সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা  সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্নকলারোয়ায় মাছ ধরতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না কিশোর নয়নেরসাতক্ষীরায় পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনবৃত্তি উৎসবের নামে সাতক্ষীরায় চলছে কোচিং সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনাসাতক্ষীরায়পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার চেক হস্তান্তরসাতক্ষীরায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে হেলমেট বিতরণসাতক্ষীরার প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় যুব সমাজের দাবি আশাশুনি উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়কের পিতার দাফন দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম :  ৫দিনের কন্যাশিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা- মা আটক

বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করতেই জাতির পিতাকে হত্যা-ঢাকা সেনানিবাসে প্রধানন্ত্রী

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই ১৫ সপরিবারে তাকে হত্যা করে দেশকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতা ও বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করতেই তারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ লিখিত ছিল না। এটার কোনো নোটও ছিল না। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে দোয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ তার অন্তর থেকে এসেছিল। তার এই ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির জন্য দিক নির্দেশনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকারীরা জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণকেও নিষিদ্ধ করেছিল। সেই ভাষণ আজ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোতে স্থান পেয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশের ৪৯১টি উপজেলার চার তলা ভবনে বসবে হাটবাজার

বদলে যাচ্ছে গ্রামের হাটবাজারের চেহারা। কর্দমাক্ত ও ঘিঞ্জি পরিবেশে গড়ে ওঠা হাটবাজারের বদলে এখন গ্রামের বাজারও বসবে বহুতল ভবনে। চার তলা ভবনের এসব বাজার হবে সবার জন্য উন্মুক্ত। নতুন করে গড়ে তোলা এসব ভবনের একটি তলা বরাদ্দ থাকবে নারীদের জন্য, যেখানে পুরুষদের নামে কোনও দোকান বরাদ্দ হবে না। দেশের ৪৯১টি উপজেলার প্রতিটিতে গড়ে উঠবে এমন আধুনিক বাজার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ‘দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক এই প্রকল্প এরই মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, একনেকে পাস হওয়া এই প্রকল্পের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সরকারের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। আশা করা হচ্ছে, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৩০ জুন শতভাগ বাস্তবায়িত হবে।

কী কারণে এমন প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে— জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি অধিকাংশই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে হলে গ্রামীণ হাটবাজার নির্মাণ জরুরি। গ্রামাঞ্চলে হাটবাজারের পূর্ণ সুবিধা থেকে গ্রামীণ কৃষক ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীরা তেমন সুযোগ পান না। বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ সুবিধার অভাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে স্বল্প মূল্যে উৎপাদন স্থলেই বিক্রি করতে বাধ্য হন।

অন্যদিকে স্থায়ী অবকাঠামো না থাকায় গ্রামীণ বাজারে মালামালের সরবরাহ অপ্রতুল থাকায় ভোক্তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বেশি দাম দিতে হয়। ৪ থেকে ১০ হাজার বর্গফুটের বাজার নির্মাণসহ অন্যান্য ভৌত সুবিধা দেওয়া গেলে কৃষি ও অকৃষি পণ্যের সহজ বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কৃষক প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে তার পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ভোক্তারাও প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সহজে ও ন্যায্য মূল্যে কেনার সুবিধা পাবেন।

থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটি দেশের সব উপজেলায় বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পল্লী অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ, কৃষি পণ্য ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি, ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও প্রকল্প এলাকায় উন্নত হাটবাজার অবকাঠামো তৈরি হবে। সামগ্রিকভাবে পল্লি এলাকার জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এবং দারিদ্র্য কমবে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৪৯১টি উপজেলার প্রতিটিতে কমপক্ষে একটি করে চারতলা বিশিষ্ট বাজার তৈরির মাধ্যমে মোট ৫২০টি গ্রামীণ বাজার তৈরি করা হবে। প্রতিটি বাজারের আয়তন হবে কমপক্ষে চার হাজার বর্গফুট, সর্বোচ্চ ১০ হাজার বর্গফুট।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার সারাদেশের গ্রামীণ হাটবাজারে চার তলা কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে। এর মধ্যে নিচতলায় থাকবে কাঁচাবাজার। আর দ্বিতীয় তলা বরাদ্দ দেওয়া হবে নারী উদ্যোক্তাদের। সরকারের এ উদ্যোগ নারী উদ্যোক্তাদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ছয় কোটি তরুণ-তরুণী রয়েছে। এর এক-তৃতীয়াংশই নারী। তাদের মাত্র ১০ ভাগ ব্যবসায় সম্পৃক্ত। এই হারকে ৫০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া গেলে দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার নারীবান্ধব সরকার। এসএমই খাতে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই উদ্যোগও তারই একটি অংশ।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পদ্মাবতীকে নিয়ে উত্তাল ভারত!

ইতিহাস নির্ভর ভারতীয় সিনেমা ‘পদ্মাবতী’। সিনেমাটি নির্মাণের শুরু থেকেই বিভিন্ন বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানশালিকে।

একের পর এক দুর্যোগ সিনেমাটির নির্মাণ থেকে শুরু করে সব কাজকেই পিছিয়ে দিচ্ছে। আবার রাজপুত করনি সেনা সহ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির বিক্ষোভ, একের পর এক হুমকি ও বাধা চলছেই।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে কিছুদিন আগে জানা যায়, আগামী ১ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে না দীপিকা-শাহিদ-রণবীরের ‘পদ্মাবতী’। প্রথমে ফিল্মটি সেন্সর বোর্ডের কাছে পাঠানো হলেও পদ্ধতিগত কিছু সমস্যার কারণে সেটি ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সমস্যাগুলি মিটিয়ে ফিল্ম নির্মাতাদের তরফে সেটি ফের সেন্সরের জন্য পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন।

এছাড়া CBFC-র নিয়ম অনুসারে কোনও ফিল্ম জমা দেওয়ার পর তাকে সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬১ দিন সময় লাগে। সেক্ষেত্রে ফিল্মটি সেন্সর বোর্ডে সার্টিফিকেট পেতে দেরি হলে কোনও ভাবেই ১ ডিসেম্বর মুক্তি করানো সম্ভব হবে না প্রযোজনা সংস্থার পক্ষে।

এরপরে সেন্সর থেকে বলা হয়েছিল পদ্মাবতীর কিছু দৃশ্য ডিলিট করার কথা। কিন্তু নির্মাতা সঞ্জয় লীলা ভানসালি তা করতে নারাজ। তাই সে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হন। আর আদালতও তার পক্ষে রায় দিয়েছে।

আদালতের ভাষ্যমতে, তারা সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনকে আরেকবার পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়েছেন। দিপাক মিশরার তত্ত্বাবধানে এই রায় পাশ করা হয়।

শোনা যাচ্ছে ১ ডিসেম্বরের বদলে আগামী বছর ১২ জানুয়ারি মুক্তি পেতে পারে সঞ্জয়লীলা বনশালির ‘পদ্মাবতী’।

এদিকে ‘পদ্মাবতী’র মুক্তি রুখতে ইতিমধ্যে ১ ডিসেম্বর ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে করনি সেনা। তাঁদের অভিযোগ, কোনও ভাবেই রানি পদ্মিনীকে আলাউদ্দিন খলজির প্রেমিকা হিসাবে মেনে নেওয়া হবে না।

যদিও পরিচালক বনশালি থেকে শুরু করে সিনেমার কলা-কুশলীরা বারবার দাবি করে আসছেন, সিনেমায় কোনওভাবেই ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়নি। তা সত্ত্বেও বিতর্ক থামছেই না।

এদিকে পদ্মাবতীর মুক্তি পিছনোর ঘটনায় ষড়যন্ত্র দেখছে বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, সেন্সর বোর্ডকে হাতিয়ার করে গুজরাট ভোটের আগে পদ্মাবতীর মুক্তি আটকাতে চাইছে মোদী সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গায়ের রং কালো হওয়ায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা

গায়ের রং কালো হওয়ায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।

আজ সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া ভবানীপুর থানার চকদীপা গ্রামের বাড়ির মধ্যে অগ্নিদগ্ধ গৃবধূর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা।
থানার খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন মাস আগে হলদিয়া ভবানীপুর থানার চকদীপা গ্রামের সেখ জাহাঙ্গির মল্লিকের সঙ্গে সুতাহাটা থানার চকলালপুরের বছর ২০ মঞ্জিরার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ে পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গৃবধূর গায়ের রং কালোর জন্য অত্যাচার করতে থাকে। প্রায় এই নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। তবে শ্বশুবাড়ির লোকেরা গৃহবধূর গায়ে আগুন লাগিয়ে খুন করে বলে গৃহবধূর বাবার বাড়ির অভিযোগ।
মৃত গৃহবধূর ভাইয়ের অভিযোগ, বোনের গায়ের রং কালো হওয়ায় প্রতিনিয়ত অত্যাচার করতো বোনকে। স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

ভবানীপুর থানার ওসি গোপাল পাঠাক জানান, আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।
অভিযুক্তরা পালিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুগাবের অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আজ

জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার অভিশংসনের প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে তারই দল ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ পার্টি।

মুগাবের বিরুদ্ধে স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে অন্যায়ভাবে জিম্বাবুয়ের সাংবিধানিক ক্ষমতায় যাবার প্রচেষ্টার অভিযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।

ক্ষমতাসীন দলের নেতা এমআংগওয়ানা বলেন, অভিসংশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে দুই দিনের মতো লাগতে পারে। বুধবারের মধ্যেই মুগাবের বিদায় নিশ্চিত করা যাবে।

পদত্যাগের জন্য মুগাবেকে জানু-পিএফ পার্টি ২৪ ঘণ্টার যে সময় বেঁধে দিয়েছিল তা সোমবার শেষ হয়।

দেশটির সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বরখাস্ত হওয়া ভাইস-প্রেসিডেন্ট এমারসন এমনাঙ্গাগওয়া খুব দ্রুতই দেশে ফেরত আসবেন।

৯৩ বছর বয়সী রবার্ট মুগাবের পর জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হবার জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন তার স্ত্রী গ্রেস মুগাবে এবং এমনাঙ্গাগওয়া। মুগাবে এমনাঙ্গাগ-ওয়াকে পদচ্যুত করেন। এরপরই গত সপ্তাহে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। সূত্র : বিবিসি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষেই ধ্বংস হবে মানব সভ্যতা!

সম্প্রতি বারবারই পৃথিবীর সঙ্গে বিভিন্ন গ্রহাণুর সংঘর্ষের কথা শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ তা বিশ্বাস করছেন আবার অনেকে একে গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন।
তবে সম্প্রতি একটি মার্কিন সংবাদপত্র নাসাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ২০৩৬ সালে পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে চলেছে একটি গ্রহাণুর। তাতেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে মানব সভ্যতা।

নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই গ্রহাণুটির নাম অ্যাপোফিস। ২০০৪ সালেই প্রথম নজরে পড়েছিল গ্রহাণুটি। এরপর গত ১৭ বছর ধরেই গ্রহাণুটির দিকে নজর রাখছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। আর শেষপর্যন্ত তারা জানালেন, ২০৩৬ সালে পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হবে গ্রহাণুটির। এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন ডুয়েন ব্রাউন নামে ওয়াশিংটনের হেডকোয়ার্টারের এক কর্মকর্তা।

স্টিভ চেসলি নামে নাসার এক বিজ্ঞানী এবং পল খোদাস ২০০৯ সাল থেকে গ্রহাণুটির উপর পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছিলেন। তারপরেই তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, ২০৩৬ সালের ১৩ এপ্রিল পৃথিবীতে আঘাত হানবে অ্যাপোফিস।
ডেভ থোলেন নামে এক বিজ্ঞানী এবং তার সহকারীরাও একই দাবি করেছেন। ওই সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, নাসা তার ওয়েবসাইটেও এই সংঘর্ষের কথা জানিয়েছে।

তবে শুধু ২০৩৬ সালই নয়, ২০২৯ এবং ২০৬৮ সালেও পৃথিবীর খুব কাছ থেকে উড়ে যাবে অ্যাপোফিস। যা থেকেও রয়েছে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শতাব্দীর সেরা একাদশে বার্সার ৬, রিয়ালের ৩

এই শতাব্দীতে ফুটবল বিশ্ব দেখেছে লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জাদু। ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক বার্সেলোনাকে দেখেছে একের পর এক শিরোপা জিতে নিতে। কিন্তু এই শতাব্দীর সেরা ১১ ফুটবলার কারা? সেটি কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে উয়েফা প্রকাশ করেছে এই শতাব্দীর সেরা একাদশের নাম। ছয়জন বার্সেলোনা আর তিনজন রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলার আছেন এই একাদশে।

গোলরক্ষক হিসেবে এই একাদশে আছেন সাবেক স্পেন ও রিয়াল অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস। দলে আরও আছেন তাঁরই ক্লাব সতীর্থ সার্জিও রামোস ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অন্যদিকে, বার্সেলোনা থেকে সুযোগ হয়েছে কার্লোস পুয়োল, জেরার্ড পিকে, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জাভি হার্নান্দেজ ও লিওনেল মেসির। থিয়েরি অঁরিকে নেওয়া হয়েছে, যিনি আর্সেনাল ও বার্সেলোনা দুই দলের হয়েই ইউরোপ মাতিয়েছেন।

রিয়াল-বার্সা ছাড়াও এই একাদশে লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখের ফুটবলাররাও আছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের অন্যতম সেরা ‘ইস্তাম্বুল-ফাইনালে’ জয়ী দল লিভারপুলের প্রতিনিধিত্ব করছেন মিডফিল্ডার স্টিভেন জেরার্ড। অন্যদিকে, বায়ার্ন থেকে দলে এসেছেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ফিলিপ লাম। দলের ফরমেশন ৪-৩-৩।

কিংবদন্তিদের নিয়ে দল গঠন করা বেশ কঠিন কাজ। টুইটারে ইতিমধ্যেই অনেকে এই দলের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। কারও ক্যাসিয়াসের জায়গায় চাই জিজি বুফনকে, কেউবা পিকের স্থলে দেখতে চান ইতালির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ফাবিও ক্যানাভারোকে। দিদিয়ের দ্রগবা, পাওলো মালদিনি, জিনেদিন জিদান কিংবা রোনালদো নাজারিওকে দলে রাখা উচিত ছিল বলে মত দিয়েছেন অনেকেই। সূত্র মার্কা, স্পোর্ট বাইবেল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রতিদিন ফল খান

ফলকে বলা হয় বেহেশতের খাবার। বিজ্ঞানের চোখেও ফল খুবই উন্নত ধরনের খাবার হিসেবে পরিগণিত। আর তাই অসুখ বিসুখে রোগীর বিছানার পাশে দেখা যায় ফলের সমাহার। সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত কিছু না কিছু ফল গ্রহণের কথা বলা হয়।

শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেলসহ বিভিন্ন উপাদানের জোগান দেয় এই ফল। জন্মের কয়েক মাস পর থেকেই তাই শিশুকে ফলের রস খাওয়ানোর উপদেশ দেওয়া হয়।
আমাদের দেশে প্রায় সারা বছরই বিভিন্ন ফল পাওয়া গেলেও জ্যৈষ্ঠ মাসে দেশে আম, জাম, লিচু কাঁঠালসহ বিভিন্ন ধরনের ফলফলাদি সহজলভ্য হয়ে ওঠে। এসব ফলের প্রতিটিই পুষ্টি প্রাচুর্যে অনন্য।

আমের কথাই ধরা যাক। আম সবার কাছেই প্রিয় ফল। কাঁচা কিংবা পাকা, টক কিংবা মিষ্টি, যাই হোক সবই প্রিয়। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সবারই পছন্দ আম। একেকজন একেকভাবে খাচ্ছে। আমের সব পরিবেশনাই মজাদার ও পুষ্টিকর। আম যেভাবেই পরিবেশন করা হোক না কেন এতে আমের পুষ্টিগুণ খুব একটা হেরফের হয় না।

তবে অটুট থাকে অন্যান্য ভিটামিনের গুণাগুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে রয়েছে আট হাজার ৩০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন, একই পরিমাণ পাকা কাঁঠালে ক্যারোটিনের পরিমাণ চার হাজার ৭০০ মাইক্রোগ্রাম। উল্লেখ্য, এই ক্যারোটিন শরীরের ভিটামিন ‘এ’ তে রূপান্তরিত হয়। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে রয়েছে ৪১ মিলি গ্রাম ভিটামিন সি। এটি ১২ বছর বয়স পর্যন্ত একটি শিশুর ভিটামিন সিয়ের দৈনিক চাহিদার দ্বিগুণ। আমের চেয়ে জামে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমাণ কিছুটা বেশি।

প্রতি ১০০ গ্রাম কালো জামে রয়েছে ২১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। আর আঙ্গুরে এর পরিমাণ ২৯ মিলিগ্রাম। স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন সি খুবই কার্যকরী।

উল্লেখ্য, ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবে মাড়ি দিয়ে রক্তপাত হয়ে থাকে। এ ছাড়া ভিটামিন ‘সি’ ক্ষত সারাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। এ কারণে যেকোনো অপারেশনের পর ডাক্তাররা ভিটামিন সি গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ভিটামিন ‘এ’-এর চাহিদা পূরণে আম খু্বই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সবারই বেশি বেশি আম খাওয়া উচিত। খাবারের মাধ্যমে অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণে ক্ষতি নেই। কারণ, বাড়তি ভিটামিন এ লিভারের সংরক্ষিত অবস্থায় থাকে।

ফলের ব্যাপারে একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন। সব ফলেই রয়েছে কিছু খনিজ পদার্থ, ক্যালমিয়াম, লৌহ, ভিটামিন বি১, বি২, ভিটামিন সি, এ। এসব উপাদানের অনেকগুলোরই রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুণাগুণ। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরে বুড়িয়ে যাওয়াকে ধীর করে। হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। আর ফলের আঁশ দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য, শরীরে মেদ জমতে বাধা দেয়।

যেকোনো বয়সের জন্য অনবদ্য খাবার হলো ফল। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ফল বিশেষ ভূমিকা রাখে। ফলের বিকল্প ফলই। প্রতিদিন কিছু না কিছু ফল গ্রহণ করলে পৃথকভাবে ভিটামিন, ক্যাপসুল, ট্যাবলেট কিংবা সিরাপ গ্রহণের দরকার পড়ে না। ফল দীর্ঘ জীবনের নিয়ামক, ফল জীবনকে সুন্দর করে, সুস্থ রাখে।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest