সর্বশেষ সংবাদ-
বিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরসাতক্ষীরায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প সমাপনীতালায় আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারআশাশুনিতে আশা ব্রিক্সের লেলিহান শিখায় জনজীবন বিপর্যস্ত

সভাপতি পদে অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাহুল

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী (৪৭)। গতকাল সকালে দিল্লিতে ২৪ আকবর রোডে অবস্থিত কংগ্রেসের সদর দফতরে রাহুল তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, কুমারী শৈলজা, সি পি যোশী, অম্বিকা সোনি, আনন্দ শর্মা প্রমুখ। এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে দাদি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দুই কংগ্রেস নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। এর একজন হলেন দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, অন্যজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। পাশাপাশি দুজনের কাছ থেকেই তাদের আশীর্বাদ চেয়ে নেন রাহুল। গত মাসেই দিল্লিতে দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দলের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে রাহুলের নাম প্রস্তাব করা হয়। সে ক্ষেত্রে মা সোনিয়ার স্থলাভিষিক্ত হবেন রাহুল। ১৯৯৮ সালে দলের সভানেত্রী হন সোনিয়া। বর্তমানে দলের সহসভাপতির পদে রয়েছেন রাহুল। ২০১৩ সাল থেকে এই পদে রয়েছেন তিনি।
গতকাল বিকাল ৩টায় মনোনয়নপত্র পেশ করার শেষ সময় ছিল। এই সময়ের মধ্যে আর কেউ এই পদে মনোনয়নপত্র জমা না দিলে আজ বিকালেই ঘোষণা হয়ে যেতে পারে যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হয়েছেন রাহুল গান্ধী। তবে একটির বেশি মনোনয়নপত্র জমা পড়লেই সভাপতি পদে নির্বাচনের দিন ঘোষণা দেবেন দলের নির্বাচন কমিশনার মুলাপল্লি রামচন্দ্রন। এদিকে সভাপতি পদে রাহুলের মনোনয়নপত্র পেশের পর তাকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া, দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ, উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজ বাব্বর, কংগ্রেস সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াসহ শীর্ষ নেতৃত্ব। ৯ ডিসেম্বর মোদির রাজ্য গুজরাটে প্রথম দফার বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে রাহুলের এই পদোন্নতি দলকে আরও চাঙ্গা করবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সে ক্ষেত্রে রাহুলকে কাছে পেয়ে নতুন উদ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবে কংগ্রেস। নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যেই কার্যত গোটা গুজরাটেই চষে বেড়াচ্ছেন রাহুল, মিটিং-মিছিল, সভা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলা, তাদের সঙ্গে মিশে যাওয়া কোনো কিছুই বাদ রাখছেন না তিনি। স্বভাবতই বেশ কিছুটা চাপে রাজ্যটির শাসক দল বিজেপি। তবে এত কিছুর পরও গুজরাটে ভোটে কংগ্রেসের পক্ষে ইতিবাচক প্রতিফলন পড়ে কিনা সেটাই এখন দেখার। আর যদি ফল খারাপ হয় তাহলে ফের রাহুলকে নিয়ে বিতর্ক যে শুরু হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আর্জেন্টিনায় ভেঙ্গে ফেলা হলো মেসির মূর্তি
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়রেসে ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির একটি ব্রোঞ্জের তৈরি মূর্তি কে বা কারা উপড়ে ফেলেছে। স্থাপনের পর দ্বিতীয়বার এই ঘটনা ঘটলো।
লিওনেল মেসিই হয়তো আর্জেন্টিনার সর্বকালের অন্যতম শীর্ষ তারকা। কিন্তু তার দেশেই কে বা কারা মেসির একটি ভাস্কর্য গোড়ালি থেকে ভেঙ্গে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে। ২০১৬ সালের জুন মাসে রাজধানী বুয়েনস আয়রেসে ব্রোঞ্জের মূর্তিটি স্থাপন করার পর দ্বিতীয়বারের মতো এ ঘটনা ঘটলো।
মেসি এবার একাই আর্জেন্টিনাকে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে নিয়ে গেছেন। অক্টোবরে এক ম্যাচে একুয়েডরের বিরুদ্ধে মেসি সেদিন হ্যাট্রিক না করলে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারতো।
রাজধানী শহরের যে জায়গায় দেড় বছর আগে মেসির এই মূর্তিটি স্থাপন করা হয়, সেখানে আর্জেন্টিনার বড় বড় সব ক্রীড়া তারকার, যেমন টেনিস তারকা গাব্রিয়েলা সাবাতিনি বা বাস্কেটবল তারকা জিনোবিলি, মূর্তি রয়েছে। কিন্তু মেসির মূর্তিকেই বারবার টার্গেট করা হচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসেও মূর্তিটি কোমর থেকে অর্ধেক করে ফেলা হয়েছিলো।
মেসি ২০০০ সালে বার্সেলোনায় খেলার জন্য দেশ ছাড়েন। মেসি চারবার বার্সেলোনাকে ইউরোপীয় কাপ জিতিয়েছেন, আটবার লা লীগা জিতিয়েছেন, পাঁচবার বিশ্ব সেরা ফুটবলার হয়েছেন, কিন্তু আর্জেন্টিনাকে একবারও বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি। ২০১৬ সালের কোপ আমেরিকার ফাইনালে চিলির বিরুদ্ধে পেনাল্টি মিস করায় তাকে নিজের দেশে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। বিবিসি
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বি চৌধুরীর নেতৃত্বে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে চারটি ছোট রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে একটি রাজনৈতিক জোট। দলগুলো হলো—বিকল্প ধারা, জেএসডি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও নাগরিক ঐক্য। সোমবার রাতে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসায় এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এই জোটে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম নেই। জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জোট গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক বি চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করছি। এই জোট চার দলীয় বা পাঁচ দলীয় কোনও জোট হবে না। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, যারা জনগণের ভাগ্যে পরিবর্তনে বিশ্বাস করেন, তাদের সবাইকে আমরা আহ্বান করব।’
যুক্তফ্রন্টের নতুন চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সবার জন্য এই জোটের দুয়ার খোলা। এটা কোনও লিমিটেড দলের জোট নয়। দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের স্বার্থে জোট করেছি। যেন গ্রামের মানুষের উন্নয়ন হয়, তারা যেন খেতে পায়, পরতে পারে, গণতন্ত্রকে গ্রাম পর্যন্ত বিস্মৃত হয় ও দেশে যেন সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ হয়, এটাই আমাদের টার্গেট।’
এক প্রশ্নের উত্তরে বি চৌধুরী জানান, ‘ড. কামাল হোসেন বলেছেন, নিজস্ব কিছু পদ্ধতি তাদের আছে। তারা বলেছেন, এই মুহূর্তে আপনাদের সঙ্গে নেই। তবে তারা বলেছেন, আপনাদের সভা-সেমিনার হলে আমন্ত্রণ জানালে আমরা থাকব। সুতরাং, তাদের নিজস্ব পলিসির কারণে তারা নেই।’
জোটের পক্ষ থেকে ডিএনসিসি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এসব এখন বইলেন না, লোকে খারাপ ভাববে।

জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘‘ড. কামাল হোসেন বলেছেন, তিনি কোনও জোটে থাকবেন না। তাই গণফোরামকে এই জোটে রাখা হয়নি। তিনি বর্তমানে থাইল্যান্ডে রয়েছেন।’’

জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন জানান, ‘এর আগে জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রবের বাসায় বৈঠকে বসেন ছোট চারটি দলের শীর্ষ নেতারা। তৃতীয় একটি জোট গঠনের লক্ষ্যে এই ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবেই এ বৈঠক হচ্ছে। সোমবার রাত সাড়ে আটটা থেকে বৈঠক শুরু হয় রবের উত্তরার বাসায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকটি হচ্ছে জোট গঠনের ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে। বৈঠকে অংশ নিতে এরই মধ্যে রবের বাসায় পৌঁছেছেন বিকল্প ধারা সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এছাড়া আসম রব ও আবদুল মালেক রতন উপস্থিত আছেন বৈঠকে।’

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন,  ‘আমরা এই জোটে নেই। জোট গঠন করা হয়েছে, এটি খুব ভালো খবর। আশা করি ভবিষ্যতে আরও বড় জোট হবে।’

রাতে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে বি চৌধুরী বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, নির্বাচন নিশ্চিতকরণ ও নানা সংকটের সমাধানের লক্ষ্যে নতুন জোট গঠিত হয়েছে।’
আবদুল মালেক রতন জানান, ‘এক বা দু সপ্তাহ পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান হবে। ’এই সময়ের মধ্যে জোটের কাঠামো, কর্মসূচি ঠিক করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে মাহমুদুর রহমান মান্না বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নতুন জোট গঠন করায় বি চৌধুরী ও আমাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতিসংঘ মিশনে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের নাইমা ও তামান্না

বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার থেকে নেমে এলেন দুই বৈমানিক। গায়ে বিমানবাহিনীর জলপাই রঙের পোশাক। চোখে কালো চশমা। চলনে-বলনে দুই বৈমানিকের আত্মবিশ্বাসটা স্পষ্ট। দুই বৈমানিকের একজন নাইমা হক ও অন্যজন তামান্না-ই-লুৎফি।

দেশের ইতিহাসে গর্বের সঙ্গে উচ্চারিত হবে ওই দুই নাম। ওই দুই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট জাতিসংঘ মিশনে যোগ দিতে আফ্রিকার কঙ্গো যাচ্ছেন। এই প্রথমবারের মতো দুই নারী বৈমানিক জাতিসংঘ মিশনে যোগ দিচ্ছেন।

আগামী ৭ ডিসেম্বর কঙ্গোর উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করবেন দুই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট। বিষয়টি জানাতে ঢাকা সেনানিবাসের ঘাঁটি বাশারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা ও তামান্না।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পেশাগত জীবনে বৈমানিক হিসেবে তাঁদের এই সাফল্য বিমানবাহিনী এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উড্ডয়নের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।’ আরো বলা হয়, ‘দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাঁদের যোগদান বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করেছে।’

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এবার প্রথমবারের মতো বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে নারী পাইলট হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে যাচ্ছি। এর জন্য যা প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন, বিমানবাহিনী ইতিমধ্যেই আমাদের দিয়েছে।’

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুৎফি বলেন, ‘আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অপারেট করেছি। যেহেতু কঙ্গো একটি পাহাড়ি এলাকা, আমরা পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।’

আইএসপিআর জানিয়েছে, সামরিক বৈমানিকের মতো চ্যালেঞ্জিং ও ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নারী বৈমানিকদের গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাইয়ের পর বিমানবাহিনীতে কর্মরত দুজন নারী কর্মকর্তা ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুৎফি মনোনীত হন উড্ডয়ন প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ১৮ নং স্কোয়াড্রনে বেল-২০৬ হেলিকপ্টারে বেসিক কনভার্সন কোর্সের জন্য মনোনীত হওয়া এই দুই নারী কর্মকর্তা ২০১৪ সাল থেকে তাঁদের গ্রাউন্ড প্রশিক্ষণ শুরু করেন। একই বছর প্রথমবারের মতো তাঁদের উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে ২৫ ঘণ্টা সফল প্রশিক্ষণ উড্ডয়ন শেষে তাঁরা একক উড্ডয়ন তথা প্রথম একক উড্ডয়ন (Solo Flight) সম্পন্ন করেন। এভাবে নাইমা ও তামান্না ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করে বৈমানিক হয়ে ওঠার প্রাথমিক পর্যায় শেষ করেন।
নাইমা ও তামান্না বেল-২০৬ হেলিকপ্টারে ৬৫ ঘণ্টা উড্ডয়নের প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করার পর বিমানবাহিনীর বিভিন্ন হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রনে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁরা ২০৬ হেলিকপ্টার কনভারশন কোর্স, এমআই-১৭, এমআই-১৭১ এবং এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন। উভয়ে ভারত থেকে এভিয়েশন মেডিসিন-এ প্রশিক্ষণ নেন। তাঁরা দুজনই পার্বত্য চট্টগ্রামে অপারেশনস উত্তরণে অপারেশনাল পাইলট হিসেবে দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অভিনেতা শশী কাপুর আর নেই

বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা শশী কাপুর আর নেই। ৭৯ বছর বয়সে ভারতের মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

এনডিটিভি জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন আমবানি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন শশী কাপুর। তাঁর স্বজনরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে কিডনির অসুখে ভুগছিলেন শশী কাপুর। কয়েক বছর ধরে তিনি হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতেন। আগামী মঙ্গলবার তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

বলিউডে ‘কাপুর’ পরিবারের অন্যতম একজন শশী কাপুর। তাঁর বাবা পৃথ্বিরাজ কাপুর ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র ও নাটকের অগ্রদূত। শশী কাপুর ছিলেন পৃথ্বিরাজের তিন সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ। শশী কাপুরের বড় দুই ভাই হচ্ছেন বিখ্যাত অভিনেতা রাজ কাপুর ও শাম্মি কাপুর। তিন ভাইয়ের মধ্যে ১৯৮৮ সালে মারা যান বড় ভাই রাজ এবং ২০১১ সালে মারা যান শাম্মি।

শশী কাপুরের তিন সন্তান; সানজানা, কুনাল ও করণ। স্ত্রী ব্রিটিশ অভিনেত্রী জেনিফার কেনডাল মারা যান ১৯৮৪ সালেই।

শশী কাপুর ২০১১ সালে ভারত সরকারের সম্মাননা ‘পদ্মভূষণ’ লাভ করেন। ২০১৫ সালে তিনি ‘দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

শিশুশিল্পী হিসেবেই শশী কাপুর অভিনয় জীবন শুরু করেন। কয়েক দশকজুড়ে শশী কাপুর ছিলেন বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতা। তাঁর অভিনীত ‘দিওয়ার’ (১৯৭৫), ‘সত্যম শুভম সুন্দরম’ (১৯৭৮), ‘জুনুন’ (১৯৭৮), ‘শান’ (১৯৮০), ‘নমক হালাল’ (১৯৮২) আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৬১ সালে ‘ধর্মপুত্র’ ছবিতে প্রথমবারের মতো প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন শশী কাপুর।

অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একাধিক চলচ্চিত্রের সহ-পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। আশির দশকের দিকে তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও শুরু করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট’র এডহক কমটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিটের এডহক কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভা বিকাল ৪.০০টায় সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাতক্ষীরা ইউনিটের সেক্রেটারি মোঃ সাহাদাৎ হোসেন এর পরিচালনায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এডহক কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সদস্য আবু আহমেদ, আলহাজ্ব এস, এম, শওকত হোসেন, আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, মোঃ শাহজাহান আলী, শেখ আব্দুর রশিদ, ফারহা দীবা খান সাথী, মোঃ রাশেদুজ্জামান রাশি প্রমুখ।
সভায় আগামী ০৬/১২/২০১৭ ইং তারিখ বুধবার সকাল ১০.০০ টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিটের বার্ষিক সাধারণ সভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সকল সম্মানিত আজীবন সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: দেবহাটায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কামান্ডের আয়োজনে ৬ ই ডিসেম্বর দেবহাটা মুক্ত দিবস ও ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উর্যাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলা হল রুমে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গনির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখন সাতক্ষীরা জেলা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সভাপতি আব্দুল মাহমুদ গাজী, দেবহাটা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার ইয়সিন আলী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামসেদ আলী, দপ্তর কমান্ডার আব্দুর রউফ। এসময় উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা সদর ইউনিয়ন কমান্ডার ইদ্রিস আলী, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন কমান্ডার আব্দুর রশিদ, সখিপুর ইউনিয়ন কমান্ডার আবুল কাসেম, মুক্তিযোদ্ধা সাবুর আলী, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবু রায়হান তিতু, দেবহাটা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবুর রাজ্জাক রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবু, সখিপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি হারুন অর রশিদ প্রমূখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে কৈশোরকালীন যৌন ও প্রজনন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক

কালিগঞ্জ ব্যুরো : কৈশোরকালীন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক সোমবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। দি-হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে কালিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সুজন উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু‘র সভাপতিতে এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দি-হাঙ্গার প্রজেক্টের উজ্জীবক এম হাফিজুর রহমান শিমুলের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব ওয়াজেদ আলী, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম,আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্চু, দি-হাঙ্গার প্রজেক্টের ডুমুরিয়া উপজেলা সমন্বয়কারী পলাশ মজুনদার, সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল-আমিন, ভদ্রখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান বাবলু, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ইলাদেবী মল্লিক, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য লাইলি পারভীন প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ কিশোর-কিশোরী ১০-১৯ বছর বয়েসে মধ্যে প্রজনন ক্ষমতায় প্রবেশ করছেন। এই সময় স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি তাদের প্রজনন সেবারও প্রয়োজন রয়েছে। বয়:সন্ধিকালে আকর্ষিক শরীর ও মানষিক পরিবর্তনের ফলে কিশোর-কিশোরীদের মনের মধ্যে নানা ধরণের প্রশ্নের জম্ম দেয়। অথচ বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে প্রজনন ইন্স্যুটি এতোই স্পর্শকাতর যে এ সম্পর্কে আলোচনার বিষয়কে লজ্জার ব্যাপার বলে মনে করেন অনেকেই। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা, বয়:সন্ধিকালে যতœ, পরিবার পরিকল্পনার পদ্ধতি নির্বাচন, স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কসহ সিদ্ধান্ত হীনতায় কারণে স্বাস্থ্যসেবাটি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। ফলে নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই জীবনের এসব গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চর্চা এখনো গড়ে ওঠেনি। এই গুরুত্বপূর্ন বিষয়টিকে সচেতন করার জন্য সরকারি বে-সরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ থাকলেও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এখনো খোলামেলা আলোচনার পরিবেশ তৈরী হয়নি। প্রজনন শব্দের অর্থ বংশবৃদ্ধি, প্রজনন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে বংশ বিস্তার হয় এবং মানুষ, প্রাণী ও প্রকৃতি তাদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest