সর্বশেষ সংবাদ-
শ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরসাতক্ষীরায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প সমাপনীতালায় আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারআশাশুনিতে আশা ব্রিক্সের লেলিহান শিখায় জনজীবন বিপর্যস্তসাতক্ষীরায় উন্নয়ন কাজে নিরব চাঁদাবাজী: পুলিশ পাহারায় কাজ শেষ করলো ঠিকাদারস্বাধীনতা বিরোধীদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরায় গণস্বাক্ষরদেবহাটায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে সবজি বীজ বিতরন

তালায় অবাধে চলছে নিষিদ্ধ পাখি শিকার

প্রভাষক এস, আর আওয়াল : প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হলেই সুদুর সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে আগত রংবেরঙের অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত হয় বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো। শীত মওসুম জুড়েই দেখা যায় বক, বাদিহাস, সারস, পানকৌড়িসহ অসংখ্য প্রজাতির দেশী-বিদেশী পাখি।
খাল-বিল তথা জলাশয়গুলোতে চিংড়ি, পুটি, খলসে সহ ছোট ছোট মাছ খাওয়ার লোভেই নানা প্রজাতির পরিযায়ী পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে আশ্রায় নিয়েছে তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের পাখি মারা, আমতলার বিল, খেশরার বিল, সোনা কুড়ির বিল, জেলের চক, রাজাপুর বিল, আবাদের বিল, চোরাডাঙ্গীর বিলগুলোতে। পাখিগুলো একবিল থেকে আরেক বিলে উন্মমুক্ত পাখামেলে উড়ে বেড়ানোয় প্রকৃতি সাজে অপরুপ সাজে। কিন্তু একশ্রেণীর স্বার্থান্বেশী চোরা শিকারীরা পাখির এমন অবাধ বিচরনে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। স্থানীয় চোরা পাখিশিকারীরা বন্দুক ও এয়ারগান দিয়ে নির্বিচারের এ সব অতিথি পাখি হত্যাকরছে যারা হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে শুধুমাত্র বেঁচে থাকার আশায় এদেশে এসেছে। এসব শিকারীরা বন্ধুক নিয়ে পাখি বিচরণের স্থানে ভোর রাত থেকে নৌকায় বা আড়ালে অবস্থান নেয়। প্রত্যুষে যখন পাখিরা খাবারের উদ্দেশ্যে এ সব স্থানে এসে বসে তখন চোরা শিকারীরা বন্ধুকের ছররা গুলি ছুড়ে এসব পাখি হত্যা করছে।
এছাড়া এয়ারগান দিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে উচ্চগতিসম্পন্ন টর্চলাইটের সাহায্যে গাছে গাছে বিশ্রামরত পাখিদের গুলি করে হত্যা করে। শুধু তাই নয় প্রশাসনের জানানো সত্বেও তারা সম্পূর্ণ উদাসীনতার পরিচয় দেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু বলেন-শীতের আগমনে এ সব আগত পাখি আমাদের জীববৈচিত্রের অংশ। বছরে পর বছর এ সব চোরা শিকারীরা নির্বিবিচারে পাখি শিকার করলেও এটা রোধে কার্যত কোন আইনি ব্যবস্থার প্রয়োগ হচ্ছে না। এ ভাবে পাখি শিকার বন্ধ না হলে এক সময়ে শুধু খেশরা ইউনিয়ন নয় সমগ্র বাংলাদেশে অতিথি পাখি আসা বন্ধ হয়ে যাবে।
এলাকার সুধীজন ও পাখিপ্রেমিরা চোরা শিকারীদের হাত থেকে এসব পরিযায়ী পাখিদের নির্বিবাদে হত্যা বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাইফুল্লাহ লস্কর’র মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভূমিহীন নেতা সাইফুল্লাহ লস্কর এর ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫টায় পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের সামনে জেলা ভূমিহীন সমিতি কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা জেলা ভুমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলীনুর খান বাবুলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক আবু সেলিম, শহর ভূমিহীন সমিতির আহবায়ক ফকরুল আহম্মদ খান সাগর, জেলা রিক্সা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোমিন হাওলাদার, আবুল কাশেম সরদার। উপস্থিত ছিলেন, ভূমিহীন নেত্রী শরিফা, ময়না, লায়লা, সুফিয়া, গয়লা সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, সদর উপজেলা ভূমিহীন সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাজহারুল আযম। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল ফালাহ মসজিদের পেশ ঈমাম আলহাজ্ব হাফেজ আব্দুর রব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মোমিন হত্যায় ২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন

রাজধানীর কাফরুলে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মোমিন হত্যায় ২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে নিম্ন আদালতের রায়ে ফাঁসির আরেক আসামি মারা যাওয়ায় তাকে হাইকোর্টের রায় থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাখাওয়াত হোসেন জুয়েল ও তারেক ওরফে জিয়া। অন্যদিকে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন হাবিবুর রহমান তাজ, জাফর আহমেদ, মনির হাওলাদার, বাবু, আসিফুল হক জনি ও শরিফউদ্দিন।

মামলার এজহার থেকে জানা যায়, বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধে ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর উত্তর ইব্রাহিমপুরে বাসার সামনে খুন করা হয় মোমিনকে। ওই দিনই তার বাবা আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ওসি রফিকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেরুজালেম প্রশ্নে বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ

বিতর্কিত জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে স্বীকৃতি দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

আগামীকাল শুক্রবার জেরুজালেম প্রশ্নে জরুরি বৈঠক ডেকেছে পরিষদ। বুধবার পরিষদের নেতারা বৈঠকের পর এ ঘোষণা দিয়ে জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।

এখন নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছে জাপান। দেশটি জানায়, বলিভিয়া, ব্রিটেন, মিসর, ফ্রান্স, ইতালি, সেনেগাল, সুইডেন ও উরুগুয়ে—এই আটটি দেশের অনুরোধে এ বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় (গ্রিনিচ মান সময় ১৫০০টা) শুরু হবে এ বৈঠক। বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে আরো অনেক বিষয় রয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসকে বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

বুধবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ ভাষণের মধ্য দিয়ে জেরুজালেম নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের নীতির পরিবর্তন ঘটল।

যদিও একে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর ভাষণে মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের মানে এই নয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গীকার থেকে সরে আসছে। দীর্ঘদিনের ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের অবসান ঘটাতে আমেরিকা দুই রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন জানাতে প্রস্তুত, যদি উভয়পক্ষ সেটাই চায়।’

ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমেই কেবল জেরুজালেমের বিষয়ে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে পারে। তিনি একতরফা এ ধরনের পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেন।

বলিভিয়ার রাষ্ট্রদূত সাচে সার্জিও লরেন্টি সোলিজ ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে অপরিণামদর্শী ও অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁর এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইন ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বিরোধী।

এ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ট্রাম্পের এ স্বীকৃতি ‘কেবল শান্তি প্রক্রিয়ার জন্যই হুমকি নয়, এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও চরম হুমকি।’

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সরকার এ ধরনের রণের পদক্ষেপের বিষয়ে ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস পালিত

আসাদুজ্জামান : নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ভোরে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ১০ টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মিলিত হয়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশুর সভাপতিত্বে সেখানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর আসনের এমপি মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন, নবাগত পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, জেলা আ ’লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড ম্যানেজমেন্ট টেকনোলজি খুলনার উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ, দেবহাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গণি, সদর উপজেলা কমান্ডার হাসানুল ইলাম প্রমুখ। এর পর জাতির শান্তি, অগ্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বের ১৭ মিলিয়ন শিশু বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে

এক বছরের কমবয়সী প্রায় ১৭ মিলিয়ন শিশু এমন এলাকাগুলোতে বসবাস করে যেখানে বায়ু দূষণের মাত্রা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমার চেয়ে অন্তত ছয়গুণ বেশি। যার ফলে তাদের বিষাক্ত বায়ুতে শ্বাস নিতে হয়, যা তাদের মস্তিষ্কের বিকাশকে ঝুঁকিতে ফেলে। এসব ছোট্ট শিশুর তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাস করে।

ইউনিসেফের নতুন এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ রিপোর্ট প্রকাশের পাশাপাশি বিষাক্ত বায়ু কীভাবে ছোট শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে সে বিষয়ে উত্থাপিত প্রমাণের উপর ভিত্তি করে বায়ু দূষণ কমাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেক বলেন, দূষণ শুধু শিশুর ফুসফুসের গঠনকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, এটা স্থায়ীভাবে তাদের মস্তিষ্কের বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা তাদের ভবিষ্যতকেই ক্ষতির মুখে ফেলে। বায়ু দূষণ থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখা গেলে তাতে শুধু তাদেরই উপকার নয়, সমাজও স্বাস্থ্যসেবা খরচ সাশ্রয় ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এর উপকারিতা পায় এবং প্রত্যেকের জন্য একটি নিরাপদ-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি হয়।

কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, আনুপাতিক হিসেবে দক্ষিণ এশিয়াতেই সবচেয়ে বেশি শিশু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বসবাস করে, ১২ দশমিক ২ মিলিয়ন শিশু এমন এলাকায় থাকে যেখানে বাইরের বাতাসে দূষণের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত আন্তর্জাতিক সীমার চেয়ে ছয়গুণ বেশি। পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন শিশু এমন এলাকায় থাকে যেখানে দূষণের মাত্রা নির্ধারিত সীমার ছয়গুণ ছাড়িয়ে যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবনের প্রথম সংকটময় ১,০০০ দিনে অপর্যাপ্ত পুষ্টি, উদ্দীপনা ও সহিংসতার মতো বায়ু দূষণও শিশুদের মস্তিষ্কের প্রারম্ভিক বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে শৈশবের বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রতিবেদনে সর্তক করে দিয়ে বলা হয়েছে অতিসূক্ষ্ণ দূষণ কণাগুলো এতোই ছোট যে সেগুলো রক্তপ্রবাহে ঢুকে পড়তে পারে, মস্তিষ্কে চলে যেতে পারে এবং ব্লাড-ব্রেন ব্যারিয়ারকে নষ্ট করে দিতে পারে; যা স্নায়ু প্রদাহের সৃষ্টি করতে পারে। অতিসূক্ষ্ণ ম্যাগনেটাইটের মতো কিছু দূষণ কণা ঘ্রাণজনিত স্নায়ু এবং অন্ত্রের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে এবং তাদের চৌম্বকীয় শক্তির (ম্যাগনেটিক চার্জ) কারণে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করতে পারে; যা নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের কারণ। পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বনের মতো অন্য ধরনের দূষণ কণাগুলো মস্তিষ্কের এমন অংশের ক্ষতি করতে পারে, যেসব অংশ মস্তিষ্কের কোষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে ও শিশুদের শিক্ষা এবং বিকাশের ভিত্তি রচনা করে।

এতে আরো বলা হয়, একটি ছোট্ট শিশুর মস্তিষ্ক অত্যন্ত নাজুক, কেননা প্রাপ্তবয়স্ক একজনের মস্তিষ্কের তুলনায় খুব অল্প পরিমাণে বিষাক্ত রাসায়নিকেই এটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বায়ু দূষণের ক্ষেত্রেও শিশুরা অত্যন্ত ঝুঁকিতে থাকে। কারণ তারা অনেক দ্রুত শ্বাস নেয় এবং তাদের শারীরিক প্রতিরক্ষা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণ বিকশিত থাকে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মডেলিং দুনিয়া কাঁপাচ্ছেন সাড়ে তিন ফুটের এই নারী

উচ্চতায় তিনি সাধারণ মানুষের মতো নন। খুঁত বলতে এতটুকুই। কিন্তু সেই খুঁতই এখন তার শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এখানেই তিনি অন্যদের চেয়ে আলাদা। সাড়ে তিন ফুট উচ্চতা নিয়েও তাই মডেলিং দুনিয়া কাঁপাচ্ছেন ড্রু প্রেস্টা নামের এই নারী।

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদার রেনো শহরে জন্ম ড্রু প্রেস্টার। তবে বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলসে থাকেন তিনি। ২১ বছরের ড্রু জন্ম থেকেই একোনড্রোপ্লাসিয়ার শিকার। এই রোগের কারণে প্রাপ্ত বয়ষ্ক হলেও ড্রুয়ের উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৪ ইঞ্চি।

ছোট থেকেই এই শারিরীক প্রতিবন্ধকতার কারণে নানা কটূক্তি শুনতে হয়েছে তাকে। কিন্তু কোনও বাধাই তার স্বপ্নের পথে আসতে পারেনি।

যেখানে মডেলিং দুনিয়ায় উচ্চতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেখানে সাড়ে তিন ফুটের হলেও ড্রু পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন মডেলিংকেই।
নিজের পেশার জন্যই রেনো ছেড়ে লস অ্যাঞ্জেলসে চলে আসেন ড্রু। তিনি মনে করেন জীবনের লক্ষ্যে যদি কেউ অবিচল থাকে তা হলে কোনও কিছুই তাকে আটকাতে পারবে না।বোরড পান্ডাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ড্রু বলেন, মডেল ইন্ডাস্ট্রির উচিত সকলকেই খোলা মনে গ্রহণ করা।সকলেই যেন তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে সেটা হোক হুইল চেয়ারে বসে বা স্ক্র্যাচে ভর করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্রিকেট খেললেন প্রধানমন্ত্রী

ক্রিকেট খেলায় ব্যাটিং করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ তথ্য জানার পর অনেকেই হয়তো আষাঢ়ে গল্প ভাবতে পারেন। কিন্তু সত্যি সত্যি ক্রিকেট ব্যাট হাতে নিয়ে ব্যাটিং করেছেন প্রধনামন্ত্রী। তবে তিনি মিরপুর কিংবা চট্টগ্রামের কোনো স্টেডিয়ামে খেলেননি। সত্যিকারের ব্যাট হাতে থাকলেও এ খেলা বাস্তবের ক্রিকেট খেলা নয়, এটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ক্রিকেট।

গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে বড় উৎসব ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের উদ্বোধন শেষে মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন স্টল পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রী একটি গেমসের স্টলে যান। এ গেমসের স্টলে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ক্রিকেট খেলেন শেখ হাসিনা। ক্রিকেট ব্যাট হাতে নিয়ে কয়েকটি বল মোকাবেলা করেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দেয়া এক স্ট্যাটাস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় উৎসব চার দিনব্যাপী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড শুরু হয়েছে গতকাল বুধবার থেকে। মেলা চলবে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘রেডি ফর টুমরো’। আইসিটি খাতের গত ৯ বছরের অর্জন তুলে ধরা হচ্ছে এ উৎসবে। এ ছাড়া এই মেলায় প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবন ও অর্জন তুলে ধরা হচ্ছে। গেমিং সম্মেলন, ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসা বৃদ্ধি, ই-কমার্স সম্প্রসারণ বিষয়ক সেমিনারসহ মেলায় প্রতিদিন অনুষ্ঠেয় বিভিন্ন সেমিনারে তথ্য প্রযুক্তি খাতের আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest