সর্বশেষ সংবাদ-
জলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভালাপা প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার পরামর্শ সভাসাতক্ষীরায় যৌথবাহিনির অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ তিনজন আটকসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভাসাতক্ষীরা কারা মহাপরিদর্শকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলাসাতক্ষীরায় গ্রিলের তালা ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরিসাতক্ষীরার লাবসা বাইপাস সড়কে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্টদেবহাটায় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে স্কুল শিক্ষক ও আয়া আটক কালিগঞ্জে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আটক-৩সাংবাদিক কামরুজ্জামানের শ্যালকের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শোক

যে কারণে গাজরের রস খাওয়া উচিত

গাজর শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটা রান্নার চেয়ে কাঁচা খাওয়াই উত্তম।
এজন্য কাঁচা গাজর দিয়ে সালাদ তৈরি করে খাওয়াটাই বেশি প্রচলিত। অনেকে আবার আস্ত গাজর দিব্যি খেয়ে ফেলেন। তবে গাজরের রসও কিন্তু ভীষণ উপকারী। তবে আগে জেনে নিন কেন খাবেন?

শীতকাল এসে গেছে। তাই কুয়াশা আর ঠাণ্ডায় এবার জ্বর-সর্দি কাশির আক্রমণে জর্জরিত হতে হবে অনেককে। কিন্তু একটা কাজ যদি করেন, তাহলে এই শীতেও শরীর থাকবে একেবারে চনমনে এবং রোগ মুক্ত! শুধু বাজার থেকে ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে আসতে হবে অনেক অনেক গাজর আর প্রতিদিন পান করতে হবে এক গ্লাস করে গাজরের রস। এমনটা করলে শরীর ভিতর থেকে এত শক্তিশালী হয়ে উঠবে যে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। সেই সঙ্গে মিলবে আরও অনেক উপকারিতাও।

১. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে : শরীর থেকে সব ধরনের টক্সিক উপাদান বের করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে এই উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

প্রসঙ্গত, শীতকালে নানা কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দুর্বল হয়ে যায়।

২. চোখকে সুরক্ষিত রাখে : দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশপাশি সার্বিকভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে গাজরের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এই সবজিটির ভেতরে থাকা ভিটামিন এ এবং উপকারি বিটা ক্যারোটিন চোখের ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ছানি পড়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমায়।

৩. হার্টকে সুরক্ষিত রাখে : ১০০ গ্রাম গাজরে থাকে দিনের চাহিদার প্রায় ৩৩ শতাংশ ভিটামিন এ, ৯ শতাংশ ভিটামিন সি এবং ৫ শতাংশ বি৬। সেই সঙ্গে প্রচুর মাত্রায় থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই সবকটি উপাদান হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।

৪. ত্বক ভালো রাখে : শীতকাল মানেই স্কিনের আদ্রতা হারিয়ে যাওয়া এবং সেই সঙ্গে নানাবিধ ত্বকের রোগের মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা। এমন পরিস্থিতিতে ত্বককে বাঁচাতে পারে একমাত্র গাজর। কারণ এই সবজিটির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ভেতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে বের করে দেয়। সেই সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। তবে এখানেই শেষ নয়, গাজরের অন্দরে থাকা একাধিক ভিটামিন এবং মিনারেল ড্রাই স্কিনের সমস্যা দূর করতে, কালো কালো ছোপ দাগ কমাতে এবং বলিরেখা ভ্যানিশ করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করে : গাজরে থাকা ভিটামিন এবং মিনারেল ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে ডায়াবেটিস রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ টুকু পায় না।

৬. লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায় : বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে লিভারের ভেতরে থাকা বর্জ্য পদার্থদের বের করে দিয়ে শরীরে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বাড়াতে গাজরের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।

৭. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে : বুড়ো বয়সে আর্থ্রাইটিসের মারে যদি শয্যাশায়ী হতে না চান, তাহলে এখন থেকেই গজরের রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম, হাড়ের শক্তি এতটা বাড়িয়ে দেয় যে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলায় টাইটানিকের রিমেকে দেব, গুজব বললেন রুক্মিণী

১৯৯৭ সালে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দেওয়া ‘টাইটানিক’ ছবির রিমেক হতে চলেছে এবার বাংলায়! পরিচালক রাজ চক্রবর্তীই নাকি পরিচালক জেমস ক্যামেরনের দেখানো পথে হাঁটতে চলেছেন। এমনকি নায়ক-নায়িকা হিসেবে জ্যাক ও রোজের চরিত্রে অভিনয় করবে দেব ও রুক্মিণী।
গতকাল পর্যন্ত এমনই খবর ঘুরপাক খেয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইন পোর্টালগুলোতে।

তবে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই গোটা ব্যাপারটাকেই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন রুক্মিণী। টুইটারে তিনি বলেছেন , “আমি এবং দেব কেউই রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত কোনো টাইটানিক-এ কাজ করছি না। যারা এটা ছড়িয়ে তারা অবশ্যই লোক হাসানোর জন্য করেছে। আমি সম্পূর্ণভাবে বিনোদিত হয়েছি। ”
প্রসঙ্গত, দেবের প্রেমিকা রুক্মিণী। আর যারা ওই ঘটনা রটিয়েছিল তারা অবশ্যই এই বিষয়টাও মাথায় রেখেছিল। এর ফলে খুব দ্রুত এই খবর ভাইরাল হয়ে পড়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় আওয়ামীলীগ নেতা অভির পিতার মৃত্যু

জাহাঙ্গীর আলম (লিটন) কলারোয়া : ৮ নং কেরালকাতা ইউনিয়নের আ ‘লীগনেতা ফারুক হোসেন অভির পিতা আব্দুল খালেক (৬৮) পরলোক গমণ করেছেন।
বুধবার সকালে বুকে ব্যাথা অনুভব করলে দ্রুত ভ্যানযোগে দক্ষিণ বহুড়া হতে কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে এই সময় কর্তব্যরত ডাক্তার স্বজনদের জানান, রুগির অনেক আগে মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিৎ করেন। ।মরহুম আব্দুল খালেকের স্ত্রী, ৪ পুত্র এবং ১ কন্যা রয়েছে। মরুহুমের বড় ছেলে ফারুক হোসেন অভি মালেয়াশিয়া প্রবাসী। তিনি দেশে আসলেই মরুহুমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়। মরুহুমের পরিবার সকলের নিকট তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তার অনেক গুণগ্রাহী আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের অভিযোগ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জের রতনপুরে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে দীর্ঘদিন মাছ চাষ করার করছে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন, আইয়ূব আলী শাহাজী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
সরেজমিন জানা গেছে, রতনপুর ইউনিয়নের মহিষকুড় গ্রামের জামায়াতের সক্রিয় কর্মী আফছার আলী শাহাজীর ছেলে মাদক ও চোরাচালানসহ একাধিক মামলার আসামি আইয়ূব আলী শাহাজী (৪৬)। চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকনের ঘনিষ্ঠ সহচর আইয়ূব আলী শাহাজীর নেতৃত্বে সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষের পাশাপাশি চলছে নানা অপকর্ম। মহিষকুড় থেকে নূরনগরের মানিকখালী পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার খালের মধ্যে (মহিষকুর থেকে গড়ইমহল) পযর্ন্ত ৩ কিলোমিটার খাল শাহাজীর নেতৃত্বে জবরদখল করে মাছ চাঁষ করছে ওই গ্রামের ইউসুফ শাহাজী ও ছবুর শেখ। খাল দখলের বিষয়ে আইয়ুব আলী এলাকায় প্রচার দিয়ে থাকেন তারা সরকারের থেকে বন্দবস্তো নিয়ে খাল মাটিতে ভরাট করে মাছ চাষের উপযোগী করে তুলেছে। এই খাল দখল করে নিয়েই ক্ষ্যান্ত নয় খালপাড়ে রমরমা মাদক ব্যবসার পাশাপাশি প্রায়ই সময় বসছে জুয়ার আসর। দখলবাজরা খাল দখল করে নিয়ে প্রকাশ্যে এসব অপকর্ম করলেও প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানা যায়। এই বিষয়ে আইয়ুব আলী শাহাজীর মোবাইল নাম্বারে০১৭৩২-৮২৩৬৮৫ একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করাই যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। খাল দখল করে মাছ চাষের বিষয় রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খোকনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এ সকল বিষয়ে আমি অবগত নই। খাল জোর পূর্বক দখলের বিষয় সর্ম্পকে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহম্মেদ মাছুম বলেন কেউ আমাকে খাল দখলের বিষয়ে অবগত করেনি। তবে আমি আগামিকাল রতনপুর ইউনিয়ন সহকারী কর্মকর্তা সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এদিকে অবৈধভাবে খাল দখল কারীদের উচ্ছেদ করে খাল অবমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে চোরাই পথে আসছে ভারতীয় বাগদার ডিম; ক্ষতিগ্রস্ত ঘের ব্যবসায়ীরা

শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগরে অসাধু সিন্ডিকেট চোরাই পথে ভারত থেকে বাগদার ডিম এনে পোনা উৎপাদন করে মনোপলি ব্যবসা করে থাকে। এর ফলে বাঁধাগ্রস্ত হয় সরকারি সিদ্ধান্ত, ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে ঘের ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, সরকার প্রতিবছর ২০ জুন থেকে পরবর্তী ৬৫ দিন সাগর থেকে মাদার চিংড়ি আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে যা ২০ জুলাই পর্যন্ত বহাল থাকে। সাগরে মাদার চিংড়ি আহরণ বন্ধ থাকায় দেশের সব বাগদা চিংড়ি হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদনের কাজ ২০ জুন থেকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকে। বাগদা চিংড়ি চাষিদের থেকে জানাজায়, চোরাই পথে আসা ভারতীয় ডিমে উৎপাদিত পোনা খুবই দুর্বল ও নিম্নমানের। এমনকি কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এসব পোনা ঘেরে ছাড়লে ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। চিংড়ি চাষিরা এ পোনার বাজারজাত বন্ধে পদক্ষেপ নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং চিংড়ি শিল্পকে কালো হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েকজন ঘের ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানাযায়, অতি নিম্নমানের ডিমে ফুটানো মাছের রেনু ঘেরে দেওয়ার কারনে তারা পথের ফকির বুনে গেছে। এ পোনা ঘেরে ছাড়ার ৪০/৪৫ দিন পর থেকে মড়ক শুরু হয়। বাগদা চাষিদের এ পোনা ছাড়ার জন্য উদবুদ্ধ করে বিভিন্ন হ্যাচারির পক্ষ থেকে জানায়, এই এলাকার নদির পানিতে পোনা প্রসেসিং করায় ভাল বাগদা উদপাদন হবে বলে আমাদের ধোকা দিচ্ছে। সাতক্ষীরা অঞ্চলের একটি অসাধু সিন্ডিকেট চোরাই পথে ভারতের মাদ্রাজ ও কলকাতা থেকে সাতক্ষীরার ভোমরাসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাগদার ডিম/নপলি দেশে আনা হয়। পরবর্তীতে অসাধু সিন্ডিকেট এ ডিম দিয়ে পোনা উৎপাদন করে অতিরিক্ত মূল্যে চাষীদের কাছে বিক্রি করে থাকে। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় খামারি/চাষীরা বাধ্য হয়ে এসব পোনা কিনে প্রতারিত হয়ে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শ্যামনগরের উপজেলার রেডিয়েন্ট হ্যাচারী, খুলনা হ্যাচারী, নিউ যমুনা হ্যাচারী, খাজা ওয়ার্ছী হ্যাচারী, আরব হ্যাচারীর মালিকরা অধিক মুনাফা অর্জন ও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সাধারণ মানুষ ও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অল্প দিনে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে চিংড়ি শিল্পকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। স্থানীয় সুশীল সমাজের মানুষেরা আগামী মৌসুমে যাতে করে এভাবে আবারো চিংড়ি শিল্প হুমকির মুখে না পড়ে এ জন্য জেলা প্রশাসন, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এক ছবিতে ২১ চুম্বন, লেডি সিরিয়াল কিসার পেল বলিউড!

‘ইন্ডিয়ান বাবু’ ছবি দিয়ে বলিউডে অভিনয় শুরু করেন পাঞ্জাবি অভিনেত্রী গুরলিন চোপড়া। এবার মুক্তি পাচ্ছে তাঁর পরবর্তী ছবি ‘গেম ওভার’।
এই ছবিতে গুরলিন চোপড়াকে খোলামেলা চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। জানা গেছে, ছবিতে ২১ টি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তিনি। আর তার জন মোট ১১৫টি রিটেক নিতে হয়েছে তাঁকে। অর্থাৎ, ছবি জুড়ে যে গুরলিন উষ্ণতা ছড়াবেন, সেটা স্পষ্ট। আর এই ছবি তার জন্য কার্যত গেম চেঞ্জার হতে পারে বলেই মনে করছেন অভিনেত্রী।

এর আগেও একাধিক আকর্ষণীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে ‘গেম ওভার’ ছবিতে একেবারে অন্যরকম চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। একটি ছবিতে এতগুলি চুম্বনদৃশ্যে অভিনয় আগে কখনও করেননি কোনো বলি অভিনেত্রী। সুতরাং তাঁকে লেডি ইমরান হাসমি বলাই যায়।
কার্যত লেডি সিরিয়াল কিসারের খেতাব পাচ্ছেন তিনি।

ছবিটি পরিচালনা করছেন পরেশ বিনোদ্রয় সাভানি। একজন সাহসী, বুদ্ধিমতী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন গুরলিন। ছবিটিতে দেখানো হয়েছে, কখনও কখনও সৌন্দর্য কিংবা বুদ্ধি দিয়েও জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়া যায় না। আগামী ৮ ডিসেম্বর ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। গুরলিন ছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন রাজেশ শর্মা, যশপাল শর্মা ও রাকেশ বেদী। দেখুন ছবিটির ট্রেইলার-

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছোলার চমকপ্রদ গুণাগুণ

ছোলায় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক উপকার।
উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ছোলা। কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে একই সঙ্গে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক যাবে। আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায়। আর অ্যান্টিবায়োটিক যেকোনো অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ছোলার কিছু চমকপ্রদ গুণাগুণ হল-

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে : আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখানো হয় যে, যে সকল অল্পবয়সী নারীরা বেশি পরিমাণে ফলিক এসিডযুক্ত খাবার খান তাদের হাইপারটেনশন এর প্রবণতা কমে যায়। যেহেতু ছোলায় বেশ ভাল পরিমাণ ফলিক এসিড থাকে সেহেতু ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এছাড়া ছোলা বয়সসন্ধি পরবর্তীকালে মেয়েদের হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে : অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা দেখিয়েছেন যে খাবারে ছোলা যুক্ত করলে টোটাল কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে যায়।
ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। আঁশ, পটাসিয়াম, ভিটামিন ‘সি’ এবং ভিটামিন বি-৬ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। এর ডাল আঁশসমৃদ্ধ যা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ৪০৬৯ মিলিগ্রাম ছোলা খায়, হৃদরোগ থেকে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৯% কমে যায়।

ডাল হিসেবে : ছোলা পুষ্টিকর একটি ডাল। এটি মলিবেডনাম এবং ম্যাঙ্গানিজ এর চমৎকার উৎস। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফলেট এবং খাদ্য আঁশ আছে সেই সাথে আছে আমিষ, ট্রিপট্যোফান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রণ।

ক্যান্সার রোধে : কোরিয়ান গবেষকরা তাদের গবেষণায় প্রমাণ করেছেন যে বেশি পরিমাণ ফলিক এসিড খাবারের সাথে গ্রহণের মাধ্যমে নারীরা কোলন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার এর ঝুঁকি থেকে নিজিদেরকে মুক্ত রাখতে পারেন। এছাড়া ফলিক এসিড রক্তের অ্যালার্জির পরিমাণ কমিয়ে এ্যজমার প্রকোপও কমিয়ে দেয়। আর তাই নিয়মিত ছোলা খান এবং সুস্থ থাকুন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : ছোলায় খাদ্য-আঁশও আছে বেশ। এ আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়। খাবারের আঁশ হজম হয় না। এভাবেই খাদ্যনালী অতিক্রম করতে থাকে। তাই পায়খানার পরিমাণ বাড়ে এবং পায়খানা নরম থাকে।

ডায়াবেটিসে উপকারী : ১০০ গ্রাম ছোলায় আছে: প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়া আছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম। এর সবই শরীরের উপকারে আসে।

যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে : যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। শ্বাসনালিতে জমে থাকা পুরনো কাশি বা কফ ভালো হওয়ার জন্য কাজ করে শুকনা ছোলা ভাজা। ছোলা বা বুটের শাকও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ রয়েছে এই ছোলায় ও ছোলার শাকে। ডায়াটারি ফাইবার খাবারে অবস্থিত পাতলা আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘লাইফ সাপোর্টে’ মেয়র আনিসুল হক

লন্ডনে লাইফ সাপোর্টে আছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র, ব্যবসায়ী ও টিভিব্যক্তিত্ব আনিসুল হক। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে।

মেয়র আনিসুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় আনিসুল হকের শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় তাঁকে ‘লাইফ সাপোর্টে’ নেওয়া হয়।

গত ৩১ অক্টোবর ফিজিওথেরাপির জন্য লন্ডনের অন্য একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর বেশি কিছু জানাতে রাজি হননি মিজানুর রহমান।

আনিসুল হক স্নায়ুরোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসার জন্য গত ১৩ আগস্ট লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ব্যক্তিগত কারণে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন মেয়র।

আনিসুল হক একজন উদ্যোক্তা। তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় একাধিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন।

২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর গঠিত হয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ওই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেন আনিসুল হক। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব নেন। তিনিই ওই সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest