলতা রয়েছে, সেগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসন করে কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে। এ ছাড়া যেসব বড় প্রকল্পের কাজের গতি কমে গেছে সেগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়নের হাওয়া বইছে, তা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলেই ২০৪১ সালের আগেই উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। অতীতের মতো আগামীতেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে বলে গত বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীনতার সপক্ষের রাজনীতি করে, জনগণের কল্যাণে কাজ করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়, আমরা চাই তারাই ক্ষমতায় আসুক। কোনো যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী, দুর্নীতিবাজ, বিদেশে অর্থ পাচারকারী, জঙ্গিবাদ সৃষ্টিকারী খুনিদের দল ক্ষমতায় এলে দেশ আবারও ধ্বংস হয়ে যাবে। যারা বর্তমান উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে পারবে, দেশকে আর পেছনের দিকে টানবে না, আমরা চাই তারাই নির্বাচিত হবে। দেশের জনগণও এটাই চায়। তাই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, বর্তমান উন্নয়ন ও সফলতার গতিধারা অব্যাহত রাখতে দেশের জনগণ আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে। আগামীতে আমরা আরও নতুন নতুন আসনে বিজয়ী হব বলেই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রচারে প্রাধান্য পাবে সরকারের দুই মেয়াদের উন্নয়ন সাফল্য। বিদ্যুৎ খাতে ২০০৯ সালে কী অবস্থান ছিল, আর এখন কোন অবস্থান তা জানানো হবে। দেশের মহাসড়কগুলোর উন্নয়ন বিপ্লব, ঢাকা-চট্টগ্রামের ফ্লাইওভার, কৃষি খাতে বিশাল অর্জন, খাদ্য উৎপাদন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ও উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, শিক্ষা খাতে উন্নয়ন, অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সাধারণ মানুষের কাছে প্রচারণায় নামবে ক্ষমতাসীন দল। জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় সমাবেশের পাশাপাশি ডিজিটাল প্রচার-প্রচারণার ওপর জোর দেওয়া হবে। জানা যায়, দল ও সরকারে শেখ হাসিনার ইমেজই আওয়ামী লীগের মূল ভরসা। কারণ, বর্তমানে সারা দেশে ২০০ আসনে আওয়ামী লীগ লড়ছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। দলের নবাগতরা নিজেদের স্বার্থে দলের গ্রুপিং বাড়িয়েছেন। সবকিছুকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেই নির্বাচনী পরিকল্পনা নিচ্ছেন শেখ হাসিনা। টানা ৩৬ বছরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দায়িত্ব পালনকালে শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের ব্যাপারে যেমন দরদি, তেমন কঠোর। অন্যায় করলে কাউকে চুল পরিমাণ ছাড় দেন না। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এমপি-মন্ত্রীদের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বারান্দায় দৌড়াতে হয়েছে। আবার জেলে যেতে হয়েছে কয়েকজন এমপিকেও। এমন নজির অতীতে কমই রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, করিৎকর্মা ও ডায়নামিক লিডারশিপ শেখ হাসিনার একক গুণাবলির কারণেই দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে টেনে তোলেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপিবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠান করে শেখ হাসিনা এখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। শুধু ক্ষমতায়ই নয়, দিন দিন তিনি তার নেতৃত্ব দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে করে তুলছেন বিশ্বময়। উল্টো দিকে ঘরোয়া রাজনীতিতে কোণঠাসা হচ্ছে বিএনপি। গত নয় বছরে শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে যে উন্নয়ন করেছে, ’৭৫-এর পর গত ২৮ বছরে অন্য কোনো সরকার তা করতে পারেনি। কারণ, ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি ঘণ্টা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। কিন্তু ২০১৩ সালে তথাকথিত গণতন্ত্রের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য শুরু করলে শেখ হাসিনার কৌশলে ধরাশায়ী হয় সরকারবিরোধীরা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের এক বছর পর আবার বিএনপি-জামায়াত দেশে নাশকতা শুরু করে। শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে শূন্য হাতে ঘরে ফেরে বিএনপি। বিরোধী দলকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা, সাংগঠনিক ও দেশের উন্নয়নের খোঁজখবর প্রধানমন্ত্রী যেমন রাখেন, সে তুলনায় দলের নেতারা শিশু।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest