সর্বশেষ সংবাদ-
সাউথ-এশিয়ান পিপলস ডায়ালগে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এগ্রোইকোলজির গুরুত্বারোপগ্রীন টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি হলেন মীর খায়রুলস্থানীয় জাতবৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে নেপালের পারমাকালচারের প্রতিনিধি দলসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভাসাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় ইসলামী সংগীত পরিবেশন : পুলিশ সদস্য মহিবুল্লাহ বরখাস্তসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি ও তার ছেলেকে কারাগারে প্রেরণসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি  লতিফ ও তার ছেলে রাসেল আটকসাংবাদিক মোমিনের সুস্থ্যতা কামনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিবৃতিশ্যামনগরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মাদক জব্দসাতক্ষীরায় ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া বিস্ফোরক দ্রব্যে আহত-২

সাতক্ষীরায় যমুনা ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় যমুনা ব্যাংকের ১১৫তম শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে শহরের আবুল কাশেম সড়কের খানপ্লাজায় উক্ত শাখাটির উদ্বোধন করা হয়। যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা ইলিয়াস উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন সিরাজী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, যমুনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা চেম্বার অব-কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও জেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ আবুল কালাম বাবলা প্রমুখ।
বক্তারা এ সময় বলেন, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড সম্পদের মান সংরক্ষণ, মূলধন পর্যাপ্ততা, সম্পদের গুণগত মান, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, সন্তোষজনক উপার্জনসহ প্রধান প্রধান লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গ্রাহক সেবা আরও দ্রুত ও স্বল্প সময়ে মানুষের দোর গোড়ায় পৌছে দেওয়ার লক্ষে সাতক্ষীরায় যমুনা ব্যাংকের ১১৫ তম শাখার উদ্বোধনের মধ্য দিযে এ জেলায় ব্যাংকিং সেবা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। যমুনা ব্যাংক আমদানি ও রপ্তানি অর্থায়নসহ ব্যাবসা-বাণিজ্য, মাঝারি ও বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানে মেয়াদি ঋণ ও চলতি মূলধন খাতে অধিকাংশ ঋণ বিতরণ করে থাকে। তবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পেও ব্যাংকটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঋণ বিতরণ করে থাকে।
বক্তারা আরো বলেন, যমুনা ব্যাংক মানব কল্যাণ ও সামাজিক দায়ীত্ব পালনের অংশ হিসেবে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মেধাবি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পুরস্কৃত এবং তাদের লেখাপড়ার দায়-দায়িত্ব নিয়ে থাকে। বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন এবং গরিব-দুঃস্থদের নিয়মিত আর্থিক সাহায্য প্রদানে ব্যাংকটির সামাজিক দায়িত্ব পালনের অপর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি ইসমাইল হোসেন সিরাজী ফিতা কেটে এ শাখাটির আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেতন ১০ হাজার বাড়ি কিনেছেন আড়াই কোটির, তদন্তে দুদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী তিনি। মাসিক মূল বেতন মাত্র ১০ হাজার টাকা। অথচ টাঙ্গাইলে ৫ কাঠা জমিতে তার আছে অত্যাধুনিক পাঁচ তলা বাড়ি। রাজধানীর খিলক্ষেতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন দোতলা বাড়ি। এ ছাড়া নামে-বেনামে তার আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পদ আছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে। টাকার কুমির এই লেজারকিপারের নাম আবদুর রশিদ। ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুদক। এর আগে ১৯ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা হয় দুদকে। শুধু তাই নয়, সিটি করপোরেশনে চাকরি নেওয়ার পর বর্তমান সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে লেজারকিপার থেকে রাজস্ব বিভাগে লাইসেন্স সুপারভাইজার পদে কারওয়ান বাজারস্থ ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিসে পোস্টিং বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। অদৃশ্য এক ক্ষমতায় একাই নিয়ন্ত্রণ করছেন চার-পাঁচটি ওয়ার্ড। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, অবৈধভাবে ঘুষ ও দুর্নীতির টাকায় ইতিমধ্যে টাঙ্গাইলের দিঘলিয়া এলাকার থানাপাড়া রোডের পানির ট্যাংকির সঙ্গে ৫ কাঠা জমিতে ‘মণ্ডলবাড়ী’ নামে অত্যাধুনিক পাঁচ তলা একটি বাড়ি তৈরি করেছেন রশিদ।

এমন আধুনিক নকশা আর নান্দনিক বাড়ি ওই এলাকায় আর একটিও নেই। রাজধানীর খিলক্ষেতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন আরও একটি দোতলা বাড়ি (ক/এ-৩/ডি খিলক্ষেত মধ্যপাড়া, পোস্ট অফিস রোড, ঢাকা)। এ ছাড়া রশিদের নামে-বেনামে আরও কয়েক কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে দুদক।
দুদক জানায়, তিনি জাল সনদ, নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ছাড়া তদবির ও জালিয়াতির মাধ্যমে লেজারকিপার পদে চাকরি পাওয়া রশিদ এখন ডিএনসিসিতে শ্রমিক লীগের প্রভাবশালী নেতা। শ্রমিক লীগ সভাপতি পরিচয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদে কর্মচারী নিয়োগ, পোস্টিং, পদোন্নতি দেওয়ার নামে অবৈধভাবে লোকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়েছেন রশিদ। ডিএনসিসিতে চাকরি দেওয়া ও প্রমোশন করে দেওয়ার কথা বলে ২০ জন কর্মচারীর কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা অগ্রিম ঘুষ নিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিনবার গর্ভপাত করাতে হয়েছে অপুকে!

নয় বছরের দাম্পত্য জীবনে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়। এ বছর তার প্রথম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়। এ বছরই স্ত্রী অপুকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠান শাকিব। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অপু বিশ্বাস জানিয়েছেন, জয়ের জন্মের আগে শাকিবের আপত্তির মুখে তিনবার অ্যাবরশন (গর্ভপাত) করাতে হয়েছে তাকে।

অপু জানান, জয়ের জন্ম নিয়েই শাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সন্তানের জন্ম হোক এটি শাকিব চায়নি। অপু বলেন, জয় যখন গর্ভে আসে তখন অ্যাবরশন করানোর জন্য আমাকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে পাঠায় শাকিব। সেখানকার চিকিৎসক জানান, যেহেতু আগে তিনবার অ্যাবরশন হয়েছে আর নতুন করে কনসেপ্টের সময় ৪ মাস হয়েছে, সেহেতু অ্যাবরশন করানো ঝুঁকিপূর্ণ।

ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও অপুকে ফের অ্যাবরশন করতে বলেন তার স্বামী শাকিব। অপু বলেন, ব্যাংককের পর শাকিব আমাকে কলকাতা পাঠায় অ্যাবরশন করানোর জন্য। সেখানে শাকিব তখন ‘শিকারি’ ছবির শুটিং করছিল।
শাকিব তার চাচাতো ভাই মুনিরকে দিয়ে আমাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে পাঠায়। সেখানকার চিকিৎসকরাও অ্যাবরশন ওই সময় ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তা করতে অস্বীকার করেন। তখন আমি সন্তান জন্মদানের সিদ্ধান্ত নেই। আর এতেই শাকিব আমার ওপর খেপে যায়। তার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সে আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয় এমন কি আমার মোবাইল নাম্বারও ব্লক করে দেয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘বোধিবৃক্ষ’ অশ্বত্থে দূর হবে ১০টি রোগ!

অশ্বত্থ বা অশথ গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Ficus religiosa। এটি এক প্রকার ডুমুর জাতীয় বৃক্ষ যার আদি নিবাস বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, দক্ষিণ পশ্চিম চীন এবং ইন্দোচীন। এটিকে বোধিবৃক্ষও বলা হয়ে থাকে। অশ্বত্থ এমন এক গাছ যা ২৪ ঘণ্টাই অক্সিজেন দেয়। আশপাশে একটু খোঁজ করলেই এই গাছ চোখে পড়ে।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে বেশ কিছু ওষুধ তৈরিতে অশ্বত্থের পাতা ব্যবহার করা হয়। শাস্ত্রমতে, কয়েক ধরনের হৃদরোগে অশ্বত্থের পাতা, ফল, ফুল, ছাল ও শেকড় বেশ কাজে দেয়।
সচরাচর দেখা দেয় এমন কিছু রোগ ও স্বাস্থ্যসমস্যায় অশ্বথ গাছের কিছু ব্যবহার এখানে দেওয়া হল-

১) স্মরণশক্তি: অশ্বত্থের পাকা ফল স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। কবিরাজি (আয়ুর্বেদ) চিকিৎসা মতে প্রতিদিন পাঁচটি করে অশ্বথের পাকা ফল গ্রহণ স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে। এটা শরীরকেও সুপুষ্ট, মজবুত করে।

২) হৃৎপিণ্ডের জন্য: গোটা ১৫ অশ্বত্থের পাতা একটি পাতিলে নিয়ে সেদ্ধ করুন।
পানি শুকিয়ে তিন ভাগের একভাগ হলে চুলা থেকে নামান। এবার এর ক্কাথগুলো তিন ভাগ করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে তিন ঘণ্টা পরপর দৈনিক তিনবার পান করুন এই তরল। কয়েকদিন চালিয়ে যান। এটা আপনার হৃদপিণ্ডকে মজবুত করবে এবং বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ প্রতিরোধ করবে।

৩) অস্বাভাবিক মাত্রায় অশ্রু: যদি চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়ে তাহলে অশ্বথের কয়েকটি কচি পাতা বা ৫টি মুকুল নিয়ে এক বাটি পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করলে অশ্রুঝরা বন্ধ এছাড়া কচি পাতার রসে বা মুকুলের রসে বিশুদ্ধ মধু মিশিয়ে কাঠি দিয়ে চোখে প্রতিদিন কাজল পাড়ার মতো লাগালে চোখের লাল ভাব বা জ্বালা দূর হয়।

৪) দাঁত ব্যাথা: দাঁত পরিষ্কার ও মজবুত করার জন্য এর শাখা থেকে বানানো মেসওয়াক ব্যবহার করুন। এই দাঁতন দন্তব্যথাও দূর করে থাকে। অশ্বথের কচি পাতা গোলমরিচের সঙ্গে বেটে মটরের দানার মতো ছোট ছোট গুটি তৈরি করে নিন। দাঁত ব্যথা দেখা দিলে এমনি একটা গুটি বা বড়ি ব্যথাযুক্ত দাঁতের নিচে কিছুক্ষণ চেপে রাখলে দাঁত ব্যাথা সেরে যায়।

৫) কৃমি: অশ্বথের পঞ্চাঙ্গ চূর্ণ এবং গুড় সমান মাত্রায় মিশিয়ে মৌরির আরকের সঙ্গে দিনে ২ বার সেবন করলে পেটের কৃমি মরে যায়। ছোট শিশুদের পক্ষে এটি দ্রুত ফলপ্রদ ঔষধি।

৬) কোষ্ঠকাঠিন্য: কখনো কখনো অন্ত্রের মধ্যে থাকা জল শুকাতে শুরু করে, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। এমন অবস্থায় সমাধান দেবে এই গাছ। অশ্বথের পাতা ছায়ায় শুকিয়ে চূর্ণ করে তাতে গুড় মিশিয়ে ছোট ছোট গুলি/বড়ি তৈরি করে নিন। কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে রাতে শোওয়ার আগে ২টি করে বড়ি হালকা গরম দুধের সঙ্গে সেবন করুন। দ্রুত আরাম হবে এবং পেট খোলাসা হয়ে দাস্ত হবে।

৭) গর্ভধারণ: যারা স্বাভাবিক গর্ভধারণে জটিলতার মুখে পড়ছেন তারা পিপল বা অশ্বথের শুকনো ফল থেকে উপকার পেতে পারেন। এই ফল শুকনো অবস্থায় সংগ্রহ করে থেঁতো বা গুঁড়ো করে চূর্ণ করে নিন এবং কাপড়ে ছেঁকে নিন। যে সমস্ত নারী নিঃসন্তান তাদের এই চূর্ণ ৫ গ্রাম মাত্রায় এক গ্লাস হালকা গরম দুধ (খাঁটি) সহযোগে কয়েক মাস নিয়মিত সেবন করালে একপর্যায়ে অবশ্যই গর্ভধারণ হবে। শুধুমাত্র ঋতুস্রাবের দিনগুলিতে এই ওষুধ সেবন বন্ধ রাখতে হবে।

৮) শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি: উপুর্যপরি শ্বাস পড়তে শুরু করলে বা হাঁপানির টান শুরু হলে অশ্বথের শুকনো ছালের চূর্ণ ৫ গ্রাম মাত্রায় নিয়ে হালকা গরম পানির সঙ্গে দিনে ৩ বার করে সেবন করলে রোগী প্রভূত আরাম বোধ করবে। নিয়মিত ব্যবহারে ধীরে ধীরে রোগও প্রশমিত হবে।

৯) নাক দিয়ে রক্ত পড়া: ৫০ গ্রাম পিপলের দুধ বা আঠাতে সমমাত্রায় মিছরি মিশিয়ে চূর্ণ করে নিন। প্রত্যেক দিন সকালে ৩ গ্রাম করে এই চূর্ণ সেবন করলে শরীরের গরম শান্ত হয় এবং নাক দিয়ে রক্ত পড়া প্রশমিত হয়।

১০) পুরুষদের দুর্বলতা: পুরুষদের বিশেষ করে মধ্যবয়সী পুরুষদের অনেক সময় এই যৌন সমস্যাটি অর্থাৎ শীঘ্রপতন সমস্যা দেখা যায়। এমন হলে প্রথম অবস্থায় পিপল গাছের সাদা রস ১১ ফোঁটা করে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কিছুর সঙ্গে নিয়মিত কিছুদিন সেবন করলে সমস্যা দূর হয়। নিয়মিত কয়েক মাস এই রস সেবন করলে ভাল ফল মেলে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ওজন কমাতে চাইলে সকালের নাস্তা করতে ভুলবেন না!

টেল আভিব ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক গবেষণা অনুসারে ৮ ঘণ্টা ঘুমের পর ঠিক মতো পেট ভরে সকালের নাস্তা না করলে শরীরে অন্দরে নানা নেতিবাচক পরিবর্তন হতে শুরু করে। বিশেষত জিন স্ট্রকচারে বদল আসতে শুরু করে। ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

১৮ জন স্বাস্থ্যকর মানুষের উপর এই গবেষণাটি চলাকালীন গবেষকরা লক্ষ্য করেছিলেন প্রাতঃরাশ না করলে সাইকেলিক ক্লক জিনে পরিবর্তন আসতে থাকে। যে কারণে ওজন বাড়তে থাকে। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে দৌহিক ওজন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি হলেই নানাবিধ মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই তো দিনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিল হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে সকালের নাস্তাকে। শরীরের সচলতা থেকে রোগমুক্তি সবই নর্ভর করে এই সময় কী খাবার, কতটা পরিমাণে খাওয়া হচ্ছে তার উপর।

অবাক করার মতো বিষয় হল সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় সিংহভাগই সকালের নাস্তা ঠিক মতো করেন না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়! একদিকে যেমন শরীর ভাঙতে শুরু করে, তেমনি একাধিক রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধে। ফলে লগু পাপে গুরুদণ্ড হয়ে যায়।
অর্থাৎ হঠাৎ মৃত্যুর আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

হাবার্ড ইউনিভার্সিটির করা এক গবেষণা অনুসারে যারা নিয়মিত ব্রেকফাস্ট করেন না, তাদের হাঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে হরমোনাল ইমব্যালেন্স সহ আরও নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ওজন বৃদ্ধি পায়
অনেকেই ভাবেন কম খেলে ওজন কমে। এই ধরণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। বরং যত কম খাবেন, তত বেশি বেশি করে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। কেন এমনটা হয় জানেন? সকালের নাস্তা না করার কারণে লাঞ্চের সময় আসতে আসতে এতটাই ক্ষিদে পেয়ে যায় যে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়ে যায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হতে হতে এক সময়ে গিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা সকালের নাস্তা, দুপুরের এবং রাতের খাবার এই তিনটে সময়ে ভুলেও খালি পেটে থাকতে মানা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যশোরে সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার হুলিহট্ট, প্রেমচারা, নরসিংহপুর ও উত্তর চাঁদপুর গ্রামে লুট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও গুমের অভিযোগে সাতজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) হুলিহট্ট গ্রামের আবু তাহের বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শাজাহান আলী অভিযোগটি গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কাজী রেফাত রেজওয়ান সেতু।

আসামিরা হলেন, হুলিহট্ট গ্রামের ফয়েজ আহম্মেদ, হাফিজুর রহমান, আব্দুল কাদের বাবু, নরসিংহপুর গ্রামের গাজী গহর আলী বিশ্বাস, পদ্মবিলা গ্রামের মীর আবু তাহের মুকুট এবং প্রেমচারা গ্রামের দুই ভাই আমজাদ মোল্লা ও সবুর মোল্লা।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে ইব্রাহিম ডাক্তারের নেতৃত্বে খাজুরা বাজারে ক্যাম্প গঠন করা হয়। প্রেমচারা গ্রামের মোজাম বিশ্বাসের বাড়ির কাচারি ঘর ক্যাম্পের দফতর হিসেবে ব্যবহার হতো। এ ক্যাম্পের নেতৃত্ব দিতেন আমজাদ মোল্লা ও সবুর মোল্লা। আমজাদ মোল্লা হুলিহট্ট ও নরসিংহপুর গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে শান্তি কমিটি গঠন করেন। এ কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন হাজী গহর আলী বিশ্বাস।

স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমজাদ মোল্লা, ইব্রাহিম ডাক্তার, ফয়েজ আহম্মেদ, মীর আবু তাহের মুকুট, হাফিজুর রহমান, আব্দুল কাদের বাবু ও হাজী গহর আলী বিশ্বাসের নেতৃত্বে হত্যা, গুম, নির্যাতন, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

আরও বলা হয়, প্রেমচারা গ্রামের নুর হোসেন দফাদারের ছেলে নওশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ায় তার মা ফুলজান বিবিকে রাজাকার কমান্ডার মজিদ ও ওহাব গুলি করে হত্যা করে। আসামিরা মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, নওয়াব আলী মণ্ডল, সুরমান মণ্ডল, ওয়াজেদ আলী মণ্ডল, আছুফ আলী সরদারের বাড়িতে হানা দিয়ে মালামাল লুটপাট, বাড়ির লোকজনদের গুলি করে হত্যাচেষ্টা ও অগ্নিসংযোগ করেছিলেন। ওই সময় বরিশাল থেকে আসা একটি কাফেলা ভারতে যাওয়ার সময় চতুরবাড়ির বাজারে অবস্থান নেয়। এ সংবাদ পেয়ে রাজাকার বাহিনীর সদস্য ওলিউল্লাহ ও তার ছেলে ফয়েজ আহম্মেদসহ অন্যরা কাফেলা থেকে ১২ নারীকে অপহরণ, যাবতীয় মালামাল, টাকা, সোনার গয়না লুট করে নিয়ে যায়। অপহৃত এসব নারীকে খাজুরা বাজারের রাজাকার ক্যাম্পের ইনচার্জ ইব্রাহিম ডাক্তারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

অভিযোগে বলা হয়, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে আসামিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে এলাকায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। যে কারণে তাদের ভয়ে কেউ কথা বলার সুযোগ পাননি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনায় এদের বিচারের আশায় তিনি এ মামলা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডোপিং কেলেঙ্কারিতে অলিম্পিকে নিষিদ্ধ রাশিয়া

সরকারি মদদে খেলোয়াড়দের বলবর্ধক ওষুধ সেবন করানোর দায়ে ২০১৮ অলিম্পিকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। দক্ষিণ কোরিয়ায় আগামী বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শীতকালীন এ অলিম্পিক শুরু হচ্ছে।

তবে যেসব খেলোয়াড় নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন, তাঁরা ‘নিরপেক্ষভাবে’ অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন বলেও আইওসি জানিয়েছে।

অলিম্পিকে নিষিদ্ধ করার এ ঘটনায় রাশিয়া ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। এই নিষেধাজ্ঞাকে মানহানিকর এবং অপমানজনক উল্লেখ করে কোনো কোনো রাজনীতিবিদ অলিম্পিক বয়কট করার প্রস্তাবও তুলেছেন।

রাশিয়া এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিলে যাবে উল্লেখ করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছে, এরপরও রাশিয়া টিকে থাকবে। বিশ্বযুদ্ধের পর, সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের পর এবং নিষেধাজ্ঞার পর যেভাবে টিকে ছিল, সেভাবেই রাশিয়া টিকে থাকবে।

২০১৪ সালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অলিম্পিকে সরকারি মদদে খেলোয়াড়দের ডোপিং বা বলবর্ধক ওষুধ প্রয়োগের অভিযোগ ওঠে। এরপরই এর তদন্তে নামে আইওসি। টানা ১৭ মাস এ তদন্ত শেষে কমিটি প্রতিবদেনে দিয়েছে।

এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই আইওসির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ মঙ্গলবার রাশিয়াকে শীতকালীন অলিম্পিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নেইমারদের হারিয়ে প্রতিশোধ নিল বায়ার্ন

সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে যে বিষপাণ করতে বাধ্য হয়েছিল জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ, প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় পর অবশেষে সেই বিষের জ্বালা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলেছে তাদের। ২৮ সেপ্টেম্বর পিএসজির মাঠে গিয়ে ৩-০ গোলে হেরে এসেছিল ভাবারিয়ানরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে এর আগে এতবড় পরাজয়ের মুখোমুখি আর কখনও। যে কারণে কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে পর্যন্ত বরখাস্ত করেছিল জার্মান জায়ান্টরা।

জাত্যাভিমান কতটা বেশি হলে এমন কাজ করতে পারে, তা এই ঘটনাই প্রমাণ করে। বায়ার্ন মিউনিখও ছিল প্রতিশোধের নেশায় মত্ত। কারণ, তাদের তো জানা, ফিরতি পর্বে তাদেরই ডেরা- আলিয়াঞ্জ এরেনায় খেলতে আসতে হবে নেইমার-কাভানিদের।

অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত। এবং সুযোগটা কাজেই লাগিয়ে ছাড়ল বায়ার্ন। গুনে গুনে পিএসজির জালে তারাও তিনবার বল প্রবেশ করাল। তবে, দুর্ভাগ্য যে একটি গোল হজমও করে ফেলতে হলো বায়ার্নকে। ফিরতি পর্বের এই ম্যাচে পিএসজিকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। দুই লেগের গড় গোলের হিসেবে কিন্তু পিএসজিই এগিয়ে থাকলো ৪-৩ ব্যবধানে।

এই জয়েও কিন্তু গ্রুপ পর্বে পিএসজিকে পেছনে ফেলতে পারেনি বায়ার্ন মিউনিখ। দু’দলেই পয়েন্ট হয়েছে সমান ১৫ করে। কিন্তু গোল গড়ে অনেক বেশি এগিয়ে পিএসজি। তারা এগিয়ে ২১ গোলে। বিপরীতে বায়ার্ন এগিয়ে ৭ গোলে। গোল ব্যবধানে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোল নিশ্চিত হলো পিএসজির। বায়ার্ন হলো রানারআপ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest