সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

সালমানের চলচ্চিত্রে অভিষেক হচ্ছে মিস ওয়ার্ল্ড মানুষীর

সম্প্রতি মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব জিতেছেন ভারতের মানুষী ছিল্লার। ইতোমধ্যেই চলচ্চিত্রের অফার আসা শুরু করেছে তার কাছে।
সে বিষয় এখনও বিশেষ কিছু জানাননি তিনি। তবে এর মধ্যেই তার জন্য সুখবর। শোনা যাচ্ছে, মানুষীকে নিজের ছবিতে ব্রেক দিতে চান সালমান।

ভারতের একোতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সালমান নাকি মানুষীকে এসকেফ প্রডাকশনে তাঁর আগামী ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় নিতে প্রস্তুত। তাদের দাবি, সালমানের ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের মাধ্যমে এই খবর জানা গেছে। সেই কাজের প্রক্রিয়াও নাকি শুরু হয়ে গেছে। এখন শুধু ঘোষণার অপেক্ষা।

এর আগে ক্যাটরিনা কাইফ, সোনাক্ষী সিনহা, ডেইজি শাহ, জেরিন খানের মতো অভিনেত্রীদের অভিষেক করিয়েছেন সালমান। সেই তালিকায় এখন মানুষীর নাম আসছে।
অবশ্য এক সাক্ষাৎকারে মানুষী জানিয়েছিলেন, তিনি আমির খানের সঙ্গে ছবি করতে চান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ার ভাদিয়ালী সীমান্তে ফেনসিডিল উদ্ধার

জাহাঙ্গীর আলম(লিটন), কলারোয়া : কলারোয়া সীমান্তে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে বিজিবি। বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মাদরা বিওপির সুবেদার কবির জানায়, বিওপির ল্যান্স নায়েক দুলালের নেতৃত্বে উত্তর ভাদিয়ালীর কালিবাড়ী নামক স্থান থেকে এ ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সীমান্তে চোরাচালান, মাদক, জঙ্গি, মানব পাচার নির্মূলে কঠোর ভুমিকা পালনের সময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা এ ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এসময় কোন চোরাচালানী আটক হয়নি। ।ফেনসিডিল উদ্ধারের পর ঘটনা স্থলে সিজার লিস্ট প্রস্তুত করা হয় বলে বিওপি সূত্রে জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৫৭ ধারা থাকছে না

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ধারার পরিবর্তে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির এক বৈঠকে এ বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা নিয়ে সাংবাদিকসহ অনেকেরই উদ্বেগ রয়েছে। এ ধারাটি এখন আর সেভাবে থাকছে না। এ ধারাটি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। যাতে বাকস্বাধীনতা খর্ব না হয়।’

৫৭ ধারা বাতিলের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘৫৭ ধারাসহ আইসিটি অ্যাক্টের কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে। আজকের বৈঠকে এ বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা বাতিল হওয়ার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।’

বহুল আলোচিত ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের একাধিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার প্রতিবাদের মুখে সরকার এ ধারাটি বিলুপ্ত করার উদ্যোগ নেয়। তবে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ১৯ ও ২০ ধারার মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এরই মধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের খসড়া মন্ত্রিসভা অনুমোদন করার পর অধিকতর যাচাই বাছাই করার জন্য মন্ত্রিসভা একটি কমিটি গঠন করে দেয়। এ কমিটি আজ সকাল ১০টায় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দীর্ঘ বৈঠক করে ৫৭ ধারা না রাখার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।

বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অংশ নেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গাছ খাওয়ায় ৮ গাধার ৪ দিনের জেল!

দল বেঁধে কারাগারের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসছে আটটি গাধা! কারাগারের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা কারারক্ষী তাদের বাইরে বেরনোর পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন।

ভাবছেন, এতগুলো গাধা কারাগারের ভেতরে ঢুকল কী ভাবে? ওরা ঢোকেনি। ওদের সাজা দেওয়ার জন্য জেলে ঢোকানো হয়েছিল। বিশ্বাস হচ্ছে না!

এমনটাই ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের জলায়ূঁতে। এতক্ষণে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কেন জেল হয়েছিল গাধার? কারণ জেলের সামনে লাগানো দামি গাছ খেয়ে ফেলাই তাদের অপরাধ। আর সেই ‘অপরাধে’ চার দিন জেল হেফাজতে থাকতে হল ওই আটটি গাধাকে।

পুলিশ জানিয়েছে, জলায়ূঁ জেলায় উরাই কারাগারের সামনে দামি গাছ লাগানো হয়েছিল। ওই গাধাগুলির মালিককে সতর্ক করা সত্ত্বেও তিনি তাদের সেখানেই ছেড়ে দেন। ফলে গাছ খেয়ে ফেলে তারা। গাধাদের আটক করে পুলিশ। মালিকের অনুরোধেও তাদের ছাড়া হয়নি। পরে স্থানীয় এক বিজেপি নেতার মধ্যস্থতায় তারা ছাড়া পায়। সূত্র: আনন্দবাজার

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাতের পার্টি মাতানো ঢাকার ডিজে তরুণীদের জীবন যেমন!

বিশ্বের অনেক দেশেরই আমোদপ্রিয় মানুষের কাছে বেশ পরিচিত ডি-জে বা ডিস্ক জকি। বাংলাদেশে একটা সময় পুরুষদের মধ্যে কাজটি সীমাবদ্ধ থাকলেও কয়েক বছর ধরে এর প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে মেয়েদেরও।

বিভিন্ন পার্টিতে গানের মিক্সিং করে তার তালে তালে অতিথিদের মাতানোর কাজটি করেন একজন ডিজে। নারীদের অনেকেই পেশাদার ডিজে হিসেবে কাজ করছেন। কেমন এই ডিজে দুনিয়া?

লাউড স্পিকারে গান বাজছে। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ব্যাচের পুনর্মিলীন অনুষ্ঠান। মিউজিকের তালে তালে নাচছে শিক্ষার্থীরা। ক্ষণে ক্ষণে পাল্টে যাচ্ছে মিউজিক আর গান। মঞ্চে নিপুন মুন্সিয়ানায় কাজটি করছেন একজন ডিস্ক জকি। যিনি ডিজে নামেই পরিচিত বেশি।

বাংলাদেশে মেয়েদের মধ্যে প্রথম ডিজে হিসেবে মনে করা হয় যাকে, সেই ডিজে সনিকাকে দেখে আগ্রহী হয়ে ২০০৭ সাল থেকে কাজ শুরু করেন সুলতানা রাজিয়া সুমি। শহরাঞ্চলে এখনকার তরুণ-তরুণীদের কাছে ডিজে পার্টি বা ডিজে শো খুব পরিচিত।

নিউইয়ার পার্টি, থার্টি ফার্স্ট নাইট, বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক অনুষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রি-ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জন্মদিন বিয়ে সবকিছুতেই ডিজে মানে বিশেষ আনন্দ।

মেয়েদের জন্য এখনও ঝুঁকিপূর্ণ পেশা : ডিজে দুনিয়ায় ‘ডিজে সনিকা’ হিসেবে পরিচিত হলেও পুরো নাম মারজিয়া কবীর। সনিকা শুধু দেশেই নন, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শোতে নিয়মিত ডিজে হিসেবে কাজ করেন।

ডিজেদের ডাক পড়ে বড় বড় রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানেও। আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১১ ইভেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কিংবা হাতিরঝিলে ডান্স অব ফাউন্টেন এর উদ্বোধনে মিউজিক করার তেমনই অভিজ্ঞতার কথা জানান ডিজে সনিকা। কিন্তু ‘মেয়েদের জন্য এখনো এটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা’ বলে মনে করেন তিনি।

সনিকা বলেন, আমি একেবারে মিডিয়া থেকে আলাদা ছিলাম। কিন্তু ডিজে রাহাত তার ডিজে স্কুলে বাংলাদেশে প্রথম কোনও ডিজে শিখতে আগ্রহী প্রথম ব্যাচকে বিনামূ্ল্যে শেখাবে। তখন প্রথম আমি জানলাম মেয়ে ডিজে নাই দেশে। আমার তখন মনে হলো এটা করতে হবে”।

তবে সনিকা বলেন, “মূলত লোকজন সন্ধ্যার দিকেই ডিজে করতে পছন্দ করে। খুব কম দিনে হয়। জন্মদিন বা পিকনিক এগুলো দিনে হয়। বাকিটা কিন্তু রাতেই হয়। একটা মেয়ের জন্য রাতে বের হয়ে কাজ করা অনেক বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সেক্ষেত্রে আমাকে তো সেরকম সিকিউরিটি নিয়ে যেতে হবে। যাতে নিরাপদে গিয়ে নিরাপদে ফিরতে পারি। দুজন মানুষেকে সাথে রাখতে হয়।”

আগে ডিস্কের মাধ্যমে গানের ব্যবহার করা হলেও, বর্তমান পেনড্রাইভ এর যুগে কাজটি সেভাবে আর করতে হয়না। পুরুষদের মধ্যে ডিজে হিসেবে অনেকেই কাজ করছেন বেশ আগে থেকেই এবং তাদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীতে সঙ্গীত পরিচালনা, বিজ্ঞাপনের কাজ ইত্যাদিতেও যুক্ত হয়েছেন।

প্রথমদিকে যারা বাংলাদেশে ডিজে সংষ্কৃতি চালু করেন তাদের মধ্যে ডিজে প্রিন্স, ডিজে রাহাত, ডিজে লিটন, ডিজে মিরাজসহ অনেকে এই নামগুলো উঠে আসে। তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বর্তমানে আরো অনেক তরুণ-তরুণীই কাজ করছেন। ডিজে মিরাজ ১০ বছর ধরে বিভিণ্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করছেন। তিনি নিজেই প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন উঠতি অনেক ডিজেকে।

পেশা হিসেবে কতটা গ্রহণ করার মত? ডিজে মিরাজ বলেন, ‘যেহেতু এখন কর্পোরেট ইভেন্ট বা ওয়েডিং ইভেন্ট বর্তমানে অনেক বিস্তার লাভ করেছে। অনেকব বেশি হয় সেক্ষেত্রে আমি বলবো এখন যদি কেউ এটাকে পেশা হিসেবে নিতে চায় ডিজে পেশা অন্য অনেক পেশার চেয়ে তুলনামূলক অনেক ভালো”

রাত গভীর হলেই মূলত শুরু হয় তাদের কাজ। দিনের বেলাতেও অবশ্য ডাক পড়ে বিভিন্ন আয়োজনে। বাংলাদেশে ডিজে হিসেবে এখন রাতভর কাজ করছে মেয়েরাও। কিন্তু রাতের কাজ হওয়াতে সামাজিক ভাবে বিষয়টি কিভাবে দেখা হয়?

সুমি বলেন, ” ডিজেটা শুধু না মিডিয়া বলতেই সাধারণ মানুষ অন্য একটা দেখে। আর আমরা যেহেতু রাতের বেলা কাজটা করি। রাতের বেলাই কাজ শেষে করে ফিরি। সেক্ষেত্রে অনেকে কটূক্তি করে। কিন্তু তারপরও ওই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। নাহলে তো আমাদের স্বপ্নটা পূরণ করতে পারবো না”।।

প্রশিক্ষণ নিচ্ছে অনেকেই: ডিজে বা ডিস্ক জকি হওয়ার জন্য এখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন অনেক তরুণ-তরুণী। প্রতিষ্ঠিত ডিজেরাই খুলেছেন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। রোজগারের সুযোগও রয়েছে প্রচুর।

একটা সময় ঢাকা- চট্টগ্রামের মত বড় শহরে এধরনের আয়োজন করা হলেও এখন ডাক পড়ছে মফস্বলের অন্যান্য এলাকাতেও। ডিজে সনিকা বা সুমির মত ডিজে মারিয়া, ডিজে ফারজানা, ডিজে পরী এবং আরো অনেক মেয়েই মঞ্চ মাতাচ্ছেন।

তবে ডিজেদের সাজ-পোশাক নিয়ে অনেকসময় অনাকাঙ্খিত মন্তব্য এড়াতে সতর্ক থাকতে হয়। সুমি বলেন, বিয়ে ববাড়িতে বা জন্মদিনে যে পোশাক পড়ে যাওয়া যায় সে পোশাক কর্পোরেট কোনও অনুষ্ঠানে পড়া যায় না। ফলে বাড়তি সতর্কতা রাখতেই হয়, জানান সুমি।

ডিজেদের মধ্যে কেউ কেউ অ্যালবামে মিউজিক করছেন, কেউ কেউ চলচ্চিত্রে সুর দিচ্ছেন। সুযোগ আছে অর্থ ও পরিচিতি দুটোই পাওয়ার।

আবার কেউ কেউ বিজ্ঞাপন বা মিউজিক ভিডিওতে মডিলং করছেন বা অংশ নিচ্ছেন নাটক অথবা নাচের প্রোগ্রামে। তাই আগ্রহী হচ্ছেন অনেক তরুণ। তবে এখনও এ পেশার প্রতি সামাজিক মনোভাব যথেষ্ট ইতিবাচক হয়ে উঠতে আরও সময় লাগবে বলে মনে করেন ডিজেরা। -সূত্র: বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে গ্রাম আদালত সম্পর্কে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বুধবার সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ হল রুমে গ্রাম আদালত বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এস এম মহসিন উল মুলক। সভার স্বাগত বক্তব্যে গ্রাম আদালত সম্পর্কে বিস্তার আলোচনা করেন সভার শ্যামনগর উপজেলা ননির্বাহী অফিসার ও সভার সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান । কর্মশালায় গ্রাম আদালতের চলমান কার্যক্রম এবং আউটচির পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের জেলা সমন্বয়কারী ফরিদা ইয়াসমিন।এ ছাড়া মুক্ত আলোচনা , ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী, গ্রুপ ওয়ার্ক অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নূর জাহান পারভিন ঝর্ণা, শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প ককর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গফুর, শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আবুল হোসেন মিয়া, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মান্নান আলী, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক জাহিদ সুমন। এ ছাড়া উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ আব্দুল করিম

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন সাকিব

টেস্টে অলরাউন্ডারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় স্থানে আছেন ভারতের রবিন্দ্র জাদেজা।
সেরা পাঁচে আরও আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, বেন স্টোকস ও মঈন আলি।

ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথও নিজ শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন ভারতের চেতেশ্বর পূজারা। সেরা পাঁচে আরও আছেন জো রুট, কেন উইলিয়ামসন, বিরাট কোহলি।

বোলিংয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছেন ইংলিশ খেলোয়াড় জেমস অ্যান্ডারসন। তার পয়েন্ট ৮৯১। ৮৮০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন ভারতের স্পিনার রবিন্দ্র জাদেজা। সেরা পাঁচে আরও আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনও রঙ্গনা হেরাথ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে প্রশাসন ও পুলিশের মদদে প্রতিনিয়ত বসছে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর

ডেস্ক রিপোর্ট : আশাশুনিতে অনুমতি ছাড়াই প্রতিনিয়ত চলছে অশ্লীল নৃত্য ও রমরমা জুয়ার আসর। আর এতে করে উপজেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে উপজেলার সচেতন মহল। জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলছেন, এ ব্যপারে আমার থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খাজরা, শ্রীউলা, আশাশুনি, বড়দল, কাদাকাটি এলাকায় একের পর এক যাত্রার বা অনুষ্ঠানের নামে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর পরিচালনা করে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি এবং স্থানীয় গুটি কয়েক প্রভাবশালী নেতা। অভিযোগ উঠেছে, প্রতি রাতে মোটা অংকের লেনদেনের চুক্তিতে উপজেলা প্রশাসন প্রকাশ্যে নগ্ননৃত্য ও জুয়ার আসর চালতে সহযোগিতা করছে। আর এ নগ্ন নৃত্য ও রমরমা জুয়ার মিছিলে যোগ দিচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্র, যুবকসহ বয়ঃবৃদ্ধরা। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্তে সাক্ষী দেয়া ব্যক্তির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলেও আশাশুনি উপজেলা পুলিশ নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসরের নিরাপত্তা দানে করিৎকর্মা!
উপজেলার খাজরাবাজায় চর ভরাট আদর্শ গ্রাম বালির মাঠে চলছে চরম অশ্লীলন নৃত্য ও জুয়ার রমরমা আসর। মাঝে কিছু দিন বন্ধ থাকার পর আবারও অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানটিই ঝলমলে আলোতে আলোকিত করে আলোর মধ্যেই পকেট কেটে মানুষকে করছে নিঃশ্ব। আর এ নিঃশ্ব মানুষগুলোর পরিবারের সদস্যরা করছে হাহাকার। তাদের এ হাহাকারের ওজন প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার পকেটে যাওয়া অর্থের ওজনের চেয়ে কম বিধায় তাদের হাহাকার শুধু বাতাসে ভেসেই যাচ্ছে। গ্রামের সহজ-সরল খেটে খাওয়া মনুষগুলো লোভের বশবর্তী হয়ে রমরমা জুয়ায় নিজেকে মেলেধরে বাড়ি ফিরছে পকেট খালি করে। এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বোড মালিকরা। মেলা মাঠের এক কোনায় সারি সারি জুয়ার কোট। সাধারণ মানুষ ভিড় করছে এই কোট গুলোকে ঘিরে, পাশেই চলছে যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্য। এখানে ভিড় করে আছে শিশু, কিশোর, যুবক এমনকি বৃদ্ধরাও।
সরেজমিন দেখা গেছে, যাত্রার নামে সেখানে চলছে নগ্ন নৃত্য। প্রথমে দিকে পোশাক পরে স্টেজে আসলেও স্টেজ ত্যাগ করার সময় পোশাক কুড়িয়ে নিয়ে আসে অন্য একজন আর নৃত প্রদর্শন করতে আসা কিশোরীটি গ্রিন রুমে ফিরে প্রায় পোশাক ছাড়াই। আর এ দেখে উল¬সিত হয়ে চিৎকার দিয়ে কিশোরীদের নগ্ন হতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। যে যত বেশি খোলা মেলা হচ্ছে দর্শকরা তার দিকেই ছুড়ে দিচ্ছেন তত বেশি টাকা। কেউ কেউ কিশোরীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন টাকা। প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের পকেট ভারী করার এই খেলায় ধ্বংস হচ্ছে উপজেলার কিশোর ও যুবকদের ভবিষ্যৎ। ঘরে ঘরে বাড়ছে অশান্তি।
একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রতিদিন প্রশাসন, কিছু সাংবাদিকসহ বিভিন্ন দফতরকে মোটা অংকের টাকা দিচ্ছে জুয়া কর্তৃপক্ষ। মেলা ও জুয়ার আসরের পরিচালকরা বলছেন, “পুলিশ, প্রশাসন ও সাংবাদিকদেরকে আমরা ম্যানেজ করে নিয়েছি। আমাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে পারবে না।” আশাশুনির খাজরায় জুয়া বোর্ডের মূল নায়ক শহিদুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, “আমি গোড়া ম্যানেজ করে নিয়েছি। আমার নামে কোন নিউজ হবে না। আর ওসি সারকেও ম্যানেজ করে আমরা খেলা করছি।”
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিদুল ইসলাম শাহীন জানান, জুয়া ও অশ্লীল নৃত্যের ব্যপারে আমার কিছু জানা নেই। যদি এ ধরনের কর্মকা- হয়ে থাকে তাহলে আমরা মেলা বন্ধ করে দিব এবং যারা এই কর্মকা-ের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থ্যা নিব।”
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুষমা সুলতানা জানান, “এ বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest