সর্বশেষ সংবাদ-
কোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনওপ্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদসাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রদল নেতার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ !জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমানের পিতার মৃত্যুখুলনার নাছিরপুর খাল উন্মুক্ত হলো: ২০ গ্রামের মানুষের উচ্ছ্বাস উল্লাস

হাসপাতাল-ক্লিনিকে টাকার জন্য লাশ জিম্মি রাখা যাবে না: হাইকোর্ট

চিকিৎসা খরচ পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে কোনো হাসপাতালে বা ক্লিনিকে মৃত ব্যক্তির লাশ জিম্মি (ধরে রাখা) করে রাখা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ নির্দেশনা অবহিত করে সকল ক্লিনিক ও হাসপাতালের প্রতি সার্কুলার জারি করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আজ এই রায় দিয়েছেন। রিট আবেদন করা আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আরো জানান, গরীব রোগীদের অপরিশোধিত সব বিল পরিশোধের জন্য স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজিকে তহবিল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১২ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একটি নবজাতক মারা যায়। হাসপাতালে নবজাতক মৃত্যুর পর লাশ দ্রুত হস্তান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। যার কারণে সিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজর টাকা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে দান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পাঁচ বছর পর আজ হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, চিকিৎসা বিল পরিশোধে ব্যর্থ হলে কোনো ক্লিনিক কিংবা হাসপাতাল লাশ জিম্মি করতে পারবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় বাসের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার তালায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবকের নাম আলমগীর হোসেন (৩০)। সে উপজেলার মুড়াকলিয়া গ্রামের ময়েজউদ্দীন শেখের পুত্র। সোমবার বিকাল ৩ টার দিকে খুলনা-পাইকগাছা সড়কের তালা উপজেলার তেঁতুলিয়ার সুকদেবপুর এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ঘাতক বাস পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
স্থানীয়রা জানান, খুলনা-পাইকগাছা সড়কের তালা উপজেলার তেঁতুলিয়ার সুকদেবপুর এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস আলমগীরকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসান হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক বাস ও চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাকা ডায়নামাইটসকে হারিয়ে শীর্ষে কুমিল্লা

বিপিএলের ২১তম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ছয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে কুমিল্লার পয়েন্ট ১০।
আর সাত ম্যাচ খেলে ৪ জয় ২ হার ও ১টি ড্রয়ে ঢাকার পয়েন্ট নয়। শোয়েব মালিকের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ঢাকার দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যটা ২ বল বাকি থাকতেই টপকে যায় ভিক্টোরিয়ানসরা। জয় পেয়েছে ৪ উইেকেটে।

কুমিল্লার হয়ে শোয়েব মালিক ৫৩ বল খেলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন। যেখানে ১টি ছক্কা ও ৪টি চারের মার ছিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসেছে টুর্নামেন্টে দারুণ ফর্মে থাকা ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে (২০)। অার ঢাকার হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির ও সুনীল নারিন, একটি করে উইকেট পেয়েছেন আবু হায়দার রনি ও সাদ্দাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এক মোটরসাইকেলে ৫৮ জনের ১২শ’ মিটার সফর !

এক মোটরসাইকেলে ৫৮ জন চড়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। রবিবার ইন্ডিয়ান আর্মি সার্ভিস কোরের টর্নেডো টিম-এর ৫৮ জন সদস্য একটি ৫০০ সিসি রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক বুলেটে একসঙ্গে চেপে ১২০০ মিটার সফর করে এ বিশ্ব রেকর্ড গড়েন৷

এর পাশাপাশি ২০১০ সালের রেকর্ড ভেঙে দিল তারা৷ ২০১০ সালে এক মোটরসাইকেলে ৫৬ জন চড়েন।

রবিবার মেজর বানি শর্মার নেতৃত্বে এই সফর শুরু হয়৷ মোটরসাইকেল চালকের আসনে ছিলেন সুবেদার রামপাল যাদব৷ টর্নেডো টিম-এর ১৯টি বিশ্ব রেকর্ড এবং রাষ্ট্রীয় রেকর্ড এর আগে থেকেই রয়েছে৷ এই টিমে মোট ৩৯ সদস্য রয়েছে৷ ২ কমিশনড অফিসার, ২ জেসিও এবং ৩৫ অন্য সদস্য রয়েছে৷ এই টিম এখনো পর্যন্ত মোট ১০০০টি শো করেছে৷

সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর সেভেন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৭ মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

৭ মার্চের ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। একই সঙ্গে ৭ মার্চের ভাষণের স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ঘোষণা চাওয়া হয়েছে।

সোমবার সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বশিরুল্লাহ।

দুপুর ২টার পর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে বিষয়টি নিয়ে শুনানির কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। ওই ঘোষণার পর গত শনিবার নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তারেকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) তৎকালীন প্রধান প্রতিবেদক মাহাথির ফারুকী ও বিশেষ প্রতিনিধি কণক সরওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে, এ মামলায় গত ২৩ অক্টোবর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে একই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।

এছাড়া মামলার অপর আসামি একুশে টেলিভিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সোমবার আদালতে হাজির থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি রাতে লন্ডন থেকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করে একুশে টেলিভিশন। ‘ইটিভিতে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল’- এ অভিযোগে ওই বছরের ৮ জানুয়ারি দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন। ওই মামলায় গত বছরের ৩ আগস্ট চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ইমদাদুল হক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে আ ‘লীগ সেক্রেটারি ও ভূমিহীন নেতাকে জবাই করে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় সলেমান গাজি (৪০) নামের একজন ভূমিহীন নেতাকে জবাই করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
পুলিশ সোমবার সকালে আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের কৈখালি গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়িবাঁধের পাশ থেকে তার মস্তক বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত সলেমান গাজি শোভনালী ইউনিয়নের ঝায়ামারী গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী গাজীর ছেলে। তিনি সেখানকার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি।
শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোনায়েম হোসেন জানান, রাতে সলেমান গাজি তার ভাগিনা আবু সালেক ও চাচাতো ভাই আবদুর রশীদের সাথে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে ক্যারম খেলেন। রাত ৯ টার দিকে তারা বাড়ি ফিরলে তার কাছে একটি টেলিফোন আসে। এ সময় তিনি আবার বাড়ি থেকে বাইরে চলে আসেন। সকালে বেড়িবাঁধের ধারে তার জবাইকৃত লাশ পাওয়া যায়।
ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, সলেমান গাজি ভূমিহীনদের একটি অংশের নেতৃত্ব দেন। তার প্রতিপক্ষ ভূমিহীন নেতা ওহাব পেয়াদার সাথে রেকর্ডীয় জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে এই হত্যাকান্ড হতে পারে বলে উল্লেখ করেন ফারুক। আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহীন জানান লাশটির মাথা বিচ্ছন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার ব্যবহৃত মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। লাশের পাশে সিগারেট প্যাকেট ও একটি গ্যাস লাইট ছিল। তিনি জানান সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তিনি জানান লাশটি পড়েছিল আশাশুনি ও কালিগঞ্জ থানার সীমানায়। দুই থানার পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
ওসি আরও জানান হত্যার কারণ এই মুহুর্তে নিশ্চিত করা যায়নি। তবে ভূমিহীনদের মধ্যে চলমান বিরোধের জেরে তিনি খুন হয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ করে ভারতে ৭০ কোটি, বাংলাদেশে ‘প্রায় নেই’

ভারতে এখনো ৭০ কোটি লোক প্রকাশ্য স্থানে বা অনিরাপদ টয়লেটে মলমূত্র ত্যাগ করে। অন্যদিবে বাংলাদেশে প্রকাশ্যে এ কাজ করা ‘প্রায় সম্পূর্ণ বিলুপ্ত’ হয়ে গেছে।

বিশ্ব টয়লেট দিবস উপলক্ষে নতুন প্রকাশ করা এক রিপোর্টে ওয়াটাএইড নামে একটি সংস্থা বলছে, একেবারে প্রাথমিক স্তরের টয়লেট সুবিধা নেই এরকম লোকের সংখ্যা ভারতে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

ভারতে ৭০ কোটি লোক এখনো প্রকাশ্যে বা অনিরাপদ টয়লেটে মলমূত্র ত্যাগ করে- যদিও গত কয়েক বছরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

‘পৃথিবীর টয়লেটের অবস্থা’ নামের এক রিপোর্টে ওয়াটারএইড একথা বলছে। নেপালে প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ করা ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে ধারণা করা হয়।

এই রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীতে এখনো প্রতি তিনজনের একজনের জন্য একটি ভালো টয়লেটে যাবার সুযোগ নেই।
মেয়েদের ঋতুস্রাবের সময় তাদের বাড়ির বাইরে টয়লেটের আরো বেশি দরকার হয়। কিন্তু ইউনেস্কোর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে- আফ্রিকায় প্রতি ১০ জনের একজন মেয়ে ঋতুস্রাবের সময়টায় স্কুলে যায় না।

ভারতে প্রকাশ্য স্থানে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হবার ঘটনাও ঘটেছে ২০১৪ সালে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৯০টি দেশে প্রাথমিক পয়প্রণালী সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রগতি এখনো ধীর।
পৃথিবীতে ৬০ কোটি লোক অন্য পরিবারের সাথে টয়লেট ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে।

ভারতে ৩৫ কোটি নারীর জন্য কোন নিরাপদ টয়লেট নেই। ইথিওপিয়ায় এ সংখ্যা ৪ কোটি ৬০ লাখ।
টয়লেটের ব্যাপারটি বিশেষ করে মেয়েদের ঘরের বাইরে চলাফেরার জন্য একটা বিরাট অসুবিধার কারণ হতে পারে এবং পৃথিবীর বহু দেশে হয়েও থাকে।

কিন্তু এমনটা কি হতে পারে যে মেয়েরা যাতে ঘরের বাইরে বেরুতে না পারে সেজন্য পরিকল্পিতভাবেই তাদের টয়লেট সুবিধা রাখা হয় না?

বিবিসির শত নারী অনুষ্ঠানমালার পক্ষ থেকে এ নিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা যাচ্ছে, অন্তত ভিক্টোরিয়ার ইংল্যান্ডে ব্যাপারটা ছিল তাই।

ব্রিস্টলের ইউনিভার্সিটি অব দি ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ড-এর অধ্যাপক ড. ক্লারা গ্রিড বলছেন, ভিক্টোরিয়ান যুগে মেয়েদের বাইরে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং তাদের প্রকাশ্যে আসতে না দেবার জন্য ইচ্ছে করেই ঘরের বাইরে তাদের জন্য কোন টয়লেট রাখা হতো না।

মেয়েদের জন্য টয়লেট তৈরি করাকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হতো। ভাবা হতো ভদ্র মেয়েদের পাবলিক টয়লেট উচিত নয়।

ড. গ্রিড বলছেন, এ কারণেই মেয়েরা দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘরের বাইরে আসতো না। সে যুগে বিভিন্ন অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিনোদনের জায়গাগুলো বানানোই হতো শুধু পুরুষদের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে।

‘মেয়েদের নানা উপায়ে টয়লেটের অভাবের সাথে মানিয়ে নিতে হতো। যেমন কম পানি খাওয়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রস্রাবের বেগ আটকে রাখা এবং ঘরের বাইরে কম সময় কাটানো’- বলছিলেন বোস্টনের ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান সেন্টার্ড ডিজাইনের মেগান আর ডুফ্রেসনে।

তবে উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে মেয়েদের ভোটাধিকারের আন্দোলন বা সাফ্রাগেট, ডিপার্টমেন্ট স্টোর এবং ক্যাফের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে মেয়েদের টয়লেট ব্যবহার অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেতে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest