সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মুল হোতা আলিমুদ্দীন গাজি গ্রেপ্তারদেবহাটায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনাজিয়াউর রহমান এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াজেলা জে এস ডির শোকনওয়াবেঁকীতে রাতের আধারে বাচ্চাসহ গরু জবাই : ৭ হাজার টাকা জরিমানাশ্যামনগর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভসাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসাতক্ষীরায় এসএটিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটাসাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত জব্দ হওয়া বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংসআশাশুনিতে এনসিটিবি’র অনুমোদনহীন বই বাজারজাতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অভিযোগ

দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটা উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে কমিউনিটি থেকে অপুষ্টি দুর করার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের রাইটু টু গ্রো প্রজেক্টের সহযোগীতায় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অপুষ্টি দুর করণে মূল আলোচনা রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এসএম সাখাওয়াত হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে আলোচনা রাখেন দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল, কুলিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান প্রভাষ মন্ডল, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আর.কে.বাপ্পা, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম রেজাউল করিম, প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জয়দেব কুমার পাল, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সেলিম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইদ্রিস আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ গাজী, দেবহাটা সরকারি পাইলট হাইস্কুলের শিক্ষক আশরাফুজ্জামান, ওয়ার্ল্ড ভিশনের রাইট টু গ্রো প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার তানজিমা আক্তারসহ কমিটির বিভিন্ন সদস্যরা। সভায় সকলের পুষ্টি নিশ্চিতকরনে বিভিন্ন আলোচনা করা হয়।

এসময় সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুর অপুষ্টি দূরীকরণ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাইজিন কর্ণার স্থাপন। এছাড়া শিশুদের মায়েদের সচেতন করার পাশাপাশি শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার প্রদান করার পরামর্শ প্রদান করেন বক্তরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় ৩৩ বিঘা জলমহাল বেদখল, ৪০ লক্ষ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত সরকার

তালা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের হরিহরনগর মৌজার ৩৩ বিঘা জলমহাল প্রায় সাত বছর ধরে বেদখল হয়ে আছে। এই সময়ে এই জলমহাল থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে সরকার । দয়ানি-সরিগাতি খাল জলমহাল যার দাগ নং-৯৪৪৮ ও ৯৪৮১ এবং জমির পরিমাণ যথাক্রমে প্রায় ৩ একর ৯৪ শতাংশ ও ৭ একর ২ শতাংশ।

জানা গেছে, সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দীর্ঘকাল যাবত জলমহালটি খাস খাল হিসাবে ভাল মূল্যে স্থানীয় মৎস্য চাষীদের কাছে ইজারা দিয়ে আসছে। কিন্তু ২০১৭ সালে রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে কতিপয় প্রভাবশালী লোক জাল দলিল ও কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও জনসাধারণকে বোকা বানিয়ে বৈধ ইজারাদের হটিয়ে তারা উক্ত জলমহাল দখল করে নেয়। পরে এই প্রভাবশালী চক্র ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে জলমহালটি খÐ খÐ করে লিজ (হারি) দিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা আদায় করে।
বিষয়টি নিয়ে খেশরা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের মোঃ মতলেব সরদার জানান, সরকার সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করে, যার নং-৬৯/২০১৭। দীর্ঘ শুনানি ও যাচাই-বাছাইয়ের পর কোট দলিলটি জাল হিসাবে ঘোষণা করে এবং সেটি জব্দ করে। একই সাথে আদালত জলমহালটি খাস খতিয়ান ভুক্ত করারসহ এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারি কমিশনারকে (ভুমি) নির্দেশ দেয়। কিন্তু জাল দলিলকারী চক্র বিষয়টি সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে আপীল করে। তবে উক্ত আদালতও নিন্ম আদালতের রায় বহাল রাখে।

দখলকারীরা সময় ক্ষেপণের অংশ হিসাবে হাইকোর্টে লিভ টু আপীল করে যার নং-২১০৯/২২ এবং কয়েকবার শুনানির তারিখ পেছানোর আবেদন করে। তবে এক পর্যায় উক্ত আপীলের শুনানি হলে, তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় অনুসরণের নির্দেশ দেয় (অর্ডার নং-৫৫১ অফ ২০২২)।
এসব কিছুর পরও রবিউল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে এখনও এই জলমহাল দখল অব্যাহত রেখেছে। এদিকে বহিরাগতদের ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের খালটি দীর্ঘদিন দখলে থাকার কারণে স্থানীয় কৃষকরা ফুঁসে উঠেছে।
জানা গেছে, এই জাল দলিলের মালিক রবিউল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাসিন্দা এবং নিজকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসাবে পরিচয় দিতেন।

কৃষক আব্দুল ছালাম বলেন, পূর্বে কৃষি জমির পানি নিষ্কাশন ও সেচ সুবিধা দেওয়ার শর্তে সরকার মৎস্য চাষিদের ইজারা দিত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে এই দখলকারীরা তাদের নিজেদের সম্পত্তি দাবি করে এই খাল ব্যবহার করতে কৃষকদের বাঁধা দিয়ে আসছে। ফলে আশপাশের কয়েক শত বিঘা জমি অকেজো হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বহিরাগতদের আনাগোনার কারণে স্থানীয় কৃষকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য তারা স্থানীয় প্রশাসন ও সবমহলের সহযোগিতা কামনা করেছে।

রবিউল ইসলাম, জিয়াউরসহ অনেকে জানান, খাল বা নদী কারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না এবং আমরা ছোট বেলা থেকে এই জলমহাল খাস হিসাবে জেনে এসেছি । হঠাৎ দলিল আর কাগজপত্র বের হয়েছে, বিষয়টি জেনে আমরা অবাক হয়েছি। নদী-খালখোর হাত থেকে জলমহলটি উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান তারা। তারা আরও জানান, সরকার শুধু রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে তাই নয়, দখলবাজরা যাচ্ছেতাই ভাবে জলমহালটি ব্যবহার করছে, বিশেষ করে ঘনঘন বাঁধ দেওয়ার কারণে স্থানীয় পরিবেশ ও কৃষক সমাজ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

এদিকে জলমহাল ভোগ দখলকারী রবিউল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জমি নিয়ে আমার সরকারের সাথে ঝামেলা থাকতে পারে, স্থানীয়দের সাথে নয়। স্থানীয় কোন ব্যক্তির কোন বক্তব্য থাকলে তারা জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এছাড়া মামলা বিচারাধীন আছে। আমি যদি রায় না পায় তাহলে কোনদিন জলমহাল যাব না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে সাংবাদিক শেখ আব্দুল হামিদ আর নেই

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ’ পত্রিকার কালিগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও প্রেসক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আব্দুল হামিদ (৫৮) আর নেই।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি পিতা, মাতা, স্ত্রী, ২ ছেলে, ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শেখ আব্দুল হামিদ উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের শেখ আব্দুর রশিদ ও মোছা: আছিয়া বেগমের ছেলে।

সিনিয়র সাংবাদিক শেখ আব্দুল হামিদ এর মৃত্যুতে রিপোর্টার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে গভীর শোক জ্ঞাপন, শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২০১৩ সালে ঝাউডাঙায় শিবির কর্মী হাফিজুরকে হত্যা : সাবেক এমপি মঞ্জুরুল কবিরসহ ৪৩ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপডজেলার ঝাউডাঙা বাজারে আওয়ামী সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অবরোধ ও হরতাল কর্মসুচি চলাকালে হাফিজুর রহমান নামের এক ছাত্র শিবির কর্মী ও ভ্যানচালককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙা ইউনিয়নের গোবিন্দকাটি গ্রামের সলেমান সরদার বাদি হয়ে তুজুলপুরের বহুল আলোচিত ইয়ারব হোসেন ছাড়াও ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০ জনের বিরুদ্ধে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে মঙ্গলবার এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন কুমার বড়াল মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্যতম আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক, তদন্ত ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এসএম শওকত হোসেন, জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিি অ্যাড. ওকালত হোসেন, গোবিন্দকাটি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক, ঝাউডাঙা কলেজের প্রভাষক রানা।

মামলার বিবরনে জানা যায়, সদর উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের লোকদান দফাদারের ছেলে হাফিজুর রহমান (২২) একজন শিবির কর্মী ও ভ্যানচালক। একই গ্রামের বরকতুল্লাহ এর ছেলে মামলার বাদি সলেমান সরদার নিহত হাফিজুরের ভগ্নিপতি। ২০১৩ সালে বিএনপি ও জামায়াত আওয়ামী সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিনব্যাপি অবরোধ ও হরতাল কর্মসুচি আহবান করে। এতে আওয়ামী লীগের গাত্রদাহ শুরু হয়।

একপর্যায়ে ২২ ডিসেম্বর বিকেল ৬টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম শওকত হোসেন, জজ কোর্টের পিপি কামারবায়সা গ্রামের অ্যাড. আব্দুল লতিফ ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ওকালত আলীর নেতৃত্বে সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনসহ ২ থেকে ৪৩ নং আসামী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালিন সভাপতি এসএম শওকত হোসেনের বাড়িতে গোপনে বৈঠক করে। বৈঠকে পুলিশসহ সকল আসামীরা হরতল ও অবরোধ সফল না হওয়ার পক্ষে যত রকম তৎপরতা প্রয়োজন তা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক সিদ্ধান্তটি চুড়ান্ত করে। ২৪ ডিসেম্বর সকাল সাতটা থেকে সাতক্ষীরা- নাভারন সড়কের ঝাউডাঙা বাজারে জামায়াত বিএনপি’র নেতা কর্মীরা পিকেটিং করার সময় দুই দিক থেকে ২ থেকে ৪৩ নং আসামীরা সেখানে পৌঁছায়। সকাল ৯টার দিকে তারা পিকেটারদের লক্ষ্য করে লেড বল, টিয়ারসেল, রাবার বুলেট ও সাউÐ গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনসহ ১৪ থেকে ৪৩ নং আসামীরা পিকেটারদের মারপিট করে। ইয়ারব হোসেনসহ পাঁচজন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ও সদর সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানকে মোবাইলে খবর দিয়ে বাদির শ্যালক হাফিজুরকে মারিপট করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ভিকটিম হাফিজুরকে ঝাউডাঙা বাজারের হারানের দোকানের পাশে এনে তার নাকের মধ্যে গুলি করে। গুলি মাথার খুলি ভেঙে বেরিয়ে যায়। পরে পুলিশের পিকআপে করে হাফিজুরের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেল চারটার দিকে সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে হাফিজুরের লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় মসজিদের সামনে নামাজে জানাযা শেষে হাফিজের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরের নির্দেশে থানায় গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। একপর্যায়ে পরিস্থিতি অনুকুল হওয়ায় এ মামলা দায়ের করা হলো।
মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. অমিত কুমার রায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন প্রকল্পের প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদ ও ঋণের চেক বিতরণ

আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনিতে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন প্রকল্পের ৪০ জন প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে প্রশিক্ষন উপকরণ, সনদপত্র ও ঋণের চেক বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সনদপত্র ও ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার দাশ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর অপু পরিচালক সঞ্জিত কুমার দাশ।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কাজী সুবীর হাসান, কম্পিউটার অপারেটর মোঃ শওকত আলী, ক্যাশিয়ার মিল্টন দাশ, অফিস সহায়ক রকছেন আলীসহ প্রশিক্ষনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আইন ও সলিশ কেন্দ্র (আসক) এর সাথে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিশু কল্যান বোর্ড এর সভা

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) সাতক্ষীরায় “স্টেপ আপ দি ফাইট এগেনষ্ট সেক্সচুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অব চিলড্রেন: এম্পাওয়ারিং চিলড্রেন এন্ড কমিউনিটিস্” প্রকল্পটি টেরে ডেস হোমস (টিডিএইচ), নেদারল্যান্ডস এর অর্থায়নে শিশু যৌন শোষন প্রতিরোধে শিশুদের ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের ক্ষমতায়িত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিশু কল্যান বোর্ড এর সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাল্যবিবাহ সহ বিভিন্ন শিশু নির্যাতনে শিশু কল্যান বোর্ডের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হয় এবং সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে সাতক্ষীরা সদরকে একটি শিশু নির্যাতন মুক্ত উপজেলা তৈরীতে একযোগে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যাক্ত করেন।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে শিশু কল্যান বোর্ডের অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো: তরিকুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শিশু কল্যান বোর্ডের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন আইন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. রোকনুজ্জামান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সাবেক অধ্যক্ষ ড. দিলেরা বেগম, স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, সমাজকর্মী কোহিনুর ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা,

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ন চন্দ্র মÐল,ওসিসি’র প্রোগ্রাম অফিসার মো: আব্দুল হাই সিদ্দিক, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র অফিস ইনচার্জ মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, সিডাবিøউসিএস এর মো: রুহুল আমিন, প্রমুখ। সভাপতি তার বক্তব্যে শিশু সুরক্ষায় সরকারি ও বেসকারি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহŸান জানান। তিনি শিশু সুরক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য বেসরকারি সংস্থাকে আহŸান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে একাধিক মামলার আসামী ডাবলু সহ তার বাহিনীকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনির উত্তর চাপড়ার ত্রাস সম্প্রতি জাকারিয়া হত্যা সহ একাধিক মামলার আসামী ভুমিদস্যু চেয়ার‌ম‍্যান ডাবলু সহ তার বাহিনীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি।

মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর চাপড়া রাস্তার উপর ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সাবেক মেম্বর হাফেজ রবিউল ইসলাম। উক্ত মাবন্ধনে বক্তব্য রাখেন আব্দুল্লাহ আল বাইজিদ সোহাগ, নিহত পুত্র মোস্তাহিদ হোসেন, স্ত্রী হিরা খাতুন, বোন রেবেকা খাতুন, আব্দুস সালাম সহ আরও অনেকে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন নৃশংসভাবে কুপি হত হত্যা করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক মাহববুল হক ডাবলুর সস্ত্রাসী বাহিনী। তারা জাকারিয়াকে হত্যা করে মিথ্যাচার করছে সে নাকি স্টোক করে মারা গেছে। আমারা এই হত্যা বিচার চাই। চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান এলাকাবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরা স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মচারীসহ নীরিহ মানুষের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মচারীসহ সাধারন নীরিহ মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শ্রমিকরা। মঙ্গলবার দুপুরে ভোমরা কাস্টমস অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি ও সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী এসোসিয়েশনসহ ছয়টি শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নেয়।

সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি পরিতোষ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভোমরা ইউনিয়ন জামায়াতের রোকন মাও. ওবায়দুল্লাহ, কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাদিউজ্জামান বাদশা, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্রমিক নেতা লুৎফর রহমান, ইসমাইল হোসেন, মিনা খাতুন প্রমূখ। সমগ্র অুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন।

বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে মাদক বিরোধী অভিযানে ক্রসফায়ারে নিহত হন ভোমরার লক্ষীদাঁড়ী গ্রামের আজগার আলীর ছেলে খলিল আহমেদ পুটি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়া এলাকার জনৈক জাফর আহমেদ নামের এক ব্যক্তি সম্প্রতি উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের বারবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মিলন, শ্রমিক নেতা নিজাম উদ্দীন, যুবদল নেতা হারুনার রশিদ, ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী ও ব্যবসায়ী নাজমুল আলম রিপনসহ বেশ কয়েকজন নিরীহ ও নির্দোষ মানুষের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। বক্তারা এ সময় অবিলম্বে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। দ্রæত সময়ের মধ্যে এ মামলা প্রত্যাহার করা না হলে অন্যথায় বন্দরের কার্যক্রম অচল করে দিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest