সাতক্ষীরায় ২০১৬ সালের প্রশ্নপত্রে নেয়া হলো ২০১৭ সালের পরীক্ষা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিগত সালের হুবহু প্রশ্ন পত্রে এবারও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হলো। এবিষয়ে অবশ্য উপজেলা পরীক্ষা পরিচালনা ও সমন্বয় কমিটির দায়িত্বে অবহেলা ও অস্বচ্ছতাকেই দোষারোপ করছেন সচেতন মহল।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে সদর উপজেলার ২য় শ্রেণির পরীক্ষার গণিত প্রশ্ন কোন রকম না পাল্টে হুবহু ওই প্রশ্ন পত্রে ২০১৭ সালের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সেখানে পাল্টানো হয়েছে শুধু মাত্র গত বছরের প্রশ্নে ছিলো প্রশ্নেই উত্তর লিখতে হবে। আর এবছর উত্তর লিখতে হবে আলাদা উত্তরপত্রে।
এদিকে নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি ৭টি ক্লাস্টার থেকে ৭টি প্রশ্ন নিয়ে মডারেশন করে প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হবে। কিন্তু সদর উপজেলা উপজেলা পরীক্ষা পরিচালনা ও সমন্বয় কমিটি সে নিয়ম না মেনে গত বছরের প্রশ্নপত্রের শুধু মাত্র সাল পরিবর্তন করে গত বছরের প্রশ্নেই ১৭ ডিসেম্বর পরীক্ষা নেওয়া হয়। বিষয়টি সচেতন অভিভাবকদের নজরে আসলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অনেকেই ইতোমধ্যে উক্ত কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ও পরীক্ষা পরিচালন কমিটির সিনিয়র সদস্য সন্দীপ কুমার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ভুল হয়েছে এটা সঠিক। তবে এতে শিক্ষার্থীদের কোন ক্ষতি হয়নি। কারন গত বছর যে শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলো এবছর সে দেয়নি। কেন এমন ভুল হল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্ন মডারেট করেন শিক্ষকরা। তারা কিভাবে এভুল করলো আমরা তদন্ত করে বিষয়টি দেখবো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি-সাতক্ষীরার সংযোগ সড়কগুলোতে খানাখন্দ; পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে

মোস্তাফিজুর রহমান : আশাশুনি উপজেলাবাসীর সাতক্ষীরা জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষার মূল সড়ক সাতক্ষীরা টু আশাশুনিসহ সংযোগ সড়ক আশাশুনি টু ঘোলা এবং বুধহাটা টু দরগাহপুর খানা খন্দের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে এসকল সড়কগুলি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আশাশুনি উপজেলা বাসির সাতক্ষীরা জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল সড়ক সাতক্ষীরা টু আশাশুনি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীবাহী বাস, মাছবাহী ট্রাক, মোটর সাইকেলসহ অসংখ্য ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে থাকে। অধিক গুরুত্বের সড়কটি দিয়ে আশাশুনি উপজেলায় কর্মরত অধিকাংশ কর্মকর্তাবৃন্দ অফিসিয়াল কাজে উপজেলা থেকে জেলা শহরে যাতায়াত করে থাকেন। সড়কুটির দুলিহর বাজার এলাকার অবস্থা এতই খারাপ যে একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের কিছু কিছু যায়গায় হাঁটু পানি জমে যায়। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির অধিকাংশে অসংখ্য বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আর এসব দুর্ঘটনায় জীবনহানীর পাশাপাশি অনেককেই মেনে নিতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব জীবন। এছাড়া সড়কটি দিয়ে চলাচলরত যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে থাকাসহ সড়কটি চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আর এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কে চলাচলরত সাধারণ মানুষের।
এদিকে আশাশুনি টু ঘোলা সড়কটি সংস্কারের অভাবে যানবাহন চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংকারের অভাবে দীর্ঘ দিন জরাজীর্ণ সড়কটির বেহাল দশায় বেশিরভাগ অংশই এখন মরণ ফাঁদ। সড়কটিতে যাত্রীবাহী বাস, মিনিবাস, ট্রাক, নছিমন, করিমন, ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলসহ ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহন যাতায়ত করে থাকে। উপজেলার শ্রীউলা ও প্রতাপনগর এ দুটি ইউনিয়নের জনগনের উপজেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র সহজ এবং সটকার্ট সড়ক এটি। সড়কটি ব্যবহার করেই ব্যবসায়ীরা দক্ষিণাঞ্চলের সাদা-সোনা খ্যাত চিংড়ী মাছ সহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে থাকে। যার মাধ্যমে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব অর্জন করে। কিন্তু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির বিভিন্ন জায়গা দীর্ঘদিন থেকে খানা-খন্দকে পরিনত হয়ে আছে। ১৮ কিঃ মিঃ এ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তে পরিনত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। অপরদিকে বুধহাটা টু দরগাহপুর (বাঁকা) সড়কের করুণ অবস্থায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছে।
বুধহাটা টু দরগাহপুর সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রো, প্রাইভেট, পিকআপ, ইজিবাইক, মহেন্দ্র, নছিমন-করিমন, ব্যাটারি চালিত ভ্যান, ইঞ্জিন ভ্যান, মটর সাইকেল যাতয়াত করে থাকে। পাইকগাছা, কয়রা, তালা, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় যাতয়াতের জন্য সংক্ষিপ্ত ও সহজ পথ হিসাবে এই সড়কের ব্যবহার হচ্ছে। উপজেলার দরগাহপুর, কাদাকাটি ও কুল্য তিনটি ইউনিয়নের জনসাধারণ সড়কটি ব্যবহার করে জেলা ও উপজেলার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। খুবই ব্যস্ততম সড়ক হলেও সড়কটি এখনো অপ্রশস্ত রয়েগেছে। ফলে যানবাহনের ক্রসিং ও ওভার টেকিং রীতিমত ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া সড়কের বৃহৎ অংশ অত্যান্ত শোচনাীয় হয়ে পড়েছে। সড়কের বেশ কিছু অংশে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটির বাহাদুরপুর অংশে প্রায় অধ্য কিলোমিটার মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে একেবারে চলাচলের অনপুযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির ফুটপাতও গাড়ির চাকার চাপে মাটি বসে গিয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গুনাকরকাটিসহ কয়েকটি স্থানে খাদ এতটা বড় হয়ে গেছে যে, মাঝে মধ্যে যানবাহন আটকে গিয়ে দীর্ঘ সময় সড়ক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সড়কটি পুনঃসংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।
এদিকে হলদেপোতা থেকে গোয়ালডাংগা হয়ে আনুলিয়া সড়কটির অবস্থা মোটামুটি ভাল হলেও হলদেপোতা থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সড়কের কয়েকটি জায়গায় বিস্তর এলাকা জুড়ে রাস্তা দেবে যাওয়ায় যানবাহনের জন্য ঝুঁকিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ চায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা ০৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহর হক এমপি এ প্রতিবেদককে জানান, আশাশুনি টু ঘোলা সড়কের আশাশুনি থেকে শ্রীউলা পর্যন্ত সাড়ে চৌদ্দ কিলোমিটার, শোভনালী বিজ্রের দুই পাশের সংযোগ সড়কসহ বেশ কিছু রাস্তা সংস্কারের বরাদ্দ ইতমধ্যেই হয়ে গেছে। খুব শ্রীঘ্রই কাজ শুরু হবে। এ সড়কের যে অংশের বরাদ্দ হয়েছে ওটুকুর অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল বাকি অংশের কাজও পর্যায়ক্রমে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জাতীয় মহিলা সংস্থার উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় মহান বিজয় দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে মহিলাদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের (৬৪) জেলা অফিসে জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজুন নাহার ঝর্ণার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মিসেস রিফাত আমিন। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কর্মকর্তা মো. আনছার আলী। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন শাহানা মহিদ বুলু ও এড. ফরিদা আক্তার বানু। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় জাতীয় মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সংগীতে রবীন্দ্রভারতীতে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে সাতক্ষীরার আসিফ

এম বেলাল হোসাইন : নজরুল সংগীতে পিএইচডি করে মানুষের মনে খোরাক মেটাবে। জয় করবে মানুষের হৃদয়। ঘরে ঘরে পৌছে যাবে সুরের মোহনা। এমনি স্বপ্ন তাড়া করে বেড়ায় আসিফ নেওয়াজকে। এই আকাঙ্খা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে গান শুরু করে আসিফ। তার সুরের আকতি ধীরে ধীরে মানুষের হৃদয়ে কাড়তে শুরু করলো। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দাওয়াত পেতে লাগলো সে। একপর্যায়ে ২০১০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনেও পরিবেশিত হয়ে তার সংগীত। এছাড়াও চ্যানেল অন এ সংগীত প্রতিযোগিতায় খুলনা বিভাগ থেকে আধুনিক গানে সুরের প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করে আসিফ। কিন্তু বড় হওয়ার আকাঙ্খা যাকে সব সময় তাড়িয়ে বেড়াই সে কি আর এত অল্পতেই সন্তুষ্ঠ হতে পারেন। প্রবল ইচ্ছা সংগীতের উপর লেখা পড়া করবে। পিএইচডি লাভ করবে সে। আসিফ নেওয়াজ সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার মো. আকবর আলী, মাতা সালমা বেগমের সন্তান। তার পিতা আকবর আলী পেশায় একজন কৃষক। কৃষক পরিবারের সন্তানের পক্ষে কিভাবে এভাবনাই হতাশ হয় আসিফ।
তাতে কি? বিধাতা যার সহায় তাকে কে আটকাতে পারে। দেবদূতের মত সামনে আসলো তালা-কলারোয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও তার সহধর্মিনী প্রধান শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক কর্মী নাসরিন খান লিপি। আসিফকে ভর্তি করে দিলেন তার স্বপ্নের কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেখানে আফিস সংগীত নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে নিজের সুর বিলাতে পারে মানুষের মাঝে। সেখানেও পড়তে গিয়ে থেমে নেই আসিফ ভারতীয় কয়েকটি টিভি চ্যানেলে ইতোমধ্যে পরিবেশিত হয়েছে তার সুুমধুর কণ্ঠের সংগীত।
এদিকে তার সুরের আকুতিতে মেতে ঢাকার বিশিষ্ট কার্ডিওলোজি চিকিৎসক ডা: মোমিনুজ্জামান। আসিফ দেশে ফিরেছে জেনে তিনি চলে আসলেন সাতক্ষীরায়। তার এ সূরের শিখা ছড়িয়ে দিতে তিনিও ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহযোগিতা করেছেন আফিস নেওয়াজকে।
আসিফ সাতক্ষীরাবাসীর আশীর্বাদ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করে তার ভবিষ্যত সংগীতজ্ঞ হয়ে ওঠার পথে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সুলতানপুরে মাইক্রোবাস ভর্তি ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিচ জব্দ

আসাদুজ্জামান : ভারত থেকে অবৈধ পথে আনার সময় মাইক্রোবাস ভর্তি ১৮ গাইড থ্রি-পিচ ও থান কাপড় জব্দ করেছে বিজিবি। সোমবার ভোরে শহরের সুলতানপুর এলাকা থেকে এসব মালামাল জব্দ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার শাখরা কোমপুর সীমান্ত দিয়ে একটি চোরাচালানী চক্র অবৈধভাবে সাদা রং এর একটি মাইক্রোবাস যোগে (ঢাকা মেট্রো- চ-৫৩-০৮৭১) বিপুল পরিমান ভারতীয় ত্রি-পিচ ও থান কাপড় ঢাকায় পাচার করছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাইক্রোবাসটি ভোর সাড়ে চারটার দিকে কুলিয়া পার হওয়ার পর বাঁকাল চেকপোষ্টের হাবিলদার আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে টহলরত বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে। ভোর ছয়টার দিকে গাড়িটি শহরের সুলতানপুর ক্লাবের পাশে এসে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময় চালক ও হেলপার গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যায়। এর পরপরই বিজিবি সদস্যরা ওই গাড়ি থেকে ১৮ গাইড থ্রি-পিচ ও থান কাপড় জব্দ করে।
বিজিবি’র সাতক্ষীরা ৩৮ ব্যাটালিয়নের গণসংযোগ কর্মকর্তা সুবেদার সামছুল আলম জানান, জব্দকৃত মাইক্রোবাসসহ ১৮ গাইড কাপড় ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে নিয়ে আনা হয়েছে। তিনি আরো জানান জব্দকৃত মালামালের মূল্য আনুমানিক ২১ লাখ টাকা। তবে এসব মালামালের মালিক কে তা তারা জানাতে পারেননি।
তবে, শহরে গুঞ্জন রয়েছে এ মালামাল জেলার একজন শীর্ষ চোরাকারবারীর যিনি সম্প্রতি আবার জনপ্রতিনিধিও হয়েছেন। জেলার সমস্ত চোরাইঘাট বন্ধ থাকলেও তার চোরাই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল আসছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জামায়াত-শিবিরসহ আটক ৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে জামায়াত-শিবিরের ৮ নেতা-কর্মীসহ ৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৮ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জন, কলারোয়ায় ৬ জন, তালায় ৬ জন, কালিগঞ্জে ২ জন, শ্যামনগরে ৪ জন, আশাশুনিতে ৫ জন, দেবহাটায় ৫ জন ও পাটকেলঘাটায় ২ জনকে আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে সাতক্ষীরায় কার্যক্রম চালাচ্ছে জামাত-শিবিরের এনজিও স্টাফ

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে সাতক্ষীরায় অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে জামায়াত-শিবিরের এনজিও স্টুডেন্টস ট্যালেন্ট এ্যাসিস্টেন্স ফোরাম (স্টাফ)। যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সাতক্ষীরা জামাতের আমির মাওলানা আব্দুল খালেক ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর অঞ্চলের তৎকালীন জামাত দলীয় এমপি গাজী নজরুল এর লিখিত সুপারিশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া রাজাকার শিরোমনি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ মন্ত্রী থাকাকলীন তার মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধন পায় সাতক্ষীরার এই বিতর্কিত এনজিও স্টাফ।

শুরু থেকেই তারা নিবন্ধনের শর্ত ভেঙে লক্ষ লক্ষ টাকার কথিত বৃত্তি বাণিজ্য চালিয়ে আসছিল সাতক্ষীরার হাজার হাজার স্কুল পড়–য়া শিশুদের নিয়ে। নিবন্ধনের শর্তে স্পষ্টতই বলা আছে, সেবা প্রদানের বিনিময়ে এই সংস্থা কোন প্রকার ফিস গ্রহণ করতে পারবে না। অথচ কথিত বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য মাথাপিছু ১৫০ টাকা করে প্রত্যেক শিশু পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে গ্রহণ করে স্টাফ। বিনিময়ে এককালীন ট্যালেন্টপুলে ৬০০ ও সাধারণ গ্রেডে ৪০০ টাকা করে বৃত্তি দেয়। অর্থাৎ মাছের তেলে মাছ ভেজেও বিপুল পরিমাণ উদ্বৃত্ত পরীক্ষা কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্টরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। উপড়ি হিসেবে থাকে সমাজের বিত্তশালীদের নিকট থেকে গ্রহণ করা অনুদান। আর এই অনৈতিক কার্যক্রমে এদেরকে মদদ দেয় বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন ও সরকারি-বেসরকারি স্কুলের কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত শিক্ষকরা। ৪ দলীয় জোট সরকারের পতনের পর এরাও গিরগিটির মত রং বদলে আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের উপর ভর করতে শুরু করে। তাদেরকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি করা, পরিচালনা কমিটিতে স্থান দিয়ে সম্মানিত করাÑ ইত্যাদির মাধ্যমে তারা নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় ও অনৈতিক কার্যকলাপকে আড়াল করার চেষ্টা করে। সম্প্রতি দেশের একটি শীর্ষ ও প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা যেটিকে সরকারে চোখ ও কান বলা হয় তাদের সাতক্ষীরা অফিসের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। সংস্থাটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৩ আগস্ট’১৭ তারিখে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে ০৩.০৭৯.০১৬.০৪.০০১২.০২০১৬-৮৪৪(৩) নং স্মারকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়কে স্টাফের সকল কার্যক্রম স্থাগিত করে এর নিবন্ধন বাতিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১৬ নভেম্বর ’১৭ তারিখে ৪১.০০.০০০০.০৩৪.০০১.১৫.১৬-১১৮৮ নং স্মারকে সাতক্ষীরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়কে স্টাফ এর সকল কার্যক্রম স্থগিত করে তাদের নিবন্ধন বাতিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়। এর সূত্রে সাতক্ষীরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয় গত ৭ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে ৪১.০১.৮৭০০.০০০.২৭.০০৬.১২ নং স্মারকে স্টাফ’র চেয়ারম্যান/সেক্রেটারিকে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়।
এসব নিদের্শ উপেক্ষা করে স্টাফ কর্তৃপক্ষ সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের এজেন্ট শিক্ষকদের মাধ্যমে কথিত বৃত্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রি করেছে ১৫০টাকা হারে। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তারা এভাবে কয়েক লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছে। আগামিকাল ২০ ডিসেম্বর তারা এসব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা নেয়ায় চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে সরকারি দলের একজন মহিলা এমপিসহ অনেকেই গোপনে এই জামাত-পন্থীদের মদদ দিচ্ছেন।
সংগঠনটির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ থাকায় কারণে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ভবন বরাদ্দ না দিলেও সাতক্ষীরা নাবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক তাদেরকে কেন্দ্র করার জন্য ভবন বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বিশেষ সুবিধা পাওয়ার প্রত্যাশায় বিতর্কিত এই সংস্থাকে স্কুল ভবন ব্যবহারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্টাফ’র কথিত বৃত্তি বাণিজ্যে অংশ নেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছেন প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। অথচ বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা পাবেন শিক্ষার্থী প্রতি এককালীন মাত্র ৪০০ থেকে ৬০০ শত টাকা। যে টাকা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ফি বাবদ গ্রহণ করা হবে প্রায় সেই পরিমাণ টাকা বৃত্তি বাবদ দেয়া হবে। কিন্তু বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার নিকট থেকে পাওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান আত্মসাৎ করবে এই সংস্থার পরিচালক অথবা যাবে জামাত-শিবিরের মতাদর্শ প্রচারের ফান্ডে।
এ বিষয়ে স্টাফ’র পরিচালক শফিকুল ইসলামের (০১৭২০ ৫২৯৪১৩) সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। কি কারণে করা হয়েছে এবং কোথা থেকে করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলতে বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এবিষয়ে নবারুণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, তারা আমাকে ডিসি স্যারের একটি অনুমতি পত্র দেখিয়েছিলো। সেখানে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে করার অনুমতি ছিলো। সেখানে আমরা অনুমতি দিয়েছিলাম।
অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন বলেন, স্টাফের কার্যক্রম স্থাগিত করার নির্দেশ এসেছে। এটি আসার পরে তারা আমার কাছে এসছিলো আমি তাদের কোন অনুমতি দেই নি। তবে বালিকা বিদ্যালয়ের পরীক্ষ কেন্দ্র করার অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, সেটি অনেক আগের।
জেলা সমাজ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেবাশিষ সরদার জানান, আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়েছি এবং স্টাফ কর্তৃপক্ষকে তাদের সকল প্রকার কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছি। এরপরও তারা যদি কোন প্রকার নির্দেম অমান্য করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ যুব গেমস’র খেলোয়াড় বাছাই উদ্বোধন

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : ‘ জয় হোক জয় হোক সবখানে চাই খুশির পরিবেশ, বিশ^ জয়ের স্বপ্ন দেখা আমার বাংলাদেশ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ যুব গেমস্-২০১৮ এর খেলোয়াড় বাছাইয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের আয়োজনে এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল জেলার মধ্যে ক্রীড়াঙ্গণে সাতক্ষীরা জেলা দ্বিতীয়। বাংলাদেশ যুব গেমস্ এ সাতক্ষীরা জেলার খেলোয়াড়রা ভাল খেলা উপহার দিয়ে বিজয়ী হয়ে জেলার সুনাম ধরে রাখবে। ভালভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে এবং জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে হবে। ক্রীড়াঙ্গণকে উজ্জীবিত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ.এক.এম আনিছুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার খালিদ জাহাঙ্গীর, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম শানু, ভলিবল সম্পাদক মো. রুহুল আমিন, নির্বাহী সদস্য ইকবাল কবির খান বাপ্পি, কামরুজ্জামান কাজী, হাফিজুর রহমান খান বিটু, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের ট্রেজারার শেখ মাসুদ আলীসহ ক্রীড়াপ্রেমীরা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স। উল্লেখ্য যে, ১৮ ডিসেম্বর সোমবার থেকে ১৮ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত চলবে। বাংলাদেশ যুব গেমস্-২০১৮ এর উদ্বোধনী দিনে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে ভলিবল খেলা । ২০ ডিসেম্বর -২০১৭ কাবাডি, ২১ ডিসেম্বর এ্যাথলেটিকস্, ২২ ডিসেম্বর দাবা ও টেবিল টেনিস, ২৩ ডিসেম্বর কুস্তি ও ২৪ ডিসেম্বর তায়কোয়ানডো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest