সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষের হামলায় জখম-২সখিপুরে জামায়াতের এমপি প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের পথসভাসাতক্ষীরায় বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণনানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপনজাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন: সাতক্ষীরায় নবাগত এসপিআশাশুনির আনুলিয়া ও কাপসন্ডায় সড়ক নির্মান কাজে দুর্নীতির অভিযোগবাঁশদহে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়াকেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার’: সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের নিন্দাসাতক্ষীরার আপন প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেমুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা দেবহাটা মুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

১৪টি বাড়ির মালিক কন্সটেবল থেকে ইন্সপেক্টর হওয়া এই পুলিশ!

অনলাইন ডেস্ক : পদ পরিদর্শকের, কিন্তু তিনি লেখেন ‘ওসি সোহরাব’! ভুয়া স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে পুলিশে তাঁর চাকরি শুরু—কিন্তু সত্যাটি আর উদ্ঘাটিত হয়নি। কোনো ‘আলাদিনের চেরাগ’ হাতে নেই অথচ তাঁর অন্তত চৌদ্দটি বাড়ি, বেশ কয়েকটি মার্কেট।
আর এসব স্থাপনায় তিনি অনায়াসে পদবি লিখছেন ‘ওসি’। সরেজমিনে দেখা যায়, মেয়ের জামাতাকে ওসি ও ছেলেকে এসআই দেখিয়ে বিভিন্ন বাড়ি বা মার্কেটের সামনে সোহরাব রীতিমতো ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছেন। বাড়ি, মার্কেট, প্লটসহ প্রায় ৩০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।

মো. সোহরাব মিয়া টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত)। তবে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে গিয়ে সরেজমিনে অনেক ‘ওসি মার্কেট’ বা ‘ওসি ভিলা’ শুধু নয়, পাওয়া গেছে ‘ওসি রোড’ও। সোহরাব নিজের নামে করেছেন সড়কটি। এ ছাড়া রয়েছে জয়দেবপুর চৌরাস্তার পাশে দুটি বাড়ি, রাজধানীর উত্তরায় ছয় কাঠার একটি প্লট। তবে সোহরাব বলেন, তিনি কোনো ‘দুই নম্বরি’ করেননি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর গ্রামের প্রয়াত হাজি আব্দুল হালিম মিয়ার ছেলে মো. সোহরাব মিয়া।
গ্রামে ভিটেমাটি আর কিছু ফসলি জমি ছাড়া খুব বেশি সম্পদ ছিল না পরিবারের। সোহরাবের ছোট ভাই মো. ফজলুর রহমান বলেন, তাঁর ভাই আশির দশকে নিজ জেলার ঠিকানা গোপন করে ঢাকার ধামরাই উপজেলার মঙ্গলবাড়ী গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করে কোটা সুবিধায় কনস্টেবল পদে চাকরি নিয়েছেন। ফজলুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গল গ্রামের ঠিকানায় ছয়জন চাকরি নিয়েছিলেন। এর মধ্যে চারজনই চাকরি ছেড়ে বিদেশে আছেন। আর আমার ভাই সোহরাব এবং গ্রামের আরেকজন এখনো পুলিশে আছে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করেই। ’
সোহরাবের নিজেকে ওসি দাবির ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, ‘থানায় একজনই ওসি—সেটা আমি। আর সোহরাব হোসেন হচ্ছেন পরিদর্শক (তদন্ত)। এখন ওসি না হয়ে যদি ওসির পরিচয় দিয়ে থাকে, আমি কী বলব?’ সোহরাবের স্থায়ী ঠিকানা সরকারি নথিতে কী জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘সেটা আমার জানা নেই, পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারাই ভালো বলতে পারবেন। ’ চাকরির মেয়াদ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, সোহরাব আর এক বছর পর্যন্ত পুলিশ বিভাগে আছেন। এরপর তিনি অবসরে চলে যাবেন।
সোহরাব হোসেনের ছেলে ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত বলে জানা যায়। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার জন্মের আগেই বাবা চাকরি নিয়েছিলেন। ঢাকার ধামরাইয়ে হয়তো কোনো কারণে ভাড়া ছিলেন; এ কারণেই সেখানের ঠিকানা ব্যবহার করে চাকরি নিয়েছিলেন। ’ সোহরাব হোসেনের মেয়ের জামাই আলমগীর আশরাফ টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার মোগড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত)। তবে তিনি বলেন, তাঁর নাম কেন শ্বশুরের সম্পত্তির ব্যানারে এর উত্তর তাঁর জানা নেই। ইন্সপেক্টর আশরাফ বলেন, ‘ওখানে আমার এক ছটাক জমিও নেই। ’ জানা যায়, গাজীপুরের কোনাবাড়ী হাউজিং সোসাইটিতে মো. আইয়ুব আলীর ফ্ল্যাটে থাকে সোহরাব হোসেনের পরিবার এবং প্রতি সপ্তাহেই সোহরাব কোনাবাড়ী আসেন সম্পদ দেখভাল করতে।

‘ওসি’ সাম্রাজ্য : গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশেই কোনাবাড়ী বাজার। সেই বাজারেই সাড়ে ১০ শতাংশ জমির ওপর স্বঘোষিত ‘ওসি মার্কেট’। স্থানীয় মতিউর রহমানের কাছ থেকে জমিটি কিনে সেখানে মার্কেট বানিয়ে ২০টির বেশি দোকান করেছেন সোহরাব। মার্কেটের ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘ওসি সাহেব মার্কেটের মালিক, প্রতি মাসেই তিনি ভাড়া নিয়ে যান। ’ এলাকাবাসীর হিসাবে মার্কেটের এক শতাংশ জমির মূল্য রয়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা। জমির বর্তমান মূল্য তিন কোটি টাকার বেশি। কোনাবাড়ীর আমবাগ পশ্চিমপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, একটি বাড়ির সামনে বিশাল ব্যানার ‘ওসি বাড়ি। দোকান ও বাড়িভাড়া দেওয়া হবে। ’ পাশেই আরেক ব্যানারে তাঁর মেয়ের জামাতা ওসি (তদন্ত) আলমগীর আশরাফ, ছেলে এসআই মামুন পদবি এবং মোবাইল নম্বরসহ বিশাল ব্যানার।

স্থানীয় বাসিন্দা আলিনুর মিয়া বলেন, ‘এইড্যা ওসি সাহেবের বাড়ি, রবি মুচির বাড়ি তিনি কিনে নিয়েছেন। এই পরিবার অনেক ক্ষমতাশালী। ’ বাড়ির পাশের দোকানদার মো. হোসেন আলী বলেন, ‘এখানে ভাড়াটিয়ারা থাকে, ওসি সাহেব মাঝে মাঝে আসেন। ’ আমবাগ ঢালাই ফ্যাক্টরির পাশেই আরেকটি ‘ওসি মার্কেট’ এবং বিশাল টিনশেড বাড়ি। আমবাগ উত্তরপাড়া এলাকায় মুদি দোকানি হারুন মিয়ার দোকান থেকে একটু সামনে যেতেই চোখে পড়ে ঢালাই করা সিমেন্টের খুঁটিতে লেখা ‘ওসি রোড’। সড়ক দিয়ে ভেতরে যেতেই মেহগনি গাছের বাগান। তার পাশে বড় টিনশেড বাড়ি। এখানেও সামনে লেখা ‘ওসি ভিলা’। বারান্দায় বসে থাকা নার্গিস বেগম নিজেকে ভাড়াটিয়া পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘মালিক ওসি সাহেব এখানে থাকেন না। ’ স্থানীয় বাসিন্দারা বলে, এখানে ২৯ শতাংশ জমির মূল্য কোটি টাকার বেশি হবে। মুদি দোকানি হারুন মিয়া বলেন, ‘ওসি সাহেব জমি কিনেছেন আমাদের কাছ থেকে, অর্ধেক জমিতে বাড়ি করেছেন আর অর্ধেক এখন গাছের বাগান আছে। ’ স্থানীয় বাসিন্দারা আরো একটি অভিযোগ করে, এলাকার বেশির ভাগ গ্যাসের লাইন অবৈধভাবে নেওয়া এবং ‘ওসি’র বাড়ির লাইনটিও বৈধ না। সেখান থেকে কোয়ার্টার কিলোমিটার দূরে আমবাগ মধ্যপাড়ার নবাবদীঘি নাদের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে পাওয়া যায় আরেকটি ‘ওসি মার্কেট’ এবং পাশে আরেকটি টিনশেড বাড়িও আছে। সামনে টাইলসের ওপর লেখা ‘ওসি বাড়ি রোড’। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছে, সড়কটি নজরদীঘি সড়ক হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু সোহরাব ‘ওসি রোড’ নামকরণ করেছেন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে। এখানকার বাড়ি এবং মার্কেটের জমির মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা বলে এলাকাবাসীর হিসাব। এ ছাড়া কোনাবাড়ীর নামাপাড়ায় দেওয়ান মার্কেটের পেছনে প্রায় দেড় কোটি টাকার ৭ শতাংশ জমি থাকার কথা জানা যায়। আমবাগ এলাকার সামাদ সুপার মার্কেটের পশ্চিম পাশে মৃত খালেক মিয়ার কাছ থেকে প্রায় ২০ শতাংশ জমি কিনে টিনশেড রুম করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ওসির এই বাড়িটিতেও অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে চালানো হচ্ছে। আর বাাড়ির বর্তমান মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।

বিভিন্ন সূত্রমতে, গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তার কাছে চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে রয়েছে তাঁর ‘দারোগা বাড়ি’। ৮ শতাংশ জমির ওপর বাড়িটির দাম হবে প্রায় দুই কোটি টাকা। ময়মনসিংহ মহাসড়কের বর্ষা সিনেমা হলের পাশেও ৫ শতাংশ জমি রয়েছে। এ ছাড়া উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে রয়েছে পাঁচ কাঠার একটি দুই কোটি টাকা মূল্যের প্লট। আর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জয়কালীবাড়ি রোড কৃষি ব্যাংকের পাশে রয়েছে তাঁর বিশাল একটি মার্কেট—যার মূল্য হবে দুই কোটি টাকা প্রায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে সোহরাব অনেক জায়গায় ওসি হিসেবেই পরিচয় দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, গাজীপুরে একাধিক বাড়ি এবং জমির মালিক বনে গেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর চাকরি মেয়াদ শেষ পর্যায়ে বলে কেউ সে বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। ’ নিজের এলাকা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দিয়েছেন মসজিদ ও মাদরাসা। নাম : সোহরাবিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা; যদিও তাঁর ভাইয়ের দাবি—সোহরাব এখানেও প্রতারণা করেছেন।

সোহরাব যা যা বললেন : পুলিশ প্রবিধানের ১১২ ধারার (গ) এর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো পুলিশ কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশের (আইজিপি) কিংবা পুলিশ সদর দপ্তরের অনুমতি ছাড়া তাঁর নিজ জেলা ছাড়া কোথাও নিজের বা স্বজনের নামে জমি কিনে বাড়ি করতে পারবে না। অনুমতি নিয়ে সম্পত্তি কিনেছেন কি না জানতে চাইলে সোহরাব মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আপনার সঙ্গে আমি সরাসরি কথা বলতে চাই। সামনা-সামনি বসে চা খাব এবং কথা বলব। ’ নিজ জেলা টাঙ্গাইলের ঠিকানা গোপন করে চাকরি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনি বলেন, ‘ভাইরে আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই। দেখা হলে সবকিছু পরিষ্কার হবে। ’ ওসি পদবি ব্যবহার করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ওসি তদন্ত হিসেবেই লেখি, গোপালপুর থানায় ওসি তদন্ত হিসেবে আছি। অফিশিয়ালি লিখতে পারেন কি না? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি লিখে থাকি, এটা লিখলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে? নিজেকে টাঙ্গাইল জেলার সবচেয়ে প্রবীণ পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি এই জেলায় কিছু কর্মকর্তা বাদে সকলের সিনিয়র ইন্সপেক্টরও। র‍্যাংকেও আমি সিনিয়র। সিনিয়র হিসেবেও দায়িত্ব দিলে ওসি পদ পেতাম। কিন্তু ভিসা টিকিট নইলে কেউ পদোন্নতি পায় না। ’ ভিসা টিকিট কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখেন, এটার অর্থ কী। মেয়ের জামাতা এবং ছেলের নাম পদবি প্রতিটি বাড়ির সামনে ব্যানারে লেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের নাম লিখেছি তাতে দোষের কী?

এত এত বাড়ি ও মার্কেট করার টাকার উৎস প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমি কোনো দুই নাম্বারি করি নাই। কেউ প্রমাণ দেখাতে পারলে এই মুহূর্তে চাকরি ছেড়ে দেব। এক জায়গা থেকে অ্যাডভান্স নিয়ে আরেক জায়গায় জমি কিনেছি, আবার আরেক জায়গা থেকে অ্যাডভান্স নিয়ে অন্য জায়গায় জমি কিনেছি। ’ কোথা থেকে অ্যাডভান্স নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ভাই ফোনে কিছু বলতে চাই না। আপনার সঙ্গে একটু দেখা করতে চাই। সব ডকুমেন্ট দেখাব। ’ এত জমির মালিক হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এক হাজার আর দুই হাজার টাকায় প্রতি শতাংশ জমি কিনে কি গুনাহগার কেউ হয়? সেই কম দামের জমি এখন অনেক বেশি দাম হয়েছে। এটা তো তেমন কিছুই নয়। দেখেন, পুলিশ সাংবাদিক ম্যাজিস্ট্রেট ডাক্তার—আমরা তো একই প্লাটফর্মের লোক, সাক্ষাতের পর যদি আমি বুঝাইতে সক্ষম না হই তখন বইলেন। আপনি সদয় হইলে সব কিছুই হবে। ’ পদোন্নতি পেয়েছেন কবে? একাধিকবার জানতে চাইলেও তিনি বলতে চাননি।

টাঙ্গাইল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল- গোপালপুর) মো. আহাদউজ্জামান মিয়া বলেন, ‘সোহরাব হোসেন গোপালপুর থানার ওসি নন, তিনি পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ওসি না হয়েও ওসি হিসেবে পরিচয় দেওয়া উনার ঠিক হচ্ছে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

এদিকে ছোট ভাই মো. ফজলুর রহমানের সঙ্গেও জালিয়াতি করেছেন সোহরাব হোসেন। ছোট ভাইয়ের কেনা ৯ শতাংশ জমি জোর করে দখলে নিয়ে সেখানে সোহরাব হোসেনের নিজ নামেই বানিয়েছেন মসজিদ ও মাদরাসা। ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার কেনা জমিতে ভাই মসজিদ ও মাদরাসা বানাল। কিন্তু আমাকে কোনো টাকা পয়সা দেয়নি। টাকা চাইলেই দেব-দিচ্ছি করে। ’

অভিযোগ প্রসঙ্গে সোহরাব হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ভাইয়ের জমি আমি দখলে নেইনি। আমার পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা আছে। আর ভাই হয়তো রাগ করে বলেছে। সেটা আমি মিটিয়ে ফেলব। নিজের গ্রামের ঠিকানা গোপন করে মঙ্গল গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করে চাকরি নেওয়া প্রসঙ্গে সোহরাব বলেন, ‘ভাই, আমি আপনার সঙ্গে শুক্রবার দেখা করব, চা-ও খাব। ওই সময় সব কিছু দেখাব। ’

অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেওয়া প্রসঙ্গে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘তাঁর বাড়ির গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নেওয়ার সময় আমি বাধা দিয়েছিলাম। সিটি করপোরেশনের রাস্তা কেটে লাইন নেওয়ার সময় কাজ বন্ধ করে দিই। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি লাইনটি নিয়েছেন এবং এটা দৃশ্যমান। এলাকার সবাই বিষয়টি জানে। ’

ওসি সোহরাব হোসেনের সঙ্গেই কনস্টেবল হিসেবে চাকরি করেছেন এমন একজন পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এএসআই বলেন, ‘সোহরাব জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর ও রাজধানী ঢাকার আশপাশের থানাগুলোতে সাব-ইন্সপেক্টর পদে চাকরি করতেন। এর আগে তিনি পুলিশ কনস্টেবল পদ দিয়ে পুলিশের চাকরি জীবন শুরু করেন। তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘সারা জীবনে পারলাম না একটি বাড়ির মালিক হতে, আর সে ১৪টি বাড়ি আর মার্কেটের মালিক হয়ে গেছে। ছেলেকেও পুলিশের এসআই পদে চাকরি দিয়েছে। তার টাকার উৎস কি তা দুদক অনুসন্ধান করলেই পেয়ে যাবে। ওসির ১৪টি বাড়ি এবং মার্কেট থাকলেও এখনো থাকে ভাড়া বাড়িতে।’

সূত্র : কালের কণ্ঠ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিম্নমানের ধান বীজ বিক্রয়ের অভিযোগ

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিম্নমানের ধানের বীজ বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বীজ কিনে একাধিক কৃষক ভিজানোর পর কোলা না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন।
উপজেলার কাদাকাটি ও বুধহাটা বাজারে ডিলার ও বীজ বিক্রেতারা ব্র্যাক ও বিএডিসির পলি প্যাকে প্যাকেটজাতকৃত ধানের বীজ বিক্রয় করছেন। হাই ব্রিড ও এসএল-৮ এইচ, সুপার হাইব্রিড জাতের এক কেজি করে প্যাকেটের ধান বীজ এখন এলাকার সকল ডিলার ও সার-কীটনাশক বিক্রেতাদের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। এসব দোকানে বিএডিসি সরবরাহকৃত প্যাকেটে উৎপাদন ও মেয়াদ উর্ত্তীর্ণের তারিখ দেখা যায় এক বছর আগে শেষ হয়েগেছে। এই তারিখের উপর কাগজের নতুন করে ছাপানো স্টিকার লাগিয়ে পুরনো প্যাকেটের ধানবীজ বিক্রয় করা হচ্ছে। এই মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ ধান ক্রয় করে ধান ভিজিয়ে কোলা না হওয়ায় চাষীদের মাথায় হাত উঠে গেছে। কাদাকাটি গ্রামের কৃষক মৃত কেশব মন্ডলের পুত্র শিবপদ, পুলিন মন্ডলের পুত্র শংকর, তারক মন্ডলের পুত্র হরেকৃষ্ণ, খগেন্দ্র রায়ের পুত্র গাংগুলি, আরার গ্রামের মৃত ছবেদ মোড়লের পুত্র আয়ুবসহ এলাকার বহু চাষী জানান, তারা বিএডিসির উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ বীজ ধান ক্রয় করে ভিজিয়ে কোলা তৈরি করতে পারেননি। আবার কেউ কেউ বীজ তলায় ধান ফেলেও ধান গজায়নি। ফলে তাদের হাজার হাজার টাকার ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি সময় নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। এব্যাপারে ডিলার বিভাস দেবনাথ জানান, তিনি মেয়াদ উত্তীর্ণ ঐ প্যাকেট দুটি রেখে দিয়েছেন এবং ক্রেতাদের দেখাচ্ছেন যেন তারা ঐ বীজধান ক্রয় না করেন। কিন্তু বাজারে কমমূল্যে ঐ ধানবীজ সহ আরো কিছু কমমূল্যের বীজ ধান বিক্রয় করা হচ্ছে। ফলে চাষীরা ঠকছে। এব্যাপারে সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান জানান, বিএডিসি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং তাদের সরবরাহকৃত বীজ সকল প্রকার পরীক্ষা নীরিক্ষার পর বাজারজাত করা হয়। সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ সরবরাহ করার সুযোগ নেই। কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্টিকার লাগানো ধানবীজের প্যাকেট সংগ্রহ করেছি, পরীক্ষা নীরিক্ষার পর বলতে পারবো কৃষকদের ত্রুটি না বীজের ত্রুটি। বিএডিসি ডিডি লিয়াকত আলি ও এডি আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বললে তারা জানান, তাদের গত বছরে অব্যবহৃত ৫০ সহ¯্রাধিক প্যাকেট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে স্টিকার লাগিয়ে বীজধান বাজারজাত করা হয়েছে। এগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ দেবহাটা পাক হানাদারমুক্ত দিবস

কেএম রেজাউল করিম/আরাফাত হোসেন লিটন : আজ ৬ই ডিসেম্বর সাতক্ষীরার দেবহাটা হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সম্পূর্র্ণরূপে পাক হানাদার মুক্ত হয় গোটা দেবহাটা। দীর্ঘ দিনের যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে অবশেষে এই দিনেই দেবহাটা ছেড়ে পিছু হটে যায় পাক সেনারা।
বিশ্ব মানচিত্রে তখনও লালসবুজের পতাকা খচিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেনি কিন্তু সাতক্ষীরার বীর জনতা, মুক্তিপাগল বীর মুক্তিযোদ্ধারা বর্বর পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যদেরকে সাতক্ষীরার পবিত্র মাটি হতে বিতাড়িত করে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে। সাতক্ষীরার বিভিন্ন মফস্বল এলাকাগুলো হতে একে একে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা বিতাড়িত হতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের কারনে অত্যাচারী পাক বাহিনী শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, আশাশুনী এবং দেবহাটা হতে বিতাড়িত হতে থাকে। ধীরে ধীরে পরাজিত হয়ে, জীবন হানী, অস্ত্র হারিয়ে জেলাশহরে পৌছাতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সেদিন সাতক্ষীরার শত সহ¯্র মুক্তিযোদ্ধা দেশ স্বাধীন করার দৃপ্ত সপথে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পাক বাহিনী আস্তে আস্তে পালিয়ে যাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে।
স্বাধীনতা সংগ্রামের তৎকালীন ৯নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার প্রয়াত ক্যাপ্টেন শাহাজান মাষ্টারের নের্তৃত্বে সম্মূখ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো দেবহাটার মুক্তিকামী মানুষ। একের পর এক যুদ্ধে পরাস্থ হয়ে সেদিন দেবহাটা ছাড়তে বাধ্য হয় পাক বাহিনী ও তাদের দোষররা। সাতক্ষীরা কোর্ট চত্বরের ট্রেজারীর ৪শত রাইফেল লুট করে তৎকালীন সময়ে আব্দুল গফুর, এম এল এ আয়ুব হোসেন ও ক্যাপ্টেন শাহাজান মাষ্টার জীবন বাজি রেখে পরবর্তীতে ৯ নং সেক্টর গঠন করে। একাত্তরের নভেম্বর মাসের শেষ ও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের প্রতিটি দিন অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে ক্রমেই পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পিছু হটতে থাকে। যাওয়ার সময় তারা মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে এবং পারুলিয়া, কুলিয়া, বিনেরপোতা ব্রীজ গ্রেনেড দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে যায়। পাক হানাদার বাহিনী দেবহাটার মাটি ছেড়ে যাওয়ার সময় মাটিতে পুতে রাখা এপি মাইন অপসারনকালে দেবহাটার কোঁড়া গ্রামের অব্দুল ওহাবের দেহটি মাইনের বিষ্ফরনে ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যায়। সেদিন এই বীর শহিদের ছিন্ন দেহটির প্রতি মাষ্টার শাহাজানের নেতৃত্বাধীন সকল মুক্তিযোদ্ধারা তাদের হাতিয়ার উচিয়ে শেষ সম্মান জানিয়েছিল। অবশেষে তার দেহটি ভারতের টাকী সাজারু বাগানে সমাহিত করা হয়। সর্বশেষে পাক সেনাদের সুরক্ষিত পুষ্পকাটি ইটের ভাটা ঘাঁটি পতনের জয়লাভের মধ্য দিয়ে ৬ই ডিসেম্বর সমগ্র দেবহাটা থানা এলাকা স্বাধীন হয়ে সম্পূর্ণ হানাদার মুক্ত হয়। তখন মুক্তিযোদ্ধা জনতা উল্লাসে ফেটে পড়ে। মূহুর্মুহু জয় বাংলা শ্লোগানে তাৎক্ষণিকভাবে বিজয়ের উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেবহাটা জুড়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগর সোনামুগারি পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন

শ্যামনগর প্রতিনিধি : মঙ্গলবার বিকালে শ্যামনগর উপজেলার সোনামুগারি গ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য এস, এম জগলুল হায়দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী বিদ্যুৎ কালিগঞ্জ সার্কেলের জিএম তুষার কন্তি মন্ডল। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি জগলুল হায়দার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা আগামী ২১ সালের ভিতরে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ জালানোর প্রতি¯্রুতি আর আমার প্রচেষ্টায় আগামী ১৮ সালের ভিতরে শ্যামনগর উপজেলার প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া হবে। উপজেলা শহরের মাত্র ডেড় কিলোমিটার ব্যবধানে বিদ্যুৎ না থাকার ক্ষোভ আর বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার আনান্দে গ্রামবাসী আনান্দ প্রকাশ ও জারি গানের আনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সত্তর দশকের প্রেমে পরীমণি

শিরোনাম দেখে অনেকের মনে হতে পারে পরীমণি হয়তো সত্তর দশকের কোনো রি-মেক ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন। কিংবা সেই দশকের কোনো নায়কের প্রেমে পড়েছেন। আসলে তা কিন্তু নয়। তিনি প্রেমে পড়েছেন, তাও কিনা সত্তর দশকের একটি গাড়ির। তাই তো সেই গাড়িটিকে নিজের করে নিলেন হালের আলোচিত এই নায়িকা।

বাংলা সিনেমার সৌখিন একজন নায়িকার নাম পরীমণি। এমনকি সেটা বড় পর্দার বাইরেও। এবার তার সৌখিনতার পরিচয় পাওয়া গেল একটু ভিন্নভাবে। ‘প্রিমিও’ গাড়ি থাকার পরও নীল রঙের আরেকটি গাড়ি কিনলেন পরী। তবে এটি নতুন কোনো মডেলের নয়। গাড়িটি সত্তর দশকের মিতসুবিসি লাঞ্চার।
এ কারণেই অনেকে বলছেন হালের আলোচিত নায়িকা পরীমণি ফিরে গেছেন এবং প্রেমে পড়েছেন সত্তর দশকের।

সোমবার পরীমণি তার এই নতুন গাড়িটি বুঝে নেন। এরপরই ফেসবুকে আপলোড করেন নতুন গাড়ির ছবি।

এ প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, যাতায়াতের জন্য আমার আরেকটি গাড়ি রয়েছে। এই গাড়িটি আমি শো-পিস হিসেবে রেখে দেওয়ার জন্য কিনেছি। তবে গাড়িটির ইঞ্জিন সচল রাখতে মাঝেমধ্যে চালু করতে হবে। আমার মনে হয়, ঢাকায় খুব কম মানুষের কাছে এই মডেলের গাড়িটি রয়েছে।

এদিকে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে পরীমণি অভিনীত ছবি ‘অন্তরজ্বালা’। মালেক আফসারি পরিচালিত এই সিনেমায় তার বিপরীতে দেখা যাবে জায়েদ খানকে। এতে আরো অভিনয় করেছেন- নবাগত জয় চৌধুরী, মৌমিতা মৌ, মিজু আহমেদ, সাঙ্কু পাঞ্জা, রেহেনা জলি ও বড়দা মিঠু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জায়েদ-পরীর ‘পোস্টার লাগাব’ (ভিডিও)

পরীমণি ও জায়েদ খান অভিনীত ‘অন্তরজ্বালা’ বড় পর্দায় উঠবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। মুক্তির আগেই নানা আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে ছবিটি। এছাড়া দিন দিন চলচ্চিত্রপ্রেমীদের প্রত্যাশাও বাড়ছে একে ঘিরে। এ বছর বেশ কয়েকটি ছবি সাফল্যের শীর্ষ বিন্দু ছুঁয়েছে। আর কথায় আছে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। তাই বছরের শেষে ফিল্মপাড়ার লোকজনও মুখিয়ে আছেন এ ছবিটির দিকে।

সম্প্রতি এই ছবির একটি গান ইউটিউবে মুক্তি পায়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘পোস্টার লাগাব’ শিরোনামে আরও একটি গান মুক্তি পেয়েছে। গানটিতে বেশ চঞ্চল ও প্রাণোচ্ছ্বল লাগছে জায়েদ-পরীকে। অন্তরজ্বালা ছবিটি নিয়ে তাদের প্রত্যাশাও অনেক। তারাও অপেক্ষার প্রহর গুনছেন কখন মুক্তি পাবে এটি।
কারণ এতে জায়েদ এবং পরী- দু’জনই উজাড় করে অভিনয় করেছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে, মুক্তির আগেই রেকর্ডসংখ্যক হল বুকিংয়ের খবরে আলোচনায় উঠে এসেছে অন্তরজ্বালা। ছবিটি ১৭৫টি হলে মুক্তি দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন পরিচালক নিজেই। মালেক আফসারী জানান, এই হল সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

বেশ কয়েকটি ছবিতে ইতিমধ্যে জুটিবদ্ধ হয়েছেন জায়েদ-পরী। এই ছবিটি তাদের রসায়নের ‘এসিড টেস্ট’ বলে মনে করছেন কেউ কেউ। অপেক্ষা করছেন দর্শকরা এ জুটিকে কীভাবে গ্রহণ করেন। এখন দেখার পালা সত্যি সত্যি তারা অভিনয় দিয়ে দর্শকহৃদয়ে কতটা আগুন জ্বালাতে পারেন?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডিভোর্সের সিদ্ধান্তে অটল শাকিব, এ সিদ্ধান্ত মানহানিকর- অপু

অপু বিশ্বাস বলেছেন শাকিব তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে ডিভোর্স দিতে চাইছেন। প্রতিটি অভিযোগ তাকে প্রমাণ করতে হবে। একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার পর এখন তার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন শাকিব। এটি তার জন্য মানহানির সমতুল্য। এ কারণে অপু এখন প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। অন্যদিকে হায়দরাবাদে ‘নোলক’ ছবির শুটিংয়ে থাকা শাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমি অটল। আমি আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না। ডিভোর্স সংক্রান্ত বিষয়ে আমার আইনজীবী যা বলার বলবেন। ছেলে আবরাম খান জয় প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, সে তো আমারই সন্তান। আমার সন্তানের ভালোর জন্য যা যা করার দরকার, আমি অবশ্যই তা করব।

এদিকে চলচ্চিত্রকারদের মধ্যে অনেকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেছেন, অপু শাকিবকে স্বামী হিসেবে দাবি করলেও স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দায়িত্ব কখনো সে পালন করেনি।
কোনো বিষয়ে স্বামীর অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে শাকিবের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে। সে এখন পর্যন্ত তার নাম ‘অপু বিশ্বাস’ রেখেছে। বিয়ের সময় ধর্ম পাল্টে মুসলমান হিসেবে তার নাম রাখা হয়েছে ‘অপু ইসলাম খান’। এরপরেও এতদিন পর্যন্ত শাকিব চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সম্প্রতি শিশু সন্তান জয়কে বাসায় কাজের লোকের কাছে রেখে শাকিবের অনুমতি না নিয়ে অপু কলকাতায় চলে গেলে শাকিব হার্ডলাইনে যেতে বাধ্য হন। শাকিবকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অনুরোধ জানিয়ে অপু বলেন, না হলে আমার আর কোনো পথ থাকবে না। প্রয়োজনীয় যা করার সবই করতে হবে আমাকে। অপু বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাইছি। কারণ ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার পর আজ আমাকে শাকিব তালাক দিতে চাইছে। আমি এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াব। আমার সম্প্রদায় তো এখন আমাকে আর স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবে না। অপু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সহনশীল ও সুবিবেচনাপ্রসূত মনের মানুষ। তার সহমর্মিতা অতুলনীয়। আমি দেশের একজন প্রথম শ্রেণির নাগরিক। শাকিবের একরোখা সিদ্ধান্তে আমার জীবন এখন বিপন্ন। প্রধানমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপই এই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে আমাকে মুক্ত করতে পারে। মানবাধিকার ও নারী সংগঠনগুলোকেও পাশে চান অপু। তিনি বলেন, সেলিব্রেটি হলেও আমার সামাজিক মর্যাদা রয়েছে। ডিভোর্সের মতো একটি ন্যক্কারজনক সিদ্ধান্ত কখনো মেনে নেওয়া যায় না। অপুর কথায়, সংসারে ঝগড়া, ঝামেলা থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। শাকিবের সিদ্ধান্ত মেনে নিতাম যদি একই ধর্মের হতাম। আমাকে ও জোর করে ধর্মান্তরিত করেছে, বিয়ে করেছে। তাই তার এই অমানবিক সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেব না। অপু বলেন, যদিও এখন পর্যন্ত ডিভোর্সের কোনো চিঠি পাইনি তারপরও বিষয়টি শুনে অবাক হয়েছি। কারণ গত মাসের ২৮ তারিখে সন্তান জয়কে নিয়ে শাকিবের বাসায় গিয়েছি। জয়কে শাকিবের কাছে রেখে দুদিনের জন্য গ্রামের বাড়ি বগুড়া গিয়েছি। শাকিবের মা, বাবাকে বলেছি আমি নামাজ, রোজা, হজ আদায় করব আর শাকিবের সঙ্গে সুখে সংসার করব। তারাও আমার কথায় সম্মত হয়েছিলেন। এরপর এমন কী ঘটনা ঘটল যে, সে আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। অপু বলেন, জয়ের জন্ম নিয়েই শাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সন্তানের জন্ম হোক এটি শাকিব চায়নি। জয়ের জন্মের আগে শাকিবের আপত্তির মুখে তিনবার অ্যাবরশন করাতে হয়েছে তাকে। অপু বলেন, জয় যখন গর্ভে আসে তখন অ্যাবরশন করানোর জন্য আমাকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে পাঠায় শাকিব। সেখানকার চিকিৎসক জানান, যেহেতু আগে তিনবার অ্যাবরশন হয়েছে আর নতুন করে কনসেপ্টের সময় ৪ মাস হয়েছে, সেহেতু অ্যাবরশন করানো ঝুঁকিপূর্ণ। এরপর শাকিব আমাকে কলকাতা পাঠায় অ্যাবরশন করানোর জন্য। সেখানে শাকিব তখন ‘শিকারি’ ছবির শুটিং করছিল। শাকিব তার চাচাতো ভাই মুনিরকে দিয়ে আমাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে পাঠায়। সেখানকার চিকিৎসকরাও অ্যাবরশন ওই সময় ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তা করতে অস্বীকার করেন। তখন আমি সন্তান জন্মদানের সিদ্ধান্ত নেই। আর এতেই শাকিব আমার ওপর খেপে যায়। তার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সে আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয় এমন কি আমার মোবাইল নাম্বারও ব্লক করে দেয়। এতে মুনিরের মাধ্যমে শাকিবের সঙ্গে আমার যোগাযোগ চলতে থাকে। যে কোনো বিষয়ে শাকিবের অনুমতি নিতে মুনিরের মাধ্যমে তাকে জানিয়ে আসছি। অপু বলেন, শাকিবের কারণে আমি আমার নাম অপু ইসলাম খান বলে প্রকাশ করতে পারিনি। কারণ বিয়ের ব্যাপরটি ৮ বছর ও জয় গর্ভে আসার পর থেকে টিভি চ্যানেলে তা প্রকাশ করা পর্যন্ত দেড় বছর শাকিবের নির্দেশে বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি গোপন রাখতে হয়েছে। আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পাসপোর্ট থেকে শুরু করে সব জায়গায় ‘অপু বিশ্বাস’ নাম রয়ে গেছে। এসব বদলাতে তো সময়ের দরকার। শাকিব আমার সঙ্গে কথা বলে সব ঠিক করলে এক্ষেত্রে আর কোনো সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। এখন সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে শাকিব ও জয়কে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চাই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুন্দরবন থেকে ড্রোন উদ্ধার, ১২ বিদেশি পর্যটকের পাসপোর্ট জব্দ

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের আলোরকোলে বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে একটি ড্রোন উদ্ধার করেছে সুন্দরবন বিভাগ। এ সময়ে সুন্দরবনে অবৈধভাবে ড্রোন নিয়ে প্রবেশ ও উড়ানোর অভিযোগে মাল্টার নাগরিক ১২ পর্যটকের পাসপোর্টও জব্দ করা হয়েছে। একই সাথে ‘বাংলার বন সুন্দরবন’ নামের যে লঞ্চ করে বিদেশি এসব নাগরিকরা ড্রোন নিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করছিলো ওই ট্যুরিস্ট লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছে সুন্দরবন বিভাগ। আলোরকোল থেকে দুপুরে আটকের পর ড্রোনটি বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগে নিয়ে আসা হচ্ছে।

সুন্দরবনে ড্রোন দিয়ে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্যে দেখা ও ছবি ধারণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও বিদেশিএই ১২ পর্যটক কিভাবে ড্রোন নিয়ে সুন্দরবন প্রবেশ করলো ও ড্রোন উড়িয়ে কী কী দৃশ্য ধারণ করেছে তা খতিয়ে দেখছে সুন্দরবন বিভাগ।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএপও) মো. মাহমুদুল হাসান মাল্টার ১২ নাগরিকের কাছ থেকে ড্রোন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই ১২ বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ড্রোন বহনের কোন ঘোষণা দিয়েছিলো কিনা? সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সে কারণে তাদের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনে ড্রোন নিয়ে প্রবেশ ও উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের বিষয়টি পর্যটকরা না জেনেও থাকতে পারেন। তবে দেশি-বিদেশি কোনো পর্যটকই সুন্দরবনে ড্রোন নিয়ে প্রবেশ ও উড়াতে পারবে না এই মর্মে চিঠি দিয়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ট্যুর অপারেটরদের নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই সুন্দরবনে ড্রোন নিয়ে প্রবেশ ও উড়ানোর জন্য ১২ বিদেশি পর্যটকবাহী লঞ্চ ও ট্যুর অপারেটরের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেবে সুন্দরবন বিভাগ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest