সর্বশেষ সংবাদ-
শোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভালাপা প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার পরামর্শ সভাসাতক্ষীরায় যৌথবাহিনির অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ তিনজন আটকসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভাসাতক্ষীরা কারা মহাপরিদর্শকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা

৭ মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

৭ মার্চের ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। একই সঙ্গে ৭ মার্চের ভাষণের স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ঘোষণা চাওয়া হয়েছে।

সোমবার সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বশিরুল্লাহ।

দুপুর ২টার পর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে বিষয়টি নিয়ে শুনানির কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। ওই ঘোষণার পর গত শনিবার নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তারেকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) তৎকালীন প্রধান প্রতিবেদক মাহাথির ফারুকী ও বিশেষ প্রতিনিধি কণক সরওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে, এ মামলায় গত ২৩ অক্টোবর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে একই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।

এছাড়া মামলার অপর আসামি একুশে টেলিভিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সোমবার আদালতে হাজির থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি রাতে লন্ডন থেকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করে একুশে টেলিভিশন। ‘ইটিভিতে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল’- এ অভিযোগে ওই বছরের ৮ জানুয়ারি দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন। ওই মামলায় গত বছরের ৩ আগস্ট চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ইমদাদুল হক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে আ ‘লীগ সেক্রেটারি ও ভূমিহীন নেতাকে জবাই করে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় সলেমান গাজি (৪০) নামের একজন ভূমিহীন নেতাকে জবাই করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
পুলিশ সোমবার সকালে আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের কৈখালি গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়িবাঁধের পাশ থেকে তার মস্তক বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত সলেমান গাজি শোভনালী ইউনিয়নের ঝায়ামারী গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী গাজীর ছেলে। তিনি সেখানকার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি।
শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোনায়েম হোসেন জানান, রাতে সলেমান গাজি তার ভাগিনা আবু সালেক ও চাচাতো ভাই আবদুর রশীদের সাথে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে ক্যারম খেলেন। রাত ৯ টার দিকে তারা বাড়ি ফিরলে তার কাছে একটি টেলিফোন আসে। এ সময় তিনি আবার বাড়ি থেকে বাইরে চলে আসেন। সকালে বেড়িবাঁধের ধারে তার জবাইকৃত লাশ পাওয়া যায়।
ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, সলেমান গাজি ভূমিহীনদের একটি অংশের নেতৃত্ব দেন। তার প্রতিপক্ষ ভূমিহীন নেতা ওহাব পেয়াদার সাথে রেকর্ডীয় জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে এই হত্যাকান্ড হতে পারে বলে উল্লেখ করেন ফারুক। আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহীন জানান লাশটির মাথা বিচ্ছন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার ব্যবহৃত মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। লাশের পাশে সিগারেট প্যাকেট ও একটি গ্যাস লাইট ছিল। তিনি জানান সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তিনি জানান লাশটি পড়েছিল আশাশুনি ও কালিগঞ্জ থানার সীমানায়। দুই থানার পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
ওসি আরও জানান হত্যার কারণ এই মুহুর্তে নিশ্চিত করা যায়নি। তবে ভূমিহীনদের মধ্যে চলমান বিরোধের জেরে তিনি খুন হয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ করে ভারতে ৭০ কোটি, বাংলাদেশে ‘প্রায় নেই’

ভারতে এখনো ৭০ কোটি লোক প্রকাশ্য স্থানে বা অনিরাপদ টয়লেটে মলমূত্র ত্যাগ করে। অন্যদিবে বাংলাদেশে প্রকাশ্যে এ কাজ করা ‘প্রায় সম্পূর্ণ বিলুপ্ত’ হয়ে গেছে।

বিশ্ব টয়লেট দিবস উপলক্ষে নতুন প্রকাশ করা এক রিপোর্টে ওয়াটাএইড নামে একটি সংস্থা বলছে, একেবারে প্রাথমিক স্তরের টয়লেট সুবিধা নেই এরকম লোকের সংখ্যা ভারতে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

ভারতে ৭০ কোটি লোক এখনো প্রকাশ্যে বা অনিরাপদ টয়লেটে মলমূত্র ত্যাগ করে- যদিও গত কয়েক বছরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

‘পৃথিবীর টয়লেটের অবস্থা’ নামের এক রিপোর্টে ওয়াটারএইড একথা বলছে। নেপালে প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ করা ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে ধারণা করা হয়।

এই রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীতে এখনো প্রতি তিনজনের একজনের জন্য একটি ভালো টয়লেটে যাবার সুযোগ নেই।
মেয়েদের ঋতুস্রাবের সময় তাদের বাড়ির বাইরে টয়লেটের আরো বেশি দরকার হয়। কিন্তু ইউনেস্কোর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে- আফ্রিকায় প্রতি ১০ জনের একজন মেয়ে ঋতুস্রাবের সময়টায় স্কুলে যায় না।

ভারতে প্রকাশ্য স্থানে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হবার ঘটনাও ঘটেছে ২০১৪ সালে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৯০টি দেশে প্রাথমিক পয়প্রণালী সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রগতি এখনো ধীর।
পৃথিবীতে ৬০ কোটি লোক অন্য পরিবারের সাথে টয়লেট ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে।

ভারতে ৩৫ কোটি নারীর জন্য কোন নিরাপদ টয়লেট নেই। ইথিওপিয়ায় এ সংখ্যা ৪ কোটি ৬০ লাখ।
টয়লেটের ব্যাপারটি বিশেষ করে মেয়েদের ঘরের বাইরে চলাফেরার জন্য একটা বিরাট অসুবিধার কারণ হতে পারে এবং পৃথিবীর বহু দেশে হয়েও থাকে।

কিন্তু এমনটা কি হতে পারে যে মেয়েরা যাতে ঘরের বাইরে বেরুতে না পারে সেজন্য পরিকল্পিতভাবেই তাদের টয়লেট সুবিধা রাখা হয় না?

বিবিসির শত নারী অনুষ্ঠানমালার পক্ষ থেকে এ নিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা যাচ্ছে, অন্তত ভিক্টোরিয়ার ইংল্যান্ডে ব্যাপারটা ছিল তাই।

ব্রিস্টলের ইউনিভার্সিটি অব দি ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ড-এর অধ্যাপক ড. ক্লারা গ্রিড বলছেন, ভিক্টোরিয়ান যুগে মেয়েদের বাইরে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং তাদের প্রকাশ্যে আসতে না দেবার জন্য ইচ্ছে করেই ঘরের বাইরে তাদের জন্য কোন টয়লেট রাখা হতো না।

মেয়েদের জন্য টয়লেট তৈরি করাকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হতো। ভাবা হতো ভদ্র মেয়েদের পাবলিক টয়লেট উচিত নয়।

ড. গ্রিড বলছেন, এ কারণেই মেয়েরা দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘরের বাইরে আসতো না। সে যুগে বিভিন্ন অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিনোদনের জায়গাগুলো বানানোই হতো শুধু পুরুষদের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে।

‘মেয়েদের নানা উপায়ে টয়লেটের অভাবের সাথে মানিয়ে নিতে হতো। যেমন কম পানি খাওয়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রস্রাবের বেগ আটকে রাখা এবং ঘরের বাইরে কম সময় কাটানো’- বলছিলেন বোস্টনের ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান সেন্টার্ড ডিজাইনের মেগান আর ডুফ্রেসনে।

তবে উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে মেয়েদের ভোটাধিকারের আন্দোলন বা সাফ্রাগেট, ডিপার্টমেন্ট স্টোর এবং ক্যাফের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে মেয়েদের টয়লেট ব্যবহার অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেতে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দীপিকার পর বানসালীর মাথার দামও ১০ কোটি টাকা

কিছুদিন আগে পদ্মাবতীর অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের মাথা কাটালে তাকে ৫ কোটি টাকা পুরস্কার দেবেন বলে ঘোষণা করেন হরিয়ানার বিজেপি নেতা সুরজ পাল আমু। এবার পদ্মাবতীর পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানসালীর মাথা কাটলে আরও ৫ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে জানালেন তিনি।

শুধু তাই নয়, যিনি এই কাজ করবেন তার পরিবারের সব দায়িত্ব তিনি নেবেন বলে জানিয়েছেন হরিয়ানা বিজেপির এই মুখপাত্র। করনি সেনার আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে এই বিজেপি নেতা বলেছেন, দিপীকার নাক কাটার যে হুমকি করনি সেনা দিয়েছে তাকে তিনি সমর্থন করেন। এখানেই থামেনি এই বিজেপি নেতার হুমকি। ছবিতে আলাউদ্দিন খিলজির ভূমিকায় অভিনয় করা রণবীর সিংয়ের হাত পা মেরে ভেঙে দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত কয়েকমাস ধরে পদ্মাবতী নিয়ে চরমে উঠেছে করনি সেনার আন্দোলন। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক হয়েছে যে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। বসুন্ধরা রাজে নিজে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে চিঠি লিখে পদ্মাবতীর রিলিজের বিষয়টি বিশেষ নজরে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মানুষের এমন দুর্দশা কখনো দেখিনি-রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ইইউ ও তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। এখনো রোহিঙ্গা মুসলিমরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। অল্প সময়ে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয় নেওয়ায় চরম মানবিক সংকটের তৈরি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের এই দুর্দশা স্বচক্ষে দেখতে গতকাল রবিবার কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জার্মানি, সুইডেন ও জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে নিজ বাস-ভূমে ফিরিয়ে নিতে আসন্ন আসেম সম্মেলনে তারা জোরালো ভূমিকা রাখবেন বলে জানিয়েছেন। আজ সোমবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে এশিয়া-ইউরোপ মিটিং বা আসেম-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হচ্ছে। অংশীদার দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে একটি রাজনৈতিক সংলাপের ফোরাম হলো আসেম। এই ফোরামের অংশীদার হলো ইউরোপ ও এশিয়ার ৫৩ দেশ।

গতকাল রবিবার ও শনিবার পৃথক পৃথকভাবে ঢাকায় এসে পৌঁছান ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয় উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ও ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফেদেরিকো মোঘেরিনি, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল, সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগট ওয়ালস্টার ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো। তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে গতকাল সকালে কক্সবাজারের উখিয়ায় যান। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন।

ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় তারা নির্যাতনের শিকার কিছু রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেন। উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক অভিবাসন কেন্দ্র আইওএম-এর প্রাথমিক চিকিত্সা সেবা কেন্দ্র, জরুরি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তারা। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা’ উল্লেখ করে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখানে রোহিঙ্গাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে থাকতে দেখেছি। মানুষের এমন দুর্দশা কখেনো কোথাও দেখিনি। রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করবে জার্মানি। রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে আসেম সম্মেলনে আলোচনা করা হবে এবং প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা রাখা হবে। তিনি বলেন, সীমিত জায়গায় এতো মানুষের বসবাস অবাক হওয়ার মতো বিষয়। এভাবে রোহিঙ্গাদের বেশিদিন রাখা যাবে না। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তা প্রশংসনীয়।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, চার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে এসেছেন ও তারা খুব অবাক হয়েছেন। এর আগে তারা কখনো এত কম জায়গায় এত বেশি মানুষ দেখেননি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আসেম সম্মেলনে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীসহ সফরকারী পাঁচ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা থেকে আসেম সম্মেলনে যোগ দিতে মিয়ানমার যাওয়ার কথা রয়েছে। এ কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো আসেম সম্মেলনকে মাথায় রেখে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ বা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখা যায় কিনা সেটি নিয়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন।

গত শনিবার উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ১০ সদস্যের একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট ছাড়াও দেশটির ২ জন সিনেটর ও ৩ জন কংগ্রেসের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এদিকে শনিবার পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি আশ্রয় শিবিরে ৭টি বায়োমেট্রিক কেন্দ্রে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫১৮ জন রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
একশ’ বছরের মধ্যে ডুবে যাবে চট্টগ্রামসহ বিশ্বের ২৯৩ শহর, নাসার বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা

হিমবাহ ও দুই মেরুর বরফ দ্রুত গলছে। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে থাকায় আগামী ১০০ বছরের মধ্যে ছোটবড় সব মিলিয়ে বিশ্বের ২৯৩টি শহর পুরোপুরি পানির নিচে ডুবে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র বিজ্ঞানীরা এই আশঙ্কা করেছেন। তালিকায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নামও রয়েছে। এছাড়া নিউইয়র্ক, লন্ডন, টোকিও, কলম্বো, মুম্বাই, ব্যাঙ্গালোর, হংকং, সাংহাইসহ আরো বেশ কয়েকটি মেগাসিটির নামও রয়েছে অনিবার্য ধ্বংসের এই তালিকায়।

গতকাল রবিবার কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘১০০ বছর পর তলিয়ে যাবে এই শহরগুলি! বলছে নাসা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীদের এমন ভয়াবহ আশঙ্কার কথা প্রকাশিত হয়েছে।

চট্টগ্রামের হারিয়ে যাওয়া অনিবার্য, এমন দাবি করে নাসার অন্যতম বিজ্ঞানী সুরেন্দ্র অধিকারী বলছেন, রেহাই পাবে না বাংলাদেশের বন্দর শহর চট্টগ্রামও। বিশ্বের বাকি ২৯২টি শহরের সঙ্গে চট্টগ্রামও হারিয়ে যাবে জলের অতলে, ১০০ বছর পর। সমুদ্রের পানির স্তর যেভাবে বাড়ছে, তাতে চট্টগ্রামকে বাঁচানো আর সম্ভব হবে না।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতি ১০ বছর অন্তর ১ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম শহর। এই হারে পানি বাড়তে বাড়তে আগামী ১০০ বছরের মধ্যেই চট্টগ্রাম শহর থাকবে ১৪ দশমিক ০১ সেন্টিমিটার পানির নিচে। অর্থাত্ তখন আর এই শহরের কোথাও শুকনো মাটির অস্তিত্বই থাকবে না। সবচেয়ে বেশি আশংকার মধ্যে রয়েছে জাপানের টোকিও শহর।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গোটা ভারতীয় উপমহাদেশ আর তার লাগোয়া এলাকাগুলোর অবস্থাও হবে করুণ। সমুদ্রের পানির স্তর আর ১ মিটার বাড়লেই ভারতীয় উপমহাদেশের অন্তত ১৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা সমুদ্রের অতলে তলিয়ে যাবে। উষ্ণায়নের জন্য পৃথিবীর সমুদ্রতল কতটা উঠতে পারে ১০ এবং ১০০ বছর পর, তার পূর্বাভাস দিতে গ্র্যাডিয়েন্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাপিং (জিএফএম) প্রযুক্তি এনেছে নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরি (জেপিএল)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হঠাৎ দেখা কাদের-ফখরুল কী কথা হলো

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে হঠাৎই দুই মিনিটের দেখা-সাক্ষাৎ হলো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। গতকাল বিকালে তাদের হাস্যোজ্জ্বল পরিবেশে কথাও হয়।
দুজন হ্যান্ডসেকও করেন। সেখানে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকেও দেখা যায়। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ইউএস বাংলা বিমানে ঢাকায় ফিরতে সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসেন। এর আগেই বিমানবন্দর লাউঞ্জে বসা ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে যাওয়ার পর ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবকে দেখে তার কাছে এসে বলেন, ‘ভাই কেমন আছেন? মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্মিত হেসে বলছেন, ‘ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন ভাই। ’ ‘ভালো আছি’ বলে ওবায়দুল কাদের আরও বললেন, ‘আমরা যেহেতু রাজনীতি করি, তাই আলাপ-আলোচনার পথ খোলা রাখাই ভালো। ’ ফখরুলের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ঢাকায় এয়ারপোর্টে আপনার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু শুনলাম আপনি আসছেন না। একসঙ্গে এলে ভালো হতো। কথা বলা যেত। ’ জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি সকালের ফ্লাইটেই আসতাম। কিন্তু পারিবারিক কারণে একটু পরে আসতে হয়েছে। ’ দুই মিনিটের কুশল বিনিময়ের পর ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যাই বিমান রেডি হয়ে আছে। ’ জবাবে মির্জা ফখরুলও বলেন, ‘ধন্যবাদ। ’ এরপর ইউএস বাংলার ফ্লাইটে ঢাকায় চলে আসেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কিছু সময় পর নভএয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। দুই নেতার আলাপের সময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সেখানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় ফেরার পর সন্ধ্যায় টেলিফোনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢাকা ফেরার পথে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের টার্মিনালের লাউঞ্জে কুশল বিনিময় হয়েছে। এর বেশি কিছু না। ’ দীর্ঘ কয়েক বছর আগে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হলেও ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের মুখোমুখি কথা এটাই প্রথম।

জানা গেছে, কাদের ও ফখরুলের গতকাল ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে একটি বেসরকারি উড়োজাহাজ কোম্পানির ফ্লাইটে সৈয়দপুর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মির্জা ফখরুল সফর স্থগিত করেন। ফলে একই ফ্লাইটে দুই বড় দলের দুই নেতার সাক্ষাৎ হওয়ার সুযোগ নষ্ট হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest