ভোমরা সড়কে লেগুনা সার্ভিস বন্ধ রাখার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা-ভোমরা সড়কে লেগুনা সার্ভিস বন্ধ রাখার দাবীতে সাতক্ষীরা জেলা অটোরিকসা, অটোটেম্পু মালিক সমবায় সমিতি জেলা আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিআরটি’এ’র সহকারী পরিচালক, সহকারী পরিচালক এন,এস,আই, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা অটোরিকসা, অটোটেম্পু মালিক সমবায় সমিতি লিঃ এর সকল নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে বিষয়টি অবহিত করেন। এসময় জেলা অটোরিকসা, অটোটেম্পু মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জোহর আলী বলেন, লেগুনা সার্ভিসের গাড়িগুলো আগে টাউন সার্ভিসের আওতায় চলাচল করতো। সাতক্ষীরা কদমতলা হতে আলিপুর চেক পোষ্ট পর্যন্ত, এছাড়া সাতক্ষীরা টু বৈকারী কদমতলা রোডে চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু গাড়িগুলি প্রাপ্ত রুটে চলাচল না করে তারা ভোমরা রোডে চলাচল করছে। একই রোডে দুই প্রকার যাত্রীবাহি গাড়ি চলাচল করলে চালকদের সাথে সংঘর্ষ হতে পারে এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। এই সংগঠনের কিছু শিক্ষিত, অল্পশিক্ষিত অসহায় বেকার যুবক ব্যাংক ও সমিতি থেকে লোন নিয়ে কিস্তিতে থ্রি-হুইলার, অটোরিকসা অটোটেম্পু গাড়ি ক্রয় করে সরকার অনুমোদিত বিআরটিএ থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে শুধুমাত্র সাতক্ষীরা থেকে ভোমরা রোডে চলাচল করে যাত্রীদের সেবা দিয়ে আসছে। বিগত ২০১৩ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারীর পর থেকে হরতাল অবরোধের নামে যখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ন্যায় এই জেলায় সন্ত্রাসী তান্ডব চালায় তখন আমরা উক্ত তান্ডব ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার হই এবং মালিক শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতৃত্বে হরতাল অবরোধ মুক্ত রাখার জন্য আমরা জীবনের ঝুকি নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাত্রী সেবা দিয়েছি এবং গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রেখেছি। এজন্য একান্ত মানবিক কারণে সংগঠনের মালিক শ্রমিকদের কথা ভেবে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে ভোমরা রোডে লেগুনা সার্ভিস চলাচল বন্ধের দাবী জানিয়ে বলিষ্ঠ হস্তক্ষেপ কামনা করেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ সরদার, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ডা. মুনছুর আহম্মেদ, জেলা পরিষদের সদস্য ওবায়দুর রহমান লাল্টুসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় সংসদ সদস্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠ সমাধানের আশ^স্থ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুন্দরবন সাংবাদিক ক্লাব শুভ উদ্বোধন

বিশেষ প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার সুন্দরবন সাংবাদিক ক্লাব-এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। সুন্দরবন উপকুলীয় এলাকার বিশেষ করে মুন্সীগঞ্জ, বুড়িগোলিনী, আটুলিয়া, গাবুরা, রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়নের সাংবাদিকগণ মিটিংয়ের মাধ্যমে ইতোপূর্বে সর্ব সম্মতিক্রমে সুন্দরবন সাংবাদিক ক্লাব-এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন এবং মুন্সীগঞ্জ বাস ষ্ট্যান্ডে উক্ত সাংবাদিক ক্লাবটির অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। অবশেষে শ্যামনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: আকবর কবির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সুন্দরবন সাংবাদিক ক্লাবটির শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস.কে. সিরাজ এবং উক্ত ক্লাবের উপদেষ্টা এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম। সুন্দরবন সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি মো: আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক ক্লাবের সহ-সভাপতি দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান তালেব, সহ-সভাপতি দৃষ্টিপাত আটুলিয়া প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন, সহ-সভাপতি দৃষ্টিপাত মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন প্রতিনিধি সোহারাব হোসেন, সহ-সভাপতি মো: আব্দুল হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক পত্রদূত মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি মো: বিল্লাল হোসেন প্রমূখ। প্রধান অতিথি অনেক দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আপনারা অর্থের বিনিময়ে কোন সত্য সংবাদ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকবেন না। এতে সাংবাদিকদের ভাব মূর্তি ক্ষুন্ন হয়। তবে আপনারা কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন নিউজ পত্রিকায় পাঠানোর পূূর্বে অবশ্যই তার বক্তব্য নিয়ে পত্রিকায় ছাপাবার ব্যবস্থা করবেন। যদি কোন সংবাদিকের মধ্যে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়, তাহলে ১ঘন্টার মধ্যে বসে নিজেরাই বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন, যাতে তৃতীয় পক্ষ কোন প্রকার সুযোগ নিতে না পারে। তিনি আরও বলেন, যে কোন পরামর্শ বা সমস্যায় আমি এবং আমার প্রেস ক্লাবের সকল সদস্য আপনাদের পাশে আছি। এ ক্লাবটির উন্নতির জন্য আমি আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করব। বিশেষ অতিথি এস.কে সিরাজ এবং উপদেষ্টা এস.এম. জাহাঙ্গীর আলমও দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পিযুস কান্তি বাউলিয়া (পিন্টু)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিন দশক পরেও অমলিন শহীদ নূর হোসেন

‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ বুকে পিঠে লেখা এই স্লোগানটি মনে করিয়ে দেয় একটি নাম, নূর হোসেন। যে নামটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একটি আন্দোলনের ইতিহাস। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর এরশাদবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণ হারান নূর হোসেন।

নূর হোসেনের এই আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করে। অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। এরপর থেকেই ১০ নভেম্বর পালন করা হয় শহীদ নূর হোসেন দিবস হিসেবে।

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নূর হোসেন তার বুকে ও পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে ১৯৮৭ সালের এই দিনে ১৫-দলীয় ঐক্যজোটের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। মিছিলটি যখন জিরো পয়েন্টে পৌছে, তখন স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। গুলিতে নূর হোসেনের বুক ঝাঁঝরা হয়ে যায়। এ ছাড়া নূরুল হুদা ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো শহীদ হন। তাদের এ আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করে।

বিশেষ এই দিনটি উপলক্ষে বানী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তার বানীতে বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ১০ নভেম্বর একটি অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিন যুবলীগ নেতা নূর হোসেনের রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল।

বানীতে শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে বাবুল, ফাত্তাহসহ আরো নাম না জানা অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। অবশেষে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পায় জনগণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সন্ধ্যায় জাপানের বিপক্ষে মাঠে নামবে নেইমারের ব্রাজিল

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব

সুইডেন-ইতালি
সরাসরি, রাত ২.৩০ মি.
সনি টেন ২

প্রীতি ম্যাচ

ব্রাজিল-জাপান
সরাসরি সন্ধ্যা ৬ টা

ইংল্যান্ড-জার্মানি
সরাসরি, রাত ২টা
সনি টেন ১

বাস্কেটবল

এনবিএ রেগুলার
দেনভার-ওক্লাহোমা
সরাসরি, সকাল ৯.৩০ মি.
সনি সিক্স

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বকাপে মেসির ফেভারিট নেইমারের ব্রাজিল!

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার অংশগ্রহণই পড়েছিল বিপর্যয়ের মুখে। আরেকটু হলে বাছাইপর্ব থেকেই ছিটকে পড়তে হত মেসিদের। কিন্তু ইকুয়েডরের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় তুলে নিয়ে ত্রাতা হয়ে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ করে দেন এই মেসিই। সেই মেসি রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজের দল আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জয়ের তালিকায় রাখতে পারছেন না। তার পছন্দের তালিকায় রয়েছে ব্রাজিল, স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানি।

এ প্রসঙ্গে মেসি বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এবার শিরোপা জয়ের তালিকায় এগিয়ে থাকবে ব্রাজিল, স্পেন ও জার্মানি। এরা কঠিন প্রতিপক্ষ হবে।’

 এদিকে আগামী ১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ড্র। বাছাই পর্বে খুব বেশি সংগ্রাম করতে হলেও আর্জেন্টিনা রয়েছে পট-১ এ। আর ২০১০ বিশ্বকাপজয়ী স্পেন রয়েছে পট-২ এ। খুব বেশি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে গ্রুপ পর্বেই লা রোজাদের বিপক্ষে মেসিদের পড়ার। সেটাই এখন খুব ভয় হিসেবে কাজ করছে মেসির মনে। তিনি সরাসরিই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘স্পেন খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। বিশ্বকাপে আমি চাই না তাদের বিপক্ষে খেলতে।’

টাইকস্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘গ্রুপ পর্বে আমি স্পেনের মুখোমুখি হতে চাই না। কারণ, তারা খুব কঠিন প্রতিপক্ষ।’ স্প্যানিশ লা লিগায় খেলার কারণে, মেসি জানেন স্প্যানিশরা কতটা কঠিন। এ কারণেই তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্পেনের বিপক্ষে না খেলার।

এরপরই আসে বিশ্বকাপের শিরোপা স্বপ্নের প্রসঙ্গ। আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে মেসির উত্তর, ‘আমাদের সবার একটাই চাওয়া-বিশ্বকাপ জয়।’ বিশ্বকাপ জিতলে কি করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ৩০ বছর বয়সী মেসির চটজলদি উত্তর, ‘আমরা যদি বিশ্বকাপ জিততে পারি, আমি সান নিকোলাস পর্যন্ত হাঁটব (বুয়েনস এরিস থেকে ১৬৫ কিলোমিটার দূরের একটি শহর)।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দাঁতে যদি ব্যথা হয়

দাঁত থাকলে ব্যথাও হবে এটাই যেন অলিখিত নিয়ম। বিভিন্ন কারণে হতে পারে দাঁতে ব্যথা। এর মধ্যে প্রথম কারণটি হলো, দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে গিয়ে দাঁতের ভেতর যে স্নায়ুর সংযোগ থাকে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। ফলে একপর্যায়ে দাঁতে ব্যথা হয়। মনে রাখবেন, দাঁত বা মাঢ়ির যে কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতার কারণে দাঁতে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে। যদি আমাদের দাঁতে স্হাপিত কোনো ফিলিং ক্রাউন অর্থাৎ ক্যাপ হঠাৎ করে পড়ে যায় কিংবা নষ্ট হয়ে যায়, তবে দাঁতের ভেতরের অংশের নার্ভ বা স্নায়ু উন্মুক্ত হয়ে যায়।

দাঁতে খাদ্যকণা আটকে যাওয়ায় সৃষ্ট পরিস্হিতিকে ডেন্টাল সার্জনরা ডেংব্রিজ লস বলে থাকেন। দাঁতে প্রচন্ড ব্যথা হলে প্রথমেই আপনাকে একজন ডেন্টাল সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে আপনার দাঁতের ব্যথা তো আর থেমে থাকবে না। তাই ব্যথা কমানোর জন্য আপনি শুধু নিয়ম পালন করতে পারেন।

দাঁতের ব্যথা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই একটা ভুল ধারণা রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো দাঁত পোকায় খাওয়া বা পোকা লাগা। দাঁতে কোনো ধরনের পোকা থাকে না। অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। আর তাই বেদে-বেদেনীদের দ্বারা দাঁতের তথাকথিত চিকিৎসায় আমাদের নিশ্চিত কোনো মুক্তি মেলে না। বরং এতে আমরা দাঁতের অকাল মৃত্যুকেই ডেকে আনি।

এ অবস্থায় দাঁতে অকল্পনীয় ব্যথা হয়ে থাকে। এসব ক্ষেত্রে গরম কিংবা ঠান্ডা পানি, এমনকি বাতাসের সংস্পর্শে দাঁতের ব্যথা বেড়ে যায়। কারণ সেলুলোজ জাতীয় আঁশযুক্ত খাবার খুব সহজে দাঁতের ফাঁকে ও মাঢ়িতে আটকে যায়। দীর্ঘ সময় খাবার আটকে থাকার ফলে মাঢ়ি ও দাঁত দুটোই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে। আর তখনই দাঁতে প্রচন্ড ব্যথা অনুভুত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বৃটিশ সমকামী সেফ হাউজে প্রথম বাংলাদেশি

সমকামী আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীদের জন্য বিশ্বের প্রথম সেফ হাউজ (নিরাপদ আশ্রয়) খোলা হয়েছে বৃটেনে। সেফ হাউজটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর আগেই অক্টোবরে।
নতুন এই সেফ হাউজে সবার আগে বাংলাদেশি রশিদ ও এল সালভাদরের মারিয়া আশ্রয় পেয়েছেন। এ খবর দিয়েছে জি-সিন।

খবরে বলা হয়, সমকামী, উভকামী, ট্রান্সজেন্ডার ও উভলিঙ্গতাবিশিষ্ট মানুষদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান মাইক্রো রেইনবো ইন্টারন্যাশনাল (এমআরআই) সেফ হাউজটি তৈরি করেছে। নভেম্বরে আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ওয়েইল, গটশাল অ্যান্ড ম্যাঞ্জিস এলএলপির লন্ডন কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সেফ হাউজটির উদ্বোধন করা হয়।

উল্লেখ্য, আইন সংস্থাটি এমআরআইকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এখন পর্যন্ত ২৩০ ঘণ্টার বেশি সময় প্রো-বোনো (কম খরচে বা বিনা খরচে দেয়া আইনি সেবা) সেবা দিয়েছে।

খবরে আরও বলা হয়, যুক্তরাজ্যে আসা অনেক সমকামী আশ্রয়প্রার্থী এখনো নিরাপদ নয়। বাংলাদেশি রশিদ যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পর বেশ কয়েক মাস গৃহহীন অবস্থায় ঘুরে বেড়ায়। মারিয়াকেও সম্মুখীন হতে হয়েছে নানা দুর্ভোগের। মারিয়া বলেন, ‘আমাকে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে থাকার জন্য যেই জায়গা দেয়া হয়েছিল, সেখানে আমি প্রায় প্রতিদিনই শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হতাম।
একবার একজন আমার ওপর একটি পাত্র ছুড়ে মারে। আমি কখনোই নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারতাম না। কেউ আমাকে আঘাত করার চেষ্টা করছে কিনা এ নিয়ে আমি সব সময় উদ্বিগ্ন থাকতাম। ’

এমআরআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মী সেবাস্টিয়ান রক্কা বলেন, বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। ওইসব দেশ থেকে প্রতি বছর এক হাজারের বেশি সমকামী আশ্রয়প্রার্থী আসে যুক্তরাজ্যে।

এমআরআই প্রতি বছর ১৫০ জন এমন আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীকে সহায়তা দান করে থাকে। তাদের গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়, বিভিন্ন সাপোর্ট গ্রুপে যোগ দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়, চাকরি পেতে সহায়ক এমন প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকে। এমআরআইয়ের এই পদক্ষেপগুলোকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে শুধু একটি সেফ হাউজের অভাব ছিল। আর আমরা এ বিষয়টি নিয়ে খুবই আনন্দিত যে, যুক্তরাজ্যে প্রথম সেফ হাউজটি কার্যকর হয়েছে। ’

এমআরআইয়ের সমকামীদের জন্য নির্মিত এই সেফ হাউজ নিয়ে মারিয়া বলেন, আমি এখানে আসার পর সবার আগে কিছুক্ষণ পরিত্রাণের কান্না করি। এরপর আমি আমার কাপড়-চোপড় ও হাই-হিল জুতাগুলো বের করি। আমি কয়েক মাস ধরে এগুলোর ওপর একবারও চোখ বুলাতে পারিনি।

এমআরআইয়ের হাউজিং প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মৌদ গোবা বলেন, মারিয়া এক বছরের বেশি সময় আগে আশ্রয় চায়। এখনো সে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। রশিদ দুই সপ্তাহ আগে তার আশ্রয়প্রার্থিতার জন্য সাক্ষাৎকার দিয়েছে। আশ্রয় পাওয়ার জন্য আবেদন করার তারিখ নির্ধারণ করতে তাকে এক বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাদের আরো অনেক কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তবে এখন অন্তত তাদের আর ঘুমানোর জায়গা বা কারো নির্যাতনের শিকার হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এমআরআইতে তারা এমন কাউকে পেয়েছে যারা তাদের সঙ্গে আশ্রয়ের এই যাত্রার সঙ্গী হবে। ’

ওয়েইল এর প্রো বোনো অ্যান্ড সিএসআর বিভাগের প্রধান রবার্ট পওয়েল বলেন, এমআরআইকে তাদের এই অসাধারণ প্রকল্পে প্রো বোনো আইনি পরামর্শ দেয়াটা আমাদের জন্য একটি আনন্দময় অভিজ্ঞতা ছিল। এটা নিশ্চিত যে, আমাদের আইনজীবীরা সমকামীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় তৈরিতে বাস্তব ও ইতিবাচক একটি সামাজিক কর্মকা-ে সহায়তা করেছে। আমরা এমআরআইকে ২০১৮ সালে এমন আরো সেফ হাউজ নির্মাণে সহায়তা করবো।

প্রথম সেফ হাউজটিতে মাত্র চারজন মানুষের থাকার জায়গা আছে। একটি দ্বিতীয় সেফ হাউজও নির্ধারিত করা হয়েছে। এটি আগামী ডিসেম্বরে খোলা হবে। ২০১৯ সালের আগে কমপক্ষে ১৫০ জন সমকামী আশ্রয়প্রার্থীকে এমআরআইয়ের এরকম বিভিন্ন সেফ হাউজ প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উত্তাপ ছড়াচ্ছে সানির ‘বার্বি গার্ল’ (ভিডিও)

সানি লিওন ফের নতুন অবতারে, লয়লা, বেবি ডল, হয়ে এবার তিনি বার্বি গার্ল। রাজীব ওয়ালিয়া নির্দেশিত ‘তেরা ইন্তেজার’ ছবিতে সানিকে বার্বি গার্ল বলে গান তৈরি হয়েছে।
পিঙ্ক ঘাঘরায় লাস্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন শাহরুখ খানের ‘লয়লা’।

তবে অনেকেই বলছেন, এই ভিডিওতে সেভাবে হট লাগেনি সানিকে। লাস্যের জাদুতে দুনিয়া কাঁপানো সানি নাকি হট হয়ে উঠতে পারেননি। আসলে তেরা ইন্তাজার ছবি-র এই গানে সানির সঙ্গে ডান্স ফ্লোরে এসেছেন আরবাজ খান। আসলে এতেই চটেছেন সানি ফ্যানরা তাদের মতে আরবাজের উপস্থিতিতেই পুরো ব্যাপরটা ছানা কেটে গেছে।

স্বাতী শর্মা এবং লিল গোলুর গান গেয়েছেন এই ভিডিওতে। তবে যেভাবে সানি উত্তাপ ছড়িয়ে থাকেন এই গানে নাকি তার দেখা মেলেনি। বেবি গার্ল, লায়লা তো দূরের কথা নিদেনপক্ষে ইমরান হাশমির সঙ্গে বাদশাহোতে ‘পিয়া মোরে’ গানে যেভাবে দেখা গিয়েছিল সানিকে, আরবাজের সঙ্গে অন স্ক্রিন কেমিস্ট্রিতে তার ছিটে ফোঁটাও আনতে পারেননি তিনি। তবে এটা সানির আইটেম নাম্বার নয়, এই ছবিতে আরবাজের বিপরীতে অভিনয় করেছেন লাস্যময়ী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest