সর্বশেষ সংবাদ-
আটুলিয়া ও কাশিমাড়িতে তরমুজের বাম্পার ফলন।প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরার এক যুবকসাতক্ষীরায় সময় টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনাশ্যামনগরে প্রেমিকাকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যাসাতক্ষীরায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভাফরিদপুরে দুর্ঘটনায় নিহত ১৩: পাঁচজনই এক পরিবারের সদস্যনিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করলেন ডা: রাজুজরিমানা ব্যাতীত মোটরযান ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের হালনাগাদ করার সময় বৃদ্ধিউপজেলা নির্বাচনে লড়তে পদত্যাগ করলেন খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ডালিমপুরাতন সাতক্ষীরায় ঈদ পুনর্মিলনী ও প্রীতি ফুটবল খেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে লাইব্রেরির হলরুমে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচ্য সুচির মধ্যে ছিল বিগত দুই বছরের হিসাব-নিকাশ, সাধারণ সভা আহবান প্রসঙ্গে, লাইব্রেরিতে ই-কর্নার নির্মাণ, জীবন ও সাধারণ সদস্য আবেদনসহ বিবিধ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, গাজী আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল, যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ মহিউদ্দীন হাশেমী তপু, মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, তৃপ্তি মোহন মল্লিক, মো. আমিনুল হক, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাদিয়া আফরিন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, ওসি তদন্ত আব্দুল হাশেম প্রমুখ। এ ছাড়া সদর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা, সদর উপজেলার মাসিক রাজস্ব সভা, সদর উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভা, সদর উপজেলা মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সভা ও সদর উপজেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির পৃথক পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মো. নকিবুল হাসান, সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান, সদর উপজেলা প্রকৌশলী এম জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তারাময়ী মুখার্জী, বল্লী ইউপি চেয়াম্যান মো. বজলুর রহমান, ফিংড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সামছুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, আগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মজনুর রহমান মালি, ঘোনা ইউপি সদস্য গণেশ মন্ডল, লাবসা ইউপি সচিব মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কমিটির সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নকশা অনুযায়ী রাস্তার দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা আইনজীবী ভবনের অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. শাহ আলম। সভায় বক্তব্য রাখেন, এড. আবুল হোসেন-২, মোঃ শহিদুল্লা-২, সরদার আমজাদ হোসেন, ইউনুস আলী, আসাদুজ্জামান দিলু, শহিদুল ইসলাম পিন্টু, তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, এস এম আব্দুর বারী, আজহারুল ইসলাম, নিজাম উদ্দীন, ফাহিমুল হক কিসলু, সুলতানা পারভীন শিখা, আব্দুল মালেক, পরিমল সরদার, অসিত বরুন মন্ডল, নাজমুন নাহার ঝুমুর, মিজানুর রহমান, জিয়াউর রহমান, একেএম তৌহিদুর রহমান শাহীন, আব্দুস সোবহান মুকুল,একিএম কুদরত ই মজিদ, সাইদুজ্জামান জিকো, শরিফুল ইসলাম, সালাউদ্দিন আহমেদ-২, মোস্তফা জামান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পিপি এড. ওসমান গণি। সভায় বক্তারা বলেন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রে আদালতের যাতায়াতের জন্য ভবন নির্মাণের নকশায় একটি রাস্তা উল্লেখ ছিলো। কিন্তু সে রাস্তা ব্যতিরেখে উক্ত আদালত নির্মাণ করা হয়েছে। যদি ওই রাস্তা তৈরি করে দেওয়া না হয় তাহলে আইনজীবীসহ সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হবে। তাদের কে অনেক রাস্তা ঘুরে যেতে হবে। সকলেই ভোগান্তিতে পড়বে। ওই রাস্তা বাদ দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত উদ্বোধন করা হলে সেখানো কোন আইনজীবী উপস্থিত হবেন না। অবিলম্বে বক্তারা ওই নকশা অনুযায়ী রাস্তা দেওয়ার জোর দাবি জানান। যদি রাস্তা দেওয়া না হলে তাহলে প্রয়োজনে আইনজীবী সমিতি আদালত বর্জন, মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসুচির ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া এবিষয়ে আগামী ৩ অক্টোবর সকাল ১১টায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বড়দল (আশাশুনি) প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার ৫নং বড়দল ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে বামনডাঙ্গা, চাম্পাখালী, ডুমুরপোতা, গোয়ালডাঙ্গা, ফকরাবাদ (পশ্চিম), ফকরাবাদ (পশ্চিম-নতুন), ফকরাবাদ (পূর্ব), বুড়িয়া, মাদিয়া, হেতাইলবুনিয়া, হেতাইলবুনিয়া পূর্ব পাড়া, বাইনতলা (দক্ষিন), বাইনতলা (স্কুলবাড়ী), বাইনতলা (মধ্যম পাড়া), বড়দল বাজার, বড়দল (মধ্যম), বড়দল (দক্ষিন), বড়দল শিববাড়ী, পাঁচপোতা, পাঁচপোতা (দক্ষিন) স্বার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দিরে মোট ২০ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে। সোমবার দেবীর বোধনের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আজ ২৬ সেপ্টেম্বর মহাষন্ঠীতে শারদীয় দুর্গাদেবী ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা প্রশস্তার মাধ্যমে মূল পূজা শুরু হবে। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষ্ঠমী, ২৯ সেপ্টেম্বর মহানবমী ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয় দশমী ও যাত্রামঙ্গল অনুষ্ঠিত হবে। দিন ভারি থাকায় ১ম সেপ্টেম্বর প্রতিমা বিষার্জনের মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব সমাপ্ত হবে। সরকারী ভাবে প্রত্যেক পূজা মন্ডপের জন্য আধা টন চাউল কমিটি সভাপতি/সেক্রেটারীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। উপজেলা প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর বাজারে চায়ের দোকানের খুটির সাথে জনসম্মুখে দড়ি দিয়ে বেধে দুই যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন ও এক বিধবা যুবতীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রতনপুর বাজারে বক্কারের চায়ের দোকানে। সরেজমিন ও প্রত্যক্ষ দর্শীদের বরাত মাধ্যমে জানা যায়, উপজেলার রতনপুর গ্রামের বিশ^নাথ মন্ডলের ছেলে তপন মন্ডলের (২৭) সাথে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে পাশ^বর্তী খড়িতলা গ্রামের মৃত সুধীর মন্ডলের ছেলে খোকন মন্ডলের (৪৫) ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনতা তাৎক্ষণিক ভাবে বিষয়টি নিরসন করে দেয়। এরপর রতনপুর ইউনিয়নের কাশিশ্বরপুর গ্রামের রুস্তম গাজীর ছেলে এলাকায় দালাল হিসেবে পরিচিত শফি (৩৫) ও আয়ুব নামে একজন ব্যক্তি তাদেরকে বলেন রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন এসে তোদের এই বিষয়টি মিমাংসা করে দিবে এজন্য তপন মন্ডলকে সেখানে অবস্থান করতে বলে। কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে পৌছে কিছু জিজ্ঞাসা না করেই তপন মন্ডলকে বেধড়ক মারপিট করেন। একপর্যায়ে তাকে মারতে মারতে একটি দোকান ঘরের মধ্যে নিয়ে যান। এসময় চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্থানীয় গ্রামপুলিশ বাবুল দোকানের ভিতরে অবস্থানরত তপন মন্ডলের শ্যালক সুদেব মন্ডল ও তপন মন্ডলকে বক্করের চায়ের দোকানের ভিতরে একটি বাঁশের খুটিতে একত্রে পিঠমোড়া করে দড়ি দিয়ে বেধে দু’জনকে আবারও মারপিট করেন। খবর পেয়ে তপন মন্ডলের বিধবা বড় বোন কল্পনা মন্ডল (৩৫) ঘটনাস্থলে গেলে চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম খোকন তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে তাকে জনসম্মুখে শ্লীলতাহানী করেন এবং ধাক্কা মেরে দোকানের বাইরে ফেলে দেন। তপন মন্ডল ও সুদেব মন্ডলকে রতনপুর বাজারে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে প্রায় দুই ঘন্টা দড়ি দিয়ে বেধে রাখার পর তপন মন্ডলের ভগ্নিপতি সাধন মন্ডল ও সুদেব মন্ডলের বাবা তারাপদ মন্ডল ঘটনাস্থলে যেয়ে চেয়ারম্যানের কাছে কাকুতি মিনতি করে দু’জনকে ছাড়িয়ে নেন। এসময় চেয়ারম্যান দুটি পৃথক সাদা কাগজে তপন মন্ডল, তার স্ত্রী কাকলী মন্ডল, বোন কল্পনা মন্ডল, ভগ্নিপতি সাধন মন্ডল, সুদেব মন্ডল ও তার বাবা তারাপদ মন্ডলের কাছ থেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পূর্বে চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন হুংকার দিয়ে ভুক্তভোগীসহ উপস্থিত জনতাকে এব্যাপারে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলেন। কেউ এ বিষয়ে মুখ খুললে এলাকা ছাড়া করা হবে বলেও জানান তিনি। চেয়ারম্যানের এ ধরণের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষদর্শী বাজারের লেদমিস্ত্রী শামীম হোসেন (২৬), চা দোকানদার আবু বক্কর (৪২), আকবর সরদার (৪৮)সহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি হতবাক হয়ে যান এবং তারা এঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। তবে তারা চেয়ারম্যানের ভয়ে ভীত হওয়ায় এ বিষয়ে তারা মুখ খুলতে সাহস পাননি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এদিকে প্রকাশ্য বাজারে একজন দায়িত্বশীল চেয়ারম্যানের হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় যুবতীসহ তিনজনকে নির্যাতনের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হওয়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অপরদিকে নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক অধ্যাপক সনৎ কুমার গাইন, সহ-সভাপতি যথাক্রমে দুলাল চন্দ্র ঘোষ, সজল মুখার্জী, রনজিত সরকার, সাধারণ সম্পাদক ডা. মিলন কুমার ঘোষ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অসিত সেন, রতনপুর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. তরুণ কুমার ঘোষ, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন সরদার রোববার বিকেলে রতনপুর বাজারে যেয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে চেয়ারম্যানের কর্মকান্ডে হতবাক হন এবং তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে সুষ্ঠু প্রতিকার দাবি করেন। এছাড়াও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিবর্গ ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের কাছে ঘটনার বর্ণনা শুনে সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এসএম জগলুল হায়দার এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ওয়াহেদুজ্জামান তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং নিন্দা জানান।
বিষয়টি জানতে চাইলে গ্রাম পুলিশ বাবুল বলেন, আমি চেয়ারম্যান সাহেবের হুকুমের দাস। চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশে আমি তাদেরকে বেঁধেছিলাম, তবে আমি তাদেরকে মারধর করিনি করলে চেয়ারম্যান সাহেব করেছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন বলেন, তপন মন্ডল বাজারে খোকন মন্ডলকে মারধর করায় সে আমার কাছে অভিযোগ করে। এজন্য আমি বাজারে যেয়ে তপন মন্ডল ও সুদেবকে পুলিশের কাছে দেবো বলে বেধে রেখেছিলাম। তবে তাদের আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় লোকজন অনুরোধ করায় তাদেরকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লস্কর জায়াদুল হক বলেন, ঘটনাটি আমি এলাকাবাসীর মাধ্যমে জেনেছি। এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ ঘটনায় স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি উঠেছে সকল মহলের পক্ষ থেকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

 

ন্যাশনাল ডেস্ক : উল্টোপথে গাড়ি নিয়ে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরদিন একই কাজ করলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাফরুহা সুলতানা।
সোমবার সন্ধ্যায় শেরাটন হোটেলের দিক থেকে উল্টোপথে এসে বাংলামটর মোড়ে পৌঁছানোর কিছুটা আগে তার গাড়ি আটকায় ট্রাফিক পুলিশ। এদিন উল্টোপথে আসা পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার গাড়িও আটকানো হয়।
ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মোসলেহউদ্দিন আহমেদ ও উপ-কমিশনার রিফাত রহমান শামীম এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। পরে যুগ্ম কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
আগের দিন উল্টোপথে এসে জরিমানা গুণতে হয় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদসহ অনেক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে। বিকালে হেয়ার রোডে ট্রাফিক পুলিশের ঘণ্টা দুয়েকের ওই অভিযানে ৫০টির মতো গাড়ি আটকানো হয়, যার বেশিরভাগই ছিল সরকারি কর্মকর্তাদের।
সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সচিবের গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ ১৫-৪৮৮৯) উল্টোপথে এলে বাংলামটরের পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স ভবনের সামনে সেটি আটকায় পুলিশ সদস্যরা।
সচিবকে জরিমানা করার পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় চালক বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। গাড়িটি ঘুরিয়ে সোজা পথ দিয়ে আসার নির্দেশ দেয় পুলিশ।
এ সময় সচিব মাফরুহা সুলতানা গাড়িতে থাকলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।রোববার হেয়ার রোডে যেসব গাড়ি আটকানো হয় তার মধ্যে এই গাড়িও ছিল।
অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, রোববারও চালক বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তারা।
আগের দিন পুলিশের কাছে ধরা পড়ার পর আবার উল্টোপথে এলেন কেন- প্রশ্ন করা হলে নিরুত্তর থাকেন এই চালক।
অভিযান শেষে অতিরিক্ত কমিশনার মোসলেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলামটরে তারা অভিযান শুরু করেন। উল্টোপথে আসায় দুটি গাড়ি ও সাতটি মটরসাইকেল আটকানো হয়।
গাড়ি দুটির ব্যবহারকারীকে জরিমানা করার পাশাপাশি একটি মটরসাইকেল ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের এই অভিযানে উল্টোপথে আসা মোট ৩০০টি গাড়ি আটকে মামলা দেওয়া হয় বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার।
“আমাদের এই অভিযান প্রায়ই চালানো হবে। কোন কোন জায়গা দিয়ে উল্টোপথে গাড়ি আসে, সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ওই সব জায়গায় আমরা অভিযান চালাব,” বলেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জি.এম আবুল হোসাইন : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজায় সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে ১৮টি পূজা মন্ডপে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রতিমা শিল্পীরা। দ্রুততার সাথে শেষ করেছেন প্রতিমা তৈরীর কাজ। প্রতিমা ভাস্করদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় প্রতিটি বিগ্রহ দেবতার রুপ নিয়েছে। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমে আর সাজ সাজ রবে শুরু হচ্ছে শারদীয়া দূর্গা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। সমস্ত বিপদ-আপদ নাশ করেন দুর্গতীনাশিনী দেবী দুর্গা। শরতের শুরুতেই ব্যাপক আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে ধরণীতে আসেন দেবী দুর্গা।

সরজমিনে ইউনিয়নের বিভিন্ন মন্ডপগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি মন্ডপেই প্রতিমা শিল্পীরা দুর্গা ঠাকুর তৈরী ও মন্দির সাজানোর কাজ প্রায় শেষ করছেন। এলাকার উল্লেখযোগ্য মন্ডপ গুলোর মধ্যে রয়েছে ঝাউডাঙ্গা মানিকতলা সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, ওয়ারিয়া পূজা মন্ডপ, পাথরঘাটা সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, হাজিপুর সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, রাজবাড়ি সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, হাচিমপুর পূজা মন্ডপ, ছয়ঘরিয়া দাসপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, আখড়াখোলা সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, ছাতিয়ানতলা সার্বজনীন পূজা মন্ডপ প্রভৃতি।

ঝাউডাঙ্গা ইউপি সচিব মো. আব্দুল হাকিম জানান, এবছর ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে যথাযোগ্য মর্যাদায় উৎযাপিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। ছয়ঘরিয়া দাসপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্ডপের সভাপতি শ্রী অরুন দাস বলেন, আজ রাতে পঞ্চমী তিথিতে দুর্গা বোধন ও শুভ পঞ্চমী পূজা’র মধ্যদিয়ে দূর্গতীনাশিনী দেবী দুর্গা পূজার সুচনা ঘটবে।

ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন পূজা উৎযাপন কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শংকর ঘোষ বলেন, পূজা উৎসব সকলের জন্য। প্রশাসনসহ সর্বস্তরের নের্তৃবৃন্দের সহযোগিতায় বিগত বছরের ন্যায় এবারের পূজাও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি আশাবাদী। বিগত দিনে আমাদের এলাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে ঝাউডাঙ্গা ঘোষপাড়ার পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ার দুটি পূজা মন্ডবকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন টিম সার্বক্ষনিক ভাবে এখানে তদারকি করবে। এছাড়া স্ব-স্ব পূজা মন্ডপে মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দরা কড়া নজরদারী করবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা ধর্মীয় বেড়াজাল পেরিয়ে এটি সামাজিক উৎসবে রুপ নিয়েছে। দূর্গোৎসবকে সফল ভাবে সুসম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতা একান্তভাবে কামনা করছি।

সদর থানার ইনচার্জ জানান, জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। পূজার সময় প্রতিটি মন্ডপে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঝাউডাঙ্গা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মাষ্টার তারকনাথ বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল এলাকা হল ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন। এখানে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি আশা রাখি। প্রতি মন্ডপে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চৌকিদার ও আনছার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক তাদের দায়িত্ব পালন করবে। তিনি শারদীয় দুর্গোৎসব সফল করতে ইউনিয়নবাসীর সহযোগীতা কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জি. এম আবুল হোসাইন : বিলের অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান কয়েকটি জলজ উদ্ভিদের মধ্যে একটি হল শাপলা-শালুক। সদর উপজেলার গড়িয়াডাঙ্গা, দাতভাঙ্গা, কয়ারবিল, বেলেঘাটা, নলকুড়া, খলসিচোখা, কুমোরঘাটা, ঘরভাঙা বিল সহ ছোট বড় অসংখ্য বিলের বুকজুড়ে শাপলা ফুলের দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য ছিল চোখে পড়ার মতো। জলের উপরে ফুটে থাকা শাপলা ফুলের দৃষ্টিকাড়া সৌন্দর্য সত্যিই যেকোনো মানুষকে মুগ্ধ করে তুলতো। শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। সাদামাটা সবার প্রিয় এফুল শুধু বিলেই নয়, যেকোনো ডোবা-নালায় জন্ম নিয়ে সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট করে থাকে। কিন্তু প্রকৃতির বিরূপ প্রভাবে শাপলা ফুলের সেই সমারোহ আর নেই। দিনে দিনে শাপলা-শালুক যেন একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অথচ আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও প্রায় সকল বিলের বুকজুড়ে শাপলা ফুলের দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য ছিল চোখে পড়ার মতো। সে সময় শরৎকালে বিলের প্রকৃতি অন্য রকম সাজে সেজে উঠত। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যেত চারদিকে ফুটন্ত সাদা শাপলা ফুলের সমারোহ। মনে হতো এ যেন শাপলা ফুলের জগৎ। শাপলা ফুল শুধু পরিবেশ ও প্রকৃতির সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে তা নয়; এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এছাড়া এফুলের গাছ, গোড়া ও মাথা কিছুই ফেলে দেওয়ার মতো নয়। শাপলার নরম ডাঁটা, মাথা ও গোড়ায় জন্ম নেওয়া ড্যাপ এবং শালুক সবই মুখরোচক ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান। শাপলার ডাঁটা পানির গভীরতায় পাঁচ থেকে প্রায় ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। নরম কচি আর মচমচে ডাঁটা মুখরোচক সবজি হিসেবে খাওয়ার মজাই আলাদা। এছাড়া মাছ-মাংস রান্নার উৎকৃষ্ট তরকারি হিসেবে এর ডাঁটা বেশ জনপ্রিয়। শালুক আগুনে পুড়িয়ে কিংবা সেদ্ধ করে খাওয়া হয়। আগের দিনে শরতের শেষে পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে বিলজুড়ে শালুক তোলার ধুম পড়ে যেত। শালুক পোড়া গন্ধ এখনো প্রবীণদের শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু ব্যাপক পরিবর্তনে আগের মতো সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। এছাড়া আবাদি জমিতে অপরিমিত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগে অনেক শাপলা বীজ বা মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা মা-শালুক বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে নতুন করে শাপলার গাছ জন্ম হচ্ছে না। এখন শরৎকাল শেষ হলেও দেশের কোথাও সেই আগের মতো শাপলা-শালুকের দেখা নেই। এজলজ উদ্ভিদ আজ বিলুপ্তির পথে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরে শাপলার অস্তিত কতটুকু টিকে থাকবে সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। অাখড়াখোলার ভাটপাড়া গ্রামের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মুস্তাকিম হোসেন বলেন, ৫/৬ বছর আগে বিলে নেমে বন্ধুদের সাথে পাল্লা দিয়ে ড্যাপ ও শাপলা তুলতাম। কিন্তু এখন আর আগের মত শাপলা চোখে পড়ে না। উন্মুক্ত বিল এখন অধিকাংশই মাছের ঘেরে পরিণত হয়েছে। একারণে শাপলা কম পাওয়া যায়। রামেরডাঙ্গা গ্রামের শিশু মুক্তা খাতুন বলেন, আমাদের বিল থেকে অনেক কষ্টে অল্প কিছু শাপলা পেয়েছি। এখন আর সহজে ড্যাপ পাওয়া যায় না। এবিষয়ে বাংলাদেশ বেতারের নাট্যকার ও কবি ডা. মো. সামছুজ্জামান বলেন, শাপলা-শালুক সহ বিভিন্ন বিলুপ্তপ্রায় এসব জলজ উদ্ভিদ রক্ষার্থে পরিবেশবান্ধব সংগঠন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ এবং তা যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest