সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মুল হোতা আলিমুদ্দীন গাজি গ্রেপ্তারদেবহাটায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনাজিয়াউর রহমান এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াজেলা জে এস ডির শোকনওয়াবেঁকীতে রাতের আধারে বাচ্চাসহ গরু জবাই : ৭ হাজার টাকা জরিমানাশ্যামনগর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভসাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসাতক্ষীরায় এসএটিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটাসাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত জব্দ হওয়া বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংসআশাশুনিতে এনসিটিবি’র অনুমোদনহীন বই বাজারজাতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অভিযোগ

শ্যামনগরে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অর্ধেক’ ভাড়া বাস্তবায়নের ঘোষনা বাস মালিক সমিতির

শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অর্ধেক বাস ভাড়া কার্যকরের ঘোষনা দিয়েছেন বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। রবিবার সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভা শেষে তারা এমন ঘোষনা দেন।

এর আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহের প্রধান, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত¡, সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বিশেষ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপি সভাপতি প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মাষ্টার আব্দুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সকল ছাত্র-ছাত্রীর পরিচয়পত্র সরবরাহের পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার না করা ও ছাত্র-ছাত্রীদের উঠানামায় সহায়তার সিদ্ধান্ত হয়।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ আমির হোসেন, প্রভাষক রাফসান ইসলাম, মাহাবুবুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক প্রেসক্লাব সভাপতি সামিউল আজম মনির,সহকারী প্রধান শিক্ষক হারুণ-অর রশিদ, আব্দুস সালাম, নজরুল ইসলাম, সাধারণ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ, রুহুল আমিন, বাস মালিক সমিতির নেতা নুরুল ইসলাম, ইসলাম গাজী প্রমুখ। এছাড়া সভায় শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের পরস্পরের সাথে সৌহার্দ্যপুর্ণ ব্যববহারের বিষয়টি আলোচায় প্রাধান্য পায়। মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্তে ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিধিসহ শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানানো জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে: রবিউল বাশার

“বিশ্বব্যাপী আলোচনা বা কর্মপরিকল্পনার মূল লক্ষ্য যুবক। তাদেরকে আদর্শচ্যূত করার জন্য চলছে নানা রকম চক্রান্ত। সে ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়া যাবেনা। হালাল-হারামের সীমা মেনে চলতে হবে। চাকরি নয়, উদ্যোক্তা হয়ে অন্যের কর্মসংস্থান করতে হবে। সমস্যায় কাতর না হয়ে যোগ্যতা অর্জন করে তা মোকাবেলা করতে হবে। দ্বীনের পথে চলাকে জীবনের প্রধান মিশন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।” বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শহর যুব বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মীদের নিয়ে শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার এসব কথা বলেন।

সাতক্ষীরা শহর যুব বিভাগের সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জিয়ারুল ইসলামের পরিচালনায় গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াত কার্যালয়ের কাযী শামসুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মী শিক্ষাশিবিরে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা যুব বিভাগের সভাপতি প্রভাষক ওমর ফারুক, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা রুহুল আমিন ও শহর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আবু হামিমসহ প্রমূখ।

প্রধান অতিথি মুহাঃ রবিউল বাশার আরো বলেন, যৌবনকাল আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যেক মানুষের অন্যতম নিয়ামত। যৌবনকালের দাবি হলো আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলা এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দেখানো পথে ও কল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত থেকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য মজবুত কদমে বলিষ্ঠতার সাথে এগিয়ে যাওয়া। এটা ঠিক যে, যুবকদেরকে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যত বাধা-বিপত্তিই আসুক না কেন, তা উপেক্ষা করে আল্লাহর গোলামিয়াতের পথে থাকতে হবে। জীবন দর্শন হিসাবে ইসলামী আদর্শ আজ বিকশিত হচ্ছে। এ আদর্শকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব যুবকদেরকেই নিতে হবে।

শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, “ইসলামী জীবনবোধে যুবকদেরকে গুরুত্বপূর্ণ আসনে স্থান দেয়া হয়েছে। নবীগণ যুবক ছিলেন। নবীগণের অধিকাংশ অনুসারীগণও ছিলেন যুবক। তাই ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুবকদেরকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।” প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাহমুদপুর আমিনিয়া আলিম মাদ্রাসায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাহমুদপুর আমিনিয়া আলিম মাদ্রাসার উদ্যোগে পবিত্র সিরাতুন্নবী (সঃ) উদযাপন উপলক্ষে সিরাত প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদপুর আমিনিয়া আলিম মাদ্রাসার এডহক কমিটির সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম রবি, মাহমুদপুর আমিনিয়া আলিম মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাহমুদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আব্দুর রকিব, ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা বদিউর রহমান, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা আজাদুল ইসলাম, মাওলানা হাফিজুল ইসলাম,

ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন, ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম, মাওলানা ফেরদৌস, প্রভাষক আসান হাবিব, প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম, রুহুল কুদ্দুস রয়েল সহ অতিথিবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বাড়ি থেকে ব্যবসায়ীর মোটরসাইকেল উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও কুশুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কাজী শরিফুল ইসলামের বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও লুটপাটে হতবাক হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবক দলের ওই নেতার নিকট থেকে ব্যবসায়ী তন্ময় মন্ডল লুট হওয়া মোটরসাইকেলটি ফেরত পেলেও এখনও উদ্ধার হয়নি লুটকৃত ৮০ লক্ষাধিক টাকার মালপত্র।

এছাড়াও কাজী শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে আরও কয়েকজনের বাড়ি ও মৎস্যঘেরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরপরই কালিগঞ্জ উপজেলা জুড়ে একশ্রেণির অতি উৎসাহী জনতা ভাংচুরসহ নানা প্রকার নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এ সুযোগে মহাসমারোহে লুটপাট ও চাঁদাবাজির মিশনে নামেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও কুশুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কুশুলিয়া পুলিন বাবুর মোড় এলাকার কাজী নবীদুল ইসলাম ওরফে নবু কাজীর ছেলে কাজী শরিফুল ইসলাম (৩৫) ও তার কিছু সহযোগী। তারা ৫ আগস্ট রাত ১১ টার দিকে সংঘবদ্ধভাবে কুশুলিয়া গ্রামে অবস্থিত লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামের মৃত বীরিঞ্চি মন্ডলের ছেলে তন্ময় মন্ডল (৪৮) এর মালিকানাধীন ‘সুদিপ্ত এন্টারপ্রাইজ’ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় তারা দোকানের সার্টার ভেঙে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মুরগির ফিড ও ৫ লক্ষ টাকার ঔষধসহ যাবতীয় মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কাজী শরিফুলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী মৌতলা ইউনিয়নের লক্ষ্মীনাথপুরে অবস্থিত ওই ব্যবসায়ীর আরেকটি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার ফিড ও বিভিন্ন মালপত্র লুট করে।

এ সময় তন্ময় মন্ডলের একটি বাজাজ ডিসকভার মোটর সাইকেলও লুট করে নিয়ে যায় তারা। লুটকৃত যাবতীয় মালামাল ও মোটর সাইকেল রাখা হয় কুশুলিয়ার পুলিন বাবু হাটখোলা সংলগ্ন কাজী শরিফুলের বাড়িতে। পরবর্তীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীরা বিষয়টি জানতে পেরে কাজী শরিফুলের বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে তন্ময় মন্ডলের ভাই বিকাশ মন্ডল ওরফে বিকাশ সাধুর কাছে ফেরত দেন। তবে অন্যান্য মালপত্র ফেরত পাননি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী তন্ময় মন্ডল।

এদিকে সুদীপ্ত এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার দুলাল চক্রবর্তী জানান, ৫ আগস্ট রাত ১১ টার দিকে তাদের দুইটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসী বাহিনী। যারা লুটপাটে জড়িত ছিল তাদের চিনতে পারলেও এই মুহূর্তে তাদের নাম বলা সম্ভব নয়। এ পর্যন্ত কোনো মালামাল উদ্ধার না হলেও লুট করে নিয়ে যাওয়া মোটর সাইকেলটি উদ্ধার হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

কুশুলিয়া গ্রামের বিএনপির এক সিনিয়র নেতা জানান, ৫ আগস্ট থেকে এখনো পর্যন্ত নিরবে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে শরিফুল ইসলাম। তার বাড়ি থেকে তন্ময় মন্ডলের মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছিল। কাজী শরিফুল ইসলামের এ ধরণের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সুনাম নষ্ট করছে বলে জানান ওই বিএনপি নেতা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কুশুলিয়ার ইউনিয়নের আহ্বায়ক কাজী শরিফুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়। সুদীপ্ত এন্টারপ্রাইজে ৫ আগস্ট লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করলেও তিনি ওই ঘটনার সাথে জড়িত নন এবং তার বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল উদ্ধার হয়নি বলে দাবি করেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কাজী আবু সাঈদ সোহেল তার সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক কাজী শরিফুল ইসলামের বাড়ি থেকে তন্ময় মন্ডলের মোটর সাইকেল উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর দলের অনেকে না বুঝে কিছু কিছু অপকর্ম করেছে। তবে যারা অপকর্মের সাথে যুক্ত হয়েছিল এবং এখনো অপকর্ম করছে তাদের অপরাধের প্রমাণ পেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় পলিদ্বারা ভরাট হওয়া খাল খনন এবং টিআরএম’র বকেয়া ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবী

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার তালায় ‘কপোতাক্ষ নদ অববাহিকার পাখিমারা বিলের পলিদ্বারা ভরাট হওয়া খাল জরুরীভাবে খনন এবং বাস্তবায়িত টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবীতে’ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় তালা প্রেসক্লাবে পাখিমারা টিআরএম বিল এলাকার অধিবাসী আয়োজনে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

পাখিমারা টিআরএম বিল কমিটির বালিয়া এলাকার সভাপতি মোঃ আব্দুল আলীম সাংবাদিক সম্মেলন লিখিত বক্তব্য বলেন, কপোতাক্ষ অববাহিকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সাতক্ষীরা তালা উপজেলাধীন পাখিমারা বিলে সরকার কর্তৃক জোয়ারাধার তথা টিআরএম কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে সমগ্র কপোতাক্ষ অববাহিকার ভুক্তভোগী মানুষ জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত হয়েছে কিন্তু আমরা পাখিমারা বিল অধিবাসীরা টিআরএম দ্বারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। টিআরএম বন্ধ হওয়ার পর ক্ষতিসমূহ এখনও অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, টিআরএম বাস্তবায়িত হওয়ার কারণে বিলের মধ্যে নিস্কাশন খালগুলো পলি দ্বারা ভরাট হয়েছে। পেরিফেরিয়াল বাঁধ সংস্কারের নামে কর্তৃপক্ষ বালিয়া কাটপয়েন্ট থেকে ১ কি,মি, দূরে সংযোগ খাল বেঁধে টিআরএম কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ফলে এই সংযোগ খাল জোয়ারের পলি দ্বারা দ্রæত ভরাট হয়ে পানি নিস্কাশনের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এখন নদী থেকে বিলের মধ্যে পানি উঠানো হলে সে পানি যেমন নামতে পারছে না তেমনি বিলের মধ্যে বর্ষার পানিও নিস্কাশিত হতে পারছে না, সমগ্র বিল এখন জলাবদ্ধ কবলিত। যার কারণে বিলে ধান চাষ, মাছ চাষ এবং সবজি উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। মানুষের জীবিকা ও ভরণ পোষণ নির্বাহের জন্য জরুরীভাবে সংযোগ খালসহ বিলের খাল খনন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয়ত ঃ বিলে যতোদিন টিআরএম বাস্তবায়িত হয়েছে সেই হিসেবে জমির মালিকরা প্রাপ্য অর্থের মাত্র ১৮% টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে, এখনও ৪৬ কোটি টাকা সরকারের কাছে বকেয়া আছে যা না পাওয়ায় এলাকাবাসীদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়েরনিকট জনগণের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোন সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত আমরা অবগত হতে পারেনি।

জনগণের দাবী : পাখিমারা বিলে পলি দ্বারা ভরাট হওয়ায় সংযোগ খাল ও অন্যান্য খালগুলো খননের জন্য জরুরীভাবে প্রকল্প গ্রহণ এবং অতিদ্রæত বাস্তবায়িত টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করা।

আব্দুল আলীম বলেন, সম্প্রতি বিল এলাকায় জরুরীভাবে পানি নিস্কাশনের জন্য ১কি,মি, খালে একটি প্রণালী সৃষ্টির জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা এবং উত্তরণ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছেন।
সংযোগ খালে প্রণালী সৃষ্টি হলে সাময়িকভাবে কিছু উপকার পাওয়া যাবে, তবে দ্রæত সময়ের মধ্যে জোয়ারের পলি দ্বারা এ প্রণালী আবারও ভরাট হবে এবং আমরা বিশ্বাস করি বিলের মধ্যের খালগুলো পূর্বাবস্থায় থাকায় জলাবদ্ধ সমস্যা থেকেই যাবে। মূলতঃ সংযোগ খাল ও ভিতরের পলি ভরাটকৃত খালগুলো পূর্ণ ডিজাইনে খননের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ জরুরী হয়ে পড়েছে।

আব্দুল আলীম বলেন, আমরা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলকে আপনাদের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আপনাদের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ পাখিমারা বিল অধিবাসীদের জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচাতে তাদেরজীবন-জীবিকা স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়ান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার মানুষ : প্রতিদিনই বাড়ছে জলাবদ্ধ এলাকার সংখ্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি :
ভাদ্রের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরাবাসি। অঝর বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ সাতক্ষীরার নতুন নতুন অঞ্চল আরও প্লাবিত হয়েছে।এদিকে,জেলার বিভিন্ন এলাকার ঘের ও ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টা সাতক্ষীরায় ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে স্বাভাবিক হতে পারে আবহাওয়া,এমনটি জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।

তিনদিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শত শত হেক্টর জমির ঘের,ফসলের ক্ষেতসহ বিভিন্ন জলাভূমি ডুবে গেছে ।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ এলাকার রিপন বিশ্বাস বলেন, বৃষ্টিতে কলেজ মাঠসহ অনেক সড়ক তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ। এমন অবস্থা যে, চলাচল করতে গিয়ে মানুষ দুর্ঘটনায় পড়ছেন। নর্দমার পানি এত নোংরা যে, পানি মাড়িয়ে রাস্তা পার হলে সঙ্গে সঙ্গে পায়ে চুলকানি শুরু হয়।
বিনেরপোতা এলাকার মামুন হোসেন বলেন, বিনেরপোতা, গোপীনাথপুর, মাগুরা, খেজুরডাঙ্গা ও তালতলা এলাকার নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। অনেকের বাড়িঘরে পানি উঠে গেছে। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। এলাকার কবরস্থান পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে রয়েছে। রাস্তাও পানির নিচে ডুবে রয়েছে। যাতায়াতে ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন মানুষ। ফসলের মাঠ ও পুকুর পানিতে একাকার হয়ে গেছে।
রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম ইমরান বলেন, এলাকায় পানি নিষ্কাশনের কোনো পথ নেই। রাস্তার ওপর পানি জমেছে। প্রতিবছরই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। অথছ দেখার কেউ নেই।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টা ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি বছরে এ জেলায় সব থেকে বেশি বৃষ্টিপাত। মঙ্গলবার বিকেল থেকে বৃষ্টিপাত কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সচিব আলী নূর খান বাবুল বলেন, সাতক্ষীরা শহর ও তার আশেপাশের প্রায় প্রায় অর্ধেক এলাকা পানিতে নিমজ্জিত। বিশেষ করে কামালনগর, পুরাতন সাতক্ষীরা, বদ্দিপুর কলোনি, ঘুড্ডিরডাঙি, রসুলপুর, পলাশপোল, ইটাগাছা,কুখরালিসহ শহরের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এমনিতেই মাসের পর মাস এসব এলাকা পানিতে ডুবে ছিল। তারপর ভাদ্র মাসের বৃষ্টি এসব এলাকার মানুষকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। রোজগার করতে না পারায় অনেকের চুলো পরযন্ত জ্বলছে না।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে যেসব এলাকায় জোয়ার-ভাটার ব্যবস্থা নেই, সেসব এলাকায় দুই থেকে তিন ফুট পরযন্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো বাঁধ বৃষ্টিপাতের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদককে হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতির গাড়ী বহরে হামলা এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকাল ৫টায় সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ নিউ মার্কেট থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুস সামাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিক,সহ অন্যরা।

বক্তারা বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির গাড়ী বহরে হামলা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। পিটিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদককেও হত্যা করেছে। বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলেও গোপালগঞ্জ স্বাধীন হয়নি। খুনি হাসিনার দোসরা গোপনে হামলা করে হত্যা যজ্ঞ চালাচ্ছেন। তারা আবারো দেশকে অশান্ত করার পায়তারা চালাচ্ছেন। অবিলম্বে ওই হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার পূর্বক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ###

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জামায়াতে ইসলামীশ্যামনগর উপজেলা শাখার যুব সমাবেশ

শ্যামনগর প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকাল সাড়ে ৯টায় শ্যামনগর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে শ্যামনগরের ১২টি ইউনিয়ন থেকে মিছিল সহকারে জামায়াত, যুব ও শিবির নেতা কর্মী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শামীম সাঈদী।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যুব বিভাগের সভাপতি সাইদ হাসান বুলবুল ও মোঃ মহসিন আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর শূরা সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি -জেলা যুব বিভাগের সভাপতি প্রভাষক মোঃ ওমর ফারুক, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাঈনুদ্দীন মাহমুদ, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী গোলাম মোস্তফা, উপজেলা জামায়াতে ইসলাম এর অন্যতম সদস্য সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক অধ্যক্ষ গোলাম বারী, শিবিরের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম, ছাত্র শিবির পশ্চিম শাখার ছাত্রনেতা আব্দুস সামাদ সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও যুব হিসাবের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন ভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের সকলে মিলে এই স্বাধীনতা কে রক্ষা করতে হবে। এদেশে মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকলেই আমরা বাংলাদেশী। সকল ভেদাভেদ ভুলে এ দেশকে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। আমাদের দ্বারা কোন মানুষের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সকলের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।
অনুষ্ঠানে বিহঙ্গ, আলোর পরশ, প্রগতি শিল্পীদের সমন্বয় গঠিত সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীবৃন্দ বিশেষ সংগীত পরিবেশন করে মুগ্ধ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest