সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্ন

স্ত্রীর উপস্থিতিতেই কলগার্ল নিয়ে ফুর্তি করতেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক ওহিদুজ্জামান!

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী মোছা. জান্নাত আরা ফেরদৌস। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি। জান্নাত আরা ফেরদৌস যশোর সরকারি এমএম কলেজের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ খুবির গণিত ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে পারিবারিক ও আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর খুলনা মহানগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় তোলা হয়। সেখানে মাস চারেক ভালোভাবে সংসার চলে। তারপর শুরু হয় অশান্তি। তার রুক্ষ ও কর্কশ ব্যবহার, কৃপণতা এবং সব ব্যাপারে লুকোছাপা ভাব সত্ত্বেও আমি তার সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করি।

বিয়ের আগে তার শিক্ষক এবং এই বিয়ের প্রস্তাবক ও ঘটক খুবির গণিত বিভাগের অধ্যাপক (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) মো. শরীফ উদ্দিনের আশ্বাসে জান্নাতের মা-বাবা রাজি হন। তার আগ্রহের কারণে সব কিছু বিবেচনা করে বিয়ে হয়।

জান্নাত বলেন, এ অবস্থায় দু’মাস পর তার ছোট ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরে আমাকে নিয়ে যায়। শ্বশুরালয়ে গিয়ে আমি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হই। আমার মুদি দোকানি শ্বশুর যৌতুকলোভী। ছোট ছেলের শ্বশুর বাড়ি থেকে বিয়ের আগেই তার ঘর ফার্নিচার দিয়ে সাজিয়ে দেয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে আমার শ্বশুর বলেন, এই বউ কেন খালি হাতে এসেছে? শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যরাও নানান কটূকথা বলতে থাকে।

ওয়াহিদুজ্জামানের স্ত্রী বলেন, কোনরকম দেনা-পাওনা ছাড়াই আমার বিয়ের কথা হওয়ায় এবং তার স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশ যাওয়ার কথা থাকায় আমরা সেভাবে চিন্তাও করিনি। অপমানজনক এ পরিস্থিতি থেকে আমার মা-বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজন সেখানকার অনুষ্ঠান শেষ করে চলে আসেন।

তিনি বলেন, এরপর আমার স্বামী আমাকে গাজীপুর থেকে আমার বাবার বাড়ি যশোরে রেখে খুলনায় যায়। অনেক অনুরোধের পর আমাকে খুলনায় নিয়ে আসে। কিন্তু তার সবকিছুতে পরিবর্তন লক্ষ্য করি। আমার সঙ্গে অহেতুক কর্কশ ব্যবহার করতে থাকে। সাংসারিক প্রয়োজনে টাকা চাইলে বলে আমাকে তালাক দিয়ে দাও। আমি তোমার সঙ্গে সংসার করতে চাই না। এসব ঘটনা ঘটক অধ্যাপক শরীফ ভাইকে জানালে তিনি আমাকে সহ্য করা এবং চুপ থাকার উপদেশ দেন।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমি সন্তানসম্ভবা হই। এটা শোনার পর সে (স্বামী) ধীরে ধীরে দূরে চলে যেতে থাকে। এ অবস্থায় সে আমাকে বাবার বাড়ি অথবা শ্বশুর বাড়িতে চলে যেতে বলে। দীর্ঘ ভ্রমণে ডাক্তারের নিষেধ সত্ত্বেও শ্বশুর বাড়ির লোকজন গাজীপুর যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি যেতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমার উপর শারীরিক-মানষিক নির্যাতন চালায়।

খুবি শিক্ষকের স্ত্রী বলেন, এরপর ঈদ উপলক্ষে আমি বাবার বাড়িতে চলে যাই। ঈদ শেষে ফিরে আসার জন্য যোগাযোগ করা হলে সে এড়িয়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি ফিরে এলে সে সেপারেশনের সুবিধার্থে বাচ্চা নষ্ট করার কথা বলে। কয়েকবার বাচ্চা নষ্ট করার জন্যে আমাকে আঘাতও করে।ওয়াহিদুজ্জামান বাজারের খরচ বন্ধ করে এবং কাজের মহিলাকে বিদায় করে সংসারের সব কাজ করতে বাধ্য করেন।

জান্নাত দাবি করেন, আমি বাসায় থাকা অবস্থায় সে (ওয়াহিদুজ্জামান) এবং অধ্যাপক শরীফ মিলে কলগার্ল বাসায় এনে ফূর্তি করে। এ কারণে অধ্যাপক শরীফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত হন।

তিনি বলেন, পরিস্থিতির এরকম পর্যায়ে বাবা-মা এসে আমাকে নিয়ে যান। এরপর সে আমার কোনো খোঁজ নিত না। সন্তান প্রসবের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি হবার পর সে গেলেও বিল দিতে হয় আমার আত্মীয়দের।

খুবি শিক্ষকের স্ত্রী অভিযোগ করেন, কিছুদিন পর আমাকে সন্তানসহ গাজীপুরে নিয়ে একরকম আটকে রেখে নির্যাতন এবং যৌতুক দাবি করা হয়। পরে আমার পরীক্ষার জন্য খুলনা আসি। কিন্তু এসে প্রচণ্ড নির্যাতনের শিকার হতে হয়। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য সরাসরি ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, অস্বীকৃতি জানালে সন্তানসহ আমাকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। আমি বাবার বাড়ি যেতে বাধ্য হই। পরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তার ডিসিপ্লিন প্রধানের কাছে অভিযোগ করলে সে (স্বামী) একটি ভুয়া ডিভোর্স লেটার দেখায়। পরে আমরা আদালতে যাই। কোর্টে তার ডিভোর্স প্রমাণ না করতে পারায় আদালত আমাকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সুরক্ষা দিয়েছে। সেটা বানচাল করতে সে জজকোর্টে রিভিশন করেছে।

এই অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকার, মানবাধিকার সংস্থা, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জান্নাত আরা ফেরদৌসের বড় বোন মাহফুজা খানম, ভাই হোজায়ফা আল মাহমুদ ও শিশুপুত্র জাবির জাওয়াদ।

তবে জান্নাতের স্বামী খুবির গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যৌতুক দাবি করার অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কোনো নির্যাতন করিনি। বরং আমার উপর নির্যাতন হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি গত বছরের ২১ অক্টোবর খুলনা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। এছাড়া গত ২০ মার্চ তাকে আইনিভাবে তালাক দিয়েছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উ. কোরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি!

পরমাণু ইস্যুতে কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়ার সাথে আক্রমণাত্মক আচরণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে হুশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।

মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ল্যাভরভ বলেন, ওয়াশিংটন কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ফোনালাপ সম্পর্কে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ল্যাভরভ হুমকি-ধমকি ও নিষেধাজ্ঞা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া সংকটের সমাধান করার জন্য টিলারসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও দুই শীর্ষ কূটনীতিক এ ব্যাপারে একমত হন যে, উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র ও আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখতে সম্মত হয়েছেন তারা।

মার্কিন সরকার উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে দেশটির দু’জন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরপরই রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বলিউডে এবার ইলিয়ানার বিয়ের খবর

বলিউডে এখন চলছে আনুশকা শর্মার বিয়ের উত্তাপ। এরইমধ্যে আরও এক সুন্দরী হাজির বিয়ের খবর নিয়ে। তিনি হলেন ‘বরফি’ খ্যাত ইলিয়ানা ডি ক্রুজ। তবে এই নায়িকার বিয়ের খবরে নিশ্চিত করে কেউই কিছু বলতে পারছেন না। পুরো ব্যাপারটাই রয়েছে ধোঁয়াশায়।

আনন্দবাজার জানাচ্ছে, বড়দিন, নতুন বছর নিয়ে নানা পরিকল্পনায় ব্যস্ত বলিউড তারকারা। তার উপর এখন বিয়ে সাজো সাজো রব বি-টাউনের চারদিকে। সেই সাজেই নাকি চুপিসারে সেজেছেন ইলিয়ানা ডি ক্রুজ। প্রেমিক অ্যান্ড্রিউ নিবোনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি এমন খবর উড়ে বেড়াচ্ছে বাতাসে।

অবশ্য গুজবটা উস্কে দিয়েছেন নায়িকা নিজেই। অ্যান্ড্রিউ ও তার পরিবারের সঙ্গে ক্রিসমাস পালন করেছেন ইলিয়ানা। সে ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে ফটো ক্রেডিট দিয়েছেন ‘হাবি’ অ্যান্ড্রিউকে।

অ্যান্ড্রিউকে ‘হাবি’ বলে উল্লেখ করাতেই বি-টাউনে শুরু হয়েছে যত গুঞ্জন। তাহলে কি অ্যান্ড্রিউর সঙ্গে বিয়েটা সেরেই ফেলেছেন দক্ষিণের এই সুপারস্টার! এই উত্তরটা পেতে আপাতত ইলিয়ানার অফিসিয়ালি ঘোষণার অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সারা দেশে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু বৃহস্পতিবার

সারা দেশে চার দিনব্যাপী শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশ ও উন্নয়নে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে ‘বাংলাদেশ শিশু চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৭’। উৎসব চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পী মুস্তাফা মানোয়ার, চলচ্চিত্র সংগঠক মুনিরা মোরশেদ মুন্নি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী এবং সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক মো. বদরুল আনম ভূঁইয়া।

‘বাংলাদেশ শিশু চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৭’ উপলক্ষে গঠিত সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি সিলেকশন কমিটির সদস্যবৃন্দ উৎসবে শিশুতোষ ও শিশু নিমার্তাদের চলচ্চিত্র উভয়ক্ষেত্রে প্রদর্শনীর জন্য ৪০টি চলচ্চিত্র মনোনীত করেছেন। শিশুতোষ চলচ্চিত্র ও শিশু নির্মাতাদের চলচ্চিত্র উভয়ক্ষেত্রে পৃথকভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি পুরস্কার প্রদান করা হবে।

‘শিশুতোষ চলচ্চিত্রে’র ক্ষেত্রে ক্রেস্ট ও সনদ পত্রের পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারের অর্থমূল্য থাকবে ১ লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ৫০ হাজার টাকা ও বিশেষ জুরি পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা এবং শিশু নির্মাতাদের চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারের অর্থমূল্য থাকবে ৫০ হাজার টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ৩০ হাজার টাকা ও বিশেষ জুরি পুরস্কার ২০ হাজার টাকা। এছাড়াও উৎসবের সমাপনী দিনে উৎসবে অংশগ্রহণকৃত চলচ্চিত্রের সকল নির্মাতাদের সনদপত্র প্রদান করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে সমর্থন দিল চীন-রাশিয়া

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়াল শক্তিধর দুই রাষ্ট্র চীন এবং রাশিয়া। শুধু এই দুই দেশই নয়, আরও সাতটি রাষ্ট্রও জাতিসংঘে মিয়ানমারের পক্ষে ভোট দিয়েছে।

চলতি বছরের অাগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী তাণ্ডব শুরু করে। ওই অভিযান শুরুর পর থেকে লাখ লাখ শরণার্থী প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

এই অভিযানকে জাতিসংঘ এবং আমেরিকা জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে অভিহিত করেছে। এছাড়া এটাকে আন্তর্জাতিক আইনে মানবাধিকার বিরোধী অপরাধ বলেও জানানো হয়। ফলে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) জাতিসংঘে মিয়ানমার প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব উত্থাপন করে।

রবিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীয় হয় ওআইসি-র প্রস্তাব। যেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। ওই প্রস্তাবে মিয়ানমারে মানবিক সহায়তাকর্মীদের প্রবেশের অনুমতি দিতে দেশটির প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকল শরণার্থীকে সেখানে নিরাপদে ফিরে আসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের পাকাপাকিভাবে নাগরিকত্বের অধিকার দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়ে ১২২টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে ১০টি। চীন ও রাশিয়া ছাড়াও কম্বোডিয়া, লাওস, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, বেলারুশ, সিরিয়া ও জিম্বাবুয়ে প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেয়। ২৮টি দেশ ভোট দান থেকে বিরত ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেদ কমাতে যেসব ফল খাবেন

শরীরের ওজন কমাতে কতজন কতকিছুই না করে থাকেন। শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে কেউ কেউ খাওয়া-দাওয়াই কমিয়ে দিয়েছেন। মেনে চলছেন অনেক বিধি-নিষেধ। তারপরও কমছে না ওজন। তবে প্রতিদিনের খাবার সম্পর্কে একটু সচেতন থাকলেই শরীরে বাড়তি মেদ জমবে না। দ্রুত শরীরের ওজন কমাতে ফলের বিকল্প নেই। নিচে ওজন কমাতে সহায়ক ৭টি ফল নিয়ে আলোচনা করা হলো :

আপেল : আপেলের পেকটিন ফাইবার পেট ভরানোর পাশাপাশি দেহে মেদের পরিমাণও কমাবে। ভারী খাবার খাওয়ার আগে আপেল খাওয়া তাই উপকারী।

তরমুজ : তরমুজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। দিনে একটা তরমুজ খিদে কমিয়ে দেওয়ার সঙ্গে মেদ জমতেও দেবে না।

লেবু : লেবুতে আছে ভিটামিন সি ও সাইট্রিক অ্যাসিড। যা ওবেসিটির পরিমাণ কমায়।

নারকেল : নারকেল যকৃতের বিপাক হার বাড়িয়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে প্রকারান্তরে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন।

বেদানা : বেদানা দেহে লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনের হার কমায়। খিদের হার কমায়।

পেঁপে : পেঁপে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। রক্তে শর্করা ওবেসিটির লক্ষণ।

কমলালেবু : কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে পানি, ভিটামিন ও ফাইবার থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোগ প্রতিরোধে আখের রসের গুণাগুণ

সাধারণত আখের রসকে প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিঙ্ক বলা হয়। আখের রস খাওয়া শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। এর থেকে মেলে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফ্ল্যাভোনয়েড। যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

চিকিৎসকরা জন্ডিস আক্রান্ত রোগীদের আখের রস খাওয়ার কথা বলেন। কারণ, আখের রস লিভারে সংক্রমণ হওয়া রক্ষা করে এবং বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, আখের রস প্রকৃতিগতভাবে ডাইইউরেটিক। ফলে কিডনি ভাল রাখতেও এর জুড়ি নেই।

রূপচর্চাতেও আখের রসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আখের রসের সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগালে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রণ উধাও। এছাড়া আখে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো উচ্চমাত্রার খনিজ থাকার জন্য এর রস দাঁতের ক্ষয় রোধ করে ৷ তাই চকচকে দুধ সাদা দাঁত পেতে হলে প্রতিদিন এক গ্লাস আখের রস অবশ্যই মেনুতে রাখুন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘুষর সৌদি স্টাইল; ৪৮ হাজার কোটি টাকা দিলে মুক্তি মিলবে প্রিন্স ওয়ালিদের!

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র। ত্যাগের ধর্মের নামে রাষ্ট্র চালালেও ভোগ-বিলাসিতায় বিশ্বব্যাপী পরিচিত দেশটির শাসক পরিবার। কথা হচ্ছে সৌদি আরবের। ঘুষ ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও দেশটির ক্রাউন প্রিন্স সালমন মুক্তিপণ বাণিজ্য শুরু করেছেন প্রকাশ্যে। ঘুষ নিয়ে কথিত দুর্নীতির অভিযোগে আটকদের মুক্তি দিচ্ছেন তিনি।
দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন প্রিন্স ও মন্ত্রীকে কারাবন্দী করেছেন সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মেদ বিন সালমান। যেখানে রয়েছেন প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদও। আর তার মুক্তির জন্য এবার বিপুল পরিমাণ অর্থ ঘুষ চাইল কর্তৃপক্ষ। এ অর্থের পরিমাণ ৬০০ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা। যদিও এর আগে প্রিন্স মুতয়িব বিন আব্দুল্লাহ ক্রাউন প্রিন্স সালমানের কথা মতো এক বিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন।

তবে প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এ অর্থ দিতে অস্বীকার করেছেন। ওয়ালিদ বিশ্বজুড়ে যিনি ‘অ্যারাবিয়ান ওয়ারেন বাফেট’ নামে পরিচিত।

গেল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সৌদি আরব দুর্নীতির অভিযোগে যে কয়জন প্রিন্স ও মন্ত্রীকে আটক করেছে তার মধ্যে ওয়ালিদও রয়েছেন। আটকের পর থেকে বিশ্ব মিডিয়াতে তাকে নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। বর্তমানে দেশটির কারাগার ‘বিলাসবহুল রিজ কার্লটন হোটেলে’ দুই মাস ধরে বন্দি রয়েছেন ওয়ালিদ।

ওয়ালিদের মুক্তির জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি নিয়ে দেনদরবার এখনও চলছে। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে ওয়ালিদের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি অর্থ দাবি করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ওয়ালিদ অর্থের বিনিময়ে মুক্তি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তার বদলে রিয়াদের শেয়ার মার্কেটের তালিকায় থাকা কিংডোম হোল্ডিংসের একটি গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।

ওয়ালিদের জন্ম ১৯৫৫ সালের ৭ মার্চ। তিনি একাধারে সৌদি রাজ পরিবারের সদস্য, একজন ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং সমাজকর্মী।

২০০৮ সালে প্রভাবশালী ও ঐতিহ্যবাহী মার্কিন সাময়িকী টাইম বিশ্বের শীর্ষ একশ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যে তালিকা করে তাতে স্থান করে নেন তালাল বিন আবদুল আজিজ।

সৌদি রাজ পরিবারের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তালাল সৌদি আরবের প্রথম রাজা ইবনে সৌদের নাতি এবং তারপর সৌদি আরবের সিংহাসনে বসা সব রাজাদের সৎ ভাইপো। তার আর একটি পরিচয় হচ্ছে তিনি লেবাননের প্রথম প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ আল সোলহ’র ও নাতি।

তালাল রাজকীয় পরিবারের বাইরে একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি রিয়াদভিত্তিক বিনিয়োগ বিষয়ক হোল্ডিং প্রতিষ্ঠান ‘কিংডম হোল্ডিং কোম্পানি’র প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান এবং ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক।

বাণিজ্য সাময়িকী ফোর্বসের তৈরি করা বিশ্বের শীর্ষ ২ হাজার কোম্পানির তালিকাতে থাকা কিংডম হোল্ডিং কোম্পানি বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার বিনিয়োগ করেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে অর্থনৈতিক সেবা, পর্যটন, গণমাধ্যম, বিনোদন, খুচরা ব্যবসায়, কৃষি, পেট্রোক্যামিকেলস, এভিয়েশন, প্রযুক্তি এবং নির্মাণ শিল্প।

আল-ওয়ালিদ মার্কিন বহুজাতিক আর্থিক, ব্যাংকিং, বিনিয়োগ সেবা প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের সবচেয়ে বেশি ব্যক্তিগত শেয়ারের মালিক, মার্কিন গণমাধ্যম কোম্পানি টোয়েনটি ফাস্ট সেঞ্চুরি ফক্সের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শেয়ারের মালিক, প্যারিসে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল ‘ফোর সিজনস হোটেল জর্জ ভি’র মালিক এবং নিউইয়র্কে অবস্থিত অপর পাঁচ তারকা হোটেল ‘প্লাজা হোটেল’র আংশিক মালিক। তাছাড়া তালাল বিনিয়োগ করেছেন টুইটার,অ্যাপল, রুপার্টি মার্ডকের নিউজ কর্পোরেশনস এবং রাইড শেয়ারিং কোম্পানি লিফট এ।

২০১৩ সালের এক হিসেবে দেখা গেছে তালালের কোম্পানির মূলধনের বাজার মূল্য ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। তবে বর্তমানে তা আরও অনেক বেশি।

২০১৭ সালের নভেম্বরে ফোর্বস তালাল বিন আবদুল আজিজকে বিশ্বের শীর্ষ ৪৫তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ সময় তার সম্পত্তির নেট মূল্যমান ছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। টাইম ম্যাগাজিন তালাল বিন আবদুল আজিজকে ‘অ্যারাবিয়ান ওয়ারেন বাফেট’ নামে আখ্যায়িত করে।

গত বছর তালাল বিন আবদুল আজিজ ভবিষৎতে তার সম্পত্তি মানবসেবায় দান করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। একই সাথে তিনি নারী ক্ষমতায়ন ও সাংস্কৃতিক বুদ্ধি বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাওয়ারও অঙ্গীকার করেন। এতকিছুর পর তাকে কেন আটক করা হয়েছে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রিন্স তালালের প্রতিষ্ঠান কিংবা নিকটাত্মীরাও এখনও মুখ খোলেননি।

উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে কথিত দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে সৌদিতে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে রাজপরিবারের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও বড় বড় ব্যবসায়ীরা রয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest